ভালোবাসি হয়নি বলা পর্ব ৭

0
966

ভালোবাসি_হয়নি_বলা

লেখকঃmahin_al_islam
#পর্বঃ০৭

আমিঃ প্লিজ আপনি একটু শান্ত হয়ে বসেন প্লিজ

অনেক কষ্ট এ কথাটা মুখ দিয়ে বের করলাম

উনার রাগ দেখে আমি পুরোটাই স্তব্ধ হয়ে গেছি কি হচ্ছে আমার সাথে এখানে

মাহিনঃ কেন এত তাড়াতাড়ি পর দেমাগ শেষ হয়ে গেল

আমিঃ আমি আমার কিসের জন্য দেমাগ দেখাবো আপনাকে আমার যা কিছু ছিল সব তো আপনি লুটে নিয়ে ছিলেন

মাহিনঃ হাহাহা আমি তোর দেহ লুটে নিয়েছিলাম এটাই বলতে চাচ্ছিস তুই তাই না

আমিঃ আসলে আপনি আপনার রাগটা একটু কন্ট্রোল করেন আর শান্ত হয়ে বসে আমার কথা গুলো শুনেন প্লিজ

মাহিনঃ পর কোনো কথা শোনার আমার সময় নেই এখন থেকে তুই শুধু,, আমার কথা মত চলবি নয়তো আমি কখন কি করে বসবো সেটা নিজেও জানিনা

কথাটা বলে উনি আমার হাত ধরে টেনে আমাকে বিছানায় ফেলে দিলেন,,,

আমিঃ প্লিজ এরকম কিছু করবেন না আমার কিছু সমস্যা আছে

মাহিনঃ তাতে আমার কি হয়েছে

আমিঃ আপনি বোঝার চেষ্টা করুন এখন আমি আপনাকে সেই সুখটা দিতে পারবো না
আর একটা মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করলে সেটা ধর্ষণ এর শামিল হবে আপনি একটু বুঝুন এখনতো আমি আপনার বউ তাই না,,,

মাহিনঃ হাহাহহাহা তুই কোনদিন আমার বউ হওয়ার যোগ্য সেলিনা আর হবিও না বুঝছিস আমি তো তোকে শুধু ভোগ করার জন্যই বিয়ে করছি

আমি কখনো এটা আশা করিনি ওনার মুখ থেকে আর আমি এর থেকে ভালো কিছু আশা করতে পারি না আমার মত মেয়ের সাথে এরকমটাই হয় সম্ভব,,, ze meye সামান্য 10000 টাকা জোগাড় করতে পারে না তার জন্য দেহ বিক্রি করতে হয় সেই মেয়ের সাথে আর কি হতে পারে,,, এখন তো আমার কোন কথার মূল্য থাকবে না,,

তারপর উনি আমার উপর শুয়ে পড়লেন

আমার ঠোঁটে তাঁর ঠোঁট দুটো ডুবিয়ে দিয়ে ননস্টপ কিস করতে লাগলেন,, আমার খুব বিরক্ত লাগতেছে কারন এখন আমার এসব সহ্য হচ্ছে না,,, আমি ওনাকে এতো সরানোর চেষ্টা করতেছি কিন্তু আমি তার শক্তির সাথে পেরে উঠতে পারতাছিনা,,

আমার ঠোট থেকে উনার ঠোঁট দুটো সরিয়ে আমার গলায় উনার ঠোঁট দুটো ডুবিয়ে দিলেন এবং ননস্টপ কিস করতে লাগলেন

উনার প্রতিটা স্পর্শ আমার অসহ্য লাগতাছে ইচ্ছা করতাছে যদি আমার শক্তি থাকতো তাহলে ওনাকে এখানে মেরে ফেলতাম কিন্তু আমি তোর সাথে এখন পারবো না

আস্তে আস্তে যখনই আমার জামা পিন খুলতে লাগলেন

আমিঃ প্লিজ এরকম কিছু আজকে আমার সাথে করবেন না আমি খুব অসুস্থ আপনি বোঝার চেষ্টা করেন,,,,জোরে জোরে কান্না করতেছি আর কথাগুলো উনাকে বলতেছি

কিন্তু আমার কথাগুলো উনার কান অব্দি পৌঁছাচ্ছে না

উনার দুই হাত দিয়ে আমার সারা শরীর স্লাইড করতে লাগলেন এবং এইটা আমার খুব বিরক্ত লাগছে আমি জোরে জোরে কান্না করতে লাগলাম

আমি উনাকে ভালোবাসিস না করেই যাচ্ছি কিন্তু উনি আমার কোন বাধাই মানতেছে না ওনার মত উনি আমাকে ব্যবহার করতে লাগলেন

উনি আমাকে ওনার ইচ্ছা মত ভোগ করতে লাগলেন আর আমি ব্যাথায় বার বার চিৎকার করে কান্না করতাছি

কিন্তু আমার কান্নার কোন মূল্য নেই উনার কাছে উনি ওনার মত কাজ করে যাচ্ছে তার আমার ব্যাথা তে কলিজাটা মনে হয় ফেটে যাচ্ছে

আমার মনে হচ্ছে এই আমি মরে যাব,, এত ব্যাথা পাচ্ছি যে আমি এক সময় অজ্ঞান হয়ে গেলাম

যখন আমার জ্ঞান ফিরল তখন দেখি আমি একদম ঠিক আছি

আমার শরীরে কোন ব্যাথা অনুভব হচ্ছে না বা আমি কোন রকম অসস্তি বোধ করতেছি না

এটা কিভাবে সম্ভব এত তাড়াতাড়ি আমি এতটা সুস্থ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাত তিনটা বাজে,, আমাকে যখন এই রুমে নিয়ে আসা হয়েছিল তখন রাত নয়টা বেজে ছিল আর এখন রাত তিনটা বাজে তারমানে আমি অনেকক্ষণ থেকে ঘুমিয়ে আছি

আমি রুমের চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম কোথাও উনা কে দেখা যাচ্ছে না ব্যাপার কি আমাকে একা ফেলে উনি কি চলে গেলেন নাকি

আর আমাকে এখানে এমন ভাবে এনেছে আমি রাস্তাঘাট কিছুই চিনি না এখন আমি কোথায় যাব

আমি শরীরের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার শরীরে শুধু একটা চাদর মোড়ানো আর কিছুই নেই

এটা দেখেই আমার মনে পড়ে গেল সেই নির্যাতন আর আমার চোখ বেয়ে পড়তে লাগল পানি

আমি দৌড়ে বাথরুমে চলে গেলাম

শাওয়ারটা ছেড়ে দিয়ে দুই হাত দিয়ে সারা শরির ঘষতে লাগ্লাম যাতে করে ওই অমানুষ তার স্পর্শ আমার শরীরে না থাকে

যতই ঘষতেছি ততই কষ্ট গুলো আমার মনে পড়তেছে আর ততই আমি কান্না করতেছি

কান্না করতে করতে ফ্লোরে বসে পড়লাম আর আমার চোখের পানির সাথে শাওয়ারের পানির সাথে এক হয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে

……

এইদিকে

আরে মেয়ে টা আবার কই গেল এখানে রেখে গেলাম,,

অই তো এই এলাকার রাস্তাঘাট কিছুই চেনে না কোথায় যাবে উফফফ আমি এখন টেনশন এ বাচিনা কেন যে একা রেখে বাইরে গেলাম

দৌড়ে বের হয়ে সব খানে খুঁজতে লাগলাম কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না

তারপর আবার বাসায় ফিরে আসলাম বাসায় সব রুম চেক করলাম কিন্তু কোথাও নেই

উফফফফ বাথরুমে তো যাইতে পারে বাথরুম চেক করলাম না

আমার মাথাটাও না এখন মনে পাগল হয়ে যাবে কয়েকদিন পর আমি যে কেন এই সব করতেছি নিজেও জানিনা

দৌড়ে রুমে চলে গেলাম রুমে গিয়ে দেখি এখনো রুমের ভিতরে আসেনি আর বাথরুম থেকে সাওয়ারের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে

তারপর আমি দরজা ধাক্কাতে লাগলাম

মাহিনঃ এই মেয়ে দরজা খুল বলতেছি

হঠাৎ করে দেখিয়েছে দরজায় কেউ ধাক্কাধাক্কি করতেছে তার মানে উনি হয়তো রুমে চলে এসেছেন

এইবার কি হবে আমি তো কোন কাপড়ে নিয়া আসি নাই এখানে এখন আমি বেরোবো কিভাবে

আমিঃ প্লিজ আপনি একটু শান্ত হন আমি বাথরুমে আছি বেরোবো একটু পর

মাহিনঃ এতক্ষণ কেউ বাথরুমে থাকে তাড়াতাড়ি বের হন

আমিঃ এই যে শুনছেন আমাকে একটু হেল্প করবেন

মাহিনঃ বলেন দেখি কি করতে পারি

উনার মুখ থেকে আপনি ডাক্ শুনে মনে হচ্ছে উনার এখন মনে হয় কোন রাগ নেই

আমিঃ আসলে আমার গায়ে কিছু নেই আই মিন কোন কাপড় নিয়ে আমি বাথরুমে প্রবেশ করেনি যদি আমার কাপড় টা দিতেন

মাহিনঃ আপনার কাপড় ধুয়ে শুকাতে দেওয়া হয়েছে এখন এখানে কোন মেয়ে মানুষের কাপড় নেই এখন কি হবে

আমিঃ ওকে থাক তাহলে আমি সকাল পর্যন্ত বাথরুমেই কাটিয়ে দেই এখানে বসে থাকি আমি আপনি ঘুমিয়ে থাকেন

মাহিনঃ সারারাত ঐখানে থেকে ঠান্ডা লেগে যাবে আর যখন আপনার জ্বর হবে অসুখ হবে আপনার ফ্যামিলির জন্য সেবা করবে কে আপনাকে দেখবে কে আপনার ভাইকে দেখবে কে

আমিঃ আমার পরিবারকে নিয়ে আপনার এত টেনশন করতে হবে না বুঝছেন

মাহিনঃ তারমানে আপনি এখন বাথরুমের ভিতরে আছেন তাই সাহস দেখাচ্ছেন তাইনা

উফফফফ আর বেশি কিছু বলা যাবে না বলা তো যায়না সাইকো একটা দরজা ভেঙে ফেলতে পারে আবার

মাহিনঃ এই নিন আমার শার্ট একটা প্যান্ট পড়ে নিন

আমিঃ মানে আপনার প্যান্ট কি আমার হবে তার থেকে বড় কথা আপনার শার্ট আপনার প্যান্ট আমি পড়বো কেন

মাহিনঃ ওকে কিছুই করতে হবে না এমনিতেই বেরিয়ে আসেন আমি তো আর অন্য কেউ না আপনার স্বামী তো তাই না তাড়াতাড়ি চলে আসেন

উফফফ কি বেহায়া মানুষ মুখে কিছুই আটকায় না

মন তো চাচ্ছে এখন এ গিয়ে খুন করে ফেলি কিন্তু এখন কিছুই করা যাবে না কিছু করতে গেলে হয়তো আমার ফ্যামিলিকে হারাতে হবে

মাহিনঃ কি করতাছেন আমার অফার গ্রহণ করবেন নাকি না

আমিঃ আচ্ছা দেন দেখি

কোন উপায় না পেয়ে রাজি হয়ে গেলাম কারণ সারারাত তো আর বাথরুমে থাকা সম্ভব না

তারপর দরজা আলত ফাক করে উনার শার্ট প্যান্ট নিয়ে নিলাম

নিয়ে তো নিলাম গায়ে পড়ে দেখি সব সব ডিলা হলো এখন কি হবে হাঁটবো কিভাবে আমি

হাত দিয়ে প্যান্ট ধরে রাখলাম ধরে আস্তে আস্তে হেঁটে বাইরে আসলাম

আমি বাইরে আসার সাথে সাথেই উনি যেটা করলেন সেটা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে ওনি এরকম কাজ করবেন আমার সাথে ,,,,,

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here