#খোঁজ ১৭তম_পর্ব
লেখক মোঃ কামরুল হাসান
আমার শাশুড়ির মুখস্থ করা গাড়ির নাম্বারটা লিটু তার দিনলিপিতে টুকে নেয়। তারপর লিটু উনার দিকে তাকিয়ে বলে, আন্টি আপনি অদিতির মা! তাই বুঝতে পারছি ব্যাথাটা আর সবার চাইতে আপনারই বেশি! কিন্তু তবুও কথাগুলো আরও আগেই আমাদের কে বলা উচিৎ ছিলো আপনার। তা যাই হোক, আপনি মেয়ের কথা রাখতেই হয়তো এমনটা করেছেন? তার জন্যই আপনার কথাগুলো মেনে নিলাম।
আশা করছি এবারে আপনি আমাদের কোন ভুল তথ্য দেননি? আমার শাশুড়ি লিটুর কথায় খুবই হতাশ হলেন! তিনি অনুশোচনার স্বরে বললেন, আমি জানি! আমি আমার মেয়ের জামাইয়ের সাথে অনেক লুকোচুরি করেছি। কিন্তু কেন করেছি তা একমাত্র আমিই জানি বাবা! আর একটা কথা হচ্ছে। বিশ্বাস খুব স্পর্শকাতর ব্যাপার। সেটা একবার নষ্ট হয়ে গেলে আর সহজে সেটা সেই জায়গায় ফিরে আসে না! বুঝতে পারছি আমার বেলাতেও ঠিক তাই হয়েছে।
তবে এতে কাউকে বিভ্রান্ত করার কোন উদেশ্য আমার ছিলো না। আমি শুধু চেয়েছিলাম মেয়ের সুখ! মেয়ের সংসারটা যেনো ঠিক থাকে। কিন্তু কপাল যদি খারাপ হয়ে যায়! তবে মনে হয় কিছুতেই কিছু করলেও তা ঠিক হবার নয়?
হঠাৎই আমার শাশুড়ি আমাকে অবাক করে দিয়ে বলে উঠে, বাবা সায়েম! আমি জানি, তোমাকে কোন কথা বলার মুখ আমার নেই! তবুও আজ আমি আমার কৃতকর্মের জন্য তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী! তুমি চাইলে আমাকে অনেক অপমান অপদস্ত করতে পারতে? কিন্তু তুমি ভদ্রলোক! তাই বুঝতে পারি তোমার কাছে আমার এতো বড় অপরাধেরও ক্ষমা আছে!
তবুও মনের মধ্যে এখন আর তেমন শান্তি পাই না! মাঝে মাঝেই মনে হয় তোমার জীবনটা হয়তো আমি নষ্ট করে দিলাম। পারলে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও! আর আমার মেয়ে অদিতি সত্যি তোমাকে অনেক ভালো বাসতো। তাই তো শেষ বার যখন দেখা হয় তখন অদিতিই চেয়ে ছিলো। তরুকে যেনো তোমার হাতে তুলে দেই!
তাই আমিও লোভীর মতো তোমাকে যাতে এ বাড়ির জামাই করে রাখতে পারি সেই চেষ্টা করেছি। তার জন্য আজ সত্যিই আমি অনেক লজ্জিত! তুমি কিছু মনে করো না বাবা!
আমার শাশুড়ির কথা শুনে ঠিক বুঝতে পারলাম না, আমি তাকে কি বলতে পারি? শুধু এইটুকুই বললাম, পুলিশ নিশ্চয়ই অদিতির খোঁজ পাবে। আপনার মেয়ে নিশ্চয়ই আপনার বুকে আবার ফিরে আসবে! তিনি আমার কথা শুনে বললেন, তাই যেনো হয় বাবা! তাই যেনো হয়!
ওদিকে পুলিশের লোকজন সেই বাড়িওয়ালার বাড়িতে আবার গিয়ে উপস্থিত হলো। এবার পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে হালকা হলেও একটা প্রমাণ আছে যে, মৃত কাজের মেয়ের সাথে তার যোগাযোগ ছিলো।
সে প্রথমে অস্বীকার করলেও। পুলিশ অফিসার যখন কল রেকর্ড দেখিয়ে তাঁকে জব্দ করলো, তখন সে স্বীকার করে মেয়েটি কাজের জন্য তাঁকে দু-একবার ফোন করেছিলো। কিন্তু সেটা তখন তার মনে ছিলো না। তাই পুলিশকে বলা হয়ে উঠেনি।
বাড়িওয়ালার কথা শুনে অফিসার কড়া গলায় জিজ্ঞেস করে, মনে ছিলো না! নাকি ইচ্ছে করে ব্যাপারটা এড়িয়ে গেছেন? বাড়িওয়ালা অবাক হয়ে বলে, ইচ্ছে করে কেন লুকিয়ে রাখতে যাবো স্যার? যদি কাজের মেয়ের সাথে আমার যোগাযোগ থেকেও থাকে। তবে সেটা লুকিয়ে আমার তো কোন লাভ নেই!
অফিসার তার কথা শুনে হেসে বলেন, ভুলে যাবেন না, মেয়েটি আর বেঁচে নেই! কোন না কোন ভাবে আপনি হয়তো মেয়েটির খুনের সাথে জড়িত তাই অস্বীকার করেছেন?
অফিসারের কথা শুনে বাড়িওয়ালা অবাক ও উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে বলে উঠে, আপনারা পুলিশের লোক বলে যা খুশি তাই বলে যাবেন? হ্যা আমি এখন স্বীকার করে নিচ্ছি। মেয়েটার সাথে আমার কয়েকবার ফোনে কথা হয়েছে। তাই বলে কি প্রমাণ হয়ে যায় আমি তাকে খুন করেছি? একজন মানুষের সাথে আরেক জন মানুষের ফোনে যোগাযোগ হতেই পারে?
অফিসার তার উত্তেজনা দেখে বলেন, শান্ত হয়ে বসুন! এতেই প্রমাণ হয় না যে মেয়েটিকে আপনি কিছু করেছেন। কিন্তু এটাও বলা যায় না, যে আপনি এর সাথে একেবারেই জড়িত নন! সেটা অবশ্য আমরা প্রমাণ করেই তারপর আবার আপনার কাছে আসবো! এমনও তো হতে পারে আপনি কাউকে সে কাজ করতে সাহায্য করেছেন? কারণ মেয়েটির মৃত দেহ আপনার বাড়িতেই পড়ে ছিলো?
হ্যা কাজের মেয়ের মৃত দেহ আমার বাড়িতেই পড়ে ছিলো। কিন্তু বাড়িটা তখন ভাড়াটিয়ার অধিনে ছিলো। সে কথা নিশ্চয়ই আপনারা ভুলে যাননি? অফিসার সাথে সাথেই জবাব দেয়, তা আমাদের জানা বটে! কিংবা এটা কিন্তু এখনো জানি না! সেসময় বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছিলো না-কি, এর আগেই তারা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে?
বাড়িওয়ালা অফিসারের কথা শুনে বলে, আপনারা আগে প্রমাণ করুন আমি এর সাথে জড়িত ছিলাম! তারপর না হয় আবার আমার কাছে এর কৈফিয়ত চাইতে আসবেন? এখন আপনারা আসুন আমি ভীষণ বিরক্ত ও অসুস্থ বোধ করছি আপনাদেরকে দেখে! অফিসার পকেট থেকে মায়ার স্বামীর ছবিটা বের করে বাড়িওয়ালার চোখের সামনে ধরে জিজ্ঞেস করলেন, তা উনার সাথে কি আপনার পরিচয় আছে?
বাড়িওয়ালা ছবিটির দিকে এক নজর তাকিয়ে চোখ দুটি সরিয়ে নিয়ে বলে, না! কে সে? আমি কখনো তাকে দেখেছি বলে তো মনে পড়ে না। অফিসার উনার কথা শুনে বললেন, না হলেই ভালো! তবে যদি আপনার কথার বিন্দুমাত্র এদিক সেদিক হয়। তবে সেদিন হাতে কড়া লাগিয়ে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যেতেই আসবো! কথা ভালো করে মনের মধ্যে গেঁথে রাখুন।
বাড়িওয়ালা অফিসারের কথা শুনে শুধু তাকিয়ে রইলেন। মুখে খুলে আর কিছু বললেন না তিনি।
লিটু গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের খোঁজ অতি দ্রুতই বের করে ফেললো। আর মালিকের নাম দেখে পুলিশ অফিসার দ্রুত তাঁকে ধরে আনার নির্দেশ দিলেন। যাকে ধরে আনার জন্য পুলিশ পাঠানো হলো। সে গত দুদিন ধরে উধাও হয়ে গেছে! কিন্তু পুলিশের লোকজন তাঁকে গ্রেফতার করতে চিরুনি অভিযান শুরু করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই পুলিশ তাকে আটক করতে সমর্থ হবে।
লিটু আমাকে মায়া ও তার স্বামীর ছবিটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে, ভালো করে দেখতো! ছবির মেয়েটির সাথে যে লোকটার ছবি, তাকে কখনো কোথাও তুই দেখেছিস কি-না? ছবিটার দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখতেই আমার কেন যেনো মনে হলো, আমি এই লোকটাকে আরও আগেও কোথাও দেখেছি! কিন্তু স্মৃতির পাতা তন্নতন্ন করে খোঁজেও তার ছবিটি সেখানে কোথাও দেখতে পেলাম না!
লিটুর দিকে তাকিয়ে তাই বললাম, মনে হচ্ছে তাঁকে আমি দেখেছি কিন্তু কোথায়, কখন কিভাবে দেখেছি মনে করতে পারছি না। জিজ্ঞেস করলাম এই কেসটার সাথে এই লোকের কি সম্পর্ক? লিটু চিন্তিত ও গম্ভীর কন্ঠে জবাব দিলো, মনে হচ্ছে মায়ার খুনের সাথে এই লোকটাও জড়িত আছে। আর মায়ার খুনের সাথে জড়িত থাকা মানে অদিতির নিখোঁজ হওয়ার পিছনেও তার হাত থাকা অস্বাভাবিক নয়। বরং বিচার বিবেচনায় তা যুক্তি যুক্ত।
জিজ্ঞেস করলাম তবে, এই লোকটাই কি এখন তোদের কাছে প্রাইম সাসপেক্ট? আমাদের ধারণা তাই! কারণ আসলাম কে তো হিসাব থেকে বাদ দিতে হচ্ছে।কিন্তু তার এর পিছনে কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে? মায়ার খুনের পিছনে যে কারণ তা সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু অদিতির নিখোঁজ হওয়ার পিছনে যে কারণ সেটা অনুমান করা যাচ্ছে না।
তবে সহজেই বলা যায় মায়ার কেসটার সাথে অদিতির কেসটার যোগাযোগ অতন্ত্য নিবিড়। পুলিশ এই লোকটাকে তাই মরিয়া হয়ে খোঁজে বেড়াচ্ছে। সাধারণ চুরিচামারির অনেকগুলো কেস তার নামে বিভিন্ন থানায় ছিলো। কিন্তু বড় কোন কেসের সাথে তার সংপৃক্ততা এখনো খোঁজে পাওয়া যায় নি।
বিভিন্ন কেসের তার বিভিন্ন নাম দেখা যায়। কিন্তু নাম যাইহোক লোক একজন’ই। তার উপর বড় ধরনের কোন অভিযোগ না থাকায় তার কেসগুলোর ফাইলগুলিও চাপা পড়ে গেছে!
কিন্তু এই কেসটার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ আবার সেই পুরোনো ফাইলপত্র নতুন করে ঘাঁটছে। জিজ্ঞেস করলাম তাঁকে কি সহজেই খোঁজে পাওয়া যাবে? লিটু দৃঢ়কণ্ঠে বলে, এবার তাকে না ধরা পর্যন্ত আমাদের কোন নিস্তার নেই।
পুলিশ অতি দ্রুতই গাড়ির মালিক ও গাড়িটা আটক করতে সমর্থ হলো। গাড়িতে ফরেনসিক বিভাগ পরীক্ষা-নিরিক্ষা শুরু করে দিয়েছে। আর পুলিশ অফিসার গাড়ির মালিক কে সামনের আসনে বসিয়ে কড়া গলায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিয়েছে।
কিন্তু গাড়ির মালিক কিছুতেই স্বীকার করতে রাজি নয় যে, গাড়িটা কোন দুনম্বরী কাজে ব্যাবহার করা হয়েছে। গাড়ির মালিক নিজেই ড্রাইভার। গাড়ির মালিক দৃঢ় কন্ঠে বলে, স্যার আমি নিজেই গাড়িটা ভাড়াতে চালাই। তাই খুব সাবধানে যাত্রী তুলি। সেরকম কিছু টের পেলে আগেই না করে দেই!
শুধু শুধু কে ঝামেলায় জড়াতে চায় বলুন স্যার? আমি তাই সবসময় সাবধানেই গাড়িটা চালাই। ফরেনসিক বিভাগ পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য মহিলাদের দু’একটা চুল ছাড়া আর তেমন কিছু পায়নি। তাই টেস্টের জন্য পাঠানো হলো। তাতে যে রেজাল্ট পাওয়া গেল তাতেই কেসটার তদন্তের মোড় চোখের পলকে পাল্টে গেলো।
সেই চুলগুলোর মধ্যে একটি অদিতির ও আরেকটা নকল আসলামের স্ত্রীর সাথে মিলে গেলো। এবার গাড়ির মালিক কে রীতিমতো ধোলাই করা হলো। এবং সবকিছু খোলে বলে, জিজ্ঞেস করা হলো অদিতি কোথায়? গাড়ির মালিক তবুও সবকিছু অস্বীকার করার পণ করে। কিন্তু পুলিশের লাঠির সামনে বেশিক্ষণ টিকতে না পেরে বলে, আর মারবেন না স্যার!
আমি সবকিছু খোলে বলছি। পুলিশ অফিসার জিজ্ঞেস করে বল অদিতির সাথে কি হয়েছে? গাড়ির মালিক জবাব দেয় স্যার গাড়ির কাগজ পত্র আমার নামে করা হলেও এই গাড়ির প্রকৃত মালিক আমি নই!
অফিসার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, এই কথার মানে কি? লোকটা মার খেয়ে সহ্য করতে না পেরে বলে, স্যার! এই গাড়িটা হাবিবুর রহমান সাহেব আমাকে কিনে দিয়ে বলেন, আমি দুবছর তার হয়ে কাজ করে দিলেই গাড়িটা আমার হয়ে যাবে! তাতে তার আর গাড়িটার উপর কোন রকম দাবি থাকবে না।
বিনিময়ে তিনি যা করতে বলবেন, আমাকে শুধু কোন প্রশ্ন না করে সেই কাজ করে যেতে হবে। স্যার একটা গাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্নে আমি আর আগুপিছু না ভেবেই উনার কথায় রাজি হয়ে যাই! যদিও আমি কিছুদিনের মধ্যে বুঝতে পারি। তিনি আমাকে দিয়ে অনেক গোপন কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। যা একেবারে ঠিক নয়, অনেক বড় অন্যায়! তবুও লোভের কারণে মুখ বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হই।
একদিন যখন মুখ ফোটে সবকিছুর জবাব চাইলাম। তখন তিনি জবাব দিলেন, এতো দামী একটা গাড়ি এমনি এমনিতেই কি পাওয়া যায়? আর তিনি এ-ও বলে দিলেন কখনো ধরা পড়ে গেলে তার নামটি যেনো কোনমতেই সামনে না আসে? আমি তখন বুঝতে পারি লোভে পড়ে ফেঁসে গেছি!
তাই চুপ করে থাকা ছাড়া আমার সামনে আর কোন রাস্তা খোলা রইলো না। পুলিশ অফিসার জিজ্ঞেস করলেন, ঠিক আছে হাবিবুর রহমান সাহেবের ঠিকানাটা আমাদের বল?
ঠিকানা শুনে পুলিশ অফিসার যারপরনাই খুশি হয়ে বলে,তবে এই হাবিবুর রহমান সেই হাবিবুর রহমান? আবার সেই বাড়িওয়ালার বাড়িতে পুলিশকে যেতে হলো। কিন্তু এবার শুধু জিজ্ঞেস করার জন্য নয়। বরং হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে আসার জন্য।
হাবিবুর রহমান সাহেব পুলিশ অফিসার কে দেখে জিজ্ঞেস করে, আপনারা আমার বাড়িতে আবার এসেছেন? অফিসার পকেট থেকে হাতকড়া বের করে হেসে বলে, এটা আপনার হাতে পড়াতে বাধ্য হয়েই আমাকে আবার আসতে হলো আপনার বাড়িতে!
বাড়িওয়ালা হাবিবুর রহমান সাহেব অফিসারের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, কি প্রমাণ আছে আপনাদের কাছে, যে আমি অপরাধী? পুলিশ অফিসার জবাব না দিয়ে আগে উনার হাতে হাতকড়াটা ভালো করে পড়িয়ে দিলেন। হাতকড়া পড়িয়ে দিয়ে বলে, আগে আমার সাথে থানায় চলুন! আর সেখানে গেলেই জলজ্যান্ত প্রমাণ আপনার সামনে হাজির হবে!
থানায় গিয়ে হাবিবুর রহমান যখন গাড়ির মালিক সেই ড্রাইভার কে দেখতে পেলেন। তখন উনার মুখটা দেখার মতো হলো। পুলিশ অফিসার তা ভালো করেই খেয়াল করে। তারপর উনার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, এবার বলুন অদিতি ও মায়ার সাথে কেন এমন করলেন?
হাবিবুর রহমান সাহেব গম্ভীর কন্ঠে জবাব দেয়, আমি কারও সাথেই কিছু করিনি! অফিসার হেসে বলে তবে শুধু শুধুই আপনি গাড়িটা ওকে কিনে দিলেন? হাবিবুর রহমান সাহেব তবুও চুপ করে রইলেন। অফিসার একজন কনস্টেবল কে বললেন, উনি সত্যিটা স্বীকার করবেন। আগে একটু খাতিরদারি কর!
প্রথম লাঠির প্রচন্ড আঘাতেই হাবিবুর রহমান সাহেব বললেন, প্লিজ থামুন! আমি সবকিছু খোলে বলছি। অফিসারের ইশারায় কনস্টেবল থেমে যায়। অফিসার উনার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, কি বলবেন, বলে ফেলুন চটপট?
হাবিবুর রহমান সাহেব অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠে বলে, স্যার আমি এর কিছুই করিনি! অফিসার হেসে বলে, এটা তো পুরোনো কথা! নতুন কিছু বলুন! বলছি স্যার! আমি সত্যিই কিছু করিনি। কিন্তু আমার এক বন্ধর কথা রাখতে শুধুমাত্র সাহায্য করেছি। অফিসার ধমকে উঠে জিজ্ঞেস করে, তা আরও একজন আছে! তবে এবার তার নামটাও বলুন শুনি! আপনার সাথে সময় কাটানোর জন্য তাঁকে অতি শীঘ্রই ধরে নিয়ে আসবো। বলুন আপনার বন্ধুটির কি নাম?
হাবিবুর রহমান সাহেব যখন সেই বন্ধুর নাম বললো, তখন তা শুনে অফিসার সহ সবাই কিছুটা চমকে উঠে! অফিসার আশ্চর্যের সাথে বলে উঠে বলেন কি?
চলবে,,,,,