#প্রেম_পিয়াসী ❤️
#লেখা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
#পর্ব___________১৫.
ইলহাম দৌড়ে বের হলো নিজের রুম থেকে। রাদ কোথায় গেলো? সিঁড়ি ধরে দ্রুত পায়ে ছুটে এলে আকস্মিক সামনে এসে দাঁড়ায় অন্তু। অন্তু সম্মুখে এসে দাঁড়াতে ইলহাম পায়ের বেগ কমাতে বাধ্য হয় এক প্রকার।
—-“কি ব্যাপার? এতো হন্যেহয়ে কোথায় ছুটছিলে? নিশ্চয়ই আমার কাছে?”
অন্তুর গা পো/ড়ানো কথায় রো/ষপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় ইলহাম। অন্তু গা জ্ব/লা/নো হাসি দেয়। যা দেখে রা/গটা আরও দিগুণ হয়ে ওঠে ইলহামের। কিন্তু এই মুহুর্তে ওর সাথে তর্কে গিয়ে সময় ন/ষ্ট করার মতো সময় নেই হাতে। তাকে রাদের কাছে যেতে হবে। কথাটা ভেবেও যেন আর সময় ন/ষ্ট করলো না। পূর্বের ন্যায় ফের ছুটলো। বাড়ির বাইরে এসে দেখলো রাদ তড়িঘড়ি গাড়ির দরজা খুলছে। হয়তো কোথাও যাচ্ছে। ইলহাম না দাঁড়িয়ে আবারও ছুটলো। বার কয়েক পিছু ডাকলো বটে। কিন্তু, তাকে আটকাতে পারলো না। রাদ গাড়ি ঘুরিয়ে চলল অজানা গন্তব্যে। ইলহাম নির্বাক, নিস্তব্ধ হয়ে কেবল তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো। এতো রা/গ? সামান্য কফি দিতে দেরী হওয়ায়!
—-“কি সমস্যা হ্যাঁ? তোমার সাহস দেখে তো আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি! তুমি আমায় ইগনোর করছো? এই অন্তুকে?”
আকস্মিক হাতে হেঁচকা টান অনুভব হওয়ায় চমকে উঠলো ইলহাম। হাতে টান খেয়ে অন্তুর সাথে লেপ্টে যেতে যেতে গেলো না! তার পূর্বেই নিজেকে সামলে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো অন্তুকে। অন্তুর কথার জবাব দিতে এক মুহুর্তও বিলম্ব না করে বলে উঠলো তৎক্ষণাৎ,
—-“তোমার মতো দশটা অন্তুকেও গোনায় ধরেনা এই ইলহাম! আসছে বড় নিজেকে “আমি” বলে প্রমান করতে!”
—-“ইলহাম!! তুমি কিন্তু আমায় অপমান করছো।”
—-“আচ্ছা, তাই নাকি? তা সেই বোধ টুকু কোনোদিন ছিলো তোমার?”
—-“ইলহাম!”(মৃদুস্বরে চেঁচিয়ে)
ইলহাম যেনো কোনো ভাবেই পাত্তা দিলো না অন্তুকে। যার দরুন বুকের ভেতরটা দাউদাউ করে জ্ব/লতে লাগলো অন্তুর। ক্ষেপা দৃষ্টিতে এমন ভাবে তাকালো যেন, চোখের অ/গ্নি/কু/ণ্ড দিয়ে জ্বা/লিয়ে ছা/রখার করে দিবে তাকে। ইলহাম অবশ্য এসব দেখেও দেখলোনা। তার মন খারাপ হয়ে গেলো রাদের এমন করে চলে যাওয়াতে। ভীষণ খারাপ লাগছে মনেমনে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, সে হঠাৎ রাদের প্রতি এতোটা দুর্বল হলো কবে থেকে? মনে হচ্ছে কত জনম জনম ধরে তারা একসাথে থেকে আসছে। কিন্তু সেসব কি আদৌও কখনোও সম্ভব? গত তিনমাস যাবত তারা চিনে একে অপরকে।
ইলহাম আর দাঁড়িয়ে রইলো না এখানে। অন্তুকে কোনো ধরনের পাত্তা না দিয়ে মন খারাপ করেই চলে গেলো নিজের ঘরে। অপেক্ষা করতে লাগলো,রাদের ফেরার।
রাদ ফিরলো ঠিক রাত আড়াইটা নাগাদ। সেটাও স্বাভাবিক ভাবে নয়। ম/দ খেয়ে একদম নাজেহাল অবস্থায়। তাকে সঙ্গে করে দিয়ে গেলো দুটো ছেলে। ইলহাম অসহায় মুখে দেখছিলো রাদকে। সামান্য রাগ নিয়ে বের হয়ে একি দশা করে ফিরলো?
রাদকে তার রুমে নিয়ে যেতে চাইলে ইলহাম বলে তার নিজের রুমেই রাখলো। মাঝরাতে বাড়ির একটা মশা-মাছিও জেগে নেই। তাই বাসার লোক রাদের এই সব কান্ড জানতো পারেনি ভেবে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো ইলহাম। কেউ ঘুনাক্ষরেও টের পেলে লজ্জায় মাথা কাটা যেতো রাদের মায়ের। মানুষটা কত ভালো, একদম নরম। কারোর সাথে কোনো দন্দ নেই,কোলাহল নেই। নিজেও যেমন শান্ত, তার পরিবেশটাও ওমনই শান্ত। আর কোথায় তার ছেলে এমন উগ্র মেজাজের। পাজি লোক! কখনও ভালো হবেনা।
রান্নাঘরে গিয়ে চুপিচুপি লেবুর জল নিয়ে এলো ইলহাম। এতো রাতে যদি কোনো ভাবে মাতলামো শুরু করে তবেই হলো!
—-“এখানে বসুন চুপটি করে। আমি একটা ভেজা তোয়ালে নিয়ে আসি।”
—-“সু-ই-ট হার্টটট!”
ইলহাম রাদকে বিছানায় বসালো। লেবুর জলটা ছোট্ট টি-টেবিলটার উপর রাখতে রাখতে বললো কথাটা। যখনই উঠতে যাবে তখনই এলোমেলো শব্দ জুড়লো রাদ। ইলহামের হাতটা টেনে ধরলো। ইলহাম যেতে নিয়েও দাঁড়িয়ে পড়লো। রাদের ঘেমে-নেয়ে একাকার মুখখানার পানে একবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। অতঃপর ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাসের ইতি টেনে বলল,
—-“বলুন, শুনছি।”
—-“ভা-লোবাসিইইইই!”
গাঢ় কন্ঠে আওড়ালো রাদ। ইলহামকের বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে শাসনি সুরে বলল,
—-“ভালোবাসেন না ছাই! তখন তো দিব্যি রা/গ দেখিয়ে, কফিটা ছুঁড়ে ফেলে হনহন করে বেরিয়ে গেলেন। আপনারা পুরুষ মানুষরা রা/গ দেখানো ছাড়া আর কি পারেন বলুন?”
রাদ ভুবন ভুলানো হাসে। ইলহামের হাতটা ধরে আরেকটু কাছে টেনে এলোমেলো শব্দে বলে,
—-“ নিঃ-স্বা-র্থ ভাবে ভালোবাসতে পারি! ভালোবেসে আঁ-ক-ড়ে ধ-র-তে পারি!”
—-“হয়েছে হয়েছে! ঢং আপনি খুব পারেন জানি আমি। এবার হাতটা ছেড়ে উপকৃত করুন আমায়। আমি ভেজা টাওয়ালটা এনে আপনার শরীর মুছিয়ে দেই।”
—-“আহহ্ ড্যা-ম! আ-ই নি-ড আ শাওয়ার!”
—-“রাত ক’টা বাজে জানেন? আসছে ‘আই নিড আ শাওয়ার'(ব্যঙ্গ করে)। চুপ করে বসুন এখানে। আমি ভেজা তোয়ালে নিয়ে আসছি।”
—-“তু-মি কো-থা-ও যাবেনা। আ-মা-র কা-ছে থা-ক-বে।”
ইলহাম সরু চোখে তাকালো। কোমরে হাত চেপের বকার সুরে বলল,
—-“নেশা করেছেন গলা ডুবিয়ে! তবুও দেখুন আমায় এক মুহুর্তের জন্য চোখের আড়াল করতে পারছেন না!”
—-“তো-মার চেয়ে বড় নে-শা আর হয় না-কি?”
টেনে টেনে কথাটা বলে মাতাল হাসলো রাদ। ইলহাম কপাল কুঁচকে তাকালো। প্রতিত্তোরে আর কিছুই বলল না। রাদের থেকে হাত ছাড়িয়ে আলমারির কাছে গিয়ে দাঁড়াল। একটা তোয়ালে দরকার। ভেতরে থাকবে কিনা জানা নেই। তবুও তল্লাশি করলো। মনের সংশয় ফললো যেন। ভেতরে তেমন কিছুই পেলো না। এখন এই রাতবিরেতে কাউকে ডেকেও তুলতে পারবেনা। তবে এখন উপায় কি? রাদের কথাটা মনে পড়লো হঠাৎ,’আই নিড আ শাওয়ার’। এখন একমাত্র পথ শাওয়ার নেওয়া। ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ছেড়ে ইলহাম হেঁটে গিয়ে দাঁড়াল রাদের সামনে। গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
—-“চলুন, শাওয়ার নিবেন।”
রাদ মাথা নীচু করে ঝিমোচ্ছিলো। ইলহামের কথায় মুখ উঁচিয়ে তাকালো। মাতাল হেসে মুখ খানা গোল করে ফ্লায়িং কিস দিয়ে বলল,
—-“উম্মাহ্, দ্যা-টস মা-ই গার্ল! আ-মি জা-ন-তা-ম তু-মি আ-মা-র কথা একদম ফে-ল-বে না।”
ইলহাম সরু চোখে তাকিয়েই ছিলো। মনে মনে বলল,
(আহা,কত কনফিডেন্স নিজের ওপর। সে তো কোনো তোয়ালে পেলাম না বলে, শাওয়ার নিতে বললাম। ডে/ভিল একটা)
রাদকে ধরে ধরে নিয়ে গেলো ওয়াশরুমের দিকে। ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে দরজাটা ভেজিয়ে রেখে বলল,
—-“কোনো অসুবিধা হলে তবেই ডাকবেন। আমি আপনার জামা-কাপড় নিয়ে আসি।”
এই বলে ইলহাম চলে গেলো রাদের রুমে। লাগেজ থেকে এখনও জামাকাপড় বের করেনি লাটসাহেব। অন্তুর মামা ঘুমোচ্ছেন নাক ডেকে। ভীষণ বিশ্রী শব্দ। সত্যিই তো, এমন বিদঘুটে অবস্থায় মানুষ কি করে ঘুমাবে? ইলহাম আর দাঁড়িয়ে থেকে সময় ন/ষ্ট করলো না। লাগেজ থেকে রাদের জামা-কাপড় বের করতে করতে এখখানা তোয়ালেও পেয়ে গেলো। তাই নিয়েই আবার ফিরে এলো নিজের রুমে। ওয়াশরুমের দরজার এপাশে দাঁড়িয়ে মৃদুস্বরে গলা উঁচিয়ে বলল,
—-“এগুলো নিয়ে রাখুন ভেতরে।”
এই বলে ভেজানো দরজা ঠেলে হাতটা ভেতরে বাড়িয়ে দিলো ইলহাম। কিন্তু ততক্ষণে রাদ তার প্রাণ ধরিয়া মারিলো টান। অর্থাৎ, ইলহাম হাত বাড়িয়ে দিতেই ভেতর থেকে রাদ তার হাত ধরে হেঁচকা টানে ভেতরে নিয়ে গেলো। এমনকি ঘটনা এতো দ্রুত ঘটে গেলো যে, ইলহামের হাতে ধরে রাখা জামা-কাপড় সব যে যেভাবে পারলো ছিটকে পড়লো।
রাদ ইলহামকে ভেতরে নিয়েই সোজা শাওয়ারের নীচে দাঁড় করিয়ে ঠেসে ধরলো দেওয়ালে। তার চোখমুখ একরকম র/ক্তমুখো হয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে, রা/গে এক্ষনি ব্লা/স্ট করবে রাদ। উপর থেকে বিরামহীন ঝর্ণায় ভিজেপুরে একাকার ইলহাম। তার চোখ, নাক, মুখ, ঠোঁট চুয়ে পানি পড়ছে। আকস্মিক ঘটনায় কয়েক লহমা নিস্তব্ধতায় কেটে গেলো। ইলহামের ধ্যান ভাঙলো তখন, যখন বিরামহীন ঝর্ণার নীচে নিঃশ্বাস নেওয়া ক/ষ্ট সাধ্য হয়ে উঠলো। রাদ হয়তো আন্দাজ করলো ইলহামের অবস্থা। তাই যতটা সম্ভব হলো এগিয়ে এলো ওর কাছে। মুখের উপর রাদের উষ্ণ নিঃশ্বাসের ভারী মেলা আঁচড়ে পড়তেই চোখ তুলে তাকালো ইলহাম। রাদ দেখতে হাজার নারীর স্বপ্নের পুরুষ এককথায়। এতো মোহনীয় রূপ কোনো পুরুষ নিয়ে জন্মাতে পারে জানা ছিলো না ইলহামের। তবে সেই রূপ ইলহাম কোনোদিন একবারের জন্যও দেখেনি দৃষ্টি মেলে। সব সময়ই কেবল দুরছাই করে এসেছে তাকে। তবে এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে ইলহাম চোখ ফেরাতে পারছেনা। চোখ আঁটকে গেছে তার ভুবন মোহিনি সুন্দর মুখশ্রীতে।
—-“আ-জ আমি তো-মা-য় কিছু বলতে চাই সুই-ট-হার্ট।”
রাদের নেশা এখনও কাটেনি। ইলহাম ভেবেছিলো, হয়তো কেটে গেছে। সন্ধ্যার কথাগুলো পূণরায় মনে পড়তে আবারও রে/গে গেছে সে। যার দরুন, তার চোখ মুখ এমন লাল মনে হচ্ছে। কিন্তু না.. এমন কিছুই নয়।
—-“আ..আপনি না সবসময় এমন বাড়াবাড়ি করেন! ছাড়ুন আমায়। দেখুন, কেমন করে ভিজে গেলাম! এই রাতবিরেতে ভেজাটা কি খুব সুস্বাস্থ্যকর হবে বলুন? মোটেই হবেনা। উল্টে জ্বর এসে পড়বে। আর তা কেবল আমার একার নয়। আপনারও।”
ইলহামের প্রতিটা কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলো রাদ। মুচকি হেসে ঠান্ডা বরফ হাত জোড়া হঠাৎ ঠেসে ধরলো ইলহামের গালে। ইলহাম কেঁপে উঠলো রাদের শীতল ছোঁয়ায়। ঠান্ডায় একপ্রকার জমে যাওয়ার দশা হয়েছে তার। এর মাঝে রাদের উদ্ভট কান্ড!
—-“শশ.. চুপ-টি করে শোনো আমা-য়! নয়-তো মু-খ বন্ধ করার টিপস এপ্লাই করবো!”
রাদ কি ইঙ্গিত করতে চাইলো, ঢের বুঝেছে ইলহাম। তাই সময় থাকতেই শুধরে গেলো। একদম কোনোরূপ কথা না বলে ইনোসেন্ট মেয়ের মতো চুপটি করে রইলো। রাদ ওর কান্ড দেখে ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলো। অতঃপর বলল,
—-“আজ থেকে একটা কথা মনে রাখবে, আমাদের সম্পর্কটা আর পাঁচটা সম্পর্কের মতো নয়। আমাদের সম্পর্কে কোনো অশালীন কিংবা অপবিত্রতার ছোঁয়া নেই। আমাদের সম্পর্কটা পবিত্র। আমাদের এই সুতোয় গাঁথা সম্পর্কটা অন্য সব সম্পর্ক থেকে একদম ভিন্ন। তাই এরপর থেকে যদি কেউ কখনও তোমায় আমাদের এই সম্পর্কের ব্যাপারে কোনরূপ কটুক্তি করে তবে তুমি তাকে এই কথাগুলোই জানিয়ে দিবে। কেমন?”
ইলহামের চোখ জোড়া ছানাবড়া। রাদের কথায় সে স্পষ্ট বুঝতে পারে তখন নীচে যা যা হয়েছিলো রাদ সবটাই জানে। কেবল জানেই না, সে নিজ চোখে দেখেও এসেছে।
—-“আ্ আমি কারোর কথায় কিছু মনে করিনি!”
—-“আমি করেছি! আমার এই এখানটায় (বক্ষপিঞ্জর নির্দেশ করে) লেগেছে। উনাদের প্রত্যেকটা কথা আমার এখানটায় বি/ধ্বং/স করেছে, সুইটহার্ট। ওরা জানেনা, আমি তোমায় ঠিক কতোখানি ভালোবাসি। ওরা বুঝবেনা। কিন্তু, তুমি তো বুঝবে! বুঝোতো তুমি? তাহলে, তুমি কেন চুপ থাকবে? আ-মি মেনে নিতে পারিনা কেউ যদি তোমায় এইটুকুও ক’টু’ক্তি করে! সেখানে ওরা তো…”
ইলহামের কথা পৃষ্ঠে তড়িঘড়ি বলে ওঠে রাদ। তার কন্ঠে চাপা আ/ক্রো/শ! হয়তো মুখে প্রকাশ করছেনা। নিজেকে শান্ত রেখে বলে যাচ্ছে কথাগুলো। অথচ ভেতরটায় কি “র ক্ত ক্ষ র ণ” তা বোঝার সাধ্য কারোর নেই। স্বয়ং ইলহামেরও নয়। বলতে বলতে থেমে গেলো রাদ। ইলহাম শীতে কেঁপে কেঁপে উঠছে বারবার। রাদ ব্যাপারটা লক্ষ্য করে শাওয়ারটা বন্ধ করে দিলো। শাওয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইলহাম বড় বড় দম ফেললো। একবার মুখ উঁচিয়ে রাদের পানে তাকালো। মনেমনে কিছু অগোছালো বাক্য জুড়তে চেষ্টা করছে সে। তবে, তাকে বার বার ব্যর্থ হতে হচ্ছে কন্ঠনালির কাছে। তাকে বারবার আঁটকে দিচ্ছে তার গলার স্বর। কথাগুলো কেমন দলা পাকিয়ে যাচ্ছে। শব্দ জুড়তে গেলে উল্টে ঘেঁটে ফেলছে সব।
#চলবে♥