#আপনিময়_বিরহ (১৫)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
________________
প্রিয়তা আর প্রিয়মের দিনগুলো ভালোই কাটছে। চুটিয়ে প্রেম করছে দুজনে। সাইমা সাদাফের পেছনে পড়ে আছে। অনিমা একটা পার্ট টাইম জব করছে। শিশিরের অবস্থা আগের থেকে খারাপ। শুকিয়ে গেছে, কালো হয়ে গেছে, সবসময় নিজেকে ঘরবন্দী করে রাখে। দুইটা মেয়ের জীবন নষ্ট করার অপরাধে ভেতর থেকে ভেঙে পড়েছে।। শিলা বেগম ছেলের এই দশার জন্য নিজেকে দায়ী মনে করেন। প্রিয়তা এখনো জানে না অনিমা যে শিশিরকে ছেড়ে চলে গেছে। তনিমা ব্যালকনিতে বসে নিজের মায়ের সাথে ফিসফিস করে কথা বলতেছিলো। তখনই আসে প্রিয়তা। প্রিয়তাকে দেখে কল কেটে দেয় তনিমা। প্রিয়তা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
‘কার সাথে কথা বলছিলি? আমাকে দেখে কেটে দিলি কেন?’
তনিমা হাসার চেষ্টা করে বলে, ‘আ-আরে তেমন কিছু না।’
‘তুই ভালো করেই জানিস তুই মিথ্যা কথা বলতে পারিস না। তাহলে বলছিস কেন?’
তনিমা মাথা নিচু করে বলে, ‘বাড়িতে কথা বলতেছিলাম।’
‘তো এতে এমন করে বলার কি আছে?’
‘আসলে..অনু আপু নাকি শিশির ভাইকে ছেড়ে চলে গেছে অনেকদিন আগে। ওর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না৷ হাজার হলেও আমার বোন তো তাই খোঁজ নিচ্ছিলাম। তুই কষ্ট পাবি ভে…
তনিমাকে কথা শেষ না করতে দিয়েই ব্যস্ত কন্ঠে প্রিয়তা বলে, ‘কি বলছিস এসব? অনু আপুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না মানে! আর তুই আমাকে এতদিনে এসব বলছিস!’
তনিমা অবাক চোখে তাকায়। যে মেয়েটা ওর স্বপ্ন, ভালোবাসা সব ভেঙে গুড়িয়ে দিলো সে মেয়েটার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার জন্য এতো আকুলতা! প্রিয়তা ব্যালকনি ছেড়ে চলে আসতে নিলে হাত ধরে আটকায় তনিমা। বলে,
‘তুই বড় আব্বু, বড় আম্মুকে এসব বলিস না। আমি কাল বাড়ি যাবো। দেখি শিশির ভাইয়ের সাথে কথা বলে!’
প্রিয়তা দমে যায়। শিশিরের কথা শুনেই মনে পড়ে যায় অতীত। প্রথম প্রেম তো একটু কষ্ট হবেই। প্রিয়তা নিজেকে সামলে বলে, ‘আব্বু- আম্মুকে কেন বলবো না?’
‘উনারা টেনশন করবে। আর অনু আপু তো নিজ ইচ্ছায় চলে গেছে তাই ওকে নিয়ে এতো টেনশন না করায় ভালো৷’
প্রিয়তা আর কিছু বলে না। চুপচাপ নিজের রুমে চলে আসে। চুপচাপ কিছুক্ষণ নিজের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকে। ভীষণ কান্না পায় তার। চোখ উপচে যখনই পানি পড়বে তখন হাতে কারো স্পর্শ পায়। ঝাপসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে প্রিয়ম। প্রিয়মের থেকে চোখের জল লুকায় না। উল্টো প্রিয়মের প্রশস্ত বুকে মাথা রেখে হু হু করে কেঁদে দেয়। চমকে উঠে প্রিয়ম। ব্যস্ত গলায় বলে,
‘কি হয়ছে টুনটুনি? কাঁদছিস কেন?’
প্রিয়তা জবাব দেয় না। প্রিয়ম রেগে গিয়ে বলে, ‘কাঁদছিস কেন বলবি তো! কি হয়ছে তোর?’
প্রিয়তা নিজেকে সামলে ভাঙা গলায় বলে, ‘অনু আপু হারিয়ে গেছে।’
প্রিয়ম বুঝতে না পেরে ভ্রু কুঁচকে তাকায়। বলে, ‘তোর অনু আপু কি বাচ্চা যে হারিয়ে যাবে! কি পাগলের প্রলাপ বকছিস?’
প্রিয়তা সবটা বলে। প্রিয়ম ইমোশন তো দুর হেঁসে কুটি কুটি। প্রিয়তা ভ্রু কুঁচকে তাকায়। প্রিয়ম কোনোরকমে হাসি থামিয়ে বলে, ‘তুই এই কারণে কাঁদছিস? সিরিয়াসলি! কিরে বইন তোর কি চোখের পানি বেশি? আশ্চর্য! আরে এটা তো হওয়ারই ছিলো। অনু গেছে ভালো হয়ছে। এবার তোর শিশির ভাই আর শিলা আন্টি শিক্ষা পাবে।’
‘আপনার হাসি পাচ্ছে?’
‘হু পাচ্ছে।’
প্রিয়তা রাগী চোখে তাকায়। প্রিয়ম হেঁসে ফ্লোরে বসে পড়ে। প্রিয়তার চোখ মুখ থেকে রাগ সরে হুট করেই আতঙ্ক আসলো৷ জলদি প্রিয়মের সামনে বসে বলে, ‘আপনি এতো রাতে এখানে আসলেন কেমন করে? আব্বু-আম্মু দেখেনি?’
প্রিয়ম ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে, ‘হবু শ্বশুর-শাশুড়িকে না জানিয়ে তার মেয়ের কাছে আসলে উনারা আবার মাইন্ড করতে পারে। আমি আবার ভদ্র ছেলে।’
প্রিয়তা ভেংচি কেটে ব্যঙ্গ করে বলে, ‘হু ভদ্র ছেলে! ভদ্রর উড়োজাহাজ একদম।’
প্রিয়ম হাসে। দুজনে বসে থাকে অনেকক্ষণ। প্রিয়ম বার বার চোখের পাতা ঝাপটাচ্ছে দেখে বলে, ‘আপনি বার বার চোখ এমন করছেন কেন? কি হয়ছে? ঘুম পাচ্ছে নাকি মাথা ব্যাথা করছে?’
‘মাথাটা ব্যাথা করছে।’
‘মেডিসিন নিছেন? নাকি ওভাবেই দৌড়ে আসছেন!’
প্রিয়ম দুষ্টুমির হাসি হেঁসে বলে, ‘এই যে আমার মেডিসিন নিতে আসলাম। সবাই বলে গার্লফ্রেন্ড চু’মু দিলে সব অসুখ ভালো হয়ে যায়।’
প্রিয়তা প্রিয়মের থেকে ২ হাত সরে যায়। চোখ মুখ কুঁচকে বলে, ‘লুচু! যান এখান থেকে। আর ওইসব ন্যাকামো অন্য কারো কাছে করেন।’
‘তুই তো আমার একটা মাত্র গার্লফ্রেন্ড অন্য কেউ তো নাই। আচ্ছা যা বানাই নিবোনি।’
প্রিয়তা রাগী চোখে তাকায়। প্রিয়ম শব্দ করে হেঁসে দেয়।
পাশাপাশি রুম হওয়ায় উদয়ও তনিমার রুমে চলে এসেছে। তনিমাকে একা একা উদাস হয়ে বসে থাকতে দেখে বলে, ‘মন খারাপ নাকি তোর?’
তনিমা হাসার চেষ্টা করে বলে, ‘না তো।’
‘মিথ্যা বলছিস কেন? সত্যি করে বল।’
তনিমা মাথা নিচু করে বলে, ‘কাল বাড়ি যাবো।’
উদয় প্রথমে অবাক হলেও পরে মুচকি হাসে। তনিমাকে কাছে টেনে নিয়ে বলে, ‘এটুকু কারণে তোর মন খারাপ?’
তনিমা ঝাপসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে, ‘যদি আব্বু আম্মু আর আসতে না দেয়!’
‘আমি আছি না পাগলি! এতো কিসের টেনশন তোর? যাবি চিল মুডে দুদিন থাকবি পরে নিয়ে চলে আসবো।’
তনিমা আর কিছু বলে না। মন যে তার খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে সেইটা বললেও তো বিশ্বাস করবে না।
______________
তনিমা আজ বাড়ি যাচ্ছে। মন কু ডাকছে। তবুও উদয়ের ভরসায় যাচ্ছে। উদয় তাকে আশ্বাস দিয়েছে কিছু হবে না। ঘুরে আসলে ভালো লাাগবে। প্রিয়তারও মন খারাপ। লাগেজ নিয়ে ট্রেনে উঠে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকে উদয়ের দিকে। উদয়ের নিজেরও কষ্ট হচ্ছে তবুও কিছু করার নাই। তনিমা মনের আশ মিটিয়ে উদয়কে দেখে নেয়। ট্রেন ছাড়া না পর্যন্ত উদয়কে মন ভরে দেখে সে। ট্রেন ছাড়ার সাথে সাথে হুট করেই কেঁদে উঠে তনিমা। এ কান্নার কারণ অজানা। উদয়ও ঝাপসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সেদিকে। প্রিয়ম এসে উদয়ের পিঠে চা’পড় মেরে বলে,
‘আরে শা’লাবাবু কান্না করিও না। তোমার হবু বউ মাত্র দুদিনের জন্য গেছে সারাজীবনের জন্য না।’
উদয় কিছু না বলে তাকিয়ে থাকে ট্রেন অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত। প্রিয়ম সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে, ‘পা’গল টেনশন করিস না। চল ভার্সিটির মুখ দেখে আসি।’
উদয়, প্রিয়ম, প্রিয়তা একসাথে ভার্সিটিতে আসে। প্রিয়তা নিজের ক্লাসে যায়। প্রিয়ম আর উদয় যায় তাদের আড্ডায়। সাদাফ, রিমা, নিতু, নোমান আর সামি বসে আছে। সাদাফ চুপচাপ। বাকি ৪ জন গল্প জুড়েছে। প্রিয়ম আর উদয়ও যোগ দেয় তাদের সাথে। প্রিয়ম সাদাফের পাাশে বসে। ধীর কন্ঠে বলে,
‘আমার প্রতি কি সত্যিই তোর এতো অবিশ্বাস?’
সাদাফ রহস্যের হাসি হাসে। তারপর বলে, ‘তোকে এখনো জে’লে দেয়নি এটাই অনেক। আর হ্যাঁ প্রেম করছিস ভালো করে কর। এরপর তো বিরহ নিয়ে থাকতে হবে।’
প্রিয়ম দীর্ঘশ্বাস নেয়। সাদাফ চুপচাপ এক পাশে বসে আছে। এমন সময় হাজির হয় প্রিয়তা আর সাইমা। ভ্রু কুঁচকে তাকায় সাদাফ আর প্রিয়ম। প্রিয়ম প্রিয়তাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
‘কিছু হয়ছে? তুই এখানে কেন?’
প্রিয়তা মিনমিন করে বলে, ‘সাইমা একটু সাদাফ ভাইয়ের সাথে কথা বলবে। তাই!’
প্রিয়ম কিছু না বলে প্রিয়তাকে সরিয়ে নিয়ে দুরে দাঁড়ায়। বাকি সবাইও দূরত্ব নেয়। সাইমা চোখের দৃষ্টি একবার এদিক তো একবাার ওদিক করছে। সাদাফ চোখ মুখ কুঁচকে বলে, ‘কি সমস্যা?’
সাইমা চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে নিয়ে সোজাসাপ্টা বলে, ‘আই লাভ ইউ।’
সাদাফ ‘থ’। বলে কি! পা থেকে মাথা পুরোটা পর্যবেক্ষণ করে বলে, ‘সিরিয়াসলি!’
বলেই হু হা করে হাসতে থাাকে। সাইমা নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে থাকে সাদাফের হাসির দিকে। সাদাফ কিছুক্ষণ হেঁসে বলে, ‘বলা হয়ে গেলে আসতে পারো।’
সাইমা কি বলবে বুঝে পায় না। ভয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘আ-আমার আন্সার!’
‘তুমি কি গাা’ধা নাাকি অন্যকিছু! তোমাকে চলে যেতে বলেছি মাানে তোমাকে রিজেক্ট করেছি।’
সাইমা আর দাঁড়ায় না। উল্টো ঘুরে কোনোদিকে না তাকিয়ে ঝাপসা চোখে সরে আসে। প্রিয়তা জলদি সাইমার পিছু পিছু আসে। সাইমা কমন রুমে এসে ব্যাগ ছুড়ে ফেলে বসে পড়ে। তার ভীষণ রকম কান্না পাচ্ছে তবুও সে কাঁদবে না। হয়তো সাদাফ এখনো সামিরাকেই ভালোবাসে তাই জন্যই ওকে রিজেক্ট করলো। কিন্তু সেও হাল ছাড়বে না। নিজের ভালোবাসাটা সে নিবেই। প্রিয়তা চুপ করে এসে সাইমার পাশে বসে।
_______________
কফিশপে বসে আছে অনিমা আর তার কলিগ অয়ন। দুজনেই নিশ্চুপ। অয়নকে একটু আগে নিজের অতীতটাা জানিয়েছে সে। অয়ন তাতে নিশ্চুপ হয়ে গেছে। নিরবতা ভেঙে অনিমাই বললো,
‘আমি তবে আসি। আমার মেয়েটা অপেক্ষা করছে।’
অয়ন চোখ তুলে তাকায় তার দিকে। তারপর বলে, ‘হুম যান। তবে একটা কথা বলবো?’
‘জ্বি বলেন।’
‘আপনি ভুল না একটা অন্যায় করেছেন। কিন্তু আপনি তাতে অনুতপ্ত তাই আমার মনে হয় আপনার একটাবার প্রিয়তার সাথে কথা বলা উচিত।’
অনিমা কিছু বলে না। অয়ন ফের বলে, ‘আমরা সবাই স্বার্থপর। বিশেষ করে ভালোবাসার মানুষটার দিক দিয়ে। আমরা এক পাক্ষিক ভাালোবাসলেও তাকেই পেতে চাই। তাই সে মানুষটা আমাদের হতে চাইলে তখন আমরা সব থেকে বেশি স্বার্থপর হয়ে যায়। এটা আপনার ক্ষেত্রেও হয়েছে। ঝোকের বসে ভুল করে ফেলেছেন। মানুষ মাত্রই ভুল। আর যদি সে মানুষটা অনুতপ্ত হয় তাহলে তো ক্ষমা করে দেওয়া যায়। আমার মনে হয় প্রিয়তাও বুঝবে।’
অনিমা মলিন হাসে। বলে, ‘কোন মুখ নিয়ে দাঁড়াবো ওদের সামনে? তার থেকে ভালো ওরা ভালো থাকুক।’
অয়নকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বের হয়ে আসে অনিমা। সেদিকে তাকিয়ে থাকে অয়ন। প্রথম দেখাতেই ভালো লাগা মেয়েটির স্বার্থপরতা দেখে বুকে চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হলো। তারও বুঝি আপনিময় বিরহ শুরু।
অনিমা ফুটপাত ধরে হাটতেছে আর জীবনের সব অতীত বর্তমানের হিসাব মিলাচ্ছে। সে ভালো ভাবেই বুঝে অয়ন তাকে পছন্দ করে। শুধু পছন্দ বললে হয়তো ভুল হবে। এর থেকেও বেশি কিছু আছে তা বোঝার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো আজ সবটা বলে দিলো যাতে লোকটা তার থেকে দুরে থাকে। নানানটা চিন্তার মাঝেই বাড়ি চলে আসে। কলিং বেল বাজাতেই দদরজা খুলে দেয় তানিয়া৷ দ্রুত কন্ঠে বলে,
‘তোর মেয়েকে তুই সামলা বইন। আমার সব চুল ছি’ড়ে ফেলছে তোর জন্য।’
অনিমা হেঁসে বলে, ‘যাস কেন ওর সাথে লাগতে!’
তানিয়া জিহ্বায় কামড় দেয়। অনিমা ব্যাগ রেখে মেয়ের কাছে যায়। ৩ মাস হলো সে একটা বাচ্চা এডপ্ট করেছে। অন্তত একা জীবনের সঙ্গী হয়ে এই বাচ্চাটাই থাক। বাচ্চাটার বয়স মাত্র ১ বছর।
_____________
উদয় বার বার কল দিচ্ছে তনিমাকে কিন্তু তনিমা কিছুতেই রিসিভ করতেছে না। টেনশনে পুরো পাগল পাগল অবস্থা। দ্রুত সে ছুটে যায় প্রিয়তার কাছে। প্রিয়তা উদয়কে এমন উদ্ভ্রান্তের মতো দেখে ভয় পেয়ে যায়। বলে,
‘কি হয়ছে ভাইয়া? এমন করছিস কেন?’
‘দেখ না তনিমা কল তুলছে না। তুই একটু কল দে না ওরে।’
প্রিয়তা কোনোরকমে শান্ত করে উদয়কে। তারপর কল লাগায় তনিমার ফোনে। বেশ কয়েকবার কল যাওয়ার পর রিসিভ হয়। প্রিয়তা হ্যালো বলতেই বুঝতে পারে এটা অন্য কারো কন্ঠ। হন্তদন্ত হয়ে বলে,
‘কে আপনি? তনু কই?’
ওপাশ থেকে শান্ত গলায় বলে, ‘তনুকে তো আজ পাত্রপক্ষ দেখতে আসছে। আজই আকদ হওয়ার কথাা ছিলো। কিন্তু তনু আজ জার্নি করে আসার ফলে অনেকটাই ক্লান্ত। তাই আকদ কাল ঠিক হয়েছে।’
কথাটা শুনে দুই ভাই বোনই বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো৷ কি বলবে বুঝতে পাারলো না। কলটা কেটে দিয়ে আস্তে করে বসে পড়ে বিছানায়। উদয় কিছুক্ষণ চুপ থেকে কঠিন স্বরে বলে,
‘প্রিয়ু তুই বাবা মা কে সামলা আমি আর তনু আজ রাতেই পালাবো।’
চলবে..