#শ্রেয়সী
#পর্ব_১৪
#লেখনীতে_নাদিয়া_সিনহা
ভয়ে কাচুমাচু হয়ে বসে আছি। আমার ঠিক সামনে দুহাত বুকের উপর আড়াআড়ি ভাজ করে বসে আছে আরাবী। শান্ত স্থীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আমার পানে। বারংবার ঢোক গিলে স্বাভাবিক থাকার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। ঢোক গিলতেও কষ্ট হচ্ছে। তবে লাভ বিশেষ হচ্ছে না। হবোই বা কি করে? সামনের টেবিলেই এক বক্স আইসক্রিম রাখা। আইসক্রিম কার জন্য এনেছে তাও বলছে না। শুধু চুপ করে আমার দিকেই তাকিয়ে বসে আছে। প্রায় অনেকটা সময় বাদে আরাবী বলে,
-“খাওয়া শুরু করো।”
ভাঙ্গা কন্ঠে মৃদুস্বরে বলি,
-“ঠান্ডা খেলে আরও ঠান্ডা লেগে যাবে।”
-“তাহলে তো আরও ভালো। তোমাকে আর কলেজে আসতেই হবে না। বাড়িও যেতে পারবে।”
আমি ভয়ে চুপ করে আছি। অবশ্য কিছু বলার নেইও আমার। বুঝতেই পারছি আরাবী সবটা বুঝে গেছে। লুকিয়ে অথবা ভনিতা করে কা’টা’নো যাবে না। তাই এই মুহুর্তে চুপ থাকাই শ্রেয়। আমার চুপ থাকা দেখে আরাবী আমার শক্ত করে আমার বাহি ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
-“ইচ্ছে করে নিজের এই অবস্থা করেছো তাই না?”
আমি মাথা নাড়িয়ে ‘না’ বলি। আরাবী দিগুন শক্তিতে আমার হাত চেপে ধরে বলে,
-“চালাকি অন্তত আমার সাথে চলবে না৷ কাল বিকেলেও তুমি সুস্থ ছিলে। হঠাৎ করে অসুস্থ হওনি এটা অন্তত আমি বুঝি। কি করেছো সব বলবে। এখনই!”
আমি ভয়ে রীতিমতো কাঁপছি। আরাবী কে ভয় পাওয়ার বিশেষ কারণটা আজও খুঁজে পেলাম না। অকারণেই এই মানুষটাকে আমার ভয় হয়। ইচ্ছে হয় তার চোখে তাকিয়ে প্রতিটা মুহুর্ত অতিবাহিত করতে। তার দিকে দৃষ্টি আবদ্ধ করতেই গভীর দৃষ্টির চোখের নেশায় ঘায়েল হয়ে যাই যেনো। আমায় নীরব দেখে আরাবী হাতে ঝাঁকিয়ে বলে,
-“এন্সার মি ডেম ইট।”
-“আসলে নুসু কাল বলেছে আপনি প্লান করছেন আমাকে দিয়ে গান করাবেন কিন্তু আমি গাম করতে চাই না তাই আইসক্রিম খেয়ে গলা বসিয়ে ফেলেছি।”
এক নিশ্বাসে কথাটা বলে দম নেই। গলাটাও শুকিয়ে গেছে তাই আরাবী কে উপেক্ষা করে টেবিল থেকে পানি নিয়ে ঢকঢক করে পান করি। আরাবী কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞেস করে,
-“এই বুদ্ধিটা কার? রৌদ্রসীর?”
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দৃষ্টি স্থাপন করি আরাবীর মুখশ্রীতে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার পানেই তাকিয়ে। আমি মাথা নাড়িয়ে ‘হ্যাঁ’ বলি। আরাবী সটান হয়ে বসে আশেপাশে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস টেনে বলে,
-“জানতাম এই কুবুদ্ধি ওই টকিং মেশিনের। তোমাকে দিয়ে গানই করাব ভাবলে কি করে? তেমাকে আমি বলেছি? তাহলে আগেই কেনো স্টেপ নিয়ে নিজের ক্ষতি করলে? শ্রেয়সী আই সওয়ের আই উইল কিল ইউ।”
মাথা নিচু করে টলমলে দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। আরাবী আবার বলতে শুরু করে,
-“আসীফ শুধু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো শ্রেয়সীকে গান করতে দিব কি না। আমি ওকে সঙ্গে সঙ্গে না করি। জানি তুমি এতগুলো মানুষের সামনে গান করতে ভয় পাবে। কিন্তু কে জানত নুসাইবা অর্ধেক কথা শুনেই লাফিয়ে উঠবে।
আসলে মেয়েরা একটু বেশিই বোঝে। কথা শেষ না হতেই কথা ইনিয়েবিনিয়ে বানিয়ে ফেলে। তোমাকও বলছি। কোনো বিষয়ে শিওর না হয়ে কখনও কোনো স্টেপ নিবে না। আর যত কঠিন কাজই হোক না কেনো কখনও নিজের ক্ষতি করো না। তা হোক জীবনের কিংবার শরীরে। বোঝা গেছে?”
-“হ্যাঁ।”
-“প্রমিস দ্যাট।”
-“প্রমিস।”
-“মেডিসিন নিয়েছো?”
-“উঁহু!”
-“কেনো?”
-“এমনি।”
-“এভাবে আমাকে পোড়ানোর মানে কি?”
আমি অবাহ হয়ে আরাবী কে জিজ্ঞেস করি,
-“আমি আপনাকে কখন পোড়ালাম?”
আরাবী ওষ্ঠে ফুটে উঠে মৃদু হাসির রেখা। অতঃপর আমার দিকে দৃষ্টি আবদ্ধ করে বলে,
-“কিছু দহন একান্তু, নীরবে, নিভৃতে শুধু আমিটা কে পোড়ায়। তাও প্রিয় মানুষটার জন্য। এই দহনে কোনো কষ্ট নেই আছে শুধু প্রেয়সীর জন্য অসীম আকাশ ন্যায় ভালোবাসা।”
আমি অপলক তাকিয়ে থাকি আরাবীর পানে। তার দৃষ্টি স্পষ্ট অসীম অম্বর ন্যায় ভালোবাসা। কেবল তা শ্রেয়সীর জন্যে। কেউ আমাকেও এতটা ভালোবাসতে পারে? আদৌও কী বিশ্বাসযোগ্য? সবটা কেমন কল্পনা বলে বোধ হয়।
-“কল্পনা নয় সত্যি।”
-“কিহ?”
আচমকা আরাবীর কথায় চোখ বড় বড় করে তার পানে দৃষ্টি আবদ্ধ করি। ছেলেটা বুঝলো কি করে আমি কল্পনায় কি ভাবছি।
-“যা কল্পনায় ভাবছিলে তা।”
-“আমি কি ভাবছিলাম আপনি কি করে জানলেন?”
-“অত সব তোমার না জানলেও চলবে।”
কথাটা বলেই ফোন বের করে কাউকে কল দিয়ে বলে পাঁচ মিনিটে তার বলার জিনিস গুলো দিয়ে যেতে। বসে থাকতে আমার আর ভাল্লাগছে না। বিরক্ত আমি৷ আরাবীর ভয়ে কথাও বলছি না। প্রায় অনেক্ক্ষণ পর আসীফ ভাইয়া এসে একটা প্যাকেট আরাবী কে দিয়ে চলে যায়। আরাবী প্যাকেটটা খুলে ঔষধ আর খাবার বের করে আমার সামনে রাখে আর বলে,
-“ফিনিস ইট।”
-“এত গুলো খাবার আমি খেতে পারব না।”
-“নো মোর এক্সকিউজ।”
-“কিন্তু……..”
-“এক কথা আমি বার বার বলতে পছন্দ করি না।”
বেশ বুঝতে পারছি আরাবী আমার কোনো কথাই শুনবে না৷ তাই চুপচাপ খাওয়া শুরু করে দেই। আমি খাচ্ছি আর আরাবী আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এতে আমার বেশ অস্বস্তিও হচ্ছে। তবুও চুপচাপ খেতে থাকি।
খাওয়া শেষ হতেই আরাবী আমার হাতে ঔষধ ধরিয়ে দেয়। বিনাবাক্যে ঔষধটাও খেয়ে নেই।
-“মেডিসিন গুলো সময় মতো খাবে। আমি কল দিয়ে খোঁজ নিব।”
আমি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেই। আরাবী আমার সম্মতি পেয়ে উঠে দাঁড়ায়।
-“চলো তোমাকে কলেজে দিয়ে আসি।”
আমিও চুপচাপ উঠে হাঁটা দেই। আরাবী আমার পিছু পিছু আসছে। গাড়িতে উঠতে যাব ঠিক সেই মুহূর্তে আরাবী আমার হাত ধরে হেঁচকা টান দেয়। টাল সামলাতে না পেরে আমার মাথা তার বুকের সাথে ধাক্কা লাগে। সে আমার চোখে তার অতল গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে,
-“প্রেয়সী আপনি কি সত্যি বোঝেন না আপনার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অসুস্থতা আমায় পোড়ায়। এক মুহুর্তও আমাকে শান্তি দেয় না। প্রতিটা মুহুর্ত কেবল দহন-এ পুড়ে ছা’র’খা’র করে দেয়। অসংখ্য বি’ভৎ’স’তা ঘিরে ক্ষত-বিক্ষত করে আমার হৃদয়। আমি নামক মানবের জন্য কি আপনার মায়া হয় না? কেবল আমার জন্যে কি একটু ভালো থাকতে পারেন না? আপনি কি সত্যি বোঝেন না এই কোন দহনে আমি প্রতি নিয়ত পুড়ছি।”
আবারও হারিয়ে গেছি আরাবীর গভীর দৃষ্টিতে। কিছু একটা ছিলো সেই দৃষ্টিতে। যা আমি ধরতে পারিনি। আরাবী আমাকে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দেয়। আমার মস্তিষ্ক আপাতত আরাবী বলা কথা গুলে চারণ করছে৷ আচ্ছা সে কি চায়? তাকে আমি বুঝে উঠতে পারছি না কেনো?
____________________
বিছানায় বসে এক নাগাড়ে কেঁদে যাচ্ছে নুসু। রোদ্দু বিরক্তিকর দৃষ্টিতে নুসুর পানেই তাকিয়ে। আমার আর একদম সহ্য হচ্ছে না ওর কান্নাকাটি। তাই প্রশ্ন করেই ফেলি,
-“এভাবে আর কত কান্নাকাটি করবি? থাম না এবার প্লিজ।”
-“তুই কি বুঝবি? নিজে তো ঠিকি চলে গেছিস আরাবী ভাইয়ার সাথে প্রেম বিলাস করতে।”
রোদ্দু চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,
-“তোকে কে মানা করেছে প্রেম বিলাস না করতে? তুইও যা না সাজ্জাদ ভাইয়ের সাথে প্রেম বিলাস করতে।”
-“একদম বাজে বকবি না রোদ্দু।”
-“বাজে বকব কেনো? যা দেখেছি সব সত্যিই বলছি।”
কৌতূহল নিয়ে রোদ্দু কে প্রশ্ন করি,
-“কি হয়েছে রে? কি দেখেছিস?”
-“কি হয়নি বল। তোর এই বিভীষণ বান্ধবী সাজ্জাদ দ্যা বজ্জাতের সাথে তলে তলে ইস্ক চালায়।”
আমি বড় বড় চোখ করে নুসুর দিকে তাকাই। নুসু কাচুমাচু হয়ে চোখ নামিয়ে ফেলে। আমি রোদ্দুর দিকে তাকিয়ে বলি,
-“তুই কিভাবে জানলি রে রোদ্দু?”
-“তুই চলে যাওয়ার পর আমরা যে যার রিহার্সাল রুমে চলে যাই। নুসুর পা ভাঙ্গা তাই নুসু বাইরে বসে থাকে। তো আমাদের রিহার্সালের মাঝে সাজ্জাদ বলে ‘আমি আসছি’ বলেই বেড়িয়ে যায়। প্রায় অনেক্ক্ষণ পর আমার ফোনে কল আসে আমি তাই বাইরে যাই। আমাদের স্টোর রুমে থেকে হঠাৎ শব্দ শুনতে পাই। আমিও কৌতূহল নিয়ে সেদিকে যাই। গিয়ে তো ভূত দেখার মতো চমকে যাই। জানিস কি দেখি?”
-“কি দেখিস?”
-“সাজ্জাদ ভাই আর নুসু কে। সাজ্জাদ ভাইয়া দুহাত দিয়ে নুসুর কাঁধ শক্ত করে ধরে রেখেছিলো।”
-“পুরো কাহিনি ডিটেইলসে বল।”
———————
সাজ্জাদ ভাই শক্ত করে নুসুর কাঁধ ধরে ঝাঁকাচ্ছিলো আর বলছিলো,
-“মিথ্যা বলার একটা লিমিট থাকে নুসাইবা। তুমি তো সেই সীমাই অতিক্রম করে ফেলেছো।”
নুসু ভয়ে ভয়ে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে,
-“আমি কিছু করিনি। প্লিজ ছেড়ে দিন।”
-“কিছু করোনি মানে কি? পায়ে কি হয়েছে?”
-“ভেঙ্গে গেছে।”
গর্জে উঠে সাজ্জাদ ভাই বলে,
-“আবার মিথ্যা বলছো। আমার সাথে মিথ্যা বলার সাহস হয় কি করে তোমার?”
-“মিথ্যা না সত্যি বলছি।”
-“তাই না? সত্যি বলছো তাই তো? ওকে মেনে নিলাম সব সত্যি। তাহলে তুমি কলেজে এলে কি করে? তোমাদের আমি খুব ভালো করে চিনি। তোমরা একটু সুযোগ পেলেই কলেজ বাঙ্ক করো। আর এখন তো তোমার পা ভেঙেছে। এত আদর্শবান স্টুডেন্ট হলে যে পা ভাঙ্গা নিয়েও কলেজে চলে এলে? হাউ ইজ দিস পসিবল?”
-“আসলে কলেজে আসার পথে এমনটা হয়েছে তাই আর ফেরত না গিয়ে কলেজে এসেছি প্রেজেন্ট দিতেই।”
সাজ্জাদ ভাই ছোট ছোট চোখ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে নুসুর দিকে তারপর নিচু হয়ে ব্যান্ডেজটা খুলতে শুরু করে। নুসু ছটফট করে বলছে ব্যাথা করছে। তা যেনো সাজ্জাদের কর্ণপাতই হচ্ছে না। রোদ্দু দূর থেকে দাঁড়িয়ে সব পরখ করছিলো। যখনই দেখলো সাজ্জাদ ভাই নুসুর ব্যান্ডেজ খুলছে ও দৌড়ে নুসুর কাছে যায়। আর সাজ্জাদ ভাই কে বলে,
-“ভাইয়া কি করছেন? ব্যাথা পাচ্ছে নুসু। ছাড়ুন ওকে।”
সাজ্জাদ ভাই করো কথাই শুনছে না। নিজের মতো করে ব্যান্ডেজ খুলতে থাকে। ব্যান্ডেজ খোলা শেষ হলেই। নুসুর পা গভীর ভাবে পরখ করে। তারপর নুসুর দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
-“মিথ্যা বললে কেনো?”
নুসু ভয়ার্ত কন্ঠে জবাব দেয়,
-“আমাকে নাচের মধ্যে নাম দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি নাচের ‘ন’ও জানি না। কিন্তু আমার নামও কা’ট’ছি’লো না তাই এমন করেছি।”
-“তোমার কি মনে হয়? এত গুলো লোকের সামনে আমি তোমাকে নাচতে দিতাম? আমার সহ্য হতো? আমি থাকতে আমার ভালোবাসার মানুষকে সবার সামনে ওভাবে আসতে দিতাম? আমার কথা মনে পরেনি তোমার? অন্তত আমাকে বলতে পারতে। এসবের কি প্রয়োজন ছিলো?”
-“সরি।”
-“নিজের সরি নিজের কাছেই রাখো। গো টু হেল।”
দ্রুত পায়ে প্রস্থান করে সাজ্জাদ। নুসু ওখানেই দাঁড়িয়ে হু হু করে কেঁদে দেয়। রোদ্দু অবাক দৃষ্টিতে নুসুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,
-“হে রে নুসু তুই সাজ্জাদ দ্যা বজ্জাত কে পছন্দ করতিস। আর আমি কিচ্ছু বুঝিনি।”
_____________________
রোদ্দুর কথায় আমি নুসুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রই। সত্যি তো নুসু আর সাজ্জাদ ভাই কিভাবে চুপিচুপি প্রেম করে গেলো? আর আমরা কেউ কিচ্ছু টেরও পাইনি। নুসুর জায়গায় রোদ্দু হলেও আমি মেনে নিতাম। কিন্তু নুসু? ভাবা যায় এত কিছু। রোদ্দু তো ননস্টপ বকবক করেই যাচ্ছে। হঠাৎ করেই আমার ফোনে কল আসে তাই ওদের না বলেই বাইরে বেরিয়ে আসি। ফোনে দৃষ্টি আবদ্ধ করতেই দেখি আরাবীর কল। দ্রুত কল রিসিভ করি। ফোনের ওপাশ থেকে শান্ত কন্ঠে বলে উঠে,
-“মেডিসিন নিয়েছো?”
-“হুঁ!”
-“জেগে আছো কেনো এখনও?”
-“এমনি ঘুম আসছিলো না তাই।”
-“আমার কলের অপেক্ষায় ঘুম আসছিলো না নাকি……”
-“আব! আচ্ছা রাখছি কেমন এখন ঘুমাব। রোদ্দু ডাকছে।”
-“এক মিনিট কল কাটবে না।”
-“হ্যাঁ?”
-“রোদ্দুর আর কোনো কথায় কান দিবে না। তাহলে অবস্থা ভয়ানক হবে। তোমারও আর রোদ্দুরও। মনে যেনো থাকে কথাটা।”
-“হ্যাঁ হ্যাঁ মনে থাকবে। এখন রাখি?”
-“প্রেয়সী?”
আরাবীর প্রেয়সী ডাকে কেমন যেনো অনুভূতি হয়। কেমন ঘোরের মধ্যে পদার্পণ ঘটে আমার। আমার নীরবতায় আরাবী বলে,
-“পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের প্রতিটা স্থানে লেখা হোক আরাবীর প্রেয়সী কেবল শ্রেয়সী। চাঁদের গায়েও আঁচড়ে উঠুক আরাবী-শ্রেয়সী নামক মানব-মানবীর প্রণয়ের সন্ধি।”
~চলবে…….