#অবেলায়_তুমি (পর্ব-১৯)
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
তনু আকাশকে পছন্দ করে নিয়ে দেওয়া শার্টের কলারে সে নিজেই খপ করে চে’পে ধরে। এরপর আকাশের শার্ট ধরে তাঁকে সবার সামনে টেনে এনে লাগাতার কোষে কয়েকটা থা’প্পড় মা’রে। আকাশ তনুর আচরণে পুরো আশ্চর্য হয়ে যায়। হুট করেই পরিস্থিতির এমন পরিবর্তন দেখে আকাশ হতভম্ব হয়ে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশের সাথে সাথে অফিসের সকল কর্মচারীও অবাক। কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। বিশেষ করে আকাশ। তনু আকাশকে সকলের সামনে টেনে এনে লাগাতার কোষে কয়েকটা থা’প্পড় মা’রার পর সকলকে বলে,
–‘আমি জানি আপনাদের সকলের মনে একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, যে আমি আকাশকে কেন মা’রলাম। কিন্তু সত্যি জানলে আপনারা নিজেরাও আশ্চর্য হবেন এই শয়তানটা কি করেছে। আপনারা একটু অপেক্ষা করুন বলছি। আগে নিজের বাকি রেষ টুকু মিটিয়ে নেই।’
তনু আকাশকে আরো কয়েকটা থা’প্পড় মা’রে।
তনুর আচরণে রীতিমতো সবার আশ্চর্যের সীমা ইতিমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে। প্রশ্নবোধক চাহনিতে তাকিয়ে আছে সবাই তনুর দিকে। আর তনু পরবর্তীতে আকাশকে আবারো থা’প্পড় মে’রে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়। আকাশ গালে হাত চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। লজ্জায় মাথা কা’টা যাবে মতন অবস্থা। তনু রেষ মিটিয়ে নিয়ে সবাইকে বলে,
–‘এবার সকলেই শুনুন কারণটা বলছি। এই ব’দ’মাইশটা আমার অফিসে এসেছে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে। শুরুতে আমি এই বেয়াদবের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারি এই ছেলের মতলব খারাপ। আমি একজনের সাথে সিরিয়াস একটা রিলেশনে রেয়েছি। কিন্তু তার পরেও এই ব’দমাইশ ছেলে আমাকে একটা ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। অবশ্য সেই বিয়ের কোনো ভ্যালু নেই। কারণ কোর্টের একটা কাগজে সে আমার থেকে চালাকি করে সিগনেচার নিয়েছে। আর তাছাড়া সেই কাগজটা আমি কৌশলে জব্দ করে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছি। কিন্তু এই ছেলের উদ্দেশ্য ছিল সে আমাকে কৌশল করে বিয়ে করবে, যাতে করে সে আমার সমস্ত সম্পত্তি ভোগ করতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে আমি তার উদ্দেশ্য জানতে পেরে চালাকি করে আমার সিগনেচার করা কাগজটা নিজের আয়ত্তে করে নিয়ে নষ্ট করে ফেলেছি। যাতে সে আমার কোনো ক্ষতি করতে না পারে। আর আজকের আয়োজনের আসল উদ্দেশ্য হলো এই ছেলের ইতিহাস সম্পর্কে সবাইকে জানানো। এছাড়া আরেকটা উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো আগামীকাল আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। যেটার অগ্রীম দাওয়াত আপাদের খাইয়ে দিলাম। আমার ধুমধাম করে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে নেই। কিন্তু আপনাদের একটা হক আছে। তাই আজকে অগ্রীম আয়োজন করলাম। আর আমি যাকে বিয়ে করবো তার সাথে সকলের একবার পরিচয় করিয়ে দেই। এই সোহান এদিকে আসো।
আকাশ লজ্জায় কিছুটা দূরে সরে দাঁড়ায়।
সোহান তনুর কথা মতন কর্মচারীরের মধ্যে থেকে গিয়ে তনুর পাশে দাঁড়ায়। আর তনু সকলের সামনে সোহনকে পরিচয় করিয়ে দেয়। এবং আগামীকাল তনু আর সোহান বিয়ে করতে যাচ্ছে সেই বিষয়ে ঘোষণা করে। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে আকাশ। ভিতরটা জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে আকাশের তনুর সমস্ত কথা শুনে। একটু আগে একগাদা মিথ্যা দোষ তনু আকাশের উপরে চাপিয়ে দিয়েছে। যেটার একটাও সে করেনি। উল্টো তনু নিজেই সব করেছিল। আকাশ যেদিন জয়েনিংয়ের জন্য আসে, সেদিন তনুই তাঁকে ফোর্স করে বিয়ে করছে। আর আজ তনু তাঁকেই উল্টো অপবাদ দিয়ে সবার চোখে আসামি বানিয়ে দিয়েছে। আকাশ কখনোই এমনটা আশা করেনি তনুর থেকে। মন থেকে সত্যিই সে তনুকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। কিন্তু তনু শেষমেশ তার সাথেই চোখ উল্টে নিলো। আকাশের কেমন যেনো কোনো কিছুই বিশ্বাস হচ্ছে না। মনে হচ্ছে সে যেনো কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছে। তনু আর সোহানের দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে আছে আকাশ। ভিতরে ভিতরে প্রচন্ড আফসোস হচ্ছে। হওয়ার কথা ছিল কি। আর হলো কি। ভালোবাসার পরিণাম যে কতোটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা আকাশ আজ বাস্তবে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে দেখেছে। পুরো অফিসের সবাই আকাশের দিকে ঘৃণার নজরে তাকিয়ে আছে। দু-চারটে খুন করে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামীর মতন দাঁড়িয়ে আছে আকাশ। সে আজ কিছু না করেও আসামি। তনু সোহানকে ডেকে নিয়ে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। সোহানের চোখে-মুখে হাসি। আর আকাশ কষ্টের ঠিকাদারি নিয়েছে। তনু সোহানকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আকাশের কাছে যায়। গলার আওয়াজ ছোট করে আকাশ আর সে ছাড়া কেউ শুনতে না পায় মতন করে বলে,
–‘কিরে কেমন ফিলিংস হচ্ছে তোর? আজকের দিনটার জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করেছিলাম। কি ভেবেছিস তুই আমাকে বারবার অপমান করবি আর আমি তোকে ছেড়ে দিব? না রে আমি এতোটা দয়ালু নই। আমি সেই তনু, যে কারোর দেওয়া কষ্টের কথা ভুলি না। কেউ আমায় একবার কষ্ট দিলে আমি তাঁকে সেটা সুদে-আসলে দশবার ফিরিয়ে দেই। তবে তোর ভাগ্যটা ভালো ছিল। তুই আমায় পাঁচ বছর আগে অপমান করেছিস। তোদের জন্য আমার বাবা মা’রা গিয়েছে। কিন্তু আমি তোর বেলায় সেটা ভুলে গিয়েছিলাম। তবে তুই পরেরবার আবারো একই কাজটা করলি আমায় পার্টিতে অপমান করে। আর সেদিন এই আমি ঠিক করে নিয়েছি তোর উপরে অতীত এবং বর্তমানের সমস্ত প্রতিশোধ নিব। সেই কারণে আমি তোর সাথে অতিরিক্ত ভালোবাসার নাটক শুরু করেছিলাম। অবশ্য আমিও তোকে ভালোবাসতাম। কিন্তু তোর কারণে অপমানিত হওয়ার পর সমস্ত ভালোবাসা ঘৃণায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। এছাড়া যদিও তুই আসাদ সাহেবের সাথে কথা বলে সব ঠিক করেছিস। কিন্তু আমি তনু যেটা একবার করবো ভাবি, সেটা করেই ছাড়ি। আর তোর কারণেই আমি বাধ্য হয়ে সোহানের সাথে সম্পর্কে করেছি। না হয়তো আজ আমি তোর থাকতাম। যে নারী অসম্ভব ভালোবাসতে জানে। সে ঘৃণাও করতে জানে। তুই সেদিন ঐ রকমটা না করলে আজ তোর এই দুঃসময় দেখতে হতো না। একে একে বেশ কয়েকবার তুই আমাকে আ’ঘাত করেছিস। আজ সেসব তোকে ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। আমার বাবা মা’রা গিয়েছে কিন্তু তোরা কেউ সাহায্য করিস নি। তোরা যদি আমার বাবার সাহায্য করতি তাহলে আজও আমার বাবা জীবিত থাকতো। বাবার দুঃসময় আসায় তোরা সব কয়টা সাইড কেটে পড়েছিস। তার উপরে টাকার কারণে আমায় তুই অপমান করেছিস। কি যেনো বলেছিলি তখন? আমি তোর যোগ্য না? আমার মতন অনেক মেয়ে দৈনিক তোর পিছনে ঘুরে? আজ দেখ তো কে কার যোগ্য না। তুই আমাকে গত পাঁচ বছর আগে তুচ্ছ, অকিঁচিৎ, নিষ্ফলা ভেবেছিস।
আজ দ্যাখ আমার আশেপাশে আসার ও যোগ্যতা তোর নেই। তার উপরে আবার আমাকেই পার্টিতে অপমান করা হ্যাঁ। দ্যাখ এখন কেমন লাগে। সেদিন যখন সোহান অফিসে এসেছিল, তার একদিন পর আমি সোহানের সাথে মিলে সব প্ল্যান করি। তোকে সোহান রাস্তার মাঝে আঁটকেছিল এটাও আমাদের একটা প্ল্যানের অংশ ছিল। আমাদের ইচ্ছে ছিল তোকে কষিয়ে একটা মা’ইর দেওয়া। কিন্তু তুই সেদিন বেঁচে গেছিস পিস্তলের কারণে। আর আমাদের প্ল্যান বৃথা যায়। তারপর আবার নতুন করে প্ল্যান সাজাই আজকের জন্য। এতো টাকা পয়সা নষ্ট করেছি শুধু তোকে অপমান-অপদস্ত করার জন্য। তুই আমাকে ভরা মজলিসের সামনে অপমান করেছিস। তাই আমি ঠিক করেছিলাম তোকেও একটা আয়োজন করে সেখানে ইচ্ছে মতন অপমান করবো। যেটা তোকে আজ করলাম।’
আকাশের চোখ থেকে অশ্রু ঝড়তে শুরু করে তনুর কথায়। যাকে সে সব টুকু দিয়ে ভালোবেসেছে সেই তনু তার উপরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভালোবাসা নামক জঘন্য একটা নাটক করেছে। দুই গাল লাল হয়ে গিয়েছে আকাশের তনুর থা’প্পড়ের কারণে৷ ভিষণ কষ্ট হচ্ছে আকাশের। টলমল করে চোখের পানি পড়ছে। কি পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে আকাশের ভিতরে তা কারোর পক্ষে অনুমান করা অসম্ভব। তনুর দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে আকাশ ভাবে,
–‘আমি বরাবরের মতোই হতোভাগা। আমি
আমার দুঃখ গুলো একটা গ্লাসে রাখি, গ্লাস গলে যায়। একটা কাঠের পাত্রে রাখি তাতে আগুন ধরে যায়। একজন ঘৃণিত লোকের চুল্লিতে রাখি তৎক্ষণাৎ সে মা’রা যায়। একটা উন্মুক্ত আগ্নেয়গিরির মুখের মধ্যে পুরে দেই, কিন্তু ওরা শূন্যপথে উত্তপ্ত লাভা হয়ে উড়ে যায়। আমার দুঃখ গুলো কারোর সাথে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করি, সে আমার মজা উড়িয়ে চলে যায়। আমি আমার দুঃখ গুলো কোনো আলোকিত সমাজে রাখি, সেই সমাজে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায়। আমার দুঃখ গুলো আমি পূনরায় আবার নিজের ভিতরে ফিরিয়ে আনি, সেই দুঃখ আমায় কাঁদিয়ে ছারখার করে দেয়। আমি তাঁকে স্বার্থহীন ভাবে ভালোবাসলাম। আর পরিশেষে সে আমার সাথে নৃশংসতা দেখালো। হায়রে দুনিয়া।’
তনুর দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ছেড়ে মনে মনে আফসোস করছে আকাশ। তনুর বিন্দু পরিমাণ মায়া হচ্ছে না আকাশের চোখের পানি দেখে। উল্টো আরো প্রতিহিংসা দেখিয়ে বলে,
–‘আরেহ বাহ তোর তো দেখছি বেশ লজ্জা। অল্পতেই তোর চোখের পানি বেরিয়ে গেছে। আমি তো ভেবেছিলাম তোর মধ্যে লজ্জাবোধ বলতে কিছুই নেই। কিন্তু এখন দেখছি তোর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। তার মানে একটু হলেও তোর ভিতরে লজ্জা আছে। তবে তোর লজ্জা থাকা আর না থাকা দিয়ে আমার কোনো লাভ নেই। আর তোর চোখের পানি দেখে আমি আর গলছি না। তাই তোর জন্য ভালো হবে বৃথা চোখের পানি গুলো নষ্ট করিস না। কারণ এখন মাত্র একটা ধাপ গিয়েছে। আরেকটা ধাপ এখনো বাকি আছে। সেজন্য বলছি চোখের পানি গুলো আপাতত বাঁচিয়ে রাখ একটু পর কাজে আসবে।’
আকাশ তনুর কথা শুনে বুঝে উঠতে পারে না তনু কিসের ধাপের কথা বলছে। ইতিমধ্যেই তনু আকাশকে সজোড়ে এক ধাক্কা দিয়ে উল্টে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপর সে সরে যায়। সোহান এগিয়ে আসে আকাশের কাছে। আকাশ নিজেকে সামলে মাটি থেকে উঠার আগেই আকাশের কলার চে’পে সোহান। আকাশ পুরোপুরি নিশ্চুপ। সোহান আকাশের কানের দিকে৷ নিজের মুখ কিছুটা এগিয়ে তনুর ন্যায় দু’জন ব্যতীত কেউ না শুনে মতন করে বলে,
–‘খুব দেমাগ বেড়েছিলি তোর তাই না? খুব অহঙ্কার হচ্ছিলো তোর তনুকে পেয়ে? দ্যাখ তনু এখন আমার। আগামীকাল আমরা দু’জনে বিয়ে করে সংসার শুরু করবো। আগামীকাল সারাজীবনের জন্য তনু আমার হয়ে যাবে। আগামীকাল থেকে তোর তনুর শরীরে আমি স্পর্শ করবো। ওর উপরে আগামীকাল থেকে একান্তই শুধু আমার অধিকার থাকবে।’
আকাশ সোহানের কথা শুনে সোহানের দিকে কিছুটা আক্রোশ নিয়ে তাকায়। সোহান আকাশের তাকানো দেখে আকাশকে বলে,
–‘সেদিন পিস্তল নিয়ে বহু বাহাদুরি দেখিয়েছিস। কিন্তু আজ তোর বাহাদুরি আমি ছুটিয়ে দিব।’
সোহান আকাশের উপরে বসে নৃশংস ভাবে আকাশকে মা’রতে আরম্ভ করে। কিন্তু আকাশ একটা টু শব্দ’ও করে না। চুপচাপ পড়ে পড়ে মা’র খাচ্ছে। অফিসের সবাই দৃশ্যটা তাকিয়ে তাকিয়ে উপভোগ করছে। কেউ আকাশকে বাঁচাতে আসছে না। কারণ সবার নজরে আকাশ ঘৃণিত। সোহান আকাশকে মা’রতে মা’রতে আকাশের নাক-মুখ ফাটিয়ে রক্ত বের করে ফেলে। নাক-মুখ থেকে অনর্গল রক্ত পড়ছে আকাশের। কেউ কোনো মনুষ্যত্ব দেখাচ্ছেনা আকাশের জন্য। সোহানের ভিতরেও কোনো মায়া-দয়া কাজ করছে না। সে প্র’হার করেই চলেছে আকাশকে। এমন সময় অফিসের ম্যানেজার খালেক সাহেব দৌড়ে আসে আকাশকে বাঁচানোর জন্য। এতো সময় বেচারা চাকরি হারানোর ভয়ে চুপচাপ করে থাকলেও এখন আর চুপচাপ করে থাকতে পারে না। সাহস করে আকাশকে বাঁচাতে চলে আসে। কারণ কেউ না জানলেও খালেক সাহেব জানে আকাশ নির্দোষ। কয়েকদিন আগে তনু নিজেই তিনাকে বলেছে আকাশ তার হাজবেন্ড। কিন্তু যদি আকাশ সত্যিই তাঁকে ফন্দি করে বিয়ে করতো, তাহলে তনু তিনাকে কখনোই ঐ ভাবে বলতো না। মানুষ আপন মানুষকে নিয়েই জোর গলায় বলে। কারোর প্রেশারে পড়ে তনুর মতন ঐরকম নিখুঁত ভাবে কথা বলা কারোর পক্ষে অসম্ভব। খালেক সাহেব জোরপূর্বক সোহানকে আকাশের কাছ থেকে টেনে ছাড়িয়ে আকাশকে ধরে মাটি থেকে তোলে। কিন্তু সোহান আবারো তেড়ে যায় আকাশকে মা’রার জন্য। খালেক সাহেব আকাশকে ছেড়ে সোহানকে আটকানোর চেষ্টা করে। এই সুযোগে পিছন থেকে আকাশ সামনে এগিয়ে গিয়ে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে সোহানকে কোষে একটা লাগিয়ে দেয়। যার ফলে সোহান সাথে সাথে ঢুলে ধ্রামম করে মাটিতে পড়ে যায়….
চলবে…
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো)
আগামী পর্বে যথাসম্ভব গল্পের সমাপ্তি করা হবে।