#আফিম_বড্ড_নেশালো
পর্বঃ২০ ও অন্তীম পর্ব
লেখিকাঃমাহযাবীন
“আপনার ঠোঁটের স্পর্শে এক অদ্ভুত সম্মোহনী শক্তি আছে,আফিম”
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে নাফিয়ার দিকে তাকায় আফিম।ঠোঁটে একটু হাসি নিয়ে আলতো করে বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা আফিমের ঠোঁট স্পর্শ করে নাফিয়া বলে ওঠে,
-এর স্পর্শ পুরো পৃথিবীটা ভুলিয়ে দেয়।সব কষ্ট ভুলিয়ে সুখের সমুদ্রে নিয়ে যায়।এই স্পর্শ আমার মাঝে সাহস জাগায়।আমার সব নিরাশা, সংকোচ,ভয় সব কিছু নিঃশেষ করে দেয়।আপনিহীনা কি করতাম আমি,আফিম?(চোখ জ্বলজ্বল করছে নাফিয়ার)
এতো টা সময় চুপচাপ নাফিয়ার চোখে চোখ রেখে তার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো আফিম।নাফিয়ার চোখজোড়া জ্বলজ্বল করে উঠতেই নাফিয়ার কোমর দু’হাতে আঁকড়ে ধরে নাফিয়াকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় সে।আফিমের এতোটা কাছে যেতেই নিজের চোখজোড়া বুজে নেয় নাফিয়া।আফিম তার দুচোখের পাতায় আলতো করে দু’টো চুমু বসিয়ে দেয়।তারপর আর দেরি না করে নাফিয়ার ওষ্ঠদ্বয় নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয়।
একটু আগে____
রাত ঠিক বারোটা।হসপিটালের বেডে শুয়ে ঘুমিয়ে আছে নাফিয়া।আফিম আলতো করে তার কপালে চুমু দিয়ে ডেকে ওঠে তাকে।আফিমের এক ডাকেই ঘুম ভেঙে যায় তার।আলতো করে চোখজোড়া মেলে তাকাতেই আফিমকে নিজের অনেক টা কাছে আবিষ্কার করে সে।আফিম ঠোঁটে এক চিলতে হাসি বজায়ে রেখে নাফিয়াকে উঠে বসতে সাহায্য করে।আধশোয়া হয়ে বসে,নিজের চারপাশটায় চোখ বুলিয়ে নিতেই অবাক হয়ে যায় নাফিয়া।পুরো কক্ষটি হরেক কালারের মোমবাতি ও প্রদীপ দিয়ে সাজানো।সেই সাথে তাদের দুজনের অনেক গুলো ছবি পুরো কক্ষ জুড়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।হটাৎ এসবের কারন বোধগম্য হচ্ছে না তার।জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আফিমের দিকে তাকাতেই আফিম মুচকি হেসে বলে ওঠে,
-আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার আজ ১ বছর সম্পূর্ণ হলো,মিসেস.আফিম ইবনান।সেই সাথে এই রাতটিই হসপিটালে তোমার শেষ রাত।আগামী কাল আমরা বাসায় ফিরবো।
আফিমের কথায় ঠোঁটে বড় একটি হাসি ফুটিয়ে তোলে নাফিয়া।আলতো স্বরে বলে ওঠে,
-অনেক সুন্দর হয়েছে সাজানোটা আফিম।আমি সত্যিই অনেক খুশি হয়েছি।আমাকে একটু উঠতে সাহায্য করুন তো!আমি,আমাদের ছবি গুলো দেখতে চাই।
আফিম কিছু না বলে নাফিয়াকে সাহায্য করে।নাফিয়া পুরো ঘর ঘুরে ঘুরে সব গুলো ছবি দেখছে।প্রতিটি ছবিতে কত শত স্মৃতি মিশে আছে।সব মনে পরছে তার।সেই সাথে ঠোঁটে ফুটে উঠছে হাসি।
সব গুলো ছবি দেখা শেষে নাফিয়া বলে ওঠে,
-হসপিটালে এগুলো কিভাবে করলেন?
-নিজ হাতে সব করেছি।তুমি তো নাক ডেকে ঘুমুচ্ছিলে।
-ডাক্তার ঘুমের ঔষধ দিয়েছিলো হয়তো!(মন খারাপ করে বলে ওঠে)
দু’হাতে নাফিয়ার গাল স্পর্শ করে আফিম বলে ওঠে,
-ঘুমিয়ে ছিলে বলেই তো আমার জন্যে সুবিধা হয়েছিলো।নাহয় সারপ্রাইজ দিতাম কি করে?
উত্তরে একটু হাসে নাফিয়া।
-উইল ইউ ড্যান্স,মিসেস.আফিম ইবনান?
উত্তরে একটু হেসে আফিমের কাঁধে এক হাত রাখে এবং অপর হাত দিয়ে আফিমের হাতের আঙুলে আঙুল গুঁজে দেয় নাফিয়া।আফিম বাঁকা হেসে রিমোট এর সাহায্যে লো ভলিউমে সাউন্ড বক্সে গান ছেড়ে নাফিয়ার কোমর আঁকড়ে ধরে তাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।গানের তালে তালে আলতো দুলতে শুরু করে তারা।উভয়ই ধীরে ধীরে ড্যান্সের স্টেপ গুলো করছে কারণ নাফিয়ার অপারেশন শেষ হয়েছে কেবল ৩ সপ্তাহ সম্পূর্ণ হলো।
!!
ফজরের নামাজ কায়েম করেই নাফিয়ার বাবা-মা অর্থাৎ অভ্র সাহেব এবং নয়না বেগম বেরিয়ে পরেন হসপিটালের উদ্দেশ্যে।প্রতিদিন এভাবে সকালে যান এবং বিকেলে বাড়ি ফিরে আসেন তারা।আফিম থাকতে মেয়ের সেবা যত্ন করার সুযোগ তো তারা পান না কিন্তু চোখের দেখা দেখে নেওয়াটাই শান্তি।
মেয়ের অপারেশনের দিন ঘন্টার পর ঘন্টা কেঁদে ও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করে শরীর খারাপ করে ফেলেছিলেন নয়না বেগম।বাবা, অভ্র সাহেব চাপা স্বভাবের মানুষ।নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন না সহজে।তাই সংসার জীবনে নিজের স্বামীর চোখে শুধু মাত্র তিন বারই জল দেখতে পেয়েছেন নয়না বেগম।প্রথম,যখন নাফিয়াকে প্রথম কোলে নিয়েছিলেন অভ্র সাহেব।দ্বিতীয়,যখন অভ্র সাহেবের মা মারা যান।এবং তৃতীয়,নিজ কন্যার এমন অপারেশনে।
অতঃপর,অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ার পর দু’জনে যেনো প্রাণ ফিরে পায়।
নাফিয়ার রোগ ও চিকিৎসা জানবার পর বেশ দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরেছিলো দু’জনকে।প্রথমত নাফিয়ার সুস্থতা আর দ্বিতীয়ত,নাফিয়ার সংসার টিকবে তো?
কিন্তু অপারেশনের সময় থেকে এই তিন সপ্তাহ, প্রতিদিন তারা হাসপাতালে নাফিয়াকে দেখতে যেয়ে প্রতিদিন নাফিয়ার প্রতি আফিমের ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়ে ও এক বুক প্রশান্তি নিয়ে বাড়ি ফেরেন।চেয়েছিলেন হসপিটালে নয়না বেগম থেকেই নাফিয়ার দেখাশোনা করবেন কিন্তু তাদের মেয়ে জামাই নিজের বৌয়ের পাশ ছাড়লে তো?তার বৌয়ের খেয়াল সে নিজেই রাখবে।অবশেষে তার জিদের কাছে হার মেনে নেন নয়না বেগম।
এখন আর নাফিয়ার সংসার নিয়ে দুশ্চিন্তা হয় না অভ্র সাহেব এবং নয়না বেগমের।বরং এ নিয়ে দুশ্চিন্তা হয় যে,তারা কিভাবে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে?
!!
প্রায় ১ মাস পর পুত্র ও পুত্রবধূ বাড়ি ফিরছে।ভীষণ খুশি সানিয়া বেগম।গৃহপরিচারিকাদের দিয়ে পুরো ঘর টা চকচকিয়ে রেখেছেন।সেই সাথে খাওয়া-দাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।তার এমন ব্যস্ততার মাঝেই বাড়ির কলিং বেলটি বেজে ওঠে।ঠোঁটের হাসি প্রশস্ত করে তিনি এগিয়ে যান দুয়ারের দিকে।এই ভেবে যে হয়তো আফিম ও নাফিয়া ফিরেছে।কিন্তু দরজা খুলতেই দেখা পান পরিচিত কিছু প্রতিবেশীদের।ঠোঁটে তাও হাসি বজায়ে রেখে তাদের সোফায় বসতে বলে নাস্তার বিষয়টির জন্য রান্না ঘরের দিকে যান সানিয়া বেগম।দাদী সোফায় মেনমানদের সাথে বসেন।একে-অপরের খবর নেওয়ার পর্ব শেষ হতেই প্রতিবেশীদের মাঝে একজন মহিলা বলে ওঠেন,
-শুনলাম,নাফিয়ার অপারেশন হয়েছে?
-হ্যা হয়েছে।অপারেশন সাকসেসফুল আলহামদুলিল্লাহ। (দাদী)
অপর একজন প্রতিবেশী মহিলা মুখ কালো করে বলে ওঠেন,
-অপারেশনে পুরো একপাশ কেটে ফেলা হইছে, শুনলাম!
এমন কথায় দাদীরও মন খারাপ হয়ে যায়।তিনি নিরাশ কন্ঠে বলে ওঠেন,
-হ্যা।
-আমাদের আফিম এতো সুন্দর একটা ছেলে।কতো মেয়ের মনে রাজ করে তার হিসেব আছে?অভিনয় জানলে চিত্র জগতেও রাজ করতে পারতো!আমাদের এমন সোনার টুকরো ছেলে এমন একটা মেয়েকে নিয়েই জীবন কাটিয়ে দিবে?
নিজের মনের মতো কথা শুনে দাদীর কন্ঠ জোড়ালো হয়ে যায়।তিনি সায় দিয়ে বলে ওঠেন,
-এ বিষয়ে আফিমের সাথে কথা বলতে চাইছিলাম।কিন্তু ছেলেটি কিছু বুঝার চেষ্টা করলে তো!
-কি যে বলেন খালাম্মা!বুঝবে না কেন?
-এক বারে না বুঝলে বার বার বুঝাইবেন।
-ও বাচ্চা ছেলে।ভালো-মন্দের জ্ঞান ওর এখনো হয়নি।যখন হবে তখন আবার মেলা দেরি হয়ে যেতে পারে।তাই বড় হওয়ায় আপনাদের উচিৎ ওরে বুঝানো।
-কি বুঝাবে?(সানিয়া বেগম)
-দেখো বৌমা,এতোদিন তো তোমরা সবাই আমাকে একা পেয়ে আমার কথা গায় লাগাওনি কিন্তু এরাও আমার মতোই ভাবছে।(দাদী)
ঠোঁটে হাসি টেনে সোফায় বসে পরেন সানিয়া বেগম।শান্ত স্বরে বলে ওঠেন,
-মেয়েদের আপনারা কি ভাবেন?সোপিছ নাকি ভোগের বস্তু?মেয়েদের বাহ্যিক রুপ নিয়ে সমাজের প্রতিটি মানুষের এতো কেনো চুলকানি? মেয়ে কালো হলে বা শ্যামলা বলে,খাটো হলে বা বেশি লম্বা হলে, মোটা হলে বা বেশি চিকন হলে,নাক বোঁচা হলে বা খাঁড়া হলে হব কিছুতেই তো আপনাদের সমস্যা!সব কিছুতেই আপনাদের হাজারো মন্তব্য!কই ছেলেদের রুপ তো কেউ এভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন না তবে মেয়েদের রুপ নিয়ে কেনো সবার এতো মাথা ব্যথা?আজ একটু বলেই দিন,মেয়েরা কি আপনাদের কাছে?সোপিছ নাকি ভোগের বস্তু?
এ কথার উত্তরে কেউ কিচ্ছুটি বলে না।সবাই চুপ করে আছে।সানিয়া বেগম আবারও বলে ওঠেন,
-মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখুন।আমার পুত্রবধূ আমাদের ভালোবাসার পাত্রী।সে আমাদের ভালোবাসায় আগলে রাখবে।আমার পরিবারের খেয়াল রাখবে।যার জন্য সে পুরোপুরি যোগ্য। একটি রোগ তাকে অযোগ্য করেনি।তাই আফিমের দ্বিতীয় বিয়ে করবার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করছি না।
-আপা,আপনি শুধু শুধুই আমাদের ভুল বুঝলেন।
-আমরা তো আফিমের ভালোর জন্যেই বলছিলাম।কিন্তু আপনারা যদি না চান তবে সেটি আপনাদের ব্যাপার।
উত্তরে রুক্ষ কিছু না বলে ঠোঁটে একটু হাসি নিয়ে সানিয়া বেগম বলে ওঠেন,
-ভুল বুঝে থাকলে দুঃখিত।তবে হ্যা!যে রোগটির জন্য আপনারা একটি মেয়েকে ত্রুটিপূর্ণ বা অযোগ্য মনে করেন সে রোগটি নিয়ে নিজে একটু সচেতন হয়ে নিয়েন।কারণ রোগটি যেকোনো বয়সের মেয়েদের হতে পারে।অবশ্য ৩০ এর পর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।সব মেয়ের উচিৎ প্রতিদিন নিজে নিজে পরিক্ষা করে দেখা যে,তার বুকে কোনো চাকার মতো কিছু বিঁধে কিনা বা কোনো ব্যথাসহ সেই জায়গায় কোনো পরিবর্তন দেখা যায় কিনা। আর হ্যা,কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অনতিবিলম্বে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
উপস্থিত মহিলাগুলো ঠোঁটে একটু হাসি ফুটিয়ে বলে ওঠে,
-জ্বি,ধন্যবাদ।আমরা তবে আজ উঠি।
-সে কি! এসেছেন কিছু খেয়ে যান।(সানিয়া বেগম)
-না না,আপা।আবার পরে আসবো।
বলেই সবাই বিদায় নেয়।
!!
পেছন হতে নাফিয়াকে জড়িয়ে ধরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আফিম।আকাশ পানে দৃষ্টি দুজনার।নিরবতায় অনেকটা সময় কাটাবার পর নাফিয়া মৃদু স্বরে বলে ওঠে,
-শুনছেন?
-হু।
-জানেন নেশা কি?
হটাৎ নাফিয়ার এমন প্রশ্নে অবাক হয় আফিম।এমন প্রশ্নের কারণ বোধগম্য হয় না তার।সন্দিহান কন্ঠে বলে ওঠে,
-উহু।
-নেশা হচ্ছে আসক্ত।আপনি যত এটি সেবন করবেন ঠিক ততই আপনার আসক্তি বাড়তে থাকবে।সেই সাথে এটি আপনার সকল কষ্ট ভুলিয়ে দিবে এবং আপনাকে একটা ভিন্ন সুখের জগতে বাস করাবে।কোনো কিছুর নেশা হলে সেটি আপনার নিত্য দিনের প্রয়োজন হয়ে উঠবে।জানেন,নেশা সত্যিই খুব ভয়ংকর।আসক্তি যদি তৃতীয় স্টেজে চলে যায় তাহলে মানুষ এটি ছাড়া বাঁচতেই পারে না।এটি সেবন করার ফলে তাদের মৃত্যু হবে জেনেও মানুষ এই নেশা ছাড়তে পারে না।কারণ এই নেশা মারাত্মক।নেশা ছাড়ার থেকে মানুষের কাছে মৃত্যু টা সহজ মনে হয়।
এসব কথা বলে আফিমের দিকে ঘুরে দাঁড়ায় নাফিয়া।আফিমের চোখে চোখ রেখে সে বলে ওঠে,
-আমিও এক নেশায় আসক্ত।আফিম নামক নেশাতেই আসক্ত আমি।কারণ #আফিম_বড্ড_নেশালো।এ নেশা এতোটাই ভয়ংকর যে আমার কাছে মরন সহজ কিন্তু আফিম বিনে একটি শ্বাস নেওয়াও দুষ্কর।
কথাটি বলেই ঠোঁটে হাসি নিয়ে আফিমের বুকে মুখ লুকায় নাফিয়া।আফিমও প্রশান্তিময় একটি হাসি ঠোঁটে ফুটিয়ে নাফিয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
অনেকটা সময় এভাবে পার হবার পর আফিম বলে ওঠে,
-চলো ঘুমাবে।এখনো পুরোপুরি সুস্থ হওনি।এতো রাত পর্যন্ত জাগা যাবে না।
-আফিম,আপনি দিন দিন নিরামিষ হয়ে যাচ্ছেন।(বিরক্তি নিয়ে বলে ওঠে নাফিয়া)
-কিহ!
-হ্যা।
-আচ্ছা।তাহলে কি “আফিন”কে আনার প্রক্রিয়া শুরু করবো?
-আফিন?
-নাফিয়া ও আফিমের অংশ।
ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে আবারও আফিমের বুকে মুখ গুঁজে দেয় নাফিয়া।
সমাপ্ত।
[এই গল্পের মাধ্যমে আমি সবাই কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ম্যাসেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
প্রথমে,আফিমের মা-বাবার কাহিনি দিয়ে আপনাদের বোঝাতে চেয়েছি,সম্পর্কে এক তরফা সমঝোতা কখনোই সুখকর হয় না।তাই উভয়কেই একে-অপরকে বুঝার চেষ্টা করা উচিৎ।আর যদি অনেক চেষ্টার পরও ব্যর্থ হন তবে নিজেদের রাস্তা আলাদা করে নিন।এতে দু’জনই সুখে থাকবেন।
দ্বিতীয়,একটা মেয়ের যখন শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা দেয় তখন সে মানসিক ভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়ে।হোক তা ব্রেস্ট ক্যান্সার বা বন্ধ্যা হওয়া বা এসিডের শিকার হওয়া বা অন্য যেকোনো সমস্যা! নাফিয়ার মাধ্যমে তা তুলে ধরেছি।এই উদ্দেশ্যে যে আপনার আশেপাশের কেউ এমন সমস্যায় পড়লে আপনারা যেনো তার অবস্থা উপলব্ধি করতে পারেন এবং তার প্রতি সহযোগী আচারণ করেন।
তৃতীয়, ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগটি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
চতুর্থ, আফিমের চরিত্রের মাধ্যমে একজন স্বামীর তার স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো কি তা ফুটিয়ে তুলেছি।
পঞ্চম, মা এবং শাশুড়ী হিসেবে সানিয়া বেগমকে একটি আদর্শ চরিত্র প্রদান করেছি।বিচ্ছেদের পর তিনি যে বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতা দিয়ে ছেলেকে মানসিক ভাবে কষ্ট পাওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন তা শিক্ষনীয়।সেই সাথে নাফিয়াকে সাপোর্ট করা টাও।
ধন্যবাদ সবাইকে গল্পটি পড়ার জন্য।সবাই কষ্ট করে রিভিউ দিয়েন প্লিজ। যাদের গল্পটি ভালো লাগেনি তাদের কষ্ট করে কমেন্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই?]