Crazyness
part_3
#sarika_Isam
খুব ভালো ভাবেই সানামের কলেজের ফাস্টডে কাটলো,,কিছু ফ্রেন্ডও বানিয়েছে,,তার বান্ধুবী নামিরার সাথে সে কলেজ থেকে বের হচ্ছিল গেটের সামনে চলে এসেছে ঠিক সে সময় কেউ পিছন থেকে তার হাত ধরে ফেলে,,কেউ হাত ধরায় সানাম আর আগে বারতে পারে না সে সেই হাতের অনুসরন করে ব্যাক্তিটিকে দেখল,,
_আরে রুহান ভাই আপনি,,
রুহান সানামের হাতটা ছেরে দিল,,কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলল,,
_সানাম আমি বলেছিলাম না ডোন্ট কলমি ভাই,,
_ওহ সরি সরি জাস্ট রুহান,,
_হুম নাউ পারফেক্ট,বাসায় যাচ্ছো?
_হুম,,,
_চলো না কোথায় ঘুরতে যাই,,
_নাহ রুহান নট পসিবল আজকে অন্য একদিন ওকেহ,
_হুহ ওকেহ,,(স্যাড হয়ে)
সানাম রুহানের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নামিরাকে নিয়ে বাসার পথে হাটা দিল,,
ইয়ামান ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে,,তার চোখ মুখে স্পষ্ট রাগ সে এখন সানামকে সামনে পেলে যেন কাচা চিবিয়ে খাবে,,ইয়ামান এসেছিল সানামকে পিক করতে এসে রুহানের হাত ধরা দেখে মিজাজ গরম হয়ে গিয়েছিল তাও যথেষ্ট নিজেকে কান্ট্রল করে আগে বারতে নিয়েছিল যখন দেখল তার হাত ধরায় সানাম কিছুই বলল না উল্টো হেসে হেসে কথা বলছে তখন ইয়ামানের এত্ত রাগ উঠেছিল যা বলার মতো না সানামকে সামনে পেলে যেন য্যান্ত পুতে ফেলবে,,
সানাম বাসায় এসে ক্রনিং বেল চাপল,বেশ কিছুক্ষন পর সানিয়া এসে দরজা খুলল,,
_কিরে সানিয়া এত্তক্ষন কোথায় ছিলি এত্ত দেরি লাগে?(জুতা খুলতে খুলতে)
_ভেতরে যা কাল বসে আছে,
_কেন কে এসেছে?
_আজকে তোকে চিবিয়ে খাবে যেইভাবে রেগে আছে আল্লাহ,(বিড়বিড়িয়ে)
_কিরে কি হলো?
_আগে ভিতরে জান আপনি,,
_আচ্ছা,,
সানাম ভিতরে ঢুকে যা দেখল তা দেখার জন্য মটেও সে প্রস্তুত ছিল না,,দেখল সামনে কাচের টি-টেবিল টা ভেংগে টুকরো টুকরো হয়ে আছে,,পুরো লিভিং রুম ভরে আছে কাচের টুকরো দিয়ে,,সোফার উপর ইয়ামান মাথায় হাত ঠেকিয়ে বসে আছে মাথা নিচু করে বসে আছে,,সানাম ধীরে ধীরে খুব সাবধানে তার মার কাছে গেল তার মা আর সানিয়া দাঁড়িয়ে আছে কেউ কোন কথা বলছে না, সানাম মায়ের কাছে গিয়ে মাকে ডাকলো,,সানামেত আওয়াজ শুনে ইয়ামান মাথা থেকে হাত সরিয়ে মাথা তুলল,,সানাম ইয়ামানের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেল,,পুরো মুখ রাগে লাল হয়ে আছে,,ইয়ামান অতটা ফর্শা না তারপরও আজ তার রাগ তার মুখে প্রকাশ পেয়েছে,,চোখ জোরা খুবি হিংস্র লাগছে,,ভয়ে সানামের কাধ থেকে বেগ পরে গেল,,সে তারাতারি ইয়ামানের থেকে চোখ জোরা সরিয়ে নিচে পরে থাকা বেগের দিকে তাকালো, যেই নিচু হয়ে বেগ তুলতে যাবে ওমনি খপ করে ইয়ামান সানামের হাত ধরে ফেলে,,সানামকে টানতে টানতে রুমে নিয়ে গেল,,সানামের মাও বাধা দিল না কারন যানে এখন একমাত্র তার সানামই ইয়ামানের রাগ ঠান্ডা করতে পারবে,,এমন ভবে টানছে সানাম ঠিকভবে যেতেও পারছে না,,তারাতারি যেতে গিয়ে তার পায়ে কাচ ফুটে গেছে,,সানাম হাল্কা স্বরে “আহহহ” বলে উঠে,,কিন্তু ইয়ামান সেদিকে খেয়াল নেই সে সানামকে টেনে সানামের রুমে নিয়ে গেল,,সানামকে রুমে ঢুকে সানামকে ছেড়ে বহুত জোরে দরজা লাগালো,সানাম কেপে উঠলো,,সানাম বুঝতে পারছে না কিসের এত্ত রাগ দেখাচ্ছে,,সানাম সাহস জুগিয়ে বলল,,
_কি,,কি,,সের এত্ত রাগ দে,দেখাচ্ছে?
সানামের কথায় ইয়ামানের রাগটাকে যেন আরও বাড়িতে দিল,,ইয়ামান সানামের দিকে ঘুরে ধীরে ধীরে সানামের দিকে এগুচ্ছে,,সানাম পিছাচ্ছে,,
_আ,আপনি এ,এ,গুচ্ছেন,,
আর বাকিটা বলতে পারলো না সানামের গালে পরলো এক চর,,এত্ত জোরে থাপ্পর দিয়েছে সানামের মনে হচ্ছে তার গাল্টা অবশ হয়ে গিয়েছে,,সানামের চোখ থেকে পানি পরতে লাগলো এক তো পায়ে কাচ লেগেছে অসহ্য যন্ত্রণা করছে তার উপর এত্ত জোরে চরর,,সানামের যেন পুরো দুনিয়া ঘুরছে,,সানাম মাথায় এক হাত দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে গেল,,ইয়ামান সানামের কাছে এসে তার গাল চেপে বলল,,
_কলেজে রঙ তামাসা করতে যাস?নাকি পরতে?(চিৎকার করে বলল)
সানামের এমনেউ কত্ত ব্যাথা তার উপর এই খাটাশ টা কিভবে গাল চেপে ধরেছে সানামের যেন মজ চাইছে এই মুহুর্তে যেন সে অজ্ঞান হয়ে যায়,কিন্তু ওই যে কিসমত,,হলো না সে অজ্ঞান,,সানাম অনেক কষ্টে কিছুটা সাহস জুগিয়ে বলল,,
_প,,প,,ড়তে,,
_তাহলে ওই ছেলের সঙ্গে এত্ত চিপকাচিপকি কিসের?
_ক,,কোন ছেলে?
_কোন ছেলে এখন তুই যানিস না?
সানামের গাল ধরে ধাক্কা দিল,সানাম সিধা গিয়ে বিছানায় পরল,,খাটের সাথে পায়ের কাটা জায়গাটা লাগায় সানাম “আহহহহ” করে উঠলো,,ইয়ামান সানামের মৃদূ চিৎকার শুনে সানামের কাছে ছুটে গেল,,সানামের সামনে বসে সানামের গালে হাত দিয়ে পাগলের মতো বলতে লাগলো,,
_সানাম জান,, কোথায় লেগেছে দেখি,,
বলেই গাল এদিক ওদিক করতে লাগলো,,সানাম পায়ের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে,,ইয়ামান সানামের দিকে তাকিয়ে দেখল ও নিচে তাকিয়ে আছে ইয়ামানও সানামের দৃষ্টি অনুসরন করে সেদিকে তাকালো দেখলো পা কেটে গেছে কত্ত রক্ত পরছে,,ইয়ামান তা দেখে দ্রুত সানামের পায়ের কাছে বসলো,,,সানামের পা ধরতে গেলে সানাম পা পিছিয়ে নেয় ইয়ামা সানামের দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকায় যা দেখে সানাম ভয় পেয়ে যায়,, ইয়ামান আবার সানামের পা ধরল দেখতে লাগলো,,,
_সানাম জান তোমার কবে লাগলো আমাকে বললে না কেন?
পায়ের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,,সানাম ফুপাচ্ছে,,কোন কথা বলতে পারছে না,,ইয়ামান দ্রুত উঠে ফাস্ট -এইড বক্স নিয়ে বসলো সানামের পায়ের সামনে,,খুব সাবধানে সানামের পা বেন্ডেজ করে দিল,,,যেন ব্যাথা সানাম না সে পাবে,,,সানাম এক ধ্যানে ইয়ামানের দিকে তাকিয়ে আছে,, একটা মানুষ কিভাবে পারে এত্ত ভালোবাসতে,,হুম তার ভালোবাসাটা ঠিক সবার মতো না কিছুটা ভিন্ন কিছুটা না পুরুই ভিন্ন কিন্তু তাওতো সে আমাকে কত্তই না ভালোবাসে,,আমি খুবি লাকি যে আমাকে এত্ত ভালোবাসার একজন মানুষ পেয়েছি সত্যিই আমি খুব লাকি,,এইসব ভেবেই নিজের অজান্তেই সানাম হেসে দিল,,ইয়ামান সানামের পা বেন্ডেজ করে দিয়ে সানামের দিকে তাকালো দেখলো সানাম ছলছল চোখে মুখে হাসি দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে,,ইয়ামান সানামের এই হাসির কারন বুঝতে পারল না,,,সে সানামের পাশে বসলো,,সানাম তারাতারি ইয়ামান থেকে চোখ সরিয়ে নিল,,ইয়ামান সানামের গালে আলতো করে হাত রাখলো,,
_দেখ জান আমি চাই না তোমাকে কোন রকম কষ্ট দিতে কিন্তু তুমিই এমন এমন কাজ করো যা আমাকে অনেক রাগ উঠায়,, নেক্স টাইম থেকে এমন কিচ্ছু করবে না ওকেহ?
সানাম কিচ্ছু বলল না শুধু মাথা নাড়ালো,,ইয়ামান সানামের কপালে আলতো ভাবে চুমু দিল,,কপালে কপাল ঠেকালো,,ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে দুইজন,,সানাম তুফানের আশাঙ্কা বুঝতে পেরে উঠে যেতে নিলে ইয়ামান সানামের হাত ধরে বসিয়ে দেয় আর এক মুহুর্ত ওয়েস্ট না করে সানামের ঠোঁট নিজের আয়েত্তে নিয়ে নেয়,,পরম আবেশে তা শুষে নেয়,,সানাম বেচারি চুপচাপ যা হচ্ছে তা শুধু মেনে নিচ্ছে নাহলে তার কপালে শনি আছে,,ইয়ামান বেশ কিছুক্ষন পর ছেরে দেয়,,সানাম জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে,,ইয়ামান তা দেখে হাল্কা মুচকি হাসলো,,সানামের কানের কাছে এসে ঘোর লাগা কন্ঠে বলল,,
-এতটুকেই এই অবস্থা!যখন তোকে নিজের করে নিব তখন কি করবি?
সানাম কিছু না বলে তারাতারি উঠে গেল,,শালা কথার কি ছিরি,, মুখে লাগাম নেই লাগালহীন পুরুষ,,এইসব ভাবছে সানাম,,ইয়ামান সানামকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরল,,পিছন থেকে ধরায় সানাম কেপে উঠলো,,সানামের কাধে চুমু খেয়ে মুখ রাখলো,,সানাম যেন এখন ইয়ামানের প্রতিটা স্পর্শে কেপে কেপে উঠছে,,
_জান তাহলে আমি চলি খুব শিগ্রই তুমি আমার কাছে আমার ঘরে থাকবে,,
বলেই ইয়ামান সানামকে ছেরে তার সামনে গিয়ে দাড়ালো,,সানাম মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে,,ইয়ামান সানামের থুতনি ধরে মুখ উপরে তুলল,,সানাম ইয়ামানের চোখে চোখ রাখলো,,
_তুমি শুধুই আমার,, এই সানাম শুধুই ইয়ামানের মনে থাকে যেন,,
সানাম মাথা দুলালো,,ইয়ামান সানামের কপালে চুমু দিয়ে ঠোটে ডিপলি কস করলো,,সানাম চোখ খিচে বন্ধ করে নিল,,সানামকে ছেরে ইয়ামান সোজা বের হয়ে গেল,,সানামও ইয়ামানের পিছু পিছু গেল পা খুরাতে খুরাতে,,ইয়ামানকে দেখা মাত্রই সানামের মা তার কাছে ছুটে আসলো,,
_আন্টি আমি এখন চলি,,,
_সেকি খাবার খেয়ে যা?
_নাহ আন্টি অফিসে জরুরি মিটিং আছে সেটা ফিনিস করতে হবে এভবেই অনেক ক্ষন ডিলেয় করে দিয়েছি,,
_আচ্ছা ঠিক আছে,,
_আর তুমি ঠিক মতো অসুধ খেও আর এক সপ্তাহ কলেজ যাওয়ার দরকার নেই,,(সানামকে উদ্দেশ্য করে বলল)
_আচ্ছা,,
ইয়ামান সবার থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পরল,,সানামের মা বোন তার দিকে আসলো
_কিরে সানাম কি হয়েছে তোর?
_পা কেটে গেছে,,
_সেকি কিভাবে?
_মিষ্টার সাইকো যেই টেবিলটা ভেংগেছে তার কাচ লেগে,,
_সাইকো তো তোর জন্যই(সানিয়া বলল দাত কেলিয়ে)
_হুম,,(বলেই লজ্জা পেল)
_আয়হায় মাইয়া দেখি লজ্জাও পায়,,(সানিয়া মায়ের কাধে হাত রেখে)
_সানিয়াকি বাচ্চিইইইই,,(বলেই ছুট লাগালো)
একটু সামনে যেতেই সানাম পরে গেল,,
_শুধু পা টা কাটা তাই বেচে গেলি,,
_হুহহহ
বলেক সানিয়া সানামকে উঠালো,,
রাতে তারা সবাই খাবার খেয়ে ঘুমুতে গেল,,আজ সানিয়া সানামের সাথে ঘুমাবে,,সানামের মা তার বাবাকে সব খুলে বলল,,
_ছেলেটা পুরুই পাগল(বলেই হাসতে লাগলো)
_হুম,,আমার মেয়েটা খুবি লাকি এমন একজন ভালোবাসার মানুষ পেল,,(সানামের মার চোখে পানি)
_হুম,, (বলেই সানামের বাবা তার মাকে জরিয়ে ধরল)
এইদিকে,,
সানাম বারে বারে ফোন চেক করছে,,তা দেখে সানিয়া বলল,,
_কিরে কি দেখছিস বারে বারে ঘুমুবি না?
_তুই ই ঘুমা অসভ্য যত্তসব,,
_যাহ বাবা এত্ত চেতার কি আছে?
_কিছু না যাহ,,
বলেই বিছানা থেকে উঠে বারান্দায় চলে গেল,,হাল্কা মেঘলা আকাশ ঠান্ডা বাতাস বইছে,,বাতাসের সাথে সাথে সানামের চোখের পানিও বাতাসে উড়ছে,,
চলবে,,
(ভুল ত্রুটিগুলো হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন?)