crazyness
part_9
#sarika_Islam
”
”
”
ইয়ামান সানামকে কোলে করে নিয়ে গাড়িতে বসালো,,,নিজেও ড্রাইভিং সিটে বসে পরল,,হাতে পানি নিয়ে সানামের মুখে মারলো,,সানাম কপাল কুচকে ধীরে ধীরে চোখ খুলল,,নিজেকে গাড়ির সিটে আবিষ্কার করলো,, কেউ কোন কথা বলল না,,,ইয়ামান গাড়ি স্টার্ট দিল,,বেশ কিছুক্ষন পর তারা বাড়ি আসলো,,সবাই লিভিং রুমে বসে আছে,,ইয়ামানের মা পাইচারি করছে,,সানিয়া বারে বারে সানামের ফোনে ফোন করার চেষ্টা করছে,,ইয়ামান গাড়ি থেকে নেমে সানামের হাত ধরে বাড়ির কলিং বেল বাজালো,,ইসমি গিয়ে দরজা খুলল দেখলো সানাম আর ইয়ামান দারিয়ে,,ইসমি সানামকে ধরে জিজ্ঞেস করছে,,
_কিরে কোথায় গিয়েছিলি?সবাই কত টেনশন করছিল জানিস?
সানাম কিছু বলছে না মাথা নিচু করে রেখেছে,,ইয়ামান সানামের হাত ধরে ভিতরে ঢুকলো,,ইয়ামানের বাবা বসা থেকে দারিয়ে গেল ছেলেকে দেখে,,তার মা পাইচারি বন্ধ করে দিল,,ইয়ামানের কাছে গিয়ে তার বাবা জিজ্ঞেস করল,,,
_কোথায় গিয়েছিলে?কিছু জিগ্যেস করছি ইয়ামান,,,,
খানিকটা জোরে বলল,,ইয়ামান শান্ত স্বরে বলল,,,
_বিয়ে করতে,,
_বিয়ে করতে মানে?
উপস্থিত সবাই চমকে গেল,,ইয়ামান এবার বেশ রাগ দেখিয়ে বলল,,
_বিয়ে করতে মানে বিয়ে করতে বুঝ না নাকি?বিয়ে করেছি আমি ওকে,,
ইয়ামানের বাবা ঠাস করে ছেলের গালে চর বসিয়ে দিল,,আর চিল্লিয়ে বলল,,
_বিয়ে করেছ মানে কি এইসব?আমরা বড়রা ছিলাম না তোর বিয়ের জন্য? আর মেয়েটা সবে মাত্র কলেজ উঠলো আর বিয়ে করে বসলি?
_হুম ওর ডানা ভেংগেছি,,আমাকে ছারার কথা বলে,,,
সানামের কাছে গিয়ে ওর বাহু খুব শক্ত করে ধরে আর চিল্লিয়ে বলে,,
_আমাকে ছারার কথা ভাবছিলি? নে এখন ছেরে দেখা,,আমার পারমিশন ছাড়া এক কদম এগিয়ে দেখা,, কি বলেছিলি এখন তো আমাদের বিয়েও হয়নি! নে এখন তো বিয়েও হয়ে গেছে,,
সানাম মাথা নিচু করে কান্না করছে,,,ইয়ামানের মা এসে সানামকে ইয়ামান হাত থেকে ছারালো,,
_মেয়েটার সাথে এমন আচরণ কেন করছিস ইয়ামান?বাচ্চা একটা মেয়ে ও,,
_বাচ্চা মেয়ে ও?ও বাচ্চা না মা ও বাচ্চা না,,জগতের সব বুঝে আমার ভালোবাসা বুঝতে ওর সমস্যা?
বলেই আবার সানামের কাছে আসতে গেলে সানাম ইয়ামানের মার পিছে গিয়ে দারায়,,
_দেখ বাচ্চা মেয়েটা ভয় পাচ্ছে,,
_ভয় না ওর সব ঢং,,
বলেই তার মার পিছন থেকে সানামকে টেনে নিয়ে উপরে যেতে লাগলো,,ইয়ামানের মা তাদের পিছে যেতে নিলে তার বাবা আটকে দেয়,,
_ওদের মাসলা ওরাই মিটাক,,আর মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে এখন সে আমাদের বাড়ির বউ,,তার মা বাবাকে তো জানাও,,
_হুম,,
ইয়ামান সানামকে উপরে নিয়ে নিজের রুমে গিয়ে বিছানার উপর ঠাস করে ফালায়, সানাম কান্না করছে এখনও,,ইয়ামান ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয়,,সানাম উঠে দারায়,,চোখের পানি মুছে ইয়ামানকে বলে,,
_দে,,দে,,খুন,,
_হুম দেখতেই তো এসেছি জান,,,
বলেই চোখ টিপ মারলো,,সানাম ভয়ে ভয়ে পিছে ফিরছে,,ইয়ামান সামনে এগুচ্ছে,,
_আপনি প্লিজ এগুবেন না,,প্লিজ,,
_কেন? বিয়ে তো হয়ে গেল বাসর মানাবো না?
_প্লি,,,প্লিজ,,,
সানাম আর কিছু বলতে পারলো না বিছানায় ধপ করে পরে গেল,,ইয়ামানও সানামের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পরলো,,সানাম ইয়ামানের বুকে ঠেলা দিচ্ছে,, ইয়ামান সানামের হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে,,সানাম কাপছে ইয়ামান সানামের ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দিল,,,পরম আবেশে শুষে নিচ্ছে,,সানামের চোখ থেকে অঝরে পানি পরছে,,সেও চেয়েছিল ইয়ামানকে পেতে কিন্তু এভাবে সে এটা মটেও আশা করেনি,,ইয়ামান সানামের ঠোঁট চুমু দেওয়া শেষ হলে গলায় মুখ গুজে,, সানামের স্মেল ইয়ামানকে আরও পাগল করে দিচ্ছে,,,সানামের গলায় লাভ বাইট দেয়,,ইয়ামান তাড়াহুড়ো করে নিজের টি-শার্ট খুলে ফেলে দেয়,,,সানামের কাধের থেকে জামা সরিয়ে সেখানে চুমু খায়,,ধীরে ধীরে চুমু আরও ঘভির হতে থাকে,,
সানাম চেয়েও এখন ইয়ামানকে সরাতে পারবেনা,,ইয়ামান যা চায় সে সেটা যেভাবেই হোক হাসিল করেই নেয়,,সানাম চুপচাপ সব সয়ে নিচ্ছে,,ধীরে ধীরে সানামের শরিরের থেকে জামা খুলতে থাকে সানাম চোখ খিচে রাখে,,মিলন হলো আজ দুটি আত্তার,, গভির রাতে তারা মিলনের খেলায় মত্ত,,তারা হারিয়ে যাচ্ছে দুজন দুজনের মাঝে,,
সকাল,,
সুর্যের আলো সানামের চোখে পরায় ঘুম ভেংগে যায়,,কপাল কিছুটা কুচকে আসতে আস্তে চোখ খুলে,,সানাম নরতে যাবে সে নরতে পাচ্ছে না,,ঘার ঘুরিয়ে পাশে ফিরে দেখে ইয়ামান উল্টো হয়ে শুয়ে তার মাথার উপর এক হাত আরেক হাত দিয়ে তাকে জরিয়ে রেখেছে,,এক পা তার উপর,,তার গলায় মুখ গুজে রেখেছে,,সানাম দেখে তো পুরো হা,,,এভাবে সাপের মতো পেচিয়ে ধরে কেউ ঘুমুয়?
সানাম ইয়ামানের হাত সরাতে চাইছে কিন্তু নারাতেই পারছে না,,এক ফোটা নরতেও পারছে না,,সে ইয়ামানের মুখের দিকে তাকিয়ে ইয়ামানকে দেখতে থাকে,,এত্ত সুন্দর হেন্ডসাম মেন তার হাসবেন্ড উফফ ভাবতেই লজ্জা লাগে,,,সানাম ইয়ামানকে পর্যবেক্ষন করছে ইয়ামান নরে উঠায় সানামের ধ্যান ফিরে,,সে তারাতারি চোখ ফিরিয়ে নেয়,,পরক্ষনেই ভাবে,,আমি কেন চোখ সরাবো বর আমার যা মন আমি তাই করব হুহহহহ,,,
ইয়ামান চোখ খুলে মাথা তুলে সানামের দিকে তাকায়,,,একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে গলায় চুমু খায়,,সজা হয়ে ঘুমায়,,সানাম উঠে ওয়াশ্রুমে শাওয়ার নিতে চলে যায়,,শাওয়ার নেওয়া শেষ হলে সানামের টনক নরে সে তো জামা আনেনি,,গায়ে টাওয়াল পেচিয়ে দরজা হাল্কা খুলে মাথা বের করে উকি দেয় ইয়ামান ঘরে আছে কিনা,,নাহ ইয়ামানকে তো ঘরে দেখা যাচ্ছে না,,সে টাওয়াল পেচিয়ে বের হয়,,মাত্র বেডের সামনে গেল অমনি খপ করে ইয়ামান সানামকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে,,সানাম ভয়ে হাল্কা চিতকার করে”আহহ”
_আরে আরে আমি তো,,আমার জানকে আমি ছাড়া এভাবে কেউ ধরার সাহস আছে!একদম মেরে মাটিতে পুতে ফেলবো,,
_আল্লাহ,,আপনি তো আমার জান বের করে ফেলবেন,,
_তুমি কি এভাবে এসেছ যাতে আমি আবার কিছু করে বসি তাই না,,(বলেই ঘারে চুমু খায়)
_এই নাহ নাহ,,(নিজেকে ছারাতে ছারাতে)আমি তো জামা কাপর আনি নি তাই আরকি এভাবে এসেছি,, আর আপনি না ছিলেন না কোথা থেকে আসলেন?
ইয়ামানকে ছারিয়ে ভ্রু কুচকে কোমরে হাত দিয়ে,,ইয়ামান তো সানামের কথায় ধ্যায়ান নেই সে টাওয়াল পেচানো সানামকে দেখতে বেস্ত,,সানাম ইয়ামান চোখ অনুসরন করে নিজের দিকে তাকাতেই মনে পরে যায় সেতো টাওয়াল পেচানো,,সে নিজের দিক থেকে চোখ সরিয়ে উপরে তাকাবে দেখে ইয়ামান তার মুখের সামনে দারিয়ে আছে,,ইয়ামান হুট করে হাল্কা নিচু হয়ে সানামের পিছনে হাত দিয়ে তার সাথে একদক মিশিয়ে তার গলায় নাক দিয়ে স্মেল নেয়,,আর সাথে কিস করে,সানাম চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,হঠাৎ তখন দরজায় করা নরে,,সানাম চোখ খুলে ফেলে ইয়ামানকে সরাচ্ছে কিন্তু নাছরবান্দা সরছেই না,,
_ইয়ামান সরুন দরজায় কেউ আছে,,
_উমম,,
_উফফ সরুন তো,,
বলেই হাল্কা ধাক্কা দিল,,ইয়ামান সরে গেল,,ইয়ামান দরজা না খুলেই জিজ্ঞেস করলো,,
_কে?
_আমি,,ইসমি,,
ইয়ামান গিয়ে দরজা হাল্কা খুলল,,,ইসমি বলল
_তোদের আম্মু ডাকে,,আর ওই মেম সাহেব কই?
বলেই দরজায় উকিঝুকি দিতে লাগলো,,ইয়ামান দরজা আরেকটু চাপিয়ে বলল,,
_শুন এক কাজ কর সানামের তো ড্রেস আনা হয়নি তুই তোর ড্রেস থেকে একটা শারি নিয়ে আয়,,
_আচ্ছা,,
বলেই ইসমি শারি আনতে চলে গেল,,ইয়ামান দরজা আটকে দিল,,সানাম ইয়ামানের সামনে এসে বলল,,
_আমি তো শারি পরতে পারি না তাহলে আনতে কেন বলেছেন?
ইয়ামান কোন কথা বলল না সানামের সাথে,,সে কাবার্ড থেকে নিজের জামা নিয়ে ওয়াশ্রুমে শাওয়ার নিতে চলে গেল,,সানাম হা হয়ে গেল,,
_যাক বাবা কি হলো?
ইসমি এসে আবার দরজা করা নারলো,,এইবার সানাম গিয়ে দরজা খুলে দিল,,সানাম হাত বারিয়ে শারি নিয়ে আস্তে করে বলল,,
_এই ইসু আমি তো শারি পরতে পারি না,,
_কি পারিস তাহলে তুই?এখন বিয়ে হয়ে গেছে কয়দিন পর বাচ্চাকাচ্চার মা হয়ে যাবি,,
_এই চুপ শারি পরিয়ে দে,,
কোথা থেকে এসে সানিয়াও হাজির হলো,,সে তার বোনকে টাওয়ালে দেখে হা,,দরজা ঠেলে ইসমি আর সানিয়া ভিতরে ঢুকলো,,
_এই তুই টাওয়ালে কেন?(সানিয়া)
_তাহলে কি উলংগ থাকবো?(সানাম বিরক্ত নিয়ে বলল)
_আরেএএএ,,,আচ্ছা একটা কথা বল সব কি শেষ?(দুই বোন দুই কাধে হাত দিয়ে)
_শেষ তো হবেই দেখছিস না লাভ বাইট,,(ইসমি বলে সানামকে হাল্কা কাধ দিয়ে ধাক্কা দিল)
_সানিয়া ইসমি তোরা দুইটায় খুব পেকে গেছিস,,,
_পেকে গেলাম কই?এখন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে পরের লাইন তো আমার তাই না তাই আগের থেকে একটু যানতে চাইছিলাম এই আরকি,,
_আর আমারতো বড় ভাই বিয়েও করে ফেলেছে পরের সিরিয়াল আমার,,,
_মাত্র 10 এ উঠেছিস বিয়ে দেরি আছে,,এখন পক পক না করে শারি পরাতে হেল্প কর,,
ইসমি আর সানিয়া সানামকে শারি পরাতে হেল্প করলো,,আর তখন ইয়ামান বের হলো,,সানামকে দেখে হা চোখ ফিরাতে পারছে না,,লাল শারি খোলা চুল,, অসাধারণ লাগছে সানামকে,,সানামের মুখের মায়া যেন আরও কয়েকগুন বেরে গেল সানাম ইয়ামানের দিকে তাকিয়ে লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেলে,,ইসমি আর সানিয়া তা দেখে ঠাট্টা করে বলে,,
_নেয়ি দুলহান সারমা গায়ি,,
ইয়ামান তাদের সামনে এসে বলে,,
_এই তোরা এখানে?
_তোমার বউ শারি পরতে পারে না,,তাই আরকি,,
_হুম,,
বলেই দরজার কাছে গেল,,হঠাৎ রামিশা কোথা থেকে এসে ইয়ামানের ঘরে ঢুকে তাকে জরিয়ে ধরলো,,সানাম সানিয়া ইসমি সবাই অবাক হঠাৎ রামিশা এমন করলো কেন?সানামের জিনিসটা মটেও ভালো লাগলো না,,সে রামিশাকে সহ্যই করতে পারে না একদম,,ইয়ামান সানামের দিকে একবার তাকিয়ে এক ঝটকায় রামিশাকে সরিয়ে দিল,,আর বলল,,,,,,
চলবে,,,
(ভুল ত্রুটিগুলো হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন?)