অবেলায়_তুমি পর্ব ১৩

0
380

#অবেলায়_তুমি (পর্ব-১৩)
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ

তনু ডেস্কের উপরে থাকা কলমদানির মধ্যে থেকে ফল কাঁটার ছুরিটা নিয়ে আকাশের গলায় চেপে ধরে আকাশকে চোখ খুলতে বলে। আকাশ তনুর কথায় চোখ খুলে দেখে তনু তার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধরে আছে। আকাশ চোখ বড় বড় করে আশ্চর্য হয়ে তনুর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে থাকে। আর তনু আকাশের আশ্চর্য হয়ে তাকানো দেখে জোরে জোরে পৈচাশিক ভাবে হাসতে আরম্ভ করে। তনুর হাসি দেখে মনে হচ্ছে তনু এই দিনটার জন্য বহু সময় ধরে অপেক্ষা করে বসে ছিল। আকাশ পুরো বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে তনুর আচরণে। বুকের ভিতরে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন উথাল-পাতাল করতে শুরু করেছে আকাশের। চোখ জোড়া বড় বড় হয়ে গেছে। যে কোনো মুহূর্তেই তনু ছুরিটা চালিয়ে দিয়ে আকাশের নিশ্বাস বন্ধ করে দিতে পারে। আকাশের কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ছে। আকাশ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার তাড়নায় নড়াচড়া করতে থাকে। আকাশকে নড়াচড়া করতে দেখে পাশ থেকে তনু আকাশকে বলে,

–‘নড়াচড়া করিস না। তাহলে আরো কিছুটা সময় বেশি বাঁচতে পারবি। না হয় নড়াচড়া করলে রাগের মাথায় তোর উপরে এখুনি চালিয়ে দিব।’

আকাশ নড়াচড়া বন্ধ করে দেয় তনুর কথায়। এরপর করুণ সুরে তনু জিজ্ঞাস করে,

–‘তনু আমার সাথে কেন তুমি এমনটা করছো? আমি তো অনেক বড় কোনো অন্যায় করিনি তোমার সাথে। আর যেটা করেছি সেটার জন্য তো তুমি আমাকে শাস্তি দিয়েছো। তাহলে কেন আবারো এমন করছো তুমি আমার সাথে?’

–‘কারণ তোকে না মা’রা অব্দি আমার শান্তি হবে না। আর তুই আমার সাথে যেই অন্যায়টা করেছিস সেটা তোর কাছে সামান্য মনে হতে পারে, কিন্তু আমার কাছে নয়। তাই তোকে এবার সাজা পেতে হবে। আমি তোকে দুনিয়ায় কোলাহল থেকে মুক্ত করে দিব। তোর মতন মানুষ দুনিয়ায় বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই।’

–‘তনু প্লিজ এমনটা করো না। আমার বাসায় মা আর ছোট বোন আছে। আমার কিছু হলে ওরা না খেয়ে ম’রবে।’

–‘ক্ষমাআমায় কর তুই। তোর অনুরোধ টা আমি রাখতে পারবো না। আর তোর মা-বোন না খেয়ে ম’রলে তাতে আমার কি? আমি তো প্রতিশোধ নিব’ই।’

আকাশের বুকের ভিতরটা ধুকপুক ধুকপুক করছে। ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। চোখের কোণে পানি এসে জমা হয়েছে। অবশ্য আকাশের ভয়টা নিজেকে নিয়ে নয়। ভয়টা হচ্ছে ছোট বোন আফিয়া এবং তার মা’কে নিয়ে। তার কিছু হলে তার মা-বোনের দেখাশোনা করার মতন কেউ নেই। আকাশ চোখের কোণে পানি নিয়ে আবারো তনু অনুরোধ করে বলে,

–‘তনু আমায় না মা’রলে কি হয় না? আমি এতো জলদি ম’রতে চাই না। আমি অন্তত দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করার আগে মা আর বিশেষ করে আফিয়ার জন্য কিছু করে যেতে চাই। প্লিজ আমায় এবারের মতন ক্ষমা করে দাও।’

আকাশ তনুর কাছে অনুরোধ করার সময় এবার আকাশের চোখের কোণে জমে থাকা পানি গুলো নিজের অবস্থান ত্যাগ করে আকাশের গাল বেয়ে পড়তে থাকে। সাথে দাঁড়িয়ে থাকা তনু আকাশের চোখ বেয়ে পানি পড়তে দেখে হাতে থাকা ছুরিটা ফিক্কা দিয়ে দূরে ফেলে দেয়। এরপর বানরের মতন টুকুস করে লাফিয়ে আকাশের কোলের মধ্যে বসে আকাশের গালে দু’হাত রেখে বলে,

–‘এই পাগল তুমি কান্না করছো কেন? আমি তো তোমার সাথে এতো সময় ধরে মজা করছিলাম। আর দেখো তুমি কাঁদছে শুরু করেছো। আরে পাগল আমি তোমায় মা’রতে যাবো কেন বলো তো? তুমি কি আমার পাকা ধানে মই দিয়েছো নাকি? তাহলে কেন আমি তোমায় মা’রতে যাবো। আমি তো তোমার সাথে এতোটা সময় মজা করছিলাম। আর কাউকে মে’রে ফেলা কি এতো সহজ? অফিস ভর্তি মানুষ। আমার ভিতরে যদি ঐরকম কোনো কিছু থেকেই থাকতো, তাহলে আমি তোমায় অন্য কোথাও নিয়ে যেতাম। এই অফিসের মাঝে এসব করতাম না। আকাশ আমি সত্যিই মজা করেছি। আর তোমার উপরে গত পাঁচ বছর আগেরকার বিষয় নিয়ে এখন আমার আর কোনো অভিযান নেই। হ্যাঁ একটা সময় ছিল। তবে সেটা এখন শেষ হয়ে গিয়েছে। কারণ মানুষ বলতেই ভুল। তাছাড়া মাও বলেছে অতীতের বিষয় নিয়ে বর্তমানে রেষ মেটানোটা বোকামো। যা হয়েছে সেসব গত পাঁচ বছর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি তোমার উপরে আর রেগে নেই। আর একটু আগের সব কিছু ফাজলামো ছিল। এবার দেখি শান্ত হও।’

তনু আকাশের সাথে এতোটা সময় ফাজলামি করেছে কথাটা শুনে আকাশের স্বস্তি ফিরে আসে। আকাশের দুশ্চিন্তা কমে যায়। তবে সে চুপ করে থাকে। কোনো প্রকার কথাবার্তা বলেনা তনুর সাথে। ভিতরে প্রচন্ড অভিমান জন্মায় তনুর উপরে আকাশের। তনু আকাশকে চুপ করে থাকতে দেখে বুঝে ফেলে আকাশের ভিতরে অভিমান জন্মেছে। আকাশের অভিমান কমাতে তনু নিজেই দু’হাত দিয়ে আকাশের চোখের পানি মুছে দেয়। কিন্তু আকাশের তাও কোনো রেসপন্স নেই। আগের ন্যায় চুপ করে আছে সে। মনে হচ্ছে যেনো আকাশের শরীরে মরিচা ধরেছে।
একদম শান্তশিষ্ট হয়ে আছে আকাশ। পুতুল যেমন চুপ করে থাকে। আকাশ ও ঠিক একই পাবে পুতুলের বৈশিষ্ট্যকে বহন করে চুপ করে আছে। আকাশের এমন চুপসে থাকার কারণ ফাজলামোর একটা লিমিটেশন থাকা উচিৎ। ফাজলামো বা দুষ্টামি মানুষ মুখের মার্জিত ভাষায় করে। না হয় অন্য ভাবে করলে সেটার লাজ লেহাজ থাকতে হয়। কিন্তু তনু যেটা করেছে সেটা ফাজলামো বা দুষ্টামির কাতারে পড়ে না। এই রকম দুষ্টামির কারণে মানুষ ভয় পেয়ে এমনিতেই স্ট্রোক করে মা’রা যেতে পারে। আর এজন্যই তনুর উপরে প্রচন্ড অভিমান টা জন্মেছে আকাশের। অপরদিকে তনু নিজের হাত দিয়ে আকাশের চোখের পানি মুছে দেওয়ার পরেও যখন দেখে আকাশের অভিমান কমেনি, তাই সে আর কোনো কিছু না ভেবে আকাশের শার্ট খামচে ধরে উন্মাদের মতন শুরুতে আকাশের গলায় কয়েকটা চুমু বসায়। এরপর কিছুক্ষণ যেতেই আকাশের গলা ছেড়ে আকাশের ঠোঁট টাকে রপ্ত করে নেয়। তনুর মাত্রা ছাড়া পাগলামি দেখে আকাশ জোরপূর্বক তনুকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,

–‘তনু এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না।’

–‘কি ঠিক হচ্ছে না?’

–‘এই যে তুমি আমার শরীরে স্পর্শ করছো।’

–‘তাহলে কাকে শরীরে স্পর্শ করবো? অন্য কোনো পরপুরুষ কে?’

–‘না মানে আসলে তা নয়…

–‘আরে আজব তা নয়তো কি? আমি আমার স্বামীর সাথে রোমান্স করছি এতে বেঠিকের কি আছে? আমি তো অন্য কোনো পরপুরুষের সাথে রংতামাশা করছি না। যা করছি নিজের স্বামী বা হাজবেন্ডের সাথেই করছি। তাহলে কি ঠিক হচ্ছে না শুনি?’

আকাশ চুপ হয়ে যায়। কারণ তনুর কথা যুক্তিসঙ্গত। তনুর অধিকার আছে আকাশের সাথে ঘনিষ্ট হওয়ার। অবশ্য আকাশের ও রয়েছে। তবে বেচারার পরিস্থিতি খারাপ দেখে হয়তো সে তনুর কাছাকাছি যাওয়ার সাহস করেনি কখনো। এখানে অনেকেই মনে করবে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে। আর আকাশ হয়তো ভীতু প্রকৃতির ছেলে। আসলে বিষয়টা কিন্তু এমন না। পরিস্থিতি বুঝে সব করতে হয়। আকাশ নিজেকে সংযত করে রেখেছে ভদ্রতার খাতিরে। না হয়তো সে চাইলেও জোর খাটাতে পারে তনুর উপরে। তবে ভদ্রতার পাশাপাশি আকাশের চাকরি হারানোর ও একটা ভয় আছে। তাই আকাশ নিজেকে সামলে রাখে সর্বদা। আকাশ তনুর যুক্তির কাছে হেরে গিয়ে চুপ হয়ে যায়। অন্যদিকে তনু আকাশকে চুপ করে থাকতে দেখে বলে,

–‘দেখো আমি যা করছি সেসব আমার অধিকার থেকে করছি। অযথা আমাকে বাঁধা দিতে আসবা না একদম।’

তনু আবারো আকাশের ঠোঁটে নিজের অধিকার খাটায়। এবার আকাশের ভিতরেও একটা অ্যাট্রাকশন বা আকর্ষণ তৈরী হয় ঠিক কারেন্টের মতন।
যেমন- বৈদ্যুতিক তারের মাইনাস এবং প্লাস দু’টো যখন একসঙ্গে মেলানো হয়, তখন তাঁদের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়। এখানেও ঠিক তাই হয়েছে। তনুর কারণে আকাশের ভিতরেও এক রকমের একটা প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। আকাশ নিজেও এবার তনুকে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে। দু’জনের ভিতরে ভালোবাসার এক নতুন সিক্ততা জন্ম নিয়েছে। দুজনের মতামতে এই প্রথম স্পর্শ। সারা শরীরে যেনো প্রজাপতির সাত রঙ ছড়িয়েছে। তনু মৌমাছির ন্যায় বারংবার আকাশের ঠোঁটে হুল ফুটাচ্ছে। তনুর স্পর্শে আকাশের নিজেকে কেমন বেসামাল লাগছে। অবশ্য আকাশ নিজের নিয়ন্ত্রনে আছেই বা কোথায়! একজন পুরুষের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তার প্রেয়সী। আর সে প্রেয়সীকে যদি এতো কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখা যায় তবে কি নিজেকে নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব! আকাশ ও তনুর আচরণে সাড়া দেয়। সামান্য কিছু সময়ে দু’জন এতো গভীর ভাবে মিশে গেছে, যে তাঁদের দেখে মনে হচ্ছে যেনো এই দু’টো মানুষ বহু জন্মের পরিচিত। তাঁদের সংসার জীবনের একযুগ পূর্ণ হয়েছে। বেশ কিছু সময় আকাশ আর তনু ব্যক্তিগত সময় কাটায়। কিছুক্ষণ পর তনু নিজেই আকাশকে ছেড়ে দেয়। আর বলে,

–‘হয়েছে এবার গিয়ে কাজ মন দাও। সারাদিন দু’জন মিলে এভাবে রোমান্স করে সময় কাটালে অফিসের বারোটা বাজবে। যাও গিয়ে কাজ করো। আর না হয় যা ইচ্ছে হয় করো। তবে আমাকে এখন কাজ করতে হবে।’

–‘এই আজব! আমি তোমাকে বলেছি নাকি রোমান্স করতে? শুরু এবং শেষ সবটাই তো তোমার ইচ্ছেতে হলো। তাহলে এখন আমায় কেন দোষ দিচ্ছো?’

–‘এই যে মহাশয় আপানকে কোনো দোষ দেইনি। আমি শুধু বলেছি কাজের বারোটা বাজবে সারাদিন দু’জনে এসবে মেতে থাকলে।’

–‘ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি।’

–‘হুম যাও।’

–‘যেতে তো দাও।’

–‘আজব আমি আবার তোমায় কোথায় আটকালাম?’

–‘কোল থেকে না নামলে যাবো কি করে শুনি?’

–‘ওহ আচ্ছা ভুলে গিয়েছিলাম।’

তনু আকাশের কোল থেকে নেমে যায়।
আর আকাশ ও তনুর চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় চলে যাওয়ার জন্য। এমন সময় তনু আকাশকে বলে,

–‘যাও এবার। আর শুনো দুপুর হলে কেবিনে চলে এসো। দু’জনে একসাথে দুপুরের লাঞ্চ করবো।’

–‘আচ্ছা ঠিক আছে।’

আকাশ কেবিন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য হাঁটা দিয়ে কয়েক কদম সামনে যেতেই তনু আবারো পিছন থেকে আকাশকে ডাক দেয়।

–‘এই আকাশ শুনো।’

–‘আবার কি হলো?’

–‘দেখো আজ থেকে তোমাকে আর অফিসের কেউ কিছু বলার সাহস পাবে না। আর তোমার যা ইচ্ছে হয় তুমি করতে পারবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা। অফিসে অসংখ্য মেয়ে কর্মচারী আছে। তাঁদের দিকে তুমি ভুলেও তাকাবা না। এমনকি তারা তাকালেও তুমি তাকাবা না। এখন কিন্তু তোমার সাথে অনেকেই ভাব জমানোর চেষ্টা করবে। কারণ ইতিমধ্যেই সবাই জেনে গেছে তুমি আমার খুব কাছের লোক। তাই সবার থেকে সাবধানে থাকবা। বিশেষ করে মেয়েদের থেকে। না হয় কিন্তু তোমার অবস্থা বারোটা বাজিয়ে দিব বলে দিলাম।’

–‘আচ্ছা ঠিক আছে সাবধানে থাকবো। এবার গেলাম।’

আকাশ কেবিন থেকে বেরিয়ে নিজের ডেস্কে চলে যায়। তনুও নিজের কেবিনে বসে কাজ করতে আরম্ভ করে। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়ে গেছে। এভাবে সাপ্তাহ খানিক কাটে। কেটে যাওয়া এই এক সাপ্তাহে দু’জনের সম্পর্ক আগের চেয়েও আরো অনেক গুণ মজবুত হয়েছে। দু’জনে দুপুর টাইমে একসাথে লাঞ্চ করে। তনু আকাশকে অফিস ছুটি হলে বাড়ি অব্দি পৌঁছে দেয়। এমনকি তারা দু’জনে এক সঙ্গে একদিন ঘুরতেও বেরিয়েছিল। সাপ্তাহ খানিক পর সোহান একদিন হুট করে তনুর অফিসে আসে। আকাশ নিজের ডেস্কে বসে ছিল। কিন্তু সে সোহানকে দেখতে পেয়ে নিজের ডেস্ক ছেড়ে উঠে সোহানের কাছে যায়। এরপর হেঁসে হেঁসে
সোহানকে বলে,

–‘সোহান ভাই আপনি কিন্তু কাজটা ঠিক করেন নি।’

–‘কি ঠিক করি নি?’

–‘এই যে তনু আর আপনি মিলে প্রেমের নাটক সাজিয়ে আমাকে বোকা বানাতে চেয়েছেন। আমি কিন্তু জেনে গেছি, যে আপনি আর তনু মিলে আমাকে প্ল্যান করে বোকা বানাতে চিয়েছিলেন।’

–‘আকাশ সাহেব আপনার মাথায় কোনো সমস্যা টমস্যা আছে কি?’

–‘না কোনো সমস্যা নাই। আর সমস্যা কেন থাকবে?’

–‘তাহলে কি সব উল্টো-পাল্টা বলছেন? আমি আর তনু মিলে আপনাকে বোকা বানাবো এমন কোনো প্ল্যান এই তো আমরা করিনি। তাহলে আপনি এইসব আজগুবি প্ল্যান সম্পর্কে জানলেন কোথা থেকে শুনি?’

সোহানের কথা শুনে আকাশের মাথার টনক নড়ে উঠে। কারণ তনু বলেছে সব কিছু নাটক ছিল। কিন্তু এখন সোহান বলছে এমন কোনো প্ল্যান এই তারা করেনি। তনুর সাথে সোহানের কথার কোনো মিল এই নেই। তার মানে তনু তাকে যা বলেছে সব কিছুই মিথ্যা। তনুর সাথে হয়তো সত্যিই সোহানের কোনো সম্পর্ক ছিল বা এখনো আছে। এবং সেই সঙ্গে তনু তাকে প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে…..

চলবে….

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here