#তোর_শহরে_দিয়েছি_পা
#পর্ব_৩
#লেখিকা_আজরিনা_জ্যামি
আরুহি আজ কলেজটা ভালোভাবে ঘুরে দেখবে বলে আগে এসেছে। ও কলেজে এসে স্কুটি পার্ক করে সামনের দিকে হাঁটা ধরলো। ঠিক তখনি নিতু কে দেখতে পেল। একটা দশ বছরের বাচ্চা ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে। ছেলেটার পরনে নোংরা জামা দেখেই মনে হচ্ছে পথশিশু। ছেলেটা কে এভাবে ফেলে দেওয়া দেখে আরুহির মাথা গরম হয়ে গেল। আরুহি দৌড়ে গিয়ে ছেলেটাকে উঠালো আর বলল,,,
“কোথাও লাগেনি তো তোমার?”
ছেলেটা কাঁদতে লাগলো। আবার হাত দিয়ে মুছতে ও লাগলো। হয়তো ছেলেটা ওর কান্না কাউকে দেখাতে চায় না। ছেলেটা বলল,,,
“হ আপা আমি ঠিক আছি।”
“একমিনিট দাড়াও আমি ওদের সাথে একটু কথা বলে আসি। কোথাও যাবে না কিন্তু।”
“আইচ্ছা!”
আরুহি গিয়ে নিতুর সামনে দাঁড়িয়ে বলল,,,
“আপনার সমস্যা কি বলুন তো। মানুষ কে মানুষ হিসেবে গন্য করেন না তাইনা। ঐ বাচ্চা ছেলেটাকে এভাবে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেন কেন?”
তখন নিতু রেগে বলল,,
“এই তোমার সাহস তো কম না একটা রাস্তার নোংরা ছেলের জন্য তুমি আমাকে কথা শোনাচ্ছো।”
“আমার সাহস টা বরাবরই বেশি কখনো কম ছিলই না। আর রাস্তার নোংরা ছেলে কেন বলছেন। ওরাও তো মানুষ শুধু পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে ওদের এই রকম অবস্থা।”
“আমাকে একদম জ্ঞান দেবে না। ওকে আমি এমনি এমনি ফেলে দেয় নি। ও ওর ময়লা হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করেছিল। তাই আমি ওকে ফেলে দিয়েছি। ভিখারি হয়েছে দূর থেকে ভিক্ষা চাইতে পারে না।গায়ে পরার কি হয়েছে!”
আরুহি ছেলেটার দিকে তাকালো। ছেলেটা মাথা নিচু করে ফেলল। আসলে এখনকার অনেক পথশিশু কিংবা ভিক্ষুক দের দেখা যায়। তারা প্রথমে এসেই মানুষের সামনে এসে তাদের হাত স্পর্শ করে বলবে কিছু টাকা দিন। কিছু বাচ্চা তো পায়েও পরে যাবে। যে পর্যন্ত না টাকা দেওয়া হবে সে পর্যন্ত পা-ই ছাড়বে না। এটা তাদের দোষ না আমাদের দোষ সেটা বুঝে আসে না। আমরা টাকা দিতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করি বলেই কি তারা এইরকম করে নাকি অন্য কিছু সেটা বুঝতে পারি না। এখানে হয়তো বা দু’পক্ষের- ই ভুল আছে।
ছেলেটা এবার আরুহির কাছে এসে বলল,,,
“আপা আমি দুর থিকাই কইছিলাম আমার খুব ক্ষিদা লাগছে আমারে কিছু ট্যাকা দেন। যাতে আমি কিছু খাইতে পারি। উনি একটু আগায় আইসা কয় তোর ক্ষুদা লাগছে তাতে আমার কি! অন্য দিকে যা। তখন আমি এক পা আগাইতে যাইয়াই একটা কিছুর সাথে লাইগা উনার উপরে পরি। আর উনি আমারে ধাক্কা মারে। এনে আমার কোন দোষ নাই আপা।”
তখন আরুহি বলল,,,
“দেখছেন ছেলেটা আপনাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা মারে নি। ভুল বসত হয়ে গেছে। তাই বলে এভাবে আচরণ করবেন। মানুষ কে মানুষ ভাবতে শিখুন।ওরাও রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। শুধু ওদের অবস্থান আর আপনার অবস্থান টা আলাদা। পৃথিবীতে আল্লাহ সবাইকে একরকম বানায় নি। পরিস্থিতির জন্য ও আজ এখানে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন মানুষের পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে তার সাথে ব্যবহার করতে। পত্যেক মানুষের সাথেই সদ্ব্যবহার করতে বলেছেন। আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি কে অপমান করা মানে তাকে অপমান করা।”
তখন নিতু বলল,,
“এই তোমার জ্ঞান তোমার কাছে রাখো। বেশ করেছি ওকে ধাক্কা মেরেছি তোমার এতো পুরে কেন? ”
“ওকে সরি বলুন!”
“তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি তুমি আমাকে বলছো ঐ নোংরা ছেলেটাকে সরি বলতে।”
“আপনি ভুল করেছেন তাই সরি বলবেন।এতে লজ্জার কি আছে।”
“তোমাকে তো আমি” বলেই আরুহিকে চড় মারতে নিল আরুহি সেটা দেখে নিতুর হাত ধরে পেছনে নিয়ে বলল,,,
“আমার সাথে একদম এসব চলবে না। আমি কোন অবলা মেয়ে নই যে তুমি আমার গায়ে হাত উঠাবে আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবো।”
নিতু রেগে বলল,,,
“তুমি কিন্তু তোমার লিমিট ক্রস করছো। তুমি আমাকে চেনো না। আমার বাবা নওশাদ শিকদার টপ বিজনেস ম্যানদের মধ্যে একজন। আর এই কলেজেরও একজন ইনভেস্টার। আমি তোমার কি হাল করবো তুমি ভাবতেও পারবে না! তোমার এই কলেজে থাকা দায় হয়ে যাবে।”
তখন পেছন থেকে আওয়াজ আসলো,,
“ওহ আচ্ছা তাই নাকি। আচ্ছা আমি যদি দ্য গ্ৰেট নিতু শিকদার এই খবরগুলো নওশাদ শিকদার কে জানাই তাহলে সে কি নিতু শিকদার কে এখানে রাখবে। তখন দেখবো কে এই কলেজে থাকবে আর থাকবে না।”
সকলে পেছনে তাকিয়ে দেখলো আবরার আর আফরিন দাঁড়িয়ে আছে। আবরার এর চেহারা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ও খুব রেগে আছে। সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে যখন আফরিনের থেকে জানতে পারলো কাল আরুহির সাথে আফরিনের ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।আর আজ আফরিন আর আরুহি তাড়াতাড়ি আসবে কলেজ ঘুরে দেখবে। তখন আবরার বলল ও নাকি আফরিন কে নিয়ে আসবে আর পুরো কলেজ ও ঘুরে দেখাবে। কিন্তু এখানে এসে এসব দেখে ওর খুব রাগ হলো। ও কিছু বলবে তখনি আরুহি এসে এসব বলে। ও দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিল আরুহি কি করে। এখন নিতু আরুহিকে এভাবে বলল দেখে ও এগিয়ে এলো। আরুহি নিতুর হাত ছেড়ে দিল। ওর রাগী চেহারা দেখে নিতু একটু ভয় পেয়ে গেল। কারন নীতু এমনিতে আবরার কে ভয় না পেলেও আবরারের রাগকে খুব ভয় পায়। একবার ও একটা কালো মেয়েকে গায়ের রঙ নিয়ে বাজে কথা বলেছিল। ও সবার সামনে ওকে চড় মেরেছিল। আর থ্রেট দিয়েছিল যাতে এরপর থেকে এরকম কাজ আর না করে। নিতু ভয়ে ভয়ে বলল,,,
“আসলে আবরার ভাইয়া এখানে আমার কোন দোষ নেই। আমি তো,,,”
“আমি তো কি নিতু? তোকে বারবার বলছি নিজেকে সুদরে নে। নাহলে একদিন খুব পস্তাতে হবে। এখনি তুই উনাকে আর বাচ্চাটাকে সরি বলবি।”
“ইম্পসিবল!”
“তুই সরি বলবি নাকি আমি ফুপি কিংবা ফুপাকে বলবো।”
নিতু ওর কথা শুনে ভয় পেল। কারন ওর পরিবার যদি একবার ওর কৃতকর্মের কথা জানতে পারে তাহলে ওর সাথে কি হবে আল্লাহ মালুম। ওর বাবা ওকে ছেড়ে দিলেও ওর মা ছেড়ে দেবে না। নিতু আরুহির সামনে গিয়ে বলল,,
“সরি!”
তখন আরুহি বলল ,,
“সরি আমাকে নয় বাচ্চাটাকে বলুন।”
নিতু বাচ্চাটার সামনে গিয়ে সরি বলে গটগট পায়ে ওখান থেকে চলে গেল। পেছনে ওর দুই চ্যালা ও ছুটলো। আরুহি আবরারের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,,,
“ধন্যবাদ আপনাকে।”
আবরার হাসির পরিবর্তে মুচকি হেসে বলল,,,
“মেনশন নট সব তো আপনিই করলেন।”
আরুহি এবার বাচ্চাটার কাছে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,,,
“তোমার ক্ষুদা লাগছে চলো আমি তোমাকে খাওয়াবো।”
তখন ছেলেটা বলল,,,
“আসলে আপা কাল থিকা আমি কিছু খাইনাই। আসলে আমি ভিক্ষা করি না। আমি তো ফুল বিক্রি করতাম। কিন্তু ফুল গুলো আমি এক বড় ভাইয়ের থিকা টাকা ধার কইরা নিতাম। ফুল বিক্রি কইরা আমি তার ধারের টাকা প্রতিদিন ফেরত দিতাম। আর বাকি টাকা দিয়া নিজের খাওন খাইতাম আর চলতাম। প্রতিদিনের মতো কাল ও আমি তাই নিছিলাম। কিন্তু রাস্তা পারাপারের সময় হাত থিকা ফুল গুলা পইরা যায়। আমি উটাইতে জামু তখনি একটা গাড়ি আসে। আমারে তো একজন টাইনা গাড়ির সামনে থিকা সরায় নেয়। কিন্তু আমার সব ফুল নষ্ট হইয়া যায়। তার জন্য কাল টাকা দিতে পারি নাই বড় ভাইরে। কাল কিছু খাইতে পারি নাই। আর আজ গেছিলাম টাকা আনতে সে কইছে কালকের টাকা না দিলে আমারে আর টাকা দিব না। কাল থিকা খাইনাই দেইখা এহন খুব খিদা লাগছে। তাই উনার কাছে টাকা চাইছিলাম। আমি এমনিতে কারো কাছে থিকা হাত পেতে টাকা নিই না আপা।”
ছেলেটার কথা শুনে ওখানে থাকা অনেকেরই খারাপ লাগলো। আসলে গাড়িটা ফুল গুলোর ওপর যায় নি। একজনের সারাদিনের কামাই আর খাবারের ওপর দিয়ে গেছে। গাড়িটা যদি তখন না যেত তাহলে হয়তো ছেলেটার সাথে এরকম কিছু হতো না।সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আরুহি ছেলেটাকে নিয়ে ক্যান্টিনে চলে গেল। পেছনে আবরার আর আফরিন ও গেল। আরুহি ক্যান্টিনে গিয়ে কতো গুলো খাবার অর্ডার করলো। খাবার আসতেই ছেলেটাকে বলল খেতে। ছেলেটা এতো তাড়াতাড়ি খাচ্ছিল দেখেই মনে হচ্ছে খুব খিদে পেয়েছে।আর কাল থেকে না খেয়ে খিদে তো পাবেই। ওর খাওয়া দেখে আরুহি বলল,,
“আস্তে আস্তে খাও নাহলে গলায় আটকে যাবে। এগুলো তো সব তোমার জন্যই ।”
“আসলে আপা খুব খিদা লাগছে। মন চাইতেছে সব একেবারেই খাইয়া ফালাই। এর আগে এতো ভালো খাওন কোনো দিন খায় নাই।”
“আচ্ছা ঠিক আছে আস্তে আস্তে খাও। আচ্ছা তোমার নাম কি তোমার পরিবারের কে কে আছে।”
“আমার নাম মনির । আমার এই দুনিয়ায় কেউ নাই। বস্তির একজন মহিলা নাকি আমারে পাইছিল। এতো দিন উনিই আমার মা হইয়া আছিলো ছয়মাস আগে উনি মারা গেছে। তারপর থেকেই আমি এইভাবে জীবন যাপন করি।”
“ওহ আচ্ছা।”
মনিরের খাওয়া শেষ হলে। আরুহি মনিরের হাতে এক হাজার টাকা দিয়ে বলল,,,
“এই টাকা থেকে তুমি তোমার বড় ভাইয়ের টাকা পরিশোধ করে দিও। আর বাকি টাকা তুমি নিজের কাছে রেখো প্রয়োজন মতো খরচ করো।পারলে পড়াশোনাটা করো। জীবনে কিছু হতে গেলে পড়াশোনা টা খুব দরকারি। আমার এইটুকুই সামর্থ্য বুঝলে।’
“আপা আপনি যা করছেন তাতেই আমার হবে। আজ আসি আর সবকিছুর জন্য আপনাকে থাং কু!
“ওটা থাং কু না থ্যাঙ্ক ইউ।”
“ঐ হইলো আমি ওতো বুঝিনা। ”
এতক্ষন আবরার আর আফরিন মুগ্ধ চোখে ওদের কে দেখছিল। মনির ছেলেটা উঠতেই আরুহি ক্যান্টিনের বিল মিটিয়ে আবরার দের ওখানে এলো আর আফরিন কে বলল,,,
“ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে এখন আর কলেজ ঘুরা হবে না। আমরা ক্লাস শেষ করে তারপর দেখবো।”
তখন আফরিন বলল,,
“ঠিক আছে।”
“মিস্টার নিশান আবরার কাইন্ডলি ছুটির পর আমাদের কলেজটা ঘুরে দেখাবেন।”
তখন আবরার বলল,,,
“কেন নয় ছুটির পর বের হয়ে ডানদিকের গাছটার নিচেই আমাকে পাবেন।”
“ঠিক আছে ধন্যবাদ।”
“মিস আরুহি আপনার নতুন নতুন রুপ দেখে আমি মুগ্ধ। আপনার কাজগুলোই এমন যে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
“মানে?”
“কিছু না আপনার আজকের কাজে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।”
“আসলে আমাদের যেটুকু সামর্থ্য আছে। সেটুকুই দিয়েই সকলকে সাহায্য করা উচিৎ।”
“একদম ঠিক বলেছেন।”
“এখন যাওয়া যাক ।”
“হুম চলুন।”
এতক্ষন আফরিন কিছু না বলে আবরার আর আরুহির কথপোকথন শুনছিল। ও আবরারে রং কথা শুনে কিছুটা আন্দাজ করলো আর মনে মনে খুশি হলো। আরুহি আর আফরিন ক্লাসে চলে গেল। আবরার এক দৃষ্টিতে আরুহির দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল,,,
“ধুসর রঙের আকাশটাও একটা সময় রঙিন হয়ে উঠে। কিছু স্পেশাল মানুষের আগমনে। আমার শহরে তোমাকে স্বাগতম জানাই। হয়তো তোমার অগোচরে আমার শহরে তুমি রেখেছো পা।”
তখন আরুহি বলল,,,
“কিছু বললেন মিস্টার?”
আরুহির কথা শুনে আবরার হকচকিয়ে উঠলো আর জোর পূর্বক হেসে বলল,,
“কই কিছু না তো!”
“ওহ আচ্ছা আমার মনে হলো কিছু একটা শুনলাম ! হয়তো মনের ভুল।”
“হুম হতে পারে।”
ওরা তিনজন নিজেদের ক্লাসে চলে গেল। আজ আবরারের বাবার ক্লাস আছে আরুহি দের। উনি ক্লাসে এসে সকলকে নিজের পরিচয় দিলেন।আর সবার সাথে পরিচিত হলেন। উনি আরুহির সামনে এসে বলল,,
“তোমার নাম কি?”
“জি আরুহি মাহমুদ খান!”
“তোমার বাবা মায়ের নাম কি? উনারা কি করে?”
“স্যার আমার মা বাবা বেঁচে নেই। উনারা কয়েক বছর আগে মারা গেছে।”
“ওহ আচ্ছা সরি। তুমি কি এখন একাই থাকো।
“না স্যার আমার ভাইয়া আছে।
“ওহ আচ্ছা তুমি বসো।”
আরুহি বসলো। মনে মনে বলল,,,
“স্টুডেন্ট কে কেউ এতো প্রশ্ন করে নাকি। এতো প্রশ্ন তো মেয়ে দেখতে গেলে করে।”
আবরারের বাবা সবার সাথে পরিচিত হয়ে ক্লাস শুরু করলো। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে আরুহিকে দেখতে লাগলো। আরুহির একটু অস্বস্তি বোধ করলো কিন্তু কিছু করার নেই। সব ক্লাস শেষ করে আরুহি আর আফরিন আবরারের কথা মতো গাছের নিচে গেল। আবরার ওদের দেখে এগিয়ে এলো। ইমান আর নিরবের থেকে বিদায় নিয়ে আবরার পুরো কলেজ ঘুরে দেখালো। তখন আরুহি জিজ্ঞেস করল,,,
“আচ্ছা মিস্টার আপনাদের কলেজে ওষুধ রাখার আলাদা কোন রুম আছে?”
“হ্যা আছে তো কেন?”
“না একটু দেখতাম কতো বড় রুমে রাখা হয়েছে। আর কতো ওষুধ আছে সেখানে।
“অনেক ওষুধ রাখা আছে। আর আজকেও অনেক ওষুধ আনা হবে।”
“আপনি জানলেন কিভাবে আজ ওষুধ আনা হবে!”
আবরার মেকি হাসি দিয়ে বলল,,
“ঐ স্যার বলছিল আর কি!
“ওহ আচ্ছা!”
আবরার আরুহিদের নিয়ে সেই ওষুধ রাখার রুমটা বাইরে থেকে দেখালো। আরুহি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখলো। আবরার খেয়াল করেছে আরুহি পুরো ক্যাম্পাসটাই খুব মনোযোগ সহকারে দেখেছে মনে হচ্ছিল ও কিছু খুঁজছিল। সব কিছু ঘুরে দেখা হয়ে গেলে আরুহি আবরার কে বলল,,,
“ধন্যবাদ মিস্টার সবকিছু এতো ভালোভাবে দেখানোর জন্য।”
“মেনশন নট।আপনি আমাদের কলেজে নতুন আপনাকে পুরো কলেজটা দেখানো আমাদের কর্তব্য।”
“তা নতুন সবাইকেই এভাবে ঘুরে দেখান নাকি। ”
“নতুন সবাই আর আপনি কি এক নাকি।”
“তারমানে আপনি বলছেন আমি সবার থেকে আলাদা।”
“আলাদাই তো এই দেখুন সকালের ঘটনায় সবাই ছিল কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করে নি। আপনি করেছেন কারন আপনি সবার মতো না সবার থেকে আলাদা।”
“আচ্ছা মেনে নিলাম। এখন বাড়ি যেতে হবে। ভাইয়া আজ বাসায় খেতে আসবে।”
“আচ্ছা ঠিক আছে। আপনার ভাইয়াকে বলবেন একদিন আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসতে।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
“আপনাদের বাড়িতে আমাদের যেতে বলবেন না?”
“আপনারা আমাদের বাড়িতে যাবেন নাকি!”
“না যাওয়ার তো কারন নেই।”
“আচ্ছা ঠিক আছে আপনাদের যখন সময় হবে তখন আমাকে বইলেন।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
“ঠিক আছে তাহলে আজ আসি আল্লাহ হাফেজ।”
আরুহি ওখান থেকে চলে গেল। আফরিন অবাক চোখে আবরার কে দেখছে। যে ছেলে কোন ইনভেটিশনে যায় না । সেই ছেলে সেধে সেধে দাওয়াত নিচ্ছে। আফরিন এবার আর আন্দাজ না একদম সিওর হয়ে গেল। ডাল মে জারুর কুচ কালা হে! আফরিন সব সাইডে রেখে বলল,,,
“ভাইয়া আজ বাড়ি যাবে তো?”
“হুম এখন যাবো সন্ধ্যার পর আমার একটু কাজ আছে তখন বেরুবো।”
“আচ্ছা ঠিক আছে চলো তাহলে সকালের মতো এখনও তোমার বাইকে যাবো।”
“ঠিক আছে চল।”
আবরার আফরিন কে নিয়ে বাড়িতে চলে গেল। আফরিন খুব খুশি কারন ওর ভাই আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে।
________________________
“আসসালামু আলাইকুম স্যার!”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম!”
“A.K খবর আছে আজকে মেডিকেল কলেজে অনেক গুলো ওষুধ আসবে। তার সাথে ঐ সবগুলো দু নম্বরি অবৈধ ওষুধ । আমি চাই তুমি আজকে রাতেই ওখানে গিয়ে সব শেষ করো।”
“জি স্যার এটা আমিও জানি। আমি আপনাকে একটু পরেই ফোন করে জানাতাম আজ রাতে মেডিকেল কলেজ এ ওষুধ আসবে আর আজ রাতেই আমরা ওখানে যাবো।”
“ওকে গুড জব। তোমার সাথে আরেকজন থাকবে ?”
“কে স্যার আর কেন?”
“তুমি ওখানে নতুন সবকিছু ভালোভাবে চেনো না। আমাদের স্পাই অফিসার আছে ওখানে ও সব দেখে নেবে।তোমাকে আর নতুন করে খুঁজতে হবে না। ও তোমাকে সব দেখিয়ে দেবে আর সাহায্য ও করবে।”
‘স্যার আমার কাউকে লাগবে না। আমি সব দেখে নেব।”
“আমি জানি তুমি সব সামলাতে পারবে। তবুও আমি চাই তুমি ওর সাথে কাজ করো।”
“স্যার আপনি সব জানেন আমি আমার কাজে মিস্টার আরহাম ছাড়া কাউকে এলাও করি না।”
“A.K দিস ইজ মাই অর্ডার। আমি চাই তুমি ওর সাথেই কাজ টা করো।”
“ওকে স্যার সেই স্পাই অফিসার এর নাম কি?
“নিশান , নিশান আবরার! ওরফে N.A ”
“কি উনি স্পাই অফিসার।”
“কেন তুমি চেনো নাকি?”
“হুম ঐ একটু। কিন্তু উনি তো ডাক্তারি পরছেন!”
“আবরার ও তোমার মতো দেশের জন্য কিছু করতে চায়। আর ঠিক তোমার মতোই সবার আড়ালে থাকে।”
“ওকে স্যার উনার নাম্বার দিন আমি যোগাযোগ করছি।”
“আই নো ইট! তুমি অমত করবে না। আমি নাম্বার পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
“ওকে স্যার।”
কিছুক্ষণ পর নেওয়াজ আহমেদ আবরারের নাম্বার পাঠালো। A.K ওর পরিচয় দিয়ে আবরার কে একটা মেসেজ পাঠালো। আর কি কি করতে হবে সব লিখে দিল।
____________________
আবরার এর ফোনে একটা মেসেজ আসলো। সেটা দেখে ওর মুখে হাসি ফুটে উঠল। ওর অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল A.K এর সাথে কাজ করার । আসলে কলেজে আজ ওষুধ আসবে সেটা আবরার জানিয়েছে। ও শুনছিল কলেজে অবৈধ ওষুধ ঢুকানো হচ্ছে তাই গোপনে গোডাউনে গিয়ে দু একজন লোকের কাছে থেকে শুনেছে আজ ওষুধ আসবে। A.k এর সাথে কাজ করার ইচ্ছার জন্যই তো যখন শুনলো নেওয়াজ আহমেদ এর কাছে থেকে A.K এই কেসটার দেখবে তখন ও নেওয়াজ আহমেদ এর সাথে কথা বলে রাজি করায় তার সাথে কাজ করানোর জন্য।ফাইনালি আজ ওর ইচ্ছে পুরন হলো। আবরার একটা ব্ল্যাক হুডি পরে বাড়ি থেকে বের হলো। বাড়ির সকলে দেখলেও কেউ কিছু বললো না কারন ও কি করে কোথায় যায় সেটার কৈফিয়ত ও কাউকে দেয় না।
______________________
রাত দশটার পর,,,
A.K ব্ল্যাক হুডি মুখে মাস্ক পায়ে ব্ল্যাক স্পোর্টস জুতা পরে আবারার এর কাছে এলো। আবরার কলেজের একটা কর্নারে ওর জন্য অপেক্ষা করছিল। আবরার A.k দেখে অবাক হলো ও ভেবেছিল এক কিন্তু বের হলো আরেক। A.K আসতেই আবরার বলল,,,
” গুড উইশেশ আপনার এই মিশনটার জন্য।”
A.K গম্ভীর স্বরে বলল,,,
“এখানে আপনার উইশ নিতে আসি নি কাজ করতে এসেছি। সো এইসব সিলি কথাবার্তা রাখুন। এখন বলুন গাড়ি কখন আসবে।”
আবরার A.K এর কথা শুনে অবাক হলো। ও তো ভেবেছিল A.K কোনো ছেলে হবে কিন্তু এতো মেয়ে । এরকম রুড ব্যবহার কেন? আর কন্ঠটাও কেমন যেনো লাগছে। ও নিজেকে সামলিয়ে বলল,,,
“ম্যাম দশ মিনিট এর মধ্যেই এসে পরবে খবর আছে।”
“ওকে আমরা ওয়েট করছি! ওষুধের গোডাউনের ওখানে কোনো লোকের আনাগোনা নেই তো।”
“না ম্যাম ওখানে তেমন কারো আসা যাওয়া নেই।”
“আচ্ছা ঠিক আছে। ”
A.K কাউকে ফোন দিয়ে জানালো। “আমি আসতে বললেই পুরো টিম গোডাউনের সামনে হাজির হয়ে যাবে।”
ওপাশ থেকে কি বলল শোনা গেল না। অতঃপর ওষুধের গাড়ি এসে পৌঁছালো। আর ওখানে কলেজের প্রফেসর ডাক্তার মোস্তাক হোসেন কে দেখা গেল। এটা দেখে আবরার খুব অবাক হলো। কারন ওষুধ আনলে সেটা মোস্তাক স্যার দেখে না। প্রিন্সিপাল স্যার দেখেন আর দুজন স্যার। মোস্তাক স্যারের এরকম কোন কাজ নেই। তাছাড়া মোস্তাক স্যার খুব ভালো একজন মানুষ বলে সবাই তাকে জানে। উনি এরকম একটা কাজ করে ভাবতেও পারছে না আবরার। A.K কাউকে মেসেজ পাঠালে পুরো টিম এসে হাজির হয় ওখানে A.K গিয়ে সবাই কে ধরে মোস্তাক স্যার কে সহ। আবরার দুর থেকে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল কারন ও একজন স্পাই কারো সামনে যাওয়া যাবে না। আর ও যেতেও চায় না। আড়ালে থেকেই সবার ভালো করতে চায়। A.K সবাইকে নিয়ে যেতে বলে ও আবরারের কাছে এসে বলল,,,
“ধন্যবাদ মিস্টার তবে আপনাকে দরকার ছিল না। আমি এমনিতেই করতে পারতাম। তবে আমি ভাবতে পারি নি কাজ টা এতো সহজে হয়ে যাবে। ”
‘আমিও কম যাই না মিস । আমি সহজতর করে রেখেছিলাম তাই কাজটা এতো সহজে হয়ে গেছে সবার অগোচরে।”
“সেটা অবশ্য ঠিক। আপনি এখানে থাকা লোকদের সরিয়ে নিয়েছিলেন আগেই তাই এখানে কেউ নেই। আর গোডাউনের যারা দেখাশোনা করে তাদের মধ্যে দুজন কে আগে থেকেই বলে রেখেছিলেন। আর অবৈধ ওষুধ এর কিছু ভিডিও করেছেন প্রমান সহ। আর একটু আগেও এখানে কি কি হয়েছে সব রেকর্ড করে নিয়েছেন। আপনার শার্টের বোতাম এ যে হিডেন ক্যামেরা লাগানো সেটাও আমি জানি। আর আপনার কথামতো গোডাউনের তারাও সব কিছু সহজ ভাবেই করেছে। তবে তিনজনের মধ্যে দুজন ভালো তারা জানতো না এখানে অবৈধ ওষুধ রাখা হয়। তারা মোস্তাকের কথা মতোই সব করেছে। কিন্তু একজন মোস্তাক এর সব জেনে শুনে করেছে। আমি সবাইকে নিয়ে যাচ্ছি আর ঐ লোকদুটো কে ছেড়ে দিলাম। ওদের বলে দিবেন রাতে আজ এখানে যা হয়েছে কাউকে না বলে।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।আপনি এতো কিছু জানলেন কিভাবে?”
“সেটা আপনার না ভাবলেও চলবে মিস্টার। তবে ভিডিও ফুটেজটা পাঠিয়ে দিয়েন আমিও ভিডিও করেছি প্রমানের জন্য তারপরও যদি কিছু মিস হয়ে যায় । আজ আসি আল্লাহ হাফেজ।”
‘ওকে আল্লাহ হাফেজ ফি আমানিল্লাহ!”
“নাও হতে পারে আবার দেখা!”
“আমার মন বলছে হবে।”
“ওকে দেখা যাবে গুড বাই!”
A.K ওখান থেকে চলে গেল । আবারার ও নিজের বাড়িতে চলে গেল। আসলে A.K যা বলেছে আবরার সবই করেছে। যাতে কাজটা সহজ হয়। আবরারের A.K কে খুব পছন্দ হয়েছে । কাজের বাইরে একটা কথাও বলে না। আর গম্ভীর হয়ে থাকে। কাজের স্টাইল একদম আলাদা।
______________________
আরহাম নেওয়াজ আহমেদ কে জানালো A.K আরহাম কে বলেছে মোস্তাক আহমেদ কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। আর সেটা করতে বলেছে একদিন পর। সব কিছু A.K দেখে নেবে। নেওয়াজ আহমেদ অমত করলেন না। নেওয়াজ আহমেদ A.K কে ফোন দিল,,,
“আসসালামু আলাইকুম স্যার!
“ওয়ালাইকুমুস সালাম। ওয়েলডান প্রতিবারের মতো এবারও তুমি সহজেই তোমার কাজ করেছো।”
“হ্যা এ বারের কাজটা মিস্টার আবরার বেশিই সহজ করে দিয়েছেন। এ কেসটার বেশি ক্রেডিট তারই।”
“তা অবশ্য ঠিক বলেছো। আমি ওকে ফোন করে ওর বাহবা দিয়েছি।”
“স্যার এই কেসের জিজ্ঞাসা বাদ আমি মিস্টার আরহাম কে দিয়েছি তার কারন মাহমুদ খানের মৃত্যুর পেছনে মোস্তাক হোসেন এরও হাত আছে। আর উনি NS এর সাথে যুক্ত।”
“তুমি জানলে কিভাবে?”
“সে জেনেছি কোন ভাবে। এখন আপনি বলুন কলেজ কর্তৃপক্ষের হয়ে আপনাকে কে এই কেসটার কথা বলেছিল।”
“নাহিয়ান খান মানে আবরারের বাবা।”
“ওহ আচ্ছা। তা উনি কি জানে মিস্টার আবরার এরকম একটা কাজ করে।”
“না হয়তো জানেনা কারন আবরার ওর কাজের কথা কাউকে জানায় নি। আর আমাকেও বারন করে দিয়েছে। ”
“ওহ আচ্ছা রাখছি স্যার। আসসালামু আলাইকুম”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম।আচ্ছা ঠিক আছে। ”
____________________
পরের দিন সকালে সকলে জানতে পারলো মোস্তাক স্যার এর ব্যাপারে আর এতদিন যে অবৈধ ওষুধ দেওয়া হতো সেটাও জানানো হলো। এটায় যে কলেজ কর্তৃপক্ষ দায়ী ছিল না সেটাও ভালোভাবে জানানো হলো। মিডিয়ায় এখন একটাই খবর “প্রমানসহ ধরা পরলো ডাক্তার মোস্তাক হোসেন” আর এই কেস টা দেখছে সি আই ডি। কলেজের সকলে এটা নিয়ে কানাঘুষা করতে লাগলো। আর আবরার সে তো কালকের ঘটনা ভেবে হাসলো। আরুহি কলেজ এসে এগুলো শুনে মনে মনে বলল,,,
“মোস্তাক হোসেন এবার দেখবে ভাইয়া তোমার কি হাল করে। তোমার ভাগ্য ভালো A.K তোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলো না। নাহলে তোমার চেহারা তুমি নিজেই চিনতে পারতে কি না সন্দেহ।”
তখনি আবরার এলো আরুহির কাছে। আর আবরার বলল,,
“এই যে মিস কি ভাবছেন?”
আবরারের কথা শুনে আরুহির ধ্যান ভাঙলো। ও বলল,,,
“তেমন কিছু না ! আমি ভাবছিলাম একজন ডাক্তার হয়ে মানুষ কিভাবে অন্য একজনের ক্ষতি করার কথা ভাবতে পারে। একটা ডাক্তারের ভাবনা জুড়ে শুধু মানুষের সুস্থতার কথা থাকে আর উনি একজন ডাক্তার হয়ে কিভাবে পারলো।”
“আসলে কি বলুন তো মিস কার কি উদ্দেশ্যে সেটা তো আমরা জানি না। উনার উদ্দেশ্য ছিল টাকা কামানো তাই খারাপ পথ বেছে নিয়েছে। আসলে মানুষ উদ্দেশ্যের ওপরে নিজেদের কর্ম করে।
“বাহ ভালো বললেন তো।”
“আজ তো আর ক্লাস হবে না। আপনাকে আমার একটা ফ্রেবারিট জায়গায় নিয়ে যাবো যাবেন। যদি আপনার কোন আপত্তি না থাকে তো।”
“আজ আফরিন আসে নি?”
“না আসেনি আমি আসতে বারন করেছি। আমি জানতাম আজ ক্লাস হবে না।”
“আপনি কিভাবে আগে থেকে জানতেন !”
“ঐ জেনেছি আপনার এতো ভাবতে হবে না। আপনি এবার বলুন আপনি আমার সাথে যাবেন কি যাবেন না।”
“আমি আলাদা কোথাও কারো সাথে যাই না। আলাদা একা ছেলেমেয়েদের এতো ক্লোজলি মেশা উচিৎ না।”
“সরি আমি বুঝতে পেরেছি। আমি এমনিই বলেছিলাম আপনি প্লিজ অন্য কিছু মনে করবেন না। আমি এভাবে কিছু মিন করে বলিনি।”
“আমি কিছু মনে করি নি। যে ছেলে বোনের ক্লাসমেট কে আপনি করে বলে সে কেমন সেটা বোঝায় যায়।”
“আচ্ছা তাহলে আজকের প্ল্যান ক্যানসেল ভাগ্যে থাকলে কোন একদিন নিশ্চয়ই আমার ফ্রেবারিট জায়গায় নিয়ে যাবো। ”
“নিশ্চয়ই ভাগ্যে থাকলে একদিন ঠিকই হবে। আজ আসি আল্লাহ হাফেজ!”
“আল্লাহ হাফেজ ফি আমানিল্লাহ!”
“ইনশাআল্লাহ!”
আরুহি ওখান থেকে চলে গেল। আবরার ওর যাওয়ার দিকে অনিমেষ তাকিয়ে রইল। আবরার আরুহির কথা আর মনোভাব শুনে খুব খুশি হলো। তবে কালকে রাতের ঘটনা মনে পরলো কালকের ফি আমানিল্লাহ উত্তর আর আজকের ফি আমানিল্লাহ এর উত্তর। আবরার এর আরুহির উত্তরে শান্তি অনুভব করলো। অজান্তেই ওর মুখে হাসি ফুটে উঠল। আর মনে মনে বলল,,,
“তুমি আমার স্নিগ্ধ ভোরের বিশুদ্ধ বাতাস, আমার হৃদয়ের শান্তি-সান্ত্বনা!”
~চলবে,
বিঃদ্রঃ আসসালামু আলাইকুম। আজকের পর্ব কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ!