#প্রেমের_উষ্ণ_ধোঁয়াতে
#লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা
#পর্ব____২৩
সৌরভ হতবিহ্বল। থতমত খেল সে। তড়িঘড়ি করে সরিয়ে আনল হাত দুটো। নিগূঢ় অন্ধকার বিরাজমান পুরো অংশ জুড়ে। বাহির হতে ঘরে ঢুকতেই মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটের আলোয় তার অক্ষিপটে একটি অবয়ব ধরা পড়ে। চো*র নাকি! এমনতর ভাবনা মনের ঘরে জড়ো করে অন্ধকারে অগ্রসর হয় অবয়বের দিক। তার মতে,দরজা খোলা ছিল রাত বিরাতে চো**রের হানা স্বাভাবিক। ফলপ্রসূ হাতেনাতে ধরবে বলে পেছন হতে পেঁচিয়ে নিজের বক্ষে বন্দী করল দেহটা। এখন সে স্বয়ং ব্যাপক নিস্তব্ধ। পেশিবহুল হাত দুইটা কাঁপছে। কাকে স্পর্শ করল! ছেলেদের দেহ হয় শক্ত, চামড়ায় চাপ দিলে এতটা কোমল লাগে না,ড্যাবে যায় না। মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ কাজ করা বন্ধ করে দিল সে অবস্থায়।
শিমুল কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্থির,অটল ও। নেত্রদ্বয় জলে সিক্ত। আড়ষ্ট ভয়ে,অনাকাঙ্ক্ষিত ছোঁয়ায়। হিতাহিত জ্ঞান ফিরতেই উদভ্রান্তের ন্যায় পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফ্ল্যাশ জ্বালাল সৌরভ। আচমকা এই মুখটা এত গভীর রাত্রিরে চোখে ভাসবে ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করে নি ও। বিস্ফোরিত তার নয়নজোড়া। শিমুল সেই চাহনিতে ভয়ার্ত,ছলছল আঁখি যুগল নিবদ্ধ করল। কর্ণে ঝংকার তুলে প্রবেশ করল চাপা ধমকের প্রশ্ন,
” তুই এখানে কী করছিস? ”
শিমুল বিমূঢ়, বাকহারা। ভ-য়ের তাড়নায় ওর আত্মায় পানি নেই, প্রচন্ড শুষ্ক অবস্থা। পুরোনো প্রবাদে আছে,❝ চো**রের দশদিন, গৃহস্থের একদিন। ❞ স্বভাবে চো**র না হলেও অন্যের গৃহে লুকিয়ে চুরিয়ে এসে এই মুহূর্তে নিজেকে চো**র সাব্যস্ত করতে বিবেকে বাঁধছে না ওর। সৌরভ চোখ কুঁচকে তাকাল। ক্ষীণ জ্যোতিতে সমুখের মেয়ের মুখশ্রীতে অপ্রতিভ ভাব বিশদ। কণ্ঠটাও বেশ অপ্রকৃতস্থ,
” আম,,আমি,,,”
বলতে গিয়ে থমকে গেল গলাটা। সৌরভ ওর এক হাত টেনে মুষ্টিমেয় করে নিয়েছে। তৎপরে বলল,
” এখানে না,আমার সাথে চল। ”
বুকে ধুপধাপ বাজ পড়া পরিস্থিতি,তা সত্ত্বেও শিমুলের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে একরাশ লজ্জা। সাদা বর্ণের বদনে দুম করে লাল রঙ মিশে গেল বিনা দ্বিধায় যেন। প্রেমিক পুরুষ আজ প্রথমবার ইচ্ছেতে ছুঁয়েছে ওর অঙ্গ। এটা নিঃসন্দেহে ওর জন্য শান্তি,লজ্জা, এক আকাশসম তৃপ্ততা। যেই সৌরভের সামনে দাঁড়িয়ে দু চারটে শব্দ বলতেও ওর দূরত্ব বজায় রাখতে হয়,সেখানে সেই ব্যক্তির নিজ থেকে স্পর্শ ওর জন্য না চাইতেও অপ্রত্যাশিত এক বিশাল পাওয়া।
সৌরভ রবিন কাকার লাইব্রেরি ঘরে উঁকি দিল। বুঝতে প্রয়াস চালালো কেউ আছে কিনা! মিনিট দুয়েক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঠাহর করতে পারল কারো অস্তিত্বের উপস্থিতি নেই। করপুটে আঁটকে রাখা হাতের মালিককে নিয়ে চট করে ওই ঘরে ঢুকে পড়ল। দরজা হালকা করে ভেজিয়ে দিল। একটা চেয়ারে শিমুলকে বসিয়ে, চেয়ারের দু হাতলের ওপর হাত রাখল। ঝুঁকল ঈষৎ। তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে উঠল,
” কার সাথে এসেছিস?”
শিমুল নত মাথায় বসে আছে। পা গুলো নড়ছে ওর, যা সৌরভের চক্ষু এড়িয়ে গেল না। ধরা পড়ল তার সবটুকু হাল। ঠোঁটের কম্পন,ঘন ঘন ঢোক গিলা,বড় বড় নিঃশ্বাস ছাড়া কিছুই বাদ পড়ছে না সৌরভের সরু চোখের চাউনি হতে। আমতা আমতা করল,
” এক,একা এসেছি। ”
সৌরভের চোখে ধপ করে আগুন জ্বলল যেন। দাঁতে দাঁত চেপে বলে,” ইয়ার্কি মা**রছিস আমার সাথে? এতরাতে একা এসেছিস তুই?”
মস্তিষ্ক ফাঁকা, বুদ্ধির ঘাটতি সেখানে। কী বললে যুতসই এবং সৌরভের বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে, ভেবে ভেবে কূলকিনারা, পথঘাট কিছুই মিলছে না শিমুলের। বয়সটা তো এখনো অপরিণত,অপরিপক্ক। এরকম দশা মেয়েটা আর কোনোদিন মোকাবিলা করে নি। বড়ো ভাইয়ার কথা বললে সৌরভ নিশ্চিত লঙ্কা কান্ড বাঁধাবে, আবার না বলেও উপায় নেই। অঢেল কান্নার দাপটে শরীরটা থেকে থেকে কেঁপে উঠছে। সৌরভ তবুও নির্বিকার। ভাব এমন- উত্তর না পাওয়া অব্দি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও শিমুল নামের পুচকে মেয়ের রেহাই নেই। শেষমেশ মাথায় অবিন্যস্ত, অকস্মাৎ যা সৃষ্ট হলো তা-ই ব্যক্ত করে মেয়েটা,
” ভাইয়ার সাথে এসেছি। ”
সৌরভের মুখাবয়ব আরও কঠিন হলো। কণ্ঠে তেজ এঁটে বলল,
” কোন ভাই?”
” প্রহর ভাই। ”
” তোর ভাই কোথায়?”– সন্দিহান দৃষ্টি মেলে প্রশ্ন করে সৌরভ।
” ভাইয়া মোড়ে। আমাকে মামী নিয়ে এসেছে ভিতরে, নিশুকে দেখতে ইচ্ছে করছিল তাই। আমাকে ওর রুমে দিয়ে মামী কী কাজে যে বের হয়,পানির পিপাসা লাগলে আমি পানি খেতে নিচে আসি। ”
শিমুলের তোতলানো, কম্পিত কণ্ঠ সৌরভের সংশয় দমাতে পারল না। দায়সারাভাবে বলল,
” তুই নিশুর রুমে যা,আমি তোর ভাইয়ের সুদর্শন চেহারা দর্শন করে আসি। ”
শিমুলের চোখ বড় বড় আকৃতি ধারণ করে তৎক্ষনাৎ। প্রহর তো নিশাতের রুমে। কী করবে এখন! করুণ শোনাল ওর গলা,
” সৌরভ ভাইয়া!”
” বল। “— ভরাট কণ্ঠের অনুমতি।
শিমুল লজ্জা শরমের মাথা খেলো নিমেষে। দৃষ্টি মেঝেতে নিবদ্ধ করে বলে,” আমার না হি,,হি পেয়েছে? ”
কালো ঘন ভুরু যুগল কুঞ্চিত হলো সৌরভের। ভাঁজ পড়ল ললাটের মধ্যস্থানে। প্রশ্নবিদ্ধ চাহনি। প্রবল আক্রোশ ভরা কণ্ঠ,
” হি হি কী? আবার ইয়ার্কি করছিস!”
” হি হি মানে ওই যে? বুঝো না?”– তখনও মাথা, চোখের দৃষ্টি অবনত। অথচ গলায় যেন লজ্জাদের মিলনমেলার আয়োজন চলছে।
সৌরভ বুঝবার চেষ্টা করল। বুঝল বোধহয় খানিক। অনিমেষনেত্রে তাকিয়ে সে। দ্বিধান্বিত হয়ে জিজ্ঞেস করল,
” তোর কি হিসু পেয়েছে? ”
” হু। এক নাম্বার টা-ই পেয়েছে। ”
দাঁতে দাঁত লেগে এলো তার। হিসহিসিয়ে উঠল, মৃদু চেঁচাল,
” তো নিশাতের রুমে ওয়াশরুম আছে,সেখানে যা। ”
” না,না। আমার একা বাথরুমে যাইতে ডর লাগে। তুমি চলো,বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবা। ”
চ*ড় মেরে শিমুলের টসটসে, ফুলোফুলো মুখটাকে আরও দ্বিগুণ লাল করে দিতে স্পৃহা জাগছে তার। আস্ত ডিঙি মেয়ে, তার নাকি বাথরুম ভীতি! নাটকের মঞ্চ সাজিয়ে বসে আছে। নিজেকে সামলালো সে। এত প্যাঁচাল করে লাভ নেই, বাথরুমে আর কতক্ষণ লাগবে! মিনিট পাঁচেকের কাজ। ধৈর্য্যের পরীক্ষায় বিজয়ী হয়ে বলে,
” আচ্ছা চল। নিশুর রুমে গিয়ে আমি দাঁড়িয়ে থাকব,তুই তোর কাজ করিস। ”
মেয়েরা সর্বদা চেষ্টায় নিমগ্ন থাকে তার প্রিয় পুরুষের সান্নিধ্যে লজ্জাবতী,নতমুখী নারী হয়ে থাকতে। অথচ শিমুল ভাইয়ের জন্য নিজের সেই গুণগুলো বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। লাজহীন কণ্ঠে নিঃশ্বাস ক্ষণিকের জন্য আঁটকে বলল,
” বেগ বেশি,সিঁড়ি বইতে গেলে যদি পরে যায়? আপনাদের নিচের ঘরে বাথরুম নাই?”তৎপরে সে দাঁড়িয়ে ছোটাছুটি আরম্ভ করল। বিচক্ষণ সৌরভের মন ডাইভার্ট করতে তাড়া দিতে লাগল,” জলদি নিয়ে যান না। ”
সৌরভের হাসি চেপে রাখতে অত্যধিক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
পরিহাস করল,” এখনও যার হিসু নিয়ে বিরাট কান্ড ঘটে,যার বাথরুমে ভূ–তের ভয় সে কিনা আমাকে প্রেম প্রস্তাব দেয়? আগে ভালো করে বড় হ বাবুনি। আয় বাবুনি নিয়ে যাই তোকে বাথরুমে। ”
বাবুনি! তীক্ষ্ণভাবে হুড়মুড়িয়ে ঢুকল শিমুলের কানে। ছি! ছি! আর কী কী সহ্য করতে হবে ওর! কোথায় চেয়েছিল হবে প্রেমিকা,হয়ে গেল বাবুনি। তার সৌরভ ভাইয়ার বাবুনি।
মিথ্যা অজুহাত সাজালেও ফেঁসে গেল সে। এবার সত্যি সত্যিই এক নাম্বার পেয়ে বসল। বিপত্তি বাঁধল তাড়াহুড়ায় পায়জামার ফিতা খুলতে গিয়ে উল্টো প্যাঁচ লাগিয়ে ফেলল,একেবারে জটিল প্যাঁচ যাকে বলে। বি-শ্রী,কটু বিষয়টা না ঘটলে ও এই গিট্টু নিয়েই অনায়সে ভাইকে বাঁচাতে এক ঘন্টা বাথরুমে বসে থাকত। কিন্তু মিথ্যে যে ওকে এমন মা-র দেবে কে জানত! ভিতর থেকে ভেজা বিড়ালের ন্যায় শুধালো,
” সৌরভ ভাইয়া?”
ভারিক্কি কণ্ঠ শোনা গেল মুহূর্তে,
” দশ মিনিট হয়েছে, নাটক না করে বের হ। ”
শিমুল মিনমিন করে তক্ষুনি,
” আমার পায়জামার ফিতে গিট্টু লেগে গেছে,এখন কী হবে?”
” আর কী হবে? বসে থাক। আমি গেলাম। তোর মতো আজাইরা না আমি। ”
” প্লিজ যেয়ো না। ”
” তো কী করব?”
” জানিনা,কিছু একটা করো। নয়ত,নয়ত,”
” বুঝেছি, তুই বেরিয়ে আয়। ”
দরজাটা খুলে শিমুল উঁকি দিল ভিতর হতেই। জানতে চাইল,
” কী করবে?”
” তোর মাথা,মুন্ডু চিবিয়ে খাব।”
বিড়বিড় করে অজস্র গা-লিগা-লাজ করতে থাকল সৌরভ। শিমুলের অক্ষিকোল ভেজা ভেজা হয়ে উঠেছে ইতোমধ্যে। সৌরভ বাথরুমের ভেতর ঢুকে আদেশ করল,
” জামা তোল। ”
শিমুল চমকালো। বিস্ময়ে জড়ীভূত মুখশ্রী। ক্রু*দ্ধ, রোষপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল সৌরভ,” এমন ভাব করছিস যেন তোর সর্ব**নাশ করতে আসছি আমি? অবশ্য ফিতে খুলে না দিলে তোর সর্ব**নাশ হতে দেরি নাই। তাই সাহায্য করে দিই মানবতার খাতিরে। এটা বলব না বিয়ে করলে তোর সমান মেয়ে থাকত। কিন্তু বিয়েটা করলে আজ ঠিক একটা বাচ্চার বাপ থাকতাম। ”
শিমুলের কান ঝাঁঝিয়ে উঠে। নেত্রযুগল নিমীলিত হয়ে আসে। ফর্সা মুখটা সিক্ত রক্তিম আভায়। নড়বড়ে হাতে জামাটা কোমর অব্দি তুলে ধরল। সৌরভ শুধু এক পল চেয়ে পায়জামার ফিতেটায় হাত রাখল। পূর্ণ দৃষ্টি নিবদ্ধ করল শিমুলের লালচে রঙে ছেয়ে থাকা মুখ পানে। সহসা ঘোর লেগে এলো তার। কি কোমল মুখখানি! নিশুতির গহনে তার ভেতরের সত্তা টালমাটাল রূপ ধারণ করছে। ভদ্রতার মুখোশ উন্মুক্ত করে অভদ্র, বেহায়া,নির্লজ্জ হতে চাইছে একটুখানি। নিষিদ্ধ ইচ্ছেরা হাট বসিয়েছে মনে,মস্তিষ্কে। অসংযত চাওয়া থামাতে সে তার চিত্তের সাথে কুরুক্ষেত্র চালাল। চোখ বুঁজে ফেলল। তাৎক্ষণিক টনক নড়ল তার। চোখের পাতায় হাজির হলো পিংকির হাসোজ্জল চেহারাটা। আরো একদফা! আরও একবার তার বুকের কোথাও ভাঙ্গনের সূচনা ঘটল। ফিতের প্যাঁচ শিথিল হয়ে আসলে শিমুলের হাতে ধরিয়ে বেরিয়ে আসল দ্রুত পায়ে। ধরে আসা নরম গলায় ভরসা দিল,
” আমি বাহিরে আছি,তুই আয়। ”
শিমুল সুদীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল। সৌরভের নিকটে আসা ওর দেহের প্রতিটি লোমকূপে শিহরণ বইয়ে দিয়েছে। মাদল বাজছে এখনও। ধীরে ধীরে ডান হাত চেপে ধরল বুকে। আহ! এবার শান্তি। অসম্ভব ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা এ স্থানে সৌরভ আরো বেশি বেশি ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছে। এমন করে যত্ন করলে,পরোয়া করলে সারাজীবনই নাটকীয়বাজ হবে এই শিমুলরাণী। উঁহু! সৌরভ ভাইয়ের বাবুনি৷ লাজে শীগ্রই দু হাত দিয়ে মুখ ঢাকল ও।
——————————————-
নিশাত অনুরোধ করে আবারও। কাতর, দুর্বল স্বর,
” নিয়ে যান না আমাকে। ”
প্রহর ঠোঁট বাকিয়ে অল্প হাসে। বলে,
” কীভাবে নিয়ে যাব তোকে?”
” আপনার বুকে পকেট নেই? ”
প্রহর পরনের টি শার্টটার দিকে তাকাল। সহজাত হাসি হেসে সদ্ভাব সঠিক রেখে জবাবে জানায়,
” নেই। ”
জ্বরের উত্তাপে,উষ্ণতায়, জ্ঞানশূণ্য নিশাত। কল্পনায় মত্ত হয়ে রা-গ,জেদের,কষ্টের বহিঃপ্রকাশ করে বসে,
” কেন নেই? সবকিছুর সমাধান আছে আমাকে নিয়ে যাওয়ার সমাধান নাই কেন? অস**ভ্য লোক আপনি। ”
প্রহরের কান খাড়া হয়ে গেল। চক্ষে বিস্ময়। বিছানায় পড়ে থাকা নিশাতকে আপাদমস্তক দেখে নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
” আমি অস**ভ্য লোক?”
নিশাত দৃঢ় কণ্ঠে বলল,
” হ্যাঁ। ”
প্রহর এবার চওড়া হাসল। পরক্ষণেই দুর্বোধ্য হাসিতে পরিণত হলো হাসিটা। ফিচেল স্বরে বলল,
” কথাটা শিকেয়তোলা রইল মেরি সুইটহার্ট। মামুজানের বাড়িতে বসে কথা দিচ্ছি তিলবতী, তোকে অস**ভ্যতার শেষ পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে ক্ষান্ত হব আমি। তখন তুই থাকবি একদম সজ্ঞানে। চিন্তা করবি কোথায় কোথায় মুখ লুকাবি। ”
হুট করে দরজা খুলে ভেতরে আসল কেউ। প্রহর মোবাইলটা প্যান্টের পকেটে পুরে উঠে দাঁড়াল। পেছনে উপস্থিত শিমুলের চেহারায় লেপ্টে আছে শঙ্কা। কিছু বলতে যাবে তার আগেই উদ্বেল কণ্ঠ কর্ণগোচর হলো।
#চলবে,,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)