বোনু
সিজন_০২
Part_05
#Writer_NOVA
নিউ ইয়র্ক……
নিবরাজ ল্যাপটপে বসে কাজ করছে।আইজান বই নিয়ে বসে আছে। অর্ক কিচেন থেকে তিন মগ কফি নিয়ে এসে ওদের দুইজনকে দুই মগ দিলো।আরেক মগ নিয়ে সোফায় বসলো।আইজানের ফাইনাল এক্সাম শুরু হয়ে গেছে। এক্সাম শেষ হলে সার্টিফিকেট নিয়েই দেশে চলে যাবে।
অর্কঃ নিবরাজ, আইজানের পরীক্ষা শেষ হলেই তোরা চলে যাবি তাই না?
নিবরাজঃ হুম।এটা তো তুই জানিস। হঠাৎ এই কথা বলছিস কেন?
অর্কঃ কারণ আমি তোর কাছ থেকে একটা গল্প জানতে চাই। আমিতো তোদের সাথে আর থাকবো না।প্লিজ আমাকে বলবি।গত ৩ বছর আমি এসব ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করি নি।
নিবরাজঃ কিসের গল্প জানতে চাস তুই?
(কপাল কুঁচকে)
অর্কঃ তোর ভালোবাসার গল্প। তোর ভালোবাসার মানুষটার কথা। তুই কিন্তু বৌদির নামটাও বলিসনি।
নিবরাজঃ এসব কথা এখন থাক।
আইজানঃ কেন থাকবে ভাই। আমরা কয়েক মাস পর চলে যাবো।ও তো ঠিকই বলেছে।গত ৩ বছর অর্ক তোর কাছে কিছু জানতে চায়নি।প্লিজ ওকে বল সবটা।
নিবরাজঃ ঠিক আছে বলছি,বস।
রাজ ল্যাপটপ বন্ধ করে অর্কর দিকে ঘুরলো।সোফায় বসে বলতে শুরু করলো।
নিবরাজঃ আমি যাকে ভালোবাসি তার নাম মেহরুন মির্জা।ডাক নাম মিহু।মিহুর বাবা ও আমার বাবার বিজনেসের মাধ্যমে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে।মিহুর বড় ভাই মেহরাব আমার সমবয়সী। প্রায়ই বাবার সাথে অফিসে যাওয়া হতো। সেখানেই একদিন মেহরাবের ওর বাবার সাথে এসেছিলো।M2 ও খান কোম্পানি একসাথে ডিল করছে।তাই সেদিন আমাকে ও মেহরাবকে আসতে হয়েছে। সেখানেই আমার মেহরাবের সাথে আমার পরিচয়।পরিচয় থেকে ভালো বন্ধুত্ব।ওরা তখন গ্রামে থাকতো।তাই বেশি দেখা হতো না।কিন্তু মোবাইলে যোগাযোগ হতো।
অর্কঃ এটাতো বৌদির বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয় হওয়ার কথা বলছিস।বৌদির সাথে কি করে কথা হলো সেটা বল।
নিবরাজঃ বলছি তো।আমাকে স্টেপ বাই স্টেপ
বলতে দে।
অর্কঃ আচ্ছা, শুরু কর।
নিবরাজঃ ৩ বছর আগে শুনলাম ফাহিম আঙ্কেল মানে মিহুর বাবা সপরিবারে ঢাকায় চলে এসেছে। আমিতো খুব খুশি। মেহরাবের সাথে বেশি করে যোগাযোগ করা হবে।আমি তখন অনার্সে ভর্তি হয়েছি। মেহরাব অবশ্য অন্য ভার্সিটিতে ভর্তি হয়।ওরা ঢাকায় আসার কিছুদিন পর আমি মেহরাবের সাথে ওদের বাসায় যাই।সেখানেই আমি মিহুকে ১ম দেখি।হালকা ব্রাউন কালার একটা থ্রি পিস পরা মাথায় এক ঝুটি দুলিয়ে সিড়ি দিয়ে নামছিলো।আমার কাছে মনে হচ্ছিলো কোন পরী নেমে এসেছে। ব্রাউন কালারে ওকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে।গালের মধ্যকার তিলটা যেনো সাদা মুখে জ্বলজ্বল করছে।আমি ওকে ১ম দেখেই ভালোবেসে ফেলেছি।
অর্কঃ তোদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি কি করে সৃষ্টি হলো?
নিবরাজঃ তোকে আমি বলিনি আস্তে আস্তে সব বলবো।তুই বেহুঁশ হয়ে যাচ্ছিস কেন? আমার কথার মাঝে আরেকটা কথা বললে আমি কিন্তু বলবো না।
অর্কঃ সরি সরি ইয়ার।তুই বলতে থাক। আমি আর প্রশ্ন করবো না?।
নিবরাজঃ তারপর থেকে প্রায়ই ওদের বাড়ি যাওয়া হতো।আমি আমার ব্যাপারে সবকিছু মেহরাবের সাথে শেয়ার করলাম।মেহরাব বললো ও কিছুতেই নেই। মিহু যদি আমাকে গ্রহণ করে নেয় তাহলে ওর কোন আপত্তি নেই। মিহু ক্লাশ নাইনে ওদের বাসার পাশের একটা হাইস্কুলে ভর্তি হয়।মাঝে মাঝে লুকিয়ে গিয়ে ওকে দেখে আসতাম।এর মধ্যে আমি ঠিক করি ওকে প্রপোজ করবো।মিহু যদি রাজী হয়ে যায় তাহলে দুই পরিবারের সম্মতিতে এনগেজমেন্ট করে রাখবো।রাস্তার পাশের এক রেষ্টুরেন্ট অনেক সুন্দর করে সাজাই।আজ যে করে হোক ওকে আমার মনের কথা বলবোই।মিহু বোধহয় কিছুটা আচঁ করতে পেরেছে যে আমি ওকে পছন্দ করি।তাই আসতে চায়নি।অনেক কষ্ট করে রাজী করাই।ওকে সেদিন সেখানে নিয়ে আসি।ওর সামনে এক হাঁটু ভেঙে বসে একটি গোলাপের তোড়া এগিয়ে দিয়ে বলেছিলাম, “” তুমি আমার First & Last Love.এর আগে আমি কখনো অন্য কাউকে ভালোবাসিনি।কোন মেয়ের দিকে তাকায়নি।আমি সত্যি করে বলছি I Love You.””
☘️☘️☘️
এতটুকু বলে নিবরাজ বড় করে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছারলো। অর্ক খুব মনোযোগ সহকারে ওর কথা শুনছিলো।হঠাৎ থেমে যাওয়ায় জিজ্ঞেস করলো।
অর্কঃ তারপর?
নিবরাজঃ তারপর, আমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওর চোখ-মুখ রাগে লাল হয়ে গেছে। আমার হাত থেকে তোড়াটা নিয়ে আমার মুখে ছুঁড়ে মারলো।তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,”” ভালোবাসা শব্দটার আমার কাছে কোন দাম নেই। এই একটা শব্দকে আমি খুব ঘৃণা করি।”” আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম,কেন?শুধু বলেছিলো,””সব কথা সবাইকে বলতে হয় না।আপনি কে হোন আমার,যে আপনাকে বলবো?””এক মিনিটও না,দাঁড়িয়ে সেখান থেকে চলে এলো রাস্তায়। আমি পেছন পেছন গিয়ে ওর পথ আটকে বললাম,” আমি সত্যি তোমায় ভালোবাসি।” মিহু বললো,”” দেখুন আপনার অভিনয় বন্ধ করুন।””
আমি বললাম,”” আমি কোন অভিনয় করছি না।” হঠাৎ আমাকে ঝাড়া দিয়ে ধাক্কা মেরে বললো,”” আমি ভালোবাসা শব্দটাকে অনেক অনেক ঘৃণা করি। আপনারা সব ছেলেরাই এক।১মে ভালোবাসার কথা বলে কাছে এসে পরে সর্বনাশ করে পালাবেন।আমি কোন ধোকায় পা রাখছি না।””
ধাক্কাটা আমি সামলাতে পারি নি।ঠিক তখনি রাস্তা দিয়ে একটা মাইক্রো যাচ্ছিলো।আমি টাল সামলাতে না পেরে সেটার সাথে বারি খেয়ে পরে যাই।মাথা ফেটে রক্ত পরছে,হাত-পা কেটে যায়।এটা দেখতে ও ভয় পেয়ে যায়।পথচারীদের সাহায্যে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় আমাকে। অল্পের জন্যে সেবার বেঁচে যাই।১০ দিনের বেশি হসপিটালে এডমিট ছিলাম।এর মধ্যে একদিনও আমার সাথে দেখা করতে আসেনি।শুধু দয়া করে সেদিন হসপিটালে নিয়ে এসেছিলো।অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম।ভেবেছিলাম মিহু যখন আমাকে সহ্য করতেই পারে না,ওকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাবো।৭ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের টিকিট কেটে চলে আসি।তবে ভেজাল বাধায় আইজান।ও আমাকে এখানে একা কিছুতেই আসতে দিবে না।বাধ্য হয়ে ওকে নিয়ে আসতে হয়।
অর্কঃ বাহ্!! ওয়ান্ডারফুল লাভ স্টোরি। কিন্তু জান তুই ওকে দেখতে পারিস না কেন?তোর সাথে কি করেছিলো?
আইজানঃ বল কি করেনি? আমি একদিন ল্যাং মেরে ফেলে দিয়েছিলাম।তারপর থেকে আমার সাথে লেগে আছে। মিহু যে কি ডেঞ্জারাস মেয়ে সেটাতো তোকে আগেই বলেছি।ওকে ল্যাং মারার কারণে আমাকে শীতের একদিনে শরীরে ফ্রিজের হিম ঠান্ডা পানি ঢেলে দিয়েছে। আমি ওকে ইচ্ছে করে ল্যাং মারেনি।একদিন প্রচুর কুয়াশা পরেছে।সাথে ভীষণ ঠান্ডা। ভাইয়ের সাথে ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম।বাগানে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম।ভেবেছি আজ গোসল করবো না।বডি স্প্রে দিয়ে কাজ চালিয়ে দিবো।হুট করে ছাদের ওপর থেকে এক বালতি হিম ঠান্ডা পানি আমার ওপর ঢেলে দিলো।তারপর থেকে শুরু। আমরা দুজনের কেউ একে অপরকে দেখতে পারি না।দুজনের কাজই হলো একজন অপরকে শায়েস্তা করা।মিহুকে আমি এনাকোন্ডা বলে ডাকি।
অর্কঃ মিহু তোকে কি বলে ডাকে?
আইজানঃ কিছু না।
নিবরাজঃ মিথ্যে কথা। মিহু ওকে নেংটি ইঁদুর বলে?।
অর্কঃ নেংটি ইঁদুর ?।
অর্ক ও রাজ একসাথে হেসে উঠলো। আইজান ভেবেছিলো দুজনকে আচ্ছা করে বকে দিবে।কিন্তু রাজের দিকে তাকিয়ে তা করলো না।
নিবরাজঃ কি রে হা করে কি দেখছিস?(হাসি থামিয়ে)
আইজানঃ ভাই কতদিন পর তুই এভাবে হাসছিস?এট লাস্ট আমরা তোকে হাসাতে পারলাম।
নিবরাজ, আইজানের কথা বুঝতে পেরে কোন উত্তর দিলো না।বিনিময়ে শুধু মিচকি হাসি উপহার দিলো।
☘️☘️☘️
তিন মাস পর…..
আজ মিহুর পরীক্ষার রেজাল্ট দিছে।মিহু A- পেয়েছে।তাতেই সে মহা খুশি। রুমে বক্স বাজিয়ে উড়াধূরা ডান্স করছে। পাস করবে কিনা তাতেই সন্দেহ ছিলো।সেখানে A- তো একেবারে ঈদের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো ঘটনা।আর বাকি ৫ টাও A- পেয়েছে। কিরনের A+ আসেনি।0.10 পয়েন্টের জন্য আটকে গেছে।হিসাববিজ্ঞান ১ম পত্রে নাম্বার কম এসেছে। এই খবর শুনে কিরন নিজের রুমে দরজা আটকে মন খারাপ করে বসে আছে। কিরনের খবর শুনে বাকি ৬ জন পাগলু ডান্স দিচ্ছে। কারণ এখন চাইলেও কিরন অন্য ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে না।ওদের সাথেই খান কলেজে ভর্তি হতে হবে।
☘️☘️☘️
Scotland……..
Scotland -এর রাজধানী Evenburgh। এই শহরের কিছুটা উত্তর-পশ্চিম দিকে কালটন হিল।জায়গাটা যেমন সুন্দর তেমনি ভয়ংকর। ছায়া-ঢাকা, শান্ত সবুজ এই পাহাড়টা বেশ ছিমছাম।খুব জরুরি কাজ ছাড়া ঐ দিকে কেউ ভিড়ে না।যার কারণে সেখানে মানুষের আনাগোনা খুবি কম।লোকালয়ের বাস নেই বললেই চলে।রাজধানীর পূর্ব দিকে বেশ বড় জায়গা নিয়ে গঠিত হলিরোড পার্ক।পার্কের পশ্চিম রয়েল কমোন উইলথ পুল।পার্কের উত্তর -পশ্চিম কোণার দিকে রয়েছে হলিরোড হাউস।
সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে তিনতলা বিশিষ্ট এক জাঁকজমকপূর্ণ বাড়ি।রাজপ্রাসাদ বললেও মনে হয় ভুল বলা হবে না।যদিও এটা স্কটল্যান্ডের বিশিষ্ট বিজনেস ম্যানের বাড়ি।তবুও রাজপ্রাসাদের থেকে কোন অংশে কম না।রাজপ্রাসাদের রাজপুত্র সেই ধূসর চোখ ও চুলের মালিক।অবসর সময়ে বেশিরভাগই রেড ওয়াইন ও শ্যাম্পেইন নিয়ে পরে থাকে।প্রচুর ড্রিংক করে।তার আলাদা একটা ড্রিংক রুম আছে।সেখানে বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত ড্রিংক দিয়ে ভর্তি হয়ে আছে।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো ড্রিংক রুমের চার দেয়ালে বড় বড় ছবি টানানো।সবগুলোই মিহুর।যখনি ড্রিংক করে এক ধ্যানে মিহুর ছবির দিকে তাকিয়ে একা একা কথা বলে।
আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।অফিস করে এসে ডিনার না করেই ঢুকে গেছে ড্রিংক রুমে।কোন মেয়েকে সে সামনে ঘেঁষতে দেয় না।শর্ট শর্ট ড্রেস পরা মেয়েদের প্রতিও তার কোন ইন্টারেস্ট নেই। সে তো মিহুতেই মত্ত।রেড ওয়াইন নিয়ে গ্লাসে ঢাললো।তারপর গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে পকেট থেকে মোবাইল বের করলো।তার দলের এক ছেলেকে কল করলো।ছেলেটার নাম জিহান।এই ছেলেটাই সবসময় তাকে মিহুর সব খবরা-খবর পৌঁছে দেয়।জিহানকে শুধুমাত্র মিহুর ওপর নজর রাখার জন্য রেখেছে। ওর সব খোঁজ-খবর দিতে।
—– হ্যালো জিহান।
জিহানঃ ইয়েস বস, বলুন।
—- কোন নতুন খবর?
জিহানঃ নতুন খবর হলো হির পাস করেছে।A- পেয়েছে। তার খুশিতেই আজ সারাদিন লাফিয়েছে।
—- গুড।কোথায় ভর্তি হবে?
জিহানঃ মনে হয় খানদের কলেজে।এই গ্রেড নিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া যায় না।
—- আমাদের কলেজে কি হয়েছে?
জিহানঃ আপনাদের কলেজ তো রাজনীতি দিয়ে ভরে গেছে। আজ এই ঝগড়া তো, কাল মারামারি, পরশু এই কেস সেই ঝামেলা ইত্যাদি লেগেই আছে।
—- ওকে আমি এই ব্যাপারটা দেখছি।আর শোনো–
জিহানঃ জ্বি বস বলেন।
—— আমার ল্যাপটপে ভাইরাস আক্রমণ করছে।যার ফলে হিরের সব ছবি ডিলিট হয়ে গেছে। তুমি আমাকে ওর ছবি পাঠিয়ে দিও।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
জিহানঃ আমি চেষ্টা করবো বস।
—- চেষ্টা করার জন্য আমি তোমাদের টাকা দিয়ে পুষছি না।তোমাকে পাঠাতেই হবে।
জিহানঃ ওকে বস।আমি শীঘ্রই পাঠিয়ে দিবো।
— ওকে বাই।আমি ফোন রাখছি।
কলটা কেটে দিলো জিহান।কথা শেষ করে একটা বাঁকা হাসি দিলো সে।যার মানেটা অনেক গভীর।
জিহানঃ খুব শীঘ্রই আমদের মিশন কমপ্লিট হতে চলছে। প্রতিশোধটা বোধহয় ফেরত দেওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে।সেই দিনটার জন্য যে আরো কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কে জানে?৪ বছর অপেক্ষা করতে পারলে আর সামান্য কয়টা দিন কেন পারবো না।তাড়াহুড়ো করলে হয়তো শিকার হাত থেকে ছুটে যেতে পারে।কথায় আছে না সবুরে মেওয়া ফলে।আমরাও না হয় আরেকটু সবুর করি।অনেক বড় হিসাব-নিকাশ বাকি রয়ে গেছে। (বাঁকা হেসে)
অন্যদিকে ড্রিংক রুমে থাকা ছেলেটি কিছু একটা ভেবে খুব খুশি হলো।এক চুমুকে হাতের গ্লাসে থাকা রেড ওয়াইন শেষ করে দিলো।
#চলবে
#Part_04
https://www.facebook.com/groups/2401232686772136/permalink/3011165089112223/