#সন্ধি_হৃদয়ে_হৃদয়ে
#লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা
#পর্ব___১৪
টানা দশ প্লেট পানিপুড়ি সাবাড় করে বেহুঁশ হয়ে যাওয়ার উপক্রম শ্রেয়ার। মাথা ভনভন করছে। ঝালে মুখশ্রী, চক্ষু লালচে রঙের আস্তরণে ঢেকে গেছে। চোখের সামনে সবকিছু যেন আবছা আবছা অন্ধকার। ঝাল খাওয়ায় সে অভ্যস্ত তবুও আজ ঠিক হজম হচ্ছে না। অনেক কষ্টে দুই ঠোঁট নাড়িয়ে বললো, ‘ আর খাবো না চাচা। বিল?স্যার দিয়ে দিয়েছে?’
পানিপুড়িওয়ালা ছেদন দাঁতগুলো দেখালেন। মোটা কন্ঠস্বর তার,
‘ হু, মা। স্যার দিয়ে গিয়েছে পনেরো প্লেটের দাম। কইলো আপনারে যেন এত প্লেট-ই খাওয়াই। এহন আপনের যদি শরীর খারাপ লাগে আর খাওয়ার দরকার নেই। আমি বাহি টাকা দিয়ে দিতেছি,আপনি স্যাররে দিয়ে দিয়েন। ‘
শ্রেয়া হালকা গোলাপি বর্ণের দুই অধর একত্রে চেপে ধরল। ফুঁশ করে একটা সূক্ষ্ম নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে উঠলো,
‘ টাকা টা রেখে দিন চাচা। ওনার টাকার অভাব নেই। ‘
‘ না মা। কি কও?আইচ্ছা আমি স্যারের কাছে দিমু নে। ‘
‘ উহু!আপনি রেখে দিন। আপনার স্যারের টাকায় আমারও একটা হক আছে। আমি বলছি মানে রেখে দেন। আসি। ‘
পানিপুড়িওয়ালা লোকটা শ্রেয়ার কথার আগামাথা বুঝলো কি-না কে জানে!তবে আজ তূর্যর উপর অধিকার খাটানোর বিষয়টা ভাবতেই শ্রেয়ার ভীষণ ভালো লাগছে। কিন্তু সে এতোগুলা পানিপুড়ি কেন খাওয়ালো?আবার বিল টিল দিয়ে লাপাত্তা। গেল কোথায়?ক্লাস আছে বোধহয়। শ্রেয়া আজ আর একটা ক্লাসও না করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রিয়ু বিহীন নিজেকে আরও এতিম লাগছে। মেয়েটা যে ওর জীবনের কতখানি জায়গা দখল করেছে তা আজ হারে হারে টের পাচ্ছে সে। তূর্যর কর্মকাণ্ড প্রচন্ড অদ্ভুত ঠেকছে ওর নিকট। পানিপুড়ি খাওয়াতে নিয়ে হঠাৎ বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গম্ভীর কন্ঠে বললো ‘ কম খাবে না,দশ প্লেটের কম যেন এক্কেবারে না হয়৷ তূর্য ট্রিট দিতে কিপ্টেমি করে না তুমি হবে সেটার উদাহরণ। ‘ ছোট্টখাট্টো হুমকি দিয়ে গায়েব। শ্রেয়া তখন বিস্ময়ে আকাশ,পাহাড় সব ছুঁয়ে ফেলে। বাধ্যগত ছাত্রী, বউয়ের ন্যায় খেতে থাকে বিরতিহীন। তাছাড়া পানিপুড়ি দূরে ঠেলে দেয় কে!
গেট থেকে বেরিয়ে রাস্তার একপাশে দাঁড়াতেই একটা রিকশা সামনে এসে থামল। ছোট্ট একটা ছেলে। বয়স ষোলো,সতেরো হবে হয়ত। গায়ের রং তামাটে৷ বুঝা সহজ যে রোদে পুড়ে এই হাল। কালো ওষ্ঠদ্বয় প্রসারিত করে হলদেটে দাঁত প্রদর্শন করে বলে,
‘ আপা যাবেন?’
‘ হ্যাঁ। কিন্তু একটু অপেক্ষা করো। ‘
‘ আইচ্ছা। ‘
পাশের দোকান থেকে একটা আাধা লিটারের পানির বোতল কিনে আনল শ্রেয়া। রিকশায় উঠে এক চুমুক এক চুমুক করে সবটাই শেষ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। তবুও ঝাল লাগছে।
বাসায় পৌঁছে নাহয় একদম পানির ড্রামে ডুব দেওয়া যাবে তাতে যদি ঝাল লেজ গুটিয়ে পালায়!আকস্মিক মনে পড়ে যায়,প্রিয়ুর বিয়েতে কি দিবে?মেয়েটা তো ওকে পুরো জীবন দিয়ে দিতে রাজি তাহলে শ্রেয়া কি দিলে খুশি হবে ও?অনেক ভেবেও সমাধান মিলছে না। ভাবনার জগতে ঘুমন্ত অবস্থায় রিকশা এসে থামে বাসার কাছে। টেনে জাগিয়ে তুলে ওকে টিংটিং শব্দে। নেমে ব্যাগ থেকে পার্স বের করে ভাড়া দিতে নিলে ছেলেটা আবারও নিজের হলদেটে দাঁতগুলো দেখিয়ে বলে,
‘ আপা ভাড়া নিমু না। গেলাম। কাল আবার আসমু নে। ‘
কথাটা বলে ছেলেটা একটা মিনিটও স্তম্ভিত ছিল না। প্যাডেল ঘুরিয়ে চলে গেল নিজ লক্ষ্য পূরণে। শ্রেয়া তখনও অবাকতার সমুদ্রের জলে ভাসছে। একি হলো?ভাড়া কেন নিল না?কাল কেন ওকে নিতে আসবে?প্রশ্নের, অঢেল প্রশ্নের সৃষ্ট হচ্ছে মস্তিষ্কে।
মুহুর্তেই গাড়ির হর্ণের শব্দে কেঁপে উঠলো শ্রেয়া। পাশে তাকিয়ে দেখে গাড়িতে চেনা মানুষটা। বিরক্ত ভঙ্গিতে বার কতক হর্ণ বাজালো। শ্রেয়ার ইচ্ছে করছে পুরোটা গেট দেহ দ্বারা লুকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। চুল পরিমাণ জায়গাও যেন না মিলে যাওয়ার। কিন্তু আফসোস!তার চিকন শরীরে দিয়ে এই মস্ত বড় প্রবেশ দুয়ার কেন?অপ্রশস্ত গলিও বন্ধ হবে না। সঙ্গে অভিলাষ জাগছে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে কেবল এই গম্ভীরমুখো,রগচটা মানুষটাকে আখিঁদ্বয়ে বদ্ধ করতে। আচ্ছা কখনও যদি তূর্য সত্য টা জেনে ফেলে?তাহলে শ্রেয়া ওর পায়ে ধরে বলবে ওকে যেন ঘৃ*ণা না করে।দূর করে দিলে দিবে তবুও ভালোবাসার মানুষ টার ক্রোধের,ঘৃ*ণার বশিভূত হয়ে শ্বাস নিতে পারবে না সে। শ্বাস-প্রশ্বাস প্রকিয়া থমকে যাবে মুহুর্তেই। মা-বাবার পর এই লোকটাকেই প্রাণপণে ভালোবাসে। আগে বাসত না দেখে, এখন বাসে দেখে তবুও শব্দ একটাই ভালোবাসি। কখনও এটা অতীত হবে না। ভালোবেসেছি,বাসতাম শব্দগুলোকে অতি নগন্য মনে হয় তার। এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। কারণ ভালোবাসা কখনও অতীতে পড়ে থাকে না। সঠিক হলে ক্রমে ক্রমে বেড়ে চলে,মাতাল করা অনুভূতি জাগ্রত করে মনপাজরে।
‘ ম্যাডাম, ম্যাডাম সরেন। স্যার গাড়ি ঢুকাইব। ‘
দারোয়ানের কর্কশ, চেঁচানোর স্বরে শ্রেয়া একপাশে চেপে দাঁড়ালো। ভিতরে ঢুকল না। নিজেকে উম্মাদ লাগছে। চক্ষু যুগল যেন বলছে যতক্ষণ দেখা যায় সেই সুদর্শন যুবককে ততক্ষণ তোর আঁখিপল্লব যেন নিমীলিত না হয়। চেয়ে চেয়ে বক্ষস্থলের যন্ত্রণা বাড়ুক তবুও সেই যন্ত্রণায় থাকবে একরাশ স্বস্তি। কাছে না আসুক, অদৃশ্যভাবেই মিলিত হোক হৃদয়। ড্যাবড্যাব চক্ষে চেয়ে রইল শ্রেয়া নিষ্পলক,নির্নিমেষ। তূর্য ওর দিকে ফিরে অব্দি তাকালো না। এই লোকের মতিগতি একটুও ঠাহর করতে সক্ষম হয় না ও। মস্তিষ্ক কেমন অচল হয়ে পড়ে। শূণ্য শূন্য অনুভূত হয়। দিশেহারা লাগে নিজেকে। আজকাল এমনিতেই লাগে। যেদিন থেকে তূর্য নামক সুঠাম দেহী পুরুষের আগমন ঘটেছে ঠুনকো এ জীবনে দ্বিতীয়বার,পুনরায়। এখন কথা হলো গাড়ি আসল কোত্থেকে?ঢাকা হতে আসার সময় তো বাসে এসেছিল। পরক্ষণেই ভাবল,বড়লোকের কি অভাব পড়ে নাকি?
আর দাঁড়িয়ে না থেকে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল শ্রেয়া। উঠতেই চোখ অক্ষিকোটর ছাড়বে ছাড়বে ভাব। তূর্য নিজের ফ্ল্যাটের দরজার সামনে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফর্সা মুখে গম্ভীরতার একটুখানিও অভাব নেই। এমনকি দৃষ্টি অবিচল,তীক্ষ্ণ। শ্রেয়া ভড়কে গেলেও নিজেকে সংযত করে তালা খুলতে চাবি ঘুরাতে নিলে থরথর করে কেঁপে উঠলো তূর্যর দৈবাৎ কথায়। হাত থেমে যায়, ফিরে তাকায়। আনতস্বরে প্রতুত্তর করে,
‘ জ্বি স্যার।’
তূর্য নিজের হাতের পলিথিন টা শ্রেয়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে ইশারা করলো ধরতে। বিনা বিলম্বে শ্রেয়া হাতে নিয়ে বললো,
‘ এটা?’
‘ এটাতে আইসক্রিম। প্রিয়ুর জন্য। মন চাইলে তুমি খেতে পারো। প্রিয়ু আসতে আসতে গলে নষ্ট হয়ে যাবে। আমার টাকা অনেক পরিশ্রমের। আসার সময় মনে হলো মেয়েটা তো অনেক আইসক্রিম প্রেমি। মাথায় একবারও এলো না যে ও তো ঢাকায়। এখন এনে ফ্যাসাদে পড়ে গেলাম। আমি এসব খাই না। এখন তুমি আমার টাকাটা পুষিয়ে দিও কেমন প্রিয়ুর বান্ধবী? ‘
কথাগুলো বলে চট করে বড় বড় পা ফেলে তূর্য ঢুকে পড়ে ভিতরে। শ্রেয়া একবার হাতের দিকে তাকাচ্ছে তো আবার দরজার দিকে। রিনঝিনে কন্ঠে উচ্চারণ করলো,’ স্যারের স্মরণশক্তি কি কম?’
‘ স্মরণ শক্তি কম কি-না জানিনা তবে কিছু কিছু মানুষ দেখলে কমে যায়। মানুষের মস্তিষ্কে,হৃদপিণ্ডে বসবাস করার অসম্ভব ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় তারা। অদৃশ্য থেকেও ধারালো হয়। ভীষণ ধারালো। গাঢ় কাজল চক্ষে বশ করে,চিকন ওষ্ঠযুগল দ্বারা হৃদস্পন্দনের গতি বাড়ায়,উন্মুক্ত সিক্ত কেশে হাতছানি দিয়ে ঢাকে। ধৈর্য্য হারিয়ে কু-কাম ঘটালে বলে নির্লজ্জ, চরিত্র’হীন। অবশ্য এমন উপাধি পেতে নিজেকে তৈরি করে নিচ্ছি আমি। ‘
শ্রেয়া নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইল স্রেফ। লজ্জা শরীরের ভাঁজে ভাঁজে স্পর্শ আরম্ভ করে দিয়েছে। শিউরে উঠছে রন্ধ্র,রন্ধ্র। তূর্যর অগোছালো কথার ভাঁজে নিজেকে এলোমেলো লাগছে খুব। কিন্তু ওর কথাটা শুনল কেমন করে?দরজায় দাঁড়িয়ে ছিল?মৌন মুখে যেতে নিলে তূর্য ডেকে বললো,
‘ বাকি পাঁচ প্লেটের টাকা যে ফ্রি তে দিয়ে এসেছো শ্রেয়সী সেই টাকাগুলো দিয়ে যেও। পই পই করে ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমাই। একটা ট্রিট কি দিলাম,না খেয়ে টাকা দিয়ে এলে। আমি ছাড়বার পাত্র নই। কড়ায় গন্ডায় হিসেব করি। বউয়ের কত খরচ!মেকআপের জিনিস, অর্নামেন্টস,ড্রেস, ছোট সাইজ,বড় সাইজের কতকিছু কিনতে হয়। ছোট সাইজ টা না দিলে ব্যাপার টা খুবই জঘন্য হয়ে যায়। এখন তুমি যদি পাঁচ টার দাম ফেরত নিয়ে আসতে বউয়ের জন্য আরও দশ-বিশ টাকা মিলিয়ে গুলিস্তান থেকে একটা কিনতে পারতাম। ভবিষ্যতের আয়োজন তো এখন থেকেই করবো। তাই মাফ নেই, দিয়ে যাবে। ‘
শ্রেয়া হতভম্ব। বুকটা ধড়ফড় করছে। ধীরে ধীরে প্রখরত্ব লাভ করছে তা। তূর্য নেই। চলে গিয়েছে সে। ফিচেল কন্ঠের শব্দালঙ্কার শ্রেয়ার হৃদয়ের ধুকপুকানি বাড়িয়ে দিল নিমিষেই। লজ্জায় বিড়বিড় করে বলে উঠলো,
‘ ছি!অশ্লী-ল। ‘
এটা বলে শ্রেয়া দৌড়ে ঘরে এলো। মেঝেতে বসে বুকে হাত রেখে স্মিত হাসল। বউয়ের জন্য কত আয়োজন লোকটার। অথচ বউয়ের সাথেই এসব বলে বেড়াচ্ছে। আচ্ছা স্যার কি ওকে পছন্দ করে?নাকি প্রথম দিনের দুর্ব্যবহারের নিমিত্তে কপোকাত করতে চাইছে ওকে?হৃদয়ের ক্রিয়া থামিয়ে দিতে চাইছে?শ্রেয়া আর না ভেবে আইসক্রিম খাওয়া শুরু করলো। চিন্তা করলো আরও একটা বার মেহরিমা চৌধুরীর সামনে দাঁড়াবে। তার অগাধ বিশ্বাস ওনি বুঝিয়ে বললে তূর্য ওকে একটু হলেও জায়গা দিবে। বক্ষে না হোক,নিজের বানানো জগতে। প্রিয় মানুষ ছাড়া কতটা কষ্টকর তা মুখে প্রকাশ করা বড়ই দুর্বিষহ। তাছাড়া কার দুঃখ কে বুঝে?
________________
অকস্মাৎ নীল গগণে কৃষ্ণ মেঘেরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। প্রকৃতিকেও রাঙিয়ে নিয়েছে তার রঙে। দখলদারিত্ব খাটাতে তোরজোর চালাচ্ছে। রৌদ্রজ্জ্বল দিনটাকে পরিণত করেছে তিমিরে। শ্রেয়া যত দ্রুত পারছে সিঁড়ি ভেঙে ছাঁদে যাচ্ছে। একবার ঝুমঝুম বৃষ্টির আগমন মানে সব শুকনো কাপড়ের ভেজা অবস্থা দেখা। এত পরিশ্রম করে ধুইয়ে শুকাতে দিল,এখন ভিজে গেলে মন ভেঙে যাবে। ছাদে গিয়ে দেখে তারে একটা কাপড়ও নেই। গেল কোথায়?প্রবল বাতাসে উড়ে যায় নি তো?কেমনে সম্ভব? স্পষ্টত খেয়াল আছে ক্লিপ দিয়ে আঁটকে গিয়েছিল। নতুন ছিল ড্রেস টা। হাতে গোণা চারটে ড্রেস আছে তুলে রাখা। তন্মধ্যে এটা একটা। প্রিয়ুদের বাসায় পড়েছিল তাই ধুইয়ে দেয়। অবিন্যস্ত দৃষ্টিতে অস্থিরচিত্তে খুঁজতে শুরু করে। চক্ষে বিঁধে রেলিংয়ে দুই হাত রেখে তূর্য সামনের দিকে চেয়ে আছে। ছাঁদে অবস্থিত দোলনায় ওর কাপড়গুলো একসাথে রাখা। শ্রেয়া থমকালো। চমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘ এগুলো এখানে?’
‘ নিচের বাসার আন্টি রেখে গেল। বললো মেয়েটা কতক্ষনে তার থেকে নামাবে এর চেয়ে বরং আমি ভাঁজ করে রেখে যায়। আসলে নিয়ে যাবে। ‘– সমুখ হতে ভেসে আসে নির্লিপ্ত কন্ঠস্বর।
তূর্যর কথাটা আদৌও বিশ্বাসযোগ্য মনে হলো না শ্রেয়ার। চলে যেতে নিয়ে সিগারেটের ঝাঁঝালো গন্ধে পা আটকা পড়ে। বিস্ফোরিত নেত্রে চায়। ছাঁদের মেঝেতে সিগারেট দেখে অবাক স্বরে প্রশ্ন করে,
‘ আপনি ধূমপান করেছেন?’
তৎক্ষনাৎ তূর্য ঘুরে দাঁড়াল। ভ্রুঁ যুগল কুঞ্চিত করে ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে উঠলো,
‘ নায়িকা সাজতে চাইছো?’
‘ মানে?’– শ্রেয়ার উৎকন্ঠা।
#চলবে,,!
( খুব তাড়াহুড়ায় লিখেছি। মস্তিষ্ক কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।)