#তোমাতে_আসক্ত_আমি
#ইরিন_নাজ
#পর্ব_২৮
চোখ জোড়া লাল বর্ণ ধারণ করেছে আবরারের। ওই র*ক্তি*ম চোখ জোড়া যেনো কাউকে ভ*স্ম করে দেয়ার ক্ষ*ম*তা রাখে। রা*গে শরীর কাঁ*প*ছে তার। নিজেকে নি*য়*ন্ত্রণ করে আবারও কাউকে কল করলো সে।
অন্যদিকে সারারাত ঘুম না আসলেও ভোরের দিকে চোখ লেগে এসেছিলো আরশির। যখন ঘুম ভা*ঙে তখন সাড়ে নয়টা বে*জে গেছে। ঘড়িতে সময় দেখে লা*ফ দিয়ে উঠে বসে আরশি। ফ্রেস হয়ে এসে রিফা কে কল দেয়ার জন্য ব্যাগ থেকে ফোন টা বের করে দেখে আবরারের অসংখ্য মেসেজ, কল। সময় দেখে অবাক হয় আরশি। কারণ সেই রাত থেকে এখন পর্যন্ত একাধারে কল, মেসেজ করেছে আবরার। কিন্তু তার ফোন সা*ই*লে*ন্ট করা ছিলো। আর ফোন টা ব্যাগে থাকার কারণে টে*র পায়নি সে। আবরারের এতো এতো কল, মেসেজ দেখে কপালে ভা*জ পড়লো আরশির। মনে মনে ভাবলো,
— লোকটা কি সারারাত না ঘুমিয়ে মেসেজ আর কল করেছে নাকি?
আরশির ভাবনার মাঝে আবার ও তার ফোনে আবরারের নাম্বার থেকে কল আসলো। নিজের চি*ন্তা ভাবনা ত্যা*গ করে ফোন রিসিভ করলো আরশি। কানের কাছে নিতেই শুনতে পেলো আবরারের রা*গা*ন্বিত কণ্ঠস্বর।
— বে*য়া*দ*ব মেয়ে কোথায় ছিলে তুমি? তোমার ফোন কোথায় ছিলো? এতক্ষনে ফোন রিসিভ করার সময় হলো? আমার ঘুম উ*ড়ি*য়ে দিয়ে নিজে দিব্যি আরামে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছ?
ভা*ব*লে*শহীন দেখালো আরশি কে। নির্লিপ্ত কণ্ঠে বললো,
— আমি আপনার বউ লাগি না। যে যখন ইচ্ছা তখন কল, মেসেজ করবেন। যাই হোক এতবার কল, মেসেজ দেয়ার কারণ কি? সেটা বলুন। অযথা সময় ন*ষ্ট করবেন না।
আরশির কথায় চো*য়া*ল শ*ক্ত হয়ে আসলো আবরারের। তবুও নিজের রা*গ সং*বরণ করে নিলো সে। শ*ক্ত কণ্ঠে বললো,
— দুই মিনিটের মধ্যে বাগানে আসবে। ইউ হ্যাভ অনলি টু মিনিটস। দুই মিনিটের মধ্যে যদি না আসো তবে সবার সামনে কোলে করে নিয়ে আসবো। কোনো সিন ক্রি*য়ে*ট করতে চাচ্ছি না বলে এতো সময় ধরে স*হ্য করছি। এবার ডিসিশন তোমার কি করবে।
আরশি কিছু ক*ড়া কথা শুনাতে যাচ্ছিলো কিন্তু তার পূর্বেই কল কে*টে দিলো আবরার। আরশি বি*র*ক্ত হলো। পা বাড়ালো বাগানের দিকে। অন্যদিকে আবরার বাঁ*কা হেসে বললো,
— তোমার সব ত্যা*ড়া কথার শা*স্তি তু*লে রাখলাম। সময় আসুক তারপর কিভাবে তোমার মুখ দিয়ে ত্যা*ড়া বের হয় তা দেখবো। এখন প্ল্যান নাম্বার দুই কাজে লাগাতে হবে। আমার আগেই বোঝা উচিত ছিলো তুমি সোজা কথার মেয়ে নও। যাক এখন যা হবে তোমার কারণেই হবে, আমার কোনো দো*ষ নেই।
—–
পাঁচ মিনিট যাবৎ বাগানে দাঁড়িয়ে আছে আরশি। বি*র*ক্তিতে চোখ মুখ কুঁ*চ*কে আছে তার। তাকে দুই মিনিটের মধ্যে আসতে বলে নিজেরই আসার খবর নেই আবরারের। আরশি ধীর পায়ে হাটাহাটি করছিলো। হুট করে তার মুখে কিছু একটা চে*পে ধরে কেউ। ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে আসে আরশির। জ্ঞা*ন হা*রি*য়ে কারোর দেহের উপর ঢ*লে পড়ে সে। লোক টা আরশি কে আলতো করে জড়িয়ে নেয়। কোলে তু*লে সকলের চোখ ফাঁ*কি দিয়ে নিজের গাড়িতে উঠে পড়ে। গাড়ি চলতে শুরু করে তার ঠিক করা গন্তব্যে।
—–
চোখে পানির ছি*টা পড়তেই ধীরে ধীরে জ্ঞা*ন ফিরতে শুরু করে আরশির। চোখ বন্ধ অবস্থাতেই শুনতে পায় পরিচিত কারোর কণ্ঠস্বর। কেউ তার গাল চা*প*ড়ে বলছে,
— এই বে*য়া*দ*ব মেয়ে জলদি ওঠো। আমাদের হাতে বেশি সময় নেই। কাম অন। ওয়েক আপ ফাস্ট।
ঘো*লা দৃষ্টি পরিষ্কার হতে থাকে আরশির। ধীরে ধীরে একেবারে স্পষ্ট দেখতে পায় সে। দ্রুত সোজা হয়ে বসে আশেপাশে তাকায়। এটা সেই বাংলো বাড়ি যেখানে আগেও তাকে কি*ড*ন্যা*প করিয়ে নিয়ে এসেছিলো আবরার। আরশির এসব ভাবনা চি*ন্তা*র মাঝে আবরার একটা কাগজ এনে আরশির সামনে রাখলো। গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
— ঝ*ট*ফ*ট এই পেপারে সাইন করে দাও।
আরশি কৌতূহল নিয়ে তাকালো আবরারের দিকে। প্রশ্ন করলো,
— এটা কিসের কাগজ? আর আমি কোনো পেপারে সাইন করবো না। এটা কে সরান। আর আপনার না কিছুক্ষন বাদে বিয়ে? আপনি আবার আমাকে কি*ড*ন্যা*প করে এনেছেন? why?
আরশির কথা থামতেই আবরার আরশির দিকে ঝুঁ*কে আসলো। স্লো ভয়েসে বললো,
— এতো কিছু বলার সময় নেই। জাস্ট এতটুকু জানো এটা তোমার আর আমার বিয়ের রেজিস্ট্রি পেপার। এখন ফাস্ট ফাস্ট এতে সাইন করো।
চ*ম*কে তাকালো আরশি। উ*ত্তে*জি*ত কণ্ঠে বললো,
— মাথা ঠিক আছে আপনার? এসব কি বলছেন? ফা*জ*লামি করছেন আমার সাথে? আপনার বিয়ে তাও আবার আমার সাথে?
বি*র*ক্ত হলো আবরার। বি*র*ক্ত কণ্ঠে বললো,
— একবার বললে কানে শোনো না? বললাম তো তোমার আমার বিয়ের রেজিস্ট্রি পেপার। এখনই, এই মুহূর্তে আমাদের আ*ই*ন মোতা*বেক বিয়ে হবে। সাইন করো পেপারে। আমাকে রা*গি*ও না।
আরশি আবরারের চোখে চোখ রেখে বললো,
— আমি সাইন করবো না। অসম্ভব।
আবরার চোখ বন্ধ করে লম্বা একটা শ্বাস নিলো। তারপর চোখ খুলে দাঁ*তে দাঁ*ত চে*পে বললো,
— আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম তোমার ঘাড়ের র*গ বাঁ*কা। সোজা কথায় তুমি মানবে না। ওকে তোমাকে কিভাবে মানাতে হয় তা আমার ভালো জানা আছে।
আবরার আরশির কাছ থেকে দূরে সরে কাউকে ফোন করলো। দুই মিনিটের মাথায় দুইজন গা*র্ড রুমে প্রবেশ করলো। তাদের দিকে তাকিয়ে চ*ম*কে উঠলো আরশি। কারণ তাদের সাথে তৃতীয় আরেকজন ব্যক্তি আছে। আর সেই মানুষ টা আর কেউ নয় বরং রিফা। আরশি অবাক চোখে একবার আবরার কে দেখছে তো একবার রিফা কে। রিফার মুখ টা কাঁ*দো কাঁ*দো হয়ে আছে। আরশি আর থাকতে না পেরে প্রশ্ন করলো,
— আমার বোন কে এখানে কেনো আনা হয়েছে?
বাঁ*কা হাসলো আবরার। পকেট থেকে একটা গা*ন বের করে কপালে ঘ*ষ*তে ঘ*ষ*তে বললো,
— তোমাকে রাজী করানোর বিকল্প পদ্ধতি। আগেই বুঝেছিলাম তুমি সোজা কথায় মানবে না। তবুও একটু চেষ্টা করে দেখলাম কিন্তু সেটা সময় ন*ষ্ট ছাড়া আর কিছু ছিলো না। যাই হোক এখন যা হবে তার জন্য তুমি দা*য়ী। আমি কিন্তু একেবারে নি*ষ্পা*প বুঝলে? আমার কোনো দো*ষ নেই।
কথাগুলো বলতে বলতে রিফার কাছে চলে গেলো আবরার। হুট করে রিফার মাথায় গা*ন তা*ক করলো। চোখ বড় বড় করে তাকালো আরশি। উঠে আসতে চাইলে থামিয়ে দিলো আবরার। বললো,
— চেয়ার থেকে উঠার সা*হ*স করবে না। অনেক সময় ন*ষ্ট করে ফেলেছো। এখন তোমার কাছে মাত্র এক মিনিট সময় আছে। এক মিনিটের মধ্যে ওই পেপারের উপর তোমার সাইন দেখতে চাই। নাহলে তোমার বোন কে….
থেমে গেলো আবরার। রিফা কাঁ*দো কাঁ*দো কণ্ঠে বললো,
— আপুমনি রে আমাকে মে*রে ফেললো। আমাকে বাঁচাও। আমি এতো জলদি ম*র*তে চাই না।
আবরার চোখ দিয়ে ইশারা করলো আরশি কে সাইন করতে। রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করে থ*ম মে*রে বসে রইলো আরশি। চোখ, মুখ শ*ক্ত করে বসে আছে সে। এই মুহূর্তে তার মনে কি চলছে বুঝা যাচ্ছে না। আবরার ধীর পায়ে আরশির কাছে এসে দাঁড়ালো। আরশি কে শ*ক্ত হয়ে বসে থাকতে দেখে ফোঁ*স করে একটা শ্বাস ছাড়লো। আরশির হাত শ*ক্ত করে নিজের মু*ঠো*য় পুরে টে*নে দাঁড় করালো। বাঁ*ধা দিলো না আরশি। আবরার আরশির হাত ধরে সামনের দিকে এগোতে লাগলো। এতেও কোনো প্র*তি*ক্রি*য়া দেখালো না আরশি। যেনো কোনো পুতুল সে। তবে বাইরে যাওয়ার আগে রুমে অবস্থানরত রিফার দিকে একবার তাকালো। রিফার ঠোঁটে হাসি দেখে মনে মনে অবাক হলো সে। অবাকতার মাত্রা আরও বাড়লো যখন বাইরে গাড়ির কাছে আসতেই আব্বাস আহমেদের দেখা পেলো। উনার ঠোঁটেও লম্বা চ*ও*ড়া হাসি ঝু*ল*ছে। উনি আবরারের পিঠে চা*প*র মে*রে বললেন,
— জলদি গাড়িতে ওঠো। আমার মিসেস বন্যা আমাদের সবাই কে আবার বন্যায় না ভা*সি*য়ে দেয়? যেভাবে একের পর এক কল দিয়ে যাচ্ছে। আমার তো রিসিভ করতেও কাঁ*পা*কাঁ*পি অবস্থা।
কথাগুলো বলে শব্দ করে হাসলেন আব্বাস আহমেদ। আবরার ও বাবার সাথে তা*ল মিলালো। উনি আবার তাড়া দিয়ে বললেন,
— হাসাহাসি পড়ে হবে। আগে বাড়িতে পৌঁছাতে হবে। বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হতে আর বেশি সময় নেই। আমার ছেলে মেয়ের বিয়ে আমি কিছুতেই মিস করতে চাই না। আগে গিয়ে সব মি*ট*মা*ট করতে হবে। তারপর আহি রাদিফের সাথে তোমাদের ও ধর্ম মোতা*বেক বিয়ে দিতে হবে।
আবরার মৃদু হেসে সম্মতি জানালো। গাড়ির ডোর খুলে আরশি কে বসতে বললো। আরশি বিনা বাক্যে উঠে বসলো গাড়িতে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলো।
——
আবরারের রুমে দাঁড়িয়ে আছে পরিবারের সব সদস্য। আরশির বন্ধুরাও উপস্থিত। আহি চোখ বড় বড় করে নিজের ভাই কে দেখছে আর মনে মনে নাচ দিচ্ছে এই খুশিতে যে তার ভাই বিয়ে ভা*ঙা*র কথা বলতে এখানে সবাই কে ডেকেছে। বউ সাজে দাঁড়িয়ে আছে ইশাও। মিসেস বন্যা নীরবতা ভে*ঙে বললেন,
— কি স*ম*স্যা আবরার? যেকোনো সময় রাদিফ আর ওর পরিবারের লোকেরা চলে আসবে। তবুও তুমি এমন একটা মুহূর্তে আমাদের সবাই কে এভাবে ডেকে নিয়ে আসলে? আর তোমারও যে আজ বিয়ে তা কি তুমি জানো না? বিয়ের জন্য রেডি না হয়ে কোথায় গিয়েছিলে?
আবরার একটা শ্বাস ফেলে মায়ের চোখে চোখ রেখে বললো,
— বিয়েই তো করতে গিয়েছিলাম মা…
সবাই চোখ বড় বড় করে তাকালো আবরারের দিকে। মিসেস বন্যা বলে উঠলেন,
— মানে?
আবরার আরশির হাত শ*ক্ত করে নিজের মু*ঠো*য় পুরে নিয়ে শান্ত কণ্ঠে বললো,
— আমি আরশি কে বিয়ে করেছি।
আবরারের এই ছোট কথায় যেনো বা*জ পড়লো সবার মাথায়। আরশির ফ্রেন্ডদের চোখ যেনো খুলে পড়ে যাবে এমন অবস্থা। মিসেস বন্যা কে এবার চি*ন্তি*ত দেখালো। উনি অ*স্থি*র কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন,
— এসব তুমি কি বলছো আবরার? আর কিছু সময় পর ইশার সাথে তোমার বিয়ে আর তুমি এসব বলছো? তুমি কি বিয়ে ভা*ঙা*র জন্য মি*থ্যা বলছো আবরার?
আবরার নির্লিপ্ত কণ্ঠে বললো,
— আমি মি*থ্যা বলছি না মা। আমি গতকাল ই তোমাকে বলেছিলাম আমি একজন কে ভালোবাসি। কিন্তু তুমি আমার কথা বিশ্বাস করো নি। তাই তো আমাকে এমন একটা পদক্ষেপ নিতে হলো।
মিসেস বন্যা গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
— তুমি এই মেয়ে কে বিয়ে করেছো তার প্রমান কি?
বাঁ*কা হাসলো আবরার। যেনো সে জানতো এমন কিছু ঘটবে। হাতে থাকা রেজিস্ট্রি পেপার এগিয়ে দিলো মায়ের দিকে। মিসেস বন্যা পেপার টা নিয়ে তাতে চোখ বু*লা*লেন। ইরফান চৌধুরী এগিয়ে এসে বোনের হাত থেকে পেপার টা নিয়ে দেখলেন। হ*ত*ভ*ম্ব হয়ে গেলেন উনি। অ*স*হায় চোখে ইশার দিকে তাকালেন। বাবাকে তাকাতে দেখে নে*কা কা*ন্না জুড়ে দিলো ইশা। কাঁ*দ*তে কাঁ*দ*তে বললো,
— আমি বিশ্বাস করি না এসব। আবরার তুমি আমার সাথে এমন টা করতে পারো না। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি এভাবে আমাকে ক*ষ্ট দিতে পারো না।
কথাগুলো বলতে বলতে ইশা এগিয়ে এসে আবরার কে জড়িয়ে ধরতে চাইলো। অমনি সামনে চলে আসলো আরশি। ম*স্ত বড় একটা হাসি দিয়ে ইশা কে জড়িয়ে ধরে বললো,
— আপু আপনার যতো ইচ্ছা আমাকে জড়িয়ে ধরুন। পরপুরুষ কে জড়িয়ে ধরতে নেই জানেন না? আর আপনি মানেন আর না মানেন, বিশ্বাস করেন আর না করেন উনার সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এটাই সত্য। উনার ভাগ্যে আপনি ছিলেন না, আমি ছিলাম আমি।
রা*গে শরীর জ্ব*লে উঠলো ইশার। এক ধা*ক্কা*য় আরশি কে সরিয়ে দিলো। রা*গে গ*জ*গ*জ করতে করতে বললো,
— এখন কি তুমি আমাকে শিখাবে আমি কি করবো আর কি করবো না? কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক না?
আরশি হাই তু*লে বললো,
— আপনি যা ইচ্ছা তা করেন শুধু আমার জামাই কে ছুঁবেন না। তাহলেই চলবে। আর যদি ছুঁতে আসেন তবে শুধু শিখাবো না, হাত টা ভে*ঙে গলায় ঝু*লি*য়ে দিবো। বুঝতে পেরেছেন?
আরশির জবাব শুনে সবাই হা করে তাকিয়ে আছে আরশির দিকে। মিসেস বন্যা গম্ভীর চোখে একবার আরশি কে পর্যবেক্ষণ করলেন। অন্যদিকে আবরার একটা ঢো*ক গি*লে মনে মনে ভাবলো,
— কি সাং*ঘা*তি*ক রে বাবা! একটু আগে আমাকে বিয়েই করতে চাচ্ছিলো না। আর এখন জামাই জামাই করছে আবার আরেকজন কে থ্রে*ট ও দিচ্ছে। এই মেয়ে কে বো*ঝা বড়ই ক*ঠি*ন। এই ঝাঁ*ল ম*রি*চ কে আমি কিভাবে সামলাবো? ওর মনে কখন কি চলে তাই তো বুঝি না।
বুক ফু*লি*য়ে একটা শ্বাস নিলো আবরার। মনে মনে ভাবের সাথে বললো,
— আমিও এমপি আজওয়াদ আবরার। তোমাকে ঠিকই লাইনে নিয়ে আসবো। তোমার ত্যা*ড়া, বাঁ*কা কথা বলা ছু*টি*য়ে দিবো। তবে নিজের বরের জন্য এতটুকু পো*সে*সি*ভ তুমি হতেই পারো মিস অদ্ভুত চোখওয়ালি। ওহ সরি মিস না এখন তো মিসেস। মাই ডিয়ার মিসেস অদ্ভুত চোখওয়ালি।
চলবে?
(আস্সালামুআলাইকুম। কেমন লেগেছে আজকের পর্ব জানাবেন অবশ্যই আর ভু*ল-ত্রু*টি ক্ষ’মা’র দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।)