বান্ধুবিকে প্রপোজ,Part – 3
writer -ArFin SuMon
জুলি কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।
যাওয়ার আগে জুলি আমাকে হয়তো কিছু
বলতে চেয়েছিল তবে বলেনি।
পরের দিন জুলি আমাকে কল করল।
জুলিঃ- কিরে কি করস?
আমিঃ- এইতো বসে আছি।
জুলিঃ- কেন কেন তুই তো রাতে বসে থাকিস
নাহ।প্রতিদিন তো বলতি আমি তোকে
বিরক্ত করি।
তাই তুই ঘুমিয়ে পড়তে চাস।
আমিঃ- আসলে সেটাই তুই প্রতিদিন আমাকে
বিরক্ত করতি।আজ তোকে বেশি মিস
করছি।কেন না তুই পাশে নেই।তাই বসে
বসে তোর কথা ভাবছি।
আচ্ছা সবকিছু কি তুই লুকিয়ে রাখতে
শিখে গেছোছ।
জুলিঃ- কেন আমি আবার তোর কাছে
কি লুকালাম।
আমিঃ- এই তো তুই তোর চোখের জল আমার কাছ
থেকে লুকিয়ে রাখতেছোছ।
জুলিঃ- তুই আমাকে এত ভালো কি করে
বুঝস।
আমিঃ- জানি না রে।
তবে তুই পাশে না থাকলে জীবনটা এলো
মেলো থাকে।
জুলিঃ- আমারও তোর জীবন গুছিয়ে
দিতে না পারলে।নিজেকে একা লাগে।
কিন্তু কি করবো বল।নিয়তি আজ তোর
আমার পাশে নেই।
আমিঃ- হুম।
.
জুলি কাঁদতে কাঁদতে চোখর জল শেষ
করে ফেলছে।
কেনই বা কাঁদবে নাহ আমরা কখনো এত
দূরে থাকি নি।
আমাদের বন্ধুত্ব সেই ক্লাস নাইন থেকে।
আমরা একে অপরের সাথে অনেক ভালো
বোঝা পরা করে পড়ালেখা করেছি।দুইজন
এক জায়গায় এক কোচিং, এক স্কুল ।
তবে এখন আর জুলি আমার সাথে নেই।
.
সেদিন কলেজে যাবার সময় জুলিকে
নিয়ে ক্লাসের ফেরেন্ডরা অনেক বাজে
কথা বলে।
তাই আমি তাদের সাথে অনেক
মারামারি করি।
সারাদিন পর রাতে যখন জুলি কল দিল।
ঠিক তখন..
জুলিঃ- কিরে চুপ কেন নিশ্চিত কিছু একটা
হয়েছে। কি করেছিস বল?
আমিঃ- আরে তেমন কিছু নাহ।
জুলিঃ- আমি জানি বড় কিছু হয়েছে কি বল?
আমিঃ- আজ কিছু ছেলেকে
অনেক মারছি।আর একজনের হাত ও ভেঙে
ফেলছি।
জুলিঃ- কেন?
আমিঃ- আরে ওরা তোকে নিয়ে বাজে কমেন্টস
করছিল তাই।
জুলিঃ- তোহ তুই আমার জন্য কেন মারামারি
করতে গেলি। আমাকে কেউ কিছু বললে
তোর কি?
আমিঃ- আমার অনেক কিছু তুই জানোস নাহ
তোকে আমি ভালোবাসি।
জুলিঃ- হুম। তাহলে অবশেষে এই কথা টা তোর মুখ
থেকে বের হল।
আমিঃ- কোন কথা?
জুলিঃ- এই যে তুই আমাকে ভালোবাসিস।
তো আগে কেন বলোস নি।এখন আমি দূরে এখন
বলতে আছছোছ। আমি তোর সামনে
থাকলে তোকে কসাইয়া একটা থাপ্পর
মারতাম।
আমিঃ- হুম তো এখন মার।
আমি গাল টা পাতলাম মোবাইলে।
তখন জুলি আমাকে হালকা করে একটা চুমু
খেলো।
আমিঃ- কিরে এটা কি করলি?
জুলিঃ- তোকে ভালোবাসার ছোঁয়া দিলাম। I Love u
too পাগল
আমিঃ- হুম আমিতো পাগল। কিন্তু সেই পাগলের
পাগলি হবি তুই।
জুলিঃ- ওকে হব। পারলে সামনে এসে প্রপোজ
করে যাহ দেখি।
আমিঃ- ওকে একদিন আসবো তুই তৈরি থাকিস।
জুলিঃ- আমি সব সময় তোর জন্য তৈরি।
.
এভাবেই দিন কাটছিল আমাদের।
সারাদিনের ব্যস্ততা আর রাতে জুলির
পাগলামি আর রাগ মেশানো কিছু খুনশুটি।
দিন যায় আমি জুলি কে আরো বেশি
ভালোবেসে ফেলেছি।
আর জুলি তো আমাকে ভালোবাসে তার
কোন সন্দেহ নেই।
.
আমার ভার্সিটি শেষ হল।আমি চিন্তা
করলাম জুলিকে সারপ্রাইজ দিব।
এবার গিয়ে জুলিকে সামনাসামনি
প্রপোজ করবো।
আমার এত দিনের পতিক্ষা আজ শেষ হবে।
আমি বাসে উঠলাম ফোনটা অফ করলাম
বাসা থেকে বলে এসেছি..
– ভার্সিটির পরীক্ষা শেষ তাই ভার্সিটি
থেকে সবাই টুরে যাচ্ছি।
আমাদের ওই খান থেকে জুলিদের
গ্রামে যেতে প্রায় একদিন লাগে।
অনেক বড় একটা জার্নি। তাই আমি সব
কিছু অফ করে গান শুনছিলাম।
কিছুদূর না যেতেই আমাদের বাসটা
এক্সিডেন্ট করে।
তারপর..
.
.
চলবে……..
