#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part.32
#Maishara_Jahan
আরাব মুনকে কোলে উঠিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়। আরাব মুনকে দেখছে, মুন অন্য পাশে মুখ ঘুরিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখে। আরাব আস্তে আস্তে মুনের কাছে যেতে থাকে। মুনের নিশ্বাস ভাড়ি হতে থাকে।
আরাব হালকা করে তার ঠোঁট মুনের গলায় ছুঁয়ে যেতে লাগে। মুন আরাবকে খামছে ধরে। আরাব মুনের মুখ নিজের দিকে ফিরিয়ে তার ঠোঁটে কিস করতে থাকে।
সকালে,,,,,,,,,,
সবাই রেডি হয়ে যায় বাংলোতে যাওয়ার জন্য। বিয়েটা সেখানেই হবে।
ফারহান,,,,,,,,,, আমরা কোন বাংলোতে যাচ্ছি সেটা তো বল।
আরাব,,,,,,,,,,, এখান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে একটা বড় বাংলো আছে। এই বাংলোর মালিক বিদেশ থাকে, তাই সে বাংলো ভাড়া দিয়ে থাকে।
রিমান,,,,,,,,, এতো মেহমান যাবে, সবার জন্য জায়গা হবে তো।
আরাব,,,,,,,,, হবে মানে, বিশাল বড় বাংলো, আমরা যেতে যেতে বাংলো পরিষ্কার করে রাখবে চিন্তার কোনো কারন নেয়।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, ও গর্ধবের দল আপনারা গাড়িতে উঠবেন নাকি উঠানোর জন্য লোক নিয়ে আসতে হবে।
রিমান,,,,,,,,,,, বাবা আমরা যতোই পরে বের হয়, তোমার আগেই বাংলোতে পৌঁছাবো৷
রিয়াদ খান,,,,,,,, তুই কি আমাকে চেলেন্জ করছিস।
রিমান,,,,,,,,,, তোমাকে কি চেলেন্জ করা যায়। তার জন্য ও একটা লেভেল লাগে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, তুই কি বলতে চাস আমার কোনো লেভেল নাই।
মা,,,,,,,, দূররর চুপ করো। রিমান চুপচাপ গাড়িতে বস, আর রিমানের বাবা তুমিও গাড়িতে গিয়ে বসো, না হলে তোমাদের খবর আছে। (রাগে)
দুজনে চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে বসে পড়ে। রিয়াদ খান গাড়ি থেকে মাথা বের করে বলে,,,,,,, রিমি চুপচাপ আমার গাড়িতে এসে বসো, আর মাহুয়া তুমি ইচ্ছে করলে রিমির সাথে বসতে পারো না হলে তোমার বাবার সাথে বসো৷
রিমান,,,,,,,,,, হোয়াট এ ফাও কথা।
ফারহান,,,,,,,,, ব্রো এটা কোনো কথা।
রিমি আর মাহুয়া এক সাথে বসে। রিমান আর ফারহান বেরিয়ে আরাবের গাড়িতে উঠে বসে।
আরাব,,,,,,,,, তোরা এই গাড়িতে কেনো, মুন কোথায় বসবে।
রিমান,,,,,,,,, আমরা একা একা যাবো আর তুমি মজায় মজায় যাবা এটা কি হতে পারে।
ফারহান,,,,,,,,,, সরি দোস্ত আমরা এতো ভালো না, তোরে যে আমাদের আগে বিয়ে করতে দিছি এটা তোর ভাগ্য।
আরাব,,,,,,,,, ইশশ এতো ভালো ভাগ্য আমার।
মুন গিয়ে রিমিদের সাথে বসে৷ সবাই গাড়ি স্টাট দেয়। সবাই গাড়িতে গান বাজিয়ে বাজিয়ে যাচ্ছে। কয়েক ঘন্টা পড়ে সবাই বাংলোর সামনে এসে পৌঁছায়। গাড়ি থেকে নেমেই সবাই হা করে থাকে।
রিমি,,,,,,,,,,, কি সুন্দর বাংলো। আমাদের এখানে বিয়ে হবে ওয়াও।
রিমান,,,,,,,,, এই বাংলো যেমন সুন্দর তেমন ভয়ানক (রিমিকে ভয়, দেখিয়ে)
রিমি,,,,,,,, মানে।
রিমান,,,,,,, এটা একটা অভিশপ্ত বাংলো, অনেক বছর আগে এখানে পুরো একটা পরিবার ফাশি টাঙিয়ে মরে যায়। এর পর থেকে এখানে অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটে থাকে।(ভয়ানক আওয়াজে)
রিমি,,,,,,,, তোমাকে দেখে আমার ভয় লাগছে, এভাবে বলবে না। এতোই যখন সমস্যা তাহলে এই বাংলো বুক কেনো করেছো।
রিমান,,,,,,,,, এই জায়গা সুন্দর তাই।
মাহুয়া,,,,,,,,, ভালোই আমার ভুত দেখার অনেক শখ।
মুন,,,,,,, বলে কি, আমার ভয় করছে।
আরাব,,,,,,,, আরে দূরর আমি আছি না ভয় কিসের। চলো চলো সবাই ভিতরে যাও।
সবাই একটু ভয়ে ভয়ে ভিতরে যেতে থাকে। রিমান দাঁড়িয়ে হাসছে৷ ফারহান আর আরাব রিমানের কাঁধে হাত রাখে।
আরাব,,,,,,,,, তুই জানলি কিভাবে এই বাংলোর আসল কাহিনি কারন আমি তো তোকে বলিনি।
রিমান,,,,,, আসল কাহিনি মানে, এই ঘটনা সত্যি সত্যি এই বাংলোতে হয়েছে। (ভয়ে)
আরাব,,,,,,, হুমম। দেখস না এই বাংলোর আশেপাশে কোনো বাড়ি ঘর নেয়,সবাই এই জায়গা ছেড়ে চলে গেছে।
রিমান,,,,,,,, তাহলে এই বাংলো বুক কেনো করেছিস।
ফারহান,,,,,,,,,, সুন্দর তাই।
বলে ফারহান আর আরাব যেতে থাকে। রিমান সাথে সাথে দৌড় দিয়ে তাদের কাছে যায়, গিয়ে বলে,,,,,,, হালারা আমাকে একা একা ফেলে আসছিস কেনো।
ফারহান,,,,,,,,, কেনো ভয় লাগে।
রিমান,,,,,,,, আরে দূরররর কিসের ভয়, আমি ভয় পায় না।
আরাব,,,,,,, সে তো দেখায় যাচ্ছে।
সবাই বাড়ির ভিতরে গিয়ে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে। বাংলোটা বিশাল বড় আর সুন্দর।
মাহুয়া,,,,,,,, ওয়াও কি সুন্দর, এই বাংলোটা বানাতে নিশ্চয়ই অনেক টাকা লেগেছে।
আরাব,,,,, আচ্ছা সবাই সবার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি সবার রুম দেখিয়ে দিচ্ছি।
আরাব সবাইকে সবার রুম দেখিয়ে দেয়। রিমি আর মাহুয়া এক রুমে, রিমান আর ফারহান এক রুমে আর আরাব মুন আরেক রুমে। সবাই সবার রুমে যায়।
রিমি,,,,,,, ভাবি দেখছো কতো বড় রুম।
মাহুয়া,,,,,,, একদম আমার স্বপ্নের মতো। আমি একদিন না একদিন এমন রুমে থাকতে চাইতাম।
রিমি,,,,,,,, হুমম কিন্তু এখানে নাকি ভুত আছে।
মাহুয়া,,,,,,,, আরে দূরর ভুত টুত কিছু নেয়,এটা রিমান তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলছে।
রিমি,,,,,,, সত্যি।
,,,,,,হুমম,,তুমি এক কাজ করো, তুমি আগে ফ্রেশ হয়ে আসো, পড়ে আমি যাচ্ছি।
,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,,,,, আচ্ছা ফারহান আমাদের বাসর রাত ও কি এখানে হবে।
ফারহান,,,,,,,,,, হুমম,,,, তোর মাথায় খালি এটাই ঘুরে নাকি।
রিমান,,,,,,,, যদের নতুন নতুন বিয়ে হতে নেয় তাদের মাথায় এটাই ঘুরে। বিয়ের পরে আমরা সবাই সুইজারল্যান্ড যাবো হানিমুনে, ভাবছি।
,,,,,,,,,,,,, এটা খুব ভালো ভেবেছিস। সুইজারল্যান্ড রিমির খুব পছন্দের একটা জায়গা।
,,,,,,,,,,,
মুন,,,,,,,,,, আরাব জায়গাটা কিন্তু অনেক সুন্দর তাই না।
,,,,,,,,,, এদিকে আসো আমি তোমাকে আরো সুন্দর জায়গা দেখায়।
আরাব মুনকে নিয়ে বারান্দায় যায়। আর বাহিরের দৃশ্য দেখায়৷ পুরো বাগান ফুলে ছেয়ে আছে। নানা ধরনের ফুল। চারপাশে প্রজাতি অশেষ মেলা।
মুন,,,,,,,,,, ওয়াও এতো সুন্দর, আমি এখনি বাহিরে যাবো।
আরাব,,,,,,,,, এখন না, দেখছো না কি রোদ। তুমি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও তারপর রোদটা কমলে নিয়ে যাবো।
,,,,,,,,, কিন্তু আমার এখনি যেতে ইচ্ছে করছে। আর এখন কি গরম কাল নাকি এখন তো শীত কাল।
,,,,,,,,,, হুমম কিন্তু এখন রোদ উঠেছে এতে আমি কি করবো। ঠিক আছে চলো, কিছু দিন পর বিয়ে, এই রোদে অসুস্থ না হলেও কালো ঠিকি হয়ে যাবে। পরে ছবিতে সবাইকে সুন্দর লাগবে আর তোমাকে কালো। চলো চলো (মুনের হাত ধরে)
,,,,,,,,,, না থাক পরে যাবো। আমার অনেক গরম লাগছে আগে ফ্রেশ হয়ে নিয়।
,,,,,,,,,,,,হুমমম, ঠিক আছে।
সবাই ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেতে বসে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, আমি শুনেছি, এখানে নাকি চার পাঁচ জন লোক থাকতো, তাহলে এই বিশান বড় ডায়িং টেবিলের কি দরকার ছিলে।
আরাব,,,,,,,,,,, মাঝে মাঝে তাদের গ্রেন্ট পার্টি হতো। এতে যাতে জায়গার অভাব না পড়ে তাই এতো বড় টেবিল রাখতো।
মাহুয়া,,,,,,,, ওও।
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে। বিয়ের কাজে লেগে পড়ে। আরাব প্রচুট বিজি। আরাব তাড়াহুড়োই রিমানের কাছে যায় আর বলে,,,,,,,, লাইটিং মেনেজার কে একটু ফোন দিয়ে দেখ তো এখনো কেনো আসে নি। আর এই নে লিস্ট কি কি লাগবে তা আনতে বল।
রিমান,,,,,,,,, সরি ব্রো। তুই কোনো দিন শুনেছিস বর নিজের বিয়েতে কাজ করে।
আরাব,,,,,,,,, ফারহান তুই কর।
ফারহান,,,,,,,,, ভুলে চাস না আমারো কিন্তু বিয়ে।
আরাব,,,,,,,, কতো কাজ আছে আর তোরা বিয়ে বিয়ে করছিস।
রিমান,,,,,,,,,,,, ভুলে গেছিস নিজের বিয়ের তুই কোনো কাজ করিসনি।
আরাব,,,,,,,,,,, তখন তোরা দুজন ছিলি আর আমার একার বিয়ে হচ্ছিলো। আর এখানে তো দুটো বিয়ে হচ্ছে।
রিমান + ফারহান,,,,,,,,,, সরি ব্রো। (বলে চলে যায়)
আরাব,,,,,,,,,,তোর সরির তো। (রাগে)
আরাব অনেক কষ্টে আর তাড়াহুড়ো করে সব সামলায়। অনেক ক্ষন পরে আরাব তার নিজের রুমে যায়।
মুন,,,,,,,,, কি হলো তুমি না বলেছিলে বাগানে নিয়ে যাবে, এখন আরেকটু পরে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
আরাব,,,,,,,,, আমি তো দেখলাম তুমি রিমিদের সাথে কয়েক বার ঘুরে এসেছো।
মুন,,,,,,,,,, কিন্তু আমার তো তোমার সাথে দেখার ইচ্ছে আছে।
আরাব,,,,,,,,,,,, ঠিক আছে, আমি সাওয়ারটা নিয়ে নেয় তারপর যাচ্ছি।
মুন,,,,,,,,, ঠিক আছে লেইট করবা না কিন্তু।
,,,,,,,,ওকে৷
আরাব তাড়াতাড়ি গোসল করে বেরিয়ে আসে। মুন দরজার সামনে জামা কাপড় নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। আরাব হাসতে থাকে এটা দেখে। আরাব তাড়াতাড়ি জামা কাপড় পড়ে নিলে, মুন হাত ধরে তাড়াতাড়ি নিয়ে যেতে থাকে।
আরাব,,,,,,,,, আস্তে বা বা আস্তে।
,,,,,,,একটু পর সূর্য ডুবে যাবে।( আরাব আর মুন বাহিরে এসে হাত ধরে হাঁটতে থাকে।)
,,,,,,, আচ্ছা তোমরা কি বাংলোর পিছনে গিয়েছো।
,,,,,,,,,, না, সেখানে যাওয়া হয়নি।
,,,,,,,চলো নিয়ে যায়।
আরাব মুনকে নিয়ে দৌড়াতে থাকে। বাগানটা বেশ বড়।
কিছু ক্ষন পরে তারা পৌঁছে যায়। মুন খুশিতে লাফাতে থাকে। বাগনে বেশ বড় বড় এগারোটা শিউলি ফুল গাছ, আর পুরো গাছে শুধু ফুল ছাড়া অন্য কিছু দেখা যাচ্ছে না। নিচে শিউলি ফুলে ছেয়ে আছে। মুন শিউলি ফুলের গাছের নিচে দাঁড়িয়ে লাফাতে থাকে। আরাব গাছ নাড়ায়৷ আর অসংখ্য ফুল মুনের উপর পড়ে।
মুন,,,,,,,,,, আমার যে ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না,, ঠান্ডা বাতাস, হালকা হালকা শীত শীত ভাব, চারপাশে ফুলের গ্রান আর সাথে তুমি আর কি লাগে। (পা উঁচু করে আরাবের কাঁধে দুটো হাত রেখে বলে)
আরাব মুনকে জরিয়ে ধরে, মুনের পা মাটিতে স্পর্শ করছে না। মুন ও আরাবকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। দুজনে চোখ বন্ধ করে ছিলো। হাত তালির আওয়াজ পেয়ে দুজনে চোখ খুলে রিমান আর মাহুয়াকে সামনে দেখে দুজন দুজনকে ছেড়ে দিয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ায়।
রিমান,,,,,,, হোয়াট এ সিন। এতো ভালোবাসা কবে থেকে হলো। ফারহান মিস করে গেলো।
মুন লজ্জায় মাহুয়ার সাথে দাঁড়ায়।
আরাব,,,,,,, তুই এখানে কেনো এসেছিস।
রিমান,,,,,,,, তোরা যেটা করতে এসেছিলি রোমান্স।
মাহুয়া রিমানকে হাত দিয়ে একটা খুঁচা দেয়।
আরাব,,,,,,,, তাহলে আমাদের কেনো ডিস্টার্ব করছিস, অন্য কোথাও যা।
রিমান,,,,,,,, বউকে পেয়ে বন্ধুকে ভুলে গেলা ভালো। যাচ্ছি হুহহ। চলো মাহু (মাহুয়ার হাত ধরে)
রিমান চলে যেতে নিয়ে আবার থেমে যায়। আরাবকে ইশারা দিয়ে ডাক দেয়। আরাব আসে।
আরাব,,,,,,,, কি হয়েছে।
রিমান,,,,,,,, করো হাসির আওয়াজ শুনলাম।
আরাব,,,,,,,,, সর।
তখন দুজনের হাসির আওয়াজ আসে। রিমান আরাবের এক হাতের বাহু শক্ত করে ধরে।
রিমান,,,,,,,,, ভুতের হাসি।
আরাব,,,,,,,,, হাসিটা চিনা চিনা লাগছে।
রিমান,,,,,,,,,, হহ ভুত তো তোর চাচা ছিলো,,, শুনেছি ফুল গাছে পরী থাকে।
আরাব,,,,,,,চুপ থাক,, আওয়াজটা ঐদিক থেকে আসছে। চল দেখি।
রিমান,,,,,,,,,,,,,, তুই আগে যা।
আরাব,,,,,,,,, ভিতু।
রিমান,,,,,,,, তোর বাপ ভিতু। চল এখন।
মুন মাহুয়াকে ধরে ধরে হাঁটছে, রিমান আরাবকে ধরে ধরে হাঁটছে। আস্তে আস্তে গিয়ে দেখে ফারহান আর রিমি একটা গাছের নিচে বসে আছে। দুজন ওদের দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে।
রিমান,,,,,,,,, খুড়লাম পাহাড় পেলাম পেলাম দুটো ইঁদুরের বাচ্চা। তা আপনারা এখানে কি করেন।
ফারহান,,,,,,,,,, বুঝলাম না আমিই কেনো সব সময় ধরা পড়ে যায়। শালা তোদের কারনে লুকিয়ে প্রেম করে শান্তি পেলাম না। দুদিন পড়ে বিয়ে এখন তো শান্তিতে কথা বলতে দে।
আরাব,,,,,,,,, রিলেক্স রিলেক্স,রিমানের কাজি হলো সবাইকে ডিস্টার্ব করা।
রিমান,,,,,,,,, ঐ সাব্বাশ,, এখন সব দোষ আমার,,, ঠিক আছে কর তোরা প্রেম আমি মাহুয়াকে নিয়ে গেলাম।
আরাব,,,,,,,,, কোথায় বাংলোতে।
রিমান,,,,,,,,, আব্বে না, অন্য দিকে, এতো বড় বড় গাছ আছে কোথাও না কোথাও তো জায়গা হয়েই যাবে।
রাতে,,,,,,,,,,
সবাই ছাদে গিয়ে গোল করে বসে। ছাদটা বেশ বড় আর সাজানো। অনেক বড় হওয়ায় একটু ভয়ানক দেখা যায়। চারপাশে বড় বড় গাছ এই জন্য। সবাই ভুতের গল্প করছে। একেক জন একেক ভুতের গল্প করছে।
রিমান ভয়ে আস্তে আস্তে মাহুয়ার কাছে চলে যায়। সবাই একটু দূরে দূরে বসে ছিলো কয়েকটা গল্প বলার পরে কারো মাঝে আর কোনো ফাঁকা জায়গা নেয়।
আরাব,,,,,,,,, সবার ভুতের গল্প শুনলাম,, এখন আমার টা শুনো, আমি এই বাড়ির গল্প শুনাবো (একটু ভাড়ি আওয়াজে)
রিয়াদ খান,,,,,,,,, একটু ভালো কন্ঠে বল। ভুতের গল্প বলতে নিলে সবার কন্ঠ কেনো চেঞ্জ হয়ে যায় এটাই বুঝি না। (ভয়ে)
আরাব,,,,,,,, আরে শুনো আগে,,,,, অনেক বছর আগের কথা। এখানে একটা পরিবার থাকতো। ওরা হঠাৎ একদিন এই ছাদে ঐ সামনের রেলিং এর সাথে ফাশ টাঙিয়ে মরে যায়৷
ফারহান,,,,,,, সবাই এক সাথে মরে।
আরাব,,,,,,,, আরে না,,, প্রথমে পরিবারের সদস্য মহিলা মরে, তার পর এক এক করে সবাই এখানেই এসে আত্যহত্যা করে। আর কেনো করে সেটা এখনো জানা যায়নি। তারপর থেকে এখানে অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটে।
সবাই একটু শান্ত হয়ে যায়। রিমান তখনি সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য জোরে চিৎকার করে। রিমানের চিৎকার শুনে সবাই এক সাথে জোরে চিৎকার করা শুরু করে। ওদের চিৎকার শুনে রিমান ও ভয়ে চিৎকার করা শুরু করে।
সবার চিৎকার থামলে সবাই রিমানকে মারা শুরু করে। ফারহান দূর থেকে বসে লাথি দেয়।
রিয়াদ খান,,,,,,,, এখনি আমার কলিজা বেরিয়ে গেলো হলে। এই কচুর জায়গায় আর থাকা লাগবো না, আমি রুমে গেলাম।
রিয়াদ খান উঠে দাঁড়ায়, যেতে নিয়ে আবার পিছনে তাকায়, দেখে সবাই বসে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, তোরা কেও যাবি না,, আমি একা একা যাবো কিভাবে।
রিমান,,,,,,, কেনো ভয় করে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, ঐ কিসের ভয় করে হুমম,, কতো রাত হয়েছে দেখেছিস,উঠ সবাই।
রিয়াদ খান সবাইকে জোর করে নিয়ে যায়। সবাই বাড়ির ভিতরে যায়।
আরাব,,,,,,,, সব প্ল্যান রেডি তো হুমম।
ফারহান,,,,,, হুমম,,শুধু সবার ঘুমানোর পালা।
আরাব,,,,,,,,, রিমান এখন তোর কি হবে (শয়তানি হাসি দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, ওরে আজকে এতো ভয় দেখাবো যে বলার বাহিরে হিহিহি।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।