এক ফাগুনের গল্প part 5

0
286

এক_ফাগুনের_গল্প
পর্বঃ-০৫

– ছাত্রছাত্রী আছে তাদের টিউশনি বন্ধ দিয়ে এসেছি যে কাজে আসা সেটা যেহেতু অসমাপ্ত তাই শুধু শুধু থেকে কি লাভ? মনমানসিকতা বেশি ভালো না তাই অনেক কিছু মন চাইলেও করতে পারি না।

– আমি কিন্তু আপনার জীবনী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী প্রকাশ করেছি আর আপনি কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছেন।

– যদি বেঁচে থাকি তবে অবশ্যই জানাবো, তবে যেই ডায়েরিতে “এক ফাগুনের গল্প” লেখা আরম্ভ করার আগেই কলমের কালি ফুরিয়ে যায়। সেই কপাল পোড়া ডায়েরিটার অসমাপ্ত কথাগুলি না জানাই ভাল হবে মনে হয়।

– দেখুন, ডায়েরি লিখতে গিয়ে যদি কলমের কালি ফুরিয়ে যায় তবে তার জন্য সে কেন কপাল পোড়া হবে? বরং সেই কলমের কপাল খারাপ কারণ সে সেই ডায়েরির গল্পের কালি হতে পারে নাই। চাইলে কিন্তু নতুন একটা কলম দিয়ে নতুন করে গল্প লেখা আরম্ভ করা যায়। জানি আগের কলমের কালির সাথে হয়তো মিশবে না কিন্তু দুটোই কলম আর দুটো কলমের কিন্তু লেখা হবার ক্ষমতা আছে। আপনি কিন্তু চাইলেই গল্পের পরবর্তী অংশগুলো নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারেন। এমন তো হতে পারে নতুন সেই গল্প লেখার ধরন আগের চেয়ে আরো বেশি আনন্দের হবে।

– যেমন?

– আপনি হচ্ছে গল্প লেখার হাতিয়ার আর আপনার জীবন হচ্ছে কথিত ডায়েরি। আর যিনি চলে গেছে তিনি হচ্ছেন জীবনে চলার পথে সঙ্গী বা গল্প লেখার কলম।

– তুমি অনেক বুদ্ধিমতী, তোমার সাথে কথা বলে ভালো লেগেছে। যদি আর কোনদিন খুলনা শহরে আসি তাহলে তোমার সাথে দেখা হবে।

– এখন কি সত্যি সত্যি চলে যাচ্ছেন?

– হ্যাঁ টিকিট কনফার্ম, আঙ্কেলের কাছে কিছু বলার মতো সাহস হয়নি বলে কল করিনি। ভেবেছিলাম চট্টগ্রামে পৌঁছে কথা হবে কিন্তু তোমার সাথে যখন দেখা হয়ে গেছে তাই তুমি বলে দিও।

– আঙ্কেল টা যেহেতু আপনার তাই আপনি নাহয় বলে দিবেন।

– ঠিক আছে তোমাকে কষ্ট করতে হবে না।

– মাঝে মাঝে কল দিয়ে বিরক্ত করতে পারি আশা করি রিসিভ করে বিরক্ত হতে আপত্তি নেই।

– না নেই।

– মেলা মেলা ধন্যবাদ।

বাসের মধ্যে উঠে আমি মোবাইল চালু করলাম কিন্তু অর্পিতা কল দিল না আর। সারা রাস্তা ভ্রমণ করেছি তবুও সে একটা বারের জন্য কল দিল না।

★★★

তিনদিন পর টিউশনিতে যাচ্ছি, মারিয়ার কাছে কল দিয়ে আগেই বলেছি যে আমি আসছি। চট্টগ্রাম থেকে এসে বাসায় গিয়ে এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করলাম সাথে অন্য দরজা দিয়ে বাহির হলাম।

মারিয়াদের বাসায় যখন পৌঁছলাম তখন পাঁচটার একটু বেশি বাজে। মারিয়ার বাবা বাসায় ছিল তবে মারিয়ার নাকি প্রচুর মাথা ব্যথা হচ্ছে তাই সে আজ পড়তে পারবে না।

“আমি মারিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম তাহলে আমাকে আসতে বললে কেন? ”

” স্যার তিনদিন পর আসছেন তাই ভাবলাম একটু দর্শন দিয়ে যান আর তাছাড়া আপনার তো কাজ নেই তাই ডাকলাম। বিরক্ত হয়েছেন? ”

– না ঠিক আছে, দেখা তো হলো তাহলে যাই?

– বসেন, বাবা ড্রইং রুমে আছে চা-নাস্তা দিচ্ছি খেয়ে তারপর যাবেন।

– আচ্ছা ঠিক আছে।

মারিয়ার বাবা লোকটা ভালো মানুষ, দু তিনটা ছোট ছোট ব্যাবসা আছে, বেশিরভাগ সময় সপ্তাহে দুদিন বা একদিন দেখা হয়।

– আসো সজীব, বসো, কেমন আছো?

– জ্বি আলহামদুলিল্লাহ, আপনার শরীর কেমন?

– চলছে আলহামদুলিল্লাহ, তারপর কেমন কাটিয়ে এলে সুন্দরবন এলাকার খুলনা শহরে?

– জ্বি ভালোই।

– তোমার জন্য একটা সু-খবর আছে।

– আমার জন্য?

– হ্যাঁ, তোমার একটা সিভি দিয়েছিলে আমাকে মনে আছে তোমার?

– জ্বি আঙ্কেল মনে আছে।

– আমি সেটা ঢাকা আমার এক বন্ধুর কাছে দিয়ে একটা ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম। আমার সেই বন্ধু গতকাল কল দিয়ে জানাল তার অফিসে তোমার একটা জবের ব্যবস্থা হচ্ছে। আমি কালকেই জানাতে চাইলাম তোমাকে কিন্তু ভাবলাম যে বেড়াতে গেছ তাই তাড়াহুড়ো করার দরকার কি?

– তাড়াহুড়ো হতো না, তবুও আলহামদুলিল্লাহ।

– তুমি দু একদিনের মধ্যে ঢাকা চলে যাবে, সেখানে গিয়ে আমার বন্ধুর সাথে দেখা করবে উত্তরা। আমি তোমাকে ওর মোবাইল নাম্বার এবং বাসার ও অফিস এর ঠিকানা লিখে দিচ্ছি। চাকরি বেশি বড় না হলেও একদম ছোট নয়, তুমি মোটামুটি ভালো স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারবে।

– আমার কোন সমস্যা নেই, একটা ছোট জব পেলে সেটা দিয়ে আস্তে আস্তে উন্নতির চেষ্টা করবো।

– ভেরি গুড, ঠিক আছে তাহলে নাস্তা করো।

– আচ্ছা।

– চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আঙ্কেল বললেন, তোমার চাকরির ব্যবস্থা হয়ে গেল এখন আমি কিন্তু পরলাম নতুন বিপদে।

– কেন আঙ্কেল?

– মারিয়ার জন্য নতুন মাস্টার খুঁজতে হবে, ভালো একটা টিউশনি করানোর লোক পাওয়া মুশকিল। একটা জিনিস লক্ষ্য করবে, যিনি যেই অবস্থায় আছে তিনি সেখান থেকে বিপদে আছে। অনেক ছেলে ভাবছে যদি একটা টিউশনি পাওয়া যায় তাহলে খুব ভালো হবে। আবার আমার মতো বাবারা ভাবছে যে যদি কোনো ভালো মাস্টার পাওয়া যায় তাহলে মেয়ে পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া যায়।

– জ্বি তা ঠিক বলছেন।

– আমার বন্ধু অনেক ভালো মনের মানুষ, তুমি তার সাথে মন রক্ষা করে সততার সঙ্গে কাজ করতে থেকো দেখবে সফলতা আসবেই। আমার নিজের হচ্ছে টুকটাক ব্যবসা তাই তার মধ্যে তোমাকে নিতে পারি না। আমি চাই তুমি অনেক ভালো একটা জব করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হও।

– দোয়া করবেন আমার জন্য।

– হ্যাঁ সবসময় করি।

অর্পিতার উপহার দেওয়া ঘড়িটা ছিল তারমধ্যে মারিয়া আরেকটা ঘড়ি কিনে রেখেছে। আগামীকাল থেকে আমি আর আসবো না আমার চাকরি হয়ে গেছে সেটা হয়তো আমার আগে সে জেনে গেছে। তাই হয়তো আজকে আর পড়তে বসেনি, খুব ইচ্ছে ছিল মারিয়াকে পরীক্ষায় ভালো একটা রেজাল্ট করাবো কিন্তু চলে যেতে হচ্ছে শহর ছেড়ে। চট্টগ্রামে যদি জবটা হতো তাহলে তো সমস্যা ছিল না মারিয়া কে পড়াতে পারতাম।

পরদিন দুপুরে আমি জিইসি মোড় থেকে শ্যামলী পরিবহনে ঢাকা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। বাবার কাছে বলেছি যে ছোটখাটো একটা জবের ব্যবস্থা হচ্ছে তাই ঢাকা যেতে হবে। বাবা দশ হাজার টাকা আমাকে দিয়ে বললোঃ-

” দোয়া রইল একদিন অনেক বড় হবি, আর এই টাকা আমি তোর জন্য রেখেছিলাম। যেকোনো একটা উপকারে কাজে লাগবে ভেবে তুলে রেখেছি সবার অজান্তেই। এখন যেহেতু চাকরি হয়েছে তাই টাকাটা দরকার হবে কারণ নতুন স্থানে গিয়ে বেতন পাওয়া পর্যন্ত একমাস থাকতে হবে খেতে হবে। আর নিজের যাবতীয় খরচাপাতি তো আছেই তাই টাকা টা খুব কাজে দেবে। ”

” আমি হাত বাড়িয়ে টাকা নিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে তারপর চলে এসেছি। বাবার মনের মধ্যে আমি তো ঠিকই আছি এবং ভালবাসাও আছে কিন্তু সেটা প্রকাশ করতে পারে না। নিজের স্ত্রীকে নিজেই বাবা কন্ট্রোল করতে পারে না বলে মানসিক কষ্টটা বেশি।

সত্যি সত্যি জবের ব্যবস্থা হয়েছে, বেতন যা দেবে সেটাই অনেক। তারচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আঙ্কেলের সেই বন্ধু আমার থাকার ব্যবস্থা নিজে করে দিছেন।
প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অফিসের ডিউটি। অবশেষে নিজের নামের পাশ দিয়ে বেকার শব্দটা দূরীভূত হয়ে গেল। মনের মধ্যে একটা তৃপ্তি পাচ্ছি কিন্তু অর্পিতার জন্য সম্পুর্ন ভেতরটাই শূন্য মনে হয়।

যে সময় গুলোতে ওর সাথে কথা বলতাম সেই সময় গুলোতে তার কথা বেশি মনে পরে। সারাদিন কাজ এর মধ্যে থাকি তারপর দিনশেষে সকল ব্যস্ততার গ্লানি মোচনের পরে যখন বাতি বন্ধ করে অন্ধকারে বিছানায় শুয়ে থাকি, অথবা বেলকনিতে পরিচিত সেই আরএফএল এর চেয়ারে বসে থাকি। তখন অর্পিতাকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন গুলো জাগ্রত হয়ে যেন কাছে এসে বসে।

তবুও এভাবেই

দিন পেরিয়ে রাত আসে
আর রাত পেরিয়ে ভোর।
মনের কষ্ট মনেই থাকে
ব্যাকুলতায় বিভোর।

তিনমাস পেরিয়ে গেছে, এর মধ্যে অর্পিতার নাম্বারে বারবার কল করেছি কিন্তু নাম্বার বন্ধ। ফেসবুকের সেই আইডি ডিটেকটিভ করা, যোগাযোগ করার সকল পথ বন্ধ। মাঝে মাঝে মনে হয়, সত্যি সত্যি সে আমাকে ভালবেসেছে তো?

বৃষ্টির সাথে মাঝে মাঝে কথা হতো, কিন্তু তারো বিয়ে হয়ে গেছে দেড় মাসের বেশি সময় হয়ে গেছে। আমি অবশ্য তার বিয়ের দাওয়াত পেয়েছি কিন্তু অফিসের কাজে সিলেটে গেছিলাম তাই যেতে পারিনি। বৃষ্টি তার স্বামীর সাথে ঢাকাতেই থাকে তবে বেশিরভাগ সময় খুলনা থাকে কারণ পড়াশোনা রানিং। ৩/৪ বার ঢাকা এসে তাদের বাসায় যাবার জন্য বলেছে কিন্তু ব্যস্ততার জন্য যেতে পারি নাই। তবে শেষবার কথা দিয়েছি যে পরবর্তীবার সে ঢাকা আসলে আমি অবশ্যই যাবো।

টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থেকে ফিরছিলাম, গাজীপুরের চন্দ্রা “নন্দন পার্ক” এর সামনে হঠাৎ জ্যামে পরে গেলাম। সচারাচর এখানে জ্যাম থাকে না কিন্তু আজ সামনে কি হলো বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে বাসে একটা মেয়ে উঠলো, বোরকা পরিহিত এবং ওড়না ও স্কার্ফ দিয়ে সম্পুর্ন মুখ ঢেকে রাখা শুধু চোখ দুটো বের করা আছে। চোখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম, আমি সামনের দিকে বসে থাকার কারণে আমার চোখে চোখাচোখি হয়ে গেল। একটু পরে সে তার ব্যাগ থেকে দুটো করে চকলেট বের করে সবার হাতে হাতে দিতে লাগলো। চকোলেটর সঙ্গে ছোট্ট একটা চিরকুট, আমার কাছেও দেওয়া হয়েছে।

আমি চিরকুট পড়লাম।

আসসালামু আলাইকুম।
আমার মা অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। মায়ের অপারেশনের জন্য অনেক টাকার দরকার, আমি অনেক কষ্টে অপারেশনের টাকা যোগাড় করেছি। কিন্তু এখনো ওষুধ পত্র ও খাবার জন্য খরচের দরকার আছে। তাই আপনাদের সামনে ভিক্ষা করতে না এসে কিছু চকলেট নিয়ে আসলাম। দুটি চকলেট নিয়ে আপনারা আমাকে পাঁচ টাকা দিবেন তাহলে এতে আমার যা লাভ হবে তা দিয়ে মায়ের ওষুধ ও পেটের খাবার ব্যবস্থা হবে।

বিঃদ্রঃ- দয়া করে কেউ কাগজটি ছিঁড়বেন না, পড়া শেষ করে চকলেট না কিনলেও কাগজটা ফিরিয়ে দিন।

কেউ চকলেট কিনলো আবার কেউ কিনলো না, মেয়েটা সবার কাছ থেকে আবার যারা কিনেছে তাদের কাছ থেকে টাকা আর কাগজটা নিচ্ছে। আর যারা কিনে নাই তাদের কাছ থেকে চকলেট ও কাগজ নিয়ে যাচ্ছে। আমিও পাঁচ টাকা বের করে দিয়ে কাগজটা ফিরিয়ে দিলাম। মেয়েটা একবার তাকিয়ে তারপর বাস থেকে নেমে গেল।

আমি কি ভেবে যেন একটু সামনে এসে নিজেও নেমে গেলাম, সাথে শুধু একটা ছোট্ট ব্যাগ ছিল। আমি বাস থেকে নেমে দেখি মেয়েটা আমাদের পিছনে আরেকটা বাসের মধ্যে উঠে গেছে। আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম, জ্যামের জন্য বাস গুলো থেমে থেমে চলছে। কিছুক্ষণ পরে বাস থেকে নেমে সে আমাকে দেখতে পেয়ে চোখের ভ্রু কুঁচকে নিল। কিন্তু কিছু না বলে আবার পরবর্তী বাসের মধ্যে উঠে গেল।

এভাবে সে সাতটা বাসের মধ্যে চকলেট বিক্রি করে করে বের হচ্ছে আর আমি তাকে অনুসরণ করে যাচ্ছি। সপ্তম বাস থেকে নামার পরে জ্যাম শেষ হয়ে বাসগুলো জোরে চলতে আরম্ভ করলো। মেয়েটা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রইলো, আমি আস্তে আস্তে তার সামনে গিয়ে বললামঃ-

– এভাবে কি সারাদিন বিক্রি করবেন?

– হ্যাঁ যতক্ষণ চকলেট শেষ না হবে ততক্ষণ।

– কতগুলো আছে?

– যা আছে তাতে রাত নয়টা বেজে যাবে।

– আমি কি আপনার সাথে কোথায় বসে বসে এক কাপ চা খেতে পারি?

– কেন?

– আপনি এতটা পরিশ্রম করছেন দেখে ভালো লাগে তাই প্রস্তাব দিলাম।

– মেয়েটা হুট করে বললো, আচ্ছা আপনি নিজেকে কি হাইব্রিড প্রজাতিরর উন্নতমানের বুদ্ধিমান মনে করেন ?

– কেন কেন কেন?

– ৬/৭ টা সামনের বাসের মধ্যে আপনি ছিলেন, তারপর পিছন পিছন বাস থেকে নেমে ফলো করে যাচ্ছেন। কিন্তু কেন?

– রেগে যাচ্ছেন কেন? সুন্দরী মেয়েরা রাগ করে কথা বললে ভালো লাগে না।

– কীভাবে জানলেন আমি সুন্দরী?

– আপনার চোখ দুটো অনেক সুন্দর তাতেই বোঝা যাচ্ছে আপনি সুন্দরী হবেন।

– ওরে বাটপার, ওরে ছিটার।

– আবার কি হলো?

– চোখ দুটো সুন্দর মনে হচ্ছে তাই সম্পুর্ন চেহারা দেখার জন্য চায়ের নিমন্ত্রণ করা হচ্ছে তাই না? চা খেতে হলে মুখের স্কার্ফ খুলতে হবে তখন চট করে দেখে নেবার ধান্দা তাই না? ওরে বাটপার।

( নায়কের চাকরি আমার হাতে ছিল তাই তাকে চাকরি দিয়ে দিলাম কিন্তু আমার চাকরি আল্লাহর হাতে না জানি আল্লাহ কখন ব্যবস্থা করে দিবেন।)

চলবে…?
লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here