#প্রেম_পিয়াসী ❤️
#লেখিকা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
#পর্ব_______৩৪.
সেই রাতের আজ তিনদিন পেরিয়ে গেলো। আজ ঠিক ওমনই এক রাত। তবে এর আয়োজন আজ ইলহাম করেনি। বরং রাদ নিজে করেছে। অবশ্য ইলহাম এর কিছুই জানতোনা। সেদিনের পর থেকে ইলহাম অভিমান করে একদমই কথা বলেনি রাদের সঙ্গে। রাদ অনেক ভাবে মানানোর চেষ্টা করেছে তাকে। কিন্তু ইলহাম ভীষণ অভিমানী। তার অভিমান হাজার চেষ্টার পরেও ভা/ঙেনি।
বাড়ির সকলের ডিনার রাত ১১টার মধ্যেই সম্পন্ন হয়। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। ডিনার সেরে সবাই চলে গেলে ইলহাম আর শিরিন মিলে সবটা গুছিয়ে রাখে। অতঃপর তারা চলে যায় যে যার ঘরে। ইলহাম শাড়ির আঁচলে হাত মুছতে মুছতে ঘরে ঢুকতেই এক বি/কট শব্দে চমকে উঠলো। সঙ্গে ভ/য়ে/র বহিঃপ্রকাশে দিলো এক চিৎকার। দরজার কপাট ধরে ভ/য়ে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো বেচারী। হঠাৎ দূর থেকে কারোর হাসির শব্দ ভেসে আসতেই চোখ মেলে তাকালো ইলহাম। রাদ কোমরে হাত চেপে দৈ/ত্য/দের মতো হাসছে। যা দেখেই ইলহামের রা/গ উঠে গেলো ১৪০ডিগ্রিতে। পরক্ষণেই চোখে পড়লো ওর সামনে একটা লাল ফাটা বেলুন পড়ে আছে। অর্থাৎ ওর ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এই বেলুনটা ফেটেছে। কিন্তু এতো রাতে ঘরে বেলুন এলো কোথা থেকে? নিঝুম নিয়ে এসেছিলো কি? মনে পড়ছেনা।
কিন্তু না, ঘরটা ভালো করে দেখতেই ইলহামের চোখ বড়বড় হয়ে আসে। রাদের পেছনে লাভ সেডের বেলুন গুলোর পাহাড় উঠেছে যেন। ইলহাম অবাক দৃষ্টি মেলে একটু একটু করে এগোতে লাগলো। ঘরটা আজ নিজের ভোল পাল্টে নিয়েছে একদম। এতসব করলো কে? আর করলোই বা কখন?
রঙ বেরঙের মোমবাতি গুলো কত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। অন্ধকার ঘরে কতটা ভ/য়া/ন/ক সুন্দর লাগবে ভেবেই পুলকিত হলো ওর মন। ঠিক এমন মুহুর্তে শাড়ির আঁচল ভেদ করে উন্মুক্ত উদরে একজোড়া হাতের গভীর ছোঁয়ায় কেঁপে উঠলো ইলহাম। ঘাড়ের কাছে তার গরম নিশ্বাস আঁচড়ে পড়তে শিরশির করে কেঁপে উঠলো সর্বাঙ্গ। রাদ ওর ঘাড়ে থুঁতনি রেখে আকুল আবেদন করে বলল,
—-” প্রিয়দর্শিনীর অভিমান গলাতে কি একটা সুযোগও পাবোনা?”
ইলহামের মনে পড়লো সেদিনের কথা। ঠিক এমন করেই অপেক্ষা করেছিলো সে। কিন্তু মানুষটা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলো তাকে। তবে আজ কেন সে ধরা দিবে তাকে? একদম দিবেনা।
মনে মনে পন করে রাদের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সরে গেলো ইলহাম। অর্থাৎ, সে কোনো সুযোগ দিবেনা তাকে। রাদ অসহায় চোখে তাকালো ইলহামের পানে। কেমন অভিমান নিয়ে দূরে সরে গেলো! সে তো হাজার বার স্বীকার করেছে, এই ভুল আর কখনোও করবেনা সে। আর কখনোও লেট করেও বাসায় ফিরবেনা।
—-” সুইটহার্ট! আই এম সরি! প্লিজ এবার অন্তত ক্ষমা করে দাও? প্লিজ? এই দেখো আমি আবারও কান ধরছি..”
বলতে বলতে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লো রাদ। কানে হাত দিয়ে বাচ্চাদের ন্যায় ঠোঁট উল্টে চোখ পিটপিট করে তাকালো। যা দেখে হাসি পেয়ে গেলো ইলহামের। তবুও মনটাকে শক্ত রেখে ঠিক অন্যদিকে তাকিয়ে রইলো।
রাদ আর পারলোনা চুপ থাকতে। উঠে দাঁড়িয়ে এসে দাঁড়ালো ইলহামের সম্মুখে। অসহায় কন্ঠে বলল,
—-” এত্তো অভিমান? একবার কথাও বলবেনা! সত্যিই বলবেনা? দেখো, এরপরও কথা না বললে আমি কিন্তু উল্টো পাল্টা কিছু করে ফেলবো! তখন আমাকে দো/ষারোপ করতে এসোনা।”
ইলহাম তবুও চুপ করে রইলো। সে কথা বলবেনা তো বলবেইনা। যাই হয়ে যাক!
তবে রাদও তার কথা রাখলো। আর দু-তিনবার চেষ্টা করলো ইলহামকে কথা বলাতে। কিন্তু ব্যর্থ হলো বরাবরের ন্যায়। তাই সে হুট করে বিনা বাক্যে কোলে তুলে নিলো ইলহামকে। ইলহাম আঁ/তকে উঠে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করতে করতে অবশেষে মুখ খুললো। রা/গান্বিত গলায় বলল,
—-” আরে হচ্ছে টা কি! নামান আমাকে! নামান বলছি, আমি পড়ে যাবো। নামান প্লিজ।”
রাদ বাঁকা হেসে বলল,
—-” কথা বলার টাইম ওভার। সরি টু স্যে। এবার যা হবে চুপচাপ মেনে নিবে।”
—-” মামু বাড়ির আবদার নাকি! নামান আমাকে।”
ক্ষি/প্ত স্বরে প্রতিবাদ জানালো ইলহাম। কিন্তু তবুও রাদের হেলদোর নেই। এখন যা হবে সত্যিই সব মানতে হবে ইলহামকে। রাদ ইলহামকে কোলে নিয়েই চলে গেলো ওয়াশরুমের দিকে। রাদের কান্ড দেখে ঘাবড়াতে লাগলো ইলহাম! একটু বেশি হয়ে গেলো না তো? মনেমনে প্রশ্ন করলো নিজেকেই!
রাদ আকস্মিক ইলহামকে নামিয়ে দিলো ভেজা স্যাঁতসেঁতে বাথটবের উপর। ইলহামের শকের উপর শক খেয়ে চলেছে। হচ্ছে টা কি তার সঙ্গে? চাচ্ছেটা কি মানুষটা? কিন্তু কোনো জবাব মেলেনা।
রাদ চুপচাপ নিজের কাজ করে যাচ্ছে। ইলহামকে শেষ বারের মতো চমকে দিয়ে বাথটবের কলটা ছেড়ে দিলো। মিনিট গড়াতেই বাথটব ভরে উঠলো ঠান্ডা জ্বলে। ইলহাম আঁতকে উঠলো আরও একবার। জলে জুবুথুবু বাথটবে অর্ধেক শরীর ভিজে গেলো ইলহামের। সে চাইলেও উঠে যেতে পারছেনা। কারন তাকে জো/র করে আঁটকে রেখেছে রাদ। সেও ভিজছে ওর হাতপা ছোড়াছুড়িতে। তবুও যেন কিছু যায় আসেনা।
প্রায় দশ মিনিট এভাবেই কাটলো জলের মধ্যে। একপর্যায়ে ঠান্ডায় হাড়কাঁপানো শীত এলো ইলহামের। রাদ বুঝতে পেরে ওকে পূণরায় কোলে তুলে উঠিয়ে নিলো ওখান থেকে। ইলহাম ঠান্ডায় কাঁপছে থরথর করে। যা দেখে রাদের বেশ মজা হচ্ছে। সে মিটমিট করে হাসছে।
—-” নাও, চেঞ্জ করে এটা পড়ে নাও।”
একটা কালো সিল্ক শাড়ী নিয়ে এসে ইলহামের হাতে ধরিয়ে দিয়ে কথাটা বলল রাদ। ইলহাম ক্ষেপা দৃষ্টিতে তাকালো ওর দিকে। যা দেখে রাদ বাঁকা হেসে বলল,
—-” চাইলে পড়িয়ে দিতে পারি। আই ডোন্ট মাইন্ড এক্টচুয়েলি!”
কথাটা বলতে দেরী হলেও তার হাত থেকে শাড়ী তোয়ালে ছো মে/রে কেড়ে নিয়ে ওয়াশরুমের দরজাটা ধপাশ করে বন্ধ করতে দেরী হলোনা ইলহামের। রাদ শব্দ করে হেসে উঠলো ইলহাম এরূপ কান্ডতে। ভেতরে বসে রা/গে ফুঁসছে ইলহাম। কি ভেবেছে কি উনি? যা খুশি তাই করবেন? যত্তসব!
এই সুযোগে নিজের ভেজা টি-শার্ট আর ট্রাউজার পাল্টে একটা কালো শার্ট আর আর কালো প্যান্ট পড়ে নিলো চটজলদি। পুরো ঘরের ডেকোরেশনটায় আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো কাঙ্ক্ষিত মানুষটার। তবে তাকে আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলোনা। তার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে হাজির হলো ইলহাম। কালো সিল্ক শাড়িটা পুরো বসে গেছে ওর শরীরে। যেন এই শাড়ির একমাত্র কর্ণধার ইলহামই হতে পারে। ইলহাম রাদের সামনে এসে দাঁড়ালে রাদের মুখ থেকে আর কথা বের হলোনা। একধ্যানে কেবল দেখেই যাচ্ছে তার প্রিয়দর্শিনীকে।
রাদের এমন অদ্ভুত চাহনিতে বুকের ভেতরের ধকধকানি দিগুন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ইলহাম। রাদের চোখে বেশিক্ষণ চেয়ে থাকার সাধ্য হলোনা ওর। চোখ নামিয়ে ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে ধাতস্থ করলো নিজেকে। এবার ও কিছু বলতে চায় রাদকে। বলতে চায় কয়েক দিন যাবত মনের ভেতর চেপে রাখা কথা গুলো। কিন্তু কিভাবে বলা যায়? কোথা থেকে শুরু করা যায় বুঝে উঠতে পারছেনা।
ইলহামের ভাবনাগুলোর ইতি ঘটলো খানিক উষ্ণ ছোঁয়ায়। কেঁপে উঠে খানিক আবদ্ধ হয়ে পড়লো নিজের মাঝেই। ভেজা ললাটে ঠোঁট ছুঁইয়েছে রাদ। ভেজা উষ্ণ ছোঁয়া।
—-” রাদ?”
—-” হু?”
ইলহাম ডাকলো রাদকে। রাদ ওর ভেজা চুলগুলো তোয়ালে দিয়ে পেঁচাতে পেঁচাতে অন্যমনস্ক গলায় জবাব দিলো। ইলহাম বড় করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমতাআমতা করে বলল,
—-” আ..আপনাকে কিছু বলতে চাই!”
—-” হু, বলো?”
—-” এভাবে না। এদিকে বসুন।”
ইলহাম রাদের হাত ধরে তাকে ছোট্ট টুলের উপর বসিয়ে দিলো। অতঃপর ও মেঝেতে বসতে নিলে রাদ চটপট দাঁড়িয়ে গিয়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতে ধরে ফেললো ওকে। তার জায়গায় ওকে বসিয়ে দিয়ে বকার সুরে বলল,
—-” তুমি কেন নীচে বসছো!”
এই বলে নিজেই হাঁটু মুড়ে বসে পড়লো ওর সামনে। ওর হাতদুটো মুঠোবন্দি করে নিয়ে বলল,
—-” বলো এবার। কি কথা?”
—-” আসলে…”
—-” কি হয়েছে!”
—-” আমি আমার মায়ের মৃ/ত্যু/র ব্যাপারে একটা ক্লু পেয়েছি।”
রাদ অবাক চোখে তাকালো,
—-” কি বলছো!”
—-” হু। জানেন, রনো আঙ্কেল নামে কেউ একজন আছে। যাকে মা সবটা জানাতে বলেছিলো। এমনকি আমিও তার নামে কিছু কথা লিখেছিলাম। জানিনা কে উনি, কোথায় থাকে..”
—-” রনো!”
রাদের কপালের মাঝে ভাজ পড়লো। ইলহামের কথার মাঝেই সে প্রশ্ন করলো। ইলহাম হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে বলল,
—-” হু। রনো!”
—-” কাল দেখছি ব্যাপারটা। এবার চুল গুলো মুছে দেই? ঠান্ডা লেগে যাবে তো!”
রাদের শেষোক্ত প্রশ্নে ইলহাম লজ্জা মিশ্রিত হেসে ঘাড় কাত করে উঠে দাঁড়ালো। রাদ চোখের ইশারায় উল্টো ঘুরে দাঁড়াতে বললে বিনা বাক্যে ঘুরে যায় উল্টো দিকে। ক্ষনেই সম্মুখের মস্ত বড় আয়নাটায় ভেসে উঠে দুই কপোত-কপোতীর প্রতিবিম্ব। রাদ বেশ মনোযোগ দিয়ে চুল মুছতে লাগলো ইলহামের। আর ইলহাম বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো তাকে। কালো শার্টে এর পূর্বে রাদকে কখনোও দেখেছে কিনা মনে পড়ছে না ওর। আজই হয়তো প্রথমবারের মতো কালো শার্ট পড়লো রাদ। গৌরবর্ণ দেহে কালো যেন এক অনন্য রূপ পেলো। ক্লিন সেভ গালে একটা লাল গোটা দেখা গেলো। যা দেখে কপালটা কিঞ্চিৎ কুঁচকে গেলো ইলহামের। ওমনি পেছন মুড়ে শা/সন করা গলায় বলল,
—-” এতো এতো কাজের প্রেশার আর রাত জাগার ফল দেখুন কি হয়েছে। গোটা উঠে গেছে গালে। ওমা, কপালেও যে আছে দেখছি!”
ইলহামের কথার সূত্র ধরে ঘাড় কাত করে আয়নায় নিজেকে একবার দেখলো রাদ। আসলেই তো। আবার সোজা হয়ে দাঁড়ালো। বাধ্য ছেলের ন্যায় বলল,
—-” এগুলো আগের। এখন তো আমি ভালো হয়ে গেছি।”
—-” আচ্ছা? তাই নাকি! তা কি ভালো হয়েছেন শুনি?”
—-” এই যে জলদি জলদি বাড়ি ফিরি, কাজের প্রেশার একদম নেইনা। আর…”
—-” আর?”
—-” আর…”
ইলহাম ভ্রু নাচিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ মুখে তাকিয়ে আছে। রাদ আকস্মিক ইলহামের গালে একটা চুমু খেয়ে বলল,
—-” আর, বউ সোহাগি হয়ে গেছি।”
রাদের এমন কাজে লজ্জার বান যেন উপচে পড়লো ইলহামের উপর। স্ট্যাচু হয়ে গেলো জায়গাতেই। রাদ ওর অবস্থায় হেসে ফেললো। ইলহাম লজ্জায় কাদাকাদা। রাদের সামনে থেকে ফুড়ুৎ করে উড়াল দেওয়ার সমস্ত ফন্দি শেষ করে উড়াল দিতেই ক্ষপ করে তার হাতটা ধরো নেয় রাদ। ইলহামের কি হয়েছে জানেনা সে নিজেই। রাদ একটু কাছে এলেই এক অদ্ভুত অনুভূতি নেচে বেড়ায় সর্বাঙ্গে। বিদ্যুতায়ন ঘটে যেন।
—-” সত্যি বললাম কিন্তু!”
রাদ ইলহামকে একটানে নিয়ে এলো নিজের খুব কাছে। ইলহামের কোমড় জড়িয়ে একচোখ টিপে কথাটা বলে পরক্ষণেই। ইলহাম মাথা নীচু করে রইলো। যা দেখে রাদ ওর কোমড় পেঁচিয়ে একটু উঁচিয়ে ধরলো নিজের মুখোমুখি। ইলহাম বাধ্য হয় এবার রাদের দিকে তাকাতে। রাদ মোহিত নয়নে পায়চারি করছে ইলহামের ঠোঁটে, গালে, কপালে। কয়েক মুহুর্তে এভাবেই কেটে গেলে রাদই আবার বলে ওঠে,
—-” তুমি আমার স্নিগ্ধ রজনী, সুইটহার্ট। তুমি আমার সূর্যলোকের শীতল পরশ। তুমি আমার ক্লান্তির সমাপ্তি। তুমি আমার সুখ! তুমি আমার অবসর। তুমি আমার অভিলাষ, তুমি আমার স্পৃহা। তুমি আমার সব। সব সব সব। একদমই সব।”
রাদের মোহনীয় কন্ঠে কথা গুলো জাদুর মতো টেনে আনলো ইলহামকে। ইলহাম নিজের অজান্তেই রাদের অধর জুগল আঁকড়ে ধরলো। ঘটনার আকস্মিকতায় রাদ কয়েক লহমা স্তব্ধ থেকে সাড়া দিলো সঙ্গীনির ডাকে। একটু একটু করে খালি হতে শুরু করলো তাদের বিরহের ভরাট কলসি। একই সূত্রে একটু একটু করে ভরাট হতে শুরু করলো তাদের ভালোবাসার খালি কসলি। অতঃপর বাস্তবিকেই ইলহাম রাদের সূর্যলোকের শীতল পরশ হলো। অতঃপর ভোর হলো। অতঃপর সূর্য উঠলো।
#চলবে