স্বর্ণলতা part 11

0
500

#স্বর্ণলতা
পর্বঃ১১
_________
—“আমি নিজেও আপনারে বড় রাস্তা পর্যন্ত খুঁইজা আইছি” এই কথাটা স্বর্ণলতার মস্তিষ্কের নিউরনগুলো ওলট পালট করে দিলো।সে এতোক্ষন যাদের পিছু নিয়েছে তারা কে ছিলো?সে স্পষ্ট নীরবের কথা শুনেছে।তার বাচন ভঙ্গি তার পুরোপুরি চেনা।
এতো প্রেসার তার ওপর দিয়ে যাচ্ছে বাচ্চাটার কোন ক্ষতি না হলেই হয়।

—“আপামনি! আপনে কথা কন না ক্যান?কই গেছিলেন আপনে?”

—“রূপক কি কল দিয়েছিলো আজকে?”

—“হ দিছিলো।আপনার অসুস্থতার কথা কয় নাই কেউ”।

—“ভালো করেছে। বললে চিন্তা করতো।”

—“আমাকে এক গ্লাস পানি এনে দাও মেহুল।”

মেহুল পানি এনে দিলো।স্বর্ণলতা এক ঢোকে সবটুকু পানি শেষ করে ফেললো।ওপাশ ঘুরে শুয়ে পড়লো।তার পা ব্যাথার সাথে সাথে মাথা ব্যাথাটাও বেড়েছে।আবার ঘুমানো দরকার।আর কোন কিছু চিন্তা করতে পারছে না।মনে হাজারো প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।প্রথম তার এতো চিন্তা তার অনাগত সন্তানকে ঘিরে।পুরো বাড়ির রহস্য জানার একমাত্র কারন তার ছোট্ট বাচ্চা।স্নেহা প্রেগনেন্ট হওয়ার পর দ্রুত বাড়ি ত্যাগ করলো।সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে এই বিষয়টাই।স্নেহা’র আশঙ্কা কি ছিলো?তার বাচ্চা কি এ বাড়িতে নিরাপদ না?

মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হতে লাগলো স্বর্ণলতার।সব চিন্তা বাদ দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলো।৩০ মিনিট চেষ্টা করার পরও স্বর্ণলতা ঘুমাতে পারলো না।এদিকে মেহুল আগের পজিশনেই দিব্যি ঘুমাচ্ছে।
ক্ষত পা নিয়ে স্বর্ণলতা আস্তে আস্তে উঠে বাইরে গেলো।সবার ঘর চেক করবে সে। এতো বড় ভুল কখনোই দেখতে পারেনা।সে স্বপ্নে ছিলো না।দিব্যি জেগে স্বজ্ঞানে দেখেছে।
প্রথমে গেলো শ্বাশড়ির ঘরে।ফ্লোরে মামা ঘুমাচ্ছে।মামার বাজপাখির মতো নিশানা পেড়িয়ে পুরো ঘর সে চেক করবে কিভাবে!
তার পায়ের অবস্থা ভালো না।শ্বাশড়ির রুম আপাতত থাক।তার সৎ মা এর রুমে যাওয়া যাক।

সে নীরবের হাতে চটের বস্তা দেখেছিলো।নিশ্চয়ই কোথাও লুকিয়ে রেখেছে।খাটের নিচ টা দেখা দরকার।আর ড্রয়ার গুলো খুঁজে দেখা দরকার।
আস্তে আস্তে খাটের নিচে উঁকি দিলো।
সে পেট ধরে ধরে নিচে বসলো।তেমন কিছু দেখতে পেলো না।
আস্তে আস্তে পেট ধরে উঠলো।
খাটের ওপর নড়াচড়া হচ্ছে।নীরব জেগে গেলো না তো!
আলমারীর পেছনে লুকিয়ে পড়লো স্বর্নলতা।
নিঃশ্বাস ভারী হয়ে উঠছে তার।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গেছে।এমন দুঃসাহসিক কাজ তার পক্ষে করা সম্ভব ছিলো তা কোনদিনও কল্পনা করেনি।
সে বরাবর ভীতু টাইপের ছিলো।সে যদি ধরা পড়ে তার সাথে কি হবে সে বুঝতে পারছে না।তার পাশে এখন কেউ নেই সবাই তার শত্রু।

নীরব নড়াচড়া করে পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো আবার।এবার স্বর্নলতা আস্তে আস্তে আলমারীর পেছন থেকে বের হলো।বের হওয়ার সময় তার ওড়নার সাথে টেবিলে থাকা ফুলদানির ছোঁয়া লাগতেই সেটা নড়ে উঠলো।যেই না ওটা নিচে পড়তে যাবে ওমনি দৌড়ে সে ধরে ফেললো।
সে এতো দ্রুত ওটা ধরছে যে তার পেটে কিন্ঞ্চিত ব্যাথা অনুভব করল।
আর পারছে না স্বর্ণলতা।আস্তে আস্তে পেট ধরে নিচেই বসে পড়লো দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে।

মনে মনে এক রাশ আক্ষেপ নিয়ে বলতে লাগলো
—“এ কোন বিপদে ফেলে গেছেন আপনি আমায়!কবে আসবেন আপনি?আমি একা একা খুব ভয় পাচ্ছি।
পরক্ষনেই স্বর্ণলতা বলো উঠলো-
না এখানে বসে বিলাপ করা যাবেনা।আমাকে রুম চেক করতেই হবে।আমি ভুল কিনা তাও আমি প্রমান করবো।”

স্বর্ণলতা উঠে দাড়ালো।আলমারির পেছনে খুঁজলো।কিছুই পেলো না সে।এবার ড্রয়ার গুলো খুঁজবে। আস্তে আস্তে ড্রয়ার টা খুললো।ড্রয়ারে হাতানো শুরু করলো।টেবিল ল্যাম্পের মৃদু আলোতে আবছা আবছা চোখে পড়ছিলো।
হঠাৎ তার কাঁধে কারও হাতের স্পর্শ অনুভব করলো।
এক নিমিষে থমকে গেলো স্বর্ণলতা।গায়ের সব লোম দাড়িয়ে গেলো।ভয়ের এক ঠান্ডা স্রোত শীরদ্বারা বেয়ে বয়ে গেলো।পেছনে যদি নীরব বা মামা হয় তাহলে তার আজকে মৃত্যু নিশ্চিত।
কপালের ঘাম গড়িয়ে নিচে পড়ে গেলো।আতংকিত হয়ে আস্তে আস্তে পেছনে ঘুরলো।

—“আপামনি!কি করেন এনে?”-লাল লাল চোখ ভরা বিস্ময় নিয়ে মেহুল কথাটি বলেছিলো।

স্বর্নলতা মেহুলের মুখ চেপে ধরলো!
—” চুপ! কোন কথা বলো না।আমি এখানে কি করছি পরে বলছি।
চলো আমাদের রুমে যাই।”
স্বর্নলতা আস্তে করে ড্রয়ার লাগিয়ে মেহুল কে রুমে নিয়ে গেলো।
—“মেহুল! ওখানে গেলে কিভাবে?”

—“আমি জাগনা পাইয়া দেহি আপনে নাই ঘরে। আমি তো চিন্তাত পইরা গেছিলাম।পরে বাইর হইয়া দেহি আপনে এই রুমে।
ক্যান গেছিলেন?”

—“গিয়েছিলাম একটু মাথা ব্যাথার ঔষধ নিতে।মাথা টা ব্যাথা করছিলো।আর আমি ড্রয়ারে রেখেছিলাম তাই গিয়েছিলাম।”

—“আমারে ডাকতেন আমি গিয়া নিয়া আইয়া দিতাম”।

—“তুমি ঘুমাচ্ছিলে তাই ডাকি নি।ঘুমাও।
আমার ও ঘুম পাচ্ছে।”

—“পাইছেন ঔষধ?”

—-“না পাইনি।লাগবে না ঔষধ।ঘুমাও তুমি।মাথা ব্যাথা টা কমেছে একটু।”

পাশ ফিরে স্বর্ণলতা শুয়ে পড়লো।মেহুল ও কিছু না ভেবে আবারও ঘুমিয়ে পড়লো।
_____________
পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ ভেসে আসছে।বোধহয় ভোর হয়ে গেছে।আশে পাশে কেউ নেই।
স্বর্ণলতা নিম্নস্বরে ডাকতে লাগলো-
—“মেহুল….মেহুল…এদিকে এসো তো।’
মেহুল দৌড়ে আসলো-
—“আপামনি! আপনে উইঠা গেছেন?”

—“কয় টা বাজে?”

—“১২ টা।”

—“১২ টা!আমি এতো দেরী করে উঠেছি!”

—“আপনার শরীর ক্লান্ত খুব।আর কালকে ডাক্তার আপনারে ঘুমের ইনজেকশন দিছিলো।’

—“আচ্ছা শোনো কেউ কি আমার কথা কিছু জিজ্ঞেস করেছিলো?”

—-“করছিলো।আপনার জন্য শরবত বানাইয়া রাখছে আপনার মা।আপনার নাকি সৎ মা আপা! কিন্তু আপনারে নিয়া তো সে চিন্তা করে ভালোই।”

—“মেহুল…..এদিকে আমার কাছে বসো।শোনো, কালকের রাতের কথা কাউকে বলো না।”

—“কালকের রাতের কথা! কোন কথা আপা!”

,—“কালকে না আমি ঔষধ খুঁজতে গেলাম?”

—“আপনে ঔষধ খুঁজতে গেছেন?কই গেছেন?”

—“মানে! আমি না কালকে আমার মা এর ঘরে গেলাম?”

—“আপা! কখন?কি কইতাছেন এগুলা?”

—“আরেহ্ তুমি ই না বললা, আমাকে নিয়ে আসলা ঘরে আমি পানি চাইলাম?”

—-“কি কন আফা! কালকে রাতে আপনারে ইনজেকশন দিছে আপনি এখন উঠলেন ঘুম থিকা।”

—“মেহুল!আমার সাথে একদম মজা করবে না।”

কান্নামিশ্রিত কন্ঠে মেহুল বললো-
—“আপামনি! বিশ্বাস করেন আল্লার কসম আমি এগুলার কিচ্ছু জানিনা।কি কন আপনে!
মেহুলের কান্নাকে তোয়াক্কা না করে প্রচন্ড রাগান্বিত কন্ঠে স্বর্ণলতা বললো-
—“যাও এখান থেকে।তোমরা সবাই আমাকে পাগল পেয়েছো।যাও বলছি।এখন যাও।’

মেহুল ব্যস্ত পায়ে রুম থেকে বের হচ্ছিলো।মামা ঘরের বাইরে থেকে সবটা পর্যবেক্ষন করছিলো।মেহুল বের হতেই মামার প্রশ্ন-
—“কিরে মেহুল কানতাছোস ক্যান?”

—“আপামনি কয় আমারে আমি নাকি কালকে তারে পানি দিছি।আমি কিছুই জানিনা।আপামনি ঔষধ খুঁজবার গেছিলো কিন্তু আমি তো জানিনা কিছুই।”

স্বর্ণলতা ঘর থেকে মামা এবং মেহুলের কথোপকথন সব শুনছিলো।

স্বর্ণলতা ভাবতে লাগলো,মেহুল মামা কেও একি কথা বললো।আসলেই কি আমার কোন ভ্রম ছিলো?ও মামাদের কথা মতো চললে মামা কে কেন কৈফিয়ত দিবে?আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি!
রূপকের জন্য কি আমার এই হাল! নাকি অতিরিক্ত মানসিক চাপ।

একটু পর মেহুল ফোন হাতে নিয়ে স্বর্ণলতার ঘরে আসলো
—“আপামনি! ভাইজান কল দিছে আপনার লগে কথা কইবো।”
স্বর্ণলতা ফোন নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কথা শুরু করলো-
—“আসসালামুআলাইকুম। ভালো আছেন আপনি?”

—“ওয়ালাইকুমআসসালাম।আমিতো স্বর্ণ বিহনে জলন্ত কয়লার আগুন চাঁপা দগ্ধ ছাই এর মতোন।তবুও আমার স্বর্ণের কন্ঠস্বরে হিমশীতল বরফে রূপান্তর হই।
তা আমার স্বর্ন কেমন আছে?”

—“আমিও আপনার বিরহে প্রতিনিয়ত পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছি।এ ছাই উড়িয়ে দিলে আর স্বর্ণকে পাবেন না।স্বর্ণ ছাই এর সাথে উড়ে বিলীন হয়ে যাবে।”

—“একি বলছো স্বর্ণ?এমন কথা বলো না।তুমি বিলীন হলে আমার অস্তিত্ব থাকবে?তুমি না আমার অর্ধেক অংশ?আমার অর্ধাঙ্গিনী? জানো?আমি ও খুব কষ্টে আছি।আমার এতো সুন্দর বউটার মুখশ্রী প্রতিনিয়ত আমাকে পোড়ায়। আমার বউয়ের কপালে চুমু একে দিতে পারিনা।আমি খুব চেষ্টা করছি তোমাকে নিয়ে আসার জন্য।
আমি কিছু মাসের মধ্যেই চলে আসার চেষ্টা করবো।আর পারছিনা তোমাকে না দেখে থাকতে।তোমার ছোঁয়ার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে আছি।”

—“সাবধানে থাকবেন।আপনার আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে আপনার স্বর্ণ।”

—“আর বেশিদিন প্রহর গুনতে হবে না স্বর্ণ।আমি খুব দ্রুত তোমার কাছে চলে আসবো।”

—“আমার বাচ্চার কি খবর! সে কি ঠিকঠাক আছে?তোমার শরীর কেমন?”

—“আমি এবং আমাদের বাচ্চা দুজনেই ঠিক আছি।আমাদের নিয়ে চিন্তা করবেন না।সবাই আমাদের খেয়াল রাখছে।আপনি সাবধানে……………”

স্বর্ণলতা একরাশ বিষন্নতা নিয়ে মেহুল কে ফোন টা এগিয়ে দিয়ে বললো-
—“মেহুল ফোন নিয়ে যাও। নেটওয়ার্ক ইস্যু।
কেটে গিয়েছে ফোন।এখন আর ফোন আসবে না।”

—“আপামনি আপনার খাবার আইনা দেই?”

—“দাও।”

স্বর্নলতা উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো।শরীর টা খুব দূর্বল লাগছে।
মেহুল নাস্তা সাজিয়ে দিলো বিছানায়।
স্বর্ণলতার মা,মামা এবং তার শ্বাশুড়ি তার ঘরে প্রবেশ করলো।
রূপকের মা বললো-
—“স্বর্ণলতা কালকে কোথায় গিয়েছিলে?দেখেছো পায়ের কি অবস্থা করেছো?তোমার পায়ে কাঁটা বিঁধলো কি করে?এই অবস্থায় এতো কিছু একদম ভালো না।না জানিয়ে কোথাও যাবেনা।”
শোভা মেকি আহ্লাদ করে বললো-
—“বড়দের কথা শুনতে হয় মা।বিছানায় আরাম কর।আমরা বাকী সবকিছু দেখে নিবো।”

দুজনেই ঘর ছেড়ে চলে গেলো।শুধু থাকলো মামা।মামাও কিছুটা কঠিন করে স্বর্ণলতাকে বললো-
—-“স্বর্ণলতা,সেদিন তুমি ছাঁদে গেলা গা আমি তোমারে কিছু কইনাই। আরেকবার আমারে না কইয়া বাইরে গেলে ঠ্যাং ভাইঙা দিমু।রূপক আমগো দায়িত্বে তোমারে রাইখা গেছে।ভালোমন্দ কিছু হইলে জবাবদিহি কে করবো?
আমার কথা টা মনে রাইখো।”

অন্যসময় হলে স্বর্ণলতা খুব ভয় পেয়ে যেতো।কিন্তু এখন তার ভয় লাগছে না।মামার কথায় সে আরও কিছুটা নিশ্চিত হলো কিছু না কিছু তো হচ্ছেই এ বাড়িতে।শুধু কি হচ্ছে সে জানেনা।
মেহুল কে রাগ দেখিয়ে ফেলেছে।ওকে ডাকলে কি ও আসবে?
মা বাবা নেই মেয়েটার।খুব আদর করতে মন চায় মেয়েটাকে।কিন্তু কালকের ঘটনা আজকে সে না করলো কেনো!উফ চিন্তা করতে পারছিনা কিছু।আমি এতটুকু বিশ্বাস করি মেহুল মেয়েটা ওদের দলে না।ওর চোখ নিষ্পাপ। ওকে কাছে টেনে আনা দরকার।
মেহুলকে ঘরের আশেপাশে ঘুরতে দেখে স্বর্ণলতা ডাক দিলো-
—“মেহুল।এদিকে এসো।
মেহুল বিড়াল পায়ে স্বর্ণলতার মাথার কাছে এসে বসলো স্বর্ণলতা এবার অপরাধী গলায় বলতে লাগলো-
আমাকে মাফ করে দিও মেহুল।আমার কথায় কিছু মনে করোনা।শরীরটা খারাপ তো তাই ভালো লাগছেনা।”

—“আজকে ডাক্তার আইবো পা ড্রেসিং করার লিগা।আপনে গোসল কইরা নেন।”

—“মেহুল।রাগ করেছো তাইনা?”

—“আপামনি।আপনে আমারে বইকেন না।আমি এই প্রথম মায়ের স্নেহ মমতা একটু একটু বুঝবার পারতাছি আপনার লগে আইসা।আপনে বকলে হৃদয় টা পোড়ায় আপামনি।”

মেহুলকে বুকে জড়িয়ে ধরে স্বর্ণলতা বললো-
—“মেহুল তোমাকে আমি মায়ের স্নেহ মমতা দিয়ে ভরিয়ে দিবো।কখনো তোমাকে কিছু বলবো না।আমার কোন কথায় তুমি কষ্ট পাবেনা……”
মেহুল স্বর্ণলতার বুকে প্রশান্তি খুঁজে পেলো।যে ভালোবাসা হন্নে হয়ে খুঁজেছে সে,তা আজকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হলো।সে স্বর্ণলতাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।

__________
সন্ধ্যা ৬.০০ টা।রান্নাঘরে ব্যস্ত মেহুল।একবার শরবত বানাচ্ছে আবার পকোড়া গুলো ভেজে উঠাচ্ছে।স্বর্ণলতার জন্য আবার স্যুপ বানাতে হবে।ড্রেসিং করার পর ডক্টর তাকে আনারের শরবত আর স্যুপ খেতে বলেছে।ড্রয়িং রুমে সবাই বসে টিভি দেখছে।
কলিং বেলের আওয়াজ মেহুলের কানে আসতেই বিরক্ত মুখ নিয়ে দরজার দিকে গেলো।এতো কাজ রেখে তাকে এখন দরজা খুলে দিতে হবে।কে এলো এখন? আসার সময় আর পেলোনা!
চোখ মুখ কুঁচকে দরজা খুলে দিলো মেহুল।
দরজা খুলে সে হতবাক হয়ে গেলো।
বিস্মিত চোখ মুখে বললো-
—“ভাইজান!!!”……….

চলবে
?️Sharmin Sumi

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here