শালুক ফুলের লাজ নাই পর্ব ২২

0
1081

#শালুক_ফুলের_লাজ_নাই (২২)

ধ্রুব চলে যাওয়ার পর শালুক টলমল পায়ে মায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। হাসনা বেগমের শীর্ণকায় দেহের দিকে তাকিয়ে শালুক বুঝতে পারলো তার মা ভালো নেই।ঝাঁপিয়ে পড়লো মায়ের বুকে শালুক। তারপর হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো।
মা মেয়ের কান্নার শব্দে কেঁপে উঠলো পুরো বাড়ি। সবাই কাঁদছে।
কতোদিন পর মেয়ে বাবার বাড়ি এসেছে। আনন্দ, বেদনায় কাঁদছে প্রতিটি মানুষ।

দুতলায় দাঁড়িয়ে আদনান ও কাঁদছে আজ।তবে সে শালুক এতো দিন পরে বাড়িতে আসায় কাঁদছে না,সে কাঁদছে শালুকের বিয়ে ধ্রুবর সাথে হয়ে যাওয়ায়,শালুককে নিজের করতে না পারায়।ব্যর্থতা তাকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে,”দেখ,তুই পারিস নি শালুককে জয় করতে। বাজি জিতে গেছে ধ্রুব।সব কিছুতে তুই ব্যর্থ আদনান। ”

আদনান রুমে গিয়ে নিজের চুল নিজে টেনে ধরলো। অসহ্য লাগছে তার সবকিছু। এতো দিন শালুক ছিলো না নিজেকে সে সামলে রাখতে পেরেছে। কিন্তু এখন শালুক তার সামনে থাকবে,সেই শালুক যার উপর এখন আর আদনানের কোনো অধিকার নেই।যার দিকে তাকিয়ে আদনান কথা বলতে ও পারবে না কেননা সে এখন বড় ভাসুর হয়ে গেছে শালুকের।

কেনো এরকম হয়ে গেলো?
আদনান কিভাবে সহ্য করবে এবার?

শালুকের দাদা বললেন,”শালুক অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছে, ওকে ঘুমাতে যেতে দাও।সকালে পরীক্ষা দিতে হবে ওর।পরীক্ষা দিয়ে আসলে তারপর সবাই মন ভরে কথা বলিও।”

আদিবা বেগম বললেন, “খেয়ে নে শালুক,আয়।”

শালুক আস্তে করে বললো, “ট্রেনে খেয়েছি চাচী।এখন আর খাবো না।”

বিছানায় পিঠ লাগাতে লাগাতে ১ টা বেজে গেছে। শালুক আজ শাপলার সাথে শুয়েছে।
বিছানায় শুয়ে এক বোন অন্য বোনের গলা জড়িয়ে ধরে আছে কম্বল মুড়ি দিয়ে।

দুজনে নিঃশব্দে কাঁদছে শুয়ে শুয়ে।

শালুকের ফোন বেজে উঠলো সেই সময়।
শালুক ফোন হাতে নিয়ে দেখে ধ্রুবর কল এসেছে। শোয়া থেকে উঠে বসে গলা খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিলো শালুক।

তারপর কল রিসিভ করে হ্যালো বললো।

ওপাশ থেকে ধ্রুব বললো, “কান্নাকাটির দরকার নেই শালুক।সবাইকে তো পাচ্ছো দেখতে। এতো কাঁদতে হবে না এবার।
তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ো।সবার সাথে দিনভরে কথা বলিও।এখন ঘুমিয়ে যাও।সকালে পরীক্ষা দিতে যাবার আগে একবার বইতে চোখ বুলিয়ে নিবে।সকালে আর নতুন করে কিছু পড়তে হবে না।জাস্ট চোখ বুলিয়ে যাবে একবার।অতিরিক্ত চাপ নিতে হবে না।পরীক্ষা মানে নিজেকে যাচাই করা।অন্যের থেকে দেখে লিখলে সেখানে নিজেকে তুমি যাচাই করবে কিভাবে?
কারো থেকে দেখার দরকার নেই শালুক।নিজে যা পারবে তাই দিবে।তাতে করে তোমার কোন কোন টপিকে সমস্যা আছে আমার তা খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।ফাইনালের জন্য আমরা সেই দুর্বল টপিকে আরো ভালো করে প্রস্তুতি নিতে পারবো। ”

শালুক জিজ্ঞেস করলো, “আপনি এখন কোথায়?চলে যাচ্ছেন সত্যি?”

ধ্রুব হেসে বললো, “আমার তো বাবার বাড়ি নেই শালুক। আমার এই পৃথিবীতে শালুক ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ঠিকানা নেই।শালুকের সংসার পাহারা দিতে যাচ্ছি আমি।আমার জন্য চিন্তা করো না।বাড়িতে গেছো সবার সাথে হাসিখুশি থাকো,এনজয় করো।তোমার যে ভীষণ মন খারাপ হয়ে থাকে বাড়িতে যাবার জন্য তা তুমি না বললেও আমি বুঝি শালুক।এখন খুশি তো?”

শালুক আস্তে করে বললো, “আপনি থাকলে আমার খুশির ষোলকলা পূর্ণ হতো। আপনাকে ছাড়া খালি খালি লাগছে সব।”

ধ্রুব হেসে বললো, “ঘুমাও শালুক।রাখছি।”

শাপলা শুয়ে শুয়ে দুজনের কথা শুনতে লাগলো। শালুক শুতেই শাপলা জিজ্ঞেস করলো, “ধ্রুব ভাই কেমন রে শালুক?খুব রাগী না?তোকে কি খুব বকাঝকা করে? ”

শুনে শালুকের ভীষণ হাসি পেলো। তারপর বললো, “ধ্রুব ভাই ভীষণ কোমল মনের আপা।কিভাবে করলে আমি ভালো থাকবো, খুশি থাকবো এই চিন্তা ছাড়া তার মাথায় দ্বিতীয় কোনো চিন্তা নেই।আমাকে ভীষণ ভালোবাসেন উনি।”

শাপলা জিজ্ঞেস করলো, “তুই বাসিস না?”

লজ্জা পেয়ে শালুক মাথা নামিয়ে নিলো।তারপর বললো, “বাসি আপা,আমি ও ধ্রুব ভাইকে ভীষণ রকম ভালোবেসে ফেলেছি।ওনার মধ্যে হয়তো এক ধরনের ক্ষমতা আছে আপা।ওনার সাথে কেউ মিশলে সে তাকে ভালো না বেসে থাকতে পারবে না।উনি নিজ গুণে আমার মন জয় করে নিয়েছেন। ”

শাপলার ভীষণ ভালো লাগলো শুনে।খুশি ও হলো কিন্তু তবুও বুকের ভেতর একটা হতাশার দীর্ঘশ্বাস শুনতে পেলো শাপলা। সে ও তো ধ্রুব ভাইকে ভালোবাসতো।

পরমুহূর্তে শাপলার ভীষণ লজ্জা লাগলো এই কথা মনে হতেই।ধ্রুব ভাই এখন তার ছোট বোনের স্বামী। তাকে নিয়ে এসব ভাবা ও পাপ।তাছাড়া তার ভালোবাসা শুধু সে নিজে জানতো।আর কেউ না।ভাগ্যিস কখনো ধ্রুব ভাইকে বা শালুকের কাছে সে বলে নি। যদি বলতো তবে আজ বোনের সামনে দাঁড়াতে পারতো না।
তার ছোট বোনটা ভালো আছে এটাই তো অনেক।বেহায়া মন কেনো অন্য কিছু চিন্তা করছে।

হঠাৎ করে মনে হতেই শাপলা বললো, “তুই না বললি ধ্রুব ভাই কোন মেয়েকে ভালোবাসে?”

শালুক হেসে ফেললো এবার শব্দ করেই।তারপর বললো, “হ্যাঁ আপা।ধ্রুব ভাই এক কেশবতীকে ভালোবাসতো।তবে মজার ব্যাপার কি জানিস?সেই কেশবতী অন্য কেউ না,আমি ছিলাম।অথচ আমি এতোটাই গাধা যে বুঝতেই পারি নি।”

শালুক খিলখিল করে হাসতে লাগলো। শাপলা মুগ্ধ হয়ে শালুকের হাসি দেখতে লাগলো। কতোদিন পর বোনকে এভাবে হাসতে দেখছে শাপলা!
বোনের মুখের এই হাসিটার জন্য এরকম হাজার ও এক তরফা ভালোবাসা শাপলা ভুলে যেতে পারে।
ভীষণ ভালো লাগলো শাপলার।

দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আদনান ও শুনতে পেলো শালুকের সেই প্রাণচঞ্চল হাসি।যেই হাসিতে আফিম মেশানো থাকে,যেই হাসি আদনানকে মাতাল করে তোলে।
এভাবেই তো হাসতো শালুক আগে।যখন আদনান আমেরিকায় ছিলো।
এই হাসি শুনেই তো আদনান কুপোকাত হয়ে যেতো। আজ কতোদিন পর আবারও শালুকের সেই হাসি শুনছে।অথচ আজ শালুক অন্য কারো জন্য হাসছে।

পারছে না আদনান সহ্য করতে। দ্রুত পায়ে নিজের রুমে চলে গেলো আদনান। এখানে দাঁড়িয়ে শালুকের হাসি শুনলে তার পুরোপুরি নেশা লেগে যাবে।পাগল হয়ে যাবে সে।

শাপলা বললো, “মজার কথা তো তোকে বলা হলো না শালুক।আশা তো চলে গেছে আদনান ভাইকে ছেড়ে। বলে দিয়েছে বিয়ে করবে না আদনান ভাইকে।”

আদনানের নাম শুনতেই শালুকের হাসি থেমে গেলো। মুঝ থমথমে হয়ে গেলো। কঠোর স্বরে বললো, “বেশ করেছে আশা।দুই থাপ্পড় দিয়ে যায় নি যে এটাই তো বেশি। ”
শাপলা হেসে বললো, “তুই তো ছিলি না।কি একটা অবস্থা। সবাই মিলে ওদের বিয়ের তারিখ ফাইনাল করছে সেই মুহুর্তে আশা এসে বললো সে কিছুতেই আদনান ভাইকে বিয়ে করবে না।আদনান ভাই একটা স্বার্থপর মানুষ। নিজের কাজিনের সাথে সে এরকম ব্যবহার করেছে।সব মিলিয়ে আদনান ভাইয়ের মুখে চুনকালি মেখে আশা চলে গেছে। ”

শালুকের ভীষণ আনন্দ হলো এসব শুনে।বললো, “উচিত শিক্ষা হয়েছে আপা।আমি খুব খুশি হয়েছি।”

শাপলা বললো, “এবার ঘুমাতে হবে শালুক,সকালে উঠতে হবে কিন্তু।”

দুজনেই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেলো।

সকালে অভ্যাসমতো শালুকের ফজরের সময় ঘুম ভেঙে গেলো। শাপলাকে ডেকে তুলে দিয়ে শালুক নামাজ পড়ে নিলো।শাপলা অবাক হলো ভীষণ।
শালুক নামাজ শেষ করে আসতেই শাপলা হাসতে হাসতে বললো, “কুম্ভকর্ণের ঘুম এতো পাতলা হলো কিভাবে রে শালুক?হাতি দিয়ে টেনে ও তোকে ঘুম থেকে তোলা যেতো না আর সে তুই কি-না সাত সকালে উঠে আমাকে তুলছিস!”

শালুক হেসে বললো, “অভ্যাস আপা।ধ্রুব ভাই আমার এই অভ্যাস করে দিয়েছে। ধ্রুব ভাই তো উঠে ভোররাতে। নিজের পড়া শেষ করে, টুকটাক রান্নার কাজ এগিয়ে রাখে।আজান হলে আমাকে ডেকে তোলে।তারপর নাশতা বানায়।খুব সকালে বের হয়ে যেতে হয় তার।আবার বাসায় ফেরে অনেক রাত করে। এরপর আবার রান্না করে। ”

শাপলা হেসে বললো, “ইশ,কি শান্তি রে। বরের হাতের রান্না খাচ্ছিস প্রতিদিন। যেখানে সব মেয়েরা নাকের জল,চোখের জল এক করে রান্না করে। ”

শালুক হেসে বললো, “কি জানি আপা।তবে আমার মনে হয় কোনো কাজই কঠিন নয় মানুষের চেষ্টার কাছে।আমার তো ভীষণ খারাপ লাগে ধ্রুব ভাই একা কাজ করে বলে। আমার ইচ্ছে করে তার সব কাজ আমি করে দিই সে একটু বিশ্রাম নিক।”

শাপলা মুগ্ধ হলো শুনে।একে অন্যকে ভীষণ ভালোবাসে বলেই তাদের এরকম অনুভূতি একের অন্যের প্রতি।

দুই বোন নিচে নেমে গেলো।রান্নাঘরে নাশতার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। শালুক সেদিকে যেতে নিতেই ফরিদা বেগম তাকে বুকে টেনে নিলেন।তারপর বললেন,”ধ্রুব তো আমাকে মা বলে মানে না শালুক,আমি ওর সাথে এক সময় অন্যায় ব্যবহার করেছি তার শাস্তি আজ ও পাচ্ছি।তুই একটু আমাকে মা বলিস।”

শালুকের ভীষণ লজ্জা লাগলো শুনে।এই মানুষটা তার শাশুড়ী ভাবতেই কেমন লাগছে তার।

ফরিদা বেগম হেসে ফেললেন শালুকের লজ্জা দেখে।তারপর বললেন,”না রে,তুই চাচী বলিস।তোর মুখের চাচী ডাকটাই ভালো লাগে আমার। তোর চুল তো ভালোই বড় হয়েছে শালুক।”

শালুক হেসে বললো, “তোমাদের ছেলে না ধ্রুব ভাই।সে ও তোমাদের মতো রাতে ধরে চুলে তেল দিয়ে দেয় সকালে চুলে হেয়ার প্যাক লাগিয়ে দেয়।তোমাদের মতো করে আমার চুলের পিছনে লেগে থাকে চাচী।”

আদিবা বেগম হেসে বললেন,”স্বামী কে ভাই ডাকতে নেই রে শালুক।”

শালুক বললো, “তবে কি বলবো।আমার লজ্জা লাগে যে।”

হাসনা বেগম মেয়ের জন্য দুধ চা এনে মেয়েকে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে বললেন,”তুই সত্যি ভালো আছিস তো মা?ধ্রুব যেমন ছেলে আমার বিশ্বাস সে তোর গায়ে আঁচড় লাগতে দিবে না।তবুও তুই কি ওকে মেনে নিতে পেরেছিস?
সুখে আছিস তো দুজনে?”

শালুকের চোখ ছলছল হয়ে গেলো। মায়ের বুকে মাথা রেখে বললো, “ধ্রুব ভাই আমাকে ভীষণ যত্নে রাখে মা।আমি নিজেও নিজের এতো খেয়াল রাখতে পারি না ধ্রুব ভাই যেভাবে আমার খেয়াল রাখে।আমি খুব ভালো আছি মা।শুধু তোমাদের সবাইকে ভীষণ মনে পড়ে। ”

হাসনা বেগম হেসে বললেন, “পাগল। তোর যদি অন্য কোথাও বিয়ে হতো তখনও তো তোকে আমাদের ছেড়ে থাকতে হতো। মেয়েদের জীবন এরকমই মা।আজীবন বাবা মায়ের কাছে তারা থাকতে পারে না। যখনই বিয়ে দিতাম তোকে,আমাদের ছাড়াই তো থাকতে হতো। ”

শালুক মা’কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। তারপর বললো, “মা,যে কয়দিন বাড়িতে আছি তুমি আমাকে কিছু রান্না শিখিয়ে দিবা।যেসব ধ্রুব ভাইয়ের প্রিয় ভীষণ। আমার খুব লজ্জা লাগে।সব কাজ ধ্রুব ভাই করে বাসায়।আমার কাজ শুধু খাওয়া আর পড়া।আমাকে কোনো কাজ করতে দেয় না উনি।আমার ইচ্ছে করে ওনার জন্য কিছু রান্না করতে।”

হাসিনা বেগমের কেমন যেনো আনন্দ লাগলো শুনে।মেয়ে তার স্বামীর জন্য ভাবছে এটাই তাকে আনন্দ দিচ্ছে।বিয়েটা যেভাবেই হোক,দুজন যে দু’জনকে নিয়ে সুখে আছে এর চাইতে আনন্দের আর কি হতে পারে!

শালুক একবার সব টপিকে চোখ বুলিয়ে গেলো।তারপর আলমারি থেকে তার স্কুল ড্রেস বের করলো। এখনো কি সুন্দর ভাঁজ করে রাখা।শালুক জানে এই কাজ শাপলা করেছে।ধ্রুবকে কল দিয়ে জানালো সে স্কুলে যাচ্ছে।

স্কুলে যাবার আগে শালুক একবার শান্তকে দেখতে গেলো। শান্ত এখনো ঘুম থেকে উঠে নি।রাতে ও ঘুমে ছিলো বলে শালুকের সাথে দেখা করতে পারে নি।

শান্তর গালে একটা চুমু দিয়ে শালুক চলে গেলো পরীক্ষা দিতে।
স্কুলে গিয়ে বন্ধবীদের সাথে সে কি গলাগলি শালুকের। সবার সাথে শালুকের ভালো সম্পর্ক ছিলো।
কতোদিন পর সব চেনা মুখকে দেখছে শালুক।আনন্দে কান্না করে দিয়েছে সবাই।

যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো। প্রশ্ন হাতে পেয়ে শালুক চমকে গেলো। সবই তার কমন এসেছে। অনেক দিন পর শালুকের কেমন জানি পরীক্ষা দিতে নির্ভয় লাগছে।মনে মনে ধ্রুবকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানালো শালুক।

এই প্রথম শালুক ফুল মার্কস আনসার করেছে পরীক্ষায়।
পরীক্ষা শেষ করে সবার সাথে কথা বলতে বলতে শালুকের কিছুক্ষণ দেরি হলো। তারপর বাসার জন্য বের হয়ে আসতেই দেখলো পথে আদনান দাঁড়িয়ে আছে।

বিরক্তিতে, ঘৃণায় শালুকের ভ্রু কুঁচকে গেলো। আদনান কেনো এসেছে এখানে!

চলবে…..

রাজিয়া রহমান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here