#শ্রেয়সী
#পর্ব_১৯
#লেখনীতে_নাদিয়া_সিনহা
ওয়ালিদ তাজওয়ার! এই প্রথম নামটা শুনেছি। এমন নামে কাউকে আমি চিনি না। লোকটা হাত বাড়িয়ে আমার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে। আমি একবার তার হাত এবং মুখশ্রী পরখ করে বললাম,
-“আসসালামু আলাইকুম।”
লোকটা নিজের হাত গুটিয়ে নিয়ে আমার সালামের জবাব দেন। তাকে কঠিন কিছু বাক্য বলতে যাব তখন মা আমার ঘরে প্রবেশ করে। লোকটার দিকে তাকিয়ে অমায়িক হেসে বলে,
-“আরে ওয়ালিদ এখানে কেনো দাঁড়িয়ে? যাও গিয়ে ভিতরে বসো।”
ওয়ালিদ আমার দিকে তাকিয়ে জোর পূর্বক হেসে মা কে বলে,
-“না না! আন্টি। আমার ভেতরে যাওয়াটা হয়তো অনেকেই পছন্দ নাও করতে পারে।”
-“এটা কেমন কথা বাবা? কেউ পছন্দ করুক বা না করুক তাতে কি আসে যায়? চলো চলো ভিতরে চলো।”
একে তো লোকটাকে চিনি না তার উপর মা তাকে নিয়ে আদিক্ষেতা করছে। অচেনা অপরিচিত একজন লোককে আমার ঘরে বসতে বলছে। রাগ হচ্ছে খুব। কিন্তু প্রকাশ করতে পারছি না। মা আর ওয়ালিদ নামে লোকটা আমার বিছানায় আসে রাজ্যের গল্প জুড়ে দিয়েছে। আমি দরজার পাশে দাড়িয়ে সব দেখছি কেবল। সহ্য করতে না পেরে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উদ্যত হলেই মা পিছু ডাকে। হাঁটা থামিয়ে পেছনে মুড়ে দাঁড়াই। মা আমার দিকে তাকিয়ে ওষ্ঠে হাসি বজায় রেখে বলে,
-“কোথায় যাচ্ছিস? আয় এদিকে বসে ওয়ালিদের সাথে কথা বল। মাটির মানুষ একদম।”
মায়ের কথায় মনে মনে মুখ বাঁকিয়ে বলি,”এ্যাহ! প্রতিটা মানুষই তো মাটির হয়। এ আর নতুন কি?” কিন্তু মুখে তা বলি না।
-“ওনাকে তো ঠিক চিনলাম না আম্মু।”
অক্ষিদ্বয় গোলাকৃতি করে মা অবাক হওয়ার কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
-“কিহ বলিস? চিনিস না? আরে এই ছেলেটা না থাকলে আজ তোর মাথা ফাঁটতো।”
-“মানে?”
-“অজ্ঞান হয়ে যখন পরে যাচ্ছিলি তখন তো ওয়ালিদই তোকে ধরলো৷ না হয় বড়সড় একটা আঘাত পেয়ে বসতি।”
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে মায়ের পানে। আমি তো ভাবছিলাম বাবা নয় তো ভাইয়া কেউ একজন ধরেছে। কিন্তু অচেনা একটা লোক আমার শরীরে হাত দিয়েছে। ভেবেই কেমন গা ঘিন ঘিন করে উঠছে। তাকিয়ে দেখলাম লোকটা আমার পানেই আবদ্ধ। কেমন করে যেনো তাকিয়ে আছে যা আমার মোটেও ভালো ঠেকছে ন। আমি জোর পূর্বক হেসে লোকটাকে ‘ধন্যবাদ’ বলি। সে মাথা নাড়িয়ে বুকে হাত রেখে বলে,
-“ডোন্ট সেএ থ্যাংকিউ ইট’স মা’ই প্লে’জার।”
আমি আম্মুর দিকে তাকিয়ে বলি,
-“আম্মু আমি একটু তনুফ ভাইয়ার রুমে যাই। তোমরা না হয় লিভিং রুমে বসে কথা বলো।”
আমার কথায় মা চোখ রাঙ্গিয়ে তাকায় আমি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে তনুফ ভাইয়ার কাছে চলে যাই। জানতে তো হবে রোদ্দুর সাথে ভাইয়ার বিয়ে ঠিক হলো কি করে? মনে মনে হাজার প্রশ্ন আবিষ্কার করতে করতে তনুফ ভাইয়ার রুমে প্রবেশ করি। ঘরে গিয়ে আমি রীতিমতো অবাক। আগের সব ফার্নিচার সব বদলে নতুন করে আনা হয়েছে। আলমারিটাও বেশ বড়। আর তনুফ ভাইয়া নিজের শেরওয়ানি হাতে নিয়ে কি যেনো করছে। আমি গিয়ে অবাক হয়ে ভাইয়া কে বলি,
-“ভাইয়া এসব কি? ঘরের রূপ তো একদম পাল্টে ফেলেছো।”
ভাইয়া বোধ হয় খানিক লজ্জা পেয়েছে। ছোট বোনের বান্ধবী বিয়ে করছে লজ্জা তো পাবেই। আমার দিকে না তাকিয়েই বলে,
-“হ্যাঁ! মা করেছে।”
-“মা করেছে? তুমি তো নিজের মত না থাকলে এদিকের জিনিস ওদিক করতে দেও না তাহলে পুরো রুমের চেহারাই বদলে গেলো। কিচ্ছু বললে না?”
তনুফ ভাইয়া কোনো কথা বলছে না দ্রুত শেরওয়ানিটা আলমারিতে রেখে ঘর ময় অযথা ছুটাছুটি করছে। আমিও ভাইয়ার পিছু পিছু হাটছি আর এটা ওটা বলছি। ভাইয়া আমার কথার কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর শান ভাইয়া হাঁপাতে হাঁপাতে তনুফ ভাইয়া ঘরে প্রবেশ করে। হাত পা ছড়িয়ে বিছানায় শুয়ে বলে,
-“ভাইয়া আমি চলে গেলেই বিয়েটা করতে। কাজ করতে করতে আমার জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।”
তনুফ ভাইয়া বলে,
-“তোকে কাজ করতে বলেছে কে?”
-“বলতে হয় নাকি? ভাইয়ের বিয়ে নিজ থেকেই করতে হয়। আর আমার বিয়েতেও তো তুমি করবে তাই না।”
বলেই লাজুক হাসছে। তনুফ ভাইয়া আর আমি একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে উচ্চস্বরে হেসে দেই। এতে শান ভাইয়া খানিকটা রাগ দেখি বলে,
-“হাসার কি হলো? আমার কি বিয়ে হবে না নাকি?”
আমি হাসতে হাসতে বলি,
-“না না! বিয়ে তো হবে কিন্তু তুমি বুড়ো দাদু হওয়ার পর।”
-“বুচি তোকে আজ লুচি বানাব।”
আমার দিকে তেড়ে আসতেই আমি তনুফ ভাইয়া পেছনে লুকিয়ে পরি। শান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় বোঝাচ্ছে “তোকে একবার পাই হাতের কাছে বুঝবি মজা।”
শান ভাইয়াকে পাত্তা না দিয়ে আমি তনুফ ভাইয়া কে বলি,
-“আচ্ছা ভাইয়া তোমার আর রোদ্দুর বিয়ে ঠিক হলো কি করে?”
আমার কথায় ভাইয়া বিষম খেয়ে যায়। শান ভাইয়া পানি এগিয়ে দিয়ে দুষ্ট হেসে বলে,
-“বুঝিস না? পেয়ার পেয়ার।”
তনুফ ভাইয়া শান ভাইয়ার কাঁধে চ’ড় মে’রে বলে,
-“পেকে গেছিস বেশি তাই না?”
-“সব তো তোমার থেকেই শেখা।”
ভাইয়া আর কিছু না বলে রুম থেকে চলে যায়। ভাইয়া চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে শান ভাইয়া শব্দ করে হেসে দেয়। আমি শান ভাইয়া কে জিজ্ঞেস করি,
-“ভাইয়া বলো না বিয়েটা ঠিক হলো কি করে?”
-“কি জানি? পরশু দেখলাম বাবা সবাই কে ডেকে বললো তনুফের বিয়ে দুদিনের মধ্যে। আর কনে রৌদ্রসী। আমি তো হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওই খরা নাকি আমার ভাবি। ভাবা যায় এসব।”
-“কিভাবে কি হলো তা জানো না?”
-“আর কি হবে? বাবা বিয়ে ঠিক করেছে ব্যাস আর কি কথা থাকতে পারে।”
আমি ভাইয়ার কথায় বেশ বিরক্ত হই। রুম থেকে বেরিয়ে সিদ্ধান্ত নেই ভাবির কাছে গিয়ে শুনব সব। ভাবির রুমে গিয়ে দেখি ভাবি ফোনে কথা বলছে। আমি চুপি চুপি গিয়ে বসে পরি। ভাবি আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে? আমিও ইশারায় বুঝাই ফোন কথা বলা শেষ হোক। ভাবি ফোন রেখে আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,
-“হঠাৎ আমার রুমে রাজকন্যার আগমন কি ব্যাপার?”
-“একটা কথা জিজ্ঞেস করব? সত্যি সত্যি বলবে কিন্তু।”
-“আমি আমার শ্রেয়ুর সাথে কখনও মিথ্যা বলেছি?”
আমি মাথা নাড়িয়ে না বোঝাই,
-“আচ্ছা ভাবি রোদ্দু আর ভাইয়ার বিয়ে ঠিক হলো কি করে?”
ভাবি মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বলে,
-” রোদ্দু কে বাড়িয়ে যেদিন নিয়ে এলো সেদিন তনুফ রাস্তায় রোদ্দু আর তার বাবা-মা কে দেখে। তারপর বাড়ি এসে তোকে কল দিয়ে সবটা জানে। তারপর বাড়ির সবাই কে ডেকে বাবা কে বলে সে রোদ্দু কে বিয়ে করবে। রোদ্দু কে তার আগে থেকেই পছন্দ। ভেবেছিলো আর একটু বড় হলে বিয়ে করবে কিন্তু হঠাৎ কি যে হলো ভাইয়া শক্ত হয়ে বলে দিয়েছে রোদ্দু কে সে এই সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করবে। বাবা ভাইয়ার কথায় রোদ্দুর বাড়ি বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু রোদ্দুর মা সরাসরি না করে দেয়। তারপর তনুফ ভাইয়া নিজে গিয়ে বিয়ের জন্য রাজি করায়।”
-“ভাইয়া কি বলেছিলো?”
-“তা তনুফ জানবে তাকে জিজ্ঞেস কর।”
-“দাঁড়াও ভাইয়া কে এখানে আসতে বলি।”
আমি ভাইয়া কে কল দিয়ে ভাবির রুমে আসতে বলি। খানিক বাদেই ভাইয়া এসে হাজির হয়৷ ভাইয়া আমাদের দিকে তাকিয়ে বিছানায় বসে। ভাবি ভাইয়া কে জিজ্ঞেস করে,
-“তনুফ তুমি বাবা কে বিয়ের জন্য রাজি করালে কি করে?”
ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে বলে,
-“বাবা কে বলেছিলাম যে রোদ্দুর মা তার মেয়ে কে ছাড়া থাকতে পারছে না। তাই হোস্টেল থেকে নিয়ে এসেছে। আর এখানেই ভর্তি করবে। শ্রেয়ু একা হয়ে যাবে সমস্যা হবে তাই বলেছি বিয়ের প্রস্তাব দিতে। বিয়ে হলে রোদ্দু কে শ্রেয়ুর কাছে রাখলেও তারা কিছু বলতে পারবে না আর না কিছু করতে পারবে।”
-“আর রোদ্দুর বাবা-মা কে কি বলেছো?”
-“রোদ্দু তো কলেজে ঝামেলা পাকিয়েছে তাই বলেছি এই ঝামেলার কথা সবাই জেনে গেছে ইন্টারনেটে ভিডিও আছে রোদ্দর জন্য পাত্র খুঁজতে বেশ কসরত করতে হবে। তার থেকে ভালো আমার সাথে বিয়ে হলে৷ আর আমি রোদ্দু কে আগে থেকেই পছন্দ করতাম তাই।”
-“বাপরে তনুফ তুমি এত কিছু করলে আর আমরা জানিই না।”
-“এসব জেনে আর কি করবে?”
আমি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলি,
-“তা তুমি রোদ্দু কে কবে থেকে পছন্দ করো?”
-“ওসব তোর জানাতে হবে না। আমি গেলাম কাজ আছে।”
ভাইয়া চলে যায় আমি আর ভাবি একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে দেই। ভাবির সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলছি। কথা বলার এক পর্যায় আমার ফোনে মেসেজ আসার শব্দ হয়। আমি ফোন অন করে দেখি আরাবীর নম্বর থেকে মেসেজ। আমি ভাবির দিকে তাকিয়ে বলি,
-“ভাবি কলেজ থেকে নুসু কল দিচ্ছে। কথা বলে আসছি।”
ভাবির ঘর থেকে বেরিয়ে ছাদে চলে যাই। সারা বাড়িতে মেহমান কেবল ছাদেই কেউ নেই। সবাই নিচে আয়োজন করছে। ছাদে এসেই আরাবী কে কল দেই। ফোনের ওপাস থেকে কোনো কথা আসছে না। শুধু শোনা যাচ্ছে কারো ভারি নিঃশ্বাসের শব্দ। নিশ্বাসের শব্দে আমার হৃৎপিণ্ড বিদ্যুৎ গতির চেয়েও তীব্র বেগে স্পন্দিত হচ্ছে। নীরবতা ঘুচিয়ে শান্ত কন্ঠে আরাবী বলে উঠে,
-“ফিরবে কবে?”
-“দুদিন পর।”
-“দুদিন কেনো? কাল নয় কেনো?”
-“তনুফ ভাইয়া আর রোদ্দুর বিয়ে তাই।”
-“আমাদের কবে হবে?”
-“কী?”
-“বিয়ে।”
তার কথায় খানিকটা লজ্জা পাই। কেউ এভাবে নিজের বিয়ের জন্য আফসোস করে তা আরাবী কে না দেখলে বুঝতামই না। ছাদের রেলিং ধরে আকাশের পানে দৃষ্টি আবদ্ধ করি। আকাশটা আজ পরিষ্কার। তারা গুলো জ্বলজ্বল করছে। চারদিকে উজ্জ্বলতায় ভরপুর। হবে নাই বা কেনো সারা বাড়ি আলো দিয়ে সাজানো। আমার মৌনতা ভেঙে আরাবী বলে,
-“লজ্জা পাচ্ছো?”
-“একদমই না।”
-“মিথ্যা বলছো কেনো?”
-“আমি মিথ্যা বলি না।”
-“প্রেমে পরলে মানুষ অনিচ্ছা অজান্তেই মিথ্যা বলে। তোমার সাথেও তাই হচ্ছে।”
-“আমি প্রেমে পরেছি কে বললো? আমি তো……”
কথাটা বলতে বলতেই পেছনে ঘুরি আর ঠিক তখনই কারো বুকের সাথে আমার মাথায় ধাক্কা লাগে। অনাকাঙ্ক্ষিত ধাক্কায় খানিকটা পিছিয়ে যাই। সম্মুখে দৃষ্টি বলে করতেই দেখি ওয়ালিদ নাামক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে। অন্ধকারেও স্পষ্ট বুঝতে পারছি সে আমার দিকে কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে যেনো তাকিয়ে আছে। আচমকা কারো আগমনে আমি বেশ ভয় পেয়ে যাই৷ ফোনটা এখনও আমার কানে ধরে রাখা। ফোনের ওপাশ থেকে আরাবী বার বার প্রেয়সী বলে ডাকছে। কিন্তু আমি কথা বলার শক্তিই হারিয়ে ফেলেছি। ওয়ালিদ বেশ কিছুক্ষণ পর বলে,
-“কার প্রেমে পরা নিয়ে কথা হচ্ছে?”
আমি চট করে কান থেকপ ফোনটা নামিয়ে কল কেটে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলি,
-“কা..কারোই না। এমনি কথা বলছিলাম।”
-“আমি স্পষ্ট শুনেছি। তুমি কাউকে বলছিলে প্রেমে পরার কথা।”
-“কই না তো। আমি তো নুসুর সাথে কথা বলছিলাম। নুসু মানে নুসাইবা আমার বেস্টফ্রেন্ড।”
লোকটা আমার কথা বিশ্বাস করেনি তা স্পষ্ট। আমি সেখানে না দাঁড়িয়ে কাজ আছে বলে নিচে নেমে যাই। লোকটা একটু বেশি নজরদারি করছে আমার উপর। তা আমার মোটেও ভালো ঠেকছে না।
নিচে নামতেই মা তাড়া দেওয়া শুরু করে রেডি হতে। রোদ্দুদেদর বাড়ি যেতে হবে। রোদ্দুর বিয়ের গয়না নিয়ে। মনে মনে বেশ ভয়ও হচ্ছে কারণ রোদ্দু আমাকে সামানে পেলে জুতা দিয়ে পেটাবে। প্রথমে মা কে না বলেছিলাম যাব না। কিন্তু মায়ের এক কথা যেতেই হবে তাও আমাকে একা। মা কে কি করে বোঝাই ডেঞ্জারাস রোদ্দু আমাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
সন্ধ্যার পর বেরিয়ে পরলাম রোদ্দুর বাড়ির উদ্দেশ্যে। না জানি মেয়েটা আমার সাথে কি করে বসে?
~চলবে…….