স্বর্ণলতা part 37

0
361

#স্বর্ণলতা
পর্বঃ৩৭
__________
স্বর্ণলতা নিজেকে একদম গুটিয়ে নিলো।এতো কিছু শোনার পরও আরও ভয়ংকর কিছু আছে! কি এমন কথা! সে কি নিজেকে সামলাতে পারবে!প্রিয়জন যখন প্রয়োজনে পরিনত হয় তখনকার কষ্ট কতটা বেদনাদায়ক তা সে হারে হারে টের পাচ্ছে।রূপক কে সে তার প্রিয়জন ভেবেছে।কিন্তু রূপকের প্রয়োজন ছিলো সে।তাহলে এখন সে কি এমন শুনবে!
এতোক্ষণ যা শুনলোএরচেয়ে ও কঠিন কিছু?
এই কঠিন কথাটি কি তার পাথরের মতো কঠিন মন কে ভেঙে দিতে সক্ষম হবে?

স্নেহা স্বর্ণলতার দৃষ্টি আর্কষনের জন্য হালকা কেশে নিলো।এরপর ডাকলো-
—”স্বর্ণলতা,শুনতে পাচ্ছো আমার কথা?”

–”ভয় হচ্ছে খুব! কি শোনাবে তুমি?”

সৈকত বলে উঠলো-
—”কঠিন সত্য।একটু তেঁতো হবেই।এই তেঁতোকে ঔষধ হিসেবে গ্রহন করো।ভাইরাস প্রতিরোধে সহয়তা করবে।”
এবার স্নেহা বললো-
—”স্বর্ণলতা,কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্ন করবো।আশা করি কিছু মনে করবে না।
তোমার ৬ মাস প্রেগেনেন্সির সময় রূপক এসেছিলো তাইনা? এবং মা তোমাকে ওর কাছে ঘেষতে দিতো না।মনে আছে?”

—”জ্বী আপু আছে।আম্মা আমাদের ঘরে এসে বসে থাকতো।আমি জানিনা তিনি কেনো এমন টা করতেন।”

—”কিছু মনে করোনা স্বর্ণলতা।রূপক কি তোমাকে স্পর্শ করেছিলো?আমি বলতে চাচ্ছি যে তোমাদের মধ্যে অন্তরঙ্গের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো?”

স্বর্ণলতা অদ্ভুত দৃষ্টিতে স্নেহার দিকে তাকিয়ে থাকলো।আর জিজ্ঞেস করলো-
—”আপু! কি বলছো তুমি?ওর সাথে আমার কিছু না হলে বাচ্চা তো হতো না।”

—”না স্বর্ণলতা।বোঝার চেষ্টা করো।তোমার ছয় মাসের সময় যখন এসেছিলো তখন কার কথা বলছি।”

—”না আপু তখন ওর আর আমার মধ্যে কিছুই হয়নি।”

—”ও কি তোমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলো?”

—”আপু আমার ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে।এগুলো তে আমাদের স্বামী স্ত্রীর ব্যক্তিগত বিষয়। আমি তোমাকে কিভাবে বলি?”

—”আর যদি বলি ও তোমার স্বামী-ই না।তাহলে বলবে তো?”

—”কি বলছো আপু?ওর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।আমি কালেমা পড়েছি ও পড়েছে।কবুল বলেছি।আর এখন এসব কি বলছো?”

—”শুরু যেহেতু করেছি সবকিছুর খোলাসা আমি ই করবো।বলো আগে ও তোমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেনি?”

—”হ্যাঁ সে করেছে।কিন্তু কখনো আমার ভালো লাগেনি অথবা কখনো সময় সুযোগ হয়ে ওঠেনি।তাই আমাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ মূহুর্ত সৃষ্টি হয়নি।”

স্নেহা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে সৈকতের দিকে তাকালো।আর সৈকত স্নেহার দিকে তাকিয়ে বললো-
—”তোমার বংশের সবাই কি চরিত্রহীন?এমন এমন কাজ করে যা বলার মতো কোন ভাষা থাকেনা।ওর কি স্বর্ণলতার সাথে এমন কিছু করা মানায়?ও কোন লজ্বায় কোন সাহসে ওর সাথে ঘনিষ্ঠ হতে গিয়েছিলো?”
স্নেহা নিচুস্বরে বললো-
—”ঠিক বলেছো সৈকত।ওদের চক্ষুলজ্বা টুকু ও নেই।ভাগ্যিস ওদের মধ্যে কিছু হয়নি”।
স্বর্ণলতা ওদের কথোপকথন কিছুই বুঝতে পারছিলো না।
একজন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ হবে এটাই তো স্বাভাবিক। এখানে চরিত্র হীন হওয়ার কি দেখছে তারা!
একজন স্বামী তার স্ত্রী কে ছোঁয়ার বাহানা করবেই।এইজন্য তাকে চরিত্রহীন তকমা কেনো দেওয়া হবে?

স্বর্ণলতা এবার উদ্বেগ কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো-
–”তোমাদের কথা কিছুই বুঝতে পারছি না।কি হয়েছে আমাকে খুলে বলো।”

—”ও যে তোমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছে এ অনেক বড় পাপ।তোমাকে ও সেদিন-ই প্রথম দেখে যেদিন ও আমাদের বাসায় আসে।তুমি তখন ছয় মাসের প্রেগনেন্ট।আর তুমি ওকে জড়িয়ে ধরেছিলো ড্রয়িং রুমে।সেদিন তোমার রূপ দেখে ও তোমার প্রেমে পাগল হয়ে যায়।ও যে কাজে সেখানে গিয়েছিলো সে কাজ ওর কিছুই হয়না।উল্টো তোমার রূপে মোহিত হয়ে সবকিছু ভুলতে বসে।”

একরাশ বিস্ময় নিয়ে স্বর্ণলতা স্নেহাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়-
—”ও কেনো আমাকে সেদিন প্রথম দেখবে?আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি! উফ্ কি হচ্ছে এসব!আমাকে খুলে বলো প্লিজ! আর ভনিতা করোনা আপু।”

স্নেহা ঢোক গিললো।দৌড়ে দরজার কাছে গিয়ে একবার দেখে নিলো কেউ আছে কিনা।এরপর আবার স্বর্ণলতার সামনে গিয়ে একটু নিচুস্বরে বললো-
—”স্বর্ণলতা! আমরা এক ভাই এক বোন না।আমরা দুই ভাই একবোন।মানে আমরা তিন ভাইবোন।আর তুমি যাকে রূপক ভাবতে সে রূপক না।ও হচ্ছে রণক।রণক রূপকের জমজ ভাই।রূপক বড় আর রণক ৫ মিনিটের ছোট।রূপক আমাদের পরিবারের বিষয়ে কিচ্ছু জানেনা।রূপক ছোটবেলা থেকে অন্যরকম ছিলো।ও খুব বুদ্ধিমান ছিলো।ওকে সহজে নয় ছয় বোঝানো যেতো না।ওকে এই কাজে আনতে পারেনি মা।তাই ওকে হোস্টেলে রেখে পড়িয়েছে।আরেকটা মজার কথা হলো রূপক জানেনা ওর
জমজ ভাই আছে।এমন কি আমার বাবা ও জানতো না।

রূপক আর রণক যখন হয় তখন মামা রণক কে সরিয়ে ফেলেছিলো।হয়তো সে বলি দিতো।আমি সঠিক জানিনা সে কেনো এমন করেছিলো।কিন্তু সে রণককে বাঁচিয়ে রাখে।এরপর যে বাচ্চাটা মায়ের কাছে থাকে তার নাম দেওয়া হয় রূপক।এবং এরপর মামা ই রূপকের নাম অনুসারে রণক নাম দেয়।যেহেতু মামা আগেই সরিয়ে নিয়েছিলো তাই পরে আর একসাথে করা সম্ভব হয়নি।বাবা যখন জানতে পারে তার আরেকটি ছেলে আছে আর সব কালোজাদুর কথা জানতে পারে তখন তাকে প্রান দিতে হয়।এরপর রণক কে আলাদা করে লালন পালন করা হতো।আর রূপক কে আলাদা।যখন রূপককে এ বাড়িতে কোন কাজেই আনা যাচ্ছিলো না তখন রণক কে ব্যবহার করা হয়।মামা তার গুটি বহুবছর আগে থেকেই সাজিয়ে রেখেছিলো।তোমার বাচ্চা নেওয়া,তোমার এখানে আসা,রূপক মারা যাওয়া এগুলো ১ বছরের পরিকল্পনা না।
জঙ্গলে যাওয়া ছিলো সম্পূর্ণ নিষেধ।কিন্তু রণক তোমার কথায় নিয়ে গিয়েছিলো।এতে মামা প্রচন্ড রেগে যায়।আর জঙ্গলে রণক কে দেখেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো তোমাদের।রণক কে তারা চিনতো।তারা মামার ই লোক।জঙ্গলে যাওয়ার সব ঘটনা রণক আমাদের বলেছিলো।”

স্বর্ণলতা ধপ করে খাটে বসে পড়লো।মনে হচ্ছে পুরো দুনিয়াটা ঘুরছে।অতীতের সবকিছু পরিষ্কার চোখের সামনে ভেসে আসলো।রণকের স্পর্শে রূপকের মতো শীতল অনুভব না করা।রণকের ভারী কন্ঠস্বর।যদিও সে কন্ঠস্বর নিয়ে কোনদিনও কিছু বলেনি।কিন্তু যখন জড়িয়ে ধরার পর স্বর্ণলতা কে ওঠার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছিলো তখন তার কন্ঠস্বর অপরিচিত মনে হয়েছে।তাকে স্বর্ণ না বলা।তার আচরন কোনটাই রূপকের মতো ছিলো না।জঙ্গলে যাওয়ার পরদিন মামা তাকে প্রশ্ন করেছিলো
‘ও তোর কি লাগে যার জন্য তুই এই কাজ করলি’
তখন রূপকের মা আমতা আমতা করে কথা ঘুরিয়ে নিয়েছিলো।সেদিন রূপকের সাথে ফোনে কথা বলার পর রূপক বলেছিলো তার আসতে কিছুদিন সময় লাগবে।আর তারপরই সে এসে হাজির।রণকের কোন কিছুই রূপকের মতো ছিলো না।তবুও সে স্বর্ণলতার কাছে থাকতে চাইতো।এইজন্যই রূপকের মা তাদের একসাথে হতে দিতো না!

স্বর্ণলতা হাজারো চিন্তার সমাপ্তি ঘটিয়ে স্নেহা কে জিজ্ঞেস করলো-
—”রণক আর রূপকের কন্ঠস্বর কি সেইম আপু?”

—”ওদের কন্ঠস্বর প্রায়ই এক।সহজে কেউ ধরতে পারবেনা।যদি না কেউ ওদের দুজনকে চেনে। যারা একসাথে দেখবে তারা কিছুটা আন্দাজ করতে পারবে।বুঝতে পারবে।”

—”রণক কে কেনো এই বাড়িতে আমার কাছে আনা হয়েছিলো?”

—”তুমি আস্তে আস্তে সব রহস্য উদঘাটন করে ফেলছিলে।তুমি সব জায়গায় চলে যাচ্ছিলে।এসব কথা যদি কোনদিন রূপক কে বলে দাও তাই নকল রূপক এনে তোমাকে চুপ করানো হয়েছিলো।সেদিন নেটওয়ার্ক এর কারনে ফোন টা কেটে গিয়েছিলো।তুমি মেহুলের হাতে ফোন টা পাঠিয়ে দিয়েছিলে।আর ঠিক তখনি রূপক আবার ফোন দিয়েছিলো।আর দ্বিতীয় বার তোমাকে আর দেওয়া হয়নি।সেখানে রূপক ওদের একটা ক্যাম্পের কথা বলেছিলো।ওদের ব্যাংক থেকে দরিদ্র কিছু কৃষকদের ঋণ এর ব্যবস্থা করে দিবে।এইজন্য ওদের একটা গ্রামে ক্যাম্প করতে হবে।প্রচুর কাজের ব্যস্ততা থাকবে।তাই যোগাযোগ হবে না।এই সুযোগে রণক কে ঢোকানো হয় বাড়িতে।

রণক ঢুকেই তোমার প্রেমে পড়ে যায়।এখন তার এমন অবস্থা যে তোমাকে তার যে কোন মূল্যে চাই-ই চাই।এদিকে ওর জন্য সব কাজ পন্ড হচ্ছিলো।শেষমেশ উপায়ন্তর না দেখে মামা নিজেই ওকে কথা দেয় ওর হাতে তোমাকে তুলে দিবে।ও এই শর্তেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
এইজন্য ই ও হয়তো আজকে এসেছে।যখন শুনেছে নীরবের সাথে তোমাকে বিয়ে দেওয়া হবে।আর তোমাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিলো নীরবের সাথেই শলা পরামর্শ করে।আর নিয়ে আসার কারন টা হচ্ছে রূপক তোমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছিলো। মা কে দিনে কয়েকবার ফোন করতো।মা উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে রেখে দিতো।কারন তখন তো রণক তোমার সাথে ছিলো।তোমাকে তো ফোন কোনমতেই দেওয়া যেতো না।এক পর্যায়ে রূপক বলে সে দেশে আসতে চায়।এতে মামা এবং মা উভয়সংকটে পড়ে যায়।একদিকে তুমি সব বলে দিতে অন্যদিকে রূপক ও চলে আসতে চাইছে।অবশেষে এইভাবে নাটক সাজিয়ে তোমাকে এখানে নিয়ে আসা হয়।
স্বর্ণলতা, তুমি জানো রূপক মারা গিয়েছে।কিন্তু পুরো পৃথিবীর কাছে তুমি মারা গিয়েছো।

—”আমি মারা গিয়েছি?কিন্তু আমি তো বেঁচে আছি!”

—”এটা শুধু আমরা জানি।বাকীরা জানে তুমি মৃত।সেদিন আগুন লাগানোর উদ্দেশ্যেই ছিলো তোমাকে মৃত প্রমানিত করা।রূপককে জানানো হয় ঘরে আগুন লেগে বাচ্চা সহ তুমি পুড়ে মারা গিয়েছো।তুমি এখানে আসার অনেকদিন পর মা এবং মামা এসেছে না?

—”হ্যাঁ।অনেকদিন পর তারা এসেছেন।”

—”তারা তোমার অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে তবেই এখানে এসেছে।রূপক পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলো।
পুড়ে যাওয়া ঘরটাতে কয়লা,ছাই এর ভেতর এর পাগলের মতো তোমার দেহাবশেষ খুঁজেছে।আর কান্না করে বলেছে।
‘একদিকে তোমার বিহনে আমার হৃদয় পুড়ে ছারখার হয়েছে।অন্যদিকে তুমি নিজেই আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেলে!তোমাকে পেয়েও আমার পাওয়া হলোনা।আমার চাঁদ আমার পৃথিবী অন্ধকার করে দূর অজানায় ডুব দিয়েছে।এবার আমার জীবনের প্রত্যেকটা রাত শুধু তিমির রাত’।

রূপকের কথা গুলো শুনে স্বর্ণলতার মনে হচ্ছিলো চোখের সামনে সে রূপকের কষ্ট দেখতে পাচ্ছে।রূপক মানেই তো স্বর্ণলতা আর স্বর্ণলতা মানেই তো রূপক।দুই দেহের মিলন ঘটায় শুধু একটি-ইপ্রাণ।আর সেই প্রাণের নাম ভালোবাসা।নিমিষেই চোখ ভিজে উঠলো স্বর্ণলতার।রহস্যের শেকড় এতোটা গভীর আর এতোটাই বিষাক্ত যে এখন তার বুকে নীল কষ্টরা ভর করেছে।দুচোখে বান নেমেছে।ভেতরে ভেতরে আর্তনাদের শব্দ দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে।আর বাহিরের স্বর্ণলতা নিশ্চুপ।

স্নেহা আবার বললো-
স্বর্ণলতা,পুরো দুনিয়ায় তুমি মারা গিয়েছো।তোমাকে খুঁজতে কেউ কোনদিন ও আর আসবে না।তাই তোমাকে তারা ইচ্ছেমত ব্যবহার করছে।
এবার সৈকত বললো-
—”রূপক কোনদিন ও তোমাকে ভুলবে না।ওর কষ্ট আমি দেখেছি।যে ছেলে কোনদিন সিগারেট পর্যন্ত খায়নি সেই ছেলে দিনে ৩০ টা সিগারেট খেতো।বারবার পাগলের মতো বিলাপ করতো আর বলতো-
‘ভাইয়া মানুষ নাকি কল্পনাতে সুখী থাকে।এদিকে আমার কল্পনাতে আমার না হওয়া ছোট্ট বাচ্চার মিষ্টিমুখ।আমার চাঁদের মতো বউ এর চাঁদমুখ।আমি তো সুখী না।ওদের কি কোন ভাবে ফিরিয়ে আনা যায়না?আমি যদি মারা যাই আমি কি তাদের দেখতে পাবো?’

জানো স্বর্ণলতা!এসব শুনে খুব কষ্ট হতো।কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারতাম না যে ‘রূপক তোমার স্বর্ণ আছে।তোমার বাচ্চাও আছে।’রূপক এরপর আবার কানাডায় চলে যায়।তারপর মামা আর আম্মা এখানে এসেছিলো”।

স্বর্ণলতা গাঢ় নিঃশ্বাস নিলো।আর দু হাত দিয়ে দুচোখের পানি মুছে নিলো।আর বললো-
–”আমি রূপকের কাছে যাবো।আমাকে একটু সাহায্য করবে আপু?হয়তো সাহায্য করার জন্য তোমার পরিবারের বিরুদ্ধে তোমাকে যেতে হবে।এমনকি তাদের মৃত্যু খাটিয়া তোমাকেই সাজাতে হবে।তুমি কি পিছু পা হবে?”
স্নেহা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো আর বললো-
—”এতো গুলো মানুষের খুনী আমার পরিবার হতে পারে না।আমি আমার পাপের শাস্তি পাচ্ছি। এবার পাপমোচন করতে চাই।আমি স্বাভাবিক ভাবে বাচতে চাই।
আর মৃত্যু খাটিয়া সাজানোর কথা?হুম আমি চাই।তাদের প্রত্যেক জনকে তাদের পাপের শাস্তি দিতে চাই।আমার ভাইয়ের সুন্দর চাঁদ কে তার হাতে সমর্পন করতে চাই।”

চলবে………….
Sharmin Sumi

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here