#প্রেমের_উষ্ণ_ধোঁয়াতে
#লেখিকাঃআসরিফা সুলতানা জেবা
#পর্ব____১৭
নিশাতের শ্বাস নিতে ব্যাপক কষ্ট অনুভূত হচ্ছে। শীর্ণকায় দেহে খেলা করছে তরঙ্গ। ক্রমাগত জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে প্রহরের বক্ষস্থলে। প্রহর এক হাতে ওর নরম গাল চেপে ধরল আলতোভাবে। কিঞ্চিৎ নিজের মুখোমুখি রক্তবর্ণ মুখশ্রীটা তুলে ধরে প্রশ্ন করল। কণ্ঠে প্রবল তীক্ষ্ণতা মেশানো।
‘ তুই হাঁপানি রোগী কবে হলি রে নিশু?’
নিশাতের চোখের পাপড়ি নিমীলিত হয়ে আসছে বারংবার। গাড়ির একটুআধটু হলুদাভ রশ্মির ছোঁয়ায় সে ঠিকঠাক তাকাতে পারছে না প্রহরের পানে। চক্ষে ভাসছে শ্যামবর্ণ চেহারায় প্রশ্নাত্মক মুখোভঙ্গি অস্পষ্ট। হাঁপানি রোগী! হ্যাঁ! এই মুহূর্তে হাঁপানি রোগীর চেয়েও বড় কিছু ও। প্রহর ভাইয়ের বুকে ওর খুব কষ্ট হচ্ছে। শ্বাস প্রশ্বাস ক্রিয়া থমকে থমকে যাচ্ছে। হুটহাট করে আবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গতিহারা। ছোট থেকে হাজার, হাজার বার প্রহর ভাইয়ের সান্নিধ্যে এসেছে ও এবং ওর দেহ। কই আগে কখনো তো এমন হয় নি। ভয় জেগেছে প্রাণে,অভ্যন্তরে, তবে এমন অদ্ভুত অনুভূতি জাগে নি। ওর নিশ্চুপতা অসহনীয় ঠেকল হয়ত প্রহরের নিকট। ইচ্ছে করে জোরালো কয়েকটা নিঃশ্বাস ফেলল তার মুখের ওপর। তপ্ততায় মেখে দিল মেয়েটার কোমল বদন। সরু নাকটা ঈষৎ কুঁচকালো, মোটা দু অধর নড়ে উঠল,কপালে উপস্থিত দু এক গাছি রুক্ষ চুলের পাখনা গজালো বোধহয়। উড়ল একটুখানি। প্রহর কণ্ঠে তেজ ঢেলে বলে উঠল,
‘ তোর মতে আমার বুক সরকারি। এভাবে যে সরকারি বুকে গরম গরম নিঃশ্বাস ফেলছিস, একবারও কি ভেবেছিস বুকটা পুড়ে যাবে কিনা? তুই এত চালাক হয়েছিস নিশু? শেষ পর্যন্ত ফন্দি আটলি বুক পুড়িয়ে প্রতি-শোধ নিবি আমার করা তোর ওপর সকল অত্যা-চারের? যেন আমার বউ বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে না পারে? ‘
নিশাত ক্ষীণ একটা নিঃশ্বাস বিমোচন করল। তৎক্ষনাৎ সাহস সঞ্চয় করে আওড়ালো,
‘ আপনি আমায় ছেড়ে দিলে বুক পুড়বে না। ‘
‘ কি? তুই বলছিস তোকে ধরে রেখেছি বলে বুক পুড়িয়ে আঙরা,আঙরা করে ফেলবি?’
আরেকটু চেপে ধরল প্রহর নিশাতের দেহ। এবার আর নিঃশ্বাসও ফেলতে পারছে না সে। টেনে টেনে বলল,
‘ আর বলব না প্রহর ভাই। ‘
প্রহরের ঠোঁটের কোণে বাকি হাসি শোভা পায়। বলে,
‘ সরি বল। ‘
নিশাতের অল্পস্বল্প বুঝদার মন সরি বলতে রাজি না। কারণ সে কোনো দো*ষ করে নি। তবুও সগোক্তি করে,
‘ স,,সরি। ‘
প্রহরের ঠোঁট দুটো চওড়া হলো। বলল,
‘ আমার তোর ভয়ার্ত চেহারা দেখলে এত শান্তি লাগে কেন নিশু? মন চায় তুই সবসময় ভয়মাখা মুখ নিয়ে আমার সামনে বসে থাক,আমি তোর সেই চেহারা দেখে ভেতরটা ঠান্ডা করি। ভালো মানুষের বিপরীত শব্দ কি? ‘
বিনা সময় ব্যয়ে উত্তর দিল নিশাত,
‘খারাপ মানুষ। ‘
প্রহর সাথে সাথে বলল,
‘আমি সেটা। তাই বলেই,হাসির বদলে তোর ভয় ভয় চেহারা পছন্দ করি। ভাবিস না বিয়ে করলে তোর রেহাই, বরং উল্টো তোর খেল খতম। ‘
সহসা নিশাতের কণ্ঠ গলিয়ে প্রশ্ন এলো, ‘ খেল?’
‘ ওইসব বুঝবি না তুই। বাবু,বাবু-ই থাক। ‘
‘ আমি বাবু না প্রহর ভাই। সতেরো বছর আমার। ‘
‘ সতেরো বছর দুই মাস দশদিন তোর। বুধবার রাতের শেষভাগের ৩ টায় তুই পৃথিবীতে এসে ওয়াও ওয়াও করছিলি। মাত্র এক আঙ্গুলের একটা শরীর ছিল তোর,ওজোন ছিল ৩ কেজি। আর কি কি শুনবি? তোর নাড়িভুঁড়ির খবর আমি জানি। তোর পিঠের উপরের দিকে কাছাকাছি দুটো তিল আছে, পেটের বা দিকে জন্মদাগ আছে। বাকিগুলো অন্যসময় বলব। কারণ তোর শোনার বয়স হয় নি। অপরিপক্ক তুই। তবুও কি শুনতে চাস?’
প্রহরের প্রশ্নবিদ্ধ চাহনি। নিশাত মাথা নত করে ফেলল। তার ব্যাপারে এত এত কিছু কেন জানে এই লোক? পৃথিবীতে একটা প্রহর ভাই না থাকলে কি যে ভালো হতো! তাহলে লজ্জাদের সঙ্গে ওর সাক্ষাৎ হত না কভু।
প্রহর ওকে ছাড়ল ঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর পর। শরীরে ততক্ষণে তীব্র তাপদাহের বসবাস। প্রহর ভাইয়ের স্পর্শে জ্বর আসবে আসবে ভাব। তাকে গাড়ি থেকে বের করে দিয়ে নিজে গাড়ির ভেতর ঘাপটি মেরে বসে আছে। ওর অভিলাষ জাগছে উঁকি ঝুঁকি দিয়ে দেখার ভিতরে কী করছে। কিন্তু উপায় নেই। সেই লোক জানালার দু ধারের কালো কাঁচ তুলে দিয়েছে। রাতের আলোআঁধারি খেলায় সবকিছু আবছা, স্পষ্ট নয়। ওর পেছনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে চারটা বডিগার্ড টাইপ লোক। লোক চারটা স্ট্রেইট দাঁড়িয়ে আছে। চোখের পলকও যেন নাড়াতে ভয় পাচ্ছে। মন্ত্রী, নেতা হলে হয়ত এভাবে বডিগার্ড রাখা যায়। ওকে পাহারা দিচ্ছে অথচ তার দিকেই তাকানোর নামধাম নেই। কি উদ্ভট পাহারাদার!
নিশাত ক্রমে ক্রমে অস্থির হচ্ছে। চারদিকে দৃষ্টি বুলাচ্ছে। তিনতলা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ও। সেই যে প্রহরের দলের এক ছেলে একটা শপিং ব্যাগ দিয়ে গেল, আর নামার খবর নেই। এক স্থানে দাঁড়িয়ে না থেকে আলতো পায়চারি করেতে লাগল ও। দুনিয়ায় নাকি সকল মানুষের একটা দুর্বলতা নিহিত থাকে। কারোটা প্রকাশ পায়,আবার কারো ক্ষেত্রে গোপনে লুকিয়ে থাকে। তবে দুর্বলতা থাকেই। এ পৃথিবীতে কেউই সর্বদিক হতে শক্তিশালী, কঠোর হয় না। হতে পারে না। তার দুর্বলতাটা প্রকাশিত। সইতে না পেরে গুণে গুণে তিনটা কদম ফেলল সে। তক্ষুনি গাড়ির দরজা মেলার শব্দ প্রবেশ করল কর্ণকুহরে। চোখ কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসবার জোগাড়। প্রহর কাপড় পরিবর্তন করেছে। ঘর্মাক্ত, ভেজা পাঞ্জাবি ছেড়ে নতুন আরেকটা হালকা শ্যাওলা রঙা পাঞ্জাবি জড়িয়েছে গায়ে। বাহ! হবু বউয়ের সাথে দেখা করার জন্য এত আয়োজন! হলদেটে অঙ্গ প্রত্যঙ্গে জ্বলন অনুভব করল ও। প্রহরের প্রশ্ন শুনে দু দফা অগ্নি বর্ষণ হলো অন্তস্থলে।
‘ কেমন লাগছে বল? ‘
নিশাত অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল। সে কেমন করে বলবে আপনাকে মারা*ত্মক সুন্দর লাগছে প্রহর ভাই? এটা বলা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য। তাছাড়া অন্য মেয়ের জন্য সাজগোছ একদম সহ্য হচ্ছে না। নিজের মধ্যে অকস্মাৎ এত হিংসার আবির্ভাব অনুভূত হওয়া মাত্র যারপরনাই অবাক হচ্ছে ও। মিনিট পেরিয়ে গেল,উত্তর না পেয়ে প্রহর রেগেমেগে আগুন,
‘ তোকে কি আট আনা পয়সা দেওয়া হয়েছে মুখ না খোলার জন্য? সত্যি করে বল নিশু। তোর মুখে কি গন্ধ? যখনই কাছে এসে কিছু জিজ্ঞেস করি চুপ হয়ে যাস। গন্ধ হলে বল। আমি ভালো ব্র্যান্ডের টুথপেষ্ট কিনে দেবো। শত হোক মামুর মতো কিপ্টে নই আমি। যে কিনা এক বেলা খাওয়ানোর ভয়ে সম্পর্ক ছিন্ন রেখেছে। ‘
নিশাত বিমূঢ় চাহনি নিক্ষেপ করল। লজ্জায় মাথা নুইয়ে যাওয়ার উপক্রম। এরকম লজ্জা আর কত দিবে মানুষটা! কম্পনমিশ্রিত ধ্বনি,
‘ দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমার ফিরতে হবে। নইলে পিংকি সন্দেহ করবে। ‘
‘ তুই আমাকে সময়ের মূল্য শেখাচ্ছিস? আমি সময় অপচয় করি বলছিস? আজ সারা রাতেও যেতে পারবি না তুই। এটা তোর শা*স্তি। ‘
‘ শা*স্তি?’– শব্দটা উচ্চারণ করতেই গলা ধরা এলো নিশাতের। প্রহর একবার বলেছে মানে নিস্তার নেই।
আর কিছু বলবে তার পূর্বেই ওকে টেনে রেস্টুরেন্টের দ্বিতীয় তলায় হাজির হলো প্রহর। প্রথম তলায় মানুষে গিজগিজ অবস্থা দেখলেও এখানে একটা শাড়ি পরিহিতা মেয়ে বাদে কাউকেই দেখতে পাচ্ছে না নিশাত। ঠান্ডা, শান্ত পরিবেশ। ফুল হাতা ব্লাউজের সঙ্গে কালো একটা পাতলা জর্জেট শাড়ি মেয়েটার সুশ্রী কায়ায়। ডান হাতে এক মুঠো কালো চুড়ি। খোপায় একটা বেলি ফুলের মালা জড়ানো,কপালে কালো টিপ, ব্যস। আর কোনো প্রসাধনী, অলংকার মেয়েটার সুন্দর দেহে ঠাঁই পায় নি।
নিশাতের মুখ হা হয়ে গেল। খুব কাছ থেকে দেখল মেয়েটার চুলগুলোতে হালকা নীল কালার করা। চেহারায় বিদেশিনী ভাব। প্রহরকে দেখেও মেয়েটার চেহারায় বিশেষ পরিবর্তন আসে নি। স্রেফ বলল,
‘ একবার কফির কাপগুলো গুণে নিন প্রহর সাহেব। ‘
প্রহর নিশাতের হাত ছেড়ে দিয়ে চেয়ার টেনে বসল। নির্বিকার, নিরলস অভিব্যক্তি তার,
‘ জাস্ট সেভেন কাপ এন্ড ওয়ান মোর ইন ইউর হ্যান্ড। ‘
তনুজা কফির কাপটা টেবিলে কিঞ্চিৎ শব্দ করে রাখল। ধীর, নম্র কণ্ঠস্বর,
‘ আমি কখনোই কারো জন্য এত অপেক্ষা করি নি। আপনিই জীবনে প্রথম ব্যক্তি। তবে মজার ব্যাপার কি জানেন? জীবনের প্রথম কারো জন্য অপেক্ষায় আমি সামান্য পরিমাণও বিরক্ত হই নি। উল্টো যত সময় পার হচ্ছিল, ততই আমার ভেতরে একটা বিশেষরকম ভালো লাগা কাজ করছিল। আপনি কি ম্যাজিকম্যান?’
‘ ফ্লার্ট করার জন্যই কি সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে আসা?’
তনুজা মাথা নত করে নেড়ে লজ্জাবতী হয়ে জবাব দিল,
‘ উঁহু, আপনার জন্য ছুটে আসা। আমি ভিনদেশে, অন্যরকম কালচারে বড় হলেও কখনো কারো প্রেমে পড়ার মতো ফিলিং জাগে নি। কথা প্যাঁচাতে পছন্দ করি না। তাই সরাসরি বলব,আপনার প্রতিও প্রেম নেই। কিন্তু সমীরণ ভাইয়ার অপজিটে যেদিন আপনাকে দেখলাম একটা নিউজে বেশ ভালো লাগার জায়গা দখল করলেন। সেদিনই সেকেন্ডের কাটায় জীবনের বড়রকম সিদ্ধান্ত টা নিলাম। আপনার জীবনসঙ্গী হওয়ার সিদ্ধান্ত। আমার এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে আমার পুরো পরিবার। সমীরণ ভাইয়া কথা বলে না আমার সাথে। বাবার বড্ড আদুরে, তাই তিনি নত হলেন। প্রস্তাব পাঠালেন। আপনাকে আমি তীব্রভাবে চাই রাজনীতিবিদ প্রহর সাহেব। আপনি ভাবতে পারেন শ*ত্রুর বোন হয়ে এভাবে চাওয়ার পেছনে অস*ৎ উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে। কিন্তু তা নয়। কারণ আমার প্রাণ কোনো রাজনীতির অংশ নয়। আমি শুধু আপনাকে চাই। ‘
কথা শেষ করে তনুজার নজর গিয়ে পড়ল অসহায় এর ন্যায় দাঁড়ানো নিশাতের পানে। জানতে চায়,
‘ কে সে?’
প্রহর আঁড়চোখে চেয়ে বলে,
‘ কাজিন। ‘
তনুজা হাসিমুখ করে জিজ্ঞেস করে,
‘ আমার সাথে দেখা করাতে নিয়ে এসেছেন?’
‘ ইয়েস। হবু বউ দেখতে কি খালি হাতে আসা যায়? ভাবলাম সঙ্গে কাউকে নিয়ে আসি। আফটার অল কারো তো শুরুতে দেখা উচিত আপনি কতটা সুন্দর। ‘
অত্যধিক খুশিতে চকচক করতে লাগল তনুজার মুখাবয়ব। স্পষ্টত, প্রহরের করা একটুখানি প্রশংসায় সে ভীষণ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছে। নিজে ওঠে গিয়ে পাশের টেবিল থেকে চেয়ার এনে নিশাতকে বসার জন্য সাধতে আরম্ভ করল,
‘ সিট। ‘
দোনোমোনো করছে নিশাত। বসতে মন চাইছে না। কোনো ইচ্ছে নেই প্রেমালাপ শোনবার। এছাড়া উপায়ও নেই। সম্মান করতে গিয়ে বসতে হলো। তনুজা পুনরায় জিজ্ঞেস করল,
‘ তুমি আমার খুব ছোট হবে। সেজন্য তুমি করেই বলি,ওকে? হোয়াটস ইউর নেইম? ‘
নিশাত মুখ খোলার আগে প্রহরের কণ্ঠের শব্দ উভয়ের কর্ণধারে পৌঁছায়, ‘ নিশাত। ‘
‘ সুন্দর নাম। আমি নিশি বলে ডাকব। সে কি সবসময় আপনার সাথে থাকে?’
‘ আপাতত সাথে রাখছি। সামনে ইলেকশন,সেকারণে স্লোগান লিখার কাজ করবে নিশু। খুব ভালো স্লোগান বানাতে পারে। ‘
নিশাত কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বিব্রত দৃষ্টিতে তাকাল প্রহরের দিক। তনুজা আগ্রহী কণ্ঠে বলল,
‘ পিচ্চি মেয়ে স্লোগান বানাতে পারে? আমি এ মুহূর্তে একটা শুনতে চাই। প্লিজ,,’
কণ্ঠে অনুরোধের ছোঁয়া। প্রহর অগ্রাহ্য করল না। বরঞ্চ ক্রুর হেসে নিশাতকে আদেশ করল,
‘ একটা স্লোগান শুনিয়ে দে নিশু তোর ভাবীকে। ‘
হাত-পায়ের তালু গরম হয়ে উঠল নিশাতের। স্লোগান আর ভাবী! কোনোটাই মেনে নিতে পারছে না ওর মন। প্রহরের চোখ রাঙানিতে বাধ্য হয়ে আচমকা মুখে যা আসল তা-ই বলে ফেলল,
‘ এক বড় না দুই বড়,,,
প্রহর ভাইয়ের মন বড়,,
প্রহর ভাইকে বানালে নেতা
রাস্তায় রাস্তায় পাবেন কাঁথা। ‘
#চলবে,,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। মনে হচ্ছে নতুন করে লিখা শিখছি,লিখায় দীর্ঘকাল গ্যাপ পড়লে যা হয়।)