#একটি_নির্জন_প্রহর_চাই
১০.
#writer_Mousumi_Akter
দরজা জোরে বাড়ি লাগল ওয়ালের সাথে।প্রকট শব্দে ফিরে তাকালাম তরী আর আমি।ওশান ব্রাশ হাতে নিয়ে মেজাজের সাথে বেরিয়ে এলো নিজের ঘর থেকে। গলায় একটা গামছা ঝুলানো রয়েছে।আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে তরীর দিকে তাকিয়ে চাপা কন্ঠে বলল,
‘তোর ছেলে উঠেছে,যা গিয়ে তোল।আর তোরে বলছি না ছেলেকে নিয়ে অন্যঘরে ঘুমোবি।সারাদিন খাটা-খাটনি করে এসে বাচ্চার বিরক্তিতে ঘুমোতে পারিনা ঠিকভাবে।লাইফ টা হেল করে ছাড়লি আমার।’
‘নিজের বাচ্চাকেও বিরক্ত লাগে আমার।ছেলে বড় হলে কিভাবে মুখ দেখাবে ওর সামনে।’
‘খা**ন**কি**র বা’চ্চা মুখে মুখে তর্ক করিস,জ্ঞান দেস তুই আমারে।’
‘তা তুমি কি খাটা-খাটনি করো সারাদিন।ছোয়ার পেছনে ঘুরাটায় তো তোমার আসল খাটনি।’
‘কি বললি কু** ত্তা**র বাচ্চা।ছোয়ার নাম উচ্চারণ করার যোগ্যতা আছে তোর।ওর পা ধুয়ে পানি খাওয়ার যোগ্যতা ও নেই।’
বলেই ওশান এদিক সেদিক তাকাচ্ছে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে তরীকে মা’রা’র জন্য লাঠি খুজছে।আমি তরীকে বললাম,
‘তরী তুমি যাও রোহানের কাছে।আমার দেবরের সাথে আমার কথা আছে।’
তরী ওশানের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ভাবি শুধু ছেলেটার মুখের দিকে তাকিয়ে বেঁচে আছি।না হলে এসব সহ্য করতাম না।কবেই গলাই ফাঁস দিতাম।ছেলেটার জন্য পারিনা।’
‘ওহে পা’গ’লি জীবন একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র।এখানে মরে গিয়ে হেরে যেতে নেই।যেমন কু’কু’র তেমন মুগুর না মা’র’লে এখানে টিকে থাকা মুশকিল।’
তরী অশ্রুভেজা চোখ নিয়ে মাথা নিচু করে চলে গেলো নিজের রুমে।ওশান পেছন থেকে ডেকে আরো কয়েকটা বিশ্রি গালি দিয়ে বলল,
‘তোর সময় ফুরিয়ে এসছে অপেক্ষা কর।তোর চ্যাপ্টার এবার পুরোপুরি ক্লোজ করার সময় হয়ে গিয়েছে।তোকে তো মুখে মুখে আমি বহুবার ই তালাক দিয়ে দিয়েছি নির্লজ্জের মত পড়ে আছিস কেনো?কাবিনে যা আছে ডাবল দিয়ে দিবো, ছেলে রেখে বিদায় হ।’
এরই মাঝে শ্বাশুড়ি এসে বললেন,
‘তা যাবে কেনো?এত ঘন ভাত পৃথিবীর কোথাও নেই।এত মাগনা খাবার সহজ না।’
ওশান মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘আম্মা আমি কিন্তু আর সহ্য করতে পারছিনা।শুধু ভাইয়ার জন্য অনেক সহ্য করেছি।ভাইয়া তো ঠিক ই নিজের জন্য এক নাম্বার মেয়ে চয়েজ করেছে আমার বেলায় যত জ্ঞান।’
‘আমি এবার রোশান কে সবটা বুঝিয়ে বলব।ওই আপদ -বিপদ দূর কর বাড়ি থেকে।কাল আমাকে দিয়ে মাছ ধুইয়েছে।মাছের ভেতর শিং মাছের কাটা রেখে দিয়েছিলো।প্রতিশোধ নিতেই এমন করেছে।’
আমি আশ্চর্যজনকভাবে তাকিয়ে আছি ওশানের মায়ের দিকে।ছিঃমায়েরা বুঝি এমন ও হয়।আমার দিকে তাকিয়ে অমায়িক হাসি দিয়ে বলল,
‘মা সারাহ ওর থেকে দূরে থেকো।আর তুমি রোশান কে বুঝিও এই মেয়ের কথা যেনো বিশ্বাস না করে।দেখলে না কাল তুমি আসতে না আসতেই তোমাকে দিয়ে মাছ কোটালো আবার আজ হাতে ঝা’ড়ু তুলে দিয়েছে।দেখেছো কিভাবে পাল্লা দিচ্ছে।’
‘তরী আমাকে কিছুই বলেনি আম্মা।আপনারা তরীর সাথে এমন করছেন কেনো?’
‘তুমি তরীর ব্যাপারে কিছুই জানোনা তাই।তোমার মাথা ও খে’য়ে নিয়েছে।’
‘আমি সারাহ আম্মা।কেউ আমার মাথা খে’তে পারবে সেটা সম্ভব নয়।’
শ্বশুর শ্বাশুড়িকে ডাকছেন।আম্মা চলে গেলো।
আমি অগ্নিচোখে ওশানের দিকে তাকালাম
।আম্মা চলে যেতেই ওশান আমাকে বলল,
‘আমার সাথে গেস্ট রুমে এসো কথা আছে সারাহ।’
‘কথা তো আমার ও আছে চলুন।’
গেস্ট রুমে যেতেই ওশান বলল,
‘সারাহ কাল থেকে বহুবার তোমার সাথে কথা বলার সুযোগ খুজেছি।কিন্তু পারিনি।তোমার সাথে আমার কথা আছে।আর তুমি যা ভাবছো তা নয় সারাহ।তরী,বাচ্চা এসব কিছুই আমার বলে আমি স্বীকার করিনা।এসব আমার জীবনের একটা এক্সিডেন্ট।আমি তোমাদের সব বলতাম।’
ওশানের মুখে খানিকটা থুথু ছুড়ে মেরে বুকে হাত বেঁধে দাঁড়ালাম।গুরুগম্ভীর ভাবে প্রশ্ন করলাম,
‘কি বলতি তুই?বল কি বলতি।’
‘সারাহ তুমি আমাকে তুই বলছো?’
‘এর থেকে নিচের কিছু আছে।জানা আছে তোর থাকলে বল।না মানে তোর কাছে তো নিকৃষ্ট ভাষার শেষ নেই।তরীকে যে ভাষা গুলো ইউজ করিস ওগুলো বলব।প্রব্লেম নেই সব ধরনের গালিই আমার মুখস্থ আছে কিন্তু পারিবারিক শিক্ষা আমার যথেষ্ট ভালো তাই ইউজ করিনা।তবে সেরকম হলে ইউজ করব।তুই আর তোর মা যে ভাষায় বুঝবি আমিও সেই ভাষাতেই বুঝাব।’
‘সারাহ তুমি আমাকে ভুল বুঝছো,আমি জানি আমি মিথ্যা বলেছি কিন্তু কেনো বলেছি বলার সুযোগ দাও।’
‘তুই যে কাজ করেছিস তা সঠিক প্রমাণ করার জন্য পৃথিবীতে এমন কোনো দলিল তৈরি হয়নি।এতটা নিকৃষ্ট আর জঘন্য কাজের পক্ষে কোনো যৌক্তিকতা থাকতেই পারেনা।তুই তো বিয়ের মত পবিত্র সম্পর্কের সমস্ত নিয়ম ভেঙেছিস।না কারো বাবা হওয়ার যোগ্য তুই না কারো স্বামি না কারো প্রেমিক।তুই মানুষ হিসাবে আস্ত বড় একটা শুণ্য।আমার ছোয়ার লাইফ আমি তরীর মত হতে দিবোনা ওশান।তোর মত লম্পটের সাথে ছোয়ার জীবন আমি বাঁধতে দিবোনা।তোর জন্য ছোয়াকে তরী রোজ অভিশাপ দিচ্ছে।অথচ এখানে ছোয়ার কোনো দোষ ই নেই।’
‘দেখো সারাহ আমি মানছি আমি মিথ্যা বলেছি।কিন্তু আমি ছোয়াকে ভালবাসি ভীষণ ভালবাসি।তুমি দেখো তরীর মত বস্তিমার্কা মেয়ের সাথে কি থাকা যায়।না আছে কোনো স্মার্টনেস,না জানে লেখাপড়া,না আছে পারিবারিক কোনো অবস্থান।একেবারেই যাতা টাইপ মেয়ে।আমি জাস্ট এই মেয়েকে সহ্য করতে পারিনা।আমি এই সপ্তাহেই তরীকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।ছোয়াকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাবো।প্লিজ সারাহ ছোয়া কে কিছুই বলোনা।’
ওশানের গালে ঠাসসস করে থাপ্পড় মেরে বললাম,
‘কিহ! তুই তরীকে ডিভোর্স দিবি।সেই সৌভাগ্য তোর হবেনা। তরী লেখাপড়া কম জানতে পারে তোর মতো চরিত্রহীন নয়।তরী কেনো আজ লেখাপড়া জানেনা সবটায় তোর জন্য।ওশান যে তরীকে তোরা এত অপমান করিস,অবহেলা করিস দিনে পাঁচবার ডিভোর্স এর খোটা দিস।দিন এভাবে যাবেনা ওশান।একদিন তরীর অবস্থানের পরিবর্তন হবে।তরীর সাথে থাকার জন্য তুই রিকুয়েষ্ট করবি কিন্তু তরী তোকে ডিভোর্স দিবে।আর রইলো ছোয়া , ছোয়া তোর এসব জানলে কোনদিন তোর হবেনা।আমি ছোয়াকে সব জানাবো।’
‘ছোয়া আমাকে ভালবাসে। কখনোই আমাকে ছাড়বে না।শুধু শুধু তুমি এসব বলে অশান্তি করো না।তার থেকে দুই বান্ধবী মিলে মিশে সংসার করার কথা ভাবো।তোমার বেষ্টফ্রেন্ড তোমার সাথে থাকতে পারবে এর থেকে আনন্দ পৃথিবীতে থাকতে পারেনা।’
‘এর থেকে নিকৃষ্ট কিছুও হতে পারেনা।তোর স্বপ্ন স্বপ্ন থেকে যাবে।’
‘ছোয়াকে আমি আমার করে নিবো। ‘
আমি তোকে চ্যালেঞ্জ করলাম ছোয়া কোনদিন এ বাড়িতে আসবে না।’
‘আমার সাথে শত্রুতা করোনা সারাহ।আমার আর ছোয়ার মাঝে এসোনা, ভাল হবেনা।’
‘তুই এমনিতেও আমার শত্রু ওশান।তোকে ধ্বংস করে ফেলব আমি।’
রাগে ফুঁশতে ফুঁশতে বেরিয়ে এলাম। ওশান কে ফাঁ’সিতে ঝুলাতে ইচ্ছা করছে।যদি ছোয়া আমার কথা বিশ্বাস না করে কি হবে।কিভাবে সামলাবো আমি সবটা।টেনশনে কেমন অস্হির লাগছে আমার।কি করব বুঝতে পারছিনা।আজ বাবার বাড়ি যেতে হবে।নিয়ম অনুযায়ী আজ যাবার কথা।সব কিছু গোছানোই আছে।কিন্তু এখানে তরীকে রেখে যাবো যদি তরীকে কিছু করে।এখন ওশান জেনে গিয়েছে আমি সবটা জেনে গিয়েছি।তরীর ক্ষতি করার কথা ভাবতে পারে।আমাকে এখানে তরীকে রেখে গেলে চলবে না।তরীকে আমার সাথে নিয়ে যাবো।
সাড়ে সাতটা বাজে।কিচেনে তরীর সাথে রান্নায় হেল্প করছি আমি।তরী দাঁড়িয়ে আছে আর আমি খুন্তি নাড়াতে নাড়াতে বললাম, ‘যাওতো বেবি রেডি হয়ে নাও।’
‘কেনো ভাবি?’
‘তুমি আমার সাথে যাচ্ছো।’
‘কোথায়?’
‘আমার বাবার বাড়ি।’
‘না ভাবি আমি যাবো না।অশান্তি হবে বাড়িতে।’
‘যেতে চাওনা তাইনা?’
‘চাই তবে যেতে দিবেনা।’
‘তোমার রোশান ভাইয়া দেখবে সেটা।তোমার এত চাপ নেওয়ার দরকার নেই।আর তুমি শাড়ি পরো কেনো সব সময়।’
‘শাড়ি ছাড়া পরতে দেইনা আম্মা।’
‘তাই নাকি, বাবার বাড়ি থেকে আসার সময় জিন্স গুলো নিয়ে আসব।জিন্স পরে ঘুরে বেড়াবো দেখি কিভাবে আটকায় আমাকে।’
‘ভাবি সর্বনাশ হয়ে যাবে।’
‘হিহিহি আরে আরে বেবি দেখো সর্বনাশ যা ঘটাবার ঘটিয়ে ফেলেছি। ডিম ভুনা তো পুড়্র কালি হয়ে গিয়েছে।’
‘আজ আমার কপালে দুঃখ আছে।’
‘দুঃখজনিত ঘটনা এ বাড়ির মানুষের কপালে আছে।অপচয় নিষিদ্ধ বলে এই পোড়া ডিম খাইয়ে দিবো। ‘
এরই মাঝে শ্বাশুড়ি তরীকে ডাকছে।তরী চলে গেলো।আমার মনে পড়ল গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি আছে।যায় গিয়ে রোশান স্যার এর ফোন নিয়ে তন্ময় অথবা মৃন্ময় কে ফোন দিয়ে আইডির পাস দিয়ে বলি আমার আইডি টা নষ্ট করে দিতে।আইডি ভরা হাবি জাবি স্টাটাস। আরো কত মানুষের সাথে চ্যাটিং করেছি সেসব দেখলে ঝামেলা হতে পারে।অকাম-কুকাম এর প্রুভ গুলা বিলীন করে আসি।রুমে প্রবেশ করে দেখি কোল বালিশ জড়িয়ে ধরে রোশান স্যার ঘুমোচ্ছেন।ভাব খানা এমন যেনো সদ্য বিবাহিত পুরুষ সারারাত বউ এর সাথে রোমান্সে বিজি থেকে ভাল একটা ঘুমোতে পারেনি।বেলা অবধি ঘুমিয়ে তো মানুষ কে এসব ই বোঝাবে।আমি কি এসব বলে গায়ে টেনে ঝগড়া শুরু করব।তার আগে উনার ফোনটা লাগবে।আস্তে করে বসে উনার ফোন খোজার চেষ্টা করছি।ফোন উনার পিঠের নিচে রয়েছে।ঝুঁকে বসাতে গলার চেইন উনার বোতামে আটকে গেলো।এই হলো আরেক বিপদ।আমি এমন ভাবে ঝুঁকে রয়েছি উনার দিকে উনার ঘুম ভাঙলেই ভাববে আমি চুমু দেওয়ার চেষ্টা করছি।কিছুই চেইন বোতাম থেকে খুলতে পারছি।আস্তে করে উনার শার্টের বোতাম খোলার চেষ্টা করলাম আর তখন ই রোশান স্যারের ঘুম ভেঙে গেলো।উনি পিটপিট করে তাকালেন।একবার উনার বোতামের দিকে তাকিয়ে আমার মুখের দিকে তাকালেন।কপালের চামড়ায় ভাজ পড়ে গেলো উনার।লজ্জা পেয়ে দ্রুত উঠে দাঁড়াতে যেতেই উনি হাত টেনে ধরলেন।সাথে সাথে সম্পূর্ণভাবে পড়ে গেলাম উনার উপরে।আচমকা আমার ওষ্ট গিয়ে উনার ওষ্ট স্পর্শ করল।শরীরে কেমন এক তরঙ্গের মত কিছু প্রবাহিত হল।উনি উনার সাথে শক্তভাবে চেপে ধরে রেখেছেন আমাকে।লজ্জায় কি যাতা অবস্থা আমার।উঠার জন্য ছটফট করছি আমি।উনি এবার নিরবতা ভেঙে বললেন,
‘এভাবে ছটফট করছো কেনো?’
‘উঠব আমি।’
‘আমার বস্ত্রহরন করছিলে কেনো?’
‘ দেখুন যা ভাবছেন তা নয়।আমার কিন্তু ওসব উদ্দেশ্য ছিলোনা।’
‘তাহলে কি উদ্দেশ্য ছিলো।আমার বডি দেখবে।’
‘না, সেসব কিছুই না।আমার চেইন আটকে গিয়েছিলো আপনার বোতামে।’
‘কিভাবে আটকালো হুম।’
ঘুম ঘুম কন্ঠ কি দারুণ লাগছে শুনতে।যেনো আফিমের মতো নেশালো।এই লোকটা তো এইভাবে আমাকে ফাঁসিয়ে দিবে দেখছি।আমি জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বললাম,
‘জানিনা কিভাবে আটকে গিয়েছে।’
‘বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজাও কেনো?আমার সামনে এগুলো করবেনা।’
‘আচ্ছা করব না ছাড়ুন।’
‘না ছাড়লে।’
‘না ছাড়লে কলেজে গিয়ে সবাই কে বলে দিবো আপনার আমার সাথে বিয়ে হয়েছে।আপনি আমাকে যখন তখন জড়িয়ে ধরেন,রাতে ঘুমোতে দেন না,আরো ব্লা ব্লা।’
‘আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ চাই।তুমি যে মেয়ে মাইকিং ও করতে পারো।সে বিশ্বাস আমার আছে।’
বলেই রোশান স্যার আমাকে ছেড়ে দিলেন।আমি ঠোঁট কামড়ে ধরে হেসে দিলাম।সারাহ কি বুদ্ধিতোর।উনার ফোনটা নিয়ে তন্ময় কে ফোন দিয়ে জানালার কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম,
‘তন্ময় আমার জামাই টা খুব জেলস ফিল করেরে।আমি জীবনে বহু পোলাগে লগে ফ্লার্টিং করেছি।সেসব চ্যাটিং দেখলে আমার মান ইজ্জত চলে যাবে।আর ও খুব কষ্ট পাবে। তুই আমার আইডি টা ডিজেবল করে দে।পাস নে saraektavodromeye.আর নাম্বার তো জানিস ই।লগিন দিয়ে ডিজেবল করে দে।কুইক কুইক কুইক।আমার বর জানবে তার বউ অতি ভদ্র মেয়ে বুঝলি।’
পেছন থেকে রোশান স্যার বলে উঠলেন,
‘ইন্টারেস্টিং স্টোরি।ভাল লাগল শুনে।’
চলবে?
(সবাই রেসপন্স করবেন।রোশান,রোশান,সারা,তরী,ছোয়া নাম আউলায় যাইতেছে শুধু।)