#ভালোবাসি_হয়নি_বলা
#লেখকঃmahin_al_islam
#পর্বঃ৩১
তারপর উনি যেটা বললেন হয়তো সেটার জন্য আমি মোটেও বুঝতে ছিলাম না কি বলতেছে উনি এসব লজ্জা করে না……..
মাহিনঃ রুমের ভেতর যেতে পারি তবে একটা শর্ত আছে যদি শর্ত মানো তাহলে যাব যদি না মানো তাহলে এখন আমি বাসায় চলে যাব
আমিঃ উফফফ আপনি চুপ করবেন এখন কিন্তু বেশি রকম বাড়াবাড়ি করে ফেলতেছেন
মাহিনঃ আমি চুপ করব না দেখি কি করতে পারো তুমি
আমিও চুপচাপ উনার হাত ধরে টানতে টানতে আমার রুমের ভেতর নিয়ে গেলাম রুমের ভেতর নিয়ে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিলাম ভিতর থেকে
কত বড় সাহস আমাকে বলে আমি কি করতে পারি দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা
মাহিনঃ তোমার আবার কি হলো এভাবে দরজা বন্ধ করে দিলে কেন বাসায় কী ভাববে সবাই
আমিঃ সেটা না হয় আমি বুঝে নেব বাসার লোক কি বলবে কিন্তু আপনি একটু আগে কি বললেন আমি যা খুশি তাই করতে পারব আপনার সাথে তাই তো তাহলে এখন আমার যা ইচ্ছা তাই করবো আর আপনি চুপচাপ শুধু সহ্য করবেন একটু কথা বলার চেষ্টা করবেন না বুঝছেন মিস্টার
মাহিনঃ দেখো এমন কিছু করো না যাতে আমি আমার সীমালংঘন করতে বাধ্য হই
আমিঃ দেখেন আমি আর আপনাকে ভয় পাই না বুঝছেন মিস্টার সেটা তো আমি অনেক আগেই আপনাকে বলে দিয়েছি তো অজাত হুমকি দিয়ে লাভ কি আমাকে কোন লাভ নেই বুঝছেন
আমি উনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর উনি পিছিয়ে যাচ্ছে বুঝতেছিনা যেখানে আমাকে ভয় পাওয়ার কথা সেখানে উনি ভয় পাইতেছে মজার ব্যাপার
আমিঃ আরে আপনি পিছিয়ে যাচ্ছেন কেন বুঝতেছিনা ভয় পাচ্ছ না আমাকে
মাহিনঃ তুমি কে যে তোমাকে আমি ভয় পাব
আমিঃ আমিও তো সেটাই ভাবতেছি আমি কে যে আমাকে আপনি ভয় পাচ্ছেন আর পিছিয়ে যাচ্ছেন ব্যাপারটা কি ওইখানে দাঁড়িয়ে থাকুন
মাহিনঃ সেটা একান্তই আমার ব্যাপার আমি দাঁড়িয়ে থাকবো না পিছিয়ে যাব না সামনে এগিয়ে যাব সেটা একান্তই আমার ব্যাপার তোমাকে বলতে হবে কেনো
আমিঃ ইসসস রে সেদিন তো আমি অনেকবার বলছিলাম আজকে আমার কোন মুড নেই বা আমার সহ্য করার মত ক্ষমতা নেই আমাকে ছেড়ে দেন কিন্তু আপনি কি করেছিলেন ছেড়ে দেননি তাহলে আপনি একটু ভেবে দেখুন আজকে আমি আপনার সাথে কি কি করতে পারি
মাহিনঃ দেখো যেটা করবা ভেবে চিন্তে করবা পরে আবার নিজেই কষ্ট পেয়ো না বুঝছো যেহেতু আমি একটু অসুস্থ আমি হয়তো সেরকম ভাবে প্রস্তুত না আর যদি তুমি জোর করে করতে চাও বাধা দেব না কিন্তু একটু ভেবে দেখবে যদি আমার কিছু একটা হয়ে যায় বা যেকোনো কিছু
আমি ওনার কথা না শোনার ভান করে ওনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর উনার কাছে গিয়ে ওনাকে একটা ধাক্কা দিয়ে বিছানার ওপর ফেলে দিলাম বিছানায় ফেলে আমি উনার উপরে উঠলাম
মাহিনঃ এটা কিন্তু একদম ঠিক হচ্ছে না একটু ভেবে দেখো যখন আমি সুস্থ হব তখন তুমি একটু অসুস্থ থাকলেও কিন্তু আমি তোমাকে ছাড় দেবো না
ওনার কথা আবারও না শোনার ভান করে আমি আমার চুলগুলো এক কাঁধের উপর দিয়ে ছেড়ে দিলাম আর আমার ঠোঁট দুটো উনার ঠোঁট এর কাছাকাছি নিয়ে যেতে লাগলাম
আমার নিজের ভেতর অন্যরকম একটা ফিলিংস কাজ করতে লাগলো জানিনা কেন হয়তো এটাই স্বাভাবিক ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেলে নিজেকে হয়তো ধরে রাখা খুব কষ্টকর,,
আমি আস্তে আস্তে আমার ঠোঁট দুটো আমার ঠোটের সাথে এক করে দিলাম আমি আজকে প্রথম কাউকে এইভাবে জোর করে নিজের ভালোবাসাটা নিয়ে নিচ্ছি
যে উনার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট দুটো ভিডিও দিয়েছি নিজের মাঝে অন্যরকম একটা শিহরণ বয়ে যেতে লাগলো,, মনে হচ্ছে সারা জীবন এই ঠোঁটে আমার ঠোঁট দুটো এক করে রেখে দেই আর কখনো যেন আলাদা না হয়
উনিও রেসপন্স দিতে লাগলেন
বেশ কিছুক্ষণ এইভাবে চলতে থাকল তারপর আমি নিজে থেকেই আমার ঠোঁটদুটো ঠোঁটদুটো থেকে সরিয়ে নিলাম
উনার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি উনি বলতে চাচ্ছে যেন আমরা মিশে এক হয়ে যাই
কিন্তু এখন এটা করা ঠিক হবে না যেহেতু উনি একটু অসুস্থ যদি কোন কিছু হয়ে যায় তো সারা জীবন আমাকে পস্তাতে হবে তার থেকে নিজেকে সংযমের মধ্যে রাখা ভালো
তাই আমি উনার উপর থেকে উঠে আসলাম
মাহিনঃ কি হলো সব শেষ
আমিঃ আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই আমি ছেড়ে দিলাম যখন আবার ইচ্ছে হবে তখন আমার ধরে নেব
মাহিনঃ ভুতু কোথাকার তোমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না আমি ভালো করে জানি ??
আমিঃ আমার দ্বারা এসব হবে এমনকি বাচ্চাকাচ্চা হবে বুঝছেন ???
হায় হায় এটা আমি কি বলে ফেললাম নিজের উপর কোনো কন্ট্রোল নাই
মাহিনঃ হায় আল্লাহ এটা আমি কি শুনলাম আমি তো এখনো এসব নিয়ে ভাবি নি আর তুমি তো দেখি বাচ্চা পর্যন্ত চলে গেছো তাহলে চলে আসো বাচ্চার ব্যবস্থা হয়ে যাক
আমিঃ আমার যখন দরকার হবে আমি নিয়ে নেব আপনাকে বলতে হবে না বুঝছেন এখন ওঠেন ফ্রেশ হয়ে নেন নাস্তা করেন সকাল থেকে হয়তো কিছু খাননি বউ পাগল কোথাকার বউয়ের জন্য সকাল সকাল চলে এসেছেন
মাহিনঃ বউ যদি মিথ্যাবাদী হয় তাহলে তো একটু তাকে কড়া শাসন করতেই হয়
আমিঃ এই যে মিস্টার কথা কিন্তু মতন বলবেন বুঝছেন মিথ্যাবাদীকে হ্যা মিথ্যাবাদীকে
মাহিনঃ কি ডাইনি বউ রে এই বৌ দিয়ে সারা জীবন সংসার করতে হবে আগে কত ভদ্র দেখতাম কিন্তু এখন তো দেখি পুরাই ডাইনি
আমিঃ এই যে মিস্টার মুখটা একটু সামলিয়ে কথাটা বললে ভালো হয় বুঝছেন আমি ডাইনি তাই না আমি ডাইনি তাহলে আপনি তাহলে আপনি ডাইনির বর তাই না ডাইনির বরকে কি বলে ???
মাহিনঃ আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন যে এটা আপনার বাসা আর আপনার আম্মু এসব কিছুই জানেনা তাই এত জোরে জোরে চিৎকার করে কথা না বললেই ভালো হয়
হায় আল্লাহ আমি তো ভুলেই গেছিলাম যে এটা আমার বাসা আর এখন আমি আমার বাসায় আছি আর আম্মু ভাইয়া নিচে আছে
আমি এক দৌড়ে দরজাটা খুলে বাইরে চলে গেলাম আর এক মুহূর্ত ঘরে থাকলাম না জানি এখন ঘরে থাকলে আরো অনেক ঝগড়া হবে আমি তো রেগে গেলে আস্তে কথা বলতে পারিনা,,, সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে যাবে
আমিঃ আমি এখন কি করো
আম্মুঃ এই তো নাস্তা বানাচ্ছি কে এসেছে ছেলেটা
আমিঃ আমার ফ্রেন্ড অনেকদিন পর নাকি বাসা খুঁজে পেয়েছে তাই চলে এসেছে
আম্মুঃ এসেছে ভালো করেছে ওকে তুই ওর সাথে গিয়ে কথা বল নায় তো ওর বোরিং লাগবে
আমিঃ আম্মু আমি তোমাকে সাহায্য করি
আম্মুঃ আমার নাস্তা বানানো শেষ আমাকে আর সাহায্য করা লাগবে না বরঞ্চ তুই তোর ফ্রেন্ড কে নাস্তা করা জন্য নিচে নিয়ে আয়
উফফফফ আমি নিজে চলে আসলাম একটু শান্তিতে থাকার জন্য তা আর হলো না
তারপর উনাকে নিচে নিয়ে আসলাম নাস্তা করার জন্য
নাস্তা করার সময়
আম্মুঃ বাবা তোমার বাসার সবাই কেমন আছে
মাহিনঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে আন্টি
আম্মুঃ তোমার বাসায় কে কে আছে বাবা
মাহিনঃ আমি আব্বু আম্মু আর আমার একটা ছোট বোন
আমিঃ যেভাবে প্রশ্ন করতেছো মনে হচ্ছে তোমার মেয়েকে ওর সাথে বিয়ে দিবে
আমার কথা শুনে উনি বিষম খেয়ে কাঁশতে লাগলেন
আমি ওনাকে জলদি পানির গ্লাস এগিয়ে দিলাম উনি গ্লাসটা নিয়ে পানি গুলো খেয়ে নিল
আম্মুঃ তুমি ঠিক আছো তো বাবা
মাহিনঃ হ্যা আন্টি আমি ঠিক আছি
আমি ইচ্ছা করেই আমার পা দিয়ে উনার পায়ে কটা দিতে লাগলাম
উনার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি রাগী ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
আমিও ইচ্ছা করে মুখ ভেংচে দিলাম
এবার দেখি বেচারার অনেকটা বেড়ে গেছে
তাই আর কোন ডিস্টার্ব করলাম না খাওয়া-দাওয়া শেষ করে উঠে আসলাম
উনি আম্মুর সাথে বসে গল্প করতে লাগলেন আর আমি ঘরের কিছু কাজ করতে লাগলাম
হঠাৎ করে বাইরে থেকে অনেক জোরে জোরে আওয়াজ হতে লাগল বুঝলাম না কিছু হলো না তো
বাইরে কি হচ্ছে বোঝার জন্য আমি তাড়াহুড়ো করে বাইরে চলে আসলাম বাইরে এসে যেটা দেখলাম অবাক করা কান্ড
চলবে……
#ভালোবাসি_হয়নি_বলা
#লেখকঃmahin_al_islam
#পর্বঃ৩২_(বিয়ে_পর্ব) শুরু
হঠাৎ করে বাইরে থেকে অনেক জোরে জোরে আওয়াজ হতে লাগল বুঝলাম না কিছু হলো না তো
বাইরে কি হচ্ছে বোঝার জন্য আমি তাড়াহুড়ো করে বাইরে চলে আসলাম বাইরে এসে যে টা দেখলাম অবাক করা কান্ড
বাহিরে গিয়া দেখি উনার আব্বু আম্মু ছুটকি এসেছে
আমি তো এটা দেখে চরম পর্যায়ের অবাক হয়ে গেলাম এটা কি হচ্ছে তার মানে কি উনার সব প্লানিং ছিল
ছুটকি আমাকে দেখে আমার কাছে চলে আসলো
ছুটকিঃ কি ভাবি কেমন দিলাম
আমি: এসবের মানে কী আমি তো কিছুই বুঝতে পারতেছি না তুমি কি আমাকে সব ক্লিয়ার করে বলবা
ছুটকিঃ আসলে কালকে যখন তুমি ভাইয়াকে না বলে চলে এসেছ এখানে তো পরে ভাইয়াকে যখন আমি জানালাম কথাটা তখনই ভাইয়া অনেক রেগে যায় আর রুমের সব কিছু ভাঙচুর শুরু করে দেয় আর আম্মু সেটা বুঝতে পেরে রুমে এসে ভাইয়াকে অনেক বকাঝকা করে
তারপর রাতে আব্বু বাসায় আসে তার পর আম্মু আব্বুর সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলে তাই আব্বু রাজি হয়ে যায় ভাইয়ার বিয়ে দেওয়ার জন্য সেটা শুনে ভাইয়া সকাল সকাল আম্মুর সাথে প্লানিং করে ভাই এখানে চলে আসে আর আমরা এখন আসলাম
আমিঃ অন্তত তুমি একটা বার ফোন দিয়ে আমাকে বলতে পারতে তাই না
ছুটকিঃ আমার কাছে তোমার নাম্বার নেই আর তুমি তো চলে এসেছ তাড়াহুড়া করে তোমার যে নাম্বারটা নেবো তাও তো সময় ছিল না তোমার কাছে তুমি এত তাড়াহুড়া করতেছিলো তখন
আমিঃ তুমি হয়তো আমার কষ্টটা বুঝতে পেরেছ কারণ তুমি একজন মেয়ে তুমি একটু ভেবে দেখো তুমি যদি আমার জায়গায় থাকতে তাহলে তোমার কি রকম অবস্থা হইত
ছুটকিঃ জু ভাবি আমি সব কিছুই বুঝতে পারতেছি,, একজন মেয়ে যখন একটা পরিবারের খুঁটি হয়ে দাঁড়ায় না তখন তার উপর দিয়ে যে ধকল যায় সেটা একটা মেয়ে অনুভব করতে পারবে আর কেউ না
আমিঃ আচ্ছা এসব কথা এখন বাদ দাও পরে হবে এখন আমার সাথে আসো সবার জন্য নাস্তা রেডি করতে হবে
তারপর আমি ছুটকি কে সাথে করে নিয়ে রান্নাঘরে গেলাম এবং সবার জন্য নাস্তা তৈরি করে নিয়ে আসলাম
শুঁটকি আর আমি টেবিলে নাস্তা রেডি করতে ছিলাম আর ওখান এ আম্মুর সাথে ওনার আব্বু আম্মু কথা বলতেছে বিয়ের ব্যাপার নিয়ে
আর উনি বেহায়ার মত ওখানে বসে উনাদের কথা শুনতেছে এই মানুষটার লজ্জা শরম কিছুই নেই নির্লজ্জ কোথাকার
ছুটকিঃ ভাবি তুমি মনে মনে যেটা ভাবতেছো সেটা ভেবে লাভ নেই কারণ আমার ভাইয়াটা লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই,, দেখনা কিভাবে বসে ওনাদের কথা শুনতেছে
তারপর নাস্তা রেডী করে ছুটকি আর আমি আমার রুমে গেলাম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম
ছুটকি আমাকে জোর করে আয়নার সামনে বসিয়ে দিয়ে একটু হালকা সাজ গোজ করিয়ে দিল
আমিঃ আমরা ছুটকি আমাকে সাজগোজ করাতে হবে না এমনিতেই হবে
ছুটকিঃ মেয়েদের সাজগোজ করতে ভালোই লাগে আর তুমি তো দেখছি অন্য জগতের প্রাণী সাজগোজ করতে চাও না
আমিঃ আমি কি বলছি সাজগোজ করতে চাই না আমি বলতেছি আমার এখন ভালো লাগতেছে না এমনিতেই হবে চলো সবার সাথে কথা বলে আসি
ছুটকিঃ তুমিও তো দেখতেছি বেহায়া হয়ে গেছো ওইখানে যাওয়ার জন্য ওইখান থেকে যখন ডাক পড়বে তখন তোমাকে নিয়ে যাব বুঝেছেন ম্যাডাম
উফফফ আমিও একদম ভুলেই গেছি যে উনার আমাকে দেখতে এসেছে কি করতেছি আমি
তারপর রুমের ভিতরে চুপচাপ বসে রইলাম
ছুটকি বাহিরে চলে গেছে এখন আমি রুমের ভিতরে একা বসে আছে যেমন বোরিং ফিল হচ্ছে আর আজব লাগতাছে আমার কাছে
বেশ কিছুক্ষণ পর ছুটকি রুমে আসলো
ছুটকিঃ চলো ভাবি আর তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে না
তারপর ছুটকি আমাকে ধরে ধরে নিচে নিয়ে যেতে লাগল আমিও ধীরে ধীরে হেঁটে যাচ্ছি ছুটকি সাথে সাথে ছুটকি নিয়ে গিয়ে উনার আব্বু আম্মুর সামনে আমাকে বসিয়ে দিল
উনার আম্মুঃ আমি তোমার সাথে কয়েকটা কথাই বোলবো বেশি কথা বলব না কারন তোমাকে তো আমি ভালো করে চিনি আর তোমার সব কিছুই জানি বেশি প্রশ্ন করার কোন মানেই হয় না এখানে
উনার আব্বু: মেয়েটা কিন্তু অনেক সুন্দর তোমার পছন্দ আছে বলতে হবে
উনার আম্মু: দেখতে হবে না কে মেয়েটা পছন্দ করেছে এখন কি তোমার আরো কোন সমস্যা আছে মেয়েকে নিয়ে
উনার আব্বু: না আমার কোন সমস্যা নেই এখন আমার অফিসের কাজ আছে আমি চলে গেলাম বাকি কথা বাসায় হবে
আম্মুঃ সেকি কথা অন্তত নাস্তা করে যান খালি মুখে তো আর যেতে দেওয়া হচ্ছে না আপনাকে
উনার আব্বু: আত্মীয় হলে আজকেই খেতে হবে এমন কোন কথা না সারা জীবন পড়ে আছে খাওয়ার জন্য তখন দেখবেন বিরক্ত হয়ে যাবেন
আম্মুঃ আমরা কখনো বিরক্ত হই না আমরাও বরং চাই আত্মীয়রা সবসময় আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করুক আমরা তার বাসায় যাওয়া আসা করি এটাই তো আত্মীয়র পরিচয়
উনার আব্বু: আপনার কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো ,, আচ্ছা আজকে তাহলে আমি আসি আরেকদিন বসে আড্ডা দেবো
তারপর উনি চলে গেলেন
মাহিনঃ আম্মু আমি একটু রুমে যাচ্ছি আমার খারাপ লাগতেছে
আমি উনার মুখ থেকে এরকম কথা শুনে চট করে উঠে উনার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম এবং উনার হাতে হাত রাখলাম
আমার এই রকম অদ্ভুত কান্ড দেখে সবাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে এবং আম্মু দিকে আমি তাকিয়ে দেখি আম্মু অনেকটা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে হয়তো আম্মু ভাবতে পারে নি আমি এরকম কোন কাজ করব
আম্মুঃ আচ্ছা দীপা তুই বাবাকে নিয়ে একটা রুমে নিয়ে যা ( আম্মু মিথ্যা হাসির চেষ্টা করে কথাটা বলল)
বুঝতে পারলাম আম্মু একটু আমাকে সন্দেহ করা শুরু করে দিয়েছে
তারপর আমি আর ওখানে না থেকে ওনাকে নিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম
মাহিনঃ আচ্ছা তুমি নিজে ঐরকম করলে কেন
আমিঃ আমি কিছু জানিনা আর এখন ফালতু বকবক না করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন রেস্ট নেন
মাহিনঃ আমি তো রেস্ট নেওয়ার জন্য হলরুমে আসিনি আমি এসেছি বেবি প্ল্যানিং করতে??
আমিঃ মানে???
মাহিনঃ বারে তুমি তো তখন বললা যে বেবি নিবা তাই আমিও ভাবলাম একটা বেবি হলে ভালই হয়
আমিঃ আচ্ছা আপনি এত অসভ্য কেন অসভ্যতামি করতেছেন কেন আপনার মুখে কিছুই আটকায় না
মাহিনঃ বউয়ের সামনে আবার মুখে কি আটকাবে আচ্ছা তুমি তো আমার বউ তাই না বউয়ের সামনে আবার কিসের আটকা আটকি বউ সামনে সব হবে সরাসরি ?
আমিঃ আমি কোন বেহায়া লোকের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি না
আমি যেই উল্টা হয়ে হাটা শুরু করব তখনি উনি আমার ওড়না ধরে ফেললেন
আমিঃ এইবার কিন্তু বেশি রকম বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে আপনি আমাকে ছেড়ে দেন বলতেছে
মাহিনঃ যদি ছেড়ে না দেই তাহলে কি করবা
আমিঃ আপনার সাথে আজাইরা কোন কথা বলার ইচ্ছা নাই এখন আমার আমাকে যেতে দেন
মাহিনঃ যেতে দিতে পারি তবে একটা শর্ত আছে
আমিঃ আমি এখন আর আপনার কোনো শর্ত মানতে রাজি না আমাকে ছেড়ে দেন আমি নিচে যাব
উনি আমার কোন কথা না শুনে একটান দিয়ে ওনার কোলে আমাকে বসিয়ে নিলেন
আমিঃ দেখুন যে কোন সময় ছুটকি এখানে চলে আসতে পারে এখন কোন অসভতামি করবেন না
উনিও নাছরবান্দা আমাকে ধরে রেখেছেন ছেড়ে দিচ্ছেন না
আমি যেদিকে কথা বলতেছি ওনার মনে হচ্ছে না আমি কিছু বলতেছি
উনি হঠাৎ করে আমার গলায় উনার ঠোঁট দুটো বসিয়ে দিলেন
উফফফ এসব কি করতেছেন দরজা খোলা যেকোনো সময় ছুটকি এই রুমে চলে আসতে পারে ভাবতে পারতেছেন ব্যাপার টা কত বড় লজ্জাজনক হয়ে যাবে
তাও উনি ওনার মত কাজ করে যাচ্ছে আমার কথা উনার কান অব্দি হয়তো পৌঁছাচ্ছে না
হঠাৎ করে উনি আমার গলা থেকে ওর ঠোঁট দুটো উঠিয়ে আমার ঠোঁটে ডুবিয়ে দিলেন
এখন আর আমি কোন প্রকার কথা বলতে পারতেছি না কারণ আমার ঠোঁটদুটো উনার ঠোঁটদুটো দ্বারা আবদ্ধ
চলবে…….
( গল্পটা খুব শীঘ্রই শেষ হচ্ছে)
#new_story
#The_unknown_parson_(কে_উনি)
আর যারা আমাকে কপি বাজ বলতাছো বা আমাকে গল্প লেখা বন্ধ করতে বলতাছো,, তোমাদের বলতাছি ভাই,,গল্প লেখা টা আমার নিশা হয়ে গেছে চাইলেও আর ছাড়তে পারবো না।।। আমার প্রিয় পাঠক,,পাঠকা আশা করি সব সময় আমার পাশে থাকবেন,,,
আর যারা আমার গল্প কপি করতাছো,, এবং সেখানে লেখকের নাম পরিবর্তন না করে আমার নাম টাই রাখছো তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইল,,