you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part.33
#Maishara_Jahan
আরাব,,,,,,,,, রিমান এখন তোর কি হবে (শয়তানি হাসি দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, ওরে আজকে এতো ভয় দেখাবো যে বলার বাহিরে হিহিহি।
সবাই ঘুমিয়ে যায়,রিমন ও ঘুমিয়ে যায়। রাত তখন দুটো বাঝে। ফারহান উঠে আরাবকে কল দেয়। আরাব আস্তে আস্তে ফারহানের রুমে আসে৷
ফারহান,,,,,,,,, ক্লোরোফ্রম এনেছিস৷ (আস্তে)
আরাব,,,,,,, হুমম এটা রিমানের নাকের সামলে ধরলে দশ মিনিট পর্যন্ত অজ্ঞান থাকবে। তখন তাকে মেরে ফেললেও টের পাবে না।
ফারহান,,,,,,, তাহলে দেড়ি কিসের ধর রিমানের নাকের সামনে।
আরাব তার পকেট থেকে একটা ছোট বোতল বের করে, তার মুখ খুলে রিমানের নাকের সামনে ধরে। কিছু ক্ষন পর আবার বোতলের মুখ বন্ধ করে পকেটে রেখে দেয়।
ফারহান,,,,,,,,, অজ্ঞান হয়েছে তো, দাড়া একটু চেক করি।
ফারহান রিমানের কান ধরে টান দেয়। আরাব কপালে কয়েকটা টুকা দেয়। তাতে রিমান একটু নড়ছেও না।
আরাব,,,,,,,, চল নিয়ে একে আর উঠবে না দশ মিনিট পর্যন্ত।
দুজনে মিলে রিমানকে উঠিয়ে ছাদে নিয়ে যায়। ছাদে নয়ে গিয়ে শুয়ানোর আগেই ধপাশ করে পড়ে যায়। আরাব আর ফারহান ভয়ে লাফিয়ে উঠে। ঐদিকে রিমানের কোনো হুশশ ও নাই। আরাব আর ফারহান রিমানকে ভালো করে রেলিং এর কাছে শুয়িয়ে দেয়। সাথে ফাশের রশি রেলিং এ ঝুলিয়ে দেয়।
তারপর আরাব আর ফারহান দেওয়ালের পিছনে লুকিয়ে যায়। আধ ঘন্টা হয়ে গেছে রিমান এখনো উঠছে না। শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে তাও উঠছে না।
আরাব,,,,,,,,,এরকম মরার মতো কে ঘুমায়।
ফারহান,,,,,,, এর ব্যবস্তা ও আছে।
ফারহান মিনি সাউন্ড বক্স বের করে বলে,,,,,,,, এটাতে ভুতের ভয়ানক ভয়ানক আওয়াজ বাঝবে।
আরাব ফারহানের মাথায় একটা থাপ্পড় মেরে বলে,,,,,,,, হাড়ামি আগে বের করলি না কেনো, বসে বসে মশার কামড় খাওয়ার জন্য।
,,,,,,,,এখনি মনে পড়লো।
ফারহান বক্সে ভয়ংকর ভয়ংকর আওয়াজ ছাড়ে। রিমান কিছু ক্ষন মিটমিটিয়ে আস্তে আস্তে চোখ খুলে। একবার চোখ খুলে তাকিয়ে আবার বন্ধ করে ফেলে, আবার সাথে সাথে চোখ বড় বড় তাকিয়ে উঠে বসে।
উঠিয়ে দেখে তার উপরে ফাশ টাঙানোর রশি, এক লাফ দিয়ে উঠে সেখান থেকে সরে যায়। আশেপাশে ভালো করে দেখে।
রিমান,,,,,,,, আ আ আমি এখানে কিভাবে আসলাম,, আমি তো ঘু ঘু ঘুমাচ্ছিলাম।
তখনি বক্স থেকে একটা মেয়ের হাসির আওয়াজ আসে, রিমান সাথে সাথে চিৎকার করে উঠে,,,,,,,,, আব্বাআআআআ
রিমান জোরে জোরে দোয়া পড়া শুরু করে। ভয়ে উল্টা পাল্টা বলছে। ঐ দিকে ফারহান আর আরাব রিমানের অবস্থা দেখে হাসা হাসি শুরু করে দেয়।
রিমান ভয়ে দৌড়াদৌড়ি করা শুরু করে দেয়। ঠিক কোথায় যাবে না যাবে বুঝে পারছে না। তখনি বক্স থেকে আওয়াজ আসে,, এক জন জোরে ভয়ানক আওয়াজে বলে,, থাম।
সেটা শুনে রিমান তো থেমেই যায়, সাথে সাথে আরাব আর ফারহানও ভয়ে পেয়ে যায়। রিমান ভয়ে বলতে থাকে,,,,,,, দে দে দেখেন আপনি কেনো মরেছেন সেটা আমি জানি না, শু শু শুনতেও চাইনা। আমি আপনাকে মারি নি তাহলে আপনি কেনো আমাকে মারবেন। আর উঠানোর ছিলো তাহলে আমাকে একা উঠালেন কেনো আমার আর দুটো বন্ধু কি দোষ করছে।
ফারহান,,,,,,,, হাড়ামি।
আরাব,,,,,,,, কতো বড় কুত্তা।
রিমান,,,,,,,,,,, ওরা থাকলে একটু সাহস পেতাম,,,,,,, ফা ফা ফারহান,,, আরাব (জোরে)
আরাব,,,,,,,, থাক অনেক হয়েছে, এখন আমরা ওর সামনে যায়। আর ভয় দেখালো মরেই যাবে হয়তো।
ফারহান,,,,,,,,, ঠিক, চল বাহিরে যায়।
আরাব আর ফারহান তখন দেওয়াল থেকে বেরিয়ে আসে। রিমানের পিছনেই ছিলো, ওরা রিমানের দিকে এগিয়ে আসছিলো। রিমান বুঝতে পারে ওর পিছনে কেও আছে। ওর পাশে একটা ছোট বালতি ছিলো, আর বালতির মধ্যে কিছু একটা ছিলো।
রিমান সোজা বালতি উঠিয়ে দুজনের উপরে ঢেলে দেয়। দুজন হা করে দাঁড়িয়ে থাকে। ওদের দেখে রিমান আরো ভয় পেয়ে যায়। কারন বালতিতে ছিলো কালো রং। আর আরাব আর ফারহানকে কালো কাকের মতো লাগছিল।
রিমান ভয়ে দুজনকে উড়াধুড়া মারতে থাকে। আরাব আর ফারহান বার বার বলছে তারা কে, কিন্তু সেদিকে রিমানের কোনো খেয়াল নেয়। রিমান তো ইচ্ছে মতো পিটাচ্ছে আর বলছে,,,,,,,,,, আজ ভুতকে দেখিয়ে দিবো আমি কে। আমাকে কিটনাপ করবি, জানস আমি কে,, রিমান খান। ইস্টুপিট ভুত। (মারতে মারতে)
রিমান উদের নাকে মুখে মারছে, তখন ওদের ও রাগ উঠে ওরাও রিমানকে মারতে থাকে। রিমান মার খাচ্ছে, আর ওদের মার দিচ্ছে আর বলছে,,,,,,,, ঐ ফারহান,, আরাব তাড়াতাড়ি তোরা আয়, কতো ঘুমাবি, আমি একা মারামারি করে পারছি না (জোরে জোরে ঢেকে)
তিনজনে মারামারি করতে করতে নিচে পড়ে যায়। তিনজনে নিচে গড়া গড়ি করে তার তিনজন তিনজনকে মারছে। রিমানের মুখও মেখে যায় কালো রং এ। তিন জন মারামারি করছে, আর রিমান শুধু ফারহান আরবকে ডাকছে।
আরাব রাগে রিমানের চুল টেনে ধরে আর বলে,,,,,,,, হাড়ামি ভালো করে দেখ আমি আরাব আর ও ফারহান।
ফারহান,,,,,,,,, শালা তোর উপর মায়া করায় ভুল হয়ছে।
এতো ক্ষনে রিমানের হুশশ হয়ছে। রিমান মার থামিয়ে বলে,,,,,,, তোরা,, তাহলে তদের মুখ এতো কালো কেনো।
ফারহান,,,,,,,,, তুই যে ভালোবেসে বালতির মধ্যে যা ছিলো তাই ফেলেছিস, সেটার পরিনাম (তিনজনের তিনজনকে ধরে শুয়ে আছে)
রিমান,,,,,,,, ও সরি সরি তোরা আমাকে বাঁচাতে এসেছিস আর আমি তোদের মারছিলাম।
ওরা উঠতে নিবে, আর তখনি ওদের উড়াধুড়া লাঠির মার পড়ে। চিৎকার করে তাকিয়ে দেখে, তাদের বাবারা তাদের পিটাচ্ছে। সাথে সাথে চোর বদমাস বলছে।
তিনজন বাবা বাবা আমরা আমরা বলছে। কিন্তু তাদের বাবারা শুনছে না। একটু পর তাদের মা এসে থামায়।
মারা,,,,,,,, আরে থামো,, এদের আওয়াজ আমাদের ছেলেদের মতো লাগছে না।
আরাব,,,,,,,, ছেলেদের মতো লাগছে কি, আমি আমরা তোমাদের ছেলে আরাব।
ফারহান,,,,,,,, আমি ফারহান।
রিমান,,,,,,,,, আমি রিমান,,, এমন জানোয়ারের মতো কেও মারে (কান্নার ভাব নিয়ে)
মুন,,,,,,,,, কিন্তু তোমাদের এই অবস্থা হলো কিভাবে।
রিমান,,,,,,,,, ভুতরা আমাকে কিটনাপ করে নিয়েছিলো, আরাব আর রিমান আমাকে বাঁচাতে এসেছিলো আর আমি ওদের ভুত মনে করে কালো রং ঢেলে দিয়েছি।
মাহুয়া,,,,,,, এভাবে শুয়ে কি করছিলে।
রিমান,,,,,, তাদের ভুত মরে করে মারছিলাম,,এই হারামিরাও আমাকে মারছিলো।
রিমি,,,,,,,, ভুত কিটনাপ করেছে মানে।
রিমান,,,,,,,,, হহ দেখস না কেমন কেমন আওয়াজ আসতাছে।
মুন,,,,,,,, কিন্তু এটা তো পোকামাকড়ের আওয়াজ।
রিমান,,,,,,,, এতো ক্ষন অন্য আওয়াজ ছিলো,, এ দেখো ফশের রশি টাঙানো, ঐটা হয়তো আমার জন্যই টাঙানো হয়েছে।
মা,,,,,, নাউজুবিল্লাহ বাবা কি কস এগুলো।
সবাই এটা দেখে ভয় পেয়ে যায়। তখন ফারহান আর আরাব আমতা আমতা করে বলে।
ফারহান,,,,,,, ভয় পাওয়ার কিছু নাই,, এটা আমরাই টাঙিয়েছি।
রিমান,,,,,,,, হেহ মানে।
আরাব,,,,,,,, আমরা রিমানকে ভয় দেখানোর জন্য ওকে অজ্ঞান করে এখানে নিয়ে এসেছিলাম।
রিমান,,,,,,,, আর ঐ আওয়াজ।
ফারহান,,,,,,, ঐ খানে মিনি বক্স আছে (একটা ইনোসেন্ট হাসি দিয়ে)
রিমান,,,,,,,,,, হালাট পো হালা, তোদের তো।
রিমান তাদের বাবা থেকে একটা লাঠি নিয়ে দুজনকে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে পিটাতে থাকে। তখনি জোরে একটা ভয়ানক হাসির আওয়াজ আসে আর সবাই ভয়ে লাফিয়ে উঠে জোরে চিৎকার দেয়। রিমান এক লাফ দিয়ে আরাবের কোলে উঠে পরে আরাবও রিমানকে কোলে নিয়ে নেয়।
রিমান আরাবের কোল থেকে ফারহানকে লাথি মেরে বলে,,,,,,, আগে তোর বক্স বন্ধ কর। না হলে এখানে অনেকে হার্ট অ্যাটাক করে মরে যাবে। আর আমি যদি মরে যায় তাহলে প্রতি রাতে তোদের এসে জ্বালামু।
ফারহান তাড়াতাড়ি গিয়ে বক্স বন্ধ করে দেয়। রিমান ও আরাবের কোল থেকে নেমে বলে,,,,, আমি মেয়ে না যে, আমাকে এভাবে কোলে উঠিয়ে রাখসছ বেশরম হুহহ।
সবাই ফারহান আর আরাবকে বকতে থাকে।
রিমান,,,,,,,, হয়ছে হয়ছে থাক, আর এটা নিয়ে কথা বলা লাগবে না। ওরা একা একা বকা খাচ্ছে এটা আমার সহ্য হচ্ছে না, হিংসে হচ্ছে।
রিমি,,,,,,,,, সিরিয়াসলি ভাইয়া।
রিমান,,,,,,,, তুই বুঝবি না। আর বাবা, মামু আর আংকেল আপনারা এখানে কিভাবে আসলেন।
মামু,,,,,,,, তোরা যে চিৎকার চেচামেচি করছিলি তাতে সবাই জেগে গেছে। আমরা ভাবলাম কোনো চোর টোর হবে।
রিমান,,,,,,,, চোর বলে কি মানুষ না,, এভাবে কেও জানোয়ারের মতো মারে,,হাতে মারলে কি হতো।
বাবা,,,,,,,, আমরা হাতে মারতেই আসছিলাম তখন মাহুয়া মা বললো আংকেল হাতে মারলে কিছু হবে না আপনি লাঠি নিয়ে যান।
রিমান অসহায় ভাবে মাহুয়ার দিকে তাকায়, মাহুয়া রিমানকে দেখে ছোট করে একটা হাসি দেয়।
আরাব,,,,,,,, কপাল খারাপ থাকলে যা হয় আরকি।
ফারহান,,,,,,, চল তাড়াতাড়ি গোসল করতে হবে, এই কালি মুখে আর ভালো লাগছে না।
তখনি আবার হাসির আওয়াজ আসে, সবাই ফারহানের দিকে তাকায়।
আরাব,,,,,,, হয়ছে তো ভাই বন্ধ কর এবার।
ফারহান,,,,,,,,, কিন্তু বক্সতো অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছি, এই যে আমার হাতে।
এটা শুনে সবাই ভুত ভুত বলে দৌড়ে নিচে যায়।
মুন,,,,,,,,,, তোমাকে অদ্ভুত লাগছে (জোরে জোরে হেঁসে)
আরাব,,,,,,,,, আমি এখন গোসল করতে গেলাম।
মুন,,,,,,,, এই না, আমার একা একা ভয় করবে।
আরাব,,,,,,,, তাহলে আসো এক সাথে গোসল করি।
মুন,,,,,,,, খেয়ে দেয়ে আমার আর কোনো কাজ নেয়,, এক কাজ করো ওয়াশ রুমের দরজা খুলে গোসল করতে ঢুকো। তাহলে আমার ভয় একটু কম লাগবে।
আরাব,,,,,,,,, এটা বলো যে,,আমাকে গোসল করতে দেখতে চাও, এসব তো একটা বাহানা (দুষ্টু হাসি দিয়ে)
মুন,,,,,,,,,, জ্বে নাহহ,,, এমনি তেও ওয়াশ রুম অনেক বড়। আর বার্টাব ভিতরে সো এখান থেকে কিছু দেখা যাবে না। সো তাড়াতাড়ি গোসল করে আসেন, আর হ্যাঁ দরজাটা খুলা রাখবেন পিল্জ।
তিনজনে দু ঘন্টা লাগিয়ে গোসল করে। সবার শরীর লাল হয়ে যায় ঘষতে ঘষতে। গোসল করে বেরিয়েই তিনজনে শুয়ে পড়ে।
অনেক সকাল করে তিনজনে উঠে, উঠেই কাজে ব্যস্থ হয়ে যায়। পুরো বাংলো মেহমানে ভরে যায়। আর নাচ গান তো আছেই।
সন্ধ্যা সবাই এক সাথে বসে নাচ গান করছে, গানের কলি খেলছে। ফারহান পানি খেতে যায় তখন সুমন আসে।
সুমন,,,,,,,, ভাই সবাই আছে এখানে আমি সত্য ধরার মেশিনটা আবার নিয়ে এসেছি খেলতে মজা হবে কি বল। (হেসে হেঁসে)
ফারহান জোরে সুমনের মাথায় একটা থাপ্পড় মেরে মেশিনটা নিয়ে নেয়।
সুমন,,,,,,,, কি হলো ব্রো।
ফারহান,,,,,,,, তোর ব্রো এর গুষ্টি কিলায়,, শালা তোর জন্য ঐদিন আমাকে কতো মার খেতে হয়েছে। তোর এই মেশিন যাদি আর আমি দেখি তাহলে তোর এই মেশিনের সাথে তোকেও কুঁচি কুঁচি করে কেটে ফেলবো। আমাদের তিন বন্ধুকে বাবা মার হাতে মার খায়াতে চাস।
সুমন,,,,,,,,, ব্রো আমি কি করে জানবো যে, রিমি তোমার গার্লফ্রেন্ড। আচ্ছা তুমি কি রিমি কে কিস করেছো নাকি,,,
ফারহান,,,,,,,,, তোর বোনকে করেছি।
সুমন,,,,,,,কিন্তু আমার তো কোনো বোনই নেয়।
ফারহান,,,,,,,, রিমি তোর কি হয় চাচাতো বোন হয় না ইস্টুপিট,,, যা এখন এটা রেখে পড়ে সবার সাথে যোগদান করবি।
সুমন,,,,,,, ওকে ওকে রিলাক্স।
ফারহান গিয়ে সবার সাথে বসে। সবাই আনন্দ ফুরতি করছে।
রিমান,,,,,,,,, আমার কোমর ব্যাথা করছে কেনো, কাল কি তোরা আমাকে অজ্ঞান করে মারছিলি নাকি।
আরাব,,,,,,,,, না শুধু তোকে শুয়াতে নিলে আমাদের হাত ফসকে নিচে পড়ে গেছিলি।
রিমান দুজনকে লাথি দিয়ে বলে,,,,,,,, একটা কাজ ঠিক মতো করতে পারোস না তোর। কাল দিন পরে আমার বিয়ে এখন যদি এই কোমর ব্যাথা ভালো না হয় পড়ে ফাস্ট নাইট খারাপ হয়ে যাবে। আর এটা হলে আমি তোদের ফাস্ট নাইট হতে দিবো না বলে দিলাম।
ফারহান,,,,,,,, না না তোর জন্য আমি বেস্ট ডক্টর থেকে ঔষধ আনাবো।
আরাব,,,,,,,, আমার ফাস্ট নাইট তো হয়ে গেছে।
রিমান ,,,,,,,,, এতো খুশি হয়ো না, বাকি আরো নাইট আছে, যেটাতে তোর থেকে মুনকে দূরে রাখতে পারবো।
আরাব,,,,,,,, আরে ফাস্ট নাইট আর আগেই ভালো হয়ে যাবি চিন্তা করিস না।
অনেক রাত পর্যন্ত নাচ গান হয়। সবাই অনেক আনন্দ ফুরতি করে।
সকালে,,,,,,,
পুরো বাংলোতে গান বাজনা শুরু হয়ে যায়। আজ গায়ের হলুদ বলে কথা। পুরো বাংলো গাধা আর পোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো হয়। সিরি সাদা লাল গোলাপ দিয়ে সাজানো হয়।
সবাই অনেক হেপি। এভাবেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। মাহুয়া আর রিমি হলুদ শাড়ি পড়ে পড়ে, পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরো গোলাপ আর রজনী গন্ধা দিয়ে সাজানো। মুন ও হলুদ শাড়ী পড়ে, আর ওদের মতো সাজ দেয়, শুধু ওদের মতো এতো বেশি ফুল লাগায় না। শুধু মাথার পিছনে খোঁপায় পোলাপ আর রজনী গন্ধার মালা লাগায়।
ওরা নিচে আসছে মিডিয়ারা ছবি তুলছে। আর তিন বন্ধু হা করে তাকিয়ে আছে। ওরা তিনজন ও হলুদ পাঞ্জাবি পড়েছে। বাকি সব ছেলেরা নীল পাঞ্জাবি পড়েছে, আর মেয়েরা নীল শাড়ী।
তিনজন এগিয়ে গিয়ে তাদের দিকে হাত বাড়ায়, তারাও তাদের হাতে হাত রাখে, তিন বন্ধু তাদের জীবন সাথিদের হাত ধরে নিচে নিয়ে আসে।
ফারহান আর রিমিকে এক সাইডে বসানো হয় আর রিমান আর মাহুয়াকে আরেক সাইডে। এখনি গায়ের হলুদ শুরু হবে। আরাব বড় একটা হাসি দিয়ে দুজনের দিকে তাকায় আর আর পাঞ্জাবীর হাতা উপরে উঠাতে থাকে।
রিমান,,,,,,,, ভাই পুরানো কথা মনে রাখতে নেয়।
ফারহান,,,,,,,,, ঠিক।
আরাব,,,,,,,,পুরানো কথা মনে রাখা ভালো।
রিমান,,,,,,,, আগে ফারহানের হলুদ হবে কারন ও আমার থেকে পুরো একদিনের বড় আর বোনের আগে ভায়ের বিয়ে করতে নেয়।
সবাই রিমানের কথায় রাজি হয়। সবাই ফারহান আর রিমিকে হলুদ লাগাচ্ছে ।
আরাব ফারহানের সামনে এসে, পুরো হাত ভরে হলুদ নেয়।
ফারহান,,,,,,,,, তুই একায় লাগাবি তাহলে আর মানুষ হলুদ লাগাবে কিভাবে।
আরাব,,,,,,,, চিন্তা করিস না আমি অনেক হলুদ বাটিয়েছি।
আরাব ফারহানের মুখে পুরো লেপটে দিয়ে বলে,,,,,,,কলিজাটা ঠান্ঠা হয়ে গেছে।
রিমান হেঁসে হেঁসে হলুদের বাটির দিকে এগোয়।
ফারহান,,,,,,,, দেক আমাকে বেশি দিলে কিন্তু আমিও দিবো। চর কম দিলে কম দিবো।
রিমান,,,,,,, তোরে ভালো করে জানি, আমি কম দিলেও তুই ভরিয়ে দিবি।
বলে রিমান দুই হাতে নিয়ে পুরো শরীর ভরিয়ে দেয়।তারপর রিমির দিকে তাকিয়ে হাসি দেয়।
রিমি,,,,,,ভাইয়া সবাই আমাকে একটু একটু দিয়েছে, তুইও কিন্তু একটু,,,,
আর কিছু বলার আগে রিমির মুখ ভরিয়ে দেয়।
রিমি,,,,,,,,,, কুত্তা দেখিস আমি এর প্রতিশোধ নিবো।
ফারহান আর রিমির হলুদ শেষ হয় এখন রিমানের পালা। আরাব আর ফারহান এক সাথে রিমানের সামনে দাঁড়িয়ে হাতা উপরে করছে। পরে দুজনে দুটো বাটি হাতে নিয়ে নেয়।
রিমান,,,,,,,, দেখ,,,
আর কিছু বলার আগেই ফারহান আর আরাব রিমানের উপর হামলা করে। কিছু বলার সুযোগ ও দেয় নায়। কিছু ক্ষন পর দুজনে রিমানকে ছেড়ে দেয়,,,বিচারা চোখ খুলেও তাকাতে পারছেনা। বরং চোখ দেখায় যাচ্ছে না। এমনকি মাথার মধ্যে ও হলুদ দিয়ে ভরিয়ে দেয়।
আরাব,,,,,,,,,,, আমার হেন্সাম বেগুনি।
রিমি এসে সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,,, কোনো জায়গায় তো নেয় দেওয়ার মতো। তাতে কি হয়ছে আমি তোর বউকে দিবো। সরি ভাবি।
মাহুয়া,,,,,,,এটা কিন্তু ঠিক না, আমি কিন্তু একটু লাগিয়েছি।
রিমি,,,,,,, তো কি হয়েছে আমার জামাই ও তো তোমাকে একটু লাগিয়েছে।
বলে মাহুয়ার মুখ ভরিয়ে দেয়,সাথে মুন ও যোগ দেয়।
রিমান,,,,,,,, আরাব দোস্ত তোর সাথে কুলাকুলি করার আমার অনেক শখ। (দুই হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,, আমারো।
আরাব,,,,,,, কোনো দরকার নেয়।
রিমান,,,,,,, তোর অনুমতি কে চাইছে।
বলে দুজনে আরাবের সাথে ঢলাঢলি করে আরাবকে মাখিয়ে ফেলে। আর মাহুয়া আর রিমি মুনকে মাখিয়ে ফেলে।
দুই জোরাকে গোসল করানো হয়। গোসল করে তিন মেয়ে পোলাপি লেহেঙ্গা পড়ে, আর তিন ছেলে হালকা গোলাপী শেরওয়ানি পড়ে।
ফারহান,,,,,,, এই মেয়েদের কালারের শেরওয়ানি কোন গাধায় এনেছে।
আরাব,,,,,,,, তোর মা।
বলে আরাব আর রিমান জোরে জোরে হেঁসে দেয়। রিমান তাকিয়ে দেখে দূরে এক বারান্দায় মাহুয়া মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। রিমান আরাব আর ফারহানকে বলে মাহুয়ার কাছে যায়।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।