স্বর্ণলতা part 16

0
511

#স্বর্ণলতা
পর্বঃ১৬
______________________
মামা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বললো-
—“মেহুল চইলা গেছে”।
কৌতূহলী দৃষ্টিতে মামার চোখে চোখ রেখে স্বর্ণলতা বললো-
—“চলে গেছে মানে!”

—“সকালে উঠে কাপড় চোপড় গুছাইয়া চইলা গেছে।এর বেশি কিছু জানিনা আমি”।
কথাটা বলা শেষ করেই জাফর যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো।স্বর্ণলতা তার প্রস্তুতির ব্যাঘাত ঘটিয়ে তার সামনে গিয়ে দাড়ালো।এবং একটু ঝাঁঝালো কন্ঠে বললো-
—“চলে যাচ্ছেন কেনো অর্ধেক কথা বলে?”

—“অর্ধেক না।যতটুকু হইছে ঠিক ততটুকু কইলাম।এহন তোমার কাছে অর্ধেক মনে হইলে অর্ধেক।পুরাটা মনে হইলে পুরোটা।”

—“মামা বাজ পাখি দেখেছেন কখনো?”

—“এইডা আবার কেমন কথা?বাজ পাখি কই থিকা দেখমু আমি!”

—“আমি দেখেছি কিন্তু।একবার না বহুবার।তার তীক্ষ্ণ চাহনি।শিকার ধরার কি অভিনব কৌশল।শিকারের প্রতি তার হিংস্র থাবা।সবকিছু আমার চেনা”।

—“কি কইবার চাও তুমি?”

—“মামা ভুল প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেন তো।আপনার আমাকে প্রশ্ন করা উচিত ছিলো বাজ পাখি টা আমি কোথায় দেখেছি।অবশ্য আপনি যদি উত্তর টা জানেন তাহলে তো জিজ্ঞেস করার কোন দরকার ই নেই।তো উত্তর টা কি জানেন মামা?”
জাফর অপ্রস্তুত হয়ে প্রশ্ন করলো-
—“তুমি বাজ দেখছো না চিল দেখছো হেইডা তুমি জানো।আমার লগে বেয়াদবি করতে আইবা না।”

—“মামা,ভীতু মানুষ সাহসী হলে দুনিয়া এছফার ওসফার করে দেয়।আর সামনাসামনি উচিত কথা বলা তো তুচ্ছ একটা ঘটনা।অবহেলা,অন্যায়,জুলুম মানুষকে জাগিয়ে তোলে।দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ আর পেছাতে পারেনা।তখন সে শুধু সামনে আগাতে থাকে।আর তার চলার পথের আগাছা গুলোকে ধ্বংস করতে থাকে।

স্বর্ণলতার বলা প্রতিটা কথা তীরের মতো বিধলো জাফরের।কিন্তু সে নিশ্চুপ। স্বর্ণলতার কথার সঠিক জবাব সে হয়তো খুঁজে পাচ্ছেনা।স্বর্ণলতা চলে যাচ্ছে।সে তবুও তাকে আটকাতে পারছেনা।একভাবে একপাশেই দাড়িয়ে আছে।কিছুদূর যাওয়ার পর স্বর্ণলতা পেছনে ঘুরে মামাকে ডেকে বললো-
—“মামা আমি যে বাজপাখি টা কে চিনি সেটা কিন্তু আপনি।”
মামা ঘুরে তাকালো।স্বর্ণলতার দিকে এগুতে লাগলো।এই মেয়ের এতো সাহস হলো কি করে! সে আমার ওপর দিয়ে কথা বলে!
মামা কর্কশ কন্ঠে স্বর্ণলতা কে বললো-
—“আমারে তুমি বাজ পাখি কইলা?তোমার কত বড় সাহস!তোমারে এহন কি করতে পারি আমি জানো তুমি?”

—“মেহুলের সাথে যা করেছেন তাই করবেন?”

—“উল্টা পাল্টা কথা কইবানা মাইয়া।রাগে গায়ে জ্বালা ধরে।”

—“দুনিয়ার প্রত্যেকটা মানুষ এসে যদি আমাকে বলে আপনি মেহুলের সাথে কিছু করেননি তবুও আমি বিশ্বাস করবো না।”

—“এই মাইয়া বেশি বাড়াবাড়ি করবা না।ও নিজেই চইলা গেছে।”

—“নীরব ওর সাথে যে নোংরা কাজ করতো এটা আপনি জানতেন না?ও যাতে আমাকে না বলে এই জন্য ওকে শাসাতেন না?
সেদিন আমি নিজের চোখে দেখেছি।এখন আপনাকে বিশ্বাস করা মানে তো নিজের চোখ কে অবিশ্বাস করা।”
মামা থতমত খেয়ে গেলো।তবুও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি খাঁটিয়ে একটু ঝুকে স্বর্ণলতার মুখের সামনে গিয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে বললো-
—“চোখের দেখায় সর্ববিশ্বাসি আস্ত একটা বোকা।
চোখ ও খেয়ে যাতে পারে অনেকসময় ধোঁকা।”

কথাটা বলামাত্রই মামা স্থান ত্যাগ করলো।স্বর্ণলতা ও বিন্দুমাত্র বাঁধা দিলো না।আজকেই তো তার জীবনের শেষ দিন না।যদি সৃষ্টিকর্তা চান তো এমন অনেক দিন আসবে।সেদিন মুখোমুখি মুখোশ টা না হয় সেই খুলবে।

স্বর্ণলতা চুপচাপ বিছানায় শুয়ে আছে।মেহুলের জন্য তার চিন্তায় মাথা ধরে আসছে।ওর সাথে ভালো কিছু হয়নি।ও সবার সামনে বলেই ভুল করেছে।মামার মতো পাকার খেলোয়াড় এর সাথে ও কাঁচা ভাবে খেলে ফেলেছে।যার বলি হলো মেহুল।মেয়েটা এতিম।কি করলো মেয়েটার সাথে।নিজেই নিজেকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দিলো।কেনো করলো সে এমন!নিজেকে সে কিভাবে মাফ করবে এখন!

রূপকের প্রবেশে স্বর্ণলতার ভাবনার সূতা ছিড়লো।
—“এখনো মন খারাপ করে বসে থাকবে?কালকের ঘটনা ভুলে যাও”।

—“মেহুল কোথায়?আমাকে বলবেন মেহুল কে কেনো আমি খুঁজে পাচ্ছিনা?”

—“ও আজ সকালে চলে গেছে।”

—“সব মিথ্যা কথা।সাজানো নাটক সব।আপনি বুঝতে পারছেন না।মামা জানতো আগে থেকেই নীরব ওর সাথে কি কি করতো।সেদিন যখন মেহুল আমাকে সব বলতে এসেছিলো, তখন মামা ওকে হুমকি দিলো”।

—“স্বর্নলতা!মামা কে তুমি সন্দেহ করছো!”

—“মামা আপনার মাথাটাও নষ্ট করে দিয়েছে।আপনি আমাকে স্বর্ণবলে ডাকতেন।স্বর্ণলতা তো বলতেন না।আপনি বলেছিলেন আজীবন স্বর্ণ বলবেন।সবাই কে বলতে বাধ্য করতেন যাতে আমাকে স্বর্ণ বলে।সেই আপনি দেশে আসার পর এতো পরিবর্তন!”

—“আহ্ স্বর্ণলতা!সরি স্বর্ণ তুমি ভুল বুজছো আমাকে।”

—-“আপনার দৃষ্টি আমাকে ঠান্ডা পরশের শিহরণ জাগাতো।এখন আপনার দৃষ্টি আমার পাক্কা শিকাড়ির মতোন মনে হয়।মনে হয় নিজের শিকাড় কে চোখ বুলিয়ে আপাদমস্তক পরখ করে নিচ্ছেন।

—“কি বলছো টা কি তুমি!”

—“মেহুল কে এনে দিন না! মেয়েটা এতিম।খারাপ কিছু করতে নিষেধ করুন”।

স্বর্ণলতার দু পা জড়িয়ে ধরে চোখ ভিজিয়ে ফেললো রূপক।আর কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো-
—“আমার থেকে দূরে থাকো আমি সহ্য করতে পারবো।আমাকে ভালো যদি না বাসো তবুও সহ্য করে নিবো।কিন্তু আমাকে অবিশ্বাস করলে আমি মরে যাবো।স্বর্ণ বিশ্বাস করো সবার মুখে তোমার এতো অভিযোগ শুনে আমি ক্লান্ত।কিন্তু যে যাই বলুক আমি তো আমার স্বর্ণ কে চিনি।আমি শুধু আমার স্বর্ণকে বিশ্বাস করি।এ বাড়িতে কি হচ্ছে না হচ্ছে আমি সত্যি-ই জানিনা।মামা কি করছে না করছে তাও আমি জানিনা।আমি শুধু জানি আমার স্বর্ণকে আমি হারাতে পারবো না।”

স্বর্ণলতা বিন্দুমাত্র নড়লো না।মনে হচ্ছে পাথর হয়ে গেছে।অন্যসময় হলে রূপককে উঠিয়ে বাহুডোরে জড়িয়ে নিতো।কিন্তু আজকে সেটা স্বর্ণলতা করছেনা।এক দৃষ্টিতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।
রূপক স্বর্ণলতার দু-গাল ধরে কপালে চুমু একে দিলো।আর অভিমানী কন্ঠে বললো-
—“বিশ্বাস যেহেতু করছোই না সেহেতু এখানে দেখে কি লাভ!আমি কালকেই চলে যাচ্ছি”।

—“না আপনি যাবেন না।আপনাকে বিশ্বাস করি আমি।কিন্তু মামাকে না।আমার অনেক কাজ বাকী।এখন আমার গুরুদায়িত্ব মেহুল কে খুঁজে বের করা।”

—“আমি তোমার সাথে আছি স্বর্ণ।তোমার যেকোন প্রয়োজনে আমি তোমাকে সাহায্য করবো।”

স্বর্ণলতা রূপকের দিকে তাকিয়ে নিষ্প্রান একটা হাসি দিয়ে বেলকুনিতে চলে গেলো।মনে হচ্ছিলো স্বর্ণলতা জোর করে এই হাসিটা দিলো।তার এখন হাসতে মন চাচ্ছেনা।মেহুলকে নিয়ে অজানা ভয় শংঙ্কা তাকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলেছে।
ইতিমধ্যে মামার প্রবেশ……..
—“ভাগ্নে এনে বইয়া আছো দেহি!তা তোমার বউ কই?”

রূপক নিশ্চুপ থেকে হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দিলো স্বর্ণলতা বেলকুনিতে।
—“তোমার মা দেখলাম রান্না করতাছে।বউ তো পারবো না অহন রান্না বান্না করতে।একটা কাজের লোক দেহি আনবার পারি নাকি।”

স্বর্ণলতা বেলকুনি থেকে এসে করুন সূরে বললো-
—“কাউকে লাগবে না শুধু মেহুল কে এনে দেন।”
জাফর ঝাঁঝালো কন্ঠে বললো-
—“তোর বউ কি পাগল হইছে নাকি?কি উদ্ভট কথাবার্তা বলতাছে!আমি মেহুল রে কই পামু!”

—“আপনি-ই জানেন মেহুল কোথায় আছে।”

—“আবার ও এক কথা।তোর বউ কিন্তু আমার লগে বেয়াদবি করতাছে।সকালেও করছে।ওরে থামাবি?নয়তো ফলাফল খুব খারাব হইবো।”
অঝোরে কান্না করতে করতে স্বর্ণলতা ফ্লোরে বসে পড়লো।

রূপকের মা রান্নাঘর থেকে রুমে ছুটে চলে আসলো।
—“কি ব্যাপার!এতো চিল্লাফাল্লা! এতো কান্নার রোল পড়লো কেনো?বাড়িতে কি কেউ মারা গেছে?মরা কান্না কে জুড়ে দিলো?”
জাফর গলাভারী করে উত্তর দিলো-
—“তোমার সোহাগের বউরে কউ।কহন থিকা মেহুল মেহুল করতাছে।উল্টা কইতাছে মেহুল কই আমি তা জানি।আমি ক্যামনে জানমু!সকাল বেলা তোমগো সবার সামনেই তো ছেড়িডা চইলা গেলো।আমরা কি কম আটকাইবার চেষ্টা করছি?”

রূপকের মা বিস্মিত হয়ে বললো-
—“স্বর্ণলতার মেহুলের জন্য মন খারাপ?ও মেহুলের জন্য এই অবস্থায় কান্না করছে”!
দ্রুত পায়ে রূপকের মা সামনে এগিয়ে এলো।স্বর্ণলতার পাশে বসলো।স্বর্ণলতা তখনো হাটুর ওপরে মাথা রেখে অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে।
রূপকের মা-এর স্পর্শে স্বর্ণলতা কান্না থামিয়ে দিলো।মাথা উঁচু করে কৌতুহলি চোখে দেখছিলো কে তাকে স্পর্শ করলো।
স্বর্ণলতার চোখ লাল হয়ে ফুলে গেছে।পুরো চোখে সাগর ভেসে যাচ্ছে।আর তার নোনা জল চোখে মুখে সবত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকার।।

—“তুমি কেদোঁনা মা।তুমি প্রেগনেন্ট।এই অবস্থায় এতো স্ট্রেচ নেওয়া তোমার শরীরের জন্য ঠিক?মেহুল কে জাফর কিচ্ছু করেনি।ও নিজেই চলে গেছে।আমরা ওকে আটকানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু ও শোনেনি।ওকে এটাও বলেছি অন্তত তুমি ওঠার আগ পর্যন্ত থাকুক।কিন্তু গম্ভীর হয়ে মেহুল বললো-
—“স্বর্ণআপা উঠলে আমি যাইতে পারমু না”।
রূপকের মা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললো-
—“মেহুলের চলে যাওয়াতে কারও কোন হাত নেই।যে থাকতে চায়না তাকে জোর করে রাখতে চাওয়া তার ওপর স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করা।”
স্বর্ণলতা এবার একটু শান্ত হলো।ঘোলা চোখ গুলো আরও ঘোলা হলো।এবার শুধু নিরব কান্না।
রূপকের মা চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো-
—“ওঠো মা ফ্লোর থেকে ওঠো।আজকে তোমার চেক আপের জন্য রূপক ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবে।”

স্বর্ণলতা বিনাবাক্যে উঠে দাড়ালো।রূপকের মা তাকে বিছানায় শুয়ে দিলো।আর কঠিনস্বরে রূপককে বলে গেলো-
—“বউমার খেয়াল রাখবি।আমি নাস্তা বানিয়ে ডাকছি।ওকে নিয়ে চলে আসবি”।
জাফরকে নিয়ে চলে গেলো রূপকের মা।এদিকে স্বর্ণলতার বুক ভরা অভিমান জন্মালো।এতো ভালোবাসার পরেও পাখিকে পোষ মানাতে পারলো না!বনের পাখি সেই বনেই উড়াল দিলো!

নাস্তার টেবিলেঃ-
নাস্তার টেবিলে স্বর্ণলতা কিছুই খাচ্ছিলো না।শুধু রুটি ছিড়ে আনমনে দৃষ্টিতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলো।
রূপকের মা নিজে খাওয়া ছেড়ে উঠে স্বর্ণলতাকে খাইয়ে দিলো।সবাই স্বর্ণলতাকে ভালো রাখার চেষ্টায় মগ্ন।
জাফর নিচুকন্ঠে বললো-
—“স্বর্ণ কিছু মনে কইরো না।তুমি আমারে উল্টা পাল্টা কইতাছিলা দেইখা আমিও কন্ট্রোল করতে পারিনাই।আমার কথায় কিছু মনে কইরো না।”

—“আপনার সাথে বেয়াদবি করার জন্য আমিও অনুতপ্ত। আপনি কিছু মনে রাখবেন না”।

—“না না কি যে কউ।তোমার কথায় আমি কিছুই মনে করিনাই।”

__________________________________
রিক্সা চলছে।রিক্সায় স্বর্ণলতা এবং রূপক ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছে।সূর্যমামা তখন মাথার ওপরে।কড়া রোদের উত্তাপ ছড়াচ্ছে।কংক্রিটের রাস্তার উঁচু নিচু অট্টালিকা গুলো মানুষের মন কে কি প্রশান্তি দিতে পারে?রাস্তায় মেহুলের সাথে এসে স্বর্ণলতা মনে প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছিলো।মনে হয়েছিলো শহর টা কত সুন্দর!সেদিন শহর কে যতটা সুন্দর মনে হয়েছিলো আজকে ঠিক ততটাই বিচ্ছ্রি মনে হচ্ছে।
হঠাৎ কারও ওপর স্বর্ণলতার দৃষ্টি আটকে গেলো।
—“ভাই রিক্সা থামান দ্রুত”।

—“স্বর্ণ! কি হয়েছে?”

স্বর্ণলতা হাত দিয়ে ইশারা করে একটা মেয়েকে দেখিয়ে বললো-
—“দেখুন মেহুল।”
সে কোন কথা না শুনেই পেট ধরে রিক্সা থেকে নেমে গেলো।
—“আরেহ্ স্বর্ণলতা!! সাবধানে নামো।দৌড়িয়ে ও না।তুমি প্রেগনেন্ট।”
রূপক ও নেমে গেলো।স্বর্ণলতার পিছু পিছু গেলো।স্বর্ণলতা কিছুদূর যাওয়ার পর নিজেই থমকে গেলো।
—“কি হলো দাড়ালে কেনো?”
স্বর্ণলতা করুন সূরে বললো-
—“ওটা মেহুল না।”

((আমার সম্মানিত প্রিয় পাঠকেরা।❤️কি ভাবছেন গল্পের কাহিনি এখনেই শেষ?
না গল্পের কাহিনি এখান থেকেই শুরু?))এই পর্ব টা একটু ছোট হয়ে গেলো।পরের গুলো আগের মতো করে দিবো।ইন শা আল্লাহ।

চলবে……..
?️Sharmin Sumi

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here