#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part.21
#Maishara_Jahan
[ সরি কালকে লাস্টের লাইনে মুনের জায়গা রিমি দিয়ে দিয়েছি ভুলে। তার জন্য মাফ চাইছি,ধন্যবাদ কমেন্ট করে ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আবার ঠিক করে ফেলেছি। তাড়াতাড়ি করতে গেলে যা হয় আরকি, পরের বার খেয়াল রাখবো এমন যাতে আর না হয় ]
আরাব রুমে ডুকে মুনের দিকে তাকায়, মুনও নেশা ভরা চোখে আরাবের দিকে তাকিয়ে আছে।
কিছু ক্ষন পর আবার দুজনে উল্টো দিকে ফিরে।
আরাব,,,,,,,,(এমন ভুল কারা যাবে না, শালা রিমান আর ফারহান)
মুন,,,,,,,,(ছিঃ ছিঃ মুন নিজের মনকে সামলা, কি ভাবছিস) আরাব আমার হঠাৎ করে কেমন জেনো লাগছে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কিছু একটা করেন।
আরাব,,,,,,,, হেহহ কি করবো (মুনের দিকে ফিরে)
মুন,,,,,,,, দূররর, মানে এমন যাতে আর না লাগে তার কিছু করেন অদ্ভুত।
আরাব,,,,,,,,, জানি না কি করবো,আমার ও একি রকম লাগছে। (ছটফট করতে করতে)
মুন,,,,,,,, নিশ্চয়ই কেও কিছু খায়িয়েছে। উফফ গায়ের কাপড় জেনো শরীরে কামড় দিচ্ছে, সব খুলে ফেলতে ইচ্ছে করছে। (গায়ের কাপড় টান দিয়ে ধরে)
আরাব গিয়ে মুনের হাতে ধরে বলে,,,,,, কি করছো, কাপড় খুলো না।
আরাব আর মুন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছে, মুন আরাবের হাত খামচে ধরে। মুন আরাবের দিকে তাকিয়ে তার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়, কিস করতে থাকে। আরাব ও কন্ট্রোল হারিয়ে মুনকে কিস করতে থাকে।
দুজনে পাগলের মতো কিস করতে থাকে। কিস করতে করতে টেবিলের সাথে ধাক্কা খায়। তারপর বিছানায় পড়ে যায়। দুজন দুজনকে চোখ বন্ধ করে কিস করছে। আরাব মুনের গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়, মুন আরাবের পিঠ খামচে ধরে।
তারপর আরাব চোখ খুলে উঠে বসে, নিজের গালে কয়েকটা থাপ্পড় দিয়ে বলে,,,,,,, কন্ট্রোল আরাব কন্ট্রোল।
মুন আবার আরাবকে নিজের কাছে টানে। আরাব মুখের কাছে গিয়ে নিজের চোখ বন্ধ করে বলে,,,,,,, মুন কন্ট্রোল করো পিল্জ। নাহলে কালকে আফসোস করবে। আমি তোমার অমতে কিছু করতে চাই না।
মুন,,,,,,,,,, আমার পুরো মত আছে।
আরাব,,,,,,, এটা তুমি না ঔষধে বলছে।
আরাব মুনকে ছাড়িয়ে, তাড়াতাড়ি ওয়াশ রুমে চলে যায়। নিজের গেনজি খুলে গোসল করতে থাকে। ঐদিকে মুন ছটফট করতে থাকে।
বেশ কিছু ক্ষন পর গোসলের পর।
আরাব,,,,,,,, অফফ এখন ঠিক লাগছে, শালা তদের খবর আছে।
আরাব জামা কাপড় পাল্টে বাহিরে বের হয়। বেরিয়ে দেখে মুন একটা ছোট নাইট ড্রেস পড়ে বিছানায় অর্ধেক শোয়া অবস্থায় আছে। আরাব কয়েকটা ডোগ গিলে।
আরাব,,,,,,,, তোমার না এই নাইট ড্রেস একদম পছন্দ হয়নি, যে গিফট করেছে তাকে কতো গুলো গালি দিয়ে। তাহলে আবার পড়লে যে।
মুন,,,,,,,,, অনেক গরম লাগছিলো আমার, আর তুমি না বলেছিলে এই ড্রেসে আমাকে ভালো লাগবে না৷ এখন বলো কেমন লাগছে। (কথার ধরন, গায়ের অঙ্গি ভঙ্গি পাল্টে বলে কথাটা,আরাবের দিকে অন্য রকম ভাবে তাকিয়ে আছে)
আরাব,,,,,,,, একে এভাবে দেখলে ঔষধের কোনো প্রয়োজনী নেয়। না এখানে থাকা যাবে না।
আরাব তাড়াতাড়ি দরজা খুলে বের হতে নেয়, কিন্তু দরজা খুলে না। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।
আরাব,,,,,,, দরজা বাহিরে থেকে কে বন্ধ করলো,,রিমান ফারহান তদের আমি ছাড়বো না, শালা কুত্তা, হারামি। (জোরে)
মুন আরাবের কাছে এসে, পিছন থেকে তার শার্ট ধরে সামনে ফিরায়, আর ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। মুন গিয়ে আরাবের উপরে উঠে বসে।
আরাব,,,,,,, একে এখন কিভাবে গোসল করাবো, দেখো এমন করলে নিজেকে সামলানো অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া,,,
আর কিছু বলার আগে মুন আরাবকে কিস করতে থাকে। আরাব অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে, মুনের কাঁধে হাত দিয়ে মুনকে উপরে দিকে ধাক্কা দেয়। মুন তাড়াহুড়ো করে আরাবের শার্টে বোতাম খুলতে থাকে।।
আরাব,,,,,,,, এ কোন বিপদে পড়লাম মনে তো চাচ্ছে,,, থাক না বলাই ভালো।
আরাব মুনের হাত ধরে তাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে। পাশে থাকা ওড়না দিয়ে মুনের হাত বেঁধে দেয়। মুনের হাত বেঁধে তাকে শুয়িয়ে দেয়। মুন পা, এক পায়ের সাথে অন্য পা ঘষছে। আরাব মুনের পায়েদিকে তাকিয়ে, দুই তিনটা এক্সট্রা ডোগ গিলে। তাড়াতাড়ি চাদর নিয়ে মুনের পুরো শরীর প্যাচিয়ে ফেলে। নড়াচড়া করার কোনো উপায় নেয়।
মুনকে শুয়িয়ে আরাব হয়রান হয়ে মুনের পাশে শুয়ে থাকে।
মুন,,,,,,,, আরাব তোমাকে দেখে আমার খারাপ খারাপ খেয়াল আসছে।(আরাবের দিকে মাথা ঘুরিয়ে)
আরাব ও মুনের দিকে মাথা ঘুরিয়ে বলে,,,,,, আমারো,,, এক কাজ করো, আমার দিকে তাকিও না।
,,,,,,, আমি কি করবো চোখ চলে যাচ্ছে।
আরাব মুনকে ধরে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয়। আরাব মুনকে যেভাবে প্যাকেট করেছে, তাতে অন্য দিকে ঘুরা তো দূরের কথা নড়তেও পারবে না।
আরাব,,,,,,,,,(খালি সকালটা হোক, রিমান, ফারহান তদের আমি কি যে করমু বুঝে পাচ্ছি না)
,,,,,,,
রিমান আর ফারহান রাতে খালি রাস্তায় গাড়ির উপরে শুয়ে আছে।
রিমান,,,,,,, আজ নিজের প্রতি গর্ববোধ হচ্ছে।
,,,,,,,,,, কেনো
,,,,,,, আরে আমি নিজের বন্ধুর ঘর বসিয়ে দিয়েছি।
,,,,,,,, আমি না আমরা।
,,,,,,,, এহহ তুই কি করছস, প্ল্যান তো আমার ছিলো।
,,,,,,,, তো কি হয়েছে ঔষধ তো আমি এনে দিয়েছি। কাল আরাবের হাতে মার না খেলে হলো, আরকি।
,,,,,,,,,, আরে দূরর ওদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা হলে, এসে উল্টো ধন্যবাদ জানাবে আমাদের।
,,,,,,,,,, হ্যাঁ আর যদি কিছু না হয়ে থাকে তখন।
,,,,,,,, তখন আর কি মার খাওয়ার জন্য রেডি থাকিস তুই।
,,,,,,,,, আমি কেনো, তুই কেনো না।।
,,,,,,, কারন ঔষধ তো তুই এনে দিয়েছিস।
,,,,,,,,,,, হ্যাঁ কিন্তু প্ল্যান তো তোর ছিলো।
,,,,,,, আচ্ছা এখন কেনো আমরা ঝগড়া করছি,,, আমাদের প্ল্যান অবশ্যই কাজে দিবে। ইশশ আমাদের বিয়ে কবে হবে।
,,,,,,,,, তুই রাজি থাকলে আমার বিয়ে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
,,,,,,,,,দূরে গিয়া মর।
,,,,,,,,, আমি মরলে তোর বোন বিধবা হয়ে যাবে।
,,,,,,,, সমস্যা নেয় কিছু দিন পরে আবার বিয়ে দিয়ে দিবো।
,,,,,,,,,, শালা হারামি।
সকালে,,,,,,,,
মুন নড়াচড়া করার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। আস্তে আস্তে চোখ খুলে, নিজেকে এমন চাদরে প্যাচানো অবস্থায় দেখে মুন অবাক হয়ে যায়। রিমি ছটফট করতে করতে আরাব আরাব ডাকছে।
মুন,,,,,,,, আরাব আরাব,,আমাকে তাড়াতাড়ি ছুটাও আমি ওয়াশ রুমে যাবো জরুরি। আরাব আরাব কোথায় তুমি।
আরাব আস্তে আস্তে চোখ খুলে, ভালো করে তাকিয়ে দেখে, মুন ঐদিক ফিরে ছুটার চেষ্টা করছে। আরাব হেঁসে দেয়।
মুন,,,,,,,, আরাব আপনি কি এখানে আছেন নাকি নেয়,আমি ওয়াশ রুমে যাবো, পিল্জ হেল্প, যে আমাকে এভাবে বেঁধেছে তার খবর আছে।
আরাব,,,,,,,,, আস্তে আমি ছুটিয়ে দিচ্ছি।
,,,,, তাড়াতাড়ি।
আরাব মুনকে ধরে উঠিয়ে দাঁড় করায়, তারপর চাদরের প্যাচঁ খুলতে থাকে।
,,,,,,, অফফ তাড়াতাড়ি।
,,,,,, আরে বাবা দাঁড়াও খুলছি তো।
আরাব চাদরের প্যাঁচ খুলে, মুনের দিকে তাকিয়ে, তার চোখ আবার অন্য দিকে ঘুরায়।
মুন,,,,,,,, কি হলো
মুন নিজের দিকে তাকিয়ে একটা চিৎকার দিয়ে বলে,,,,এই ড্রেস তাকে কে পড়িয়েছে। খবরদার এদিকে তাকাবে না।
বলে মুন দৌড় দিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে যায়৷ নিজেকে আয়নায় দেখে তার কাল রাতের কথা সব মনে পড়ে। কাল রাতের ঘটনা সব মনে পড়ার পর মুন তার মুখ দুই হাত দিয়ে ঢেকে রাখে, আর কান্নার মতো আওয়াজ বের করতে থাকে।
মুন,,,,,,,, আআআ এখন আমি কি করবো,, এই মুখ নিয়ে আমি আরাবের সামনে কিভাবে দাঁড়াবো। আমার মান সম্মান সব শেষ। এখন আরাব আমার বিষয়ে কি ভাববে। আআআ কি করবে,, আল্লাহ মাটি ফাঁক করে দাও ঢুকে যায়। কোন হারামি এমন দুষ্টমি করেছে আমাদের সাথে তার উপড় ঠাডা পরুক। (নেকা কান্না কেধে)
মুন ফ্রেশ হয়ে, ড্রেস চেঞ্জ করে, ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আরাবের দিকে তাকায়ও না, সোজা তাড়াতাড়ি নিচে চলে যায়।
আরাব,,,,,,,,, তো মিস বকবকের সব মনে পড়ে গেছে, আর সে লজ্জা পাচ্ছে। (লম্বা একটা নিশ্বাস নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে যায়)
নিচে গিয়ে দেখে আজ সবাই অনেক ভালে মুডে আছে। মুন সোফায় কফির কাপ নিয়ে বসে আছে। শুধু কালকের ঘটনা মাথায় ঘুরছে, আর লজ্জায় লাল, গোলাপি, বেগুনি হয়ে যাচ্ছে।
ভাবি,,,,,,, কি ননদীনি কি এমন ভেবে ভেবে লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছো। (টিটকারি মেরে)
ভাবির কথায় মুনের হুশ ফিরে,আর কফির এক চুমুক নিয়ে বলে,,,, কি যে বলো ভাবি, কি আর ভাববো, কিছু না।
তখনি আরাব পকেটে হাত ঢুকিয়ে সিরি দিয়ে নিচে নামতে থাকে, মুন আরাবের দিকে তাকায় আর তাদের চোখে চোখ পড়ে যায়।মুন তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে ফেলে। আরাব এসে সোফায় বসে, আর মুন সাথে সাথে উঠে যায়। আরাব মুনের দিকে তাকায়, মুন সোজা রান্না ঘরে চলে যায়। কোনো কাজ নেয় তাও এমনি এমন ভাব করে জেনো কতো কাজ।
আরাব একটু হলেও বুঝতে পেরেছে। আশেপাশে কেও নেয় দেখে আরাব রান্না ঘরে যায়, গিয়ে মুনের কাছে এক গ্লাস পানি চায়। মুন মাথা নিচু করে গ্লাসটা এগিয়ে দেয়। আরাব পানির গ্লাসটা নিয়ে টেবিলে রেখে দেয়।
আরাব,,,,,,,,, মুন দেখো কাল যা হয়েছে, তা হয়েছে এখন সেটা ভেবে লজ্জা পাওয়ার বা মন খারাপ করার কোনো দরকার নেয়।
মুন,,,,,,,,, কাল কি হয়েছে, যার জন্য আমাকে লজ্জা পেতে হবে। এমন তো আমার কিছু মনে পড়ছে না। কিছু হয়েছে কি কালকে।
,,,,,,,, তোমার কিছু মনে নেয়।
,,,,,,,,,, কি মনে নেয়।
,,,,,,,,,, কাল রাতের কোনো কথা মনে নেয়।
,,,,,,,,,, না, আমার শুধু মনে আছে, আমার খারাপ লাগছিলো, তাই আমি রুমে চলে যায়,এরপরে আর কিছু মনে নেয়, হয়তো গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি।
,,,,,,,,, আচ্ছা,,, তাহলে কথা গুলো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো। চোখ লুকাচ্ছো কেনো আমার থেকে।
,,,,,,,,,, আপনার সব ফালতু কথা, সরেন দেখি আমার অনেক কাজ আছে।
মুন আরাবকে টপকিয়ে তার বাবার সাথে গিয়ে বসে।
আরাব,,,,,, বোকা পেয়েছো নাকি আমাকে,কাল তুমি নেশায় ছিলে না যে, সকালে সব ভুলে যাবে। আচ্ছা মনে যখন পড়ছেই না, তাহলে মনে পড়ানোর দায়িত্ব আমার।
বলে একটা ভিলেন হাসি দিয়ে, সেও সোফায় গিয়ে বসে। মুন নিউস পেপার ধরে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
বাবা,,,,,, মুন মা তুমি কি করছো।
মুন,,,,,, কেনো বাবা দেখছো না, নিউস পেপার পড়ছি।
বাবা,,,,,,, হ্যাঁ মা, কিন্তু নিউজ পেপারটা আগে সোজা করে তো নে।
আরাব হেঁসে দেয়। মুন তাকিয়ে দেখে নিউস পেপার উল্টো ধরে আছে। মুন তাড়াতাড়ি নিউস পেপারটা সোজা করে ফেলে।
মুন,আরাব নাস্তা করে বাসায় যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ে। মুন গাড়িতে বসে, মোবাইল টিপতে থাকে জেনো, মোবাইলে কতো জরুরি জিনিস দেখাচ্ছে।
আরাব গাড়ি ড্রাইভ করছে আর কিছু ক্ষন পর পর মুনের দিকে তাকাচ্ছে। মুন সব খেয়াল করছে কিন্তু এমন একটা ভাব করছে জেনো সে কিছুই জানে না।
মুন,,,,,,,(অফফ বার বার আমার দিকে তাকানোর কি আছে, এমনি কাল রাতের কথা ভুলতে পারছি না,এমন অর্ধেক ঝুলে থাকার থেকে ভালো ছিলো সব হয়ে যেতো, তাহলে লজ্জাটা তো ভেঙে যেতো)
এসব ভাবতে ভাবতে তাদের বাসা এসে পড়ে।বাড়ি আসতেই মুন লাফ দিয়ে উঠে দৌড়ে বাড়ির ভিতরে যায়।
আরাব ও ভিতরে যায়, গিয়ে আরাব আর ফারহানকে গ্রুপ কল দেয়।
রিমান,,,,,,,,, কি অবস্থা।
আরাব,,,,,, আরে আমার অবস্থা তো অনেক ভালো। তোরা কোথায়।
ফারহান +রিমান,,,,,,, আমরা তো বাসায়।
আরাব,,,,,, তাহলে আমার বাসায় এসে পড়, তোদের ধন্যবাদ জানানোর আছে,, ইশশ কি কাজ করেছিস তোরা (হেসে হেসে)
রিমান +ফারহান,,,,,, এখনি আসছি, আজ তো তুই পার্টি দিবি।
আরাব,,,,,,,, আরে দুম ধারাকা পার্টি দিবো। তোরা আয় তো।
,,,,, এখনি আসছি, টু মিনিট ব্রো।
কিছু ক্ষন পর রিমান আর ফারহান আসে। এসে দেখে আরাব সোফায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর তাদের দেখে হাসছে।
রিমান,,,,,,,,, কি অবস্থা ব্রো, মজায় আছো। ধন্যবাদ দিলে আমাকে দে কারন এসব প্ল্যান আমার ছিলো।
আরাব,,,,,,, আচ্ছা তাহলে সবচেয়ে বড়টা তোর।
ফারহান,,,,,,,,, ও হ্যালো ঔষধ তো আমি এনে দিয়েছিলাম। আমি না এনে দিলে হতো নাকি।
আরাব,,,,,,, ওহহ তাহলে তো দুজনে সমান প্রাপ্ত। (পিছন থেকে একটা বড় মোটা লাঠি বের করে) এটা দিয়ে তোদের আমি পুরস্কৃত করবো।
ফারহান,,,,,,,,, আব্বে কেনো আমরা তো তোর ভালোর জন্য করেছি।
আরাব,,,,,,, শালা তোদের ভালো করতে বলছে কে। জানিস কালকে আমার কেমন লাগছিল।
রিমান,,,,,,,, কেমন লাগছিলো।
আরাব,,,,,,,, হারামি আবার জিজ্ঞেস করছে। মনে হচ্ছিলো আমি এক বছর ধরে কিছু খায়নি, আর আমার সামনে খাবার রাখা আছে কিন্তু আমি খেতে পারছি না।
রিমান,,,,,,, কিরে ফারহান তুই ভুলে খিধে লাগার ঔষধ নিয়ে এসেছিলি নাকি।
ফারহান,,,,,,,, আব্বে গাধা ও এক্সযামপাল দিচ্ছে।
রিমান,,,,,,, শালা তার মানে এতো কিছু করার পরেও তুই কিছু করতে পারলি, এখন আমি নিশ্চিত হালার সমস্যা আছে,আগে একে ধরে বেঁধে হসপিটালে নিয়ে যা।
বলার সাথে সাথে আরাব রিমানের পিছনে একটা দেয়।রিমান চিৎকার করে উঠে। এটা দেখে ফারহান পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই।
রিমান,,,,,,,,, আব্বে ব্যাথা লাগে আস্তে মার।
আরাব,,,,,, আস্তে মারার জন্য ডেকেছি না। শালা কালকে রাতে আমি কতোটা ছটফট করেছি সেটা আমিই জানি। (রিমানকে আরেকটা মেরে)
রিমান,,,,,,, ঐ আমাকে একা কেনো মারছিস, ফারহান কেও মার, ও ঔষধ না আনলে এসব হতোই না।
ফারহান,,,,,,, আব্বে শালা তুই প্ল্যান না করলে আমি আনতামি না।
আরাব গিয়ে ফারহানকে দুটো দেয়। আরাব দুজোনকে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে পিটায়।
রিমান,,,,,,, হালা পাগল হয়ে গেছে, এভাবে কেও মারে।
ফারহান,,,,,,,, বন্ধু হয় আমরা তোর, একটু আস্তে মার।
আরাব,,,,,, তোদের আজ হাড় গোড় ভেঙে তারপর ছাড়বো।
আরাব ইচ্ছে মতে পিটায়।
রিমান,,,,,,, আল্লাহ রছতে এবার থাম।
আরাব হয়রান হয়ে সোফায় বসে,ফারহান আর রিমান ও বসে।
আরাব,,,,,,, বন্ধু বলে মাফ করে দিলাম।
রিমান,,,,,,,, এহহহ এতো মার দেওয়ার পর কচুর বন্ধু বলে,,,
আরাব রিমানকে একটা লাথি মারে, ফারহান হাসতে থাকে, রিমান ফারহানকে একটা লাথি মারে।
রিমান,,,,,,,, আচ্ছা একটা কথা বল, তুই কি মুনকে ভালোবাসিস না।
আরাব,,,,,,, হয়তো বা ভাসি।
ফারহান,,,,,,,, আরে হয়তো বা কি, ভাসিস আমরা দেখেছি।
রিমান,,,,,, কালকের রাতটা এতোটাই খারাপ ছিলো।
আরাব,,,,,,, না এতোটাও খারাপ ছিলো না (অন্য দিকে তাকিয়ে মুশকি মুশকি হেঁসে)
রিমান,,,,,,,, যাক একটু হলেও তো কাজে দিয়েছে।
তখন রিমানের মোবাইলে ফোন আসে,,
রিমান,,,,,,, হ্যাঁ বাবা বলো।৷ কিহহহ,,, হোয়াট দ্যা ফাও কথা বাবা।
আরাব,,,,,,, কি হলো।
আরাব ফারহানের সাইড থেকে উঠে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ায়।
ফারহান,,,,,,,, কি হলো বল।
রিমান,,,,,,, তোর জন্য গুড নিউজ,বাবা রিমির বিয়ে অন্য জায়গায় টিক করে ফেলেছে।
ফারহান কিছু ক্ষন রিমানের দিকে তাকিয়ে থাকে, রিমান ফারহানের দিকে। তারপর আরাবের লাঠি নিয়ে রিমানের দিকে দৌড়ে যায় ফারহান। আর রিমান উল্টা পাল্টা দৌড় দেয়।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।