প্রেম পিয়াসী পর্ব ১৭

0
545

#প্রেম_পিয়াসী ❤️
#লেখা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
#পর্ব_________১৭.

—-“সে কি গো, একটাও পছন্দ হচ্ছে না?”

ইলহাম মন খারাপ করে বলল। অনন্যা ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তাকালো ইলহামের পানে। তার চেয়েও আরও দিগুণ মন খারাপ নিয়ে বলল,

—-“ভাবি, চলো না বাসায় ফিরে যাই। আমার একদমই ভালো লাগছেনা কিছু। উল্টে, শরীর খারাপ লাগছে ভীষণ।”

কথাটা উড়ে এসে প্রণয়ের কানের পর্দা ভেদ করতে থমকে যায় সে। পাশ ফিরে তড়িঘড়ি তাকায় অনন্যার ক্লান্ত মুখপানে। কি হয়েছে ওর? হঠাৎ শরীর খারাপ লাগছে কেন?
____________________________________________

কাল অনন্যার মেহেন্দির অনুষ্ঠান করার কথা ভাবছেন সকলে। বিয়ের বাকি আছে দু’দিন। মেহেন্দি,হলুদ অতঃপর বিয়ে। রাজিয়া বেগমের একটাই মাত্র মেয়ে। তার বিয়েতে কোনো কমতি রাখবেন না তিনি। আর তাছাড়া, রাদকেও তো দেখাতে হবে, ওর কারীকারী টাকা পয়সা হলেও ও আগের মতোই আছে। অসহায় এবং গরীব। আর সে? আগেও বড়লোক ছিলো এখনও তাই-ই আছে।

রাদের করজোড় অনুরোধে আসতে বাধ্য হলো প্রণয়। নতুবা, অন্তুর একশটা অনুরোধকেও গায়ে মাখতো না সে। তাকে আসতে দেখে অনন্যা কয়েক মুহুর্ত ধ্যান জ্ঞান খুইয়ে একমনা হয়ে কেবল দেখে যাচ্ছিলো প্রণয়কে। তবে সেই সাধেও বাঁধা হলো তার বিয়ে। মানুষটাকে দু’মিনিট মন ভরে দেখার যে উপায় নেই।

বাড়ি ভর্তি মেহমানরা গমগম করছে। অনন্যা এসবের মাঝে সাফোকেশনে ভুগছে। অবশ্য সবার মুল কৌতুহলই হলো সে। যার দরুন দ’ম ফেলারও সুযোগ হয়ে উঠছে না। অতঃপর যখন একটু আলাদা হতে পারলো তখন যেন পালিয়ে এলো ছাঁদে। গোটা বাড়ি মরিচ বাতিতে সেজে উঠেছে। বিভিন্ন কালারের লাইটিং এ ঝলমল করছে এক প্রকার। যেই দেখছে তার মাঝেই এক অদ্ভুত আনন্দের ঢেউ খেলে যাচ্ছে। কিন্তু এ-সব কিছু থেকে অনন্যা পালাতে চাইছে। এই খুশিতে সে খুশি হতে পারছেনা একদমই। বরং উল্টে দ’মব/ন্ধ হয়ে ম’/রা/’র উপক্রম হচ্ছে। কি হতো? যদি তার বিয়েটা প্রণয়ের সাথেই হতো? হয়তো ভুল করেই সই! তাতে কি ধ্ব/স নামতো দুনিয়ায়? না তো; তবে কেন হলো না তার এই ছোট্ট স্বপ্ন পূরণ। কেন ঐ ঝলমল তাঁরাদের মতো তার আক্ষেপটা দূরেই অস্পষ্ট হয়ে থেকে গেলো? কেন? কার কাছে আছে এর উত্তর! কে দিবে তাকে জবাব?

—-“অনু?”

পেছন থেকে একটা অস্পষ্ট গলা পেলো অনন্যা। কিন্তু ফিরে তাকাতে ইচ্ছে হলো না একদম। আগন্তুক উৎসুক হয়ে আবারও বলল,

—-“ছাঁদে কি করছো তুমি? নীচে সবাই তোমাকে খুঁজছে তো!”

অনন্যা বুঝতে পারে এটা প্রণয়। একরাশ অভিমান বক্ষপিঞ্জরে ঝেকে বসতেই কান্নায় ভেঙে পড়লো ভেতরটা। আহাজারি করে কাঁদতে ইচ্ছে হলো! কেঁদে কেঁদে গোটা দুনিয়াকে জানাতে ইচ্ছে হলো, ঐ একটা মানুষকে আমার করে দাও!

—-“অনু?”

একটু জোরেশোরেই ডেকে উঠলো প্রণয়। ডাকার সঙ্গে সঙ্গে অনন্যার হাত ধরে নিজের দিকে ঘোরালো সে। অমনি একফালি চাঁদের আলোয় দৃশ্যমান হলো অনন্যার কান্না ভেজা অক্ষিপট। যা দেখতেই বিচলিত হয়ে পড়লো প্রণয়। অনন্যার হাত ছেড়ে এক পা এগিয়ে দুগালে হাত রাখলো। বিচলিত কন্ঠেই আওড়ালো,

—-“কাঁদছো কেন?”

অনন্যা অদ্ভুত এক দৃষ্টি মেলে তাকায় প্রণয়ের পানে। তাকিয়ে থেকেই আনমনে জবাব দেয়,

—-“নিয়তি কেন এতো নি/ষ্ঠু/র প্রণয় ভাই? এই একটা মানুষকেই তো চেয়েছিলাম। কেন পেলাম না?”

—-“ধুর পাগলি! ভালোবাসায় জয়লাভ করার চেয়ে ত্যাগে বেশি সুখ। তুমি এখনও অনেক ছোট। বড় হও। এসব কথা তখন বোঝাতে হবেনা।”

—-“তাহলে কি আমি নিজের জীবন উৎসর্গ করে আমার ভালোবাসাকে ত্যাগ করতে পারি প্রণয় ভাই?”

প্রণয়ের বুকটা ধরাক করে উঠলো। সহসা ভীত হয়ে নিজের অধিকার গুটিয়ে হাত জোড়া নামিয়ে নিলো অনন্যার গাল থেকে। মেয়েটা বারবার একই কথা কেন বলে? ও কি বুঝতে পারেনা এই কথায় তার কতোটা কষ্ট হয়?

—-“বলেন না প্রণয় ভাই? আমি কি নিজের জীবনটা উৎসর্গ করতে পারিনা?”

—-“না পারোনা।”

—-“কেন পারিনা?”

—-“পারোনা কারন, তোমার এই ছোট্ট জীবনটার সাথে কেবল তোমার একার নয়, আরও অনেক গুলো জীবন জড়িয়ে আছে, অনু। তার মধ্যে আমি একজন। যে তোমার এই টুকু ক/ষ্টও দেখতে পারেনা সচক্ষে। তোমার কিছু হলে আমি কি করে থাকবো? আমি কি করে বাঁচবো…”

—-“না, প্রণয় ভাই! আপনি জানেন না! আপনি জানেন না ঐ বাড়িতে আমি রোজ নিয়ম করে ঠিক কতবার ম’/র’/বো! রোজ! কিন্তু সে ম’/রা আপনারা কেউ দেখবেন না। বুঝবেন না!”

—-“স্বামীর ভালোবাসায় কেউ ম’/রে না, অনু!”

অনন্যা তাচ্ছিল্য করে হাসলো। সহসা উল্টো ঘুরে দূর আকাশে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। আনমনে বলল,

—-“উনি স্বামী নয়, প্রণয় ভাই। উনি একজন তথাকথিত ধ’/র্ষ’/ক! যিনি বিয়ের আগেই আমার সাথে..”

অনন্যা পুরো কথাটা শেষ করতে পারলো না। তার পূর্বেই হাতের ফোনটা বেজে উঠলো। অনন্যা থেমে গেলো। ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ফোনটা কানে তুলে পেছন মুড়ে তাকালো। ফোনটা কান থেকে নামিয়ে লাউডে দিলো কলটা। ওমনি ওপাশ থেকে ভেসে এলো আলভি অর্থাৎ অনন্যার হবু স্বামীর কন্ঠটি,

—-“সরি সরি জান। ওরা শুধু ডিস্টার্ব করে। সবগুলোকে একদম ঝেটিয়ে বিদায় করেছি। এবার একদম ফ্রী। তা কোথায় যেন ছিলাম আমরা? হ্যাঁ, তোমার, কোমরে! সত্যি বলতে কি জানো? তোমার পাতলা সুন্দর কোমর টা দেখলেই আমার হার্টবিট কেন যেন খুব ফাস্ট হয়ে যায়। আর তোমার বুব…”

আলভির কথাগুলো সম্পূর্ণ শোনা ধৈর্য্য কুলাল না প্রণয়ের। রা’/গে বিক্ষি’/প্ত হয়ে অনন্যার হাত থেকে ফোনটা কেঁড়ে নিয়ে ছুঁড়ে মা/র/লো দূরে। তৎক্ষনাৎ ফোনটা তৃ-খন্ডে বিভক্ত হলো। ফোন ভাঙার শব্দে কিছুটা কেঁপে উঠলো অনন্যা। অবাক হওয়ার চেষ্টা করে প্রণয়ের দিকে তাকালে তার মুখ দেখার আর সৌভাগ্য হলোনা। হনহন করে চলে গেলো সে। রা/গে মাথা অকেজো লাগছে প্রণয়ের। কি করে সহ্য করে এসব মেয়েটা?

_

রাদ ব্যস্ত ভঙ্গিতে রুমে ঢুকলো। ল্যাপটপে তুলে রাখা ডকুমেন্টস গুলো এখনি পাঠাতে হবে জুয়েল চৌধুরীকে। বিশাল ইন্ডাস্ট্রিসের মালিক তিনি। যার সাথেই আপাতত রাদের কোম্পানি বিষয়ক ডিল হচ্ছে। খুব শীঘ্রই একটা বড় প্রজেক্ট পেতে যাচ্ছে সে। মোটা অংকের টাকা। টাকার খেলা তো বরাবরই ছিলো। এবার যেন আকাশ ছুঁবে পালা।

ল্যাপটপটা ওপেন করে তড়িঘড়ি ফাইল ঘেঁটে ডকুমেন্টস গুলো ওপেন করলো। ডকুমেন্ট গুলো ভীষণ ইম্পরট্যান্ট। একটু হেরফের হলেই বিরাট সমস্যা এসে যাবে। তাই খুব ভেবে চিন্তে, ভালো করে পরখ করে দেখে নিলো পুরোটা। অতঃপর, আর দেরী না করে পাঠিয়ে দিলো জুয়েল চৌধুরীর মেইল বক্সে। ক্ষনকালেই বুকের উপর থেকে ভারী কোনো বস্তুর বিসর্জন হলো যেন। এবার সে নিশ্চিন্ত।

—-“আসবো?”

ল্যাপটপটা বন্ধ করলো রাদ। ঠিক তখনই দরজার পাশ থেকে ভেসে আসে অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির পরিচিত গলা। অর্থাৎ ইলহাম। রাদ ঘাড় কাত করে একবার আপাদমস্তক দেখে ইলহামকে। মেরুন রঙের একটা চুরিদার পড়ে আছে ইলহাম। লম্বা কেশ গুলো ঝুলছে হাঁটুর কাছে। অর্থাৎ বিনা বাঁধায় তারা স্বাধীনতা উপভোগ করছে। মাঝখান থেকে সিঁথি চলে গেছে। ডান পাশের চুলগুলোতে বরাবর দুটো ক্লিপ এঁটে আছে। কপালে একটা কালো টিপ। একহাত স্থান পেয়েছে দরজার কপাটে। অন্যহাত বাঁ পাশের চুলগুলোতে। যা বারবার ঠেসে দিচ্ছে কানের পাশে। ব্যস, এটুকুতেই তার মায়াবী মুখখানা অপরূপ লাগছে।

—-“সূর্য কোন দিক থেকে উঠলো বলুন তো?”

রাদ রসিয়ে রসিয়ে বলে উঠলো। ইলহাম দরজার কপাট থেকে হাত সরিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। ওড়নার পাড় ধরে আঙ্গুল পেঁচাতে পেঁচাতে খানিক বিরক্ত ভঙ্গিতে আওড়ালো,

—-“দরকার আছে বলেই এসেছি।”

রাদ ল্যাপটপ তুলে আলমারি তে রাখতে রাখতে হাসলো ইলহামের কথা শুনে। আলমারির দরজাটা ভালো করে লাগিয়ে দিয়ে অতঃপর এগিয়ে গেলো তার পানে। কিছু না বলে হাত ধরে ভেতরে নিয়ে এলো। ইলহাম বাধ্য মেয়ের মতো তার সাথে পায়ে পা ফেলে ভেতরে প্রবেশ করলো। রাদ তাকে বসিয়ে দিলো বিছানার উপর। অতঃপর, বরাবরের ন্যায় হাঁটু মুড়ে বসলো তার সামনে। ঠোঁটের কোনে এঁটে দিলো কোমল স্নিগ্ধ হাসি। কোমলত্ব স্বরে বলল,

—-“বলো, কি দরকার আছে?”

বলতে বলতে ইলহামের হাত দুটো হাতের ভাঁজে আগলে নিলো রাদ। ইলহাম অস্বস্তিতে কাঁদা কাঁদা হচ্ছে। সামান্য সন্দেহের বসে কিছু বলাটা বোধহয় ঠিক হবেনা। কিন্তু, ওদিকে যদি সত্যিই এমন কিছু ঘটে থাকে? কিংবা আজ না বললে যদি সত্যিই দেরী হয়ে যায়? তখন তো সে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেনা! হয়তো, তার মাধ্যমেই বাঁচবে তিনটি প্রাণ?

—-“কি ভাবছো, সুইটহার্ট! এই আবার কি চাচী বা আপুর শাশুড়ী তোমাকে কিছু বলেছে?(খানিক রেগে) ওদের তো আজ আমি…”

—-“ন..না না! আ্ আমায় কেউ কিছু বলেনি। আমি নিজেই বলতে এসেছি। মানে, আ্ আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই?”

রাদ রাগ চেপে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকালো ইলহামের পানে। বলল,

—-“হ্যাঁ, বলো? কি হয়েছে?”

—-“আসলে.. আব.. আসলে আমি নিজেও জানিনা ঠিক কি হয়েছে! তবে, আমার যেটুকু ঠিক বলে মনে হচ্ছে আমি আপনাকে শুধু সেটুকুই বলতে চাই।”

রাদের উদ্বেগ বাড়ে। কপালের মাঝে খানিক সরু রেখার ভাজ পড়তে থাকে। জানতে চায়,

—-“বলতে এসেছো? কি কথা?”

—-“হু, আ্ আচ্ছা, আপনার কি মনে হয় অনন্যা এই বিয়েতে খুশি?”

রাদ ফট করে কপাল কুঁচকে নেয়।

—-“খুশি বলতে?”

—-“ও কি নিজ থেকে এই বিয়েতে রাজি হয়েছে?”

—-“ অবভিয়াসলি! ও রাজি না থাকলে কি এই সম্মন্ধ এতোদূর আসতো? কাল ওর মেহেন্দি, পরশু হলুদ এবং তার পরের দিন বিয়ে।”

—-“না না! আপনি বুঝতে পারছেন না আমার কথা!”

ইলহাম অধৈর্য্য হয়ে ওঠে। কথাটা বলতেই রাদ তার হাত জোড়া আরেকটু শক্ত করে ধরে নিজের হাতের মুঠোয়। উদগ্রীব কন্ঠে শুধায়,

—-“কি হয়েছে সুইটহার্ট? আমাকে সবটা খুলে বলো?”

—-“আ্ আমার মনে হয় অনন্যা কাউকে ভালোবাসে। আর সেই মানুষটার থেকে হঠাৎ এমন বিচ্ছেদ ও কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেনা। আপনি ওকে ভালো করে দেখেছেন? ওর এই বিয়েতে ঠিক যতটা খুশি হওয়ার কথা তার এক ভাগও খুশি নেই ওর মাঝে। আমার মনে হয়…”

—-“হোয়াট!”

রাদ যেন চমকালো। অবাক হওয়া কন্ঠে মৃদুস্বরে চেঁচিয়ে বলল। ইলহাম অসহায় মুখ করে মাথা নাড়ে। রাদ অবোধ স্বরে শুধালো,

—-“ইজ ইট ট্রু?”

ইলহাম উপর নীচ করে তুমুল গতিতে মাথা নাড়ে। রাদ অস্থিরতা দমাতে না পেরে দাঁড়িয়ে যায়। দাঁড়ায় ইলহামও। রাদের উত্তরের আশায় এক অস্থিরতা দলা পাকাচ্ছে তার ভেতরেও। রাদ ভাবপ্রবণ কন্ঠে আওড়ালো হঠাৎ,

—-“তাহলে, ওর বিয়ে কেন অন্যকারোর সঙ্গে হচ্ছে? চাচী কি জানেনা?”

ইলহাম অস্থিরতা দমাতে না পেরে সেই প্রথম দিন ছাঁদের ঘটনা থেকে শুরু করে শপিং মলের ঘটনা সবটা উগরে দিলো। খানিক অস্বস্তি হচ্ছে বটে। তবে, যখনই অনন্যার স্নিগ্ধ মুখখানা চোখে ভাসে তখন আর ইলহাম চুপ থাকতে পারেনা।

—-“কিন্তু ছেলেটা কে?”

রাদ সবটা শুনে যখন ছেলে কে জানতে চাইলো। তখন ইলহাম যেন অদৃশ্য এক আত্মবিশ্বাস পেলো। নির্দ্বিধায় বলে উঠলো,

—-“প্রণয় ভাই!”

“প্রণয় ভাই” নামটা মস্তিষ্কে দুবার প্রতিধ্বনি হতে বড়সড় একটা হোঁচট খেলো রাদ। না চাইতেও চোখ মুখ বিস্ময়ে ভরে গেলো। চাপা উত্তেজনা নিয়ে বলে উঠলো,

—-“হোয়াট!! প্রণয়? আমার ফ্রেন্ড প্রণয়।”

ইলহাম পূর্বের ন্যায় আত্মবিশ্বাসের সহিত মাথা নাড়ে। অর্থাৎ, হ্যাঁ। রাদকে আর কিছুই বলতে হয়না। সে যা বোঝার বুঝে যায় সবটা।

____________________________________________

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here