you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প) Part.29

0
1867

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part.29

#Maishara_Jahan

আরাব,,,,,,, ঠিকি তো অথবা ক্ষন হয়েছে ওকে দেখছি না। দাঁড়া ফোন করি।

আরাব কয়েক বার ফোন করে কিন্তু ফোনে পাচ্ছে না।সবাই রিধিকে অনেক খুজা খুজি করে কিন্তু কোথাও পায় না।

রিমি,,,,,,,,,,,, রিধি আবার কোথায় গেলো।

ফারহান,,,,,,,,,, কেও ওকে কিটনাপ করলো না তো।

মুন,,,,,,,,,কিন্তু রিধিকে কেও কেনো কিটনাপ করবে, ও তো এ দেশে আসলোই কিছু দিন আগে।

রিমান,,,,,,,,,, হতে পারে,, কারন কালকে রিধি বলেছিলো ফারহানের সাথে তার এনগেজমেন্ট হয়েছে, আর হয়তো এটা রাইসার ভালো লাগে নি।

মুন,,,,,,,,,রিধির সাথে ফারহানের এনগেজমেন্ট (অভাক হয়ে)

রিমি,,,,,,,,, আরে না ফারহানের সাথে তো আমার (এটুকু বলে থেমে যায়,সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে, রিমি কথা ঘুরিয়ে ফেলে) মানে রিধি এমনি মজা করে বলেছে।

আরাব,,,,,,,,,, আরে ফারহান রিধিকে ভালোবাসে না।

মুন,,,,,,,,, জানি তো অন্য কেও রিধিকে ভালোবাসে। (মুখ ভেঙিয়ে)

মাহুয়া,,,,,,,,,, আরে কথা না বলে পুলিশকে খবর দাও।

রিমান,,,,,,,, মলের সিসি ক্যামেরাতে দেখলেই তো হয়।

আরাব,,,,,,,,,হুমম চল।

সবাই সিসি ক্যামেরাতে চেক করছে, ক্যামেরাতে মাহুয়া তার বন্ধুকে জরিয়ে ধরে আছে সেটা দেখাচ্ছে। রিমান তার ধৈর্যের সীমানা হারিয়ে সিসি ক্যামেরার যে কন্ট্রোল করে তাকে বকা বকি লাগিয়ে দিয়েছে।

রিমান,,,,,,,,, দূরর মিয়া, কি দেখাতে বলছি কি দেখাচ্ছেন, এই চাকরি কে দিছে আপনাকে হুমম। (রাগে)

আরাব,,,,,,,,,, কন্ট্রোল রিমান।

ফারহান,,,,,,,,, আমরা বুঝতে পারছি তোর কেনো এতো জ্বলছে।

রিমি,,,,,,,, আহারে।

রিমান,,,,,,, হয়ছে তোদের কাটা গায়ে লবনের ছিটা দেওয়া লাগবে না।

ফারহান,,,,,,,, আমরা তো লবন দেয়, তুই তো কাটা গায়ে মরিচ ঢলে দেস।

মাহুয়া,,,,,,,, আরে দূরর অপ্রয়োজনীয় কথা না বলে ঐ দেখো রিধিকে কারা উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সবাই ভালে করে তাকিয়ে দেখে, কিছু লোক রিধিকে ওয়াশ রুমের সামনে থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

মাহুয়া,,,,,,,, কে ও গুলো, এদের হাত পা ভেঙে রেখে দিবো সাহস কতো বড়।

রিমান,,,,,,,, ও বডি বিলডার আগে খুঁজে পেয়ে তো নিয়।

আরাব,,,,,,, চল আমরা গাড়ি নিয়ে বের হয়, ওরা সিসি ক্যামেরায় ঐ কিটনাপদের গাড়ির নাম্বার পেলে জানিয়ে দিবে আমাদের।

রিমি,,,,,,, হুমম চলো যায়।

রিমান,,,,,,, কি হুমম চলো যায়, তোকে নিয়ে আরো বিপদে পড়ি তাই না। তেলাপোকার শরীর নিয়ে লড়াই করতে যাচ্ছে।

রিমি,,,,,,,, ঐ তুই কি কইলি।

ফারহান,,,,,,,, ঠিকি তো বলেছে।

রিমি,,,,,,,, কি আমার শরীর তেলাপোকার (দুহাত কমরে রেখে কটমট করে তাকিয়ে)

ফারহান,,,,,,,,, না,, মানে তুমি সেখানে গেলে তোমার বিপদ হবে৷ তোমার যাওয়ার কোনো দরকার নেয়।

আরাব,,,,,,,, রিমান তুই এক কাজ কর রিমি আর মাহুয়াকে আর মুনকে নিয়ে বাসায় দিয়ে আয়। আমরা কিটনাপদের পিছা করতে থাকি।

মাহুয়া,,,,,,,,, না আমিও যাবো,, আমার ছোট থেকে ইচ্ছে ছিলো ভিলেনদের সাথে লড়াই করবো। এখন সুযোগ পাচ্ছি হাত ছাড়া কেনো করবো। আমি যাবো তো যাবোই।

রিমান,,,,,,,, আচ্ছা ঠিক আছে, ফারহান তুই রিমিকে আর মুনকে নিয়ে যা আমি ওদের সাথে যাচ্ছি।

মুন,,,,,,, আমিও যায় তোমাদের সাথে।

আরাব,,,,,,,, কোনো প্রশ্নই উঠে না, পরে তোমার যদি কিছু হয়ে যায় তখন। সোজা বাসায় যাবে কোনো কথা না। নিচে পড়ে গিয়ে যেভাবে কান্না করছিলে গুন্ডারা মাথায় বন্ধুক ধরলে তো অজ্ঞানই হয়ে যাবে।

মুন,,,,,,,,, এই কথা এখানে বলার কি দরকার ছিলো হুমম।

রিমান,,,,,,,, ভাই তোরা পরে বাসায় গিয়েও ঝগড়া করতে পারবি এখানে না করলেও হবে৷ বিচারা রিধির কথাটা একটু ভাব। ফারহান নিয়ে যা ওদের।

ফারহান,,,,,,, চলো মুন,আয় রিমি।

ফারহান রিমি আর মুনকে গাড়িতে বসিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে লাগে। আর আরাব, রিমান,মাহুয়া যায় রিধিকে খুঁজতে।

,,,,,,,

ফারহান মুন আর রিমিকে বাসার সামনে এসে থামায়। গাড়ি থামাতেই মুন ওদের কিছু না বলে চলে যেতে থাকে, কিছু একটা গভীর চিন্তা করে করে তাদের বাড়িতে চলে যায়।

রিমি,,,,,,,,ভাবির আবার কি হলো।

,,,,,,,,,, সেটা তোর না জানলেও চলবে, আগে এটা বল তুই বুঝতে পেরেছিলি যে, আমি তোকে অন্ধকারে আংটি পড়িয়েছি তাই না।

,,,,,,,,,,,, কি আপনি আমাকে আংটি পারিয়েছেন। (অভাক হয়েছে দেখানোর চেষ্টা করে)

রিমি গাড়ির সাথে ঠেক খেয়ে আছে আর ফারহান তার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,
,,,,,,,,,,,, আমার সামনে এক্টিন করে লাভ নেয়। আমাকে এখনো ভালোবাসিস তাই নারে।

,,,,,,,,,,, কতো বার বলবো না।

,,,,,,,,, দেখ আমি জানি অনি আর রাইসা তোকে ব্লেকমেল করেছে, আমাদের সাবাইকে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে, সবার পিছনে লোক লাগিয়েছে। এই সব আমরা সামলে নিবো, তুই ভয় পাস না,তুই শুধু এটা বল তুই আমাকে ভালোবাসিস।

,,,,,,,,,, না বাসি না।

,,,,,,,,তুই ভালো কথার মানুষ না,(রিমির মুখ চেপে ধরে) বল আমাকে ভালোবাসি। বল না হলে তোর খবর আছে। বল বলছি৷

রিমি শুধু উম্ম উম্ম করছে আর হাত ছাড়ার জন্য ইশারা করছে।

ফারহান,,,,,,,,,, হাত ছাড়লে বলবি তো ভালোবাসি।

রিমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সুচক ইশারা দেয়। তখন ফারহান রিমিকে ছেড়ে দিয়ে বলে,,,,,,এখন বল ভালোবাসি বল।

,,,,,,, আমি তোমাকে,,,, বলবো না।

বলে ফারহাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে বাড়ির ভিতরে চলে যায়। ফারহান দৌড় দিতে নেয় আর তখনি ফোন আসে। ফারহান দাঁড়িয়ে যায়। বিরক্তি ভাব নিয়ে ফোন উঠায়।

ফারহান,,,,,,,,, কি হয়ছে।

রিমান,,,,,,,, ঐ এমন করে কথা কস কেন,,যাই হোক শুন আমরা ঠিকানা পেয়ে গেছে, তোকে এড্রেস পাঠিয়ে দিচ্ছি তুই আয়।

,,,,,,,তোরা তিন জন গেছস তাও আমাকে লাগে।

,,,,,,,, সেটা বড় কথা না,, বড় কথা হলো যদি আমরা মার খায় তাহলে একা কেনো খাবো, তোকে নিয়েই খাবো। তাই বাবা চলে আসো।

,,,,,,,, শালা খচ্চর।

রিমান, আরাব,মাহুয়া আস্তে আস্তে ভিতরে যায়। কেমন একটা ভাঙা ঘরের মতো। গিয়ে কয়েকজন কে পায় পেয়ে তিনজনে উড়া ধুরা মার। মাহুয়া মারামারি করে শান্তি পাচ্ছে না।

মাহুয়া,,,,,,দূরর এই থ্রি,পিজ পড়ে মারামারি করা যায়। ওড়না সামলাবো নাকি গুন্ডা।

মাত্র সাতজন লোক ছিলো তিন, মেরে পুরো ভর্তা বানিয়ে ফেলছে। আরাব একজনকে ধরে বলে,,,, বল রিধি কোথায়৷

,,,,,,, আমরা জানি না, বস কিছু লোক পাঠিয়ে ঐ মেয়েকে নিয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,,, কে তোর বস

,,,,,,,,সেটা জানি না, শুধু তার ফোন আসে।

রিমান,,,,,,,,, আমি সিউর এটা অনি আর রাইসার কাজ।

তখনি ফারহান লাঠিয়ে নিয়ে ডুকে। লাঠিটা উপরে উঠিয়ে এমন ভাবে ভিতরে ঢুকে জেনো সামনে যাকে পাবে তাকেই মেরে ফাটিয়ে দিবে। ভিতরে ঢুকে ফারহান দাঁড়িয়ে পড়ে।

রিমান,,,,,,,, ও হিরো, এখানে সব কাজ শেষ, এভাবে এসে কোনো লাভ নেয়।

ফেলে,,,,,,,, ও,, সবাইকে সাইজ করে ফেলছস।

আরাব,,,,,,,,, না তোর জন্য রেখে দিবো।

মাহুয়া,,,,,দূরর মাত্র এই কয়জন মজা লাগলো না।

রিমান,,,,,,,, তোমার জন্য কিছু লোক ভাড়া করে আনছি৷

ফারহান,,,,,,, রিধি কোথায়।

আরাব,,,,,,, ওকে আবার এখান থেকে নিয়ে গেছে।

ফারহান,,,,,,, এটা অনি আর রাইসার কাজ, চল বাসায় গিয়ে পুলিশকে সব বলে, খুঁজ করতে থাকি।

মাহুয়া,,,,,,,,এদের কি করবে।

ফারহান,,,,,,, পুলিশে দিবো আর কি করবো। পুলিশকে খবর দিয়েছি এখনি আসলো বলে।

ওরা সবাই পুকিশকে গুন্ডাদের ধরিয়ে দিয়ে বাসায় চলে আসে। বাসায় এসে সবাই আরেক খবর পায়৷ মুন আর রিমিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কখন ধরে খুঁজছে কিন্তু পাচ্ছে না। সিসি ক্যামেরায় দেখে মুন আর রিমিকে ধরে নিয়ে গেছে কিছু লোক। তাও আবার অজ্ঞান করে।

আরাব টেবিলে একটা লাথি মেরে বলে,,,,,,ঐ অনিকে আমি ছাড়বো না,, ওকে খুঁজে বের করা আমার এক মিনিট এর কাজ৷

রিমান,,,,,,,,,, আমার বোনের কিছু হলে ওর লাশ ও কেও খুঁজে পাবে না।

ফারহান,,,,,,,, আমি ফোন করে লোক লাগাচ্ছি,, কিছু ক্ষনের মধ্যে ওকে বের করবো।

বলে ফারহান গুড়ে রিমানকে একটা লাথি দেয়।

রিমান,,,,,,,, ঐ কি হয়ছে আমাকে মারিস কেন।

ফারহান,,,,,,, তুই আমাকে ফোন দিলি কেনো, ফোন না দিলে আমিও যেতাম না আর এমন কিছুও হতো না।

এটা শুনে আরাব ও রিমানকে একটা লাথি দেয়।

রিমান,,,,,,, ঐ আমি কি ফুটবল নাকি হুমম,,এখন যত দোষ নন্দগোস সব আমার।

মাহুয়া,,,,,,,,,মুন, রিধি, রিমিকেও কিটনাপ করে নিলো, শুধু আমাকে ছাড়া, আমাকে বাদ দিলো কেনো।

রিমান,,,,,,,,,, ঐ দেখ আরেক জনের কিটনাপ হওয়ার খুব সক।

মাহুয়া,,,,,,,, আরে দূরর আমার কথাটা বুঝো, ওরা নিশ্চয়ই আমাকেও কিটনাপ করতে আসবে। আমার গায়ে ট্রেক করার যন্ত্রটা লাগিয়ে দিলেই তো হবে আমাকে কিটনাপ করে ঐ একি জায়গায় নিয়ে যাবে। তখন ধরে ফেলবো।

ফারহান,,,,,,,, ভালো বুদ্ধি।

রিমান,,,,,,,, কিন্তু।

মাহুয়া,,,,,,,দূরর কোনো কিন্তু নেয়,চিন্তা করো না আমার কিছু হবে না।

আরাব মাহুয়াকে ট্রেক করার মেশিন এনে দেয়, মাহুয়া লাগিয়ে ফেলে।

মাহুয়া,,,,,,,, ঠিক আছে আমি এখন যায়,আমাকে একা দেখে ওরা অবশ্যই আসবে।

রিমান,,,,,,,, যা করবে সাবধানে করবে,, আর আমি তোমার আর আমার তিন বোনের কিছু হতে দিবো না।

মাহুয়া,,,,,, আমি জানি। (একটা হাসি দিয়ে)

মাহুয়া চলে যায়।

মুন আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে একটা ঘরে সে বন্ধী, তার পাশে রিধি বাঁধা অবস্থায় বসা।

মুন,,,,,,,, আরে রিধি তোমাকে পাওয়া গেছে, যাক ভালো হয়েছে।

রিধি,,,,,,, তুমিও কিটনাপ হয়েছো কি ভালো হয়েছে।

,,,,,,, আরে হ্যাঁ,, তাই তো। রিমি কোথায়।

,,,,,,,,

রিমি চোখ খুলে দেখে অনি তার সামনে বসা।রিমি লাফ দিয়ে উঠে বসে। সে একটা বিছানায় শোয়া ছিলো। রিমি নিজেকে চেক করতে থাকে।

অনি,,,,,,,,,চিন্তা করো না, আমি এখনো কিছু করি নি তনে করবো।

,,,,,,,, আমাকে এখানে আটকে রাখার মানে কি হুমম,, কেনো এনেছেন।

,,,,,,,,কি করবো বলো,, ভালো ভাবে তোমাকে আমার করতে চাইলাম কিন্তু হলো না।তোমার ভায়েরা সব কিছু জেনে গেছে, আমার অনেক ক্ষতি করেছে। আর কিছু করার আগে ভাবলাম একটু ক্ষতি আমি করি।

,,,,,,,,,,, আমার ভাইদের চিনো না, ওরা তোমাকে খুঁজে বের করে নিবে।

,,,,,,,,, জানি তো, কিন্তু এর আগে আমি আমার কাজ করে ফেলবো।

,,,,,,,, মানে কি কাজ।

,,,,,,এই যে আজ আমাদের বিয়ে ছাড়া বাসর রাত,, সরি দিন।

,,,,,,,,খবরদার আমার কাছে এসেছেন তো।

,,,,,,,,, সামনে মধু রেখে মৌমাছি খালি মুখে চলে যাবে এটা কোনো দিন সম্ভব বলো।(শয়তানি হাসি দিয়ে)

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,

like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here