মন পিঞ্জর পর্ব ৩৪

0
902

#মন_পিঞ্জর
#লেখিকা_আরোহী_নুর
#পর্ব_৩৪

আদৃত মাঝরাতে ফিরলো,আঁখি এগিয়ে গেলো ওর দিকে।

আপনি কোথায় ছিলেন এতোসময়?আপনি জানেন আমি কখন থেকে অপেক্ষা করছি,ভিজে কাপড়ে বাইরে গেলেন কেনো,দেখেন শরীরেই শুকিয়ে গেছে।

আমি ঠিক আছি আপনি শুধু শুধু টেনশন করবেন না,আপনার টেনশন নেওয়া ঠিক না আপনার তা মাথায় ঢোকানো উচিৎ।

কথাটা বলে আদৃত কাপড় নিয়ে চেঞ্জ করতে চলে গেলো,অতপর চেঞ্জ করে এসে সোফাতে শুয়ে পড়লো।

এই যে আপনি শুয়ে পড়ছেন কেনো?খাবেন না,না খেয়ে চলে গেলেন তখন কোথাও।চলেন খাবেন।

আমার ক্ষিদে নেই আমি খাবো না মিস আঁখি।

আপনাকে খেতে হবে চলেন।
মা গো, আপনার গা তো দেখি জ্বরে পুঁড়ছে,আপনাকে আমি তখন বলেছিলাম চেঞ্জ করতে,কথা শুনলেন না তো আমার,বলেন না কি আমি জেদি নিজে কি শুনি,আসতো কাকতাড়ুয়া কি আর এমনি বলে,বসেন আমি আসছি।

তারপর আঁখি খাবার নিয়ে এলো আদৃতের জন্য,আদৃত খেতে না চাইলে জোর করে খেতে বাদ্য করলো,আঁখির জেদের সামনে তো সবসময়ই আদৃত নিরুপায় তাই খেয়ে নিলো যতোটা পারলো,আঁখি তারপর ওকে ওষুধ খাওয়ালো,হাতের ব্যান্ডেজ খুঁলে আবারও ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে শুতে বললো।

আমার ঘুম আসছে না,ঘুমাবো না এখন।

আমি আছি না আমি ঘুম এনে দিবো,জানেন বাবা বলতেন আমার হাতে জাদু আছে,ভাইয়া আর আয়ানও বলতো,কারন আমি যারই মাথায় বিলি কেটে দিতাম সে না ঘুমিয়ে পারতোই না,আপনি চোখ বন্ধ করুন আমি আপনার মাথায় বিলি কেটে দিই ঘুম চলে আসবে।

কিন্তু।

কোনো কিন্তু না চুপ করে শুয়ে থাকুন তো।

দেখুন মিস আঁখি রাত অনেক হয়েছে আপনার বিশ্রামের প্রয়োজন আমি নিজে থেকে ঘুমিয়ে পরবো আপনি ঘুমিয়ে পরুন।

আমি কথা দিচ্ছি আপনি ঘুমানোর সাথে সাথেই নিজে গিয়েও ঘুমিয়ে পরবো,প্লিজ একটু ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

আদৃত তাও না মানলে আঁখি অনেক জেদ করে ওকে মানায়,অবশেষে আদৃত চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টায়,আঁখি ওর মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছে, জ্বরে অনেক মাথা ব্যাথা হলেও প্রশান্তি লাগছে এতে,আঁখির ওর প্রতি এতো যত্নবান হওয়া মোটেও সহানুভূতি মনে হয় না আদৃতের তবে তখন আঁখির জবাব না পাওয়ায় নিরাশাটাও যে পিছু ছাড়ছে না ওর।

চিৎ হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে আয়ান, আজ আঁখি ওকে বাঁচিয়েছে,ওর জন্য কতোটা অস্থির ছিলো আঁখি তা আয়ান স্পষ্ট আন্দাজ করতে পেরেছে,যা ওর মনে এনে দিচ্ছে প্রশান্তির ছোঁয়া,তারমানে মানে হয়তো আঁখি এখনও ওকে ভালোবাসে,কথাটা ভাবতেই ঠোঁটের কোনে মৃদ্যু হাসি ফুঁটলো,মনে মনে অনেক কিছু ভেবে নিলো এবার।

সায়েদা ঘুমিয়ে ছিলো হঠাৎ কিছু শব্দ শুনতে পেলো ও,আজ দিদু ওর মা আর মিরা রাহমানের সাথে থাকতে চাইলেন,যাতে আয়েশা চলে এলো ওর কাছে।শব্দগুলো শুনে সায়েদা অনেকটা অবাক হলো কেমন যেনো আজবগুবি কিছু শব্দ, এবার বারান্দা দিয়ে কেউ একজন ওকে ডাকছে আন্দাজ করতে পারলো,সায়েদা খনিক ভয় পেয়ে আয়েশাকে ডাকলো,আয়েশা এমন ঘুমে যে নড়ছে অব্দি না,এদিকে বাইরে থেকে ওর নামের ডাকটা এখনও বন্ধ হয় নি,কেউ মৃদ্যু কন্ঠে ওকে বলছে।

সায়েদা বেড়িয়ে এসো,সায়েদা এসো না।

কে আপনি কাকে চাই? আমি বেড়িয়ে কেনো আসবো?আসবো না।

সায়েদা এসো না,সায়েদা এসো।
সায়েদা ভয়ে লাইট জ্বালাতে গেলে বিদ্যুৎ চলে গেলো,ও নিজের ফোনটাও খোঁজে পেলো না,সায়েদা এবার প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো,আয়েশাকে চিৎকার করে ডাকছে তবে সে যেনো তা শুনতেই পারছে না, এবার নিজেকে বাঁচাতে মা বাবা বলে চিৎকার করতে শুরু করলো,প্রায় ২ মিনিট কাঁদার পরে ওর হাল বেহাল দেখে তাজবীর লাইটটা জ্বালিয়ে হাসতে লাগলো,ওর পিছন নোমানও,আয়েশাও উঠে বসে হাসছে।সায়েদা বুঝতে পারলো না কোনো কিছু,এবার নোমান বললো।

আরে আমার পাগলি বোনটা,ভয় পেয়েছে খুব,আরে ভয় পাস না,আমরা তাজবীরের সাথে মিলে তোর সাথে একটু মজা করছিলাম,আসলে তুই তো ভুতে অনেক বিশ্বাস করিস কথাটা শুনার পর তাজবীর ভাবলো তোর ভুতের ভয় নিয়ে তোর সাথে একটু মজা করে নিবে যাতে তোর ভুতের ভয়টাও চলে যাবে,তাই আমরাও ওর সাথে একটু যোগ দিলাম,আরে এসবে তো আঁখিও ছিলো তবে ও আসতে পারে নি ভাইয়ার একটু শরীর খারাপ করেছে তাই।

হোয়াট তোমরা আমার অনুভুতি নিয়ে মজা করলে?আর উনি কখন এলেন এখানে?

আরে আমরা যেদিন এসেছি সেদিনই এসেছিলো,আঁখিই জেদ করলো ওকে এখানে আসতে,তবে তোর সামনে পরে নি নয়তো এমন মজা হতো কি করে।

সাদে কি আর বোকা,বাচ্চা টিউবলাইট বলি,এভাবে সামান্য ভুতের ভয়ে কারো এমন হাল হয় না কি,কোনো বাচ্চা ছাঁড়া,হা হা হা।

অনেক মজা লাগে না মি.তাজবীর আমাকে নিচু করে,অসম্মান করে,ছাড়বোনা আমি আপনাকে,কখনো ছাড়বোনা,আর ভাইয়া আয়েশা আঁখি আমি তোমাদের কারো সাথেই আর কথা বলবো না।

সায়েদা ছুঁটে চলে যায় ওর মায়ের রুমের দিকে।

ইশ আমরা বোধ হয় একটু বেশি করে গেছি।

তুমি চিন্তা করো না আয়েশা আমার বোন,চিনি আমি ওকে খুব ভালো করে এক বক্স চকলেট এনে দিলেই সব রাগ ভুলে যাবে।

___________________

আয়ান রিসোর্টে হাঁটছিলো তখনি ওর মা বোনকে দেখতে পায়,অল্প করে হলেও ওদের সাথে কথা বলতে মন চায় ওর,কিন্তু পরক্ষণেই মনে চলে আসে কিছু তিক্ত চিন্তা।

ওরা নিজের ইচ্ছেতেই গেছে আয়ান,যাদের তোর সম্মানের চিন্তা নেই তাদের চিন্তা তোর করে কি লাভ?আয়ান মুখ ঘুরিয়ে চলে গেলো রুমের দিকে,আয়েশা আর মা দেখতে পেলেন ওকে,মা এগিয়ে আসতে নিয়েছিলেন, ছেলেকে দেখে যে উনি আর নিজের আবেগ আটকে রাখতে পারলেন না,ইচ্ছে হলো বড্ড ওকে জড়িয়ে ধরে নিজের অশান্ত মন পিঞ্জরটা অল্প শান্ত করে নিতে তবে সে অধিকারটুকুও আয়ান কেঁড়ে নিবে উনার জানা ছিলো না উনার,কান্না আসলো উনার বুক ফেঁটে,চোখের জল মুছতে ব্যস্ত হয়ে চলে গেলেন উনি,আয়েশাও চোখের গড়িয়ে পরা জল আলতো হাতে মুছে মায়ের সাথেই এগিয়ে গেলো,ওর ভাই ওদের পর করে দিলেও মন থেকে যে আয়েশা কখনো আয়ানকে পর করতে পারে নি আর পারবেও না।

আঁখি একটা নদীপাড়ে একা বসে আছে।বড্ড ভালো লাগছে ওর একা এই উতলা নদীর সৌন্দর্যে বিমোহীত হতে,নদীপাড়ের মিষ্টি বাতাস গায়ে ভালোলাগার শিহরন তৈরি করছে বার বার,অনুভবে ভরে নিতে ইচ্ছে হচ্ছে বড্ড নদীপাড়ের এই সীমাহীন সৌন্দর্য। কিন্তু হঠাৎই ওর কাজে বিঘ্ন ঘটালো কেউ একজন।পাশের পাথরেই এসে বসলো কেউ,বিরক্তির পরিমানটা একটু বেশি বেড়ে গেলে আঁখির যখন চোখ ঘুড়িয়ে সেই ব্যক্তি হিসেবে আয়ানকে ধিদ্বার করতে পারলো।আয়ান মুখে বিশ্ব জ্বয়ের হাসি ঝুলিয়ে বললো।

শুভ সকাল।

আঁখি কিছু না বলে উঠে যেতে নিলে আয়ান ওর হাত ধরে নিলো,আঁখি টান দিয়ে হাত ছাড়ালো মুখে অনেকটা বিরক্তি টাঙিয়ে।

একটু বসো না আমার পাশে,দেখো আমি জানি তুমি এখনও আমায় ভালোবাসো,ওই আদৃতের সাথে এজন্য ঘুরে বেড়াও যাতে আমি জেলাস হই,আমাকে জ্বালানোর জন্যই ওকে নিজের স্বামী বলে দাবি করছো তাই না?আসল সত্য তো এটা যে ওর সাথে তোমার কোনো সম্পর্ক নেই।

আঁখি এবার স্বাভাবিক ভাবে বললো।

মেনে নিলাম উনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই,আমি উনাকে ভালোবাসি না,আমি আপনাকে জ্বালানোর জন্য এসব করছি,তবে কি আমি সত্যিই সফল হচ্ছি?আপনি কি সত্যিই জেলাস হচ্ছেন।আমার কি মনে হয় জানেন আপনার বুদ্ধির বিলুপ্তি ঘটছে,একবার ভেবে দেখেছেন এসবের কি কোনো মানে আছে?ড.আয়ান আপনি নিজের ইচ্ছেতে আমায় ছেঁড়েন দিলেন আপনার মন ভরে গেছে বলে,তবে কেনো এখন আবার আমার পিছু আসছেন,বলেন কি চাই আপনার?আমি আপনাকে ভালোবাসি না বাসি তা দিয়ে আপনি কি করবেন?আবার আমাকে জীবনে নিয়ে নিবেন?তবে তখন মাহির কি হবে ওকেও ছুঁড়ে ফেলবেন ?না কি দুজনকে একসাথে রাখবেন?দুজনকে আলাদা দুই রুমে রাখবেন না কি এক রুমেই,হয়তো এক বেডেই দুজনকে নিয়ে থাকতে চাইবেন।

আঁখিিিিিি।

চিৎকার করবেন না,কথাগুলো শুনে অনেক খারাপ লাগছে না,এটাই সত্য,ভালো করেই মনে আছে আমার আপনার সাথে কাটানো সেই শেষ দিনগুলোর কথা,আমার সাথেই এক রুমে থাকাকালীন ল্যাপ্টপে ভিডিও কলে বসে আপনার মাহির সেসব অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দেখতে থাকা,তখন আপনি ইচ্ছে করেই আমাকে জ্বালিয়ে ওসব করতেন কারন হয়তো আপনার মজা লাগতো এতে, যে রাতে ওর কাছে যেতেন না তখন রুমে বসে আমাকে শুনিয়েই অশ্লীল কথাবার্তায় মগ্ন থাকতেন ওর সাথে,আর তাই আজ নিজের মতো আমাকেও মনে করছেন হয়তো ,কিন্তু আপনাকে এলার্ট করে দেই ড.আয়ান আমি না আপনার মতো আর না মাহির মতো তাই আমার কাছ থেকে এমন কিছু আশাও করবেন না।আর হ্যাঁ নিজের মনকে শান্তভাবে বসে জিজ্ঞেস করবেন যে তার চাওয়াটা আসলে কি,আগে নিজের লক্ষ্য স্থির করুন যে আপনার কি চাই তারপর না হয় সে অনুযায়ী চিন্তা করে সামনে এগুবেন।

চলে গেলো আঁখি কথাগুলো বলে,তবে চোখে যেনো আঙুল দিয়ে আয়ানকে সত্যটা দেখিয়ে গেলো।
_________________

মাহি জানতে পারলো আয়ানের রাঙামাটি যাওয়ার আসল কারন,যাতে জ্বলে পুড়ে উঠলো নিমিষেই।

আমি জানতাম আয়ান এমন কিছুই ঘটাবে,ওকে দিয়ে আর কি বিশ্বাস, তবে আয়ানকে নিয়ে আর কোনো মাথা ব্যাথা নেই আমার,ও ফিরে আসুক তারপর না হয় ওকে স্যারপ্রাইজটা দিবো,আর যেখানে কথা ওই আঁখির ওকে ছাড়বো না,ও আমার থেকে জয়ী এবার আর হতে পারবে না,ও আমাকে অনেক জ্বালিয়েছে,সবকিছু কেঁড়ে নিলাম অথচ বুক ফুলিয়ে হাঁটে এবার তো মনে হয় বড় কিছু করতে হবে ওর সাথে,আসুক বেড়ানো থেকে,কদিন ফুর্তি করে মন কে চাঙ্গা করুক তারপর না হয় বেদনা দিতে ভালো লাগবে।

তাজবীর বসে ছিলো ওর রুমে তখনি সায়েদা এলো।

আরে তুমি,ভালো হয়েছে তুমি এসে গেছো,আমি তোমার কাছেই যাচ্ছিলাম।

কেনো?

ওই আসলে তোমার সাথে একটু বেশিই লাগালাগি করে ফেলেছি তাই সরি বলতে চাইছিলাম।

ও ঠিক আছে আমি মনে কিছু নেই নি ইট’স ওকে।

কথাগুলো অনেকটা হেসে হেসে বলছে সায়েদা যা হজম হলো না তাজবীরের। সায়েদা এতোকিছুর পরও ওর সাথে এতো ভালো ব্যবহার করছে কেমন সন্দেহ জনক মনে হলো বিষয়টা ওর কাছে।সায়েদা এবার মুখে হাসি টাঙানো অবস্থায় আবারও বললো।

আরে এতো কি ভাবছেন?আপনি তো মজা করেছেন এসব নিয়ে আবার মন খারাপ করে থাকতে হয় না কি?বাদ দেন এসব,আমি তো এসেছিলাম আপনাকে কিছু বলতে।

কি বলবেন বলুন?

ওই আসলে আমি আপনার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইছিলাম,আঁখি আমার ফ্রেন্ড সে হিসেবে আপনাকেও ফ্রেন্ড তো বানাতেই পারি।

হুম কিন্তু।

কিন্তু কি?ওকে আপনি ফ্রেন্ডশিপ না করতে চাইলে আমার তো আর কিছু করার থাকবে না,আমার মতো বোকা টিউবলাইটের সাথে ফ্রেন্ডশিপ কেনোই বা করবেন আপনি।

আরে না না ওসব তো আমি মজা করে বলি,তুমি তো অনেক ভালো মেয়ে,আমি ফ্রেন্ডশিপ করতে রাজি।

সায়েদার মলিন মুখটা মেনে নিতে না পেরে রাজি হয়ে গেলো তাজবীর,সায়েদা এতে রহস্যময়ী একটা হাসি দিয়ে হাত আগে বাড়িয়ে দিলো।

ফ্রেন্ডস।

ফ্রেন্ডস।

তাজবীরও হাত মিলিয়ে নিলো।

আদৃত ল্যাপটপ নিয়ে কিছু কাজ করছে আঁখি তখনি এসে তা কেঁড়ে নিলো।

আরে মিস আঁখি কি করছেন?আমার কাজ আছে।দেন ওটা।

ছুটিতে এসে আবার কাজ কি?তাও অসুস্থ অবস্থায়, চুপচাপ রেস্ট করেন।

আপনি আমার কথা শুনেন? যে আমি শুনবো?

আপনি যেমন জোর করে আমাকে কথা শুনিয়ে নেন আমিও তেমনি শুনাবো,এবার শুয়ে পড়ুন ওষুধ খেয়েছেন এখন বিশ্রামের প্রয়োজন আপনার।

এখন আর রেস্ট করতে ভালো লাগছে না মিস আঁখি।

দেখেছেন আমাকে যে পুরোদিন রেস্ট রেস্ট বলে মাথা খান তখন আমার ঠিক এমনই লাগে,আচ্ছা চলেন রেস্ট করতে হবে না আমার সাথে বাইরে চলেন প্রকৃতির ধিদ্বার করলে রোগ ব্যাধি সব ছুঁটে পালাবে,মন ভালো তো শরীর ভালো,চলেন।

আঁখি আদৃতকে টেনে নিয়ে গেলো বাইরে……….

আয়ান এদিকে গভীর চিন্তায় ব্যস্ত,মনের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে,আঁখির কথা অনুযায়ী এবার………..

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here