#স্বর্ণলতা
পর্ব-২০
________________________________________________
মাটি কাঁপিয়ে সজোরে হো হো করে হেসে উঠলো সবাই।এরপর রূপক আর স্বর্ণলতাকে উদ্দেশ্য করে বললো-
—“বেড়িয়ে এসো।”
স্বর্ণলতা এবং রূপকের ঘাম ছুটে যাওয়ার অবস্থা। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো।
—“আমরা ধরো পড়ে গেছি স্বর্ণলতা।”
—“তারা কি আমাদের-ই বললো?”
—“এখানে আমরা ছাড়া আর কে আছে!”
—“আমাদের সাথে কি হতে পারে?”
—“জানিনা তো কি হতে পারে।তুমি প্রেগনেন্ট।বারবার নিষেধ করেছিলাম এসোনা আমি কি তোমাকে আটকাতে পারি!”
—“খুব ভয় করছে আমার।”
—“আমি বের হয়ে যাই।তুমি বের হবা না।এখানেই থাকো।আর সুযোগ বুঝে পালিয়ে যেও।”
—“অসম্ভব। আপনাকে ওরা মেরে ফেললে?”
—“ফেললে ফেলবে তোমার তো ক্ষতি করা যাবেনা।তুমি একা নও তুমি প্রেগনেন্ট।”
—“মরলে একসাথে মরবো।আপনি আমি আর আমাদের বাচ্চা”।
আবার ও একসাথে আওয়াজ আসলো-
—“লুকিয়ে কি প্রমান করতে চাও তোমরা মস্ত বড় বীর?
আজ পর্যন্ত আমাদের চোখ এড়িয়ে একটা পিঁপড়ে ও বের হতে পারেনি আর আমাদের আস্তানা থেকে তোমাদের মতো পুচকে ছোড়া রা বের হতে পারবে?আগুন নিয়ে খেলতে নেমেছো?ঐ আগুনেই এখন ঝলসে পুড়ে মরবে।”
—“স্বর্ণলতা আর পারা যাবেনা।এখন সামনে যেতেই হবে।তুমি জেদ করোনা।তুমি এখানে থাকো।আমাকে একা যেতে দাও।”
—“এতোক্ষন জেদ করেছি না?সবকথাই তো শুনলেন এখন এটাও শুনতে হবে আপনাকে।একসাথে যখন এসেছি একসাথেই মরবো না হয় বাড়ি ফিরবো।”
—“স্বর্ণলতা আমাকে রাগিয়ো না।”
—“আমার জন্য আপনি এতো বড় রিস্ক নিয়েছেন এখন আমি পালিয়ে বাঁচবো! আমার বাচ্চার কাছে কি জবাব দিবো আমি?বিপদের সময় তোর বাবাকে রেখে আমি পালিয়ে এসেছি?আপনি না থাকলে আমি এমনিতেই মৃত।জিন্দালাশ হওয়ার থেকে লাশ হয়ে একসাথে কবরে যেতে যাই।মৃত্যুর পরও আপনাকে চাই।কারন আমার প্রতিটা নিঃশ্বাসে আপনার নাম লেখা।আমার জীবন আপনার নামে উৎস্বর্গ করা।আমার প্রান আপনার সঙ্গে বাঁধা। আমি আর আপনি এক আত্মা।”
—“এতো ভালোবাসো স্বর্ণলতা?আমার খুব আফসোস হচ্ছে যে……….”
এবার লোকগুলো পুরোপুরি সামনে এসে আরও অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।সে কি বিকট আওয়াজ।কানে তালা লাগার উপক্রম।
টেনে হিচড়ে স্বর্ণলতাকে বের করে নিয়ে আসলো।রূপক চিৎকার করে বললো-
—“খবরদার ও প্রেগনেন্ট।ওর গায়ে একটা টোকা লাগলে সবাইকে মেরে ফেলবো।”
এবার অন্ধকার থেকে চারদিকে আলোর রোশনিতে পরিপূর্ন হয়ে গেলো।টর্চ সোজা স্বর্ণলতার দিকে ধরা হলো।
টর্চের আলোতে দেখতে পেলো _অপরূপা এক সুন্দরী মেয়ে।ভুবনমোহিনী সৌন্দর্যে সারা গায়ে লেপ্টে আছে।ঘন কালো কেশ।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।চোখে মুখে ভয়ের ছাপ।এতো সুন্দরী মেয়েকে কি ভয় পেলে মানায়?”
একজন লোক পাশ থেকে বলে উঠলো-
—“আমাদের রাতের পরী পেয়ে গেছি।”
রূপক চিৎকার করে বললো-
—”ওর দিকে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলবো।জিভ টেনে ছিড়ে ফেলবো।”
এবার টর্চের আলো পড়লো রূপকের মুখে।
ক্রোধে লাল হওয়া দুটো চোখ।ফর্সা গড়ন।চুলগুলো চোখের সামনে চলে এসেছে।চোখ গুলো থেকে মনে হচ্ছে আগুনের ফুলকি বের হচ্ছে।একজন সামনে এগিয়ে এসে রূপকের গাল ধরে বললো-
—“দৌড়া।যা পালিয়ে যা।”
স্বর্ণলতা নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছিলোনা।সত্যি কি তাদের ছেড়ে দিচ্ছে!কোনরকম ক্ষতি না করে ছেড়ে দিবে তাদের!এটা কি করে সম্ভব!!!!!
রূপক স্বর্ণলতার হাত ধরে জোরে জোরে হাঁটা শুরু করলো।স্বর্ণলতার মনে হচ্ছিলো সে কোন এক ঘোরে আছে।তাদের ছেড়ে দেওয়া হলো কেনো!তারা কি রূপককে দেখে ভয় পেয়েছে!রূপকের লাল চোখে তারা কি তাদের সর্বনাশ দেখেছে!আর এতো সাহসিকতার সাথে রূপক তাদের সাথে কথা বললো?সে তো কিছুক্ষণ আগেও ভয় পাচ্ছিলো।তাহলে প্রিয় মানুষের ক্ষতি কি মানুষকে সাহসী করে তোলে!!!নাকি অন্য বিষয়?
স্বর্ণলতা রূপককে প্রশ্ন করলো-
—“ওরা আমাদের ছেড়ে দিলো কেনো?”
—“আমার হাতে ছুড়ি ছিলো হয়তো দেখেছে।আর আমি প্ল্যান করে রেখেছিলাম সামনে আসলেই কোপাবো।যখন লোকটা সামনে আসছিলো তখন ছুড়ি অর্ধেক বের করে রেখেছিলাম সেটা হয়তো লক্ষ করেছে।”
রূপকের উত্তরে স্বর্ণলতা সন্তুষ্ট হলো না।এতোগুলো লোক সামান্য একটা ফল কাটার ছুড়িতে ভয় পাবে! তবুও স্বর্ণলতা আর কিছু বললো না।চুপচাপ হাঁটতে শুরু করলো।এক বিপদ থেকে বের হয়ে আরেক বিপদ নিয়ে তাদের ভাবতে হচ্ছে।বাসায় সবাই জেনে গেছে এখন তারা সামলাবে কি করে বুঝতে পারছেনা।এমন সময় রূপক স্বর্ণলতাকে বললো-
—“বাসায় গিয়ে যত ঝড়-ই উঠুক তুমি একদম সোজা রুমে চলে যাবে।এবং দরজা লকড করে দিবে।কারও সাথে কোন কথা বলার দরকার নেই।যা বলার সব আমি বলবো।”
—“কি বলবেন আপনি?”
—“জানিনা এখনো।কিন্তু এমন কিছুই বলবো যেটা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং তোমাকে আর কেউ কোন প্রশ্ন করবে না।”
স্বর্ণলতা ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে।কোন কিছু আর সে ভাবতে পারছেনা।
ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বের হলো।মাঠ পেরুলো বড় রাস্তা পাড় হলো।বাড়ির গেইটের সামনে আসতেই স্বর্ণলতার বুক ধুক করে উঠলো।
মামাকে কি জবাব দেবে সে! ছেলে ভোলানো কথায় সে ভুলবার পাত্র নয়।
সিড়ি দিয়ে উঠতেও স্বর্ণলতার বেশ কষ্ট হচ্ছিলো।কোন মতে সে সিড়ি বেয়ে উঠলো।কলিং বেল প্রেস করতে না করতেই দরজা খুলে দিলো রূপকের মা।
খুব কঠিনস্বরে রূপককে প্রশ্ন করলো-
—“এতো রাতে কোথায় গিয়েছিলি?”
রূপক স্বর্ণলতার হাত ছেড়ে দিয়ে বললো-
—“তুমি ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ো।”
স্বর্ণলতা রূপকের কথামতো বিনাবাক্যে ঘরে চলে গেলো।রূপকের মা স্বর্ণলতাকে এমন ভাবে দেখছিলো মনে হচ্ছে রূপক না থাকলে সে স্বর্ণলতাকে গিলে খেতো।
আবারও ধমকের সুরে প্রশ্ন-
“কি হলো কথার উত্তর দিচ্ছিস না কেনো এতো রাতে কোথায় ছিলি দুজন?”
আর কোন কথা স্বর্ণলতা শুনতে পেলোনা।ওর খুব চিন্তা হচ্ছিলো রূপকের জন্য।ওর জন্য কত কিছুই না সহ্য করতে হচ্ছে রূপককে।
রূপক তাকে এতোটাই ভালোবাসে যে তার ওপর সব ঝড় নিয়ে তাকে সেইফ রেখেছে।এমনকি ঐ সব লোকদের সাথেও রূপক কতটা নির্ভীক ভাবে কথা বলছিলো।শুধু তাকে টেনে বের করার জন্য।
স্বর্ণলতা এমনি সামান্য অসুস্থ ছিলো তার মধ্যে এতোটা পথ হেঁটেছে প্রেগনেন্ট অবস্থায়। সে খুব ক্লান্ত ছিলো।তাই বিছানায় গা এলানো মাত্রই ঘুমের সাগরে তলিয়ে গেলো।
……………..
ভোরের আলো জানালা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়লো।স্বর্ণলতার ঘুম ভেঙে গেলো।লাফ দিয়ে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৭.৩০ বাজে।দ্রুত রুম থেকে বের হলো।কালকে কি হয়েছে কিচ্ছু জানেনা সে।রূপকের সাথে কি বা হলো তার জানতে হবে।
দরজা খুলতেই কিছুটা চাপাস্বরে রাগারাগি ভেসে আসলো।
মনে হচ্ছিলো কেউ কারও সাথে রাগরাগি করছে তবে সে চাচ্ছে খুব আড়ালে আবডালে ব্যাপার টা মিটিয়ে নিতে।কিন্তু ক্রোধের মাত্রা এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে সে চাইলেই জিনিসগুলো চাপিয়ে রাখতে পারছিলো না।
স্বর্ণলতা পা টিপেটিপে রূপকের ঘরের দিক যেতে লাগলো।
রূপকের ঘরের পর্দার আড়াল থেকে স্পষ্ট দেখতে পেলো জাফর রূপককে সজোড়ে কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।
—“তোর এতো বড় সাহস আমার মুখের ওপর কথা বলোস।তোরে এই অনুমতি কেডা দিছে?কালকে কত বড় কাজ করছোস তোরা!!বুবু তোরে কিছু কয়না দেইখা ভাবছোস আমিও কমু না?খুব সাহস বাইড়া গেছে তোর তাইনা?কাইটা একদম নদীতে ভাসাইয়া দিমু।তোর মা-ও আমারে কিচ্ছু কইতে পারবো না।”
—“ভাসিয়ে দে তুই।অমন ছেলের আমার দরকার নেই।দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছি আমি!!”
—”তোমারে আগেই সাবধান করছিলাম বুবু এই পোলারে আইনো না।এই পোলা অহন বাড়া ভাত এ ছাই দিবো।”
এতো কিছু বলার পরও রূপক মাথা নিচু করে ঠায় দাড়িয়ে আছে।কালকে কত সাহসিকতার সাথে সবার সাথে লড়াই করলো।আর আজ কি হলো!
স্বর্ণলতা কে দেখা মাত্রই মামা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলে।
—“ঐ যে মাইয়া চোরের মতো লুকাইয়া কথা শোনে।এই মাইয়া তোমার এতো বড় সাহস তুমি ওনে লুকাইয়া আছো!খালি পোয়াতি বইলা বাইচ্চা গেলা নাইলে আইজকা আমার হাতে মাইর খাইতা।ঠ্যাং ভাইঙ্গা রাইখা দিতাম আইজকা।
রূপক রাগান্বিত কন্ঠে দাত কিড়মিড় করে বললো-
—“মামা আপনি আমাকে যা বলছেন বলেন।ওকে কিছু বলবেন না।”
—“আহা গো আইছে আমার সোনার চান গো!ওরে কিছু কইবা না! আমারে ক ও তোর কি লাগে ?”
রূপকের মা আকস্মিক ভাবে জাফরের দিকে তাকিয়ে বললো-
—“হইছে তুই পাগল হয়ে গেছিস।স্বর্ণলতা ওর কি লাগে মানে! ও তো ওর বউ।কি বলিস এগুলো”!!
জাফর নিজেকে সামলে নিয়ে কথা আবারও বললো-
—“হ বউ লাগে তো কি! রক্তের সম্পর্ক আছে নাকি! এতো গেজানো ভালোনা।আইজ থিকা দুইডারে যাতে আমি একসাথে না দেখি।”
রূপকের মা স্বর্ণলতাকে মুখ ঝামটি মেরে বললো-
—“জীবনে বাবা মায়ের আদর তো পাওনাই।মর্মও বোঝোনা।আমার ছেলেকে মারলো আমার কেমন লাগছে আমি জানি।তোমার বাবা মা তো নাই।তারা থাকলে তাদের থেকে শুনে নিতে বলতাম।জন্ম নিয়েই বাবা মা দুইজনকেই গিলে খেয়েছো।এখন আসছো রূপ দিয়ে আমার ছেলেটাকে গিলে নিতে?নির্লজ্বের মতো দাড়িয়ে না থেকে বিদেয় হও এখান থেকে।তোমার মুখ ও দেখার রুচি নেই আমার।
স্বর্ণলতা বিনাবাক্যে স্থান ত্যাগ করলো।তার নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিলো।এমন কেউ কি নেই এই পৃথিবীতে যার কাছে ওর কষ্টের কথা গুলো বলতে পারবে!এক মেহুল ছিলো যাকে ও আপন ভাবতো।সৃষ্টিকর্তা তাকেও কেড়ে নিয়েছে।তার জন্ম কি শুধু আপন মানুষ কে হারিয়ে ফেলার জন্য!
কি নিঃসঙ্গ তার জীবন!এমন জীবন যেনো কোন শত্রুর ও না হয়।
সারাদিন শুয়ে বসে কাটালো স্বর্ণলতা।সন্ধ্যা হয়ে গেছে।সারাদিন নাওয়া খাওয়া কিছুই হয়নি তার।একরাশ বিষন্নতা তাকে ঘিরে ধরেছে।গলা দিয়ে কি খাবার নামে!আবার আজকে কেউ তাকে ডাকতে পর্যন্ত আসেনি।
পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা।প্রায় ৬ মাসের প্রেগনেন্ট স্বর্ণলতা।কিছুদিন পার হলেই ৬ মাস হবে।নিজের জন্য না হলেও বাচ্চাকে এই পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য তো তাকে খেতে হবে।
বিছানা থেকে উঠে রান্নাঘরে চলে গেলো।ঠান্ডা ভাত আর পাতিলের নিচে দুই টুকরো মাংস আর ঝোল পেলো।তা বেড়ে নিয়েই টেবিলে বসে খেতে লাগলো।
খাওয়া প্রায় শেষের দিকে।এমন সময় মামার প্রবেশ।
—“কি সারাদিন বুঝি খাওয়া হয়নাই!”
স্বর্ণলতা কোন উত্তর দিলো না।
—“কি কথার উত্তর দিবার মন চায়না!খালি পোলাগো নিয়া রাইতের বেলা রঙ্গ তামাশা করবার মন চায়?”
—“ছিঃ মামা কি বলছেন এসব?যাকে আপনি ছেলে বলছেন,পরপুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন সে কিন্তু আমার হাজবেন্ড। তার ই সন্তান আমার গর্ভে”।
—“লাজ লজ্বা নাই তাইনা?সব উইঠা গেছে গুরুজনকে কি কয় এগ্লা!”
এর ই মাঝে রূপকের প্রবেশ-
—“মামা আপনি যা বলেছেন সব শুনবো।ওকে রেহাই দিন হাত জোড় করে বলছি।বেচারী সারাদিন পর খেতে বসেছে।আর আমি চলেও যাবো।দয়া করে আর ঝামেলা করবেন না।
রূপকের মায়ের প্রবেশ-
—“জাফর তুই ঘরে যা।ওকে খেতে দে।ভুলে যাসনা ও কিন্তু প্রেগনেন্ট।”
—“হ এই একটা জিনিসের জন্য-ই আটকাইয়া গেছি।তা না হইলে তো…………”
জাফর ঘরে চলে গেলো।একে একে রূপক এবং রূপকের মা ও ঘরে চলে গেলো।স্বর্ণলতা হাত ধুয়ে প্লেট ধুয়ে রেখে রুমে চলে গেলো।
বিছানায় হেলান দিয়ে বসলো আর নিজের মনে মনে বলতে লাগলো-
—“এ বাড়িতে আমার কোন মূল্য নেই।শুধু আমি প্রেগনেন্ট তাই আমাকে কেউ বেশি কিছু বলেনা।কেনো?আমি প্রেগনেন্ট তাতে কি!যতবার যা কিছুই হয়েছে না কেনো একটা বাক্য-ই শুনেছি আমি প্রেগনেন্ট।এদিকে স্নেহা আপু প্রেগনেন্ট শুনে এ বাড়ির ছায়াও মাড়াতে চায়না।আর আমাকে এরা বাচিয়ে রেখেছে আমি প্রেগনেন্ট তাই।আমি প্রেগনেন্ট তাই এরা আমাকে বাচিয়ে রেখেছে!আমি প্রেগনেন্ট আমার বাচ্চার সাথে কি সম্পর্কে তাদের!সেদিন নীরব মিথ্যা মেসেজ দিয়েছিলো এতে কারও উৎসাহ দেখলাম না।কিন্তু যখন শুনলো ঘুমের ঔষধ দিয়েছে এতে বাচ্চার ক্ষতি হতেও পারতো তখন সবার গায়ে ফোসকা পড়ে গেলো।আমি আর ভাবতে পারছিনা।ভেবে আমি কুল কিনারা কিছুই করতে পারছিনা।সব সৃষ্টিকর্তার ওপর ছেড়ে দিলাম।দেখি সে আমাকে কিভাবে রক্ষা করে।যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে।”
চলবে………….
?️Sharmin Sumi