গুলবাহার শেষ পর্ব

0
1050

গুলবাহার
লেখা-ইলমা বেহরোজ

অন্তিম পর্ব.
বিকেলের দিকে গুলবাহার বাসায় আসে।আসার পথে ভাবছিলো,মা’ কে কি বলবে? একটা রাত সে বাইরে ছিলো।বাসার বাইরে থেকে আতর, গোলাপজলের ঘ্রাণ পায় সে।উৎসুক হয়ে বাসায় ঢুকে।দরজা খোলা।গুলবাহার দ্রুত ঢুকে।ড্রয়িংরুমের ফ্লোরে সুমি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।অস্পষ্টভাবে গুলবাহার ডাকে,
———‘সুমিই?’
সুমি তাকায়।গুলবাহারকে দেখে উঠে দাঁড়ায়।গুলবাহারকে আচমকা জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো।গুলবাহার হতবাক।সেই সাথে বুকে চিন চিন ব্যাথা।সুমিকে সরিয়ে মায়ের রুমে আসে।দেখে নাই!
গুলবাহারের মাথা ঘুরিয়ে উঠে,সুমিকে ডাকে।
——‘এই সুমি।সুমি আম্মু কই।’
সুমি দৌড়ে আসে।সে কিছু বলতে পারছেনা।গুলবাহার ক্ষীণ স্বরে বলে,
——‘স্কুলে কাজে আটকে গেছে না?’
——‘খালাম্মা আর নাই আফামণি। গতকাইল বিকালে চইললা গেছে আকাশে।’
গুলবাহারের শরীরটা ঝাঁকি দিয়ে উঠে।ধপ করে ফ্লোরে বসে।সুমির কান্নার বেগ বেড়েই চলেছে।

সেদিন রাতভোর ঘুমায়নি গুলবাহার।ফোনে মন নেই।গান শোনায় মন নেই।ফ্রেন্ডদের কলও রিসিভড করেনা।মায়ের রুমের ফ্লোরে শুয়ে আছে বিকেল থেকে।সন্ধ্যায় একবার পাথরের মতো,অনুভূতিহীন ভাবে কবরটা দেখে আসে মায়ের।ভাবে,বিগত দিনের সবগুলো ব্যবহারের কথা কেনো করেছে সে এমন?তার মা তো অন্য মায়েদের মতো ছিলোনা।বেস্ট ফ্রেন্ডের মতো ছিলো।তবুও, কেনো সে ফ্রেন্ডের আশায় মা’কে দূরে রেখেছিলো?এতোই যখন অবহেলা করেছিলো,তাহলে এমন তীব্র কষ্ট কেন হচ্ছে?
ফজরের দিকে চোখটা লাগে।

নিশা,জুনায়েদ সহ বাকি ফ্রেন্ডরা আসে দশটার দিকে।গুলবাহারকে তাঁরা সারারাত কল করলো।ধরলোনা।কি হয়েছে দেখার জন্য আসা।সুমি দরজা খুলে দেয়।নিশাকে দেখিয়ে দেয় জেসমিন বেগমের রুম।ওরা এসে দেখে গুটিসুটি মেরে ফ্লোরে ঘুমাচ্ছে গুলবাহার।চেহারার বিধ্বস্ত অবস্থা।হতচকিতভাবে একজন আরেকজনের দিকে তাকায়।সুমিকে জুনায়েদ জিজ্ঞাসা করে,
——‘কি হয়েছে?’
——‘খালাম্মা মারা গেছে শুক্রবার বিকেলে।আফামণি শেষবারের মতো খালাম্মার মুখটাও দেখতে পারে নাই।’
দলটা হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যায়।জুনায়েদ বিড়বিড় করে,
——‘ও মাই গড।’
নিশা গুলবাহারকে ডাকে।গুলবাহার চোখ খুলে নিশাকে দেখে আচমকা রেগে যায়।ধাক্কা দিয়ে দূরে ফেলে দেয়।আকস্মিক ঘটনায় সবাই হতবাক।গুলবাহার কেঁদে উঠে বলে,
——‘তোরা আমার জীবনের অভিশাপ।তোদের সঙ্গ পেয়ে আমার আজ এই দশা।আমার মা মইরা গেছে বুঝতাছোস? আমার জীবনটা থেমে গেছে মনে হইতাছে। তোদের সময় দিতে গিয়ে, খুশি করতে গিয়ে আমার মা’রে কষ্ট দিছি।বিশেষ করে নিশা তুই।তোর কথায় সর্বপ্রথম আমি মায়ের সাথে তর্ক করছি।বের হ সবাই কেউ আসবিনা আমার কাছে।আম্মু অনেকবার বলছে নিশার সাথে মিশিস না মিশিস না।তবুও মিশেছি একটা ড্রাগস আসক্ত মেয়ের সাথে।’
নিশা কয়টা কথা শুনাতে গিয়েও চুপ হয়ে যায়।বেরিয়ে যায়।ধীরে ধীরে সবাই বেরিয়ে যায়।গুলবাহার কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোরে বসে।

অতিরিক্ত কান্নার কুফল -রাতে জ্বর উঠে অনেক গুলবাহারের।সুমি ঘুমিয়েছে অনেক্ষণ।শরীরটা এতো অশান্তি করছে। মাথার রগ ব্যাথায় দপদপ করছে। শরীর কাঁপছে।কিন্তু পাশে কেউ নেই।অথচ, আগে সারারাত জেগে মা নামক মানুষটা জলপট্টি দিতো।মাথায় হাত বুলিয়ে বলতো,
——‘কি খাবি মা? অশান্তি লাগতাছে বেশি?একটু ঘুমাও মামনি।’
মায়ের হাতের স্পর্শ পেতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু মা তো চলে গেছে হাতের নাগালের বাইরে।শরীরের অশান্তি বেড়েই চলেছে। কাঁপা হাতে ফোন নিয়ে নিশাকে কল করে।এক এক করে সবাইকে করলো।কিন্তু কেউ আসতে পারবেনা।নিশা তো চূরান্ত অপমান করে বলে দিয়েছে, সে আর গুলবাহারের মুখ দেখতে চায়না।হাজার কষ্টেও গুলবাহার হাসে।যাদের জন্য মা’কে মূল্যায়ন করেনি আজ তাঁদের কি রূপ।মা তো মা ই। মায়ের জায়গা সবার উপরে।মা’কে খুশি করতে পারলে চারপাশ বেহেশত।অথচ,আমরা?
গুলবাহার ধীরে ধীরে উঠে বসে।লাবন্যময় মুখ দুইদিনে মায়ের অভাবে চুপসে গেছে।গুলবাহার জেসমিন বেগমের রুমে আসে।জেসমিন বেগমের একটা শাড়ি বুকে জড়িয়ে কেঁদে উঠে।সুমি জাগে।
গুলবাহারের খুব মা মা পাচ্ছে।বড্ড একা লাগছে।মনে হচ্ছে পুরো দুনিয়াতে সে একা।কোনো এক গভীর জঙ্গলে সে একা।বড্ড একা!
দরজা খুলে বেরিয়ে আসে।গভীর রাতের অন্ধকার যে মেয়ে ভয় পায় সে, অন্ধকারে হেঁটে মায়ের কবরে যাচ্ছে!কতটা একা হলে মানুষ এমন করে?

গুলবাহার দাঁড়িয়ে আছে মায়ের কবরের সামনে। শরীরটা অবশ হয়ে যাচ্ছে নিজের মমতাময়ী মায়ের কবর দেখে।শরীরের হাড় জোর ছেড়ে দেয়।গুলবাহার লুটিয়ে পড়ে কবরের উপর।আঁকড়ে ধরে মায়ের কবর।

——‘এই আম্মু? আম্মু?এতো শান্তিতে ঘুমাচ্ছো? তোমার গুলবাহার যে তোমাকে ছাড়া ঘুমাতে পারছেনা।আম্মু তোমার মায়া হচ্ছেনা?তোমার গুলবাহারের কষ্ট দেখে?তাহলে ফিরে কেন আসছো না।তুমি তো এমন ছিলেনা মা,এতো পাষাণ হয়ে গেছো আল্লাহর কাছে গিয়ে?’ ক্ষীণ স্বরে কেঁদে কেঁদে বললো গুলবাহার।

তারপরই আর্তনাদ করে কেঁদে বললো,
——‘আম্মু প্লীজ আল্লাহকে বলো রাস্তা দিতে তোমায়।আমার কাছে ফিরে আসার।আম্মু তুমি আমার বাচ্চা হয়ে আমার বুকে থাকবা?বিশ্বাস করো আগলে রাখুম তোমারে।প্রমিস আম্মু আমি আর অবাধ্য হবোনা।তোমার সব কথা শুনবো।আম্মু আমায় মাফ করা যায় না?মাফ করে দেও।অসহনীয় যন্ত্রনা হচ্ছে আমার।আম্মু আমি তোমাকে আরো একবার চাই।ধূলো বালি জমতে দিবোনা আর।প্রতিনিয়ত প্রতি সেকেন্ডে যত্ন করে রাখবো।’

গুলবাহারের আর্তনাদে আকাশ-গাছপালা,মাটি,রাতের ঝিঁঝি পোকা সব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো।তবু ও ফিরে আসেনি জেসমিন বেগম।মায়ের কবরের উপরেই কাঁদতে কাদঁতে, প্রচণ্ড জ্বর, ঠান্ডায় সেন্সলেস হয় গুলবাহার।

গুলবাহার চোখ খুলে দেখে নিজের রুমে সে।সুমি বলে, সে পিছু পিছু গিয়েছিল।গুলবাহারকে অজ্ঞান দেখে এলাকার মানুষকে ডেকে বাসায় আনে।গুলবাহার হালকা হেসে সুমিকে বলে,
——‘সুমি তোর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করছি মাফ করে দিস।আর নতুন কাজ নে।আমি তোরে বেতন দিমু কই থেকে?’
সুমি উত্তরে কিছু বললোনা।সত্যি তাকে তো চলে যেতেই হবে।পেট চালাতে টাকা দরকার।এরপরদিন থেকে সুমি আর আসেনি।

গুলবাহারের সময়গুলো বিষাদময় হয়।বাসায় চাল ছিলো এক বস্তা করে আর এক কেজি ডাল।তাই রেঁধে খাচ্ছে।ভার্সিটি যায়না।জেসমিন বেগমের আলমারিতে কিছু টাকা পেয়েছে।সেগুলো যত্নে লুকিয়ে রাখে।জেসমিন বেগমের রুমেই গুলবাহার ঘুমায়।হুটহাট মায়ের জন্য চিৎকার করে কেঁদে উঠে।মাঝে মাঝে ভাবে, কি স্বার্থপর ফ্রেন্ড ছিলো তার।একটাবার দেখতে আসেনি।ভার্সিটিতে আরো দুই-তিন জন ছিলো যাদের সাথে গুলবাহার প্রথম মিশতো।তারপর নিশার গ্রুপের সন্ধান পেয়ে এদের আর পাত্তাই দেয়নি।আর আজ, এরাই এটা ওটা নিয়ে আসছে মাঝে মাঝে।গুলবাহারের খুব লজ্জা হয়।কথা বলেনা কারোর সাথে।পাড়া-প্রতিবেশী দেখলেই কথা শোনায়।
আবার, গতকাল থেকে কিছু বখাটে জ্বালাচ্ছে রাতে পাথর ছুঁড়ে দেয় ছাদে। বাজে মন্তব্য করে। গুলবাহার ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে থাকে।

সেদিন সকাল দশটা।বার – শুক্রবার। কলিং বেল বাজছে অনেক্ষণ।গুলবাহার ভয়ে খুলছেনা দরজা।মায়ের সেলফোনটা বেজে উঠে।গুলবাহার রিসিভড করে।ওপাশ থেকে বয়স্ক গলা পাওয়া যায়,
——‘হ্যালো? ম্যাডাম? দরজাটা খুলছেন না কেনো?’
গুলবাহার উত্তরে কিছু বলেনি।দৌড়ে এসে দরজা খুলে দেয়।দেখতে পায়, একজন মহিলা,হানিফ স্যার,একটা হ্যান্ডসাম ছেলে।গুলবাহার ভদ্র ভাবে বলে,
——‘আসুন?’
তাঁরা এসে সোফায় বসে।হানিফ স্যার হেসে বলেন,
——‘তোমার আম্মু কই মা?’
গুলবাহার মাথা নিচু করে।হানিফ স্যার অবাক হোন।আবার প্রশ্ন করেন।গুলবাহার বলে,
——‘নেই।এক সপ্তাহ আগে মা….মারা…..
গুলবাহার মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে উঠে। তিনজন আহত হয়।হানিফ স্যার বিড়বিড় করে,
—–ইন্না লিল্লাহি ওয়া………
তারপর আবার বলেন,
——‘ঢাকা ছিলাম কয়দিন।তাই খবর পাইনি।’
কিছুক্ষণ নিরবতা বিরাজ করে।হানিফ স্যার কেশে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে,
——-‘আফা?মেয়ে পছন্দ হয়েছে?জেসমিন ম্যাডাম নেই।তিনি যা সম্পন্ন করতে পারেন নি।আমার করা উচিৎ। ‘
গুলবাহার অবাক হয়ে তাকায়।হানিফ স্যারের বোন বলে,
——‘আমারতো পছন্দ হয়েছেই।ফুয়াদের আর মেয়ের ইচ্ছে থাকলে কোনো সমস্যা নাই।এতো গুণী একজন মহিলার মেয়ে।খারাপ অবশ্যই হবেনা।’
——‘ভাগনে? ‘
ফুয়াদ একবার গুলবাহারের দিকে তাকায়।তারপর বললো,
—–‘উনার সাথে একবার কথা বলা উচিৎ।’
হানিফ স্যার গুলবাহারের উদ্দেশ্যে বললো,
——‘তোমার সমস্যা একা কথা বলতে?’
গুলবাহার মাথা নাড়ায়।’আসুন’ বলে নিজের রুমে আসে হেঁটে।ফুয়াদের পিছু আসতে নেয় তখন হানিফ স্যার বলেন,
—–‘মনে রাখিস মেয়েটার অভিভাবক নেই।মামা-খালারা আছে।কিন্তু তাঁরা কোনো কাজের না।অভিভাবকহীন বিয়ে করতে হবে।’

ফুয়াদ হেসে রুমে আসে।অনেক্ষণ বিছানায় চুপ করে বসে থেকে গুলবাহারের উদ্দেশ্যে বলে,
——‘গুলবাহার নামটা আপনার চেয়েও সুন্দর।কে রেখেছে?
——‘আমার আম্মু।’ হেসে বললো গুলবাহার।মনে মনে ভাবে,সবাই বলে কত সুন্দর নাম।অথচ,একজনের মন্তব্যে আমি আম্মুর সাথে বাজে ব্যবহার করেছি।কেনো এই নাম রাখলো তাই!

——‘বিয়েতে আপনি রাজি?’ফুয়াদ প্রশ্ন করলো।
গুলবাহার ‘না’ করে।
ফুয়াদের হাসি মিলিয়ে যায়।বলে,
——‘কেনো?’
——‘এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবোনা।’
——‘আপনাকে একটা কথা বলি?
——-‘জ্বি?’
——‘আপনার এখন তো কেউ নেই।একটা নির্দিষ্ট নিরাপদ জায়গা করে নেওয়া উচিৎ। নয়তো আপনারই ক্ষতি।আর আপনার মা ই এটা চেয়েছিলেন।’
গুলবাহার কিছু বললোনা।ছেলেটা স্মার্ট বুঝতে পেরেছে।ফুয়াদ নাম্বার দিয়ে বেরিয়ে যায়।মত পালটে গেলে যেনো জানায়।

_________________________________________
সারারাত ভেবে দেখলো এখানে বেশিদিন থাকাটা রিস্ক হবে।যেকোনো মুহূর্তে বখাটেরা হামলা করবে।আর,যা খাবার আছে আর কয় দিনই যাবে?ফুয়াদকে টেক্সট করে,
——-‘আমি রাজি!’

কয়দিনের মধ্যেই ঘরোয়া ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।স্বামীর বাড়ি তে আসার পর সে খেয়াল করেছে,ফুয়াদ মা’কে চোখে হারায়।বাসায় এসেই মায়ের কাছে যাবে।প্রত্যেকদিন কিছু না কিছু আনবে।নিজের হাতে রেঁধে খাওয়াবে।তখন গুলবাহার খুব কাঁদে।মা’কে মিস করে দিল দিয়ে।সারা শরীরে হয় জ্বালাপোড়া যন্ত্রনা।আফসোস করে,আমি কেনো এমন হলাম না?ফুয়াদের মতো সন্তান প্রত্যেক ঘরে ঘরে কেন হয়না?

দিনশেষে রাতে গুলবাহারে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে।খুঁজে তার মা কোনটা।মাঝরাতে স্বপ্ন দেখে মা’কে।চিৎকার করে উঠে, ঘুম ভেঙ্গে যায়।ফুয়াদের বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদে।স্বামী-শাশুড়ি ছাড়া দুনিয়াটাকে সে চিনেনা আর।টিভি দেখে না।ফেসবুকে যায়না অনেকদিন।বাসার টুকটাক কাজ করে, আর মায়ের কথা ভাবে।আচমকা চিৎকার করে কেঁদে উঠে।

কেটে গেছে অনেকগুলো মাস।মায়ের মৃত্যুর শোক থেকে বেরোতে পারেনি গুলবাহার।তিন দিন পর অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে।মায়ের কবরের পাশে বসে আছে।বলছে,
——-‘আম্মু চলে যাচ্ছি সুদূরে।তোমায় খুব মিস করবো।আর মা আল্লাহকে বলো?তোমার মতো যেনো আমার একটা মেয়ে হয়।আমার মায়ের মতো! ‘
——‘গুলবাহার আসো।’ফুয়াদ বললো।

গুলবাহার আঁকড়ে ধরে মায়ের কবর।মাটি খামচে ধরে বলে,
——‘আমার মনে হচ্ছে,মায়ের কবর রেখে আমি যেতে পারবোনা অস্ট্রেলিয়া।’
——‘আমাদের ভিসা/পাসপোর্ট সব রেডি।যেতেই হবে।’
গুলবাহার ফুয়াদের দু’পা ধরে কেঁদে উঠে,
—–‘প্লীজ?আম্মুর কবরটা রেখে যেতে পারবনা।আমরা একসাথেই থাকিনা বাংলাদেশে?তোমার তো ভালো জবই আছে!

সমাপ্ত।
(রিপোস্ট)


ফুয়াদের উত্তর ‘হ্যাঁ ‘ নাকি ‘না’ সেটা ছেড়ে দিলাম পাঠকের উপর।আপনার যদি মনে হয় গুলবাহার অস্ট্রেলিয়া চলে যাক, মায়ের কবর ছুঁতে না পেরে যন্ত্রনায় মরুক।আরো শাস্তি পাক।তাহলে ‘না’।আর যদি আপনার মনে হয়, মেয়েটা অনেক কষ্ট করেছে,সে অনুতপ্ত। মায়ের কবর থেকে তাকে দূরে না রাখাই ভালো।তাহলে উত্তর ‘হ্যাঁ ‘।
ধন্যবাদ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here