#সুপ্ত_বাসনা
লেখিকা সুরিয়া মিম
অন্তিম পর্ব- ৩০
মিম গাল ফুলিয়ে বলে,
– “সবাই খুব খারাপ অসহ্য।” কয়েকদিনের মধ্যেই ইমান এবং মিমর বিয়ের তোরজোড় শুরু হয়ে গেলো।মিম কথায় কথায় ইমান’কে বললো,
– “ইশান ভাইয়া! বিয়েতে থাকলে ভালোই হতো।” ইমান মিমের কথা শুনে মৃদু হাসলো।তারপর মেহেদীর অনুষ্ঠানে হঠাৎ সে মিম’কে ফোন করে বললো,
– “তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে মিষ্টি,তাড়াতাড়ি নিচে আসো।” মিম সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে বাড়ির চৌকাঠে ইমানের সাথে ইশান’কে দেখে রীতিমতো চমকে গেলো আর সাথে সাথেই ও ছুটে এসে ইমান এবং ইশান’কে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো।ইশান মিমের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বলে,
– “আমি কি তোমার জন্মদিনে গিফট দুষ্টু? তুমি নাকি এটাই ইমানের কাছে চেয়েছ?” তখন আমির সাহেব কেক নিয়ে এসে মেয়ে’কে বুকে জড়িয়ে ধরে বলে,
– “তোমাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা আম্মু।” মিম হাসতে হাসতে বাবার গলা জড়িয়ে ধরে বলে,
– “আজ আমার জন্মদিন বাবা? বেমালুম ভুলে গিয়ে ছিলাম তো?” আমির সাহেব মেয়ের কথা শুনে মৃদু হেসে বললেন,
– “তুমি একদম তোমার দাদির মতো হয়েছ।” মিম বললো,
– “আই এম সরি বাবা,তুমি আর মা আমার জন্য আমার কথায় কত কষ্ট পেয়েছ।” আমির সাহেব আবারো মেয়ের কথা শুনে হাসতে হাসতে বলেন,
– “আমি ওসব মনে রাখিনি মা! তুমি কেন আজও ওই….সব মনে রেখেছ?”
– “আমি খুব খারাপ মেয়ে তাই না বাবা?”
– “তুমি এবার কিন্তু শুধুশুধু কান্না করছ,তুমি কিছু করনি মা,আই এম সরি আমি ভুল ছিলাম বললাম তো।” শোভা এসে মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বললেন,
– “হয়েছে মা! আর কেঁদো না প্লিজ,এবার থামো? কখনো ভেবে দেখেছ? তোমার বিয়ে হয়ে গেলে আমি আর তোমার বাবা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দু’জন কি করে থাকবো? তুমি’ই তো তোমার ভাইয়া,আপু আর স্পন্দন থেকের আমাদের কাছে বেশি থেকেছ।” স্পর্শ এসে বাবা-মা’কে বুঝিয়ে বলে,
– “তোমার যদি এভাবে কান্নাকাটি করতে থাকো,তাহলে ও কেঁদে কেঁদে ঘর ভাসিয়ে দেবে তো?” আফরিন এসে শোভা’কে বলল,
– “মা চলুন,বাবা,মাম ওনারা মিমের জন্মদিনের জন্য কেক নিয়ে এসেছে সবাই’কে সেটা দিতে হবে তো?” এদিকে উর্মি ইশান’কে শাসনের ভঙ্গিতে বলে,
– “কি ব্যাপার কি তোমার? আবার কি বদ মতলব নিয়ে এসেছ? নাকি ডাক্তার কি বলেছেন বেমালুম ভুলে গিয়েছ?” ইশান বলল,
– “জড়িয়ে ধরেছি বলে রাগ করছ? বিশ্বাস করো আমি নিজেকে পুরোপুরি না হলেও পাল্টে ফেলবো।না হলে ছেলে বড় হলে তার কাছে কি করে মুখ দেখাবো?”
– “সেদিন হাসপাতালে সবার সামনে তোমাকে কিছু বলতে পারিনি ইশান,তুমি কি সত্যি বলছ?” ইশান উর্মির কাপালে চুমু খেয়ে বলে,
– “তুমি আমার জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছ উর্মি! আমাকে একবার সুযোগ দিয়ে দেখো,আমি কেন তোমাকে মিথ্যে বলবো? আচ্ছা বললে না তো আমাদের ছেলের নাম কি রেখেছ?” উর্মি কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
– “উ উ উ…..জান,হ্যাঁ উজান মিম এটার কথাই বললো।” ইমান ও দরজা নক করে বললো,
– “ভাইয়া তুমি কি ভেতরে আছো? আমি একটু কথা বলবো….।” ইশান বাহিরে এসে হঠাৎ ইমান’কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “তুই আমার জীবনযাপন টা অনেক সহজ করে দিয়েছ,আমি জামিন পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসার পর সবাই যে আমাকে হাসিমুখে মেনে নেবে এটাই আমার জন্য অষ্টম আশ্চর্য! তবে বড় ভাই হিসেবে বউ’কে কি করে খুশি রাখতে হয় সেই টিপস গুলো আমি তোকে দেবো।” ইমান হাসতে হাসতে ইশানের পিঠ চাপড়াতে চাপড়াতে বলল,
– “থাক ভাই! দরকার নেই নয়তো তোর কারণে বিয়ের আগেই আমার বউয়ের কাছে তেজ্য বর হবো,আফটার অল ম্যাডামের কি গুমোর জানোই তো?”
– “বাহ! আমে দুধে মিলে গড়াগড়ি খাচ্ছে আর আমি আঁটি তাই তো?” হঠাৎ মিমের গলা পেয়ে ইশান হাসতে হাসতে বলল,
– “তুমি অহেতুক চিন্তা-ভাবনা করছ,আমি শুধু টিপস দিচ্ছিলাম বোন বুঝেছ?” মিম হাসতে হাসতে দু-ভাইয়ের চেহারা বলে,
– “দেখে মনে হচ্ছে পাক্কা গাঁজাখোর,ওই….ওই দু’জনেই কি পথে গাঞ্জা মেরে এসেছ?” উর্মি এসে মিমের কোলে উজান’কে দিয়ে বলে,
– “বুঝলি ছোটো? এদের না কোনো ভরসা নেই চলতো।” ইমাম বাঁকা ঠোঁটের হাসি দিয়ে মিম’কে আহ্লাদী কণ্ঠে বলে,
– “বউ আমি তো কিছু’ই করিনি,তুমি শুধুশুধু কেন আমাকে দুষছ?” মিম মিটিমিটি হেসে বলে,
– “একবার বিয়ে টা হোক,পুরোপুরি অধিকার টা পাই? তারপর বোঝাবো।” মিমের কোলে উজান’কে দেখে রাইমা হাসতে হাসতে বলে,
– “মাএ ক’দিনেই দাদুভাই তুমি ছোটো মায়ের নেওটা হয়েছ?” উর্মি হাসতে হাসতে বলে,
– “মিমের কোলে থাকলে তার যে কি শান্তি মা আপনা’কে কি করে বোঝাবো,ডাক্তার তো বুকের দুধ দিতে বারণ করেছে সারাক্ষণ মিমের কাছে থাকে,তাই এতো ওর নেওটা হয়েছ ও।” মিম হাসতে হাসতে বলে,
– “চিন্তা করিস না,আমার টা হলে তোকে দিয়েই পালাবো।আচ্ছা মা,তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছ?” রাইমা হাসতে হাসতে মিমের কপালে চুমু খেয়ে বলেন,
– “আশ্চর্য মা! তোর সাথে রাগ করে কি করে থাকবো? তোর আর ইমানের বিয়ে টা হলেই আমি আর তোর বাবা দেশবিদেশ ঘুরে বেড়াবো।” মিম হাসতে বলে,
– “ভালো’ই দু’ই টোনাটুনি মিলে ছক কষেছ?”
– “নয়তো কি?”
– “তোরা কি চাও? দুই বুড়ো-বুড়ি মিলে সারাজীবন সংসারের হাল টানবো?” মিম পেছন থেকে রাইমা’কে জড়িয়ে ধরে বলে,
– “মোটেও না মা,আমরা সবাই মিলে এক সাথে দেশবিদেশ ঘুরে বেড়াবো আর উর্মি বুকের দুধ না খেলে যে মায়ের বাচ্চা প্রতি টান হয় না বা বাচ্চার মায়ের প্রতি টান থাকে না এটা ভুল বুঝেছ?” উর্মি মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললো,
– “হুমম,এবার আমার মাথায় শুধু একটাই চিন্তা কি করে তোদের বিয়ে টা তাড়াতাড়ি দেবো?” যাক সাত দিনের মাথায় দু’জনের শুভ পরিণয় সম্পন্ন হলো।মিম কবুল বলার আগেই কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পরেছিল দেখে ইমান বেশ ভয় পেলো,তবুও মিনিট খানেকের মধ্যেই তার জ্ঞান ফিরে আসতেই বাড়িতে সবাই যেন একটু স্বস্তি পেলো।তারপর বরবধূ’কে মিষ্টিমুখ করিয়ে হাসিঠাট্টা করে নতুন বউ’কে বাসরে রেখে এলো।এদিকে ইশান বেড়াল ধাবড়াতে ধাবড়াতে ইমান’কে উদ্দেশ্য করে বলে,
– “বাসর রাতে এভাবেই বিড়াল মারতে হয় বুঝলি তো?” ইমান হাসতে হাসতে বলে,
– “ভাই তুই তো বেড়াল মা’রনি,বেড়াল ধাবড়াচ্ছ?” স্পর্শ হাসতে হাসতে বলে,
– “সেই ব্রো,সব কিছুতে এক্সপার্ট হয়ে তুমি এখন সবাই’কে বলদ বোঝাচ্ছ?”
– “আরে ভাই ধুরর,এই….ইমান তুই এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি ঘরে যা তো।এমনি তেও তোর যে দর্জ্জাল বউ? একবার ভাষন দিতে শুরু হলে থামবে না জানিস তো?” ইমান হাসতে হাসতে বড় ভাইদের সালাম দিয়ে বলে,
– “তোমাদের উৎসাহে আমি ধন্য,যাগগে গিয়ে দেখি আবার রুমের দরজায় তোমরা,কি ব্যবস্থা করে রেখে এসেছ।” ইমা হঠাৎ নিচে এসে ইকরা,মানহা আর উর্মি’কে দেখে বলে,
– “আশ্চর্য! তোমরা সবাই এখানে? তাহলে দরজায় কাকে রেখে এসেছ?” স্পন্দন দৌড়াতে দৌড়াতে এসে বলে,
– “আপু তোমরা কি গো? আমার পুরো ষাট টাকা মে’রে দিয়েছ?” রাইমা হাসতে হাসতে বলেন,
– “ইমান দরজা খোলা পেয়ে ঘরে ঢুকে পরেছে,এবার তোমরা বসেবসে আঙুল চুষো?” ইকরা দাঁতের দাঁত চেপে ইমা’কে চোখ রাঙিয়ে বলে,
– “আপু,আপুর বাচ্চা তুই কেন এখন হবু দুলাভাইয়ের সাথে ফোনে প্রেমালাপ করতে গেছ?”
– “তোরা কি ভাই? একজন ও কি দরজার কাছে বসে থাকা যেতো না? আমাকে খুঁজতে খুঁজতে দল বেঁধে নিচে এসেছ?” তাদের মাঝখান থেকে উর্মি বলে উঠলো,
– “তাতে কি হয়েছে ভাই? টাকা না পাইলাম,দরজায় আড়ি পাতবো?”আর তখন ইমান মিমের চুলের ক্লিপ খুলতে ব্যস্ত,মিম ঝাঁঝালো কণ্ঠে ইমান’কে বললো,
– “কি অবস্থা তোমার? এভাবে চেয়ে কি দেখছ?”
– “কেন আমার বউ’কে? আর কাকে দেখবো?” মিম হঠাৎ ইমান’কে চিমটি কেটে ওর কোলে উঠে বসে বলে,
– “সত্যি করে বলো,তুমি আমার ইমান তো?” ইমান দু’হাত দিয়ে ওর কোমর জড়িয়ে ধরে বলে,
– “না গো আমি তোমার ইশান,যাকে তুমি ছেলে সেজে গত আটমাস ধরে বোকা বানিয়েছ?” মিম ইমানের বুকে মুখ লুকিয়ে বলে,
– “যা দুষ্টু!” ইমান ওকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলে,
– “জানো এই….রাত টার জন্য আমি কত অপেক্ষা করেছি?”
– “তাই?”
– “হুমম।”
– “আমার মনে সন্দেহের বীজ তো তুমি রোপণ করেছ?”
– “হ্যাঁ,আর আমাদের ভালোবাসা টা সত্যি ছিলো বলেই তুমি ভাইয়ের এতো কাছে থেকেও নিজেকে সামলে রেখেছে।” মিম এবার ফোঁপাতে ফোপাঁতে ইমানের শার্টের কলার চেপে ধরে বলে,
– “সত্যি করে বল,একদম সত্যি তুই কি কখনো আমাকে ভালোবেসেছ?” ইমান পর চোখের জল মুছতে মুছতে বললো,
– “হুমম,তবে স্বীকার করিনি কারণ এর জন্য তুমি ক্লাস সিক্সে থাকতে খারাপ রেজাল্ট করেছ।”
– “তোমার মধ্যে কোনো অপরাধ বোধ কাজ করছে না?” ইমান ওর কপালে চুমু খেয়ে বলে,
– “তো?” তারপর হঠাৎ ঘরের লাইট অফ হয়ে গেলে,মিম ভয়ে পেয়ে ইমান’কে খুব শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো আর ইমান একটু ঝুঁকে মেয়েটির অধর স্পর্শ করলো…সাথে সাথেই যেন দু’জনের মধ্যে এতদিনের লুকিয়ে থাকা সুপ্ত বাসনা গুলো প্রকাশ পেলো।মিম মুহুর্তেই নিজেকে ইমানের হাতে সপে দিলো।সকালে মিম ফরজ গোসল করে নিচে আসার পর,উর্মি ওকে খোঁচা মেরে বলে,
– “সত্যি করে বল তো বেস্টি? তোরা কি সারারাত ঘুমিয়ে কাটিয়েছ?” মিম লজ্জা পেয়ে বলে,
– “হ্যাঁ, আসলে খুব টায়ার্ড ছিলাম তো?”
– “আমার ভাই হয়ে তুই বউয়ের সাথে কিছু করো নাই এটা আমি মানবো?” ইমান চোখ রাঙিয়ে বলে,
– “স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার টা অনেক গোপনীয় এবং তাদের ব্যক্তিগত বিষয়,খামোখা তোদের কেন বলবো?” রেদোয়ান হাসতে হাসতে বলে,
– “ইমান যদি কিছু করেও থাকে জীবনে স্বীকার করবে না,তোমরা শুধুশুধু ওর পেছনে সময় নষ্ট করছ।” ইমা মিম’কে বলে,
– “সত্যি সত্যি বল,নয়তো বউ ভাতে সাজিয়ে দেবো না হুহহ।”
– “আমি পার্লার থেকে বিউটিশিয়ান ডেকে এনেছি এবার তুমি বসে থাকো।” আফরিন পেছন থেকে হাসতে হাসতে বলে,
– “মিম খুব চাপা স্বভাবের তোমরা বৃথাই সময় নষ্ট করছ।” তারপর কোনো ঝামেলা ছাড়াই ওদের রিসেশন টা সুষ্ঠু ভাবে সম্পূর্ণ হলো।মিমের বিয়ের আজ তিন মাস এর মধ্যেই মেয়ে টা সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে মাথা ঘুরে পরে গেলো।ইমানের বন্ধু আফিফ মিমের চেক-আপ করে ইমান’কে বললো,
– “কংগ্রাচুলেশন’স দোস্ত,তুই বাবা হতে চলেছ।” কথা টা শুনেই ইমান মিম’কে কোলে তুলে নিয়ে খুশিতে বাড়িময় নেচে বেড়ালো।উর্মি বললো,
– “মেয়ে হলে,মেয়ে কিন্তু আমার আমি পালবো?” মিম ভেংচি কেটে বলে,
– “তোর ছেলে’কে বুঝি কাগজে কলমে আমাকে লিখে দিয়েছ?”
– “না আসলে আমার টাও আমার তোর টাও আমার সিম্পল,হুহহ।”
– “ঢং দেখে আর বাঁচি না এই…উর্মি যা তো?”
– “একা ঘরে স্বামীর আদর খাবি? তা আর হচ্ছে না আফরিন আমরা কিন্তু এখানেই পরে থাকবো।” ইমান সবার সামনেই একটু ঝুঁকে মিমের কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– “সমস্যা নেই আমি সবার সামনেই আমার বউ’কে ভালোবাসবো।” উর্মি আফরিন দু’জনেই উঠে দৌড়,আফরিন উর্মি’কে বলল,
– “ছোটো দুলাভাই ভালোই নির্লজ্জ।” উর্মি হাসতে হাসতে বলে,
– “বলে লাভ নেই গো,দুই ভাই একই ঘাটে জল খায় তো।” ইশান অফিস থেকে এসে উর্মি’কে কাছে ডেকে বলে,
– “লজ্জা নেই না? জামাইয়ের বদনাম করছ?”
– “বাব বাহ! ভালোই পাল্টিবাজ হয়েছে?” ইশান মিটিমিটি হেসে বলে,
– “সুস্থ হ’য়েই কিন্তু আমরা আমাদের সেকেন্ড বেবির জন্য ট্রাই করবো।” উর্মি লজ্জা পেয়ে বলে,
– “যাহ! দুষ্টু।” ইমান মিম’কে চোখে হারাচ্ছে,মিম’কে কোনো কাজ করতে দিতে চাইছে না ও।মিম পারলে সারাক্ষণ ইমানের কোলে উঠে বসে থাকে এমন বাহানা বাজ হয়েছে ও,ইমানের বক্তব্য,
– “তুমি যাই করো না কেন আমি সবসময় চাইবো তুমি সবসময় ভালো থাকো।” মিম ইমান’কে জড়িয়ে ধরে বলে,
– “তোমাকে ছাড়া,আমার পরিবার’কে ছাড়া আমার ভালো থাকা একেবারে অসম্ভব বুঝেছ?” ইমান মিমের কপালে চুমু খেয়ে বলে,
– “তুমি’ই তো আমার দ্বীনের অর্ধেক,তুমি আমাকে পরিপূর্ণ করেছ।” মিম ইমানের বুকে মুখ লুকিয়ে ন্যাকা কান্না কেঁদে বলে,
– “বাবু পেটে আসার পর,তুমি আমাকে একটু কম ভালোবাসছ।” ইমান মিটিমিটি হেসে দরজা লাগিয়ে এসে বলে,
– “যাক আজ, এই…মুহূর্ত থেকে তোমাকে আমি অনেক অনেক বেশি ভালোবাসবো।” মিম লজ্জা পেয়ে উঠে দৌড়ে,ইমান’ কে বকে বলে,
– “ইসস,পেটে বাবু আছে তো? ” ইমান ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে পিঠে চুমু খেয়ে বলে,
– “তো? তাই বলে,নিজের একমাত্র আদুরে বউ’কে কি করে কম ভালোবাসবো?” মিম লজ্জা পেয়ে ইমানের গলা জড়িয়ে ধরে বলে,
– “তোমাকে ধরে মারবো।” ইমান হাসতে হাসতে মিমের নাকে চুমু খেয়ে বলে,
– “মা’রো মানা করিনি তো?” মিম ইমানের দুই গাল টেনে ধরে উচ্চশব্দে হাসতে হাসতে বলে,
– ” যাহ! দুষ্টু।”
…………………………….সমাপ্ত………………….………..