অস্তিত্বের খোজে part 9

0
729

অস্তিত্বের খোজে
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ৯



– আমি শুভ্রের কাজ গুলো দেখে একদম ফ্রীজ হয়ে গেছি। আজ যেন সহ্যর লিমিট ক্রস করে ফেলছে।
তবে বেশ খুশিও লাগছে বজ্জাতটা আর বজ্জাতি করতে পারবেনা আমার সাথে। এতেই অনেক এবং অনেক পাওয়া।



– রাতে পলা এসে আমাকে খাবার দিয়ে গেল রুমে। আমার নাকি আজ থেকেই এখানেই খেতে হবে এটা বিমলার দিদুনের হুকুম। আমিতো বেশ খুশিই হলাম। খাওয়ার সময় খোটা সহ্য করতে হবে না তো!



– পরী আমায় মাফ করে দাও গিন্নী মাকে আমিই বলেছি সব শুভ্রকে তোমার কাছ থেকে দুরে করতে। কিন্তু এতটা খারাপ কাহিনী গড়ে যাবে এটা আমি কল্পনাতেও ভাবিনি।


– যা করেছো বেশ করেছ। বকা খাইছি কিন্তু তোমার আইডিয়া টি বেশ কাজে দিছে পলা আন্টি। আরামে খাওয়া যাবে নিজের রুমে বসে।


– পলা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল পরীর কথা শুনে। পরী হয়ত জানেনা ওর জন্য আরও কঠিন হতে যাচ্ছে পরবর্তী সময় গুলো।


– আন্টি খেয়েছেন?
– না খাইনি সবাই খেয়ে উঠলে খাব। তুমি খেয়ে নাও বলে উনি চলে গেলেন।


– আমি কিছু না ভেবেই উড়াধুরা খুশি হয়ে খেতে বসলাম। আহা কত দিন পর কোন কথা শুনতে হচ্ছেনা খেতে বসে। বিমলা মহিলাটি আমাকে দেখতেই পারেনা।



– একটু পর পলা এসে সব নিয়ে গেল। আমিও বসে পড়লাম পড়তে। ১১.৪৫ দিকে পড়া কমপ্লিট করে ফোন নিয়ে বসে ফেসবুক ঘাটাঘাটি করছি। এমন সময় একটা আইডিতে চোখ আটকে গেল…….. নীল স্বপ্ন নামের একটা আইডির উপর। আমার এফবি ফ্রেন্ড। আগে কখনও দেখিনি বলে মনে পরছেনা। প্রফাইল চেক করে দেখলাম সব আবেকময় কথা। ব্যাটা নিশ্চয় ছ্যাকাখোর না হলে এগুলো পোষ্ট দেয় বলে হাসতে লাগলাম।



– আমি চুপি চুপি রুম থেকে বের হয়ে ছাদে গেলাম।
গিয়ে দেখলাম কে জানি উল্টা মুখ হয়ে দাড়িয়ে আছে। আমি ভূ…উ…..ত বলে জোড়ে একখান চিৎকার দিয়ে সেন্সলেস হয়ে পড়ে যাই।


“শুভ্র দৌড়ে পরীর কাছে এসে ওকে ধরে ফেলে। এই মেয়ের কাছ থেকে যতই সরে যেতে চাই ততই ও আমার সাথে লেপ্টে যায়। শুভ্র ওকে কোলে নিয়ে পরীর রুমে এসে পরীকে সুয়ে দেয়। কপালে একটা কিস করে ওখান থেকে আসার সময় হঠাৎ পরীর ফোনে মাসেজ আসে। শুভ্র গিয়ে ফোন নিয়ে মাসেজ চেক করতে লাগল। যত মাসেজ চেক করছে ততই রেগে শুভ্রর চড়চড় করে মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছে। এত ছেলের সাথে চ্যাটিং। এই মেয়েতো সেই লেভেলের বেয়াদপ। এত ফ্রেন্ড থাকে কেমনে তার। এরে ছেড়ে দিয়ে রাখলে তো একদম গাছের মাথায় উঠে বসে থাকবে বলে টেবিলে একটা হাত দিয়ে বাড়ি বসিয়ে রুম থেকে বের হয়ে য়ায়।



“শুভ্র একের পর এক সিগারেট টেনে যাচ্ছে আর পরীর টেনশনে পায়াচারী করছে। এখন পরীর যা বয়স এতে ও যে যেকোন কাজে জড়িয়ে যেতে পারে। এটা বয়সের ও একটা দোষ। কিন্তু এভাবে তো ওর এই কান্ড মেনে নেওয়া যায় না। ধুর যা করে করুক আমার কি তাতে। আমিতো ওকে আমার জিবন থেকে মুক্তি দিয়েছি। ওর স্বাধীনতা চাই না! করুক স্বাধীন ভাবে জিবন যাপন।



“সকালে অর্পিতা এসে দেখে পরীর রুমের দরজা খোলা। অর্পিতা রুমে ঢুকেই দেখে পরী ঘুমে আছে।
পরী দিদি…….. এই পরী দিদি বলে পরীর গা ঝাকালো অর্পিতা।


– আমি ধরপড় করে উঠে বসে বুঝতে চাইলাম কি হচ্ছে আমার সাথে। অর্পিতা আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। আমি এখানে কেন? আমিতো ছাদে ছিলাম বলেই ভূতের কথা মনে পড়ে গেল।


“পরী দিদি জলদি রেডী হয়ে নাও নিচে দাদু অপেক্ষা করে আছে বলেই অর্পিতা চলে গেল।


– আমি জলদি রেডী হয়ে নিচে গিয়ে দেখি দাদু অর্পিতা ২ জনেই আমার জন্য দাড়িয়ে আছে।


” কি ব্যাপার পরী এত দেরি করলা কেন বলেই নিতাই সেন বের হয়ে গেল পিছে পিছে অর্পিতা ও পরীও বের হল বাসা থেকে।



– এই অর্পিতা তোমাদের বাসায় কোন ভূত….টুত…. থাকে কি?
– না তো কেন তুমি কি ভূত দেখেছো দিদি!
– আমি বড়সর ঢোক গিলে বললাম হুম রে বলেই দাদুর পিছে পিছে দৌড় দিতে লাগলাম।
– এই দিদি বলনা কি হয়েছে বলে আমার পিছে অর্পিতাও দৌড় দিল আমার সাথে।
– দাদু কাল আমি ছাদে ভূত দেখেছি তার পর আর কিছু মনে নেই বলেই দাদুর দিকে তাকালাম।
– তুমি রাতে ছাদে কেন গিয়েছ পরী?
– দাদু ভাল লাগছিল না তাই গিয়েছিলাম।
– আর রাতে ছাদে যাবা না। খারাপ লাগলে আমাকে বা অর্পিতাকে ডাক দিতে!
– ওকে দাদু বলে চুপ করে গেলাম।



– পাক্কা দেড় ঘন্টা পর বাসায় ঢুকলাম। আমিতো হাপিয়ে শেষ।



” শুভ্র সিড়ি দিয়ে নামছিল এমন সময় অজান্তেই পরীর সাথে ধাক্কা লেগে যায়। এতে পরী ছিটকে পড়ে যায় নিচে। শুভ্র দেখেও না দেখার ভান করে ওকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় বাহিরে। এটা দেখে বিমলা ব্যাপক খুশি হয়। যাক কাজ দিয়েছে। শুভ্র ঐ মেয়েকে আর পছন্দ করেনা…….



– আমার এত জোড়ে লাগে যে আর উঠতে পারছিনা। অর্পিতা এসে আমাকে ধরে উঠানোর চেষ্টা করে কিন্তু উঠতেই পারছিনা। শেষে ব্যাথায় কেঁদে ফেললাম সবার সামনে।


” দাদা তোমার হুস থাকেনা কি ভাবে চলতে হয় বলে অর্পিতা চেচিয়ে উঠল। শুভ্র এর মধ্য বাসার বাহিরে চলে গেছে।



– শুভ্রের বাবা অনিল দৌড়ে এসে পরীকে টেনে তুলে বলল পরী মা তুমি পড়ে গেলে কেমনে?
– অর্পিতা মুখ খোলার আগেই বললাম আঙ্কেল আমি বেখেয়ালে পড়ে গেছি।



-আমি খুড়াতে খুড়াতে অনেক কষ্টে উপরে আমার রুমে গেলাম।
হালা বজ্জাত শুভ্র ইচ্ছা করে আমায় এভাবে ফেলে দিল! আমারও একদিন আসবে সেদিন এমন নাকানি-চুবানি খাওয়াব বাবার জন্মে আমার সাথে লাগা বের হয়ে যাবে।
আজ আমার আর ভার্সিটি তে যাওয়া হলোনা। সারাটা দিন রুমে বসেই কাটালাম।



– সন্ধায় অর্পিতা এসে আমার সাথে গল্প করল অনেক ক্ষন তার পর চলে গেল। আবার একা হয়ে গেলাম। ব্যাথার মেডিসিন খেয়েছি তাই হাটতে আর কষ্ট হচ্ছেনা।



– আমি নিচে নেমে এসে দেখি ডাইনিং রুমে কেউ নেই এই ফাঁকে বাসা থেকে বের হতেই পলা বলে উঠল….. এই রাতে কই যাও পরী?
-পলা আন্টির কথা শুনে আমি ওখানেই দাড়িয়ে যাই। সারছে এখন কি বলি আমি।
না মানে আন্টি একটু বাহিরে আইক্রিম খেতে যাচ্ছি।
– এই রাতে তোমার আইসক্রিম খাওয়ার সখ জাগছে? তোমার যাইতে হবেনা। যাও রুমে বলে একটা ধমক দিল।



“অর্পিতার বড় দাদা “কৌশিক সেন” আর তার ওয়াইফ “নিদ্রা” এসেছে আজ রাত ৯ টার দিকে দেশের বাহিরে থেকে। সবাই মিলে হৈ চৈ করছে। প্রায় ২ বছর পর তারা আসল দেশে। সামনে দূর্গা পুজাও পরে গেছে তাই এই সময়ই চলে আসল তারা।



– আমি বসে ফেসবুকে চ্যাট করছি পড়া বাদ দিয়ে। এমন সময় ঐ অচেনা আইডি থেকে হাই বলে মেসেজ আসল।
– আপনি কে?
– এভাবে কেউ প্রশ্ন করে?(অচেনা)
– আপনি অপরিচিত তাই বললাম আর কি।
– অপরিচিত বলেই পরিচয় জানতে এলাম(অচেনা)
– আপনার নাম?
– মৃদুল…… আপনার?
– পরী….
– wow nice name your….
-tnx..
-আমরা কি বন্ধু হতে পারি। আপনি আপনার কষ্টের কথা বলবেন আমি আমারটা বলব।
– অচেনা ছেলের সাথে কথা বলতে আমি রাজি না বলে অফ লাইনে চলে আসলাম। এই পাবলিক গুলো যে কই থেকে আসে আল্লাহ্ ভাল জানে।



“সবাই খেতে বসেছে। সারভেন্ট সবাইকে সার্ভ করছে। এমন সময় নিতাই বলে উঠল পলা পরীকে খাবার দিয়ে এসেছিস?
– না কর্তা একদমই মনে ছিলনা।
– তোর হুস কবে হবে! ১১ টা বেজে গেছে তাও তোর একবার মনে পড়েনি। এখনি গিয়ে খাবার দিয়ে আয়।
– খাবার সময় ওর কথা না বললেই হয়না! বলেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল বিমলা।



– পরী কে দিদুন….. কথাটি কৌশিক বলে উঠল।
– কে আবার বাড়ির উসছিষ্ট।
– বিমলা চুপ করবা! ছেলে মেয়েদের সামনে কি শুরু করলা।



“পলা পরীর রুমে এসে দেখে পরী ঘুমিয়ে পড়েছে। এই পরী ওঠো খাবার এনেছি।
-…………………..?
-পলা এবার বেশ জোড়েই ডাকল।
– আমি খাবনা ঘুমাতে দাও তো!
– ভুল হয়ে গেছে এত দেরি করার জন্য। আসলে কৌশিক আর নিদ্রা এতদিন পর এসেছে তো তাই।
-……………………?
– দেখ খাবার গুলো ফেরত নিয়ে গেলে গিন্নী মা বাসা মাথায় তুলে ফেলবে।
-কি আর করা আর কিছু না বলে উঠে খেতে লাগলাম। ঐ মহিলা আমায় জ্বালাতন করার জন্য সব সময় প্রস্তুতি নিয়েই থাকে।



– খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম আমি।



– শুভ্র ল্যাপটপে কাজ করছিল বসে এমন সময় ফোনে কল আসল। শুভ্র স্কীনে চেয়ে দেখে আকিক কল দিয়ে ছে। ইচ্ছা না থাকা সত্বেও শুভ্র কল রিসিভ করতে ফোনের ওপার থেকে স্বশব্দে হেঁসে উঠল আকিক।
– দোস্ত তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে শোন তোর আর পরীর কি ভাবে বিয়ে হয়েছে তা বড় বড় অক্ষরে কাল পত্রিকায় হেড লাইন হয়ে বের হবে। সদ্য বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা কিভাবে একটা নিরীহ মেয়ে কে কোন পথে কি অবস্থায় বিয়ে করেছে।
তোর ক্যারিয়ার তোহ শেষ একদম। শুভ্র তুইতো ভোঁ…….কাট্টা…. ধুম বলেই হেসে উঠল। আমার বেইজ্জতি করেছিস আমার বাবার সামনে এবার পুরো দেশ তোর বেইজ্জতি দেখবে। এবং তোর পরিবারেরও।



– শুভ্র একটু হেসে বলল মানহানি মামলা না খাস তো এই পথ থেকে সরে যা বলছি। তোর কাছে কোন প্রুভ আছে! সেটাও নেই। খালি খালি আমার সাথে লাগতে আসছিস।

– সেটা কাল সকালেই দেখবি যখন তোর বাসায় পুলিশ গিয়ে হাজির হবে। টুত-টুত-টুত করে ফোন কেটে গেল।



– এমনি নিজের ঝামেলায় বাঁচছিনা তার ভিতর এই উটকো ঝামেলা লেগে গেছে বলে শুভ্র রুম থেকে বের হয়ে নিতাই সেনের রুমে গিয়ে ওনাকে সব খুলে বলল।

– নিতাই সেন সুনে বলল জিবনে এধরনের কত কেস সলভ্ করেছি। চিন্তা করিস না। শুধু পরী একটু ঠিক থাকলেই হয়। এই জন্য বলি নিজের গোপন কথা পরানের বান্ধব রে ও বলতে নেই। কে কোথায় শত্রু হয়ে আছে কে জানে। নিদ্রারা এই সময় এসে অনেক ভাল করেছে ওকে দিয়ে আরও কাজ দিবে।



– রাতেই সবাই মিলে মিটিং করে একটাই সিন্ধান্তে পৌছাল যে এখন পরীকে শুভ্রর ওয়াইফ বলে পরিচয় দেওয়া। মানে ২ ছেলের বউ একসাথে সবার সামনে হাজির করা। এখন পরী ব্যাপার টা মেনে নিলেই হয়।
– মেনে নিবেনা মানে আলবাত মানতে হবে বলে শুভ্র পরীর রুমে রওনা দিল।



– দাদু পরী মেয়েটা কে! ওকে তো দেখলাম না আর ও যদি শুভ্রর বউ হয়ে থাকে তাহলে নিজেকে শুভ্রের বউ হিসাবে পরিচয় দিতে ওর সমস্যা কি?

– নিদ্রা তুমিতো যান না পরী একজন মুসলিম
মেয়ে। তোমার সখের বজ্জাত দেবর এক ফ্রেন্ডের বাসায় গিয়ে পরীর সাথে ঝামেলা করে রেগে ওকে শাস্তি দিতেই জোর পূর্বক সিঁদুর দান করে। আর এটাই গল্পের মূল ইসু।
– পরী যে মুসলিম কথাটা শুনে নিদ্রা রেগে ফায়ার হয়ে গেল। কেন যে হল সেটা বুঝা গেল না।



“শুভ্র পরীর রুমে গিয়ে দেখে বেচারী আরামে সুয়ে ঘুমাচ্ছে। শুভ্র কিছু না ভেবে পরীকে কোলে নিয়ে ওর রুমে নিয়ে যেতেই পরীর ঘুম ভেঙ্গে গেল।


– পরী চিল্লায় বলল এই আপনি আবার আসছেন। ছাড়েন বলছি বলে ঐ অবস্থায় ছটফট করে লাগল সাথে শুভ্রর বুকে এর মধ্য ১০ খানা কিল পরে গেছে। সেদিকে শুভ্রর খেয়াল নেই।
– ছাড়ব তো অবশ্যই… তোমার মত মরিচের বস্তা কে কোলে নিয়ে থাকতে আমার দায় পরেনি। বলেই ওর রুমে নিয়ে গিয়ে নেমে দিয়ে বলল আপাতত আজ তুমি এখানেই থাকবা।


– কিহ্ আমি তোমার সাথে এখানে থাকব তাও তোমার মত মিথ্যা বাদী বান্দরের সাথে!
– এই মুখে লাগাম দাও বলছি বিপদে পড়েছি তাই কাজটি করছি তাছাড়া তোমার মুখও দেখতাম না বলে সব ঘটনা খুলে বলল।

– আমি তো চাই তুমি ধংস হও। জাষ্ট ফিনিস….. বলে হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালাম।

– শুভ্র আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল আমি বাহিরে আছি তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পার বলে চলে গেল।



– সকালে নিদ্রা অনিতা এসে পরীকে ডেকে তুলে। নিদ্রা এই প্রথম পরীকে দেখে বলল শুভ্রর চয়েস আছে। ওকে শাড়ি পরিয়ে দেয়। শাঁখা, বালা, সিঁদুর দিয়ে দেয়।
– That’s great একদম দেবীর মত লাগছে পরী তোমায় বলে নিদ্রা হেসে উঠল।
– আমার পুরো শরির রাগে কেঁপে যাচ্ছে।




– পরীকে নিচে নেমে আনা হল। শুভ্র তো পরীকে দেখে বুঝতে পারল মেয়েটা কতটা রেগে আছে। ভালয় ভালয় সময়টা কেটে গেলেই বাঁচি। কোন সিনক্রিয়েট না করলেই সমস্যা সমাধান।



– কৌশিক পরীকে বলল হ্যালো পরী আমি শুভ্রর দাদা আর ওটা তোমার বৌদি।
– আমি তাদের সালাম দিলাম। আমার সালাম দেওয়া দেখে সবাই হতবাক। আমি শুভ্রর দাদাকে বললাম সবই ভাল কিন্তু নিজের ভাইকে মানুষ বানাতে পারেন নি।

– আমার কথা শুনে সবাই চুপ করে গেল। শুভ্র আমার কাছে এসে বলল একটা ঠাটিয়ে গালে চড় না পরলে দেখছি থামবেনা। আমি মানুষ হইনি! আর তুমি! কোথায় কি বলতে হয় সেটাও জানোনা।

– আমি দাদুর দিকে তাকালাম। চোখে চোখ পড়তেই উনি অন্য দিকে মুখ করে থাকলেন। তার মানে এরা সবাই মিলেই প্লান করেছে। এরা সবাই স্বার্থপর। স্বার্থে আঘাত পড়লে সব করতে পারে। আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগল।


– সবাই বসে নাস্তা করতেই বাসায় পুলিশ সহ আকিক এসে হাজির। সবাই অবাক হলনা কিন্তু নিতাই সেন বলে উঠল কি ব্যাপার any problem! কি মনে করে। বসেন আমাদের সাথে নাস্তা করেন।


– শুভ্র পিছন থেকে এসে আকিককে জড়িয়ে ধরে বলল আরে দোস্ত তুই এখানে আসবি আগে বলবিনা বলেই কানের কাছে গিয়ে বলল আকিক তুই তো আজ গেছিস। মামলা খাওয়ার জন্য তৈরি থাক। আজতো পুরো প্রস্তুত হয়েই মাঠে নেমেছি। এমনি এমনি এত বড় ক্যাডার পদে নিয়োগ পেয়েছি। ঘটে বুদ্ধির বলেই। পানিতে বাস করেই কুমিরের সাথে লড়াই! দেখ এবার তোর হাল কি করি বলে শুভ্র ওকে ছেড়ে দিল।
চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here