#ভালোবাসারা_ভালো_নেই
#অজান্তা_অহি
#পর্ব – ১৪
‘রাজকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। থানা থেকে ফোন দিয়েছিল।’
বলে চুপ হয়ে গেল আজাদ আঙ্কেল। আমি একজন পরাজিত বাবাকে দেখছি। যার সমস্ত চেহারা জুড়ে হতাশা। কণ্ঠে বিষাদের সুর। যার কথায় শয়ে শয়ে মানুষ উঠাবসা করে, যার পেছনে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ ঘোরে, যার একটু ইশারায় কতকিছু ঘটে যায় সেই মানুষটা সংসার জীবনে পরাজিত। নিজের সন্তান কথা শোনে না। তাকে মানুষ করতে পারেনি। রাজ ভাইয়া বিদেশে গিয়ে পড়াশুনা করেনি। তার কোনো ডিগ্রি নেই। দেশ থেকে মাসে মাসে মোটা অংকের টাকা পাঠাতো। সব উড়িয়ে ফিরে এসেছে। ছেলেটার জন্য বড় মা এই বয়সে কতদিন মার খেয়েছে। সব অজানা হয়তো!
সামান্তা আপুর আব্বু নওশাদ আঙ্কেল ভীষণ রেগে গেছেন। রাগার কথা! তিনি কপাল কুঁচকে বললেন,
‘ছেলেটা এমন করছে কেন? দেশে ফিরেই একের পর এক ঝামেলায় জড়াচ্ছে। সব জায়গা আপনার নাম ব্যবহার করছে। এতে তো আপনার সম্মানহানি হচ্ছে ভাই। আজকের এই ঘটনা নিয়ে যদি নিউজ হয়? সামনে ইলেকশন।’
হ্যাঁ কয়েক মাস পর নাকি ইলেকশন। আজাদ আঙ্কেল মনোনীত হয়েছেন। তার প্রচারণা চলছে। প্রতিদিন মিছিল, সমাবেশ হচ্ছে। এসবের মধ্যে রাজ ভাইয়া ক্রমাগত অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছে। আজাদ আঙ্কেল বিচলিত সুরে বললেন,
‘নওশাদ বের হ। লোকজন জানাজানি হওয়ার আগে রাজকে নিয়ে আসতে হবে।’
‘হ্যাঁ চলেন!’
কিছুক্ষণের মধ্যে দুজন বেরিয়ে পড়লো। বাকি সবাইকে বসার ঘরে রেখে আমি চলে এলাম। বড্ড ক্লান্ত লাগছে। বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। এদের পারিবারিক ব্যাপারে না থাকাই শ্রেয়। আমি সামান্য কাজের লোক।
বিছানায় শুয়ে আছি ঠিকই। কিন্তু ঘুম এলো না সহসা। আব্বার কথা মনে পড়ছে। আব্বা ভালো আছে তো? আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল একবার। প্রায় বছর খানেক আগে। আর কোনো খোঁজ নেই। মাঝে মাঝে আমি এ বাড়ির ড্রাইভার চাচার থেকে আব্বার তথ্য নেই। চাচা বলে, আব্বা ভালো আছে। আমার কেমন অস্থির লাগে তখন। মনে হয় আব্বা ভালো নেই।
‘ফুল ঘুমাইছোস?’
‘না খালা। কিছু বলবে?’
খালা বাল্ব জ্বালালো। তার শিথান থেকে তেলের বোতলটা নিল। নারকেলের তেল। হাজারী বাগের পীর সাহেবের পবিত্র ফু দেওয়া তেল। মাথা ব্যথার ওষুধ! খালা মাঝে মাঝে সেখানে যায়।
‘কিছু বলবে?’
খালা হঠাৎ আফসোস নিয়ে বললো,
‘কত্তো বড় বাড়ি, কত্ত টিহা পয়সা। কত্তো নামডাক। এত্তো বড়লোক, ধনী। আশপাশের মানুষ মনে করে না জানি এ বাড়ির মানুষ কত্তো সুখী। কিন্তুক দেখছোস? ভিত্রের চিত্র কেমন ছ্যাড়াব্যাড়া। একজন আরেকজনরে দুই চোউক্ষে সহ্য করতে পারে না। বড় বুয়ের সোয়ামির সাথে মিল নাই। খালি ঝগড়া লাইগা থাকে। কত কষ্ট হগ্গলের। এরেই বলে জীবন।’
খালা ঠিক বলেছে। উচ্চপদস্থ দের দেখে আমরা সব সময় হা হুতাশ করি। মনে করি, না জানি কত সুখে আছেন তারা! না জানি কত আনন্দে আছেন তারা। কিন্তু অন্দরমহলের চিত্র ভিন্ন। এতটা ভিন্ন যে কেউ চট করে আন্দাজ করতে পারবে না। ইট পাথর দিয়ে তৈরি বন্দিশালায় লুকোনো কতো দুঃখ, কতো কষ্ট! কতশত আলাদা আলাদা গল্প।
সেই গভীর রাতে আমি আবিষ্কার করলাম পৃথিবীর কেউ ভালো নেই। কেউ সুখে নেই।
পরদিন শুনলাম রাজ ভাইয়াকে রাতের আঁধারে ফিরিয়ে এনেছে। পুলিশ তাকে একা ধরেনি। সাথে আরো দুজন বন্ধু ছিল। মদ খেয়ে নাকি বেপরোয়া ভাবে বাইক চালাচ্ছিল। ফুটপাতের কাউকে আঘাতও করেছে। রাতের ট্রাফিক পুলিশ ধরে থানায় দিয়েছিল।
__________
ফাইজান ভাই এসেছে। তার মাস্টার্সের পরীক্ষা হয়েছে অনেক দিন হলো। এখন চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছে। কোনো এক পরীক্ষার ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য ঢাকা এসেছিল। বড় মা অনেক বলে কয়ে বাড়ি আনলো। বড় মায়ের এই ব্যাপারটা আমার ভীষণ ভালো লাগে। ফাইজান ভাই তার নিজের সন্তান না। তবুও অনেক ভালোবাসে।
কিছুদিন হলো রাজ ভাইয়া বাড়িতে আছে। সারাক্ষণ নিজের রুমে থাকে। বের হয় না। কারো সাথে তেমন কথা বলে না। তবে মাঝে মধ্যে খাবার টেবিলে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভাতের প্লেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে যায়। এই ছেলেটা তার মাকেও পছন্দ করে না। বুঝলাম তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। সেজন্যে তার প্রতি এতো ক্ষোভ। মা কি করেছে? কিচ্ছু করেনি! তবুও এই মানুষটাকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে।
ফাইজান ভাই এসেছে পরশু রাতে। দুই ভাইয়ের দেখা হলো পরদিন দুপুরে। খাবার টেবিলে। কত বছর পর দেখা! অথচ কোনো কথা নেই! একজন আরেকজনের দিকে তাকাল না পর্যন্ত। এক পর্যায়ে রাজ ভাইয়া খাবার প্লেট সরিয়ে রেখে চলে গেল। এই হলো দুই ভাইয়ের সম্পর্ক!
দুপুরের খাবার চুলায়। রান্না করছি আমি আর খালা। বড় মায়ের শরীর ভালো না। তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। সামান্তা আপু এলো কিছুক্ষণ পর। বললো,
‘জুঁই চা বানিয়ে দে তো। দুই কাপ।’
‘দিচ্ছি আপু।’
‘রান্না কতদূর রে? একটু বের হবো আমরা।’
আমি প্রশ্ন করলাম না। কাজের লোকদের এতো উৎসাহ ভালো না। আপু নিজে থেকে ফিসফিস করে বললো,
‘আমি আর ফাইজান ভাই বের হবো, বুঝলি! তাকে বলেছি আমার কিছু কেনাকাটা করতে হবে। প্রথমে রাজি হচ্ছিল না। অনেক রিকোয়েস্টের পর রাজি হয়েছে।’
‘খুবই ভালো।’
স্মিত হেসে বললাম আমি। চা হয়ে গেছে প্রায়। কয়েক মিনিট পর ছেকে কাপে ঢাললাম। আপু সালেহা খালাকে তাড়া দিল। বললো,
‘রান্না তাড়াতাড়ি শেষ করো খালা। খেয়ে বের হবো।’
‘করতাসি। হইয়া যাইবো।’
আপু চায়ের কাপ নিয়ে উপরে গেল। আমি রান্নায় মন দিলাম।
সেদিন সন্ধার পর পর ফাইজান ভাই আর
সামান্তা আপু ফিরলো। আপুর মন ভার। চোখ মুখ কেমন ফোলা ফোলা মনে হলো। ভয় পেয়ে গেলাম আমি। আপু কি কান্না করেছে? ফাইজান ভাই তো বেশ স্বাভাবিক। আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে গিয়েও পিছিয়ে এলাম।
আপু রাতে খেলো না। সবাই অনেক বার বললো। জোরাজুরি করলো। কিছুতেই কিছু হলো না। সে হাসিমুখে না করে দিলো। অজুহাত দেখাল, বাহির থেকে নাকি খেয়ে এসেছে। মন খারাপ হয়ে গেল আমার। আপু কি তবে ফাইজান ভাইকে মনের কথা বলেছিল? হয়তো! ভাইয়া রাজি হয়নি বোধ হয়। পছন্দের মানুষ, প্রিয় মানুষের থেকে প্রত্যাখ্যান সহ্য করা যায় না! আপুর না জানি কত কষ্ট হচ্ছে!
টেবিল গুছিয়ে, রান্নাঘর পরিষ্কার করে রাতে ঘুমানোর বন্দোবস্ত করছিলাম। এমন সময় ফাইজান ভাই নিচে নামলো। গ্লাসে পানি ঢেলে কয়েক চুমুক খেয়ে বললো,
‘ফুলি, কাল ভোরে আমি চলে যাবো।’
‘সেকি! এতো তাড়াতাড়ি কেন?’
চমকে উঠলাম আমি। সে এসেছে সবেমাত্র দুদিন হয়েছে। এখনি চলে যাবে! আমার প্রশ্নের উত্তর দিলো না ফাইজান ভাই। গ্লাসের বাকি পানিটুকু শেষ করে বললো,
‘তোকে ভর্তি করিয়ে দিয়ে যাবো ভাবছিলাম। কিন্তু আমার সময় হবে না। মঈন চাচাকে বলে দিয়েছি। তোকে কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়ে আসবে।’
মঈন চাচা এ বাড়ির ড্রাইভার। আমার সাথে ভালো সম্পর্ক। সে না হয় বুঝলাম। কিন্তু উনার এতো দ্রুত চলে যাওয়া মন সায় দিল না। তবুও মাথা নাড়লাম। বললাম,
‘ঠিক আছে।’
‘খাবার দাবার কিছু আছে নাকি রে?’
আমি আগ্রহ নিয়ে বললাম,
‘হ্যাঁ আছে। আপনি খাবেন? বেড়ে দিবো?’
‘আমি খাবো না। সামান্তা কে পারলে কিছু খাইয়ে আয়। বাহিরে কিছু খায়নি। মিথ্যে বলছে।’
‘ওহ্। আচ্ছা। খাবার নিয়ে যাচ্ছি।’
ভাইয়া চলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলো। শেষ মুহূর্তে বললো,
‘তোর বয়স অল্প ফুলি। ভুলত্রুটির বয়স এটা। সাবধানে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিবি। এখন যেটা সঠিক মনে হবে, কয়েক বছর পর গিয়ে দেখবি সেটা সঠিক ছিল না। ঝোঁকের মাথায় কিছু করে বসবি না। আমাদের দোষ কোথায় জানিস? একটা নির্দিষ্ট বয়স হলেই নিজেকে ম্যাচিউরড ভাবি। আসলে ম্যাচুরিটি জিনিসটা পরিবর্তনশীল। তোর এখন যেটা উত্তম বলে মনে হবে, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তার জন্য আফসোস করতে হবে। বার বার মনে হবে কেন এই কাজ করেছিলাম। এইজন্য যা করবি ভেবে চিন্তে করবি। কখনো ফ্যান্টাসিতে ভুগবি না। বাস্তব জীবনে ফ্যান্টাসির জায়গা নাই।’
‘হুঁ!’
মাথা নত করে জবাব দিলাম। ভাই ফের বললো,
‘রাজের থেকে দূরে থাকবি। অনেকটা সময় বিদেশে কাটিয়েছে। বলা যায় না!’
সে চলে গেল। আমি তার গমনপথের দিকে চেয়ে রইলাম। ফাইজান ভাই ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। কথাবার্তা চমৎকার। আচার-আচরণ অত্যন্ত সুশীল। এমন ছেলে সব মেয়ের কল্পপুরুষ। সেখানে সামান্তা আপুর প্রেমে পড়া অস্বাভাবিক নয়। সে আরো কাছে থেকে দেখেছে। একজন পরিপূর্ণ পুরুষকে!
প্লেটে খাবার নিয়ে আপুর রুমে গেলাম। দরজায় মৃদু শব্দ সৃষ্টি করলাম। আপু খুললো না। আমি হাল ছাড়লাম না। নক করে গেলাম। অবশেষে আপু দরজা খুললো। আমাকে দেখে বেশ রেগে গেল। বিরক্তি নিয়ে বললো,
‘বলেছি না খাবো না? অযথা বাড়াবাড়ি করছিস কেন?’
মুখের সামনে দরজা বন্ধ করতে নিতে আমি ঝটপট বললাম,
‘ফাইজান ভাই খাবার পাঠিয়েছে!’
আপু দরজা বন্ধ করতে গিয়ে থেমে গেল। থমথমে মুখে সরে গেল। আমি ভেতরে ঢুকে দরজা ভিড়িয়ে দিলাম। খাবারের প্লেটটা টেবিলে রেখে বললাম,
‘আপনি এখনি ভাইকে বলতে গেলেন কেন আপু? আরো পরে বলতেন!’
‘আমি কি ইচ্ছে করে বলেছি নাকি? বলছিলো চাকরির ইন্টারভিউ ভালো হয়েছে। চাকরি হয়ে গেলে বিয়ে করে ফেলবে। সেজন্য বলে দিয়েছি!’
আপু বালিশে মুখ গুঁজলো।
‘ভাই কি উত্তর দিয়েছে?’
‘বললাম আমি আপনাকে পছন্দ করি। অনেক বছর হলো ভালোবাসি। আমাকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না। শুনে ফাইজান ভাই কী করলো জানিস? রাস্তার মাঝে চ’ড় বসিয়ে দিলো।’
আপুর কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে এলো। আর কিছু বলতে পারলো না। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো। আমি কিছু বললাম না। সময় দিলাম। আপু নিজেকে সামলে নিলো দ্রুত। খাটে হেলান দিয়ে বসে বললো,
‘রাজ ভাইয়া ছোটবেলা থেকে উড়নচণ্ডী স্বভাবের। কিন্তু ফাইজান? এ বাড়িতে আসার পর থেকে এতো যত্ন নিত আমার! স্কুলে দিয়ে আসা, পড়াশুনা দেখিয়ে দেওয়া, খাবার কম খেলে ধমকা-ধামকি করা! তার এত যত্ন পেতে পেতে কবে ভালোবেসে ফেলেছি একটুও টের পাইনি। তুই বল জুই! উনার মতো এতো যত্ন কে করবে আমার? উনার মতো এতো ভালো কে বাসবে? উনার মতো এতো আবদার কে মিটাবে? কেউ না! ফাইজান পৃথিবীতে একজনই হয়!’
আপু এক বুক হাহাকার নিয়ে বললো,
‘পৃথিবীতে কারো বিকল্প কেউ হতে পারে না। উনার বিকল্প আমি কোথায় খুঁজে পাবো বলতে পারিস? ঠিক আরেকটা ফাইজান আমি কোথায় পাবো!’
আপু কাদঁছে! ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে। ঠিক এমন ভাবে আমি কেঁদেছিলাম বহুদিন আগে। এক মধ্যরাতে। যেদিন আবিষ্কার করেছিলাম রাফি ভাই আমাকে নিয়ে নয়। অন্য একজনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। তার স্বপ্নে আমি নয়, অন্য কারো পদচারণা! কি যে কষ্টের। চোখ ভিজে উঠলো আমার। এ জীবনে কি আমি রাফি ভাইকে ভুলতে পারবো? আমার প্রথম অনুভূতি, আমার প্রথম ভালোবাসা! যাকে ঘিরে আমার সুপ্ত আবেগ একটু একটু করে প্রস্ফুটিত হয়েছিল। তাকে ভুলতে পারবো?
________
সময় রংধনুর মতো মিলিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক সূর্য উঠছে। দিন গড়িয়ে রাত নামছে। আবার সূর্য উঠছে! সময়ের পরিক্রমায় আস্তে আস্তে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সামান্তা আপু স্থির হয়ে এসেছে। আগের সেই ছটফট স্বভাব নেই। প্রফুল্লতা ঢাকা পড়েছে কোনো গভীর দুঃখের আস্তরণে। রাজ ভাইয়া বাড়ি নেই অনেকদিন হলো। বাবার সাথে বড়সড় ঝগড়া করে ফুপির বাড়ি গেছে। এখনো ফেরেনি।
এতসব পরিবর্তনের মধ্যে আমার কলেজ শুরু হয়েছে। মানবিকে ভর্তি হয়েছি অনেকদিন হলো। ঘরের কাজ সামলে ক্লাস করার চেষ্টা করছি। তবে হাঁপিয়ে উঠেছি। বেঁচে থাকা দিন কে দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। জীবনের প্রতি তিক্ততা এসে গেছে। এতো বিষাক্ত লাগে বেঁচে থাকা!
তবুও কাজ করতে হয়। ক্লাসে যেতে হয়! এমনি এক দিনে দুপুর বেলা কলেজ থেকে ফিরতে খালা টেনে নিয়ে গেল। ঘরে নিয়ে ফিসফিস করে বললো,
‘ফাইজান বিয়ে করছে। হুঁনছোস নি?’
(চলবে)