বোনু সিজন_০২ Part_08

0
620

বোনু
সিজন_০২
Part_08
#Writer_NOVA

নবীন বরণের দিন…….

মির্জা কুঠির…..

অনেকক্ষণ ধরে মিহুর জন্য সোফায় বসে অপেক্ষা করছে মেহরাব।মিহুর কখনও এতো সময় লাগে না।আজ লাগার কারণ হলো মিহু ক্লাসিক্যাল ডান্স করবে।তার জন্য লেহেঙ্গা পড়েছে। নীল রঙের লেহেঙ্গার সাথে ম্যাচ করে চুড়ি,মাথায় তাজা গোলাপের খোঁপা, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক, চোখে কাজল।তৈরি হয়ে নিচে নেমে এলো মিহু।মেহরানের পরনে কফি কালার জিন্স ও শার্ট। চোখে কালো চশমা, সিল্কি চুলগুলো কপালে পরেছে। দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে।কিন্তু মিহুকে আরো বেশি ভালো লাগছে।

মিহুঃ তুই কোথায় যাবি হুলো বিড়াল ?
মেহরাবঃ তোদের কলেজে বিচ্ছু।
মিহুঃ কেন?
মেহরাবঃ যেতে মন চাইছে তাই।
মিহুঃ বিনা দাওয়াতের মানুষ আমাদের কলেজে এলাউ করি না।
মেহরাবঃ তোকে কে বলেছে, আমি বিনা দাওয়াতে যাচ্ছি। (রেগে)

মিহুঃ তোকে কেউ দাওয়াত দিলে তো যাবি।দাওয়াত ছাড়া কি করে যাস?লজ্জা করে না।

মেহরাবঃ আমাকে রাজ ও জান যেতে বলছে।

মিহুঃ কেন ওদের থালা-বাসন মাজার মানুষ কি কম হয়ে গেছে? তাই তোকে দিয়ে পূরণ করবে।

মেহরাবঃ ঐ তোকে কে বলেছে? আমায় যেতে বলেছি বলে যাচ্ছি।ওরা অনেক বার অনুরোধ করেছে।

মিহুঃ ইস,কি ছোঁচারে!!! তোর মতো ছোঁচা একটাও দেখিনি।বলছে বোধহয় এক প্যাকেট বিরিয়ানি দিবো।সেই ১০০ টাকার বিরিয়ানির লিগা দৌড় পাইরা আমাদের কলেজে যাইবো।

মেহরাবঃ আব্বে তেরি তো—-

মিহুঃ খবরদার কাছে আসবি না।ঐ খামচি দিমু কিন্তু।

মেহরাবঃ তুই দাঁড়া একবার।দেখ তোকে কি করি?

মিহু দৌড়ে বাইরে চলে গেল।ওর পেছন পেছন মেহরাবও চলে গেল।কিছু দূর যেতেই মেহরাব ওর বোনের হাত খপ ধরে ফেললো।

মেহরাবঃ এবার কোথায় যাবি বিচ্ছু?

মিহুঃ কলেজে, হুলো বিড়াল।

মেহরাবঃ আগে তো মার খেয়ে নে।তারপর যা।

মিহুঃ আমার সোনা ভাইয়ু,লক্ষ্মী ভাইয়ু,তুমি আমার কত ভালো ভাইয়ু।আমি আর তোমারে কিচ্ছু কমু না।হাতটা ছাড় না।ব্যাথা পাইতাছি তো।

মেহরাবঃ মাখন লাগিয়ে কাজ নেই। আমি তোর ঐ মন ভুলানো কথায় গলতাছি না।

মিহুঃ ছাড় না।নইলে আমি চিৎকার কইরা বাপি রে ডাকমু।

মেহরাবঃ যাকে খুশি ডাকতে থাক।কেউ শুনবো না।
মিহুঃ দেরী হইয়া গেলো তো ছাড় আমারে।

মেহরাবঃ যা,এবারের মতো ছেড়ে দিলাম।পরের বার কিন্তু রক্ষা নেই তোর।বাইকে উঠ।

মিহুঃ তোর বাইক নিয়ে যা।আমার বাইক নিবি কে?

মেহরাবঃ কথা বেশি না বলে, বাইকে উঠ।তা না হলে তোকে রেখেই চলে যাবে।

মিহুঃ উঠছিতো। এত কথা কস কে?

☘️☘️☘️

রাজ ও জান আর ওদের বন্ধুরা আজ অনেক সকালে এসেছে। কত কাজ বাকি আছে। সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছে। সবার পরনে পাঞ্জাবী।কেউ পাঞ্জাবীর সাথে জিন্স কেউ বা পায়জামা পরেছে।নিবরাজের মনটা আজ খারাপ। গতকালের ঘটনার কারণে। ওর বন্ধুরাও গতকাল পার্টিতে ছিলো।রাজ আজ নীল পাঞ্জাবীর সাথে সাদা জিন্স পড়েছে। আইজান পারপেল কালার পাঞ্জাবী আর কালো জিন্স পরেছে।দুজনকেই সুন্দর লাগছে।

সাদাফঃ দোস্ত, রাজের ব্যাপারটা আমি কিছুই বুঝলাম না।সব মাথার ওপর দিয়ে গেল।

আইজানঃ কি বুঝলি না?

সিয়ামঃ রাজপর সাথে গতকাল ঐ মেয়েটা এমন করলো কেন?

নিশীতঃ ওকে ১ম কোন মেয়ের সাথে এভাবে কথা বলতে দেখলাম।

রিমনঃ তোরা মাঠে গিয়ে ঘাস খা।গরুও তোদের থেকে বেশি ভালো বুঝে।

সোহেলঃ এই কথা কেন বললি? বুঝি নাই তাই বলেছি।

আইজানঃ কোন জায়গায় মারামারি করতে গেলে তো দুই লাইন বেশি বুঝিস।আর এই সামান্য বিষয় বুঝিস না।সত্যি তোদের মাথা গোবর ঠাসা।

সিয়ামঃ বলবি তো মেয়েটা রাজের কি হয়?

রিমনঃ বউ হয়।এখনও হয়নি তবে ভবিষ্যতে হবে।

নিশীতঃ তার মানে রাজ ঐ মেয়েটাকে পছন্দ করে।

আইজানঃ এতক্ষণে গাধাগো মাথার বুদ্ধি খুলছে।

সাদাফঃ বলিস কি? কবের থেকে?

রিমনঃ তিন বছর আগের থেকে ঐ মেয়ে মানে মিহুকে রাজ পাগলের মতো ভালোবাসে।

সোহেলঃ সত্যি!!!!!
আইজানঃ জ্বি হ্যাঁ।

সিয়ামঃ এই কারণে রাজ কখনো কোন মেয়ের দিকে তাকাতো না।কোন মেয়েকে ওর পাশে ঘেঁষতে দিতো না।এবার বুঝলাম।

নিশীতঃ রিমন,তুই আগের থেকে সব জানতি।আমাদের কিচ্ছু বললি না কেন?

রিমনঃ তোদের কি করে বলবো? আমি তো জানছি ঐ এক্সিডেন্টের পর থেকে।

আরিফঃ পুরো ঘটনা যদি খুলে বলতি।৩ বছর আগের থেকে রাজ কাউকে ভালোবাসে,আর আমরা সেটা জানি না।

আইজানঃ এতো অবাক হওয়ার কিছু হয়নি।তোরা ভালো করে জানিস, ভাই কারো সাথে নিজের পার্সোনাল বিষয় শেয়ার করে না।পুরো ঘটনা বেশি ডিটেইলসে বলতে পারবো না। সংক্ষেপে বলছি।

☘️☘️☘️

আইজান সংক্ষেপে তিন বছরের আগের কথা খুলে বললো।যা শুনে সবাই ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।এরকম মেয়েও হয়??

সিয়ামঃ বাপ— রে!!! কি ডেঞ্জারাস মেয়ে?

রিমনঃ আগেই বলছি, ওর সাথে লাগতে যাবি না।তাহলে রাজ তোদের কি করবে তা তোরা ভালো করেই জানিস।

সোহেলঃ আমরা ভুলেও লাগতে যাবো না,ভাবীর সাথে।

আরিফঃ আমরা ভুলেও লাগতে যাবো না ভাবীর সাথে। বরং চোখে চোখে রাখবো।

নিশীতঃ সব খবর দিবো তোদের?

নিবরাজঃ কিসের খবর দিবি তোরা? তোরা এখানে।আর আমি সারা কলেজ খুঁজে মরছি।আর তোরা এই জায়গায় কিসের গোল মিটিং করছিস?

নিবরাজের গলার আওয়াজ পেয়ে সবাই পেছনে ঘুরলো।রাজ দুই হাত গুঁজে চোখ দুটো ছোট ছোট করে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।

সাদাফঃ তুই তো আমাদের বন্ধু মনে করিস না?

নিবরাজঃ এই কথা কেন বললি?(কপাল কুঁচকে)

সিয়ামঃ বন্ধু যদি হোতাম তাহলে ভাবীর কথা একবার হলেও আমাদের বলতি।

নিবরাজঃ তোদের ভাবী?(অবাক হয়ে)

আরিফঃ হয়েছে আর ভাব নিতে হবে না।তিন বছর ধরে ডুবে ডুবে জল খাচ্ছিস।অথচ কিছুই বলিস নি।

নিবরাজঃ জান—

আইজানঃ আমি সব বলে দিসি?।

নিবরাজঃ আমি নিজের কথা কারো সাথে শেয়ার করি না তাতো তোরা জানিস।তারপরও ভেবেছিলাম সময় হলে সব বলে দিবো।

সোহেলঃ সে সময় কি এখনো হয়নি?

নিবরাজঃ সবি তো জেনে গেছিস।আমি এখন আর নতুন করে কি বলবো? আমি কখনো মেহরুনের কথা এই জন্য বলি নেই কারণটা হলো আমার শত্রুর অভাব নেই। কেউ যদি জানে মিহু আমার দূর্বলতা তাহলে এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ওর ক্ষতি করবে।আমি চাই না, আমার জন্য মিহুর গায়ে সামান্য ফুলের টোকা লাগুক। তাই তোদের কিছু বলিনি।

নিশীতঃ রাজ, ভাই তুই সাবধানে থাকিস।যে মেয়ে, বাবারে ?!! তোকে নাকি আবার হসপিটালে ভর্তি করে।

সিয়ামঃ তিন বছর আগে নাকি অনেক নাকানিচুবানি খাইয়েছে?

আরিফঃ এবার বুঝেছি কপালের ঐ কোণার দাগটা ভাবীই ধাক্কা দিয়ে মাথা ফাটিয়ে করেছে তাই না?

আইজানঃ একদম ঠিক।

নিবরাজঃ অনেক হয়েছে।চুপ কর এবার। দেয়ালেরও কান আছে। এসব কথা ছেড়ে কাজে মন দে।

সোহেলঃ তুই ভাবীকে নিয়ে কোন চিন্তা করিস না।তার সব খবর আমরা এনে দিবো।

নিবরাজঃ হয়েছে চল।(মুচকি হেসে)

ওরা একসাথে কলেজের ভেতরের দিকে চলে গেল।নিবরাজ ঠিক কথায় বলেছে।দেয়ালেরও কান আছে।গাছের আড়ালে দাড়িয়ে এতক্ষণ ধরে ওদের কথা খুব মনোযোগ সহকারে শুনছিলো।সেও চলে গেল তার বসকে খবর দিতে।

☘️☘️☘️

The tim of rainbow –এর সবাই চলে এসেছে। শুধু মিহু ছাড়া। মেয়ে তিনজন শাড়ি পরেছে।মিহু শাড়ি সামলাতে পারে না বলে কখনি শাড়ি পরে না।ওদের ৭ বন্ধুর ৭ টি আলাদা প্রতিভা আছে।যেমনঃ কিরন পড়ালেখায় ভীষণ ভালো।সায়েম ভালো ছবি আঁকতে পারে। রুশান গান গাইতে দক্ষ।আফরা বিউটিশিয়ানের কোর্স করছে।মিহু ক্লাসিকাল ডান্সে এক্সপার্ট। রিম, রক ডান্স না কি জানি ঐ যে ব্যাঙের মতো ফালাইন্না নাচ করতে পারে।আসলে ঐটাকে নাচ বলে কিনা তাতে আমার সন্দেহ আছে। আভা ভালো গল্প লিখতে পারে।

আজ রুশান আজ অনুষ্ঠানে গান গাইবে।রিম রক ডান্স করবে।রক ডান্সতো শাড়ি পরে করতে পারবে না।তাই আলাদা ড্রেস নিয়ে এসেছে।

কিছুক্ষণ পরে মিহু ও মেহরাব বাইক নিয়ে সোজা কলেজের ভেতরে ঢুকলো। সেটা দেখে আরিফ ও নিশীত দৌড়ে নিবরাজের কাছে চলে এলো।

আরিফঃ রাজ দেখে যা কি হয়েছে?
নিবরাজঃ কি হয়েছে?
নিশীতঃ তোর হবু বউ মানে আমাদের ভাবী একটা ছেলের সাথে বাইকে এসেছে।

নিশীতের কথা শুনে নিবরাজের মাথায় দপ করে আগুন জ্বলে উঠলো।

নিবরাজঃ চল তো দেখি।(রেগে)

সামনে এগিয়ে গিয়ে নিবরাজ মেহরাবকে দেখে নিশীতের মাথায় পেছন থেকে জোরে একটা চড় বসিয়ে দিলো।

নিশীতঃ কি হয়েছে? মারিস কেন?
নিবরাজঃ আব্বে ছেমড়া। ঐ টা আমার সুমুন্দি। মানে মিহুর বড় ভাই।

মেহরাব নিবরাজকে দেখে বাইক নিয়ে ওর সামনে এসে থামলো।মিহু আগে নামলো।তারপর মেহরাব।সামনে গিয়ে রাজকে জরিয়ে ধরলো।

মেহরাবঃ কেমন আছিস?
নিবরাজঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুই?
মেহরাবঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
মিহুঃ ভাইয়ু, আমি আমার ফ্রেন্ডদের সাথে আছি।তোর কোন দরকার হলে আমাকে কল দিস।

নিবরাজ মিহুর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। অনেক দিন পর ওকে এই সাজে দেখলো।একদম নীল পরী।তার নীল পরীকে দেখে মনের মাঝে গতকালের সব রাগ হাওয়া হয়ে গেলো। মিহু চলে গেল।

মেহরাবঃ মুখটাকে বন্ধ কর।
নিবরাজঃ তোর বোনকে যতবার দেখি ততবার ক্রাশ খাই।আমার কি দোষ বল?
মেহরাবঃ বেশি খাস না।নয়তো বদহজম হবে।

সবাই একসাথে উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো।

☘️☘️☘️

মিহু কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা নিজের গ্রুপের সামনে দাঁড়ালো। সায়েমকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো।

মিহুঃ কিরে সায়েম তুই এসব কি পইরা আইছিস?

সায়েমঃ কেন আমায় সুন্দর লাগছে না?

মিহুঃ লাল শার্ট,লাল প্যান্ট,লাল জুতা,চশমাটা পর্যন্ত লাল।তুই কি লাল রঙের থিকা ডুব দিয়া আইছিস?

রুশানঃ পুরা জোকার।

আভাঃ লাল বান্দর ফেল।

সায়েমঃ আমারে সুন্দর লাগতাছে দেইখা কি তোগো হিংসা লাগতাছে। তোরা জানস, রাস্তার সব মেয়ে আমার দিকে হা কইরা তাকাই আছিলো।

কিরনঃ তাকাইতো থাকবোই। সবাই ভাবতেছিলো এই লাল বান্দরটা কোন চিড়িয়াখানা থেকে ছুইটা আইলো।

সায়েমঃ এখন তো তোমরা কইবাই।আমারে সুন্দর লাগতাছে তো।

রিমঃ নিজের ঢোল নিজে পিডাস কে?

সায়েমঃ অন্য কেউ পিটাইলে তো ভাইঙ্গা ফালাইবো।
আফরাঃ ওরে ধর তো।

মিহুঃ ওরে নিয়া ষাঁড়ের সামনে ছাইড়া দিয়া আয়।আমাদের আর কিছু করতে হইবো না। যা করার ষাঁড়েই করবো।

রুশানঃ আমি একটা জিনিস চিন্তা করতাছি।
আভাঃ কি?

রুশানঃ আমার বাপে, আমার ভাইয়ের লিগা নাইজেরিয়া থিকা যে লাল কুত্তাগুলি আনছে। ঐ গুলারে ছাইরা দিয়া সায়েমরে ওদের খাঁচায় ভইরা রাখমু।

সায়েমঃ খবরদার, একদম না।

এই সিরিয়াস মুহুর্তে আফারা, মিহুর সামনে এগিয়ে এসে ওকে বিউটি পার্লারের জ্ঞান বিতরণ করা শুরু করলো।

আফরাঃ হির, তোর কাজলটা আরেকটু গাঢ় হলে ভালো হতো।চুড়িগুলো আরেকটু হালকা।ড্রেসটা সুন্দর লাগছে।তোর মাথার খোঁপাটা যদি আরেকটু উঁচু করতি তাহলে সুন্দর লাগতো।তোর বাম গালে কি ঐটা? মনে হচ্ছে pimple। কোন সমস্যা নেই। ঐটার সমাধানও আমার কাছে আছে।

মিহুঃ তুই কি চুপ করবি?(রেগে)

আফরাঃ না মানে আমি তোকে আইডিয়া দিচ্ছিলাম আর কি।রাগ করিস না হির।(আমতা আমতা করে)

মিহুঃ বড় বিউটিশিয়ান হইয়া গেছো তুমি? দাঁড়া আজকে তোরে জরিনা বানাইয়া থালা-বাসন মাজামু।তারপর দেখমু তোর এই বিউটি পার্লারের বড় বড় ডায়লগ কই যায়।ওরে ধর তো।কলেজের পেছন দিকে কাজের মহিলারা থালা-বাসন ধুইতাছে। ওরে ঐ জায়গায় বসায় দিয়া আসি।(রেগে)

তার আগেই আফরা উল্টো দিকে দৌড় দিলো।ধরতে পারলে সত্যিই ওকে দিয়ে মিহু থালা-বাসন মাজাবে।ওরা ভালো করেই জানে মিহু যা বলে তা করে।

#চলবে

#Part_07
https://www.facebook.com/groups/2401232686772136/permalink/3013536902208375/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here