you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প) Part..26

0
1818

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part..26

#Maishara_Jahan

,,,,,,,,আসবো আসবো,, আমি না আসলে খেলা জমবে কি করে। আমার যে ক্ষতি তারা করেছে তার ডাবল করতে আসছি। আর রিমান তার থাপ্পড় এর জবাব ওর বোনকে দিয়ে নিবো।

অনি,,,,,,, ওকে,, এখন রাখি।

সন্ধ্যায়,,,,,,,

পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে, আলোয় ঝলমল করছে। মেহমানে ভরে গেছে।

মুন কালো একটা জর্জেট শাড়ি পড়ে, চুল গুলো খোঁপা করা, হালকা সাজে। মুন শাড়ির কুঁচি ঠিক করতে করতে নিচে নামচ্ছে আরাব মুনকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।ওর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। মুন নিচে নেমে আরাবের দিকে তাকায়। আরাবকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুন আরাবের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

আরাব এখনো এক নজরে মুনের দিকে তাকিয়ে আছে।

মুন,,,,,,,,,,,, আমাকে কেমন লাগছে (হাসি দিয়ে)

আরাব এখনো মুনের দিকে তাকিয়ে আছে, শুধু মাথা নাড়াচ্ছে। মুন এবার আরাবের সামনে তুরি মারে। তখন আরাবের হুশ আসে। অন্য দিকে তাকিয়ে বলে,,,,কি হয়েছে।

মুন,,,,,,,, কোন জগতে আছেন, কতো ক্ষন থেকে জিজ্ঞেস করছি আমাকে কেমন লাগছে কানে যাচ্ছে না। বলেন এবার আমাকে কেমন লাগছে (রাগে)

,,,,,,,,, যেমন লাগার তেমনি লাগছে।

,,,,,,,, এটা আবার কেমন কথা ভালো করে বলেন, ভালো লাগছে নাকি সুন্দর লাগছে। (রাগে)

,,,,,,,,,,, অন্য কোনো অপশন নেয়।

,,,,,,,,,, ও এখন আমার বেলায় অন্য অপশন, কিছু ক্ষন আগে রিধিকে কি কি জেনো বলছিলেন,, ওয়াও সো প্রিটি,, অনেক সুন্দর লাগছে। একদম নাইকা। আর এখন আমার বেলায় আপনার তারিফের বান্ডার ফুরিয়ে গেছে। (রাগে)

,,,,,,,,,, ওকে ভালো লাগছিলো তাই বললাম।

,,,,,,,, কি বলতে চান কি আমাকে ভালো লাগছে না। করা লাগবে না আমার তারিফ আপনাকে, আমার তারিফ করার মতো অনেক লোক আছে। বুঝেছেন আপনি (জোরে ধমক দিয়ে দিয়ে)

,,,,,,,,, আস্তে বলো, আমার কানে কোনো সমস্যা নেয়।

,,,,,,,,, আমার রাগ উঠলে এভাবেই কথা বলি বুঝেছেন।

আরাব মুনের দিকে ঝুঁকে তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,, রাগটা এ কারনে যে, আমি তোমার তারিফ করিনি নাকি এ কারনে যে, আমি রিধির তারিফ করেছি হুমম।

মুন আরাবের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বলে,,,,,,, রিধির কারনে আমি রাগ কেনো করবো। আপনি যার খুশি তারিফ করেন, তাতে আমার কি। আমি কি আপনাদের দেখে জেলাস ফিল করি নাকি হুহহ।

আরাব,,,,,,,, আমি তো একথা বলি নি। জেলাস ফিল করার কথা তো তুমি বলছো।

,,,,,,,,,,, শুনুন আপনার সাথে ফালতু কথা বলার সময় আমার নেয়। আমি রিমিদের বাসায় যাচ্ছি। আর হ্যাঁ আপনাকে একদমি ভালো লাগছে না কালো কোর্টে হুহহ।

বলে রাগে হনহন করে চলে যায়। আরাব হেসে মুনের পিছনে পিছনে যায়।

ফারহান সাদা কোর্ট প্যান্ট পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। আরাব আসে এসে ফারহানকে ভালো করে দেখে বলে,,,,,, আজ তো তোকেই সবাই জামাই ভেবে বসে থাকবে।

ফারহান,,,,,,,,, বিয়েটা তো আমার সাথেই হবে, তাহলে ভাবলে সমস্যা কি। রিমান কোথায় ওকে দেখি না।

আরাব,,,,,,,, আংটি আনতে গেছি।

ফারহান,,,,,,,,,, একদম হুবুহু আনতে বলবি।

আরাব,,,,,,, হুমম,,, একদম হুবুহুই নিয়ে আসবে রিমান।

রিমান,,,,,,,,, আনবে না,এনে ফেলেছি।

ফারহান,,,,,,,,, ভেরি গুড,,, এখন হবে খেলা।

মাহুয়া,,,,,,,,, রিমান (মিষ্টি করে ডাক দেয়)

রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে ফ্লেট হয়ে যায়।

রিমান,,,,,,,,, আমার পরী এসে গেছে (বলে আংটির বক্সটা পিছন দিকে ফারহানের দিকে ছুঁড়ে মারে)

ফারহান কোনো মতে ধরে। মাহুয়া হালকা মিষ্টি কালারের একটা গ্রাওন পড়ে।

মাহুয়া,,,,,,,,, আমাকে কেমন লাগছে৷

বলে হাঁটতে নেয়, আর জামা পায়ের সাথে বেঝে পড়ে যেতে নেয় রিমান ধরে ফেলে।

মাহুয়া,,,,,,,, কি জামা এতো লম্বা কেন। এটা পড়ে মানুষ হাঁটে কিভাবে। অদ্ভুত লাগছে আমাকে (ঠোঁট বেকিয়ে রিমানের দিকে তাকিয়ে)

রিমান,,,,,,,,,, তোমাকে এতো সুন্দর লাগছে যে, বলে বুঝাতে পারবো না। আমার মিষ্টি পরী। আমি জানি তোমার এসব জামা পড়তে ভালো লাগে না, তাও আমার জন্য পড়ো তাই না।

মাহুয়া,,,,,,,,, যেটা তোমার ভালো লাগে ঐটাই আমার ভালো লাগে। তোমার জন্য আমি যে কোনো কিছু করতে পারি, এটা আবার এমন কি।

রিমান,,,,,,,,,, তুমি কতো কিউট,, আর এখন তো আরো কিউট লাগছো, ইশশ কি যে করি, মনে যাচ্ছে এখনি

আরাব+ফারহান,,,,,,,,,,,, এখনি কি (রিমানের দিকে বেটকি দিয়ে তাকিয়ে)

রিমান,,,,,,,, তোরা এখনো এখানে কি করছ। লজ্জা করে না মানুষের পার্সোনাল কথা শুনতে।

আরাব,,,,,,,, তোর লজ্জা করে না পার্সোনাল কথা পাবলিক প্লেসে করতে।

রিমান,,,,,,,, না করে না৷ ছোট থেকেই আমার লজ্জা কম।

ফারহান,,,,,,,,, কম না, তোর লজ্জা নাইয়ি।

রিমান,,,,,,,,, হ আমি বেশরম তোর কোনো সমস্যা (বুক ফুলিয়ে)

আরাব,,,,,,,,,, এমন ভাবে বলছিস যেনো এটা কি একটা গর্বের বিষয়।

রিমান,,,,,,,,, এই যা রে,, তোরা তোদের কাজ কর আর আমাকে আমার কাজ করতে দে। মাহু,,

বলে পিছনে তাকায়, তাকিয়ে দেখে মাহু আর সেখানে নেয়৷ এটা দেখে দুজনে হাসতে থাকে।

রিমান,,,,,,,,, কোথায় গেলো।

আরাব,,,,,,, স্বর্গে যা গিয়ে দেখে আয়।

রিমান,,,,,,,,, ফারহান তুই কি হাসছিস, ঐ দেখ তোর স্বতা এসে গেছে।

ফারহান তাকিয়ে দেখে অনি এসেছে। দেখেই ফারহানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে।

আরাব,,,,,,,,,,, এটা তো অনি, স্বতা আবার কি।

রিমান,,,,,,,,, মেয়েদের যদি স্বতীন হয় তাহলে ছেলেদের স্বতা হবে। সেই হিসাবে৷

অনি,,,,,,,,, হায়,, কি অবস্থা।

রিমান,,,,,,,,,,, আলুর বস্তা

অনি,,,,,,,,, কিহহ

রিমান,,,,,,,, না মানে, ভালো আছি।

অনি,,,,,,, তোমাদের জন্য একটা সাপরাইজ আছে।

আরাব,,,,,,,, কি।

অনি,,,,,,,, আসলেই দেখতে পাবে৷

ফারহান,,,,,,,,, ঠিক আছে আমরাও দেখে নিবো কতো বড়ো সাপরাইজ।

মুন,,,,,,,,, আসল জলক তো এখানে।

সবাই তাকিয়ে দেখে মুন আর মাহুয়া রিমিকে নিয়ে নামছে। রিমি সাদা একটা গ্রাওন পড়েছে। গ্রাওনটা প্রিন্সেস এর মতো।

ফারহান আর অনি এক সাথে হা করে দাঁড়িয়ে আছে। রিমি প্রথমে চোখ তুলে ফারহানের দিকে তাকায়। রিমিকে ফারহানের দিকে তাকাতে দেখে অনি ফারহানের সামনে এসে দাঁড়ায়। রিমান এটা দেখে অনির সামনে এসে দাঁড়ায় আর বলে,,,,,,, প্রথম বার তোকে দেখতে একটু সুন্দর লাগছে।

রিমি,,,,,,,,, শয়তান।

ফারহান,,,,,,,,, এই ড্রেসে সত্যিই সুন্দর লাগছে, আর লাগারি কথা। (নিজের কোর্টটা ঠিক করতে করতে)

রিমি খেয়াল করে তার ড্রেসের সাথে একদম মেচিং করা ফারহানের কোর্ট। অনিও বিষয়টা খেয়াল করে।

অনি,,,,,,,,, রিমি তুমি এই ড্রেসটা কেনো পড়েছো, আমি যেটা দিয়েছি, সেটা কেনো পড়োনি।

রিমি,,,,,,,,,,, এটা তোমার পাঠানো ড্রেস না।

অনি,,,,,,,,, না।

রিমি ফারহানের দিকে তাকায়, ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে ইনোসেন্ট একটা হাসি দেয়।

রিমি,,,,,,, (এটা ফারহান ছাড়া আর কারো কাজ হতেই পারে না)

আরাব,,,,,,,, আরে যা হয়েছে সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেয়। চলো এনগেজমেন্টটা সেরে ফেলি।

অনি,,,,,,,,, আরে এতো তাড়া কিসের, আমার আসল মেহমান আর তোমাদের সাপরাইজ তো আসলো না।

,,,,,,,,,,, আমি এসে গেছি।

সবাই তাকায় তাকিয়ে দেখে রাইসা দাঁড়িয়ে আছে। রাইসাকে দেখে কেও একটুও অভাক হয় না। বরং স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।

রাইসা,,,,,,,,,, সবাই কেমন আছো। (বড় করে একটা হাসি দিয়ে)

আরাব,,,,,,,,,, আমরা সবাই ভালো আছি, তুমি কেমন আছো। (হাসি দিয়ে)

রিমান,,,,,,,,,,, ধন্যবাদ আমার বোনের এনগেজমেন্ট এ আসার জন্য।

ফারহান,,,,,,,,, আর তুমি আসবেই তোমার ভায়ের বিয়ে।

আরাব,,,,,,,,, আরে শুধু ভাই না চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে।

রাইসা,,,,,,,,,,, তোমরা সবাই কি করে জানলে।

রিমান,,,,,,,,, বোন বিয়ে দিবো আর বর সম্পর্কে খোঁজ নিবো না এটা কি করে হয়।

অনি,,,,,,, তোমাদের রাগ হচ্ছে না।

ফারহান,,,,,,,, না বরং ভালো লাগছে,,রিমি কেইস উঠিয়ে নিয়েছে।

রিমি,,,,,,,,,, তোমরা জানতে যে,আমি কেইস উঠিয়ে নিয়েছি।

আরাব,,,,,,, হুমম আমরা সবাই জানি।

ফারহান,,,,,,,,, আর ভালোই করেছো উঠিয়ে,,, রাইসা তোমাকে কিন্তু আজ সুপার হট লাগছে।

রিমি ফারহানের দিকে কটমট করে তাকায়।কিন্তু ফারহান কোনো পাত্তা দেয় না।

রাইসা,,,,,,,,,,, সত্যি,, থেংক ইউ (খুশি হয়ে) আচ্ছা তোমরা কেও আমার উপর রেগে নেয়।

ফারহান,,,,,,,, না, তুমি যা করেছো আমাকে ভালোবেসে করেছো। আর এতো ভালো আমাকে কে ভাসবে যে কিনা আমার জন্য অন্যের জান নিতেও পারে। এটা আমি কিছু দিন ধরে অনুভব করলাম।

রাইসা,,,,,,,,,,, সত্যি (খুশিতে লাফিয়ে)

ফারহান,,,,,,,,,,, কিন্তু তোমার সাথে যা করেছি, তোমাকে জেলে পাঠিয়েছি, তোমার কোম্পানি ডুবিয়ে দিয়েছি এর পরেও কি তুমি আর আমাকে ভালোবাসবে।

রাইসা,,,,,,,,,,,, হ্যাঁ আমি তোমাকে এখনো ভালো বাসি।

অনি,,,,,,,,,,, কি বলছিস রাইসা।

রাইসা,,,,,,,, তুই চুপ থাক।

ঐদিকে রাগে রিমির চোখে পানি এসে গেছে। জামা খামচে ধরেছে। রিমি রাগে অন্য দিকে চলে যায়। সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে। রাইসা ফারহানের এক হাত জরিয়ে ধরে।

অনি,,,,,,,,, রাইসা আমার সাথে চলো, কথা আছে।

অনি রাইসাকে জোর করে নিয়ে যায়।

রাইসা,,,,,,,,, অনি কি হয়েছে। (রাগে)

অনি,,,,,,,,,, কি হয়েছে মানে, কি করছিস তুই, আমাদের প্ল্যান কি ছিলো।

রাইসা,,,,,,,,, যা ছিলো তাই আছে, শুধু একটু চেঞ্জ হয়েছে। আমি ফারহানের কোম্পানির বিষয়ে কিছু করবো না। ওকে বিয়ে করবো। আর তুই ঐ রিমিকে বিয়ে করে ১/২ মাস নিজের কাছে রেখে ওর বেহাল করে ছেড়ে দিস।

অনি,,,,,,,,,, প্ল্যান একটু আমিও চেঞ্জ করেছি।

রাইসা,,,,,,,,, কি।

অনি,,,,,,,,, রিমিকে আমি ছাড়বো না, ওকে আমার কাছে রাখবো। তুই আগে বলিস নি কেনো যে,তোর শত্রু এতো সুন্দর। ওকে দেখার পর আমার মন পাল্টে গেছে।

রাইসা,,,,,,,,, কি আবল তাবল বকছিস,ঐ রিমিকে আমি একদম দেখতে পারি না। আর তুই,(রাগে ফুলতে ফুলতে)

অনি,,,,,,,,, এতো কিছু জানি না, আমার ওকে চাই মানে চাই। ওকে নিজের করতে আমাকে কেও আটকাতে পারবে না, তুই ও না।

রাইসা,,,,,,,,ঠিক আছে তুই এখন এনগেজমেন্টটা তো কর।ফারহান আমার হলে আমার আর কিছু লাগে না।

রিমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে কোনো কথা নেয়, শুধু রাগে ফুলছে। ফারহান রিমির সাইডে এসে দাঁড়িয়ে বলে,,,,,,,কি রাগ হচ্ছে কিন্তু কেনো তুই না আমাকে ভালোবাসিস না, তাহলে আমাকে রাইসার সাথে দেখে এতো রাগার কি আছে। (হেসে)

রিমি,,,,,,,,,, কে বলেছে আমি রেগে আছি হুমম, আমি কেনো রাগবো। আমি রেগে নেয়। (প্রচন্ড রাগে)

তখনি রিমান রিমিকে ডাক দেয়।

রিমান,,,,,,,,, ঐ রিমি শুন।

রিমি,,,,,,,,, কি হয়েছে হুমম আমি কি কানে কম শুনি, এতো চিল্লানোর কি আছে, এখানেই তো আছি কোথাও চলে তো আর যায়নি। (রাগে)

রিমান,,,,,,,,, কি হলো তুই এতো রেগে আছিস কেনো।

রিমি,,,,,,,,, ঐ আমি রেগে আছি, কোথায় রেগে আছি হুমম( রাগে জোরে বলে কথা গুলো)

রিমান,,,,,,,, না, কে বলেছে তুই রেগে আছিস, তোর মতো শান্ত মেয়ে আমি আর একটা দেখি নি।

ফারহান,,,,,,,, তোরা থাম,,তোর এনগেজমেন্ট এর জন্য৷ ডাকছে,যা।

রিমি,,,,,,,,, হুমম শুনেছি,, আমার এনগেজমেন্ট হবে এখন আপনি শুনেছেন তো৷

ফারহান,,,,,,,, হুমম শুনেছি। যা না হলে লেইট হয়ে যাবে।

রিমি,,,,,,,, হুমম যাচ্ছি আমি (জোরে)

রিমান,,,,,,, হুমম আমরা শুনেছি,, যা তাড়াতাড়ি।

রিমি রাগ দেখিয়ে চলে যায়। সবাই অনেক আনন্দের সাথে অনি আর রিমির দিকে তাকিয়ে থাকে। রিমি দাঁড়িয়ে আছে তার মুখে স্পষ্ট ভয়ে ছাপ নজর আসছে। তাদের পাশে রিমান, আরাব মুন,রিধি,ফারহান মাহুয়া গোল করে দাঁড়িয়ে আছে।

তাদের ডেকে এনগেজমেন্ট এর ঘোষণা দেওয়া হয়। অনি আর রিমি সামনা সামনি দাঁড়িয়ে আছে। অনি রিং নিয়ে রিমির হাতের দিকে এগোচ্ছে, আর রিমি বার বার ফারহানের দিকে তাকাচ্ছে।

যেই আংটি পড়াতে যাবে অমনি লাইট চলে যায়। পুরো বাড়ি অন্ধকার হয়ে যায়। ১ মিনিট পড়ে আবার লাইট চলে আসে।

সবাই দেখে অনি আর রিমির হাতে আংটি পড়ানো হয়ে গেছে। সবাই হাত তালি দিচ্ছে। ফারহান, আরাব,রিমান তো জোরে জোরে হাত তালি দিচ্ছে।

অনি,,,,,,,, রিমি এতো তাড়াহুড়ার কি ছিলো, এতো তাড়াতাড়ি আংটি কেনো পড়ালে।

রিমি কিছু বলছে না শুধু ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে।

রিমান,,,,,,,,,, প্ল্যান সাক্সসেস ফুল।

ফারহান,,,,,,,,, হুমম।

কিছু ক্ষন আগের ঘটনা,,,,,,

চারদিক অন্ধকার হয়ে যাওয়াতে, ফারহান রিমির সামনে আসে আর রিধি অনির সামনে। ফারহান তাড়াতাড়ি রিমিকে আংটি পড়িয়ে দেয়। আর রিমির হাত জোর করে নিয়ে নিজের হাতে আংটি পড়ে।আর রিধি তাড়াতাড়ি অনির হাত থেকে আংটি পড়ে আর তাড়াতাড়ি আংটি পড়িয়ে দেয়।

,,,,,,,,

রিমি তার হাতের দিকে তাকিয়ে আছে,,,, (আমি জানি এটা অনি ছিলো না, ফারহান তোমার হাতে স্পর্শ আমার বড্ড চিনা, আংটিটা যে কে পড়িয়েছে সেটা আমি ভালো করে জানি) মুশকি মুশকি হেঁসে।

ফারহান,,,,,,,,, কাল হবে আসল খেলা।

আরাব,,,,,,,,,, একদম।

[কাল গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কারনে লিখতে পারিনি, সারা দিন রাস্তায় থাকতে হয়েছে, আরো অনেক জামেলা হয়েছে, তাই গল্প দিতে পারিনি, তার জন্য দুঃখিত]

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,

like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here