You_are_mine Poly_Anan part_1

0
6080

You_are_mine
Poly_Anan
part_1
“আর যদি নড়া চড়া করো কসম ঈশু একটা থাপ্পড় ও এদিক সেদিক যাবেনা”!
” উহু,, হুহ,,উম্ম(নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে)
“যানতাম আমি ভালো কথার মেয়ে তুমি নও!তোমার মতো মেয়েকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমার ভালো করেই যানা আছে!
চলন্ত গাড়িটাকে এক সাইডে দাড় করিয়ে,রুমালে স্প্রে নিয়ে ঈশার নাকে চেপে ধরে ঈশান মুহূর্তেই ঘুমে আছন্ন হয়ে যায় ঈশা।
একটি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে ঈশান ঈশার হাতের বাধন খুলে দেয়।শক্ত করে বাধার ফলে ঈশার ফর্সা হাত টকটকে লাল হয়ে যায়।মুখের সাথে বাধাঁ রুমাল আলতো করে খুলে দেয়।ঈশার মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে আবারো ড্রাইভিং করতে শুরু করে।কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তারা একটি বাংলোর সামনে হাজির হয়। এখনো ঘুমে আছন্ন হয়ে আছে ঈশা।তার কপালের মাঝে আলতো করে চুমু খেয়ে গাড়ি থেকে তাকে কোলে তুলে নেয় ঈশান আর তার মুখের দিকে একপলক তাকিয়ে বাংলোর ভেতরে ডুকতে থাকে।গেটের সামনে দারোয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,
” আমার অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বাংলোর ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।”
“আপনার কথাই হবে ছোট সাহেব”
“গুড”(মাথা নেড়ে)
.
বোতল থেকে পানি নিয়ে ঈশার মুখে অনবরত পানির ঝাপটা দিয়ে যাচ্ছে ঈশান।প্রায় তিন মিনিট পর পিট পিট করে চোখ খুলে ঈশা।তার সামনে ঈশানকে দেখে মুখে হাত দিয়ে হু হু করে কেদে উঠে সে,
“আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ কেন এমটা করছেন আপনি?হঠাৎ করে আপনার রেগে যাওয়ার কারনটা কি আমি তো কোন অন্যয় করিনি?
ঈশার দিকে সে তাকিয়ে আগুন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে,
” কাল তুমি লিমনের বাইকের পিছনে কেন বসেছ?(গম্ভীর কন্ঠে)
ঈশানের মুখে কথাটি শুনে ঈশা বেশ অবাক হয়ে যায়। কেননা তার জানা মতে ঈশান তার বন্ধুদের সাথে কক্সবাজারে ছিল তবে সে যানলো কি করে?
“সে আমার বন্ধু আমি তার বাইকে উঠতেই পারি তাতে আপনার এতো রেগে যাওয়ার কি আছে?
” কয়েক দিন আগেও দেখলাম লিমনের হাত থেকে বেশ আয়েশ করে হাসতে হাসতে ফুসকা খেলে আমার কথা কি ভুলে যাও অন্য ছেলে সামনে পেলে ?( রেগে)
ঈশা একটা ঢোক গিলে ঈশানের দিকে তাকিয়ে থাকে।সবটা যখন ঈশান যেনে গেছে তাহলে তার আর রক্ষে নেই।তাকে শাস্তি দিতে যে এই বাংলোতে এনেছে তার কাছে এখন সবটা পরিষ্কার
হঠাৎ করে ঈশান তার চুল গুলো মুঠোয় নিয়ে নেয়।হঠাৎ আক্রমনে সে ঘাবড়ে যায় আর ব্যথায় আর্তনাদ করে উঠে।
“আহ…!আমাকে ছেড়ে দিন লাগছে আমার(চিৎকার করে)
” ছাড়তে তো তোকে আমি এখানে নিয়ে আসিনি।আজ তোর সাথে কি কি হয় দেখবি তুই!

ঈশান চুল ছেড়ে বিছানার সামনে থাকা টি-টেবিল থেকে একটি প্লেট তুলে নেয় প্লেটের ডাকনা তুলতেই ঈশার চোখ বড় যায়।প্লেটের মধ্যে বেশ ঝাল দিয়ে ফুসকা রাখা আছে আর অসংখ্যা কাচামরিচের কুচি ফুসকার উপর ছড়িয়ে আছে।ঈশান ঈশার পাশে বসে একটি বাকা হাসি দিয়ে বলে?
“ঈশু বেবি চলো ফুসকা খাওয়া যাক।এটা তোমার লিমনের হাতের টক মিষ্টি ফুসকা না এটা এই ঈশান শাহরিয়ারের হাতের ফুসকা।আমার হাতের ফুসকা আমার মতোই ঝাঁঝ হবে তাই আমাকে যেভাবে সহ্য করেছো আমার ফুসকার টেস্ট টাও সহ্য করো।”
এই কথা বলে ঈশান তার মুখের সামনে ফুসকা ঠেসে ধরে,
ঈশা অনবরত মুখ দিয়ে “না না ” শব্দ করে যাচ্ছে সে তার মুখে হাত দিয়ে চেপে আছে। কিন্তু ঈশানের বলিষ্ঠ হাতের কাছে ঈশা পেরে উঠে না।এভাবে একে একে বেশ কয়েকটি ফুসকা ঠেসে দেয় তার মুখে। অতিরিক্ত ঝালে ঈশার দম বন্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু তাতেও থামেনা ঈশান একের পর এক ফুসকা জোর করে গেলাতে থাকে। এদিকে ঈশা কাশতে কাশতে চোখ উলটে ফেলে। তার প্রান পাখিটা যেন এখনি বেরিয়ে যাবে।ঈশার অবস্থা খারাপ দেখে এবার ঘাবড়ে যায় ঈশান।
“ঈশু কি হয়েছে বেশি ঝাল লেগেছে (ঘাবড়ে গিয়ে)
ঈশানের কোন কথা ঈশার কানে যেন ডুকছে না। সে অনবরত কাশতে থাকে।সে চারিদিকে পানি খুজতে থাকে কিন্তু কোথাও কোন পানি নেই ঈশান ঈশার দিকে তাকিয়ে আবারো রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে,
” বেশি ঝাল লাগছে বুঝি আচ্ছা আমি আবার ঝাল কমিয়ে দিচ্ছি যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।
ঈশান ঈশার মাথার পেছনের চুল গুলো চেপে ধরে মাথাটা ঝুকে ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দেয়।
ঈশানের এমন কাজে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে ঈশা।আর এদিকে ঈশান চোখ বন্ধ করে ঈশার মাঝে নিজেকে বিলীন করে দেয়।
.
“তুই সাইনটা করে দে ঈশা। তুই সাইন করলে আমি ও নিশ্চিন্ত আর তুইও আমার শিকল থেকে বেরতে পারবিনা.(একটি ম্যারিজ রেজিস্ট্রি পেপার নিয়ে ঈশার সামনে বসে আছে ঈশান)
” না না না আমি কিছুতেই সাইন করবো না,
“আমি বলছি তুই সাইন কর (চিল্লিয়ে)
” না আমি কিছুতেই সাইন করবো না।আপনি একটা পাগল! আপনাকে আমি কিছুতেই বিয়ে করবো না!(দাতে দাত চেপে)
“হ্যা আমি পাগল! তোর জন্য পাগল আমি! কিন্তু তুই তো বুঝিস না! (চিল্লিয়ে)
” আমি বুঝতেও চাইনা বিকেল হয়ে যাচ্ছে আমাকে ছেড়ে দিন আমি বাসায় যাবো(নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করে।)
“যেতে দিবো আগে সাইনটা করে দাও তুমি আমি সত্যি তোমার বাড়ি গিয়ে তোমায় পৌছে দেবো!(শান্ত সুরে)
” বল্লাম তো করবো না জোর করছেন কেন।আপনার থেকে লিমন হাজার গুনে ভালো অনন্ত আমাকে কষ্ট দেয় না(নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করে)

লিমনের কথা শুনে মূহুর্তেই ঈশানের মাথা গরম হয়ে যায় সে ঈশা কে গলা চেপে ধরে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে নেয়।
“তোর মুখে আবারো লিমনের নাম কেন আসলো এতো বার বারন করা সর্তেও তুই আবার ওর নাম নিলি”(রেগে)
ঈশা নিজেকে ছাড়া চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতেই ছাড়াতে পারছেনা হঠাৎ তার চোখে পরে একটি ওয়ার ডপের উপর বড় ফুলদানি।সে ফুলদানিটা হাতে তুলে নেয় আর ঈশানের মাথায় জোরে আঘাত করে সাথে সাথে ঈশান তাকে ছেড়ে মাথা চেপে ধরে রক্ত ঈশানের মাথা থেকে চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে তার চোখ আসতে আসতে বন্ধ হয়ে আসছে কিন্তু তবুও ডান হাতে শক্ত করে আবারো ঈশাকে জড়িয়ে ধরে,
” আমাকে ছেড়ে যেওনা ঈশু প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেওনা।(দূর্বল কন্ঠে)
ঈশানের অবস্থা দেখে সে ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু তবুও নিজেকে বাচাঁতে ধাক্কা দিয়ে ঈশানকে সরিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে যায় রুম থেকে আর সোজা নিচে চলে যায়।গেটের সামনে দারোয়ান তাকে বাধা দিলে একটি ফুলের টব তুলে দারোয়ানের মাথায় আঘাত করে। দারোয়ান গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। আর ঈশা দৌড়ে বেরিয়ে যায় গেট থেকে আর ভাবতে থাকে ৭ মাস আগের অতীত… যেদিন থেকে দেখা হয় এই অভীশপ্ত ঈশানের সাথে……..
চলবে….
?নিয়ে আসলাম এক পাগল প্রেমিকের গল্প।কালকে অতীতটা জানানো হবে। আশা করি লাইক কমেন্ট করে পাশে থাকবেন?।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here