#তোর_শহরে_রেখেছি_পা
#পর্ব_১০
#লেখিকা_আজরিনা_জ্যামি
সব শুনে আবরার শান্ত হলো। এখন নিজের ভেতরে শান্তি অনুভব করতে পারছে। আবরার বলল,,
“ধন্যবাদ মিস আমার মনকে শান্ত করার জন্য। আসলে আমি একটু বেশিই রিয়্যাক্ট করে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছিল আমি আমার কাছের কিছু হাড়িয়ে ফেলছিলাম। যদিও জিনিসটা হারাতো না। খুব যত্ন করে রেখেছি আমার মনের ভেতরে। তবুও অন্য জিনিসটা সেই জিনিসটার জায়গায় রাখার কথা বলতেই নিজেকে আর সামলাতে পারি নি।’
“মাঝে মাঝে এমনটা হয় চাইলেও আমরা সবসময় নিজেদের সামলাতে পারি না। তখন পরিস্থিতি আমাদের হাতে থাকে না। আমরা পরিস্থিতির হাতে থাকি। ”
“ঠিক বলেছেন আপনি। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। এখন বলুন কিসের জন্য ফোন দিয়েছিলেন? না মানে আপনি তো দরকার ছাড়া আমাকে ফোন দেন না। তাই বলছিলাম।”
“আমি বুঝতে পেরেছি মিস্টার নিশান। আসলে আমি দরকারেই ফোন দিয়েছি। আসলে ওযু করার আগে আমি আফরিন এর ড্রেসিংটেবিল এর ওপর আমার ঘড়িটা খুলে রেখেছিলাম। কিন্তু পরে আর পরতে মনে নেই। ঘড়িটা আমার কাছে অনেক মূল্যবান। আফরিন কে ফোন দিলাম ও ধরলো না। তাই আপনাকে ফোন দিলাম।ঘড়িটা আপনি একটু আপনার কাছে রাখুন আমি কাল আপনার থেকে নিয়ে নেব।”
“কোন কাছের মানুষ আপনাকে ঘড়িটা দিয়েছিল নাকি?
“আমার বাবা আমাকে ঐ ঘড়িটা দিয়েছিল।তাই আমার কাছে ঘড়িটা অনেক মূল্যবান।
সব শোকের তীব্রতাই সময় চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে। কিন্তু কখনো ভালোবাসার মানুষদের ভুলে থাকা যায় না।।।জীবনের কোন না কোন পরিস্থিতিতে তার শূন্যতা ঠিকই অনুভব হয়।
আর যখন মা বাবার শূন্যতা অনুভব হয় তখন আমি আমার বাবার দেওয়া ঘড়িটা আর মায়ের দেওয়া লকেট টা আকরে ধরে বসে থাকি। তখন মনে হয় তারা যেন আমার কাছেই আছে।”
“বুঝতে পেরেছি মিস আমি ঘড়িটা আমার কাছে এনে রাখছি। কথা দিচ্ছি যত্ন করেই রাখবো।”
“আমি জানি আপনি সেই জিনিস টা যত্ন করেই রাখবেন। এখন বলুন তো কিসের জন্য আপনার এতো অস্থির লাগছিল।আমরা তো আপনাকে ঠিকই দেখে এলাম।”
“ওসব বাদ দিন আমি আর ওসব ভাবতে চাই না। ভাবলেই কেমন এক অসহনীয় যন্ত্রণা হয়। এখন আপনি বলুন বাড়ি পৌঁছে গেছেন?”
“না এখনো পৌঁছায় নি। হুট করে হাতের দিকে তাকাতেই ঘড়ির কথা মনে পরলো। তাই আপনাদের ফোন করলাম। এখন গাড়িতে আছি ভাইয়া ড্রপ করে তারপর অফিসে যাবে।”
“ওহ আচ্ছা।”
“আচ্ছা তাহলে রাখছি আল্লাহ হাফেজ!”
“আল্লাহ হাফেজ! ফি আমানিল্লাহ!”
“ইনশাআল্লাহ ”
আরুহি ফোন কেটে দিল। আবরার আয়নার দিকে তাকালো তাকে দেখতে বিধস্ত লাগছে। কিন্তু ঠোঁটের কোনে হাসিটা ভালোই লাগছে। আবরার মুচকি হেসে বলল,,
“মুগ্ধতা মানুষের রূপে আসে না। মুগ্ধতা আসে মানুষের কথায় এবং চরিত্রে । জিনিসটা বারবার আমাকে মনে করিয়ে দাও আরুহি। জানিনা তোমার সাথে কথা বললে আমার এতো শান্তি লাগে কেন? হয়তো আমার মনের আরেক নাম তুমি।
“তুমি আকাশ কিংবা মেঘের মাহফিল
তুমি জীবন, তুমিই আমার আনন্দ অনীল
‘বিনা শর্তে’ বিনা অর্থে, বিনা কারণে”ভালোবাসি হয়তো তোমাকে। যদি তোমার রুপ নিয়ে আমায় কেউ জিজ্ঞেস করে,,সে তো তোমার সাথে যায়না। তখন আমার উত্তর কি আসবে জানো,,
“সে সুন্দর কিনা জানিনা! তবে এতটুকু জানি যে তাকে দেখলে আমার অদ্ভুত এক মায়া লাগে, শান্তি লাগে।
এটা খুবই ভিন্ন রকমের অনুভূতি। সেই অনুভূতিটা দুনিয়ার আর কারো মাঝে খুঁজে পাই না।।
আমার সে সুন্দর কিনা আমি জানি না। তবে তার মাঝে আমি আমার সুখকে পাই। তার সাথে কথা বললে মনে হয় সব অশান্তি শেষ। সে আমার হৃদয়ের শান্তি- শান্তনা। সে আমার শহরে পা রাখার পর আমার অশান্ত মন কে আস্তে আস্তে শান্ত করে তুলছে। আগে যার কথাগুলো সহ্য করতাম না এখন সে গুলোও সহ্য হয়ে যায়। এখন আর হুট হাট রাগা হয় না। আগে ভাবতাম সারাজীবন একলাই থাকবো। কিন্তু সে আসার পর আমি তার সাথে বাঁচতে চাই। আমার মনে হয়। তার চোখ পানে মুগ্ধ দৃষ্টিতে অনিমেষ তাকিয়ে এক জীবন পার করা যাবে।”
আবরার কথা গুলো বলে মুচকি হাসলো। তারপর আবারও আয়নার দিকে তাকিয়ে বলল,,,
“সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রহস্যময় মিথ্যা হল- “আমি তোমাকে ভালোবাসি”
“নিরবে ভালোবেসে যে আনন্দ পাওয়া যায়!সে আনন্দ প্রকাশ্যে ভালোবেসে পাওয়া যায় না!
তাই তো তোমাকে নিরবে ভালোবেসে যাই।”
আবরার মুচকি হেসে চুল গুলো এলোমেলো করে দিল। তার অদ্ভুত আনন্দ হচ্ছে। ঘড়ির কথা মনে পরতেই সে দরজা খুলল দরজার সামনে আফরিন, নাসরিন খান আর রিয়াদ কে দেখতে পেল। উনারা ভেবেছিলেন আবরার কে এখন আর শান্ত করা যাবে না। কারন আবরারের একবার রাগলে সহজে কমে না। আর উনারা ঘরের জিনিসপত্র ভাঙার আওয়াজ ও পেয়েছেন। এমনিতে রাগ করলেও আবরার কখনো জিনিস ভাঙে না। আজ যেহেতু ভেঙেছে। তারমানে অনেক রেগে আছে। আবরার ওদের দিকে তাকালো। আবরার কে বিদ্ধস্ত দেখালেও মুখে রয়েছে অদ্ভুত হাসি। চুল গুলো এলোমেলো। তখন রিয়াদ বলল,,
“তুই ঠিক আছিস?”
“আমার আবার কি হবে আমি একদম ঠিক আছি। আজ রাগটা কে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না তাই কিছু জিনিস ভেঙে ফেলেছি। ওগুলো একটু পরিষ্কার করতে হবে। ”
ওরা আর ওকে কেউ কিছু বললো না। ওর কথা শুনে মনে হলো এখন ও স্বাভাবিক- ই আছে। আবরার হেটে আফরিনের রুমে গেল তারপর ড্রেসিংটেবিল থেকে ঘড়িটা পকেটে পুরে নিল। আফরিন ওর রুমে আবরার ঢুকছে দেখে দৌড়ে রুমে ঢুকলো কিন্তু তেমন কিছুই দেখতে পেল না। ড্রয়িংরুম থেকে সব দেখছে আবরারের পরিবারের বাকি সদস্যরা আর নিতুর পরিবার ওরা এখনো যায় নি। আবরার কোন দিকে না তাকিয়ে দরজা আবারো আটকে দিল। এসব দেখে নাহিয়ান খান দীর্ঘশ্বাস ফেলে নওশাদ শিকদার কে বলল,,
“সব তো দেখলেই নওশাদ। এ বিয়ে পসিবল না। আবরার শুনেই রেগে গেছে। আর আবরার যেহেতু চায় না আমিও ওকে জোর করতে পারি না। একবার জোর করতে গিয়ে আমি আমার ছেলেকে হাড়িয়েছি। আমি একই ভুল দু বার করতে চায় না। মানুষ তার ভুল থেকেই শিক্ষা নেয় আমিও নিয়েছি।’
তখন নওশাদ শিকদার বলল,,,
“আবরার এখনো ছেলে মানুষ ও কিছু বুঝে না। বা এখন বুঝতে চাইছে না। ওদের বিয়ে হয়ে গেলে সব ঠিকঠাক করে নেবে নিতু তুমি চিন্তা করো না। আবরার কে বুঝিয়ে বললেই হবে।”
“নওশাদ যা বলার আমি বলে দিয়েছি। আমার ছেলে তোমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছে না তখন আমি কিছু করতে পারবো না। ”
তখন উষা শিকদার বলল,,,
“ভাইয়া তুমি তোমার ছেলেটাই ভাবছো।আমার মেয়ের কথা ভাবছো না। আমার মেয়ে তোমার ছেলেকে পছন্দ করে। আর ভালোও বাসে তাহলে নিতু ওর ভালোবাসা আবরার কে মানিয়ে নেবে।”
“আবরার এর অবস্থা দেখেছিস তুই। ও রেগে ওপর এ চলে গেল। যতোই রেগে যায় না কেন কখনো ভাঙচুর করে না। সেই ছেলে আজ রেগে ভাঙচুর করেছে। তুই ওর অবস্থা বুঝতে পারছিস। বিয়ের বিষয়ে আর কোন কথা হবে না। এসেছিস কয়েকদিন থাক কোন সমস্যা নেই।”
বলেই নাহিয়ান খান ওপরে চলে গেলেন। উনি একবার ভুল করেছিলেন তিনি আর ঐ ভুল করতে চায় না। তিনি আবরারের চোখে অন্যকিছু দেখেছে। নিতুর প্রতি আবরারের কোন কারনে রাগ আছে।
নওশাদ শিকদার কিছু একটা ভেবে ঊষা শিকদার আর নিতু কে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গেল। নাহিয়ান খান এর ভাই আর তার স্ত্রী বারন করলেও তারা চলে গেল। কিছুক্ষণ পর আবরার দরজা খুললো দেখেই বোঝা যাচ্ছে কোথাও যাবে। আবরার ওর বাইক নিয়ে বেরিয়ে পরলো। বাড়ির সকলে এটা দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
______________________
আরহাম আরুহি কে নামিয়ে দিল আর নিজেও নামলো তা দেখে আরুহি বলল,,,
“ভাইয়া তোমার না কাজ আছে তাহলে নামলে কেন?”
“আমার কোন কাজ নেই মিথ্যে বলেছিলাম। আসলে ওখানে আমার দম আটকে আসছিল। তুই তো সব কন্ট্রোল করতে পারিস আমি তো পারি না। তাই মিথ্যে বলেই এলাম।”
“ভাইয়া মিথ্যা বলা ভালো না। আর তুমি মিথ্যের আশ্রয় নিলে।”
“নিজের ভেতরে অশান্তি রেখে তো হাসি মুখে তাদের সাথে কথা বলতে পারবো না। কখন বেফাস কিছু করে ফেলবো। আমার আল্লাহ নিশ্চয়ই এ জন্য ক্ষমা করে দিবেন। আমি মনে মনে তওবা করে নিয়েছি। আসতাগফিরুল্লাহ, আল্লাহুমম্মাগফিরলী।
“চল এখন ভেতরে যাই দু ভাই-বোন মিলে গুটি খেলবো।”
“গুটি লাইক সিরিয়াসলি এখন আমি আর তুমি গুটি খেলবো। দাবা ও খেলা যায় কিন্তু গুটি! এখন গুটি কোথায় পাবো।”
“আমার কাছে আছে !”
“দশ গুটি খেলবে নাকি পাঁচ গুটি?”
“পাঁচ গুটি খেলবো।”
“ঠিক আছে কোন চিটিং চলবে না কিন্তু তাহলে আমি আর খেলবো না।
“আচ্ছা ঠিক আছে।এখন বাড়ির ভেতরে চল তো।”
আরুহি আর আরহাম বাড়ির ভেতরে ঢুকলো। তখন আরহাম মনে মনে বলল,,,
“আমি জানি আরু আমার থেকে তুই বেশি অস্থির ছিলি।তাই তো তোকে তাড়াতাড়ি বাড়ি নিয়ে এলাম আর তোর মুড ঠিক করার জন্য গুটি খেলার কথা বললাম। তোকে কষ্ট পেতে দেব না। মা বাবাকে ওয়াদা করেছি আমি সেই ওয়াদা রাখবো।”
আরুহিও মনে মনে বলল,,,
“আমি জানি ভাইয়া তুমি এগুলো কেন করছো। আমার হাসি খুশি রাখার জন্য। ইউ নো ইউ আর বেস্ট ব্রাদার ইন দি ওয়ার্ল্ড।”
আরুহি আর আরহাম মিলে ফ্রেশ হয়ে গুটি খেলতে লাগলো। আরহাম ইচ্ছে করে চিটিং করছে আরুহি মাঝে মাঝে চিৎকার করছে আরহাম কে মারছে। এক সময় উঠে দৌড়ানিও দিচ্ছে। মোট কথা ওরা খুব খুশি।
___________________
পরের দিন,,
আরুহি প্রতিদিনের ন্যায় ফজরের সালাত আদায় করে নিল। কিছু পড়া বাকি ছিল ওগুলো পরলো। আজ আর নিচে যায় নি একেবারে রেডি হয়ে নিচে আসলো। আরহাম নিচে রেডি হয়ে বসে আছে। আরুহি আর আরহাম একসাথে ব্রেকফাস্ট সেরে যার যার কাজে বেরিয়ে গেল।
অন্যদিকে,,
খান বাড়ির ব্রেকফাস্ট টেবিলে পিনপিতন নিরবতা। কেউ কোন কথা বলছে না। আবরার নিচের দিকে তাকিয়ে এক মনে খেয়ে যাচ্ছে।ওকে দেখে মনে হচ্ছে খাওয়া ছাড়া ওর কাছে আর কোন ইম্পোর্টেন্ট জিনিস নেই। নীরবতা ভেঙে নাহিয়ান খান বললেন,,
“নিশান নিজেকে সহজ করো। আমরা নওশাদ কে মানা করে দিয়েছি। বিয়ে নিয়ে এ ব্যাপারে কোন কথা হবে না। তোমার অমতে কিছুই হবে না। যেদিন তুমি চাইবে সেদিন ই সব হবে।”
আবরার নাহিয়ান খানের দিকে তাকিয়ে বলল,,,
“ধন্যবাদ আমার ব্যাপারে ভাবার জন্য। সঠিক সময় আসলে আমি জানিয়ে দেব। তবে এটা জেনে রাখুন আপনার ভাগ্নি নিতু কখনো আমার জীবনসঙ্গী হবে না। আমার জীবনসঙ্গী হওয়ার কোন যোগ্যতাই তার নেই। ”
“আচ্ছা ঠিক আছে আমরা তোমাকে জোর করছি না। তোমার যা ইচ্ছা তাই করতে পারো।”
“জি ধন্যবাদ আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। আমার খাওয়া হয়ে গেছে আসছি।”
আবরারের কথা শুনে নাহিয়ান খান দীর্ঘশ্বাস ফেলল।আবরার চেয়ার থেকে উঠে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পরলো। কলেজের উদ্দেশ্যে।
___________________
আরুহি স্কুটি পার্ক করে আবরারের জন্য অপেক্ষা করছে। কারন আরুহির স্কুটির পাশেই আবরার বাইক পার্ক করে। তাই আরুহি স্কুটির ওপর বসে আছে। কিছুক্ষণ পর আবরার বাইক নিয়ে পার্কিং এ গেল। আরুহি কে দেখতে পেল। বাইক পার্ক করে বলল,,
“আসসালামু আলাইকুম মিস।”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম। আপনি কি আমার জিনিস টা এনেছেন।”
“জি এনেছি।’
বলেই আবরার পকেট থেকে আরুহির ঘড়িটা দিল। তা দেখে আরুহি মুচকি হেসে বলল,,,
“ধন্যবাদ মিস্টার।”
“আপনাকেও ধন্যবাদ!”
“কেন?”
“আমার মনে শান্তি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।”
“ওহ আচ্ছা।আপনি তো আফরিন কে সাথে করেই কলেজে আসতে পারেন।”
“আমার একা আসতেই ভালো লাগে। তাছাড়া আফরিন আসে ওর বাবার সাথে তাই ।”
“ওহ আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখন যাই।”
“ঠিক আছে।”
আরুহি ওখান থেকে চলে গেল। আবরার মুচকি হেসে ওর দিকে তাকিয়ে রইল। আর মনে মনে বলল,,
“তোমার মুখের মিস্টি হাসির কারন জানিনা কিন্তু আমার মুখের মিস্টি হাসির কারন তুমি প্রিয়তমা।
তোমার কাজল চোখের ইশারায়, থমকে দাঁড়ায় আমার সমস্ত চাহনি..!
দূর থেকে এসব দেখছিল নিতু। ওর খুব রাগ হচ্ছে। কিন্তু ওকে তো কিছুই বলতে পারবে না। আবরার বলে দিয়েছে। তখন নিবিড় আর ইমান এলো আবরারের কাছে। ইমান মন খারাপ করে আছে দেখে আবরার বলল,,,
“এই ইমান তোর আবার কি হয়েছে। মুখটাকে লটকিয়ে রেখেছিস কেন?”
তখন নিবিড় বলল,,,
“বেচারা ছ্যাকা খেয়েছে! তাই এরকম হয়েছে।
“ইমান প্রেম করতো আমি জানি না তারওপর আবার ছ্যাকাও খেয়েছে।”
তখন ইমান বলল,,,
“আরে না তেমন প্রেম করি নি আমরা। ও আমাকে পছন্দ করতো আর আমিও। তাই রিলেশন এ ঢুকলাম পনেরো দিনের মতো হবে। কিন্তু রিলেশন এ ঢুকার পর বুঝতে পারলাম ও আমাকে আগের মতো পছন্দ করে না। ওর চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখতে পাই না। কেমন যেনো বিরক্ত ফিল করে। মাঝে মাঝে অপমান করে। তাই নিয়েই একটু মন খারাপ হচ্ছে। এখনো ভাঙার মতো কিছু হয় নি।”
তখন আবরার বলল,,
তোকে যা বলি মন দিয়ে শোন,,
“তুই যে মানুষটাকে ভালোবাসিস সে মানুষটা তোকে নাও ভালোবাসতে পারে। তুই যাকে বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবিস সে তোকে বেস্ট ফ্রেন্ড নাও মনে করতে পারে।তুই যাকে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দেওয়ার চেষ্টা করিস,সে হয়তো তোকে প্রায়োরিটির বদলে ইগনোর করতে পারে!
এ পৃথিবীতে সবকিছু তোর মনের মতো হবেনা।তুই যা কিছু চাইবি,তার উল্টোকিছুও তোর সাথে ঘটতে পারে।সুতরাং লাইফে ভালো থাকতে হলে এই পার্থক্যগুলো মেনে নিতে শিখতে হবে! আর তাছাড়া ,,
যে সম্পর্ক মানসিক শান্তি নষ্ট করে এবং অসম্মানিত করে সে সম্পর্ক জীবন থেকে মুছে ফেলা উচিত। সে হোক বন্ধু, আত্মীয় কিংবা কাছের মানুষ। সম্পর্ক কম মানুষের সাথে থাক কিন্তু তাঁরা যেন সঠিক ও খাঁটি মানুষ হয়!”
আবরারের কথা শুনে ইমান বলল,,,
“তুই ঠিক বলেছিস আবরার যে সম্পর্ক মানসিক শান্তি নষ্ট করে তাকে জীবন থেকে মুছে ফেলাই উচিৎ। আমি এখনি ওকে ফোন দিয়ে জানাচ্ছি আমি ওর সাথে আর কোন সম্পর্ক রাখবো না। ”
তখন নিবিড় বলল,,,
“এই হলো কথার কথা! কতোবার বললাম এই সব প্রেম ট্রেম করতে হবে না। আমাদের সাথে চিল কর। কিন্তু কে শুনে কার কথা হুদাই এগিয়ে গিয়ে বাঁশ খাওয়া।”
তখন ইমান বলল,,,
“ধন্যবাদ আবরার এতো সুন্দর করে আমাকে বোঝানোর জন্য। বাই দ্য চিপা গলি তুই কিন্তু বদলে গেছিস আগে শুধু কথার মধ্যে রহস্য করতি আর এখন বুঝিয়ে বলিস। কারন কি?”
“বুঝিয়ে বললে মানুষ তাড়াতাড়ি আর ভালোভাবে বুঝতে পারে। এটা আমি উপলব্ধি করেছি। আর বুঝিয়ে বলাটা আমি একজনের থেকে শিখেছি। এখন চল স্যার বোধহয় চলে এসেছে।”
“হ্যা চল কিন্তু কার কাছে থেকে শিখেছিস।”
“পরে একদিন বলবো।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
_______________________
ক্লাস শেষ করে বেরুতেই আরুহি নিচে আসলো। তখনি কাউকে স্ট্রেচারে দেখে দৌড়ে ওদিকে গেল। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কেউ রয়েছে কিন্তু ডাক্তার রা দেখছে না। আরুহি তার কাছে গিয়ে বলল,,
“নাদিম ভাই তোমার এ অবস্থা কি করে হলো?”
লোকটার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে আর চোখ খোলা রাখতেও। তার চোখ দুটো বুজে আসছে।তবে তিনি যে আরুহিকে দেখে খুশি হয়েছে সেটা স্পষ্ট। নাদিম হচ্ছে আরহাম এর সহকারী ওদের খুব ভালো সম্পর্ক।আর আরহাম আর A.k এর সব কাজে নাদিম আরহাম কে সাহায্য করে। নাদিম আস্তে আস্তে আরুহির হাত ধরে বলল,,
“আরুহি আমি নারী পাচারকারীর মেন একজনের এর তথ্য পেয়ে গেছি। আজ ওটা নিয়েই আরহাম আর A.k এর সাথে কথা বলতে যাচ্ছিলাম কিন্তু তার আগেই ওরা আমাকে শ্যুট করে। আমার কিছু হলে তোমরা আমার পরিবারকে দেখে রেখো। আমি A.K কে কিছু বলতে চাই। আমি যদি A.K কে না বলতে পারি তবে আমি যে মরেও শান্তি পাবো না।
“নাদিম ভাই চুপ করো তোমার কিচ্ছু হবে না। তাদের কে তুমি সব বলতে পারবে। আর তোমার পরিবারের দেখাশোনাও তুমি করবে। আর ওরা তোমাকে এভাবে ফেলে রেখেছে কেন?
আরুহি চিৎকার করে ডাক্তার কে ডাকতে লাগ। ডাক্তার আসতেই ও বলল,,
“উনাকে এভাবে ফেলে রেখেছেন কেন?”
তখন ডাক্তার বলল,,,
“লোকটার গুলি লেগেছে এটা পুলিশ কেস! পুলিশ না আসা পর্যন্ত ওনার ট্রিটমেন্ট হবে না। ”
“ততক্ষনে তো উনি মারা যাবেন। প্লিজ ওনার ট্রিটমেন্ট শুরু করুন। আর উনি নিজেই একজন সি আই ডি অফিসার। একটা অপারেশন করতে গিয়ে ওনার গুলি লেগেছে প্লিজ ওনার ট্রিটমেন্ট শুরু করুন।”
” উনি যে সি আই ডি তার প্রমান কি । উনি তো সিভিল ড্রেসেই আছেন। একটা লোক ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে পুলিশ কেস হবে দেখে উনি আগেই চলে গেছেন। রোগী অবশ্য বলেছে আমি সি আইডি কিন্তু আমরা তা কানে নিই নি। আমরা তো প্রমান ছাড়া কিছু করতে পারি না।উনিতো নিজেকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা কথা ও বলতে পারেন। উনি তো কোন হামলাকারীর হতে পারে।” এমন ও তো হতে পারে পুলিশের গুলি খেয়ে রাস্তায় পরে ছিলেন।
“আপনাদের মনুষ্যত্ব দেখে অবাক হচ্ছি। একটা লোক মারা যাচ্ছে আর আপনারা বলছেন লোকটা সি আই ডি নাকি হামলাকারী। সবার আগে উনি একজন মানুষ।আর ডাক্তারদের পেশাই হচ্ছে মানুষের সেবা করা। সে কে সেটা জাজ করা নয়। আপনার প্রমান লাগবে তো সে সি আই ডি কি না। দাড়ান আমি দেখাচ্ছি ওয়েট।”
আরুহি নাদিমের পকেট চেক করলো। কোথাও কিছু নেই। কি করবে বুঝতে পারছে না। আরুহির চিৎকারে অনেকেই সেখানে জড় হয়েছে। এতক্ষন আবরার রা ছিল না। এখন ভির দেখে এদিকে এগিয়ে এলো। আর এসে আরুহিকে দেখে অবাক হলো। ও বলল,,,
“মিস আরুহি কি হয়েছে আপনি এখানে কেন?”
“একমিনিট নিশান আমি আপনার সাথে পরে কথা বলছি।”
আরুহির ব্যবহারে সকলে অবাক হলো। আবরার কে নিশান বলায়। আরুহি আরহাম কে ভিডিও কল দিয়ে সব বলল আর ডাক্তারের কাছে দিল। আরহাম বলল,,,
“আমি সি আইডি অফিসার আরহাম মাহমুদ খান। আমাকে না দেখলেও নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। আর আপনি নিশ্চয়ই দেখতে পারছেন এটা সি আই ডি অফিস। আর যার গুলি লেগেছে সেও একজন সি আই ডি অফিসার। তাই আপনারা তাড়াতাড়ি ওনার ট্রিটমেন্ট শুরু করুন আমি ওখানে আসছি। আপনারা ডাক্তার আপনাদের ধর্মই হচ্ছে মানুষের সেবা করা। সে কে সেটা ম্যাটার করে না। তাকে সুস্থ করার দায়িত্ব আপনাদের।”
তখন ডাক্তার টা বলল,,,
“সরি স্যার আমি বুঝতে পারি নি। আমি এখনি ওনার ট্রিটমেন্ট শুরু করছি। সবকিছুর জন্য দুঃখিত স্যার।এর পর থেকে আপনার কথা মাথায় রাখবো।”
ডাক্তারটা আরুহির ফোন দিয়ে দিল। আর নাদিম কে নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকলো।আর অপারেশন শুরু করলো। আরুহি আরহাম এর সাথে কথা বলে ফোন রেখে দিল। আরুহি যে সি আই ডি অফিসার আরহাম এর বোন সেটা আজ জানালো সকলে। সকলে সব শুনে অবাক। আরুহি এক দৃষ্টিতে নাদিমের রক্ত লাগা নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে আছে। ও কিছু ভাবছে তখন আফরিন ওর কাঁধে হাত রাখলো। তা দেখে আরুহি আফরিনের দিকে তাকালো। আফরিন বলল,,,
“ইনি তোর কে হয় আরু?”
“ওনার সাথে আমার রক্তের কোন সম্পর্ক নেই। উনি ভাইয়ার বন্ধু সব থেকে কাছের বন্ধু।”
তখন ডাক্তার বাইরে বেরিয়ে বলল,,,
“রক্ত লাগবে গুলি খেয়ে অনেকক্ষন থাকার কারনে ওনার প্রচুর ব্লাড লস হয়েছে। উনার রক্তের গ্ৰুপ (A-)নেগেটিভ।”
তখন আরুহি বলল,,,
“আমার রক্তের গ্রুপ তো (A-) নেগেটিভ নয় তাহলে আমিই দিতাম। ঠিক আছে আমি জোগাড় করছি।”
তখন আবরার বলল,,,
“মিস আরুহি আমার রক্তের গ্রুপ (A-) নেগেটিভ আমি দেব রক্ত আপনি চিন্তা করবেন না।”
“ধন্যবাদ মিস্টার নিশান!”
“মেনশন নট মিস আপনার জন্য এটুকু করতে পারলে আমি ধন্য।”
আরুহি কিছু বললো না মুচকি হাসলো। আবরার রক্ত দিতে চলে গেল। তার কিছুক্ষন পর আরহাম আসলো।আরুহি কে দেখেই আরহাম ও দিকে এগিয়ে গেল। ওখানে আফরিন ও ছিল। আরহাম কে দেখে আরুহি দাঁড়িয়ে গেল। আরহাম গিয়ে বলল,,,
“বোনু নাদিম ওর কি অবস্থা এখন?”
“অপারেশন চলছে ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।”
“সবকিছু ঠিক হলেই ভালো।”
“ভাইয়া নাদিম ভাইয়ার পরিবার কে জানিয়েছো?”
“হ্যা জানিয়েছি উনারা কিছুক্ষন এর মধ্যেই পৌঁছে যাবে।”
“আচ্ছা ! নাদিম ভাইয়া বলছিল ও নারী পাচারকারী যেন একজনের তথ্য পেয়েছে। আর তোমাকে আর A.K কে কিছু বলতে চায়। আমাকে পরিস্কার করে কিছু বলেনি। ভাইয়া বলছিল তোমাদের না বলতে পারলে সে নাকি মরেও শান্তি পাবে না।”
“তারমানে নাদিম এমন কিছু জানতে পেরেছে যেটা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।”
“হতে পারে!”
“অপারেশন হোক তারপর ওর অবস্থা দেখে A.K কে জানাবো। তাকে তো আর সবসময় পাওয়া যায়না।”
“ঠিক আছে।”
“নাদিমের পকেটে সবসময় আইডি কার্ড থাকে আজ কেন ছিল না? ”
“হয়তো কোথাও পরে গিয়েছে।”
“হতে পারে।”
আরহামের তখনি চোখ পরে আফরিন এর ওপর। আরহাম বলল,,,
“মিস আফরিন আপনি এখনো বাড়িতে যান নি?”
তখন আফরিন বলল,,,
“আসলে আরুহিকে এক ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না। তাছাড়া ভাইয়া ভেতরে রক্ত দিচ্ছে তাই আরো যায় নি।”
তখন আরুহি বলল,,
“নাদিম ভাইয়ার অনেক ব্লাড লস হয়েছে। তাই রক্ত লাগবে নাদিম ভাইয়ার আর ওনার ব্লাড গ্ৰুপ সেম তাই উনি রক্ত দিচ্ছে।”
“ওহ আচ্ছা।”
রক্ত দিয়ে বের হতেই আরহাম আবরার কে ধন্যবাদ জানালো। আরুহি আবরার আর আফরিন কে বাড়িতে পাঠিয়ে দিল। অপারেশন শেষ হতেই ডাক্তার জানালো অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কাল ইনশাআল্লাহ জ্ঞান ফিরবে। এ কথা শুনে ওরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলো। নাদিম এর পরিবার আসতেই ওদের ধন্যবাদ জানালো। সব ফর্মালিটিজ শেষ করে ওরা বাড়ি ফিরলো। নাদিমের ওপর যেহেতু হামলা হয়েছিল তাই আরহাম ওর সুরক্ষার জন্য দুজন অফিসারকে পাহারায় রাখলো।পরের দিন নাদিমের জ্ঞান ফিরলে আরহাম আর A.K কে জানানো হয়। A.K দুপুরের দিকে একটা বাইক নিয়ে কলেজে ঢোকে পেছনে আরহাম। গায়ে ব্লু হুডি , জিন্স প্যান্ট স্পোর্টস জুতা মুখে মাস্ক ওকে দেখে কেউ বুঝতে পারবে না ছেলে না মেয়ে। আরহাম কে দেখে সকলে বুঝতে পারল ওটা সিক্রেট অফিসারA.K . A.k এর এটিটিউড দেখে সকলে অবাক। ও কোন দিকে না তাকিয়ে নাদিমের কেবিনে ঢুকে পরলো। নাদিম শুয়ে ছিলো কারো আওয়াজ পেয়ে চোখ খুললো।তা দেখে A.K বলল,,,
“আসসালামু আলাইকুম মিস্টার নাদিম এখন কেমন আছেন?”
নাদিম মুচকি হেসে বলল,,,
“ওয়ালাইকুমুস সালাম ম্যাম । এখন অনেকটা বেটার।”
আরহাম নাদিমের পরিবারের সকল কে কেবিনের বাইরে পাঠিয়ে দিল। A.K নাদিম কে জিজ্ঞেস করল,,,
“তো মিস্টার নাদিম কি বলবেন আমাদের এখন বলুন!”
“আসলে ম্যাম আমি নারী পাচারকারী এর মেন হোতা কে ধরতেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু তার আগেই এসব হয়ে গেল। তবে আমি জানতে পেরেছি সে শুধু নারী পাচার করে না। ড্রাগ বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র সব কিছুই পাচার করে আর সে অন্ধকার দুনিয়ায় NS-3 নামে পরিচিত। এই নামটা শুনে আমি অনেক অবাক হয়েছিলাম। এতদিন জেনে এসেছি শুধু একজন NS আছে । কিন্তু যেহেতু NS-3 নাম তার মানে আরো দুজন NS আছে। এটা শুনে আমি অনেক টাই আশাহত হয়েছি। আর সব অবৈধ কারবারের তারা তিনজনেই ওতপ্রোতভাবে জরিত। ”
“কি তিনজন NS ?”
“জি ম্যাম আর যে মেন NS যে আরহামের বাবা-মাকে মেরেছে তাকে কেউ কখনো দেখেনি। আরহাম যেমন সবাইকে দেখলেও মেন কালপ্রিট কে দেখেনি।”
এই কথা শুনে A.K এর কোন ভাবান্তর হলো না। ও আরহামের দিকে তাকালো। আরহাম ওর দিকেই তাকিয়ে ছিল। নাদিম বলল,,,
“তাদের ডেরা সম্পর্কে খোঁজ পেয়েছি। তারা দুদিন পর অবৈধ সবকিছু ডিল করবে এই ****** জায়গায় সেদিন আমরা তাদের ধরতে পারবো। আমি চেয়েছিলাম আপনাদের সাথে থাকতে কিন্তু পসিবল হচ্ছে না।
“আপনার জন্যই সব ইনফরমেশন পেলাম। আপনি এই মিশনের হিরো বুঝলেন। মন খারাপ করবেন না।সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মিস্টার নাদিম। আপনি আমাদের অনেক বড় ইনফরমেশন দিয়েছেন। কিপ ইট আপ।”
“মাই প্লেজার ম্যাম।”
“ওকে আল্লাহ হাফেজ।”
বলেই A.K আর আরহাম কেবিন থেকে বের হলো। কিছুদূর যাওয়ার পর দেখা হলো আবরারের সাথে।ওর সাথে আর কেউ ছিল না।কলেজ আগেই ছুটি হয়ে গেছে তাই। তখন আবরার বলল,,,
“আসসালামু আলাইকুম ম্যাম। ”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম।”
আবরারের কাছে এবারো কন্ঠ টা কেমন যেনো লাগলো। আবরার সব সাইডে রেখে বলল,,
“বলেছিলাম না আবার আমাদের দেখা হবে। কিন্তু আপনি বিশ্বাস -ই করলেন না। ”
“আপনার সাথে কথা বলাই বেকার বুঝলেন।আমি আসি আমার কাজ আছে!”
তখন আরহাম বলল,,,
“আবরার আজ তাহলে আসি আবার পরে কথা হবে।”
“ঠিক আছে ভাইয়া।”
আবরার আরো কিছু বলবে তার আগেই,,কি যেনো একটা নজরে আসতেই A.K রিভলবার বের করে দৌড় দিল,,,,
~চলবে,,