আলোছায়া
কলমে লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব: ১৭
জুনায়েদ কি করবে বুঝতে পারছে না। ভাবলো কোনো মেয়ে পাচার চক্রের ঝামেলায় মেয়েটা ফেঁসে গেলো নাতো? প্রচণ্ড রোদ গরম সঙ্গে টেনশনে জুনায়েদের শরীর হঠাৎ করেই খারাপ হতে শুরু করলো। চারদিকটা দুলে উঠলো। ওর মনে হলো মাথাটা একটু বেশিই ঘুরছে। মানুষের মুখ কেমন ঝাপসা দেখছে। জুনায়েদ বুঝতে পারলো রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকলে যেকোনো সময় পড়ে যাবে। নীলুর কাছে পৌঁছনোর জন্য হলেও ওকে এই মূহুর্তে শান্ত আর সুস্থ থাকতে হবে।কথাটা ভেবে ও দ্রুত গাড়ির ভেতরে গিয়ে বসলো। মুখে দুবার পানির ঝাপটা দিয়ে কিছুটা গলাতে ঢেলে নিয়ে চোখ বন্ধ করলো। এভাবে ওর বেশ সময় পার হলো। এখন অনেকটাই ভালো লাগছে। আপাতত মাথা ঘোরা নেই তবে হালকা যন্ত্রণা আছে। জুনায়েদ এখানে আর অপেক্ষা করতে চাইলো না। সেদিন ছেলেগুলার সঙ্গে মারামারি হয়েছিল ওদেরকে সন্দেহ হচ্ছে।তবে ওদের কি সাহস হবে মেয়ে কিডনাপ করার? জুনায়েদের ভাবনার অবসান হলো ফোনের শব্দ শুনে। ও দ্রুত ফোনটা চোখের সামনে ধরলো। একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এসেছে দেখে রিসিভ করে কানে ধরলো। ওপাশ থেকে আওয়াজ আসছে না।জুনায়েদ কেটে দিতে গেলো ঠিক তখনই গম্ভীর একটা কন্ঠ ভেসে আসলো।
> নীলু কে ফিরে পেতে চাইলে টেক্সট করা ঠিকানাই চলে আসুন। অপেক্ষা করছি।
> কে আপনি? কি চাই আপনার?ওকে ছেড়ে দিন নয়তো আমি কিন্তু পুলিশে দিবো আপনাকে।
> আশাকরি আপনি বুদ্ধিমানের মতো একাই আসবেন।যদি নিজের স্ত্রীকে জীবিত পেতে চান।
জুনায়েদ কিছু বলতে গেলো কিন্তু পারলো না। ফোন কেটে গেলো। ফোন কাটার সঙ্গে সঙ্গে টেক্সট আসলো। জুনায়েদ এক মিনিট ভেবে নিয়ে সেই ঠিকানার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। বাড়িতে বিষয়টা কিছুতেই বলা যাবে না। আম্মা এমনিতেই এসব নিয়ে ওর উপরে বিরক্ত তারপরে এসব জানলে সত্যি সত্যিই ডিভোর্স করিয়ে ছাড়বে। ভাবতে ভাবতে জুনায়েদ সেই ঠিকানাতে পৌঁছে গেলো। জঙ্গলে মধ্যে বিশাল পোড়া বাড়িটা কেমন দানবের মতো দাঁড়িয়ে আছে। এটা মূল শহর থেকে দূরে। এই বাড়ি নিয়ে ও অনেক কথা শুনেছি। ভূতুড়ে বাড়ি হিসেবে পরিচিত। এই জন্য লোকজন এদিকে তেমন আসে না। ওর চেনা, অনেক আগে একবার এসেছিল বন্ধুদের সঙ্গে। জুনায়েদ গাড়ি থামিয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো। জানালা বন্ধ তবে সদর দরজা খোলা। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আধারে চলতে কষ্ট হচ্ছে তবুও ও প্রবল মনবলে সামনে এগিয়ে যেতেই চাপা আত্ননাদ শুনতে পেলে। কেউ কাঁদছে। জুনায়েদের বুকের মধ্যে ধক করে উঠলো। নীলুর মুখটা মনে পড়ছে। মেয়েটা কষ্ট পাচ্ছে ভেবেই ওর কপালের রগ খাড়া হয়ে উঠলো। যে এই কাজের সঙ্গে জড়িত জুনায়েদ ওদের সবাইকে জুতা পেটা করবে। ফাজলামি ছুটিয়ে দিবে কথাটা ভেবে ও সেদিকে এগিয়ে গেলো। কিছুদূরে এসে একটা দৃশ্য দেখে ওর মাথা ঘুরে গেলো। নীলুকে চেয়ারের সঙ্গে বেধে রাখা হয়েছে। আর ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে মেয়েটার চারপাশে জলন্ত কাঠের টুকরো রাখা। তাতে আগুন লাগানো হয়েছে। জলন্ত কয়লার মতো লাগছে। মেয়েটা চোখ বন্ধ করে ছটফট করছে। নীলুর আগুনে ফোবিয়া আছে এটা জেনেই হয়তো এমন করা হয়েছে। জুনায়েদ আগুনের কাছে গিয়ে নীলু বলে চিৎকার দিতেই নীলু ওর দিকে তাকিয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে কেঁদে বলে উঠলো,
> বাঁচান আমাকে। ওরা মেরে ফেলবে প্লিজ সাহায্য করুন।
কথাটা জুনায়ের হৃদয়ে গিয়ে লাগলো। মেয়েটা অনবরত কান্না করছে। ও আশেপাশে তাকিয়ে কোথায় কাউকে পেলে না আগুন নেভানোর জন্য। ওর এভাবে এলোমেলো দৌড়ের মধ্যেই হঠাৎ করে পেছনে থেকে ওর মাথায় কেউ আঘাত করলো। জুনায়েদ মাথা চেপে পড়ে গেলো আর লোকগুলো দ্রুতগতিতে একটা চেয়ারের সঙ্গে ওকে বেধে দিলো। জুনায়েদ অচেতন হয়নি পুরোপুরি সবটা বুঝতে পারছে। শুধু মাথাটা ভীষণ ব্যাথাতে টনটন করছে। এতক্ষণে রুমে লাইট জ্বালিয়ে দেওেয়া হয়েছে। একে একে কয়েকজন ভেতরে প্রবেশ করলো। জুনায়েদ ছেলেগুলাকে দেখে অবাক হলো। কয়েকদিন আগে নীলুকে বিরক্ত করেছিলো এরাই। তাছাড়া এদের সঙ্গে পিউ আছে। জুনায়েদের এবার বুঝতে অসুবিধা হলো না।পিউ এগুলো প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই করেছে। জুনায়েদ দাঁতে দাঁত চেপে হুঙ্কার ছেড়ে বলল,
> নীলুকে কষ্ট দিচ্ছ কেনো? কি চাই তোমাদের?
জুনায়েদের কথা শুনে পিউ একটুও মুখের ভাবমূর্তি চেঞ্জ করলো না বরং স্বাভাবিকভাবে কয়েকটা পেপার পাশের লোকটাকে দিয়ে বলল,
> ওকে দিয়ে সাইন করিয়ে আনো। যদি জানতে চাই জানিয়ে দিবে।
লোকটার হুকুম মেনে জুনায়েদের সামনে এসে পেপার ধরে বলল,
> এখানে তিনটা পেপার আছে। একটাতে আপনি নীলু ম্যাডামকে ডিভোর্স দিচ্ছেন, আরেকটা আপনার আর পিউ ম্যাডামের বিবাহের রেজিস্ট্রি পেপার। আর হা আরেকটিও আছে বিয়ের দেনমোহর হিসেবে আপনি আপনার নামের সব সম্পত্তি পিউ ম্যাডামকে লিখে দিচ্ছেন।
জুনায়েদ লোকটার কথা শুনে হতবাক। এই পিউ যে মিটকে শয়তান এটা বুঝতে ওর বাকি নেই কিন্তু অনেক দেরি করে ফেলেছে। খামাখা হুমকি ধামকি দিয়ে এখান থেকে যাওয়া যাবে না ভেবে মিষ্টি হেসে বলল,
> ওমা তাই বুঝি? সম্পত্তি বলতে তো আমার কিছুই নেই। সবতো আব্বুর আর ভাইয়ার নামে। আচ্ছা চিন্তা করো না আমার নিজের কেনা একখানা সাইকেল আছে। ওটা খুব শখ করে কিনেছিলাম তুমি চাইলে ওটাই দিয়ে দিবো।
জুনায়েদের কথা শুনে পিউ রেগে গেলো। ও বিরক্তি নিয়ে বলল,
> সিরিয়াস মোমেন্টে আমি তোমার সঙ্গে মজা করতে পারছি না। ওখানে কোর্ট পেপার রাখা আছে দ্রুত সাইন করো নয়তো পাশে তাকিয়ে দেখো।
জুনায়েদ একবার পাশে তাকালো নীলু অচেতন হয়ে আছে। মাথাটা ঝুলছে। সবথেকে কষ্ট লাগছে মেয়েটার ফরসা হাতের মধ্যে আগুনের পোড়া দাগ। মনে হচ্ছে ওরা ইচ্ছা করে বিড়ি বা সিগারেটের ছেকা দিয়েছে। কথাটা ভেবেই ওর শরীর জ্বলে উঠছে। জুনায়েদ নিজেকে শান্ত রেখে বলল,
> আমার হাত খুলে দাও। হাত না খুললে কিভাবে সাইন করবো?
পিউ একজনকে ইশারা করলো বাধন খুঁলে দিতে। ছেলেটা যেনো তৈরী ছিল আদেশের জন্য। হুকুম আসা মাত্র বাধন খুলে দিলো। জুনায়েদ ভদ্র ছেলের মতো লোকটার থেকে পেপার গুলো নিয়ে চেক করে ফট করে ওর পেট বরাবর একটা লাথি বসিয়ে দিলো। লোকটা ছিটকে গেলো। জুনায়েদ হাতের পেপার গুলো আগুনের উপরে দিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটার থেকে হকিস্টিক নিয়ে পিটাতে শুরু করলো। ওরা অনেকেই আছে তবুও রিস্ক নিয়ে হচ্ছে। স্বার্থ হাছিল হয়ে গেলে ওরা কখনও নীলুকে ছাড়তো না এটা ওর ভালো করে জানা আছে। জুনায়েদ এতগুলো ছেলের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছে না। মনে হচ্ছে ওদের থেকে নিজে মার খেলো। কাহিল অবস্থা এর মধ্যেই আরেকজন ভেতরে এসেছে। জুনায়েদ আড়চোখে দেখলো ছেলেটা ওর হয়েই লড়ছে। দুজন মিলে ছেলেগুলারে আচ্ছা করে মারলো। পিউ ভয়ে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। খারাপ ছেলেগুলা ফ্লোরে গড়াগড়ি করছে উঠার শক্ত নেই। জুনায়েদ ঘরের কোনে পিউকে দেখে ওকে ঠাটিয়ে দুটো থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।ঝূল সামলাতে না পেরে মেয়েটা ছিটকে আগুনের মধ্যে পড়ে গেলো। জুনায়েদ ওকে পড়ে যেতে দেখে আগুন সরিয়ে নীলুর বাধন খুলে ওকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসলো। মেয়েটার কোনো সাড়াশব্দ নেই। জুনায়েদ ওকে মাটিতে নামিয়ে অনেকবার ডাকলো তবুও মেয়েটা সেভাবেই আছে। হঠাৎ পাশের ছেলেটা বলল,
> আপনি দ্রুত ওকে বাড়িতে নিয়ে জান এদিকটা আমি সামলে নিবো।
জুনায়েদ ছেলেটার দিকে তাকিয়ে মনে হলো একে কোথায় একটা দেখেছি। কিন্তু মনে হচ্ছে না। ওকে এভাবে ভাবতে দেখে ছেলেটা বলল,
> আমি ডাক্তার তীব্র,গতকাল পরিচয় হলো। আচ্ছা পরে কথা হবে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন।
জুনায়েদ ছেলেটিকে ধন্যবাদ দিয়ে নীলুকে নিয়ে বাইরে এসে ওকে গাড়িতে বসিয়ে দিলো। এবার ওকে আর পেছনের ছিটে রাখতে ভরসা পেলো না। ওকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ড্রাইভিং শুরু করলো। ও দ্রুতগতিতে বাড়িতে ফিরতে চেয়েও রাস্তা পরিবর্তন করে ওদের মেইন শহরে যে বাড়িটা আছে সেখানে আসলো। এই বাড়িতে ওরা গতমাসে উঠতে চেয়েছিল কিন্তু হয়নি। আগামী মাসে উঠবে তাই সব গোছানো আছে। বাড়িতে ফিরলে সবাই এই ঘটনার জন্য জুনায়েদকে দোষারোপ করবে। তাছাড়া পারভীন বেগম কখনও ওকে নীলুর আশেপাশেও ঘেঁষতে দিবে না এটা ওর জানা আছে। জুনায়েদ এসব ভেবেই নীলুকে এই বাড়িতে নিয়ে উঠেছে। বাড়ির সামনে গাড়ি থামিয়ে ও নীলুকে কোলে করে ভেতরে গেলো। আনোয়ার চাচা নামের একজন এই বাড়ির দেখাশোনা করছে। জুনায়েদকে দেখে উনি দরজা খুলে দিলেন। নীলুকে এভাবে দেখে উনার মনেও প্রশ্ন জেগেছে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা আছেন। এখন প্রশ্ন করলে ছেলেটা বিরক্ত হবে। জুনায়েদ ওকে রুমে নিয়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি ওর মুখে পানি ছিটিয়ে দিলো। মুখটা টাওয়েল ভিজিয়ে মুছে দিয়ে বুকের সঙ্গে নিয়ে ডাকলো,
> নীলু চোখ খোলো, আমি চিন্তা করছি। দেখো আমরা চলে এসেছি।
জুনায়েদ অযথাই কথা বলছে। আনোয়ার চাচা এক বালতি পানি এনে বলল,
> বাবা ওর মাথায় পানি দিলে চেতনা ফিরতে পারে। তুমি বললে আমি একটু চেষ্টা করতাম।
জুনায়েদ অন্য সময় হলে মানা করতো কিন্তু এখন আর তেমন পরিবেশ নেই। লোকটার কথায় ও ভরসা পাচ্ছে। হাসপাতালে নিলে বাড়িতে জানাননি হবে ভেবে এখানে এনেছে কিন্তু এখন খুব ভয় করছে। মেয়েটার কিছু হলে ও বেঁচে থেকেও মারা যাবে। জুনায়েদ দ্রুত সরে গিয়ে আনোয়ার চাচাকে বলল পানি দিতে। আর ও ড্রয়ার থেকে ওষুধ নিয়ে নীলুর হাতের ক্ষতগুলোতে লাগিয়ে দিলো। লাল হয়ে ফোসকা পড়ে গেছে। কষ্ট হচ্ছে সঙ্গে ছেলেগুলাকে খুন করতে মন চাইছে। ওর বউকে ও যা ইচ্ছে করবে দোষের নেই তাই বলে বাইরের মানুষ কেনো তাকে কষ্ট দিবে। তাছাড়া আজ পযর্ন্ত যায় হয়েছে তাতে জুনায়েদ বারবার থাপ্পড় খেয়েছে কষ্ট পেয়েছে তবুও নীলুর গায়ে আচড়ও পড়েনি। সেখানে পিউর সাহস দেখে ওর রাগ আরও বেড়ে যাচ্ছে। আনোয়ার চাচার পানিতে বেশ কাজ দিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই নীলু পিটপিট করে চোখ খুলে তাকালো। ওর মুখে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নীলু চোখ খুলেই জুনায়েদের মুখটা দেখতে পেয়ে এক মুহুর্তও সময় নষ্ট করলো না। ফুপিয়ে কেঁদে উঠে দ্রুত ওকে জড়িয়ে ধরলো। জুনায়েদ হতভম্ব হয়ে এক মিনিটের মাথা নিজের দুহাতে ওকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফিসফিস করে বলল,
> ভয় নেই আমি আছিতো।
নীলু কথা বলছে না একভাবে ফুপিয়ে চোখমুখ ফুলিয়ে ফেলল। জুনায়েদ এবার বহুকষ্টে ওকে ছাড়িয়ে নিয়ে পাশে রাখা ভেজা টাওয়েল দিয়ে ওর মুখটা আবারও মুছিয়ে দিলো। এখনো ওকে জড়িয়ে আছে নীলু। এই প্রথমবার ওর এতোটা কাছে এসেছে মেয়েটা তবুও কোনো অস্বস্তি নেই মুখে। মনে হচ্ছে খুব আপনার কাছের মানুষ। জুনায়েদ ওর হাতটা নিজের মুঠোয় নিয়ে বলল,
> ব্যথা করছে?
নীলু মাথা নাড়িয়ে বোঝালো করছে না। জুনায়েদ ভ্রু কুচকে বলল,
> আচ্ছা এবার থেকে আমার কথা শুনবে ঠিক আছে? দেখলে বড়দের কথা না শুনলে কি হয়?
জুনায়েদের কথা শুনে নীলু উত্তর করলো না ওকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে নিলো। মেয়েটা আগুন দেখে ভয় পেয়েছে। জুনায়েদ টানা তিন ঘন্টা ওকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে বসে আছে। নীলু ওকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে ওকে উঠতে দিচ্ছে না। ও সরতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। জুনায়েদ একটা বিষয় লক্ষ করলো নীলুর গায়ে আগুনের পোড়া দাগ গুলো ক্রমশ মিলিয়ে যাচ্ছে। ও ভেবেছিল বড়বড় ফোসকা নিবে আর অনেকদিন থাকবে। কিন্তু তিনঘন্টা হতেই দাগের পরিমাণ পঞ্চাশ শতাংশ কমে গেছে। মনে হলো রাতের মধ্যে বাকিটাও মিলে যাবে। ডাক্তার তীব্রকে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করছে লোকটা সঠিক সময়ে সেখানে উপস্থিত না হলে কি হতো ভেবে গায়ে কাটা দিচ্ছে। তবে ওর মনে প্রশ্ন আসলো ডাক্তার সেখানে কি করতে গিয়েছিল?
(চলবে)
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।
আসুন নামাজ ও কোরআন পড়ি