#এই_শহর_আমার
#part:4
#Suraiya_Aayat
স্পর্শ কফিটা খেয়ে কফির কাপটা টেবিলের উপর রেখে মুগ্ধতার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো ৷ মেয়েটা কেমন গুটিগুটি হয়ে শুয়ে রয়েছে , হয়তো ঠান্ডা লাগছে ৷
তবে এই মুহূর্তে ওর যে মুগ্ধতাকে ঘুমোতে দিলে হবে না , ঘুমোতে দিলে রাতেই ঢাকা শহর মুগ্ধতা দেখবে কিভাবে ?
স্পর্শ মুগ্ধতার কাছে গিয়ে মুগ্ধতার পাশে বসে ওর কানে ফিসফিসিয়ে বলল
” এই মুগ্ধ পরী চলোনা দুজনে মিলে রাতের ঢাকা শহর দেখি ৷ এই শহরটাকে নিজের করে নিই যে শহরের থাকবো শুধু তুমি আর আমি ৷ ”
মুগ্ধতা তো ঘুমে ব্যাস্ত ৷ ঘুম হলো মুগ্ধতার প্রিয় একটা জিনিস ৷ কেউ যদি সারাদিনে ওকে ঘুমাতে বলে তবে কিছু মাইন্ড করবে না ও ৷?
কানের কাছে ফিসফিস আওয়াজ শুনে মুগ্ধতা বিরক্ত হলো , ঘুমের মাঝে কোন বিঘ্নতা ওর পছন্দ না ৷ বিরক্ত হয় হাতটা এলোপাথাড়ি বাতাসে চলাতে লাগলো যদি কারোর গায়ে লাগে , যদি তাকে ঘুমের ঘোরে দুই চারকে থাপ্পড় মারতে পারে ,তাহলে তাকে ঘুম ভাঙানোর শাস্তিটা ঠিক হবে ৷
বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর অবশেষে মুগ্ধতাকে ডাকতে স্পর্শ জয়ী হলো ৷
.
মুগ্ধতা আয়নার সামনে নিজেকে দেখছে, চুল গুলোকে হেয়ার ব্যান্ড দিয়ে আটাকাতে আটকাতে আয়নার দিকে তাকিয়ে স্পর্শকে বলল
” আপনি সিরিয়াসলি বলছেন নাকি এই মাঝরাতে আমার সাথে মজা করছেন কোনটা ? নাকি আমি স্বপ্ন দেখছি ? সত্যিই আপনি আমাকে রাতের ঢাকা শহর ঘোরাবেন ?”
স্পর্শ ফোনটা পকেট এ ঢোকাতে ঢোকাতে বলল “মিসেস নাগিন আপনার যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয় তাহলে পুনরায় ঘুমিয়ে পড়তে পারেন, আই উড নট মাইন্ড এনিথিং, আমি একাই বেরোবো ৷”
মুগ্ধতার মনে তো লাড্ডু ফুটছে, ফাইনালি ওর এতদিনের ড্রিম পূরণ হবে ৷ স্পর্শ ওকে রাতের ঢাকা শহর দেখাবে , এর থেকে বড় হ্যাপিনেস ওর কাছে আর কিছুই হতে পারে না ৷ আর কোন কথা বাড়ালোনা মুগ্ধতা,এতে যদি হীতে বিপরীত হয় আর স্পর্শ যদি ওকে না নিয়ে যাই তাহলে,তাই বেশি কথা বাড়িয়ে আর রিস্ক নিতে চাইছে না ও !
.
স্পর্শ বাইকে বসলো ৷ বাইক স্টার্ট দিয়ে মুগ্ধতাকে পিছনে বসতে বলল ৷মুগ্ধতা বাইকে উঠতে গেলেই স্পর্শ ওকে থামিয়ে বললো
” ওয়েট তুমি বাইকে উঠবে না ৷”
মুগ্ধতা স্পর্শের দিকে ভ্রু কুঁচকে বললো
” আবার কি শুরু করলেন আপনি ? এখন কি আপনি আমাকে নিয়ে যাবেন না ! এটা ভাবছেন ? যদি সেটা ভেবে থাকেন তাহলে কিন্তু খুব ভুল ভাবছেন, আপনার জন্য আমি আমার কলিজা মার্কা ঘুম বরবাদ করে এই মাঝ রাত তিনটের সময় রেডি হয়ে বেরিয়ে এসেছি, এখন যদি আপনি বলেন যে আমাকে নিয়ে যাবেন না তাহলে আমি কিন্তু রাস্তার লোকজন জড়ো করে আপনাকে মার খাওয়াবো বলে দিলাম ৷ তারা আপনার হাড্ডি পাসলি সব এক করে দেবে হ্যাঁ ৷”
স্পর্শ ধমক দিয়ে বলল
” একদম চুপ ৷ এত আজাইরা কথা বলতে তোমার মুখ ব্যথা করে না ? কখনও তো একটা পয়েন্ট নিয়ে আর লজিক নিয়ে কথা বলো ৷ তোমার কি মনে হয় আমার খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নেই যে মাঝরাতে তোমার সাথে ঠাট্টা করার জন্য আমি আমার নিজের ঘুম নষ্ট করে এখন নিজের বাসার সামনে বাইক নিয়ে দাড়িয়ে আছি ৷মাথায় এসমস্ত আজাইরা চিন্তাভাবনা থাকে বলেই তো sir কে টাকলা বলো( এই কথাটা স্পর্শ আজ তোফাজ্জল sir জর কাছ থেকে জেনেছে, উনি বলেছেন মুগ্ধতার ম্যাচুওরিটির অভাব আছে) ৷ মন থেকে এসব সরাও দেখবে সবকিছু কেমন জলের মত পরিষ্কার লাগছে, আর মাইন্ড ফ্রেশ লাগবে ৷ হোয়াটেভার ! পাগলরা এসব বোঝে না , আমিও যে কেন তা বারবার ভুলে যাই ৷ বাই দা ওয়ে যেটার জন্য তোমাকে আটকালাম , তোমাকে কি আমি একবারও বলেছি চুলটা ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে আসতে ?”
মুগ্ধতা স্পর্শের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বলল
” তো কি হয়েছে ? আমার কিউট হেয়ার আমার কিউট ব্যান্ড, আমি বেঁধেছি তাতে কার বুড়ো জামাইয়ের কি ?”
আপনি কি ভাবছেন এখন আমাকে আপনার থেকে পারমিশন নিতে হবে ?” হাহ ! বয়েই গেছে আমার আপনার পারমিশন নিতে ? ৷ আর তাছাড়া চুল খোলা রাখলে আমার কিউট হেয়ারগুলো রাফ হয়ে যাবে ৷”
স্পর্শ মুগ্ধতার চুল থেকে একটানে ব্যান্ড খুলে নিয়ে রাস্তার পাশের ড্রেনে ফেলে দিল ৷
” নাউ ইটস ফাইন , এবার বাইকে ওঠো ৷”
মুগ্ধতা রাগী চোখে স্পর্শের দিকে তাকিয়ে বলল “আপনি ওটা ফেলে দিলেন কেন ? জানেন ওটাতে যে পিং কালারের বিয়ার( ভাল্লুক) ছিলো ওটা আমি পুরো ঢাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাইনি, বাপি ওটা চিটাগং থেকে এনে দিয়েছিলো ৷আর আপনি এত সহজে ফেলে দিলেন? এখন আমার কি হবে? অ্যা অ্যা !? ”
একটা ব্যান্ডের জন্য মুগ্ধতার এমন পাগলামো দেখে স্পর্শ আবার ধমক দিয়ে বলল
” একদম চুপ, তাড়াতাড়ি বাইকে উঠো না হলে তোমাকে ফেলে রেখে কিন্তু আমি চলে যাবো, তখন কিন্ত বলতে পারবা না যে আমি তোমাকে নিয়ে যাইনি ৷
মুগ্ধতা তাড়াতাড়ি করে বাইকে উঠে স্পর্শকে বলল “আমার ব্যান্ডটা কিন্তু আপনি ফেলে দিয়েছেন , আপনাকে আমি দেখে নেব ৷”
মুগ্ধতার কথার মাঝে স্পর্শ বাইক স্টার্ট দিল ৷ স্পর্শ বিড়বিড় করে বলল
” যেমন পাগল বাপ তার তেমন মেয়ে ৷”
” কিছু বললেন মনে হলো ?!”
” হমম বলেছি তো ৷ পিংক কালারের নাগিন ? ৷”
” ??”
স্পর্শ বাইক চালাচ্ছে কিন্তু মুগ্ধতা স্পর্শকে ধরে বসেনি ৷
” মুগ্ধ হোল্ড মি ৷ যদি আমাকে না ধরো তাহলে কিন্তু বাইক থেকে ফেলে দেবো বলে দিলাম ৷”
মুগ্ধতা ভয়ে স্পর্শকে জরিয়ে ধরল
” সবসময় এভাবে ভয় দেখান কেন??”
মুগতার কথা শুনে স্পর্শর পেট ফাটা হাসি আসছে তবুও নিজেকে সামলে বললো
” নেক্সটাইম এভাবেই ধরবে ওকে, না হলে ঠিকঠাক কিউট কাপল টাইপের লাগে না দেখতে ৷”
মুগ্ধতা মুখ ভ্যাংচিয়ে বললো
” কাপল ! আপনাকে আমি বিয়ে করবো তারপর তো কাপল হবো তাইনা ? আগে হয়তো আপনাকে বিয়ে করার জন্য পাগল ছিলাম বাট এখন না , কারন আপনি আমাকে চড় মেরেছেন?৷”
” হোয়াটএভার ! তুমি বিয়ে না করলে কি আছে আমার কিউটিপাই নীতু তো আছে ৷”
মুগ্ধতা কিছু বলল না, ও জানে স্পর্শ ওকে রাগানোর জন্যই বলছে, কিন্তু এই মুহূর্তে স্পর্শর উপর রাগ করে সময় টা কে নষ্ট করতে চায়না ও ৷ রাতের এই ঢাকা শহর টা কত সুন্দর , এখন এটাকেই উপভোগ করতে ব্যাস্ত ৷ এভাবে মুগ্ধ দৃষ্টিতে কখনো রাতের ঢাকা শহর দেখা হয়নি মুগ্ধতার ৷
ইট পাথর দিয়ে গড়া, বহুতল ঘরবাড়ির মাঝে ছোট ছোট মানুষের স্থান ৷ এত রাতেও এ শহর নিস্তব্ধ নয়, এই শহর বরাবরই প্রাণোচ্ছল ৷ মানুষগুলোর চোখে হয়তো ঘুম নেই ৷ এই শহরে কেউ তার প্রিয় মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আঁকড়ে বেঁচে থাকে আবার কেউবা একরাশ হতাশা নিয়ে ৷ সুখ জিনিসটা বড়োই অদ্ভুত যা সকলের মাঝে থাকে না ৷
মুগ্ধতার খোলা চুল বাতাসে উড়ছে , অপরূপ সৌন্দর্য কাজ করছে ওর মাঝে ৷ স্পর্শ আড়চোখে লুকিং গ্লাসে মুগ্ধতাকে দেখছে ৷ মধ্যরাতের ঢাকা শহরে মুগ্ধতার মাঝের মুগ্ধকর এই সৌন্দর্যটা স্পর্শ এভাবেই উপভোগ করতে চেয়েছিল ৷ আজ ওর ইচ্ছাটা পূরণ হলো ৷ ও ওর মুগ্ধকে দেখলো নতুন এক রুপ আর ছন্দে ৷ মীরপুর হয়ে পুরান ঢাকার সমগ্র চত্তর , সংসদ ভবন সবটা ঘুরেছে ওরা ৷ দীর্ঘ এই সময়টাকে অনেক উপভোগ করেছে ৷ একদিন মাঝরাতে ও মুগ্ধতাকে নিয়ে হাতিরঝিল যাবে ঘুরতে ৷ সেখানে লেকের কাছে হাতে হাত রেখে পার করবে অনেকটা সময় ,মিলিয়ে দেবে দুটি মন ৷”
?
” এই মুগ্ধ , মা উঠ ৷ দেখ কত বেলা হয়ে গেল, ব্রেকফাস্ট করবিনা ?”
মুগ্ধতা শুনতে পাচ্ছে সে তনিমা আহমেদ ওকে ব্রেকফাস্ট করার জন্য ডাকছে , কিন্তু এখন ও ওর নিজে এই কলিজা মার্কা ঘুমটাকে নষ্ট করে ব্রেকফাস্ট করার কোন ইচ্ছা প্রকাশ করছে না, তাই কোনো রকম কোনো সাড়াশব্দ করছেনা , যতক্ষণ ঘুমানো যায় ও ঘুমাবে ৷ যতক্ষণ বলছে তার কারণ স্পর্শ সাওয়ারে গেছে তাই সাওয়ার নিয়ে সে নিশ্চিত মুগ্ধতাকে আর ঘুমাতে দেবেনা ৷ মুগ্ধতা এখন উঠছেনা , পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছে দেখে তনিমা আহমেদ এবার বললেন
” মুগ্ধ ভাইয়া এসেছে ৷”
ওর বাবা এসেছে শুনে মুগ্ধতা এবার লাফিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়লো , উত্তেজিত হয়ে বলল
” বাবা আমাকে নিশ্চয়ই নিতে এসেছে, আমি জানতাম আমার বাবা আমাকে কখনো এই বেয়াদবের কাছে আমকে রাখবে না ৷ আর দেখ সকাল-সকাল নিতে চলে এসেছে , ওই জন্য এতগুলো ভালোবাসা ৷”
মুগ্ধতা তো খুশিতে ডগোমগো ৷ তনিমা আহমেদ সংককোচ নিয়ে বললেন
“তোকে নিতে এসেছে এটুকু জানি কিন্ত নিয়ে যেতে পারবে কি তা বড়ো অনিশ্চিত কারণ আমার মনে হয়না স্পর্শ তোকে যেতে দেবে ৷”
উনার এই কথাটা শুনে মুগ্ধতার রাগ উঠে গেল ৷ রেগে গিয়ে বলল
“ওই মানুষটাকে তোমরা এত ভয় পাও কেন? তোমরা তার প্যারেন্টস নাকি সে তোমাদের প্যারেন্টস আমি বুঝি না ৷ আর আমি বাবার সাথে বাসায় যাব তো যাবো ৷”
বলে মুগ্ধতা রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নিলেই স্পর্শ ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে টাওয়াল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বলল
” ডোন্ট ইউ ডেয়ার টু গো দেয়ার ৷ রুমের বাইরে একপাও বাড়াবেনা ৷ ভালোই ভালোই বলছি ৷ বাইরে গেলেই তোমার খবর আছে ৷”
মুগ্ধতা স্পর্শের দিকে তাকিয়ে বলল
” আমিতো যাবোই তাতে কার জামাইয়ের কি ৷”
দুজনের এমন ক্যাটফাইট দেখে দোটানায় পড়ে গেলে তনিমা ৷দুজনে একসাথে থাকলে এমন ঝগড়া লেগেই থাকে ওদের মধ্যে ৷ মুগ্ধতা আর স্পর্শের বয়সের মাঝে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরের ডিফারেন্স কিন্তু মুগ্ধতার ব্যবহারে তা মনে হয় না , ও স্পর্শর সাথে এমন ভাবে কথা বলে যেন ওউ স্পর্শর বয়সী ৷
তানিম আহমেদ দুজনকে থামিয়ে দিয়ে বললেন
” তোদের এই ঝগড়ার মাঝে আমি এখন কি করবো সেটা আমাকে বলতো ! তাহলে আমি আমার কাজটা পুরো করতে পারি ৷”
মুগ্ধতা কিছু বলতে যাবে তার আগে স্পর্শ বলে উঠলো “আম্মু তুমি ওর ব্রেকফাস্টে রুমে পাঠাও , আর আংকেলের ব্রেকফাস্ট নিচে দাও আমি আসছি ৷”
” আচ্ছা ৷”
বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন উনি ৷ যদিও মুগ্ধতার কাচুমাচু ফেসটা উপেক্ষা করতে ওনার বড্ড কষ্ট হচ্ছিল তবুও কিছু করার নেই , স্পর্শ যা বলবে তাই করতে হবে ওনাকে ৷ মাঝে মাঝে এই কনফিউশনটা ওনার মধ্যেও ক্রিয়েট হয় যে ওরা স্পর্শের বাবা-মা নাকি স্পর্শ ওদের বাবা-মা ৷?
স্পর্শ ওয়ারড্রব থেকে একটা টিশার্ট বের করে গায়ে দিল ৷ স্পর্শ আয়নার সামনে দাঁড়াতেই মুগ্ধতা গজগজ করে বলে উঠলো
” আপনার কি মনে হয় না আপনি আমার ওপর একটু বেশিই জোর খাটাতে আসছেন !”
মুগ্ধতার কথার উত্তরে স্পর্শ বলল
” আচ্ছা মুগ্ধ , এই জোর, অধিকারবোধ এগুলো ঠিক কাদের উপর কাটানো যায় বলতে পারো ৷”
মুগ্ধতা চটপট করে বলল
” কাদের ওপর আবার , যারা সবথেকে কাছের হয় তাদের প্রতিইইইইইই? ৷”
কথাটা বলে মুখটা চেপে ধরলো মুগ্ধতা, বুঝতে পারলো যে ওর কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে অপ্রিয় সত্যটা ও আহানাফ স্পর্শর সামনে বলে ফেলেছে যা এখন না বললেই হতো ৷ আর স্পর্শ এখন এটার একটা সুযোগ পেয়ে গেল ৷
স্পর্শ মুগ্ধতার দিকে চোখ মেরে বললো
” দ্যাটস লাইক এ গুড গার্ল ৷ দেখেছো একরাতের মধ্যে তোমার ব্রেনের কতোটা ডেভোলপ হয়েছে ৷ আর কদিন থাকো আরো উন্নতি হবে আর মাঝে মাঝে আমিও এক দুই বার ভ্যাকসিন দেবো ৷? ”
ওদের কথা বলতে বলতেই তনিমা আহমেদ ব্রেকফাস্টে রেখে চলে গেলেন ৷যাওয়ার আগে বলে গেলেন যে
” মুগ্ধতার বাবা মানে তার ভাই তামিম খান স্পর্শ কে তাড়াতাড়ি নিচে আসতে বলেছেন ৷ স্পর্শর সাথে জরুরী কথা আছে ৷”
স্পর্শ মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সম্মতি দিলো ৷
অবশেষ ব্রেকফাস্টের সাথে অনেকটা যুদ্ধ করেও মুগ্ধতা জয়ী হলো না ৷ স্পর্শ পুরো প্লেটের খাব মুগ্ধতাকে দিয়ে শেষ করিয়েছে ? ৷
মুগ্ধতার হাতের স্পর্শের একটা চিমটি দিলো বিরক্ত হয়ে ৷
স্পর্শ:?
মুগ্ধতা:?
স্পর্শ মুগ্ধতার মুখটা মুছিয়ে দিয়ে বলল
” একদম কিউট নাগিন এর মত চুপচাপ এখানে বসে থাকবে , যতক্ষণ না আমি রুমে আসছি ঠিক ততখন, আর যদি ভেবে থাকো যে ব্যালকনিতে গাছের ডাল বেয়ে নামার চেষ্টা করবে তবে ইউ ইর গন বেইব ৷ ওখান থেকে তুমি পড়ে গিয়ে হাত পা ভাঙলেও আমি কোমায় পাঠানোর ব্যাবস্থা করবো ৷ মাইন্ড ইট ৷ কথাটা বলে স্পর্শ রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷ মুগ্ধতার বিরক্তি লাগছে খুব, ওর বাবা স্পর্শকে কিভাবে ঝাড়ি দেবে সেটা মুগ্ধতার শোনার খুব ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু ও জানে সবকিছুর উ্দ্ধে স্পর্শ ওর কথার মারপঁ্য|চে ওর বাবাকে ফাসাবে? ৷
#চলবে,,,,,