you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part 5
#Maishara_Jahan
রিমান,,,,,,,,, আমরা আছি কি করতে। এখন পিকনিক এর কথা ভাব।এখানে যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। আমি শুধু মুনের চেহেরাটা কেমন হবে তর হবু বরকে দেখে সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।
বিকেলে,,,,,,,,
আরাব তার মা বাবা, রিমান, ফারহান,রিমি সবাই রেডি হয়ে মুনের বাসায় যায়। সবাইকে অনেক যত্ন করে সোফায় বসানো হয়। খাবার দেওয়া হয়। মুন রেডি হচ্ছে উপরের রুমে।
রিমান,,,,,,,,, মুনকে কি আজ আমরা নতুন দেখছি নাকি, যে রেডি হওয়া লাগবে। (ফারহানের কানে কানে)
ফারহান,,,,,,,, বিয়ে বলে কথা, মেয়েদের একটা শক আছে না। আমি এটা বুঝলাম না আরাব এতো চুপচাপ কেনো।
রিমান,,,,,,,,, হয়তো ভয় লাগছে।
মুনের একটা চাচাতো বোন এসে দেখে যায়। আর লুকিয়ে জিজ্ঞেস করে জামাই কোনটা। আরাবকে দেখে দৌড়ে উপরে চলে যায়। মুন রেডি হয়ে বসে আছে।
মুন,,,,,,,,,, দূররর ভালো লাগে না। শারী পড়ার কি দরকার ছিলো।
বোন,,,,,,, আরে ভালো করছোস শারি পরেছিস,শারিতে তোকে হেব্বি লাগে। নিচে যা দেখে এলাম, তোর হবু বরতো সেই লেভেলের হেন্সাম। একদম জেন্টার ম্যান। আমার এখন তোকে নিয়ে হিংসে হচ্ছে।
মুন,,,,,,,, বিয়ে করার আমার একদম ইচ্ছে নেয়। তাও বল সত্যি হেন্সাম ছিলো।
বোন,,,,,,,,,, অনেক হেন্সাম ছিলো। ও যেহেতু আমার দুলাভাই হবে তাই নজর দিতে পারবো না। তবে ওনার সাথে আরো দুটা ছেলে এসেছে। তারাও কম না। তোর বিয়ে হলে এদের মধ্যে থেকে একটাকে সেটিং করিয়ে দিস পিল্জ।
মুন,,,,,,,, তুই আর তোর কথা। আমি টেনশনে আছি, নাজানি ছেলেটার মন কেমন হয়।
বোন,,,,,,,, আরে ছেলেটা যে হেন্সাম নাম নিশ্চিত মন ও ওর মতো সুন্দর হবে।
মুন,,,,,,,, উপরি সুন্দর দেখে সব কিছু বিচার করা যায় না।
এখনি মা এসে বললো আমাকে নিচে নিয়ে যেতে। সত্যি বলতে একটু না অনেকটাই ভয় করছে। শুনেছি মেয়ে দেখতে এলে, ছেলের মা চুল দেখে, হাত দেখে, হেঁটে দেখাতে বলে, মনে হয় কোনো মেয়ে না জিনিস নিচ্ছে। এমন করলে আমার মন আগেই ভেঙে যাবে। আর লজ্জা যে, করছে না সেটা না। লজ্জাও করছে।
চাচাতো বোন আমাকে নিয়ে যায়, মনে হয় আমি একা যেতে পারবো না। আমি ও আস্তে আস্তে যায়। মনে হচ্ছে দৌড়ে পালায়।
মুন নিচে এসে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে থাকে। মুনের ভয়কান্ত চেহেরার দিকে আরাবের চোখ আটকে যায়। রিমান হাত দিয়ে আরাবকে খোঁচা দেয়।
রিমান,,,,,,,, এমন বেহায়ার মতো তাকিয়ে থাকলে মান সম্মান নিয়ে বাসায় যাওয়া যাইতো না। (আরাবের কানে কানে)
আরাব তাড়াতাড়ি তার চোখ ফিরায়।
রিমি,,,,,,,, আরে মুন আপু বসো এখানে।
মুন,,,,,,,(হুমম রিমির কন্ঠ)
মুন মাথা উঁচু করে তাকিয়ে, চিনা পরিচিত লোক দেখে অভাক হয়ে যায়। সে এটা বুঝে উঠতে পারছে না, ছেলে পক্ষ কি এসেনি এখনো। মুন আশে পাশে ভালো করে দেখে কাওকে দেখতে পারছে না। আরাব, রিমান, ফারহান বড় একটা হাসি দিয়ে মুনের দিকে তাকিয়ে আছে।
যীন্নাত (আরাবের মা),,,,,,, মুন মা, এদিকে এসে বসো। শারিতে তোকে একদম পরী লাগছে।
মুন,,,,,,,,,,আরে আন্টি আর বলো না, এই শারি পড়ে আমার জান বেরিয়ে যাচ্ছে। এই গরমে কেও এতো ভাড়ি শারি পড়ে। আবার কে না কে দেখতে আসবে তার জন্য নাকি আবার সাজতে হবে অসহ্য। গরমে মরে যাচ্ছি। (সোফায় বসে জুস খেতে খেতে)
আরাব মুশকি হেঁসে মুনের দিকে তাকিয়ে আছে। আর সবাই মুনের কথায় হ্যাঁ মেলাচ্ছে। মুনের মা বার বার মুনকে ইশারা দিচ্ছে কিন্তু সেদিকে তার কোনো পাত্তা নেয়।
মুন,,,,,,,, আচ্ছা ছেলে পক্ষ এখনো মনে হয় আসেনি। ভালো হয়েছে, একটু সাহস জোগায় মনে। না জানি ছেলে কোন বান্দরের মতো দেখতে হবে। ওর মা আবার যদি টিভি সিরিয়ালের মতো দজ্জাল শাশুড়ী হয় তখন।
মা,,,,,,,, তুই এবার চুপ করবি।
মুন,,,,,,,,, আরে বলতে দাও না মা,, ছেলেরা আসলে তো মুখে তালা দিয়ে রাখতে হবে। তা তারা কখন আসবে।
ফারহান,,,,,,,,, আসবে না এসে গেছে।
মুন চারপাশে তাকায়। আর আস্তে করে বলে।
মুন,,,,,,,,, কোথায়। (জুস খেতে খেতে)
রিমান,,,,,,,,, মনকে শক্ত করো, তোমার বিয়ে যার সাথে ঠিক হয়েছে সে, আর কেও না তোমার জম্মের শত্রু, না মানে বন্ধু আরাবের সাথে।
কথাটা শুনে মুন বিষম খাই। মুখ থেকে জুস বেরিয়ে যায়। কাশকে কাশতে আরাবের দিকে তাকায়। আরাব একটা হাসি দিয়ে মুনের দিকে টিস্যু পেপার ধরে।
শক খেয়ে বিচারির মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। ইশারা দিয়ে আরাবের দিকে আঙুল দিয়ে শুধু আমার আমার বলছে।
রিমান,,,,,,,,, হ্যাঁ এটাই তোমার হবু বর।
মুন আরাবের দিকে তাকায়, আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে হেসে চোখ দুটো মিট মিট করে। মুন একবার আরাবের দিকে তাকায় একবার তার মার দিকে।
মুন,,,,,,,,, মআআ (তার মায়ের দিকে তাকিয়ে)
মা,,,,,,,, চুপচাপ বসে থাক। (চোখ রাঙিয়ে)
সবাই কথা বলছে, আর মুন শুধু আরাবের দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। আর টেবিলে রাখা খাবার তো এভাবে খাচ্ছে যেনো সেই মেইন মেহমান।
যীন্নাত,,,,,,,,,,, আরাব আর মুন তোমরা অন্য রুমে গিয়ে আলাদা কথা বলো।
মুন,,,,,,,,(এই সুযোগের আশায় ছিলাম) চলুন (একটা হাসি দিয়ে)
দুজনে উপরে মুনের রুমে যায়। ওরা যেতেই রিমান আর ফারহানের ইশারা করা শুরু হয়ে গেছে। ওরা দুজন উঠে দাঁড়ায়।
রিমান,,,,,,,,, ভালো লাগছে, আমরা দুজন এক কাজ করি ছাদে গিয়ে একটু গুরে আসি।
মুনের মা,,,,, এটা আবার জিজ্ঞেস করার কি আছে, যাও।
রিমান আর ফারহান তাড়া যায়, গিয়ে মুনের দরজায় আড়ি পেতে থাকে।
আরাব,,,,,,,, লজ্জা করে না, নিজের হবু স্বামীর উপর এভাবে চোখ রাঙিয়ে তাকাতে।
মুন,,,,,,,,, না করে না। আপনার সাহস কি করে হলো আমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসা। এই ছিলো আপনার মনে।
,,,,,,,,,,, এক মিনিট, এক মিনিট আমার মনে কিছুই ছিলো না। আমিও কিছু ক্ষন আগে জানতে পারলাম। আর বিয়ের প্রস্তাব দিতে আসিনি, সব আগে থেকে ঠিক করা ছিলো।
,,,,,,,,,, আপনি না করে দিতে পারলেন না।
,,,,,,,,, কেনো তুমি না করতে পারলে না। নাকি আমার প্রেমে পড়ে গেছো।
,,,,,,,, হুহহহ কখনো না। আর আমি না করতে পারবো না। আমার প্রবলেম আছে জানেন না।
,,,,,,,,,তো মিস্ মুন আপনার মতো আমারো প্রবলেম আছে।
,,,,,,,,,, আপনার আবার কিসের প্রবলেম।
,,,,,,,,, আপনি যেমন আপনার মা বাবাকে না করতে পারবেন না, ঠিক তেমনি আমি না করার শর্তে ও কেও শুনেনি।
,,,,,,,,,, আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।
,,,,,,,,,, আলহামদুরিল্লাহ,,, গিয়ে না করে দিন।
,,,,,,,,,,, আমি কেনো না করবো, আপনি না করেন।
,,,,,,,,, আমি কেনো না করবো। তুমি হয়তো না করে দাও না হলে আমাকে বিয়ে করো।
,,,,,,,, আমার কাছে আর কোনো অফসেন আছে। আমি না করলেও কেও শুনবে না।
,,,,,,,,, ঠিক আছে, আমাকে বিয়ে করো, আর মজা বুঝো। বিয়ের পড়ে এতো রাগ কোথায় থাকে আমিও দেখবো৷
,,,,,,,,,, আচ্ছা হুমকি দিচ্ছেন আমাকে।
,,,,,,,,,, হুমমম।
,,,,,,,,,,ঠিক আছে, বিয়ের পর আমিও দেখিয়ে দিবো আসল বউ কাকে বলে৷ আপনার জীবন যদি জাহান্নাম না করে দিয়েছি তার পরে বলবেন।
,,,,,,,,, হুহহহ দেখা যাবে।
বলে আরাব দরজা খুলে, আর রিমান, ফারহান রুমের ভিতরে পড়ে যায়। পড়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি উঠে।
রিমান,,,,,, এভাবে কেও দরজা খুলে।
ফারহান,,,,,,,, একটু দেখে খুলবি না।
আরাব,,,,,,,,, দরজা আর দেখে খুলবো। তোরা কান পেতে শুনছিলি আমরা কি বলছিলাম।
ফারহান,,,,,,,, আমরা তো এমনি দেখতে এসেছিলাম।
রিমান,,,,,,,,,, তা কথা বলা শেষ নাকি আরো বলবে (মুনের দিকে তাকিয়ে)
মুন লজ্জা পাওয়ার অভিনয় করে যা, কোনো কাজে লাগে না।
রিমান,,,,,,,, হয়ছে আর লজ্জা পেতে হবে না, একটু আগে এখানে যে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ হয়েছে সেটা আমরা শুনেছি।
আরাব,,,,,,, এভাবে কারো কথা শুনা ভালো না।
ফারহান,,,,,,, রাখ বেটা,, ভাবলাম হয়তো একটু রোমান্টিক কথা ভার্তা হবে। লজ্জায় দুজনে কথা বলতে পারবি না৷ কিন্তু এখানে এসে তাড়া ঝগড়া করছে।
রিমান,,,,,,,, দূররর পুরো মজাটাই নষ্ট করে দিলো।
মুন,,,,,,,, তোমার এই তেঁতো বন্ধুর সাথে রোমান্টিক কথা বলা যায় না, বুঝলে।
আরাব,,,,,,,, আমি তেঁতো হলে আপনি ও কোনো মিষ্টির হাঁড়ি না৷
রিমান,,,,,,,,,, দূররর চলতো ফারহান।
ফারহান,,,,,,,,, চল, শুধু শুধু নিজের টাইম নষ্ট করলাম।
রিমান ফারহান নিচে চলে যায়, সাথে সাথে আরাব আর মুন ও যায়। বিয়ে ঠিক হয়ে যায় ১৫ দিন পরেই বিয়ে।
সবার এখন যাওয়ার পালা।
রিমান,,,,,,,, আরাব ফারহান রিমিকে বাসায় পৌঁছে দিস। আমার একটু কাজ আছে।
ফারহান,,,,,,,, আরাব তুই রিমিকে পৌঁছে দে, আমার মিটিং আছে।
আরাব,,,,,,,,,, রাইসা কোম্পানির সাথে।
ফারহান,,,,,,,,, হুমম
রিমি,,,,,,,,, ঐ মেয়েটার সাথে।
ফারহান,,,,,,,,, হুমম
রিমি,,,,,,,, আমিও যাবো।
আরাব,,,,,,,, তুই মিটিং এ গিয়ে কি করবি।
রিমি,,,,,,,, অফিসের সামনে বড় শপিং মল আছে, ওনার মিটিং শেষ হলে পিকনিক এর জন্য শপিং করবো।
আরাব,,,,,,,, ঠিক আছে চল, আমি শপিং করিয়ে দিচ্ছি।
রিমি,,,,,,,, আমার পোশাক নিয়ে ওনার অনেক প্রবলেম থাকে তাই ওনিই কিনে দিবে।
ফারহান,,,,,,,,,, ঠিক আছে, তাহলে চল আমার সাথে।
সবাই বেড়িয়ে পড়ে।
,,,,,,,,,,,,,,
রিমান মাহুয়ার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে, মাহুয়াকে ফোন দেয়।
মাহুয়া,,,,,,,,, কি হলো কি হুহহহ, কিছু ক্ষন পর পর ফোন দেন।
রিমান,,,,,,,, নিচে আসো কথা আছে।
,,,,,,, আপনি আবার আমার বাসার নিচে আসছেন।
,,,,,,,,,, কখনো তুমি বলো কখনো আপনি। আচ্ছা সমস্যা নেয়। তাড়াতাড়ি নিচে আসো।
,,,,,,,,, আসবো না, আমি কি করবেন।
,,,,,,,,,,, ঠিক আছে তাহলে আমি উপরে চলে আসছি।
,,,,,,,,,wait wait মানে।
,,,,,,,, যদি তুমি উপরে না আসো তাহলে আমি চলে আসবো৷
,,,,,,,, ও আল্লাহ,, আসছি আমি উপরে।
মাহুয়া নিচে আসে, এসে দেখে রিমান বাইকের উপরে বসে আছে। বসে বসে সিস বাজাচ্ছে আর চাবি ঘুড়াচ্ছে। মাহুয়াকে দেখে নিচে নামে।
মাহুয়া,,,,,,,,, কি হয়েছেটা কি হুমম।
রিমান,,,,,,,,, শুনেছি তুমি নাকি পিকনিকে যাবে না।
,,,,,,,,,, এই সব খবর আপনাকে কে দেয়, তাকে যদি পায় না তহলে তার খবর আছে। হ্যাঁ যাবো না আমি।
,,,,,,,, আমি যাবো বলে যাবে না তাই না।
,,,,,,,,, একদমি না, পিকনিকে যাওয়ার মতো টাকা নেয় আমার কাছে। আর জুনিয়রদের সাথে জোর করে পিকনিকে যেতে লজ্জা করে না।
,,,,,,,,,, এটা আমার নেয়। আর তোমার বাড়ি বা বাবাইকে দেখে তো মনে হয়না যে, তোমার টাকা নেয়। আচ্ছা তোমার খরচ লাগে সব আমি দিবো এখন তো চলো।
,,,,,,,,,, একদম টাকার গরম দেখাবেন না আমাকে। গরীব হতে পারি লোভী না। আমার টাকা নেয় তাই যাবো না।
রাইহান খান,,,,,,,,, কে গরীব মা,, তোর বাবাই এতোটাও গরীব না যে, তোর শক মিটাতে পারবে না।
মাহুয়া,,,,,,,,, বাবাই সব সময় তুমি কোথা থেকে এসে পড়ো৷
বাবা,,,,,,,, এটা ছাড়,, কেনে আমাকে জেনে শুনে গরীব বানানো হচ্ছে একটু বল।
রিমান,,,,,,,, আংকেল, ভার্সিটি থেকে টুয়োরে যাবে, তিনদিন কক্সবাজার আর আপনার মেয়ের নাকও টাকা নেয়।
বাবা,,,,,,,,,, কে বলেছে নেয়। আমার এক মাত্র মেয়ে তার জন্য আমার কাছে টাকা থাকবে না। এই সব কিছু কি আমি কবরে নিয়ে যাবো।
রিমান,,,,,,, তাছাড়া তুমি পড়ো এই প্যান্ট শার্ট, মেকাপ করো না। এতে তোমার বাবার কতো টাকা বেঁচে যায় কোনো খবর আছে।
এই কথা শুনে মাহুয়া আর তার বাবা রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,,, (মনে হয় একটু বেশিই বলে ফেললাম)
মাহুয়ার বাবা হেঁসে দেয়।
বাবা,,,,,,,, তুমি ঠিক বলেছো। আমি চাই আমার খরচ হোক। মাহুয়াকে টুয়োরে পাঠাতে আমার কোনো সমস্যা নেয়, তবে একা মেয়েকে পাঠাবো।
রিমান,,,,,,,, আপনার মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করেন। কেও ওর সাথে কিছু করার সাহস পাবে না।
বাবা,,,,,,,,, এটা নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেয়, কিন্তু সমুদ্র পাড় তো তাই ভয় লাগে।
রিমান,,,,,,, চিন্তা করবেন না, আমি সাথে যাবো, আপনার মেয়ের পুরো খেয়াল রাখবো।
বাবা,,,,,,,,, প্রমিজ
রিমান,,,,,,,,, পাক্কা প্রমিজ।
বাবা,,,,,,,, তাহলে তো আমার কোনো চিন্তাই নেয়। চলো চলো বাসার ভিতরে চলো।
মাহুয়াকে পাত্তা না দিয়ে দুজনে বাসার ভিতরে যায়। মাহুয়ার ও তাদের পিছনে পিছনে যায়। রিমান গিয়ে বসে।
বাবা,,,,,,,,, যা গিয়ে রিমানের জন্য, জুস আর নুডলস বানিয়ে নিয়ে আয়৷
মাহুয়া,,,,,,,,, পারবো না।
বাবা,,,,,,,, এখন গিয়ে আমি বানিয়ে নিয়ে আসবো, যা না মা।
মাহুয়া রান্না ঘরে চলে যায়।
রিমান,,,,,,, আরে বা, আপনার মেয়ে রান্না ও করতে পারে।
বাবা,,,,,,,, শুধু নুডলস বানাতে পারে, আর জুস তো ফ্রিজে আছে।
,,,,,,,, সারা জীবন নুডলস খেয়েই কাটাতে হবে দেখা যায়। আচ্ছা আপনি এতো সুইট তাহলে আপনার মেয়ে এমন জ্বাজালো কেনো।
,,,,,,,, একদম তার মার মতো হয়েছে।
,,,,,,,,,, আন্টি কোথায়।
,,,,,,,,, মাহুয়ার যখন দুবছর তখন তার মা এক্সিডেন্টে মারা যায়। তখন আমি আর আমার মেয়ে একা থাকি।
,,,,,,,, সরি আংকেল।
,,,,,,,,, ইটস ওকে,,,, আমি মাহুকে লালন পালন করেছি, আমি মেয়েদের এতো কিছু বুঝি না, তাই ছোট থেকে ওকে ছেলেদের পোশাক কিনে দিয়েছি, ছেলের খেলনা কিনে দিয়েছি। ঘরে কোনো মেয়ে ছিলো না তাই যা শিখার আমাকে দেখেই শিখেছে।
যখন ও একটু বড় হয়, সব কিছু বুঝে তখন ওকে নিয়ে যায় মেয়েদের ড্রেস কিনতে, গিয়ে না ও কিছু বুঝে না আমি।কসমেটিক্স এর শপে গিয়ে তো মাথা নষ্ট হয়ে যায়। কসমেটিক্স এর মধ্যে শুধু দুটো জিনিস চিনি, লিপস্টিক ও আইলানার। আমার সাথে থাকতে থাকতে শক ও আমার মতো হয়ে গেছে ওর।
রিমান,,,,,,,, ছেলেদের মতো শক মানে, না মানে ওর ছেলে পছন্দ তো, নাকি আবার।
রাইহান খান রিমানের কথা শুনে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,, সরি বাট এটা জানা আমার জন্য জরুরি।
মাহুয়ার বাবা রিমানের চেহেরা দেখে হাসতে হাসতে শেষ।
বাবা,,,,,,,, ভয় পেয়ো না, আমার মেয়ের হরমোন একদম ঠিক আছে, শুধু কিছু কিছু অভ্যাস আমার পেয়েছে।
রিমান,,,,,,,,, আরেকটু হলেই হার্ট অ্যাটাক করতাম।
মাহুয়া নুডলস আর জুস নিয়ে আসে। রিমান আর বাবাকে দেয়। রিমান নুডলসটা মুখে দিয়ে কিছু খন বসে থাকে, না পারছে ফেলতে না পারছে গিলতে। মাহুয়ার বাবার দিকে তাকিয়ে দেখে একদম আরামে খাচ্ছে।
রিরিমান,,,,,,, (আহারে এমন খাবার খেতে খেতে বিচারা আমার শশুরের মুখের টেস্ট নষ্ট হয়ে গেছে। এতো লবন মাখা খাবার কিভাবে খাচ্ছে)
রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে মাহুয়া মিটি মিটি হাসছে। রিমানের আর বুঝতে বাকি নেয়। রিমান আর কথা না বলে হাসি মুখে পুরোটা নুডলস খেয়ে নেয়। মাহুয়া অভাক হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,, নুডলসটা অনেক টেস্টি ছিলো।
মাহুয়া,,,,,,,,,, এ্যাঁ টেস্টি ছিলো।
রিমান,,,,,,, তোমার হাতে বিষ খেলেও অনেক মজা লাগবে৷
মাহুয়া,,,,,,,, আচ্ছা ইঁদুরের বিষ আছে এনে দিবো।
,,,,,,,, তুমি দিলে সেটাও হাসি মুখে খেয়ে নিবো। আচ্ছা আংকেল আসি, আরেকদিন দেখা হবে।
বাবা,,,,,,, ওকে ভালো থেকো, আর আমার মেয়েকে ফোন করতে ভুলো না।
মাহুয়া,,,,,,,, বাবাই।
রিমান,,,,,,, ওকে বাই কাঁচা মরিচ, না মানে মাহু দূররর মানে মাহুয়া। বাই।
বাবা,,,,,,,, হাহাহা ফানি বয়।
রিমান চলে যায়।
,,,,,,,,
রিমিও ফারহানের সাথে সাথে তার অফিসে যায়।
ফারহান,,,,,,,,, তুই বাহিরে বস, আমি ভিতরে মিটিং করবো।
রিমি,,,,,,,,,, আমি তো ঐ মেয়ে ছাড়া আর কাওকে দেখছি না, আপনার কেবিনে অনেক জায়গা আছে, আমি ঐ সোফাতে গিয়ে বসে থাকবো।
ফারহান আর কিছু বলার আগেই রিমি তাড়াতাড়ি গিয়ে কেবিনে ডুকে সোফায় বসে পড়ে। ফারহান মুশকি হাসতে থাকে। অফিসের সবাই ফারহানের দিকে তাকিয়ে থাকে। ফারহান ওদের দিকে তাকাতেই সবাই আবার অন্য দিকে ফিরে যায়। ফারহান নিজেকে ঠিক করে ভিতরে যায়।
রিমি পা উঠিয়ে আসন বেঁধে সোফায় বসে, কোলে আবার একটা বালিশ দিয়ে রাখে। রাইসা এসে রিমির দিকে তাকায়।
ফারহান,,,,,,,, পিল্জ কাম। সিট হিয়ার।
রাইশা,,,,,,,, থেংস। কেমন আছো।
,,,,,,,,, ভালো,,, তুমি।
,,,,,,,,, ভালো। তা এই মেয়ে কি এখানেই থাকবে, মিটিংটা একটু পার্সোনাল সো।
রিমি,,,,,,,,, (কিসের যে এটা মিটিং সেটা দেখতেই তো এসেছি) আমি বাহিরে যাবো না, আমার ভয় করে।
ফারহান,,,,,,,, ও থাকলে কোনো প্রবলেম হবে না।
রাইশা,,,,,, কি হয় তোমার।
ফারহান,,,,,,, বোন হয় (রিমির দিকে তাকিয়ে)
কথাটা যেনো রিমির বুকে তীরের মতো বিথেছে৷
রাইসা,,,,,,, ওও হ্যালো (বড় একটা হাসি দিয়ে)
রিমি,,,,,,,,,, কিসের বোন,, আমার অলরেডি দুটো ভাই আছে আর লাগবে না। তাছাড়া আপনি আমার বাবার বন্ধুর ছেলে তাহলে বোন হলাম কিভাবে। (রাগে)
রাইসা,,,,,,,,,, তাহলে এখানে কি করো।
রিমি,,,,,,,,, আমার ইচ্ছে,, আর কারো সাহস নেয় আমাকে এখানে থেকে বের করতে।
রাইসা,,,,,,,, ফারহান এভাবে অফিসের মিটিং এ।
ফারহান,,,,,,,,,,, ও জাস্ট ইগনোর হিম।
রিমি,,,,,,,,,, (ইগনর তাও আবার আমাকে)
ফারহান আর রাইসা কথা বলছে, কিছু ক্ষন পড়ে ফারহানের এসিস্ট্যান্ট আসে। বার্গার আর চিপস নিয়ে।
রাইসা,,,,,,,,, ফারহান এসবের কি দরকার ছিলো, এখানে অলরেডি কফি আছে।
ফারহান,,,,,,, আমি তো বলিনি।
রিমি,,,,,, এটা আমার জন্য, আমি আনতে বলেছি। এখানে দিয়ে যান পিল্জ।
রাইসা,,,,,,,, ফারহান তুমি কিছু বলো না, তোমার এসিস্ট্যান্টকে ও কিভাবে অর্ডার করতে পারে।
রিমি,,,,,,,,, আমি শুধু ওনার এসিস্ট্যান্টকে না ওনাকেও অডার করতে পারি৷ সেই অধিকার আমার আছে।
ফারহান শুধু রিমির কথা শুনছে।
রাইসা,,,,,,,, অফফ
রাইসা ভালোমতো কথাও বলতে পারছে না, রিমি জোরে জোরে চিপস খাচ্ছে। অন্য দিকে ফারহান কিছুই বলছে না।
রাইসা,,,,,,,,, অফফ, ফারহান ওকে কিছু বলো, ডিস্টার্ব হচ্ছে।
রিমি,,,,,,,, ওনি কি বলবে।
ফারহান,,,,,,,,, রিমি চুপচাপ বসে থাক। দেখছিস তো ডিস্টার্ব হচ্ছে।
রাইসা রিমির দিকে তাকিয়ে একটা জয় লাভের মতো হাসি দেয়। রিমি চিপস খাওয়া বাদে বার্গার খেতে থাকে। কিছু ক্ষন গলা ধরে কাশতে থাকে। ফারহান তাড়াতাড়ি রিমির কাছে যায়।
ফারহান,,,,,,,,, রিমি কি হয়েছে।
ফারহান রিমিকে পানি খায়িয়ে দেয়।
ফারহান,,,,,,,,,,, একটা জিনিস সাবধানে খেতে পারিস না। সব কিছুতে তাড়াহুড়ো।
রিমি শান্ত হয়ে, রাইসার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়। যেটা ফারহানের নজর এড়ায়নি।
রাইসা,,,,,,,,, আজকে মিটিং হবে না। অন্য দিন হব আমি এখন আসি।
বলে রাইসা রাগে হনহন করে চলে যায়। রাইসা যাওয়ার সাথে সাথে রিমি সুস্থ হয়ে যায়।
রিমি,,,,,,,,, আমাকে বাসায় দিয়ে আসুন, আমি বাসায় যাবো।
,,,,,,, কেনো শপিং করবি না।
,,,,,,,,, না কাল করবো। আজ ভালো লাগছে না।
,,,,,,,,, আজকে তোর কি হয়েছে, অনেক অধিকার দিয়ে কথা বলছিলি।
,,,,,,,,, কেনো অধিকার নেয় বুঝি আমার৷
,,,,,,,,,,, কিসের অধিকার।
,,,,,,,,,,,, আমার আর কথা বলতে ভালো লাগছে না, আমি বাসায় যাবে।
,,,,,,,,,ঠিক আছে চল (এখন আমি কিছু বলবো না, যা বলার তুই বলবি, অপেক্ষায় থাকবো)
ফারহান রিমিকে বাসায় পৌঁছে দেয়, রিমি সারা রাস্তায় মুখ ফুলিয়ে বসে ছিলো।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।