#স্বর্ণলতা
পর্বঃ০৯
___________
একটা ছায়ামূর্তির মতোন কিছু একটা স্বর্ণলতার সম্মুখে এসে দাড়ালো।
ঘোর অন্ধকারে তার হাতে কোন আলো নেই।তার হৃদপিন্ডে ধুক পুক শব্দ স্পষ্ট জানান দিচ্ছে সে ভয়ে কাতর হয়ে গিয়েছে।
—“তোমার তো কম সাহস না মাইয়া।এতো রাইতে পোয়াতি মানুষ হইয়া ছাঁদে উঠছো।তাও আবার চুল ছাইড়া।আর ছাঁদের কিনাড়ে কি করো তুমি?
যদি পইরা যাইতা?-প্রচন্ড আক্রোশ নিয়ে জাফর কথাগুলো বলছিলো।
স্বর্ণলতাকে কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মামা আবার তাকে বললো-
আহো ভিতরে আহো।তোমার শ্বাশুড়ি জানলে কি হইবো জানো?”
বেশ কিছুটা ইতস্ততভাবেই স্বর্ণলতার প্রত্যুক্তি-
–“মামা আমি আসলে একটু হাওয়া খেতে এসেছিলাম।রুমে গরম লাগছে তো।আম্মা কে কিছু বলবেন না।অনুরোধ করছি।”
—“অহন হাওয়া খাওনের সময়?তাও আবার মাথার চুল ছাইড়া?
এই সময় কুনজর পড়ে বেশি।পেটের বাচ্চার কথা চিন্তা করো না তুমি?”
অনুরোধ এর স্বরে স্বর্ণলতা বললো-
—“মামা আর হবেনা।আম্মাকে দয়া করে কিছু বলবেন না।”
—”যাও কইলাম না আমি।আমি দেহি ই নাই তুমি ছাঁদে আইছিলা।খুশি এইবার?
অহন ভিতরে আহো।”
স্বর্ণলতা ভাবলো এবারের মতো বাঁচা গেলো।এরপর আরও সাবধান হতে হবে।কিন্তু তার ফোন টা তো নিচে পড়ে গেলো।এখন রূপকের সাথে যোগাযোগ করবে কিভাবে!
একরাশ বিষন্নতার ছাপ স্বর্ণলতার মুখে জেঁকে বসলো।ভীষণ একা হয়ে গেলো সে।
সে এমন পরিবার থেকে উঠে এসেছে যেখান থেকে কিছু চাওয়া বিলাসিতা।তাকে অর্নাস পর্যন্ত যে পড়িয়েছে এই ঢের।এমন কেউ নেই যার কাছে সে আবদার করবে।
একমাত্র রূপক-ই ছিলো তার আবদার,অভিমান,ভালোবাসায় পূর্ণ একজন।তবে সেও এখন দূরে।
আর নতুন সংসারের নতুন রূপ দেখে সে সংশয়ে ভুগছে।সে কতদিন এ বাড়িতে টিকতে পারবে!
তার পেটে একটা প্রাণ বড় হচ্ছে।তাকে দেখে শুনে রাখা উচিত।এ পৃথিবীর মাঝে বেঁচে থাকার আশা হলো রূপক আর তার অনাগত সন্তান।
কার সাথে শেয়ার করবে কথাগুলো।আর এখন ফোন ও নেই যে রূপকের কাছে একান্তে কিছু বলবে।
তার আরেকটা বিষয়ে চিন্তা হতে লাগলো,
মামা যদি নাও বলে ছাঁদে আসার কথা তাহলে ফোনের কথা কি বলবে!
উফ্ তার মাথাটা প্রচুর যন্ত্রণা করছে।সে আর টেনশন নিতে পারছে না।
সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে স্বর্ণলতা বললো-
—“মামা!একটা কথা বলি?রাগ করবেন না প্লিজ!”
—“কি কউ?”
—“ছাঁদ থেকে আমার ফোনটা পড়ে গিয়েছে। আপনি যখন আমাকে ডাক দিয়েছেন তখন চমকে উঠেছিলাম।আর হাত ফসকে ফোনটা নিচে পড়ে গিয়েছে।”
—“তা ভালা,তুমি পাও ফসকাইয়া পড়োনাই এইতো মেলা।শুকরিয়া আদায় করো।”
—“আম্মা জিজ্ঞেস করলে কি বলবো?”
—“বলবা ফোন জানলার কাছে রাইখা ঘুমাইছো সকালে উইঠা পাওনা।
আর এই এলাকার বিখ্যাত কুখ্যাত কিছু টারজান চোর আছে।”
ভ্রু কুঁচকে স্বর্ণলতা বললো-
—“টারজান চোর!!!”
—“টারজান চোর বোঝোনা?যারা ছয়তালা বাইয়া উইঠাও চুরি করবার পারে।
বাসার সবাই বুইঝা লইবো।অহন ঘরে যাও।”
স্বর্ণলতা আর কোন কথা বাড়ালো না।সে চুপচাপ রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো।একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো কারন স্নেহা ঘরে ছিলোনা।ঘরে থাকলে হাজার টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো।
মামা ঘরে প্রবেশ করে দেখলো স্নেহা আর তার বোন এক ঘরে।সে রাঙা চোখে বললো-
—“তোমরা মা মাইয়া মিলা ঘরে আরাম করো।ঐ দিক হাটে হাড়ি ভাঙলো।”
—“কেনো কি হয়েছে মামা?”
—“স্বর্নলতা ছাঁদে গেছিলো গা।”
—“কিহ! এখনতো নিচে…….”
—“হ হ চুপ থাক অহন আর গলাবাজি করিস না।কিছু বোঝেনাই।তার আগেই আমি ডাক দিছি।একটু নিচে আছিলাম কাজ কাম ঠিক মতো দেহার লিগা আর তোরা দুইডা একটা মাইয়ার ওপর নজর রাখতে পারলি না।
তয় ওরে কিছু কবিনা এই বিষয়ে।ফোনডা খোয়া গেছে।ছাঁদ থিকা পইড়া গেছে নিচে।
একদিক দিয়া ভালাই হইছে।রূপকের লগে যোগাযোগ তেমন করবার পারবো না।”
—“জাফর!ঐ মেয়েকে হালকা ভাবে নিলে হবেনা।ওর ওপর কড়া নজর রাখতে হবে।”
জাফর নিশ্চুপ থাকলো।আর মনে মনে রূপকের মায়ের কথার সম্মতি জানালো।
________
স্বর্ণলতার দু চোখে ঘুম নেই।স্নেহা বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।
স্বর্ণলতা উঠে বেলকুনিতে চলে আসলো।
আকাশে মস্তবড় চাঁদ উঠেছে।ঝিঝিপোকারা গান গাচ্ছে।পাশের দিঘীতে জোসনার আলো চিকচিক করছে।রূপক থাকাকালীন এমন অনেক জোছনা রাত তারা গল্প করে কাটিয়েছে।খুব মনে পড়ছে রূপককে।
গত জোসনাতে রূপকের সাথে ছাঁদে ঘুরেছে স্বর্ণলতা।
রূপক কানের কাছে ফিসফিসয়ে বলেছিলো-
‘আমার আধাঁর রাতের জোসনা তো আমার পাশে।দূর আকাশের জোসনা কে তাই লাগছে পানসে।’
স্বর্ণলতাও খানিকটা মজার ছলে রূপককে বলেছিলো-
‘কে বলবে আমি আপনার প্রথম প্রেম?এতোটা লাজুক তো আপনি না,যতটা মানুষ বলে।’
রূপক একগাল হেসে বলেছিলো-
‘বউ এর কাছে সব পুরুষ ই বেহায়া।লজ্বা পেলে আমরা তিনজন হলাম কি করে?আর তুমি কি জানোনা?প্রেম মানুষের লজ্বা হরণ করে!
ও আমার হরিনী চোখের রাজকন্যা,
তোমার কাজল মাখা চোখে যতবার আমি চেয়ে রই।
আমি নাকি খুব লাজুক ছিলাম!চিন্তা করি,আমার লজ্বা গেলো কই?’
স্বর্ণলতা হেসে লুটোপুটি খেতো।আর দু চোখ ভরে রূপক সে হাসি দেখে চোখ জুড়াতো।আর বলতো-
‘আমার বউয়ের হাসি,পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হাসি।’
তবে সে এখন শুধু স্মৃতি।পুরোনো স্মৃতির সাগরে ডুব দিতে গিয়ে কখন যে নোনাস্রোতে দু গালের স্নানরত হয়েছে তা স্বর্ণলতা বুঝতে পারেনি।গ্রীলের ফাঁক দিয়ে কুসুম রঙা চাঁদের আলো স্বর্ণলতার মুখশ্রী ছুঁয়ে দিচ্ছে।
বিছানার দিকে তাকিয়ে দেখলো স্নেহা এখনও ঘুমে।এই সুযোগে রূপককে একটা কল দেওয়া যাক।স্নেহার ফোনটা আস্তে করে নিয়ে এলো স্বর্ণলতা।
রূপক একবার রিং বাজতেই ধরে ফেললো।মনে হচ্ছিলো সে হয়তো ফোনের অপেক্ষা করছে।
ওপাশ থেকে ব্যাকুল কন্ঠে রূপক বললো-
—“স্বর্ণলতা?”
—“আপনি কি করে বুঝলেন আমি?”
—“বাংলাদেশে এখন ৩.০০ টা বাজে।এই সময় আমার বউ আমাকে খুব মিস করবে।আমাকে সে কল করতে চাইবে।আর আমি তার অপেক্ষায় ছিলাম।
প্রিয়তমা,অপেক্ষার প্রহর কত দীর্ঘ করলে!
মনটা বড্ড ব্যাকুল ছিলো তোমার কন্ঠস্বরে শোনার জন্য।
আই এম ডিপলি এডিকেক্টেড টু ইউ মাই স্বর্ণ।
তোমার ফোন বন্ধ পাচ্ছি।কতটা দুশ্চিন্তায় পুড়েছি জানো?’
স্বর্ণলতার দু চোখ বেয়ে অশ্রুর বান নেমেছে।নিজেকে কোনমতো সংযত করে বললো-
—“আমার ফোনটা অসাবধানতায় চুরি হয়ে গেছে।জানালার পাশে রেখেছিলাম।পরে খুঁজে দেখি নেই।মামা বললো ছিচকে চোর নিয়ে গেছে।”
—“বলো কি!
এখন তোমার সাথে আমার কথা কিভাবে হবে?”
—“বুঝতে পারছিনা।তবে আপুর ফোনে কল করবেন আমি রিসিভ করবো।আপু এখানেই আছে এখন।”
—“মনটা খারাপ হয়ে গেলো শুনে।আচ্ছা আমি তোমাকে নতুন ফোন পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।কয়দিন তোমার আমার দুজনের একটু কষ্ট হবে।
তোমাকে ভিডিও কলে দেখতে পাবোনা আগের মতো।”
অভিমানি কন্ঠস্বরে রূপককে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো স্বর্ণলতা-
—“আমাকে দেখতে না পেলে আমাকে কি ভুলে যাবেন?আমার মুখ টা মনে থাকবে?আমার ভালোবাসা মনে থাকবে?”
কথাগুলো বলতে বলতে অজান্তেই স্বর্ণলতার চোঁখ আবারও ভিজে উঠলো।
রূপক দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললো-
—“তোমার চেহারা তো দূরে থাক,তোমার নাম শুনলেই আমার কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায়।
তোমাকে কিভাবে ভোলা যায়?
তুমি আমার স্বর্ণ।”
স্বর্ণলতা কাপাঁ কাপাঁ কন্ঠে বললো-
—“আপনি কাঁদছেন?”
নিজেকে সামলে নিয়ে রূপক বললো-
—“না তো স্বর্ণ।তোমার অনুপস্থিতি আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।আমি কাঁদছিনা। আমার চোখ তোমাকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে অশ্রু ঝরাচ্ছে।
তোমাকে দেখার তৃষ্ণা আমার চোখে লেগে গেছে।বিষাদময় রাত!”
কিচ্ছুক্ষণ চুপ থেকে রূপক বললো-
—“স্বর্ণ বাচ্চার খেয়াল রেখো।তুমি ও ভালো থেকো।খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে নিয়ে আসবো অথবা আমি যাবো তোমার কাছে।আমার খুব গুরত্বপূর্ণ একটা কাজ আছে এখন।তুমি ঘুমিয়ে পড়ো।”
স্বর্ণলতা রূপকের হ্যাঁ তে হ্যা মিলিয়ে শুয়ে পড়লো।স্বর্ণলতা একটু শান্তি পেয়েছে কারন রূপক তার কাছে দ্রুত আসবে।
____________________
স্বর্ণলতা রূপকের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে।এদিকে না আসলো কোন ফোন না আসলো রূপক।স্বর্নলতা এখন ৫ মাসের প্রেগনেন্ট। স্নেহার ফোনে খুব একটা কথা বলার সুযোগ পায়না।স্নেহা নানা অযুহাতে রূপকের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়না।বাসার পরিস্থিতি ও খুব স্বাভাবিক।
আর কোন অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ করেনি সে।
তার দিনগুলো এভাবেই কাটতে লাগলো।
হঠাৎ এক সন্ধ্যায় স্নেহা সমানে বমি করতে লাগলো।
বাড়িতে হুলস্থুল কান্ড বেঁধে গেলো।
ডক্টর আসলো চেকআপ করলো।ডক্টর জানালো স্নেহা দুই মাসের প্রেগনেন্ট।
স্নেহা খুব খুশি হয়ে তার হাজবেন্ড কে জানালো।সবাই খুব খুশি।মামা তো সাথে সাথে মিষ্টি নিয়ে এলো।
সন্ধ্যায় স্নেহার হাজবেন্ড সৈকত আসলো।স্নেহাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু একে দিলো।
এই পাঁচ মাসে বেশ কিছুদিন পর পর সৈকত এ বাড়িতে আসতো।স্বর্ণলতার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসতো।স্বর্নলতা কে বোনের মতো ভালোবাসতো।আজকেও স্বর্ণলতার জন্য এনেছে।
—“স্বর্ণলতা এই নাও একটা গিফ্ট বক্স।”
—“কি আছে এতে ভাইয়া?”
—“খুলে দেখো।”
ভেতরে ছিলো একজোড়া জুতা।ছোট বাচ্চাদের জুতা।
আর স্নেহার জন্যও তেমনি একজোড়া ছোট জুতা।
স্বর্নলতার জুতা গুলোতে ছুঁইয়ে দিলো।আর দু ফোঁটা চোখের জল গড়িয়ে পড়লো।
তার ছোট্ট বাচ্চা এ জুতা পড়ে হাঁটবে!
কত আনন্দ হবে তখন তার।তখন রূপক থাকবে তার পাশে।
স্নেহা সৈকত কে বলছে সে আজকে রাতেই বাড়ি ফিরতে চায়।
সৈকত বলছে আজকে কেনো?কাল সকালে না হয় যেও।
না কোনমতেই সে বুঝবেনা।
তার মা পর্যন্ত বললো কিন্তু কারও কথা সে শুনবেনা।সে এই মূহুর্তে বাড়ি ফিরতে চায়।
স্বর্ণলতাও অনেক বোঝালো কিন্তু সে তার সিদ্ধান্তে অটল।
শেষমেষ সে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলোই।
স্বর্ণলতা একটু অবাক হলো।হঠাৎ কি এমন হলো!
যাওয়ার আগে স্বর্ণলতাকে বলে গেলো-
—”সাবধানে থাকবে স্বর্নলতা।বেশি সাহস দেখিয়ে এদিক ওদিক ঘুরবে না।বাচ্চার খেয়াল রাখবে।
তাকে বুকে জড়িয়ে দোয়া করে চলে গেলো স্নেহা।”
স্বর্ণলতার আবারো একা একা থাকতে হবে।
কিন্তু সে ধারনা ভুল প্রমান করে পরদিন সকালে ১৩/১৪ বছরের একটা মেয়েকে নিয়ে মামা হাজির হলো।
এ মেয়ে আজ থেকে স্বর্নলতার দেখাশোনা করবে।এবং ওর সাথেই থাকবে।
শ্যামলা,ছিমছাম গড়ন।মাথার চুল পা ছুঁইছুঁই। একে দেখে কাজের মেয়ে মনে হয়না।
মেয়েটা এগিয়ে এসে স্বর্ণলতার হাত ধরে বললো-
—“আপামনি!ভালো আছেন?”
—“জ্বী ভালো আছি।”
—“নাম কি তোমার?”
—“মেহুল।”
—“বাহ্ খুব সুন্দর নাম তো!”
—“আপনার নাম ও খুব সুন্দর।”
—“কে বললো আমার নাম?”
—“মামা বলছে।আপনি দেখতে খুব সুন্দর। আমি এতো সুন্দর মানুষ আমার জীবনে দেখিনাই।আপনাকে দেখে মনে হইতাছে আমি পরী দেখতাছি।”
—“তুমি ও খুব সুন্দর।”
—“আমি কালা।কালা সুন্দর না।”
—“পৃথিবীর সব মানুষ সুন্দর।কালো ফর্সা আল্লাহর দান।কালোর মূল্য যদি এতো নিম্ন থাকতো তাহলে কাবাঘরের রঙ কালো হতো না।কাজল,সুরমা মানুষের এতো প্রিয় হতোনা।কাবাঘর কালো,কাজল-সুরমা কালো,
কোরআন শরীফের অক্ষর কালো।
তুমি সৃষ্টিকর্তার কাছে তোমার চেহারা,বর্তমান অবস্থানের জন্য শুকরিয়া আদায় করবে।”
—“জ্বি আচ্ছা আপামনি।আপনি খুব ভালো।”
—-“স্বর্নলতা,
জাফর অনেক খুঁজে এই মেয়েকে নিয়ে এসেছে।তোমার দেখাশোনা করার জন্য।পাঁচ মাস তো হয়ে গেলো।এখন তোমার অনেক যন্ত দরকার।আমি তো পারিনা অতটা।
আর শোনো রূপক আসবে কিছুদিন পর।আমার সাথে কথা হয়েছে।ও কাজে খুব ব্যস্ত তোমার সাথে ও কথা বলতে পারছেনা।কিছুদিনের মধ্যে ছুটি নিয়ে চলে আসবে।”
চলবে?
?️Sharmin Sumi