#তোমার_আসক্তিতে_আমি_আসক্ত
#নুশা_আহমেদ
#পর্ব_৫
নিস্তব্ধ রুম কোনো শব্দ নেই সায়ান একমনে তাকিয়ে আছে নুশার দিকে তার উত্তরের আশায় আর নুশা নিচের দিকে ঝুঁকে আছে। কি বলবে সে, সায়ান যে মাফিয়া এটা তো সে নিজের চোখে বাস্তবে দেখেনি শুনেছে সেই সাথে কয়েকটা প্রমান হিসেবে ছবি দেখছে তাও আবার মোবাইলে । নুশা তো সায়ান কে বলতে পারবে যে ছবি দেখেছে আর শুনেছে কিন্তু এখন সায়ান কে প্রমান দিবে কিভাবে?
নুশাকে চুপ থাকতে দেখে সায়ান এবার কিছুটা রেগেই বললো,
-চুপ করে আছো কেন এখন ? বলো কি প্রমান আছে আমি যে মাফিয়া ।
নুশা এবার সায়ানের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,
-প্রমান কি আমি সাথে নিয়ে ঘুরাঘুরি করি নাকি যে যখন ইচ্ছে হবে তখনই দেখাতে পারবো।
-নুশা তুমি কিন্তু আমার সাথে রুড বিহেভিয়ার করছো?
সায়ানের প্রশ্নের পাল্টা জবাব নুশা এবার দিলো না চুপ করে রইল তাতে যেনো সায়ানের রাগের পরিমাণটাও বেড়ে গেলো,
-বোবা হয়ে গেলে নাকি চুপ করে আছো যে?
-……।
-আচ্ছা তুমি এমন কেনো এমন ব্যবহার শুরু করছো কেনো ?
-তাহলে আমি কি করবো আমি নিজের চোখে দেখছি আপনি খারাপ কাজের খারাপ মানুষের সাথে জড়িত।
-তাই নাকি! তা কোথায় দেখছো আমাকে, আমি খারাপ কাজের খারাপ মানুষের সাথে জড়িত বলো আমাকে, একটু একটু কথা বলো কেনো? বললে পুরোটা বলবা আর না বললে চুপ থাকবা। একটু বলে মেজাজটাই খারাপ করে দেও।
-আমার বান্ধবীর ফোনে দেখছি আমি আপনার হাতে বন্ধুক ছিলো আর আপনি খারাপ মানুষদের সাথে ছিলেন।
নুশার কথায় সায়ান কিছুক্ষণ নুশার মুখের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে হাসবে নাকি কাদবে বুঝতে পারছে না। কি বলে এসব নুশা, নুশা কি দিনে দিনে ছোট হয়ে যাচ্ছে নাকি জ্ঞান লোপ পাচ্ছে যে সামান্য একটা ছবি যেখানে সে হাতে বন্ধুক নিয়ে খারাপ মানুষের সাথে দাঁড়িয়ে আছে এতেই সে মাফিয়া হয়ে গেলো ।
নুশার কথায় এবার হাসতে হাসতে বললো,
-অহ রিয়েলি, তাই নাকি ! তা শুধু কি এটাই প্রমান যে আমি মাফিয়া নাকি আরো বড় কেনো প্রমান আছে.?
সায়ানের হঠাৎ করে হাসার কারন খুঁজে পেলো না নুশা। সে কি জোক্স বলেছে নাকি যে এভাবে হাসছে । তাই সায়ানের দিকে তাকিয়ে বললো,
-এখানে হাসার কি আছে,,! তুমি এমন হাসতেছো কেন আমি কি কোনো মজার কাহিনি বলেছি নাকি..?
সায়ান এবারও হাসতে হাসতে জবাব দিলো…
-হাসবো না তো কি করবো কাদবো, তোমার কথা শুনলে আমি কেনো যারা বহুকাল ধরে হাসে না তারাও হাসবো। তোমার কি সুন্দর যুক্তি আমি তো অবাক হাতে সামান্য বন্ধক থাকায় আমি একেবারে মাফিয়া হয়ে গেলাম । তোমার যুক্তিতে তো আমি যদি এখন ছোট বাবুদের সাথে হাতে একটা ফিটার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি তাহলে আমি ছোট বাবু হয়ে যাবো তাই না।
-আপনি এভাবে বলছেন কেন,,
আর কিছু বলার আগে নুশার কথার মাঝেই বলে উঠলো,
-তাহলে আর কিভাবে কথা বলবো তুমি যেই যুক্তি দেখাইছো আমি তো কি করবো হাসবো না কাদবো বুঝতে পারছি না। (কপালের চুল গুলোর নিচে হাত দিয়ে ধরে চুল গুলো হালকা টেনে বললো,
-সামান্য ছোট একটা কারনে আমি একটা বছর ধরে তোমার মুখে এই মাফিয়া ডাকটা শুনতেছি। এই কারনটার জন্য যে তুমি আমাকে বিয়ে না করে মাফিয়া বলে চলে আসছো সবাই তো হার্টঅ্যাটাক করবে এটা শুনলে।
সায়ানের এসব কথায় নুশার কেনো জানি খুব রাগ হচ্ছে নিজের উপরই নাকি সায়নের উপর বুঝতে পারছে না । তাই মুখটা অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,
-কি এমন বললাম যে আমার কথা শুনে হার্টঅ্যাটাক করবে।
সায়ান এবার নুশার কিছুটা কাছে এসে বসলো আর নুশার দিকে সিরিয়াসলি মুডে তাকিয়ে বললো,
-নুশা বিয়েটা না করে পালিয়ে এলে কেনো? শুধু কি এই মাফিয়ার জন্য ।
-নাহ
-তাহলে ?
-আপনি আগে বলেন আপু যে রিলেশনে আছে এটা জানার পরও আপনি বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন কেনো..?
-সেটা অনেক কাহিনি বাড়িতে গিয়ে নিশির কাছ থেকে যেনে নিও এখন বলো বিয়ে না করে চলে আসছো কেনো..?
-এমনি।
-এমনি মানে , কারন ছাড়া কি বিয়ে না করে পালিয়ে আসবা । আচ্ছা সত্যি করে বলোতো শুধু কয়েকটা ছবি দেখে আমাকে মাফিয়া কেনো বললে..?
-শুধু ছবি দেখি নাই, আমার কয়েকটা বান্ধবী বলছেও । মুখটা এবার সায়ানের দিকে ফিরিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,
-আমি তো প্রমান দিলাম এবার আপনি প্রমান দেন আপনি যে মাফিয়া না।
সায়ান নুশার কথা শুনে মুখটা গুমরা করে বললো,
-গুন্ডা না, মাস্তান না একেবারে মাফিয়া তা তোমার কোন বান্ধবী বলছে এটা নাম কি তার, আর আমাকেই চিনে কেমনে..?
-দেখেন ভাইয়া এতো কিছু জানতে চাইবেন না আমি বলবো না। আর একটা কথা আপনি আর আমার মধ্যে আসবেন না।
-কেনো তোমার মধ্যে আসলে কি করবে।
-কি করবো কিছুই করবো না, আর হ্যাঁ আরেকটা কথা আপু কে বিয়ে করেন নাই ভালো হইছে আপু তানবির ভাইয়া কে ভালোবাসে বিয়ে করলেও সুখি হতেন না। এখন আমাকেও বাড়িতে গিয়ে রিজেক্ট করে দিবেন , বলবেন আমি একবার পালিয়েছি পরে আবারও পালাতে পারবো তাই আপনি আমাকে বিয়ে করবেন না।
নুশার কথা শুনে সায়ন বিছানা থেকে নেমে বাহিরের দিকে পা দিয়ে এগুচ্ছে আর বলছে,,?
-আমি চেয়েছি বলে তুমি এতোটুকু পালাতে পারছো আমি তো তোমায় সেই হাসনাবাদ ব্রিজেই ধরে ফেলেছি।
-মানে,,,?
অনেকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো নুশা। কিন্তু নুশার কথা কে পাত্তা না দিয়ে বললো,
-রেডি হও অনেক নাটক হয়েছে বাড়িতে যেতে হবে । বলে রুম থেকে বের হয় গেলো।
নুশা ভাবতে লাগলো,সায়ন ভাইয়া কি বলে গেলো আমাকে ধরে ফেলেছে সেই ব্রিজেই মানে কখন আমি তো দেখিনাই আর ধরে ফেললে আসে নাই কেন আটকাতে, নাকি মিথ্যা কথা বলছে । নুশার ভাবার মাঝেই সায়ন আবার রুমে ডুকে বললো,
– এই যেভাবনা কুমারী আপনার ভাবনা এখন কিছু জমিয়ে রাখেন বাড়িতে গিয়ে ভাববেন এখন আপাতত রেডি হন বাড়িতে যেতে হবে, বাসের টিকেট কেটে ফেলেছি সময় নাই বেশি । বলে আর এক মূহুর্তের জন্যও দেরি করলো না আবার রুম থেকে বের হয়ে গেলো । নুশা আর কি রেডি হবে বোরকা তো শরীরে আছেই সায়ান কি সেটা চোখে দেখে না। পাঁচ মিনিট পর আবার রুমে এসে নুশা কে আগের মতোই বসে থাকতে দেখে বললো,
-কি বলি গায়ে লাগে না তোমার রেডি হচ্ছো না কেন এখানে থাকার প্লেন আছে নাকি ?
নুশাও রাগী কন্ঠে বললো,
-চোখে কি কম দেখেন , তিন বার এসে বলে যাচ্ছেন রেডি হতে রেডি হতে আমি তো রেডিই আছি দেখেন না চোখে।
সায়ান এবার ভালো করে তাকিয়ে দেখে যে নুশা সত্যি সত্যিই বোরকা পরা আছে। আসলে সায়ন এতোক্ষণ নুশার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেও সে কি পড়েছে তা দেখে নাই তাইতো সে রেডি হতে বলছে।
-রেডি আছো ভালো কথা বের হচ্ছো না কেন কুচো মুরগির মতো চিপায় বসে আছো।
-শীত করছে..!
-এই দুই দিন শীত করে নাই, যে দুই দিন বাহিরে বাহিরে ঘুরেছিলে তাও আবার রাতের বেলা। আর এখন তো দিনের দশটা বাজে এখন শীত করছে।
-শীতের কি কোনো টাইম আছে নাকি ।
-হইছে বের হোন ।
সায়ানের কথা শুনে বিছানা থেকে নামতে নামতে বললো,
-আমাে মোবাইল কই?
সায়ান কোনো কথা না বলে দরজা দিয়ে বাহিরে বের হয় গেলো সাথে সাথে নুশাও। নুশা বাহিরে গিয়ে দেখে একটা ছেলে আর একটা মহিলার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে মহিলা নুশার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ মুচকি হাসি দিয়ে এগিয়ে এসে নুশার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো,
-সুখি হও মা এমন স্বামী সবার ভাগ্যে জোটে না । কপাল ভালো তোমাদের দুইজনেরই তাই তো দুইজন দুইজনকে পেয়েছো। আর শুনো স্বামীর সাথে এমন ছোট খাটো বিষয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেওনা এতে মানুষ মন্দ বলবে। বলে আবার মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
উনার এসব কথা তো মাথার উপর দিয়ে গেলো মনে হয় কি বললো সায়ান ভাইয়া আমার স্বামী আর আমি তার সাথে ছোট খাটো বিষয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছি মানে কি এসবের উনি হয়তো আমাদের দুজনকে দেখে মনে করছে আমরা বিবাহিত স্বামী স্ত্রী না- না উনার ভুল ভাঙ্গতে হবে বলে যেই কিছু বলবো তার আগেই সায়ান আমার হাত ধরে বললো,
-চলো চলো নুশা লেট হয়ে যাচ্ছে বলে টানতে লাগলো আর মহিলাটার দিকে তাকিয়ে বললো,,
-আসি তাহলে আনটি ভালো থাকবেন, আর যাবেন কিন্তু ।
-হুম একেবারে বিয়ের দিন যাবো দাওয়াত না দিলেও ।
-আচ্ছা দেখা যাবে তার পর সামনে দাঁড়ানো ছেলেটার দিকে তাকিয়ে এক হাত ঐছেলেটার কাদে রেখে বললো,
– আসি তাহলে, আনটিকে সাথে নিয়ে কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহ আগে চলে আসবি । সায়নের কথায় ছেলেটা হাসি দিয়ে বললো,
-রাগটা কন্ট্রোল করতে শিখ তা না হলে ভাবির পরে কষ্ট হবে তকে সামলাতে।
সায়ন আর কিছু না বলে নুশার হাত ধরে বেরিয়ে এলো বাসা থেকে। রাহাত তার ভার্সিটির এক বন্ধু খুব ভালো বন্ধুই সায়ান তার লক্ষে যেতে পারলেও রাহাতের বাবা হঠাৎ করে মারা যাওয়ার কারনে লক্ষে যেতে পারে নাই রাহাত মা নিয়ে একাই থাকে এই সিলেট শহরে৷। এখানেই ছোট একটা ফার্মিসিতে কাজ করে।
এতোক্ষন কি হলো কিছুই যেনো বুঝতে পারছে না নুশা, কি বলছে তারা একবার বলছে,নুশা আর সায়ান স্বামী স্ত্রী, রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছি আবার বলছে বিয়ে তে দাওয়াত না দিলেও আসবে। মানে কি এসবের এরা কি পাগল নাকি অন্য কিছু স্বামী স্ত্রী হলে আবার বিয়ে করে নাকি আর সায়ানও কেমন আবার বলে দাওয়াত দিলে তাদের যেতে।
নুশার এমন চুপচাপ করে থাকাতে সায়ান বুঝতেই পারছে ভাবনা কুমারী ভাবছে যে রাহাতের মা কি বলছে এসব। আসলে সায়ান নুশার সাথেই সিলেট শহরে আসে। এখানে আসার আগেই রাহাত কে ইনফ্রম করে দিয়েছে যে তাদের স্টেশন থেকে রিসিভ করতে। সায়ানের কথা মতো রাহাত একটা গাড়ি বাড়া করে বাস স্টেনে এসে নুশা আর সায়ানের জন্য অপেক্ষা করে কখন তারা আসবে। আর এদিকে নুশাকে বাসে অজ্ঞান করার পর বাস স্টেনে নেমে রাহাত কে খুঁজে রাহাতের সাথে গাড়িতে উঠে পরে । সায়ানের সাথে মেয়ে কে দেখে অনেকটাই অবাক হয় রাহাত কারন সায়ানের সাথে যে কোনো মেয়ে আসবে সেটা সায়ান আগে তাকে বলে নাই তাই রাহাত সায়ান কে প্রশ্ন করে,
-মেয়েটা কে এভাবে অচেতন অবস্থায় আছে কেনো, তুই কি মেয়ে টাকে তুলে নিয়ে আইছোস নাকি।
-না মেয়ে টা আমার কাজিন সাথে হবু বউ তোর হবু ভাবি।
-মানে এটাই সেই মেয়ে যার জন্য তুই ভার্সিটিতে সবাই কে রিজেক্ট করতি।
-হুম বলে সায়ান নুশাকে আরো নিজের সাথে মিশিয়ে ধরে রেখেছে।
-সত্যিই দোস্ত তোর চয়েস আছে বলতে হবে।
-এই একদম আমার বউয়ের দিকে নজর দিবি না তোর নজর ভালো না ভার্সিটিতে যতো গুলো সুন্দরী মেয়ে আছে সব গুলো মেয়েকে তুই নজর দিছত কিন্তু কাজের কাজ একটাও হলো না লামিয়া ছাড়া একজনও তোর প্রপোজালে রাজি হয়নি।
-হইছে ভাই আর সরম দিতে হবে না। আমি জানি আমি তোর মতো সুন্দর না ।
কথা বলতে বলতে রাহাতের বাসার গেটের কাছে গাড়ি এসে থামলো আর রাহাত সায়ান কে বললো নামতে। সায়ানও নুশাকে কুলে নিয়ে গাড়ি থেকে বের হলো এখনো রাত রাস্তা নিরব কোনো জনমানব নাই চারটা বাজে তখন । নুশাকে কোলে নিয়ে গাড়ি থেকে বের হলে টাকা দিয়ে দেয় ড্রাইভারকে আর ড্রাইভার চলে যায় । সায়ান সামনে হাটতে লাগলে পিছন থেকে রাহাত বলে উঠলো,
-এক মিনিট দাঁড়া ।
-কেনো কি হইছে,
-তুই যে ভাবি কে এভাবে নিয়ে যাচ্ছিস আম্মু কে কি বলবি জিজ্ঞেস করলে।
-কি বলবো মানে যা লাগে তাই বলবো।
-কি বলবি কাজিন লাগে।
-হুম।
-একদম না বলবি কাবিন নামা হয়ে গেছে আর ভাবি রাগ করে সামন্য ঝগড়ার কারনে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে । আর বলবি কয়েকদিন পর বড় করে অনুষ্ঠান করবি , বুঝছত।
-হুম বুঝছি ।
-হুম তাহলে এবার ভিতরে চল।
ভিতরে গিয়ে প্লেন অনুযায়ী রাহাতের মাকে হেন্ডেল করলো রাহাত আর সায়ান। তারপর এগারোটার দিকে আবার বের হয় বশির ভাইয়ের বাসার উদ্দেশ্যে , যাওয়ার আগে অবশ্য বশির ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে ঠিকানা যেনেই গেছে ।
#চলবে…?
কি লেখছি জানি না বাড়িতে অনেক মেহমান কাকাতো বোনের বিয়ে গেছে আজকে অনেক কষ্ট করে পর্ব টা দিয়েছি তিন চার বারে লেখছি তাই জানি না কেমন হইছে। হয়তো প্রতিবারের মতো এবারও অনেক ভুল করছে। ভুল গুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আর আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন। ঐ আপুদের অনেক ধন্যবাদ যারা আমার ভুল গুলো খুবই মন ভাঙ্গার মতো করে বুঝিয়ে দেয়। 🥰 আশায় আছি ভুল গুলো তাড়াতাড়ি ধরিয়ে দিবেন।