#এক_মুঠো_কাঁচের_চুরি
#পর্ব_৪৭
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
–আম্মু তুমি যদি চাও।আমি তোমার কাছে থাকি।তাহলে একটা কথা না বলে,চুপচাপ আমার সাথে যাবে।আমার কথা না শুনলে,কিন্তু আমি আজকে-ই দেশ ছেড়ে চলে যাব।বলল ফাইয়াজ।
ফাইয়াজে’র কথা শুনে,ফাইয়াজে’র আম্মু নিস্তব্ধ হয়ে গেল।আহত চোখে ছেলের দিকে তাকালো।তানহা আর ইফাদ মা-ছেলের দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে।ফাইয়াজে’র আম্মু আর কিছু বলতে পারলো না।ছেলের সাথে বেড়িয়ে আসলো।ইফাদ আর তানহা-ও আসলো।ফাইয়াজদে’র দেখে,পাত্রের মা’ বলল।
–ইফাদ এরা কারা বাবা?
–আমাদের বাসার মেহমান আন্টি।
–চলে যাচ্ছে কেনো?আজকে থাকবে না।
ইফাদ কিছু বলতে যাবে।তার আগে-ই চৈতালি নিচে নেমে আসলো।ফাইয়াজ একবার চৈতালি’র দিকে, তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিল।লাল শাড়িতে মেয়েটা’কে একটু বেশিই সুন্দর লাগছে।ফাইয়াজে’র চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে।কেনো তুমি আমার হলে না?ফাইয়াজ’কে দেখে চৈতালির দু-চোখ ভরে এলো।দৌড়ে এসে,ফাইয়াজে’র হাত ধরে বলতে ইচ্ছে করছে।আমি এই বিয়ে করবো না।আপনি আমাকে আপনার সাথে নিয়ে চলুন।কিন্তু চাইলে-ই কি সব ইচ্ছে,পূর্ণ হয়।কিছু ইচ্ছে,থাকুক না অপূর্ণ।নিজের পরিবার’কে আর কষ্ট দিতে পারবে না চৈতালি।তাই নিজের ইচ্ছে টাকে মাটি চাপা দিয়ে দিল।চৈতালি’র পাশে অন্য ছেলে’কে দেখে ভেতর’টা ছারখার হয়ে যাচ্ছে ফাইয়াজে’র।সে,তো নিজের মন’কে বুঝিয়ে নিয়েছিল।তবে কেনো তার আম্মু তাকে,আবার কষ্ট দিল।এই কষ্টটা না দিলে-ও পারতে আম্মু।ফাইয়াজ আর দাঁড়ালো না।বাহিরে চলে গেল।ফাইয়াজে’র আম্মু সবার সাথে কুশল বিনিময় করল।সবার থেকে বিদায় নিয়ে,বাহিরে আসলো।ফাইয়াজ গাড়িতে মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিল।ফাইয়াজে’র আম্মু গাড়িতে বসতে-ই ফাইয়াজ গাড়ি চালাতে শুরু করল।একটা কথা-ও বলছে না মায়ের সাথে,দেখেই বোঝা যাচ্ছে।মায়ের ওপরে ভিষণ রেগে আছে।
–চৈতালি’কে আমাদের পছন্দ হয়েছে।আপনারা চাইলে,এই সপ্তাহের শুক্রবারে,ঘরোয়া ভাবে বিয়ের আয়োজন করবো।এই কয়দিনে,আপনারা আমাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিবেন।আজকে তাহলে আমরা আসি।বলেই সবার থেকে বিদায় মিয়ে চলে গেল।পাত্র পক্ষ চলে যাবার।পরে-ই চৈতালি নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।
ইফাদ গম্ভীর মুখ করে রুমে বসে আছে।তানহা ইফাদে’র পাশে বসে বলল।
–তুমি একবার ছেলেটা’র কথা ভেবে দেখতে পারো।ছেলেটা সত্যি চৈতালি’কে ভালোবাসে,তা’ ছেলেটা’র চোখের কোণে জমে থাকা অশ্রুকণা গুলো বলে দিচ্ছিলো।বলল তানহা।
–আমি’ও নিজে-ও জানি ফাইয়াজ চৈতালি’কে অনেক ভালোবাসে।আমি নিজ থেকে চৈতালি’কে,তার হাতে তুলে না দিলে,ফাইয়াজ কখনো জোর করে চৈতালি’কে নিয়ে যাবে না।ফাইয়াজে’র শিক্ষা এতটাই ভালো।কিন্তু ফাইয়াজে’র বাবা না চাইলে,আমি ওদের বিয়ে দিতে পারবো না।ফাইয়াজে’র বাবা যদি এসে বলতো।তাহলে আমি ভেবে দেখতাম।এখন যা হবার হয়ে গেছে।এসব কথা বলে লাভ নেই।আমি একটু বাহিরে যাব।দরজা’টা লাগিয়ে দাও।বলেই বাহিরে চলে গেল।
তানহা দরজা বন্ধ করে চৈতালি’র রুমের কাছে আসলো।রুমের কাছে আসতে-ই কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল।মেয়েটা ভিষন করে কষ্ট পাচ্ছে।তানহা আর চৈতালি’কে বিরক্ত করল না।নিজের রুমে চলে আসলো।
পরের দিন সকাল বেলা,চৈতালি মলিন মুখ করে অফিসে প্রবেশ করল।চোখ-মুখ ফুলে আছে।হয়তো সারারাত কান্না করেছে,মেয়েটা।চৈতালি দরকারি ফাইল নিয়ে ফাইয়াজে’র রুমে আসলো।ফাইয়াজ’কে প্রতিদিনে’র মতোই স্বাভাবিক দেখাচ্ছে,চৈতালি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।ফাইয়াজ ফাইল দেখছে।এমন সময় হঠাৎ করে স্রুতি আসে ফাইয়াজে’র রুমে।কোনো কথা না বলে,ফাইয়াজে’র কলার চেপে ধরে বলল।
–তোমার লজ্জা করে না।আমি তোমাকে আর কতবার বলবো।আমি তোমাকে ভালোবাসি না।তবু-ও কেনো আমার বাবার পেছনে পড়ে আছো?বলল স্রুতি।
ফাইয়াজ নিজের থেকে স্রুতি’কে ছাড়িয়ে বলল।
–মাথায় নতুন করে কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে।তোমার মতো বেয়াদব মেয়ের জন্য,আমি কেনো?তোমার বাবার পেছনে পড়ে থাকবো।বলল ফাইয়াজ।
–তাহলে বাবা তোমার সাথে আমার বিয়ে দেওয়া’র জন্য পাগল হয়ে গেছে কেনো?বলল স্রুতি।
–আমার বাবার টাকা দেখেছে না।তোমার বাবা শুধু টাকা চিনে,তোমার বাবাকে বলে দিও।আমাকে নিজের জামাই বানানো’র চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে।না হলে যে,মাথা দিয়ে কুবুদ্ধি আঁটছে।সেই মাথা আমি আলাদ করে দিব।আমার অফিস থেকে এখনই বেড়িয়ে যাও।আমাকে দ্বিতীয় বার ছোঁয়ার মতো দুঃসাহস দেখালে,তোমার হাত আমি ভেঙে দিব।
চৈতালি দু’জনের কথাবার্তা চুপচাপ শুনছে,স্রুতি ফাইয়াজ’কে স্পর্শ করাতে খুব রাগ হলো চৈতালি’র।কিন্তু বাহিরে তা’ প্রকাশ করল না।স্রুতি ফাইয়াজ’কে শাসিয়ে চলে গেল।
সময় চলছে সময়ে’র নিয়মে,কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না।ঠিক তেমন-ই সময়ে’র সাথে চৈতালি’র বিয়ের দিন চলে আসলো।আজকে চৈতালি’র বিয়ে।চারিদি’কে মেহমান গিজগিজ করছে।চৈতালি’র বিয়ে তো’ ঘরোয়া ভাবে হবার কথা ছিল।তাহলে,এত ধুমধাম করে হচ্ছে,কেনো সেটাই তানহা বুঝতে পারছে না।আজকে সকালে শুধু ইফাদে’র দেখা পেয়েছে।সারাদিন পেরিয়ে বিকেল হয়ে আসলো।এখনো ইফাদে’র দেখা নেই।”পার্লারের মেয়েরা চৈতালি’কে সাজাতে চলে এসেছে।মেয়েটা কেমন জানি পাথরের মতো হয়ে গেছে।ঠিক মতো খাওয়া করে না।কারো সাথে কথা বলে না।শরীরটা আগের থেকে প্রচুর শুকিয়ে গিয়েছে।চৈতালি বসে আছে।পার্লারে’র মেয়ে গুলো চৈতালি’কে সাজাচ্ছে।চৈতালি’র কোনো হেলদোল নেই।দেখে মনে হচ্ছে,একটা পুতুল বসে আছে।যাকে নিয়ে যা’ খুশি ইচ্ছে করা যায়।অধরে’র কোণে হাসির রেশটুকু নেই।
ফাইয়াজ নিজের রুমে পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছে।ফাইয়াজে’র বাবা ছেলের রুমে আসলো।ফাইয়াজে’র মাথায় হাত বুলিয়ে ডাকতে লাগলো।ছেলেটা আবার ঘুমের ঔষধ খেয়েছে।আজকাল ঘুমের ঔষধ খেয়ে-ই নিজে’কে বাঁচিয়ে রেখেছে ফাইয়াজ।অন্যদিনের তুলনায়।আজকে তিনটা বেশি খেয়েছে।তা’ দেখে ফাইয়াজে’র বাবা একটু ভয় পেয়ে গেল।চোখ-মুখে পানি ছিটিয়ে দিতেই,চোখ মুখ কুঁচকে ফেলল ফাইয়াজ।ঘুমের মধ্যে বলল।
–আমাকে তুমি পুতুল আপু ভেবো আব্বু।আমি ফাইয়াজ।আমি আত্মাহত্যা করার মতো ছেলেই না।আমি তোমাকে অনেক ঘৃণা করি আব্বু।দুনিয়ায় চৈতালি’কে পেলাম না ঠিকি।কিন্তু পরপারে আল্লাহর কাছে ঠিক চেয়ে নিব।সেদিন কারো ক্ষমতা হবে না।আমাকে আর চৈতালি’কে আলাদা করার।তোমার মতো বাবা,যেনো কাউকে না দেয় আব্বু।
ফাইয়াজে’র কথা শুনে,ফাইয়াজে’র বাবার দু-চোখ ভরে এলো।কতগুলো বছর পরে,ছেলেটা তাকে আব্বু বলে ডাকলো।আমার অহংকার কি আমার থেকে সবকিছু কেঁড়ে নিবে।সত্যি রে ফাইয়াজ।তোর আব্বু অনেক খারাপ।তা-না হলে সব সময় নিজের কথা ভাবে,এবার না হয় তোর কথা ভাববো।একটা মেয়ে’কে হারিয়েছি।তোকে হারাতে পারবো না।তোর সব কষ্ট আমি দূর করে দিব বাবা।বলেই দু-হাতে ছেলে’কে টেনে তুলল।লেবুর পানির গ্লাসটা মুখের সামনে ধরে জোর করে খাইয়ে দিল।লেবু পানি খেয়ে,ফাইয়াজ আবার শুইয়ে পড়লো।ফাইয়াজে’র বাবা কোনো কথা না বলে,রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।
–রাহেলা তোমার ছেলে’কে ঘুম থেকে তুলো।গোসল করিয়ে ফ্রেশ করে দাও।যেভাবে ঘুমোচ্ছে,সারারাতে-ও উঠবে না।স্বামীর কথার কোনো উওর করল না রাহেলা চৌধুরী।সোজা ছেলের রুমে আসলো।প্রায় আধা ঘণ্টা ডাকার পরে ছেলে’কে তুলতে সক্ষম হলো,ছেলে’কে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে,ওয়াশরুমের ঝরনা ছেড়ে দিল।এবার ফাইয়াজে’র ঘুমের রেশ কিছুটা ভালো ভাবে কেটেছে।মায়ের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো।
–তোমার মাথা হয়ে গেছে আম্মু।এভাবে কেউ ঝরনা ছেড়ে দেয়।
–মাথা আমার না তোর খারাপ হয়েছে।একটা মেয়ের জন্য নিজেকে আর কতটা কষ্ট দিবি।আমাকে কিছু করতে দিলি না।তুই নিজেকে এভাবে শেষ করে দিবি।আমি মা হয়ে বসে বসে দেখবো।ভদ্রলোকের মতো গোসল দিয়ে,বিছানায় তোর জামা-কাপড় রাখা আছে।সেগুলো পড়ে নিচে আয়।
সন্ধ্যা করে শরীরে পানি পড়াতে,ফাইয়াজে’র শরীরে কাঁপুনি উঠে গেল।কোনো কথা বলল না।ওয়াশরুমের দরজা লাগিয়ে দিল।গোসল করে এসে,বিছানায় পাঞ্জাবি দেখে,ভ্রু কুঁচকে গেল।আম্মু জানে আমি পাঞ্জাবি পড়তে পছন্দ করি না।তবু-ও কেনো আমাকে পাঞ্জাবি দিয়ে গিয়েছে।বিরক্ত হয়ে পাঞ্জাবি পড়ে নিচে আসলো।নিচে এসে মহাবিপদে পড়লো ফাইয়াজ।একি তার বাসায় এত মানুষ আসলো কি করে?নিজের বাসায় নিজের-ই পা রাখার জায়গা নেই।সবকিছু মাথার ওপরে দিয়ে যাচ্ছে।ফাইয়াজে’র বাবা ফাইয়াজ’কে দেখে দ্রুত ছেলের কাছে আসলো।কোনো কথা না বলে,ছেলের হাত ধরে বাহিরে নিয়ে গেল।বাহিরে আসতে-ই,ফাইয়াজ তার বাবার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিল।রেগে বলল।
–আপনার সাহস কি করে হয়।আমার অনুমতি না নিয়ে,আমার হাত ধরার।ছেলের কথায় পাত্তা না দিয়ে,ফাইয়াজে’র বাবা বলল।
–তুমি আমার প্রেমিকা হও।যে তোমার হাত ধরতে হলে,অনুমতি নিতে হবে।আমি তোমার বাবা হই বেয়াদব।বাসায় তো সন্মান করো না।লোকজনের সামনে এসে বেয়াদবি শুরু করেছো?
বাবার কথা শুনে বোকাবনে গেল ফাইয়াজ।তার বাবার মতো মানুষ।তার সাথে রসিকতা করছে।নিজকে সামলে নিয়ে বলল।
–সন্মান পাবার মতো কোন কাজটা আপনি করেছেন।আপনাকে দেখলে আমার ঘৃণা হয়।আপনার সাথে কথা বলতে আমার রুচিতে বাঁধে।বলেই চলে যেতে লাগলো।ফাইয়াজে’র বাবা ফাইয়াজ’কে শক্ত করে ধরে গাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে দিল।নিজে-ও গাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে গাড়ির দরজা লক করে দিল।এতে ফাইয়াজে’র রাগ দিগুণ বেড়ে গেল।রেগে বলল।
–এটা কেমন ধরনের ভদ্রতা?
–তুমি নিজেই বলো আমি ভদ্র মানুষ না।অভদ্র মানুষে’র কাছে ভদ্রতা আশা করা।নেহাত বোকামি ছাড়া আর কিছুই না ফাইয়াজ।বলল ফাইয়াজে’র বাবা।
ফাইয়াজে’র বাবার কথায়,ফাইয়াজে’র ভ্রু কুঁচকে গেল।কপালে চিন্তার ভাজ পড়লো।আজকে তার বাবার হয়েছে টা কি?এমন করছে কেনো?পুতুল আপু চলে যাওয়ার পরে,কোনোদিন ভালোবেসে ডাক দেননি।সেই বাবা আমার সাথে মজা করছে।ফাইয়াজে’র পাশে তাসফিয়া মুখ কালো করে বসে আছে।তাসফিয়া’কে দেখে বলল।
–আপু কি হয়েছে।আমরা কোথায় যাচ্ছি।বলল ফাইয়াজ।
–আজকে চৈতালি’র বিয়ে।আমাদের দাওয়াত করেছে।চৈতালি’র বিয়ের দাওয়াত খেতে যাচ্ছি।আর কোনো প্রশ্ন থাকলে বল।বলল তাসফিয়া।
তাসফিয়া’র কথা শুনে,নিমিষেই ফাইয়াজে’র মনটা খারাপ হয়ে গেল।মনের মধ্যে জমে থাকা কষ্ট গুলো বেড়িয়ে আসতে চাইলো।চোখ গুলো লাল হয়ে আসতে শুরু করেছে।সে,যতই সবকিছু ভুলে যেতে চাচ্ছে,তার পরিবার কেনো তার ক্ষত স্থানে বারবার আঘাত করছে।খুব দরকার ছিল।তার কথা মনে করিয়ে দেওয়া’র।আজকে চৈতালি’র বিয়ে।মেয়েটা নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর করে সেজেছে।বাবা সবকিছু মেনে নিলে,চৈতালি আজকে আমার জন্য সাজতো।আমি দু-নয়ন ভরে তাকে দেখতাম।আমার পিপাসিত হৃদয়’কে শীতল করতাম।কিন্তু সে,যে আমার হলো না।অন্য কারো জন্য বধু রুপে সেজে উঠছে।একবার তাকে দেখে আসলে খুব বেশি অন্যায় হয়ে যাবে।আমি কেনো মেনে নিতে পারছি না।সে অন্য কারো হয়ে যাবে।ফাইয়াজ গাড়ির জানালা দিয়ে,দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল।
–শুনেছি মন থেকে কিছু চাইলে,তুমি কাউকে ফিরিয়ে দাও না।তাকে মন থেকে এত করে চাইলাম।তবু-ও কেনো দিলা না।কথা গুলো বলেই চোখের কোণে জমে থাকা অশ্রুকণা গুলো মুছে নিল।
চলবে…..
(আজকে মনটা একদম ভালো নেই।আজকের পর্ব টা একটু খাপছাড়া লাগতে পারে।কষ্ট করে মানিয়ে নিবেন।মাঝে মাঝে মন খারাপের কোনো কারন খুঁজে পাই না।এমনি এমনি মন খারাপ হয়ে যায়।)