you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প) Part.34 (শেষ পর্ব)

0
3143

you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part.34 (শেষ পর্ব)
#Maishara_Jahan

বলে আরাব আর রিমান জোরে জোরে হেঁসে দেয়। রিমান তাকিয়ে দেখে দূরে এক বারান্দায় মাহুয়া মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। রিমান আরাব আর ফারহানকে বলে মাহুয়ার কাছে যায়।

রিমান,,,,,,,,, এই যে মেম অন্য কাওকে ভালোবাসে ফেললে নাকি।

মাহুয়া,,,,,,,, মানে।

,,,,,,,,, কাল আমাদের বিয়ে আর আজ আপনি মুখ কালো করে দাঁড়িয়ে আছেন। কি এতো চিন্তা করছেন শুনি।

মাহুয়া,,,,,,,,,,তেমন কিন্তু না।

,,,,,,,,,, তেমন কিছু না মানে অনেক কিছু,, বলবেন নাকি এখান থেকে লাফ দিয়ে নিজের জান দিয়ে দিবো।

,,,,,,,,,(মাহুয়া বারান্দা থেকে নিচে দেখে) এখান থেকে লাফ দিলে তুমি মরবে না,, শুধু হা পা ভেঙে যেতে পারে।

,,,,,,,হ্যাঁ তাই করবো, পরে হাত পা ভাঙা সবার সামনে যেতে পারবে তো, সবাই নেংড়ার বউ বলে ডাকবে।

,,,,,,,,,তুমিও না (হেঁসে)

,,,,,,,,,হাসলে তোমায় দারুন লাগে,, সব সময় হাসবে। এখন বলো কি হয়েছে।

,,,,,,,,,, আসলে আমি ছাড়া আমার বাবার কেও নেয়। ছোট থেকে বাবাই আমার মা বাবা দুটোই ছিলো, আর আমি বাবার পরিবার। আমি ছাড়া বাবার আর কেও নেয়। আমাকে ছাড়া একদিন থাকতে পারে না সারা জীবন কিভাবে থাকবে। আমি ছাড়া বাসায় কথা বলার মতো কেও নেয়, আর বাবা যে কথা বলে,, এখন কার সাথে বলবে। এইজন্য আমি বিয়েই করতে চাইছিলাম না। (মন খারাপ করে)

,,,,,,,,,,,তোমার বাবাও ঠিক এভাবে মন খারাপ করে ছিলো তখন তোমার বাবাকে বলেছিলাম আমাদের সাথে এসে থাকতে।

,,,,,,,, আমার বাবা আনেক আত্মসম্মান সম্পূর্ণ মানুষ, না খেয়ে মরে যাবে তাও কারো মেহেরবানী নিবে না।

,,,,,,হুমম,,তিনিও এক জটকায় না করে দিয়েছে, তারপর আমি তোমার বাবাকে একটা আইডিয়া দেয় যাতে সব ঠিক হয়ে যায়।

,,,,,,,,,,কি আইডিয়া।

,,,,,,,,এটাই, যে আমাদের এখানে একটা বাড়ি খালি আছে আপনি সেটা কিনে সেখানে থাকতে পারেন। আর তোমার বাবা রাজি হয়ে গেছে, এখন তুমি আমাদের দরজার সামনে দাঁড়ালে তোমার বাবার বাড়ির গেইট দেখতে পাবে।

,,,,,,,,,সত্যি (খুশি হয়ে রিমানকে জরিয়ে ধরে)

,,,,,,,হুমমম সত্যি।

মাহুয়া খুশিতে রিমানের গালে শক্ত করে একটা কিস করে বলে,,,,,,,উম্মাহহহহ আই লাভ ইউ।

রিমান,,,,,,,,, হায় আজ আমি মরেই না যায়।

ফারহান,,,,,,,,,, পরে মরিস এখন আমাদের সাথে আয়, সবাই তোদের ডাকছে।

মাহুয়া ফারহানকে দেখে রিমানকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয়।

রাত অনেক হয়েছে নাচ গান এখনো চলছে। ফারহান রিমি সাথে, রিমান মাহুয়ার সাথে, আরাব মুনের সাথে ডান্স করে, পরে আবার তিন বন্ধু এক সাথে ডান্স করে। আর তিন বউ এক সাথে ডান্স করে। গবীর রাতে সবাই ঘুমাতে যায়। অনেকে যেখানে জায়গা পায় সেখানেই ঘুমিয়ে পরে।

সকালে,,,,,,,,,

সকাল অনেক হয়েছে তাও তিন বউ আর জামাইয়ের চোখ খুলছে না। কেও তাদের ডাকছেও না। তিন বন্ধু এক জনের উপর আরেক জন ঘুমাচ্ছে।

সকাল ১১ টার দিকে উঠে নিচে যায়। রিমান নিচে গিয়ে সোফায় হাঁটু ভাজ করে শুয়ে পড়ে।

আরাব,,,,,,,, রিমান তুই কি ঘুমাচ্ছিস, এই নে তোর কফি। এটা খেলে আর ঘুম ধরবে না।

রিমান মাথাটা একটু উঠিয়ে বলে,,,,,,,তুই এক মাত্র আমার সত্যি কারের বন্ধু। আমার জন্য কফি নিয়ে এসেছিস।

আরাব,,,,,,,,, ভুল বুঝে লাভ নেয় বন্ধু, এই মাত্র কাজের লোক এসে দিয়ে গেলো।

রিমান,,,,,,, আমি আগেই জানতাম তোদের মতো হাড়ামি বন্ধু হতেই পারে না।

ফারহান,,,,,,,,,, এই সব ছাড় বন্ধু আজ আমাদের বিয়ে ভাবা যায়। পুরো বাড়িটা আমাদের জন্য সাজানো হয়েছে। আজ থেকে আমার রিমিকে নিয়ে আর কোনো টেনশন থাকবে না। না তোর বাবা কি করবে সেটা নিশে না তুই কি বলবি সেটা নিয়ে। আজ থেকে রিমি আমার।

আরাব,,,,,,,,এর আগে তুই এসব নিয়ে টেনশন করতি।

ফারহান,,,,,,, তাহলে,, অনেক করতাম।

রিমান,,,,,,,, হোয়াট এ ফাও চাপা।

তখনি মুন আসে,, আরাবের সাথে বসে।

ফারহান,,,,,,,,,, আমাদের বউয়েরা কোথায়।

মুন,,,,,,,,, তোদের মা বলেছে বিয়ের আশর ছাড়া ওদের তোমাদের সামনে না আসতে। তাই সন্ধ্যা ছাড়া দেখতে পারবে না।

রিমান,,,,,,,, আহারে আহারে কখন দেখিবো তাহারে।

মুন,,,,,,,, কেও হিরো গিড়ি দেখাতে গিয়ে আবার ধরা পইরেন না তাহলে তার খবর আছে।

ফারহান,,,,,,,, আমি সব সময় ধরা পরে যায়, এবার আমি যাবোই না।

সন্ধ্যায়,,,,,,,,,,,

আরাব ফারহান আর রিমানকে রেডি করে। দুজনকে গোল্ডেন শেরওয়ানি পড়ায়, গোল্ডেনে মধ্যে কিছু কিছু জায়গায়, লাল ডিজাইন করা। আর আরাব কালো শেরওয়ানি পড়ে।

দুজন স্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, তখন মাহুয়া আর রিমিকে নিয়ে আসা হয়। মাহুয়া আর রিমি লালের মধ্যে গোল্ডেন কাজ করা লাগবো লেহেঙ্গা পড়ে। ওদের উপর রজনী গন্ধা আর গোলাপ ফুল দিয়ে ছাদনা ধরে রাখা হয়।

ওরা হেঁটে আসতে থাকে আর তখনি মুন গান ছাড়ে, মেরে সাইয়া সুপার স্টার,, আর বলে,,,,,,, আমাকে নাচিয়েছো এখন তোমাদের পালা। স্টাট।

মাহুয়া আর রিমি এক সাথে ডান্স করে করে আসছে। ঐ দিকে রিমান নাচতে নাচতে চলে আসতে নিচ্ছিলো। ফারহান ধরে বলে,,,,,,, পাগল তুই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক। এখানে দাঁড়িয়ে নাচ আমার মতো।

মাহুয়া আর রিমি নেচে নেচে আসে,, গান শেষ হয়, সবাই হাত তালি দেয়।

দুই জোরাকে সামনা সামনি বসানো হয়। তাদের সামনে সাদা পাতলা পর্দা টাঙানো হয়। কাজি বিয়ে পড়ানো শুধু করে। মাহুয়াকে কবুল বলতে বলা হলে ফটাফট কবুল বলে দেয়।এটা দেখে রিমির পালা এলে রিমিও ফটাফট কবুল বলে দেয়।

তারপর তারা আইনি ভাবে বিয়ে করে। তাদের এক সাথে বসিয়ে খাবার দেওয়া হয়।

রিমি,,,,,,,, বললে না তো কেমন লাগছি।

ফারহান,,,,,,,,, একটু পরেই আমাদের বাসর ঘরে দেওয়া হবে সেখানেই বলবো ওকে।

রিমি,,,,,,,,, নট ওকে,, বলো কেমন লাগছি, আমার দিকে ভালোভাবে তাকাও আর বলো কেমন লাগছি।

ফারহান,,,,,,,,, আমি তোর দিকে তাকাতে পারছি না।

রিমি,,,,,,,, কেনো এতোটা খারাপ লাগছে।

ফারহান,,,,,,,,, (ফারহান রিমির চোখের দিকে তাকায়) তোর দিকে তাকাতেই আমার নেশা হয়ে যাচ্ছে। মনের মধ্যে একটা ঝড় উঠছে।

রিমি আম্মুক হয়ে তাকিয়ে আছে, ফারহান তার চোখ সরিয়ে নেয়।
,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,,, বধু বেসে তোমাকে একদম আর বধু পরী লাগছে। তোমার বড় বড় চোখে মনে হচ্ছে ডুবে যায়। ভালো হয়ে তুমি ছেলেদের মতো থাকতে।

মাহুয়া,,,,,,,,,, কেনো।

রিমান,,,,,,, তুমি মেয়েদের মতো তাকলে আমি এতো সুন্দর বউ কিভাবে পেতাম, আমার আগেই হয়তো তোমাকে অন্য কেও নিয়ে যেতো।

মাহুয়া,,,,,,,,,, এমন হলে আমিও তোমাকে কিভাবে পেতাম।

রাত ১ টা,,,,,,,,,

তিন বন্ধু এক সাথে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। আরাব বড় একটা হাসি দিয়ে বলে,,,,,,,, অল দা বেস্ট ফ্রেন্ড।

রিমান + ফারহান,,,,,,,,, থেংক ইউ।

ফারহান,,,,,,, রিমান তুই কোনো গন্ডগোল করিসনি তো। জানি তুই করবি না, তোর বোনের বাসর রাত তাই না।

রিমান,,,,,,,,, সেটাই তো ভাই হয়ে কিভাবে করবো তবে বন্ধু করতে পারে।

ফারহান,,,,,,,,,, আগে তোর বোন পরে বন্ধু।

রিমান,,,,,,,, তোর বন্ধু মনে হয় আমি একা। ফারহান তুই আমার ঘরে কিছু করিসনি তো আবার।

ফারহান,,,,,,,, আমার এসব ভাবার সময় নেয়। দাঁড়া আমি আরাবের সাথে একটু আলাদা কথা বলি।

ফারহান আরাবকে একটু রিমান থেকে দূরে নিয়ে যায়।

ফারহান,,,,,,,,, যেমন প্ল্যান করেছি ঠিক তেমনি করেছিস না।

আরাব,,,,,,,একদম।

ফারহান,,,,,,, আমার রুমে আবার,,,

আরাব,,,,,, আরে না না, আমি জানি আমার বাসর ঘর খারাপ করার প্ল্যান রিমানের ছিলো, এটা তোর হতেই পারে না।

ফারহান,,,,,,,, ঠিক,,, চল এবার।

রিমান,,,,,,,, আমিও আরাবের সাথে আলাদা কথা বলবো। তুই বলেছিস তাই আমিও বললো।

রিমান ও আরাবকে নিয়ে যায়।

রিমান,,,,,,, ও তোকে কি বললো।

,,,,,,, ওর রুমে কোনো গন্ডগোল করেছিস নাকি সেটাই জিজ্ঞেস করেছে।

,,,,,,,, তুই কিছু বলিস তো নি আবার।

,,,,,,,,, না না,,,, আর তুই আমার রুমে তো আবার কিছু করিসনি তাই না। আমি কিন্তু তোর বাসর ঘর খারাপ করতে চাই নি, এটা ফারহানের প্ল্যান ছিলো।

,,,,,,,, জানি তো আমি।

ফারহান,,,,,,, হয়েছে তোদের কথা।

আরাব,,,,,,, হুমম,,, যা তোরা বাসর ঘরে যা।

রিমান,,,,,,, আর তুই তোর রুমে যা।

আরাব,,,,,,, আমি আমার রুমেই যাবো।

আরাব চলে যায়।

রিমান,,,, ,, বিচারা এই বাসর রাতটাও শান্তি মতো কাটাতে পারবে না আমাদের জন্য।

ফারহান,,,,,,,, হুমম।ওকে বাই দোস্ত।

রিমান,,,,,, বাই

,,,,,,,,,,

রিমান ভিতরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। সামনে তাকিয়ে দেখে মাহুয়া নেয়।

রিমান,,,,,, হেহহ আমার বউ কই গেলো। মাহু মাহু।

মাহুয়া,,,,,,, এই তো আমি এখানে। (শর্ট নাইট ড্রেস পড়ে)

রিমান,,,,,,,,,, ঐ হই,,,,, ড্রেস চেঞ্জ করলে যে।

মাহুয়া,,,,,,,,, এতো ভাড়ি লেহেঙ্গা পড়ে থাকতে দম বন্ধ হয়ে আসছিলো, তাই খুলে ফেলেছি। কেনো এটাতে ভালো লাগছে না।

রিমান,,,,,,,,,, একদম হটি লাগছে।

,,,,,,,, আচ্ছা দাঁড়াও,, তোমার ও তো কিন্তু শখ আছে।

মাহুয়া লেহেঙ্গার ওড়নাটা নিয়ে মাথায় গোমটা দিয়ে বিছানায় গিয়ে বসে পড়ে। রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। মাহুয়া ওড়নাটা একটু উঠিয়ে বলে,,,,, আরে আমার গোমটা উঠাও।

,,,,,,,ওকে ওকে আবার।

মাহুয়া গোমটা দিয়ে বসে, রিমান মাহুয়ার পাশে বসে গোমটা উঠায়। উঠিয়ে আস্তে আস্তে এগোতে থাকে, আর তখনি এলার্ম বাজতে থাকে। দুজনে চমকে যায়।

মাহুয়া,,,,,,,,, বালিশের নিচ থেকে আওয়াজ আসছে।

রিমান বালিশের নিচে চেক করে দেখে একটা এলার্ম ঘড়ি সেখানে রাখা। রিমান ঘড়িটা নিয়ে এলার্ম বন্ধ করে।

রিমান,,,,,,,,, শালারা। দাঁড়াও আমি খুঁজে বের করি, আমি নিশ্চিত এখানে আরো এলার্ম ঘড়ি আছে। রিমান আর মাহুয়া খুঁজে মোট দশটা ঘড়ি আবিষ্কার করে। আর সব গুলো জালানা দিয়ে ফেলে দেয় রিমান।

রিমান,,,,,,, এখন কোনো সমস্যা নেয়।

বলে মাহুয়াকে কোলপ উঠিয়ে নেয়। কোলে উঠিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়। তারপর কিছু গোলাপের পাপড়ি নিয়ে মাহুয়ার উপড় ছিটিয়ে দেয়। রিমান আস্তে আস্তে মাহুয়ার কপালে কিস করে, পড়ে গালে, ঠোঁটে দিকে এগোতেই মাহুয়া চোখ বন্ধ করে দেয়।,,,,,,,,,,

,,,,,,,,,,

ফারহান রুমে ডুকে দেখে রিমি সুন্দর করে গোমটা দিয়ে বসে আছে। ফারহান আস্তে আস্তে রিমির পাশে গিয়ে বসে। বসে রিমির হাতটা নিয়ে একটা কিস করে।

তারপর গোমটা উঠায়, রিমিও আস্তে আস্তে ফারহানের দিকে তাকায়।

ফারহান,,,,,,,,,,, তুই এতো গুলো গহনা কেনো পরেছিস
এখন এগুলো খুলবো কিভাবে।

,,,,,,,, আমাকে পড়ালে আমি কি করবো।

,,,,,,,,দাঁড়া আমি হেল্প করেছি।

ফারহান রিমির গহনা আস্তে আস্তে সব খুলে দিচ্ছে, গহনা খুলে সব টেবিলে রাখছে। সব গহনা খুলে টেবিলে রেখে দেয়। তখনি এলার্ম বাঝা শুরু হয়ে যায়। রিমি ভয়ে ফারহানের হাত শক্ত করে ধরে।

রিমি,,,,,,,,,, কিসের আওয়াজ এটা।

,,,,,,,,, ভয়ের কিছু নেয়, এটা তোর দুই ভাই এর ফাজলামোর আওয়াজ। কোথায় কোথায় এলার্ম ক্লক আছে খুঁজ।

ফারহান আর রিমি সব ঘড়ি খুঁজে এলার্ম বন্ধ করে দেয়। রিমি বন্ধ করে চিত হয়ে শুয়ে পড়ে। ফারহান ও হয়রান হয়ে শুয়ে পড়ে। ফারহান তার মুখ রিমির দিকে ঘুড়াতেই রিমির পিঠ দেখতে পায়। ব্লাউজের গলাটা বেশ বড়।

ফারহানের চোখ আটকে যায়, সেখানে। ফারহান আস্তে আস্তে রিমির পিঠে তার ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। রিমি কেঁপে উঠে। তখনি খাটের নিচ থেকে একটা এলার্ম ক্লক বাঝা শুরু হয়। রিমি উঠতে নেয় ফারহান রিমিকে শক্ত করে ধরে থাকে।

,,,,,,,,, কিছু ক্ষন পরেই বন্ধ হয়ে যাবে।

রিমিকে নিজের দিকে ফিরিয়ে, রিমির ঠোঁট নিজের করে নেয়।

,,,,,,,,,,

আরাব তার রুমে ঢুকে দেখে তার রুম ও বাসর ঘরের মতো সাজানো। আর মুন বিছানায় বসে আছে।

আরাব,,,,,,,,, আমার রুম কথা নো সাজানো হয়েছে।

মুন,,,,,,, ফারহান আর রিমান আমাদের সারপ্রাইজ দিয়েছে।

,,,,,,,,, আহারে আমার আমার কথা কতো ভাবে তারা আর আমি কি না,,,,,, যাই হোক এটা আমার ২য় বাসর রাত। প্রথম বারে কিছু না হলেও এবারে অনেক কিছু হবে।

আরাব মুনের কাছে গিয়ে মুনকে কিস করতে থাকে, কিছু ক্ষন পরে ওর ঘরেও এলার্ম বাঝা শুরু হয়। আরাব মুনকে ছেড়ে বলে,,,,,,,,শালারা আজকেও এমন করলো। কোনো ব্যাপার না।

আরাব তুলো এনে ওর কানে গুঁজে নেয়, আর মুনের কানেও গুঁজে দেয়।

,,,,,,,,, ঘড়ি খুঁজে টাইম নষ্ট করতে পারবো না।

বলে আরাব মুনকে কিস করতে থাকে।

কয়েক দিন পর,,,,,,,,

সকালে রিমানের মা রান্না করছিলো, মাহুয়াও সেখানে যায়।

মাহুয়া,,,,,,, মা, আমিও রান্না করবো।

,,,,,,,,, নতুন বউকে দিয়ে রান্না করাবো। তুমি বসো, আমি রান্না করে নিয়ে আসছি।

,,,,,,,,, আমি তো বেশি কিছু পারি না, শিখিয়ে দিলে পারবো, এখন কিছু একটা করতে দাও। আমিও তোমার রান্নার কাজে সাহায্য করবো।

,,,,,,,,, ঠিক আছে, তুমি গাজর গুলো ছোট ছোট করে কেটে দাও।

,,,,,,,,, ছোট ছোট করে,, ঠিক কতো টুকু ছোট।

,,,,,,,, এই তো এক ইঞ্চির মতো করে।

মাহুয়া রুম থেকে ইস্কেল নিয়ে আসে, সেখানে এক ইঞ্চি দুই ইঞ্চি লেখা থাকে, সেটা দিয়ে মেপে মেপে কাটছে।রিমানের মা তো একটু কাজে রান্না ঘর থেকে বাহিরে যায়।

তখন রিমান এসে এটা দেখছে। অভাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,,,,,,,,, কি করছো।

,,,,,,,,দেখছো না সবজি কাটছি।

,,,,,,, এভাবে মেপে মেপে।

,,,,,,,, মা বলেছে এক ইঞ্চি কাটতে।

রিমান হাততে হাসতেহাসতে বলে,,,,,,, তুমি কি মজা করছো, এভাবে কে কাটে। মায়ের কথার মানে হলো এগো টুকু ছোট ছোট করে কাটলেই হবে। তাই বলে একদম ঠিক এক ইঞ্চিই কাটতে হবে এর কোনো মানে নেয়। দাঁড়াও আমি তোমাকে শিখাচ্ছি।

রিমান মাহুয়ার পিছনে দাঁড়িয়ে, মাহুয়ার হাত ধরে সবজি কাটা শিখাচ্ছে। কিছু ক্ষন পর তার মা চলে আসে, আর রিমান ও সরে যায়।

মা,,,,,,,, কি হচ্ছে।

রিমান,,,,,,, কিছু না মা, আমি তো গাজর খেতে এসেছিলাম।

বলে মুখে একটা গাজর নিয়ে চলে যায়।

,,,,,,,,,

ফারহান বিছানয় শুয়ে মোবাই টিপছে, রিমি গুনগুনিয়ে মাথার চুল আঁচড়াচ্ছে। ফারহান মোবাইলটা রেখে রিমিকে ডাক দেয়।রিমি যেতেই রিমিকে নিজের দিকে টান দেয়, রিমি ও ফারহানের উপর পড়ে যায়। রিমি মাথা উঠিয়ে বলে,,,,,,, এটা কি হচ্ছে।

,,,,,,,,,,তোকে কাছ থেকে দেখতে ইচ্ছে করছে।

,,,,,,,,আচ্ছা তাহলে ভালো করে দেখো।

,,,,,,,,এখন তোকে কিস করতে ইচ্ছে করছে।

,,,,,,,,,উম্মাহ (একটা কিস করে)

,,,,,,এখন,,

,,,,,,,,এখন আর কিছু না। চুপচাপ ছাড়ো আমাকে।

,,,,,,, একটু পর ছাড়ছি।

,,,,,,,,,,,

মুন আরাবকে জরিয়ে ধরে আছে, আজ আরাবকে কিছু তেই অফিসে যেতে দিবে না।

আরাব,,,,,,,,, কেনো অফিসে যেতে দিবে না সেটা তো বলো।

,,,,,,,, আজ আমার মন চাইছে না তোমাকে যেতে দিতে। যাবে না মানে যাবে না। আজ আমরা সবাই মিলে এক সাথে গল্প করবো।

,,,,,,,,,সে তো রোজি হয়।

,,,,,,,,,,,,দূরর যাবে না তুমি, আজ শুক্রবার সবার বন্ধ তোমার কিসের খোলা,, যাবে না মানে যাবে না। আর তোমার তো কোনো বস ও নেয় যে, তোমাকে না গেলে বকা দিবে বা সেলারি কেটে নিবে।

,,,,,,,,,ঠিক আছে যাবো না, খুশি।

,,,,,,,, ইয়েস,,,,,

কিছু ক্ষন পর সবাই এক সাথে বাগানে জরো হয়।

আরাব,,,,,,,, কি অবস্থা।

রিমান,,,,,,, আলুর বস্তা,,,,,,,, প্রতিদিন তো দেখা হয়, আবার জিজ্ঞেস করা লাগে।

ফারহান,,,,,,,, ঠিক আছে, দশদিন পর্যন্ত দেখা করমু না পরে জিজ্ঞেস করমু।

রিমান,,,,,,, কন দশদিনের জন্য কি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবি নাকি মরে যাবি।

ফারহান,,,,,,, তোকে মারার প্ল্যান করছি।

আরাব,,,,,,তুই ওকে মেরে দশদিন পরে আবার জীবিত করবি কিভাবে।

রিমান,,,,,,, দশ দিন পরে ও নিজেকে মেরে উপরে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করবে কেমন আছি উপরে।

রিমি,,,,,,, কি মরা মরি লাগিয়ে দিয়েছে। এই নে তোর কফি।

রিমান,,,,,,,, দিলাম দোয়া কইরা খাবি ভিক্ষা কইরা।

রিমি,,,,,,,, দে আমার কফি ফিরত দে।

রিমান,,,,,,,,, কতো বড় ফকিন্নি দেখো।

আরাব,,,,,,,তোর জন্য আমার একটা মন থেকে দোয়া আসে।

রিমান,,,,,,, কি শুনি।

আরাব,,,,,,,,আল্লাহ যেনো তোকে তোর মতো দুটো ছেলে দেয়।

ফারহান,,,,,,,, আমিন।

রিমান,,,,,,,, লজ্জা করে না তোদের নিজের বন্ধুকে বদ দোয়া দিতে। আমার মতো বাটপার যদি ঘরে দুটো থাকে তাহলে তো আমার মাথায় চুল একটাও থাকবো না।

আর সবাই সাথে সাথে হেঁসে দেয়।

Happy Ending

কেমন হলো পুরো গল্পটা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। আর এখন একটু অসুস্থ,,, সুস্থ হলেই নতুন গল্প নিয়ে আসবো, আশা করি সবাই পড়বেন। ধন্যবাদ।

Thanks for reading,,,,,,,,, সমাপ্ত,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here