সম্পর্কের বন্ধন পর্ব ১৭

0
471

#সম্পর্কের_বন্ধন
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_১৭

পড়ন্ত বিকেল। প্রখর রৌদতাপ ভাটা পড়েছে কালো মেঘের আদলে। তীব্র গর্জনে কেঁপে কেঁপে উঠছে অম্বর। এক ঝাঁক কাক কা কা স্বরধ্বনি তুলে ডানা ঝাঁপটে উড়ে চলেছে তাদের গন্তব্যে। মৃদু বাতাস বইছে মেদিনীর বুকে। খানিক বাদে ফুঁপিয়ে ওঠা আকাশ এই বুঝি ঠোঁট ভেঙে কেঁদে ভেজাবে শুকনো মাটি।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে তৃষ্ণার্ত ভূ-পৃষ্ঠের উপরিতল।
টিন শেডের চাউনির নিচে দাঁড়িয়ে আছে তুহা আর ইভান। ভেতরে আরও কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টির তোড়জোড় বাড়তেই হয়তো চাউনিতে ভীড় লেগে যাবে।
ইভান তুহাকে দাঁড় করিয়ে বলল,

“তুমি এখানে দাঁড়াও আমি একটা সিএনজি ডেকে আনছি।”

ভ্রু কুঞ্চিত করে তুহা বলল,’ এখন সিএনজি দিয়ে কি করবেন?’

ইভানের স্বাভাবিক কন্ঠস্বর,’ তুমি বাসায় যাবে এখন।’

ইভানের কথায় নাকচ করে বসলো তুহা।
‘এখন কেনো বাসায় যাবো? আমরা আরেকটু ঘুরবো। তারপর বাসায় যাবো আমি।’

ইভান চোখ ছোট করে নির্মল দৃষ্টি ফেললো। বাইরে বৃষ্টির দিকে ইশারা করে শুধালো,’বৃষ্টি কখন থামে না থামে তার নিশ্চয়তা নেই। তাছাড়া তোমার নিজের দিকে দেখো। সাদা জামা পড়ে আছো। একটু ভিজলেই শরীর স্পষ্ট হয়ে উঠবে। এখন বাসায় চলে যাও। আমরা কালই ঢাকায় ফিরবো। তোমার বাবাকে মেনেজ করার দায়িত্ব আমি নিলাম। তুমি আবার তাদের সাথে উগ্র আচরণ করতে যেওনা। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আশা করি ভুলটা ভেঙে যাবে।

তুহা আর রা করলোনা। মাথা দুলিয়ে ইভানের কথায় সায় জানালো। এই ভেবেই প্রশান্তি হচ্ছে যে ইভান তাকে কত সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলো বাবা মায়ের সাথে যেনো খা’রা’প ব্যবহার না করে।

পৃথিবীতে এখনো কিছু ভালো মানুষে আছে। সব নারী যেমন খা’রা’প নয়!আবার সব নারী ভালো ও নয়। তেমনি সব পুরুষ খারাপ নয় আবার সব পুরুষ ভালো নয়।
গুটিকয়েক খা’রা’পের আদলে ভালোটা চাপা পড়ে যায়। আবার একজন মানুষের ভেতর সব কিন্তু ভালো গুণ নেই। কিছু কিছু খা’রা’প গুণ ও আছে।

ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেই ইভান একটা সিএনজি ঠিক করে নিয়েছে। দ্রুত পা চালিয়ে চাউনির নিচে এসে থামলো। গায়ের সাদা শার্ট ভিজে শরীরের সাথে লেপ্টে গিয়েছে। মাথাভর্তি চুল অর্ধ সিক্ত। মাথা সামান্য ঝুঁকে হাত দিয়ে চুলের পানি ঝেড়ে নিতেই কয়েক ফোঁটা পানি এসে তুহার গলায়,চোখেমুখে এসে পড়লো।
সাথে সাথে দু’চোখের পাতা বুজে আসলো।
চোখ খুলে ওড়নার এক মাথা ইভানের মাথা মোছার উদ্দেশ্য বাড়িয়ে দিতেই ইভান তুহার হাত ধরে থামিয়ে দিলো।

আশেপাশে একবার চোখ বুলিয়ে ঢিমে কন্ঠে বলল,’ ভালো করে ওড়না গায়ে জড়িয়ে নাও। এমনিতেও সিএনজির কাছে যেতে যেতেই জামা কিছুটা ভিজে যাবে।

তুহা ভালো করে মাথায় কাপড় দিয়ে ওড়ানা জড়িয়ে নিতেই ইভান তুহার হাত ধরে বেরিয়ে আসে। দুজনেই দৌঁড়ে সিএনজিতে এসে উঠে পড়ে।
শক্ত করে ইভানের হাত চেপে ধরে রেখেছে তুহা। শক্ত হাতের বাঁধনের দিকে কিয়দংশ সময় নির্নিমেষ চেয়ে থেকে নিষ্প্রভ কন্ঠে বলল ইভান,

“আমার চাকরিটা আর নেই তুহা। আমার সাথে কিভাবে থাকবে তুমি? মানুষের কতরকমের শখ থাকে,ইচ্ছে থাকে সেসবতো এখন চাইলেও পূরণ করতে পারবোনা আমি।”

তুহার হাতের বাঁধন আরেকটু শক্ত হলো। ইভানের চোখে চোখ রেখে আশ্বস্ত করে বলল,’ চাকরি হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ততদিনে না হয় তুহা তার ইচ্ছে গুলো জমিয়ে রাখবে।’
আপাতত তুহার একটা ইচ্ছে। সেই ইচ্ছেটা হচ্ছে তার স্বামীকে সবার সামনে নির্দোষ প্রমানিত হতে দেখা। সেই ইচ্ছেটা না হয় আগে পূরণ করুন।

ইভান প্রসন্নচিত্তে হাসলো। তুহার জায়গায় এবার সে নিজেই হাতের বাঁধন দৃঢ় করলো।
জীবনে যত দুঃখ-কষ্ট আসুক না কেনো? একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী পাশে থাকলে সকল জটিলতা কাটিয়ে দুঃখের মাঝেও এক ফালি সুখ কুড়িয়ে নেওয়া যায়।

সিএনজি থেকে নামতেই তুহার বুক দুরুদুরু আওয়াজ তুলে। ইভানের হাত খামছে দাঁড়িয়ে রইলো। বৃষ্টি এসে চারপাশে শীতলতা ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে। সেই শীতল পরিবেশে দাঁড়িয়ে ও তুহা ঘামছে। বাবা ইভানকে দেখে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে সেটা ভেবেই তুহার বুক কেঁপে উঠছে।
যদি ইভান কষ্ট পায় এমন কয়েকটা কড়া কথা শুনিয়ে দেয়?
তুহা ঢোক গিলে ইভানকে বলল,’ আপনি নাহয় বাসায় ফিরে যান। আমি বাবাকে ঠিক রাজি করিয়ে নেবো।

তুহার ভেতরের কম্পন টের পেয়ে ইভান খানিক হাসলো। মেয়েটা মাঝেমাঝে এতটা সাহস দেখিয়ে ফেলে আবার মাঝেমাঝেই ভীতুর ন্যায় তটস্থ হয়ে পড়ে। ইভান আল্লাহর দান সেই চমৎকার হাসি ঠোঁটে ফুটিয়ে বলল,’ তুমি এত চিন্তা করছো কেনো? সব ঠিক হবে। আর তোমাকে নিয়েই কাল আমি ঢাকায় ফিরবো। সেটা আমার শ্রদ্ধেয় শশুর আব্বাজান কে রাজি করিয়ে তবেই।

কলিং বেলের আওয়াজে তৃণা এসে দরজা খুলে দিলো। বোনের পাশে দুলাভাইকে দেখে চোখ বড় বড় করে তাকায়। অক্স্মাৎ ইভানকে দেখে বিষ্মিত কন্ঠে ফিসফিস করে বলল,’ ভাইয়া কখন কুমিল্লায় আসলো? আপু বাবা কিন্তু বাসায় আছে। এই মুহুর্তে তোকে আর ভাইয়াকে এখানে একসাথে দেখলে তুলকালাম বাঁধবে বলে দিলাম।

তুহা শুষ্ক ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে তৃণাকে সরিয়ে দিয়ে ভেতরে ঢুকলো। ইভান মুচকি হেসে তৃণার সাথে কুশলাদি সেরে নিলো।
তৃনা না পারতে ঠোঁটে মেকি হাসি ফুটিয়ে ইভানের কথার উত্তর দিলো। ভেতরে ভেতরে তার প্রচুর চিন্তা হচ্ছে। কাল থেকেই বাবা আর আপুর কথোপকথনে সে ভয়ে তটস্থ হয়ে রয়েছে। ইভানের ব্যাপারে সত্য-মিথ্যা কতটুকু তা সে জানেনা। তবে মনে প্রাণে চাইছে যাতে তার আপুর কথাটা সত্য হয়। ইভান ভাইয়া যাতে নির্দোষ হয়। নয়তো তার আপুটা ভেঙে গুড়িয়ে যাবে।
ছোট থেকেই বোনের সাথে যতই ঝ’গ’ড়া করুক না কেনো, দিনশেষে তাদের দু’বোনকে একজায়গায় গলাগলি করে থাকতে দেখা যেতো।

সোফায় বাবাকে বসে থাকতে দেখে তুহা আস্তে করে ডেকে উঠলো,”বাবা!”

তুহার বাবা মেয়ের কন্ঠস্বর শুনে মুখ তুলে চাইলেন। সেই মুহূর্তেই পাশে এসে ইভান দাঁড়িয়েছে। শশুরকে সালাম দিতেই তিনি ক্ষে’পে গেলেন। এই মুহূর্তে ইভানকে কিছুতেই আশা করেননি।

তিরিক্ষি মেজাজে বললেন,’তুমি এখানে কি করছো?’
কি চাই তোমার এখানে?

ইভান অত্যন্ত নম্রভাবে উত্তর দিলো,’বাবা আমি তুহাকে নিতে এসেছি।’কালকেই ঢাকায় ফিরবো।

তুহার বাবা বিস্ফোরিত চোখে তাকালেন। চেঁচিয়ে উঠে বললেন,’ তুহা তোমার সাথে যাবেনা।’ যে ছেলে নিজের চ’রিত্রের সার্টিফিকেট দিতে পারেনা তার সাথে আমি আমার মেয়েকে ছাড়বোনা।

ইভান নতজানু হয়ে মৃদু স্বরে বলল,’একজন স্বামীর চ’রিত্রের সার্টিফিকেট তো তার স্ত্রী দেবে বাবা। তাছাড়া আপাত দৃষ্টিতে আমার চ’রিত্রের উপর আঙ্গুল উঠেছে ঠিকই। কিন্তু আমাকে নির্দোষ প্রমান করার সুযোগ তো দেবেন।
আদালতে ও কিন্তু দোষীকে নিজের পক্ষে বলার সুযোগ দেওয়া হয়।

তুহার বাবা চটে গিয়ে বললেন,’ আর কি সুযোগ দেবো তোমাকে? তুমি কি বলতে চাইছো ওই ভিডিও মিথ্যে? আমরা যা দেখলাম সব মিথ্যে হয়ে যাবে তোমার কথায়?

ইভান আগের মতোই জবাব দিলো,’আমি বলছিনা আপনারা আমার কথাটাকেই সত্য বলে মেনে নিন। আমি চাইছি আমাকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ দিন।

তুহা কিছু বলার জন্য মুখ খুলতেই তুহার বাবা তাকে থামিয়ে দিলো। এই ছেলের হয়ে সাফাই গাইতে হবেনা তোকে। এরচেয়ে ভালো ছেলে দেখে তোকে বিয়ে দেবো। চিন্তার কিছু নেই।

তুহা মৃদু চিৎকার দিয়ে উঠলো,”বাবা।”
ছলছলে চোখে তাকিয়ে বলল,’আমি আমার স্বামীকে ছাড়া আর কাউকে নিজের জীবনে জড়াবোনা। সংসার যদি করতেই হয় তবে ইভানের সাথেই সংসার করবো। নয়তো দরকার নেই আমার সংসারের।

তুহার বাবা মেয়ের উপর ক্ষে’পে গিয়ে হাত উঁচু করে চ/ড় মা/র/তে উদ্যত হলেন।
তুহা চোখমুখ খিঁচে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।
তুহার বাবা আস্তে আস্তে হাত নামিয়ে ফেললেন। কখনোই মেয়েদের গায়ে হাত তোলেন না তিনি। সেটা হোক নিজের স্ত্রী, হোক নিজের মেয়ে।

অনকটা সময় চলে যাওয়ার পরও যখন নিজেকে স্বাভাবিকভাবে আবিষ্কার করলো তখনই তুহা চোখ খুলে তাকালো।

বাবা মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন।

ইভানের ফোন বেজে উঠতেই রিসিভ করে সালাম দেয়।

ওপাশ থেকে ইভানের বাবা জিজ্ঞেস করলেন,’তুই কোথায়? ঢাকা থেকে বাসায় এসে বিকেলে যে বের হলি আর তো বাসায় আসলিনা।

ইভান জানালো, ‘আমি তুহাদের বাসায় এসেছি ওকে নিতে। কিন্তু তুহার বাবা কিছুতেই রাজি হচ্ছেননা।’

ইভানের বাবা কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,’বউ মা যেতে চায় তোর সাথে?

হুঁ!

ইভানের ছোট্ট স্বীকারোক্তি শুনে তার বাবা ইভানকে আশ্বস্ত করে বললেন,’আমি আসছি তুই থাক।’বাকিটা আমি সামলে নেবো।

ঠিক আছে বলে ইভান লাইন কেটে দিলো।

ইভানের বাবা তুহাদের বাসার কাছেপিঠেই আছেন। সিএনজিতে উঠে প্রসন্ন হাসলেন। মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করলেন ছেলের সংসার টিকিয়ে রাখতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। এতে যা করতে হয় তিনি করবেন। বহু বছর আগে নিজের প্রথম সংসার খুইয়ে কতটা মানসিক যন্ত্রনায় কাতর হয়েছেন সেটা এখন ছেলের সাথে ঘটুক তা ইভানের বাবা কোনোভাবেই চান না।
তুহা,ইভান আর তুহার বাবার কথোপকথন অনবরত চলতেই থাকলো।
মিনিট তিরিশেক এর মাথায় ইভানের বাবা এসে তুহাদের বাড়িতে উপস্থিত হলেন।

ইভানের বাবাকে দেখে তুহার বাবা আরও চটে গেলেন। রোষানল দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন,’আপনিও বুঝি ছেলের পক্ষে সাফাই গাইতে এসেছেন।’

ইভানের বাবা মৃদু হেসে বললেন,’ নাহ বেয়াই সাহেব! আমিও চাই আমার ছেলে যদি সত্যিই কোনো ভুল করে তবে সে তার প্রাপ্য সাজা পাক। প্রয়োজনে আমি তার শাস্তির ব্যবস্থা করবো। ‘

তুহা আপনার মেয়ে। আমার বাড়ির বউ। দু’বাড়ির সম্মান সে।
তুহা ইভান দুজনেই স্বামী-স্ত্রী। তার উপর দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। তাই তাদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আপনি তুহাকে আটকে রাখতে পারেননা।

তুহার বাবা তাচ্ছিল্য হেসে বললেন,’খুবতো এসেই বড় বড় কথা বললেন। এখন সেই নিজের ছেলের সাফাই গাইতে শুরু করলেন?

ইভানের বাবা খানিক হেসে বললেন,’সাফাই গাইছি না। যেটা সত্য সেটাই বলছি। বউমা কে আমার ছেলের সাথে যেতে দিন। আমি নিজে কথা দিচ্ছি,

“এক সপ্তাহের মধ্যে যদি ইভান নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারে তবে আপনার মেয়েকে সারাজীবনের মতো আপনার কাছে দিয়ে যাবো আমি। আর যদি ইভান নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারে তবে আশা রাখছি সব আগের মতোই হবে।’

তুহার বাবা খানিক ভাবলেন। তবুও মনকে মানাতে পারছেননা। না সূচক কিছু বলতে গেলেই মাঝখান দিয়ে রাদিফ ফোড়ন কেঁটে বলল,

‘ ভাইজান আমার মনে হচ্ছে ইভানের বাবার কথাটা একবার ভেবে দেখা উচিত। এটা গোটা একটা জীবনের প্রশ্ন। তুমি এখন তুহা আর ইভানের বিচ্ছেদ ঘটালে। হয়তো দেখা গেলো ইভান নির্দোষ সে কিছুই করেনি। তখন দুইটা জীবন নষ্ট হবে। দুইটা পরিবারের সম্পর্ক নষ্ট হবে। তারচেয়ে মেয়ের কথা ভেবে একবারের জন্য হলেও ইভানের উপর বিশ্বাস রেখে দেখো।
বিয়ের আগ থেকে এখন পর্যন্ত ছেলেটার নামে কারো মুখে কোনো বা’জে মন্তব্য শুনেছো? দুদিন আগেও তো তুমি নিজেই মেয়ের জামাইকে নিয়ে কতটা গর্ববোধ করেছিলে। এখন কেনো একটা ভিডিওর উপর ভিত্তি করে এতদিনের বিশ্বাস এক নিমিষেই শেষ করছো?
আরেকবার ভেবে দেখো।

তুহার বাবা চুপ করে ভাইয়ের প্রতিটি কথা শুনে গেলেন। অনেক ভেবে মুখ খুললেন। গমগমে স্বরে বললেন,” ঠিক আছে। মাত্র এক সপ্তাহ। এর বেশি এক সেকেন্ড ও সময় দেবোনা আমি।”

তুহা চোখ তুলে তাকায়। ঠোঁটে প্রাপ্তির হাসি। ইভানের দিকে তাকাতেই তার ক্লান্তিমাখা মুখে লেগে থাকা মিষ্টি হাসিতে আরও একবার ঘায়েল হলো তুহা।

ঘড়িতে সকাল সাতটার কাঁটা ছুঁই ছুঁই। ইভান তুহার হাত ধরে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে।
বাস আসতেই পা বাড়ালো দুজনে। পাশাপাশি সিটে তুহা ইভানের বাহু জড়িয়ে ঘাড়ে মাথা রাখলো। ইভান অন্যহাতে তুহার মাথায় ভালো করে ওড়না দিয়ে ঘোমটা টেনে দিলো।
তুহা ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই ইভান মাথা নেড়ে বোঝালো কিছুনা। এভাবেই থাকো ওড়না সরাতে হবেনা।
#চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here