#গজপ্রিয়া~12
গল্পের মূল চরিত্র রানি যে কিনা বিশ্বভারতীতে বাংলায় মাস্টার্স করছে । মামার জরুরী তলবে বাড়ি ফিরে আসে কারণ ওর মামাতো বোন মোস্তাফিনার বিয়ে খুব শীঘ্রই । আলিপুরে এসেই প্রথম সংঘর্ষ হয় সম্রাটের সঙ্গে যে কিনা ওর সহপাঠী ছিল একসময় । কিন্তু দুজনের সম্পর্ক সাপে-নেউলে । কিন্তু তবুও কোথাও একটা যোগ সূত্র নিশ্চয়ই আছে যে কারণে রানি বাড়ি ফিরলেই প্রতিবার সম্রাট ছুটে আসে । পরবর্তী কাহিনী নিচে?
—————————
-” রানি , এদিকে আয় তো মা ..”
-” কি হল মামানি ? ”
মনিরা রানিকে আপাতমস্তক দেখে বলল,
-“বাহ, আমার সোনাটাকে তো খুব মিষ্টি লাগছে । ”
রানি লাজুক হাসল । পাশ থেকে সাহানাজ বলল,
-” ঠিক বলেছ ভাবি । আমাদের রানিকে রানির মতোই লাগছে । এবার ওর জন্যেও একটা রাজা খোঁজা শুরু করে দাও । ”
-” হুম, সে তো খুঁজবই । আমার রানির জন্য একটা মিষ্টি দেখে রাজা খুঁজে আনব ।… তবে সেই সিদ্ধান্ত তো মোশারফ ভাইজান নেবেন । ওনার আমানত আমরা স্বযত্নে রাখলেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তো তারই …”
-” এসব কি বলছেন ভাবি ? আমি রানিকে জন্ম দিলেও ওর ওপর সবথেকে বেশি অধিকার আপনার । যে ভালোবাসা ,যত্ন ওর আমার থেকে পাওয়ার কথা ছিল তা আমি ওকে দিতে পারিনি । সেটা আপনি আর ভাইয়া দিয়েছেন । আমাদের আমানত নিজের আমানত মনে করে আগলে রেখেছেন । তাই চাইলেও আমি বা আপনার ভাইজান সেটা অস্বীকার করতে পারব না । যেদিন ওকে আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম সেই দিনই ওর সব অধিকার আমি আপনাকে দিয়ে দিয়েছি ভাবি । ওর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার আপনাদের আছে । তাই এইসব ভেবে মনখারাপ করবেন না । ” বলল জাহানারা ।
মনিরা ছলছল চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল জাহানারার দিকে । তারপর জড়িয়ে ধরল জাহানারাকে। রানি হাসি মুখে দেখল নিজের দুই মা কে । নিজেকে সৌভাগ্যবতি মনে হল রানির । এই পৃথিবীতে কতশত শিশু আছে যারা বাবা-মা,আপনজন ছাড়াই বেড়ে ওঠে । কেউ থাকেনা প্রচণ্ড ক্ষিদেয় সময় তাদের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য , কান্নার সময় চোখ মুছিয়ে দেওয়ার জন্য কিংবা অনিশ্চিত ভবিষ্যতে একটা ভরসার হাত হওয়ার জন্য । আর ও , যে কিনা ভাগ্য করে দুই– দুই জন মা পেয়েছে যারা কিনা ওকে এত ভালোবাসে । সুখানুভূতিতে রানির চোখের কোণটা চিকচিক করে উঠল । ডান হাতের তর্জনী দিয়ে অশ্রুবিন্দুটাকে আলতো করে তুলে ঠোঁটের কোণে হাসি ফোটাল । বলল,
-” উফফ আল্লাহ ! কি যে শুরু করলে না তোমরা ! আমি এত যত্ন করে সাজলাম । আর তোমাদের ইমোশনাল মোমেন্টের জন্য আমার সাজের বারোটা বাজবে মনে হয় । ”
ওর কথায় হাসল তিনজনেই । মনিরা বলল,
-“শোন ,যে জন্য তোকে ডাকছিলাম .. আর একটু পরেই তো আত্মীয়রা আসা শুরু করবে । তখন মুসু খাওয়ার সময় পাবে না । তুই এখন একটু ওকে খাইয়ে আন তো । ”
-” এই দেখো , কথাটা একদম মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল আমার । আচ্ছা , তুমি চিন্তা কোরো না , আমি এক্ষুনি যাচ্ছি ….”
“তোর আসতে এত দেরি হলো কেন ?” বলেই খাবার প্লেট থেকে চপ ভেঙে মুখে দিল লাবিব ।
-” আর বলিস না । আমার মা সব জায়গাতেই আমার নামে ফরমান জারি করেছে । তার ছেলের জন্য বৌ খুজতে হবে । এবার তো নিজেই এসে হাজির হয়েছেন চাচাদের বাড়ি । কয়েকদিন থেকে ওখানেই আছেন । জোর কদমে পাত্রী দেখছিল । আর তার জন্যই আজ আমাকে ডেকেছে । “…খেতে খেতেই জবাব দিল আশিক ।
-” চাচি একদম ঠিক করেছে । একত্রিশ তো হয়েই গেল । আর কত দিন আইবুড়ো থাকতে চাস । এবার বিয়ে সাদি করে সংসারি হ । এই আমাকেই দেখ । একসাথেই পড়েছি । চাকরিও পেলাম দুজনে একি বছর । আমার বিয়ের চার বছর হয়ে গেল । মেয়েও বড় হয়ে গেছে । আর তুই এখনো বুড়ি মা টাকে জ্বালাচ্ছিস ! ”
লাবিবের কথায় হাসল আশিক । লাবিব আবার বলল,
-” আচ্ছা , তুই তো একটা মেয়েকে পছন্দ করতি ভার্সিটিতে থাকতে । সেই মেয়েটার কি হল ? বিয়ে হয়ে গেছে নাকি মেয়েটার ? ”
লাবিবের কথায় আশিককের দৃষ্টি গিয়ে ঠেকল বিপরীত সারির শেষের টেবিলটায় । মোস্তাফিনার পাশে বসে রানি কিছু একটি নিয়ে তর্কাতর্কি করছে সম্রাটের সাথে । মুসুর প্লেট থেকে চপ তুলে রানি একটা কামড় দিয়ে রাখতেই সম্রাট ছো মেরে তুলে নিল বাকি এটো চপটা । আশিক মুখ ঘুড়িয়ে নিল সেখান থেকে ।
-“কিরে ,বললি না তো ? কি করে মেয়েটা এখন ?”
-“না, বিয়ে হয়নি । পড়ছে এখনও । ”
-” বেশ । তাহলে তো হয়েই গেল । চাচিকে ওই মেয়ের কথাই বলে দে । পাত্রি দেখার ঝামেলা অন্তত কমবে ।”
-” তার আগে তো আমার জানা উচিত ও আমার সম্পর্কে কি ভাবে ?”
-“অ্যা..কি বলিস এসব ? মেয়েটা জানেই না এখনো যে তুই ওকে পছন্দ করিস ।… মানে বলিস নি এখনো মেয়েটাকে । ” লাবিব অবাক হয়ে তাকায় আশিকের দিকে । আশিক একটু মিইয়ে যায় লাবিবের বিস্মিত দৃষ্টির সামনে । লাবিব আবার বলল,
-“কি রে তুই ! কত বছর হয়ে গেল ! প্রায় সাত-আট বছরের কথা । সেই তখন থেকে তুই একটা মেয়েকে পছন্দ করিস । অথচ মেয়েটাকে বলিস নি তুই নিজের মনের কথা !”
-” আমি কি করতাম তখন ? ও ছোট ছিল অনেক …”
-“ভাই, এখানে ডাল দাও তো” ক্যাটেরার ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বলল লাবিব । তারপর আবার আশিককে বলল,
-” তখন ছোট ছিল । এখন তো বড়ো হয়ে গেছে । এখন তো বলতে পারিস । এখন ও যদি তুই ‘ছোট-ছোট’করিস, তাহলে দেখবি সেই ছোট মেয়েটাই অন্য কাউকে পছন্দ করে বসে আছে অথবা বখড়ি থেকে কাউকে ঠিক করে রেখেছে। অতশত ছাড়, প্রায় আট বছর হয়ে গেল । এখন তো মেয়েটা নিশ্চয়ই বড়ো হয়ে গেছে । চাচিকে দিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়ে দে ওদের বাড়ি । তোর মতো ওয়েল স্টাবলিসড ছেলেকে কোনো মেয়েপক্ষই না করবে না । …” বলেই লাবিব তাকাল আশিকের দিকে । আশিককের চোখ দুটো গুপ্তধন পাওয়ার মতো চকচক করে উঠল। বলল,
-“বলছিস তো ? ….”
-“হ্যা …আর অপেক্ষা করছিস কিসের জন্য ? নাকি এইভাবেই সারাজীবন ব্যাচেলর তকমা নিয়ে ঘুরতে চাস ?”
মুচকি হাসল আশিক ।
-“আচ্ছা, এবার ফিরে গিয়ে মাকে বলব তাহলে ” রানির দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল আশিক । লাবিবের দৃষ্টি এড়াল না ওর চোখ মুখের আকস্মিক দ্যুতিটা । দৃষ্টি অনুসরণ করে থমকে গেল লাবিব । নিজের সন্দেহের তীর টাকে নিধন করতে আবার তাকাল আশিকের দিকে । এখনো আশিকের মুখে খুশির ঝিলিক দেখে বিস্ময়ের শেষ সীমায় পৌঁছে গেল সে। না ,মনের ভুল নয় । আশিক রানিকেই দেখছে । কিছু মুহূর্তের জন্য লাবিব ভুলে গেল হাতে মাখানো লোকমাটা মুখে তুলতে । সব কিছু অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে ওর। তার বেস্টফ্রেন্ড এতকাল তার বোনের কথায় বলে এসেছে । আর ও এমন গাধা! বুঝতেই পারেনি । অবশ্য বোঝার মতো করে কিছু তো কখনই বলেনি আশিক । প্রত্যেকবার কৌশলে এড়িয়ে গেছে মেয়ের পরিচয় । তার কারণটা আজ বুঝতে পারল ও ।
বরযাত্রী এসে পৌছেছে কুড়ি মিনিট হল । কাজিনরা সবাই গেট ধরেছে । হবু জামাইকে মিষ্টি খাওয়ানোর পরিবর্তে মোটা টাকা বকশিশ দিতে হবে শালিকাদের । না হলে কেউ গেট ছাড়বে না । প্রায় সাত-আট জন কিশোরী দাড়িয়ে আছে গেট আটকে । রানিও দাড়িয়ে আছে একপাশে । ওর ইচ্ছে ছিল না এখানে আসার । মামা বারণ করেছিল গেট আটকাতে । কারণ গেট আটকানোর কারণে অনেক সময় বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদের সাথে ঝামেলা বেধে যায় । কিন্তু বিলকিস , মৌনিরা বারণ অমান্য করে দাড়িয়ে আছে । ওদের দাবি পূরণ হলেও তবেই ওরা বরযাত্রী ঢুকতে দেবে না হলে সেখানেই বসে থাকতে হবে সবাইকে । রানির বুকটা ভয়ে কাপছে । একটু পরপর ইতস্তত ভঙ্গিতে আশপাশ তাকাচ্ছে । যখন তখন মামা এসে পড়তে পারে । এসেই হয়তো রাম ধমকটা সবার আগে ওকেই দেবে ।
-“এই মেজপু এদিকে আয় ? ” বিলকিস একটু গলা উচিয়ে ডাকলে রানি ভীড় ঠেলে এগিয়ে এল সামনে । প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকাল বিলকিসের দিকে । বিলকিস একটা টিস্যুর বাক্স হাতে দিয়ে বলল ,
-” আমার মিষ্টি খাওয়ানো হয়ে গেলে ওদের হাতে একটা করে টিস্যু পেপার ধরিয়ে দিস ”
-” আমি কেন ? তোরাই কর না ..”
-“প্লিজ আপু ..”
রানি বিরক্ত হয়ে তাকাল তবে মানা করল না । মিষ্টি খাওয়ানো হয়ে গেলে রানি একটা টিস্যু পেপার এগিয়ে দিল বরের দিকে । তখনি বরযাত্রীদের মধ্যে একজন বলে উঠল টিস্যুর দেওয়ার বদলে নিজেই কেন মুখ মুছিয়ে দিচ্ছে না । তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভীড়ের মধ্যে আরো একজন বলে উঠল ,
-” উম হু । টিস্যু নয় । তার থেকেও ভালো হয় যদি নিজের আঁচল দিয়ে মুখ মুছিয়ে দেন তো । শালি মানেই তো আধা ঘরওয়ালি । তাই দায়িত্বটা নাহয় এখান থেকেই পালন করুন ম্যাডাম। ”
কথাগুলো শুনে কান গরম হয়ে গেল রানির । অস্বস্তিতে কুকড়ে গেল । বরাবরই এরকম পরিস্থিতি গুলোকে এড়িয়ে চলে রানি । কে বলছে দেখার জন্য মুখ তুলে তাকিয়ে দেখল একটা কোট-টাই পরিহিত সুন্দর দেখতে ছেলে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে । চোখে মুখে দুষ্টুমি খেলা করছে । কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে যাবে তখনই পাশ থেকে ভেসে এলো এক রুক্ষ্ম স্বর । রানি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল সম্রাট দাঁত চিবিয়ে চিবিয়ে বলছে ,
-” আমার তো আপনাকে বিকলাঙ্গ বলে মনে হচ্ছে না । হাত-পা তো ঠিক জায়গায় আছে । তাহলে এমন অবাঞ্ছিত আবদার কেন করছেন ভাই ? ”
-” আরে… আরে , আপনি রাগ করছেন কেন ? ভাইয়ার শালি মানে তো আমাদের বেয়াইন হয় তাই না । একটু আধটু মজা তো করাই যায় । কি বলেন ? ”
হাসার চেষ্টা করল সম্রাট । বলল,
-” অবশ্যই । কিন্তু সব কিছুর একটা লিমিট থাকে । তাই না । সামনের ব্যক্তিটি আপনার করা ছেলেমানুষী মজার জন্য কতটা অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে পারে সেটাও কিন্তু খেয়াল রাখা উচিত । ”
শান্ত ভঙ্গিতে সম্রাট কথাটা বললেও তা তীরের ফলার মতো গিয়ে আঘাত হানল বরপক্ষের কিছু ছেলেমেয়েদের মধ্যে । মুহূর্তে একটা চাপা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল । সম্রাট এবং সামনের কোট পরা ছেলেটা জ্বলন্ত দৃষ্টিতে একে অপরের বিদ্ধ করতে তৎপর হয়ে উঠল যেন । রানি প্রমাদ গুনল মনে মনে । এই বুঝি ঝামেলা বেধে গেল । সম্রাটের কুনুই ধরে টানল দুবার । কিন্তু একচুলও সরাতে পারল না । মনে মনে খুব করে চাইল লাবিব ভাইয়া অথবা তামিম ভাইয়া কেউ একজন আসুক । অবশেষে মহিলাদের ভীড় ঠেলে এগিয়ে এল লাবিব ,আশিক । তাদের পেছনে মামা আর আব্বুকে দেখে স্বস্থির নিশ্বাস ফেলল রানি । তাদের মধুর বাক্যবাণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এল নিমেষেই ।
কাজী সাহেব বিয়ে পড়াচ্ছেন । দীর্ঘ সময় কান্নাকাটি করার পর কবুল বলেছে মুসু । এখন খেজুর বিতরণ করা হচ্ছে অতিথির মাঝে । সবার মাঝে একটা খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে । মুসু আর জাহিদকে স্টেজে একসঙ্গে বসানো হয়েছে । ফটোসেশন চলছে ওদের । ছোটো ছোটো বাচ্চারা ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে ক্যামেরার সামনে । ফটোগ্রাফার ফটো তুলতে বারবার বাধা পাচ্ছেন । মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব বিরক্ত হচ্ছেন তিনি । বিলকিস দায়িত্ব নিয়ে বাচ্চাদের সরিয়ে দিল সামনে থেকে । একটু দূরে কোণায় বসে এসবই লক্ষ্য করছিল রানি । হাটাহাটি করতে করতে ভীষণ ক্লান্ত লাগছে ওর । পা দুটোও ব্যাথায় টনটন করছে । হঠাৎ চুলে টান অনুভব করলে চকিতে ঘাড় ঘুরিয়ে থমকে গেল ও । মুখের খুব কাছেই সম্রাট হাসি হাসি মুখে ওকেই দেখছে । এক মনে মোস্তাফিনা আর জাহিদকে দেখছিল ও । সম্রাট কখন পাশের চেয়ারে এসে বসেছে বুঝতেই পারেনি । চুলের টানটা আবার পড়তেই ডান হাতে নিজের খোপাটা স্পর্শ করল । নরম কিছু হাতে লাগতেই প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকাল সম্রাটের দিকে । সম্রাটের হাসিটা প্রশস্ত হল । বলল,
-” খোপাটা এতক্ষণ ফাকা ফাকা লাগছিল ।…… এখন পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে । …” একটু থেমে আবার বলল,
-” ভালো লাগছে তোকে ”
এই প্রথম রানি পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকাল সম্রাটের দিকে । অনুসন্ধিৎসু হয়ে বোঝার চেষ্টা করল চোখের ভাষা । সম্রাট আবার কোনো বদমাইশি করছে না তো ? কিন্তু আজ , এই মুহূর্তে সম্রাটের চোখের দিকে তাকিয়ে সেরকম কিছু মনে হল না রানির । কেন যেন এবার বিশ্বাস করতে মন চাইল সম্রাটকে । মৃদু হাসল রানি । সলজ্জ কন্ঠে নরম সুরে বলল -“থ্যাঙ্ক ইউ ”
রানির লজ্জা মাখা মুখখানি নজর এড়াল না সম্রাটের । তৎক্ষণাৎ দুষ্টুমিরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল । রানি তখন আবার স্টেজের দিকে তাকিয়েছিল । সম্রাট ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল ,
-“শোন , আমাদের বিয়ের দিন কিন্তু তুই মুসু আপার মতো কবুল বলতে দেরি করবি না বুঝলি । নাহলে কিন্তু খবর করে ছাড়ব ”
কটকটিয়ে তাকিয়ে রানি বাঁ হাতের কুনুই দিয়ে সজোড়ে আঘাত করল সম্রাটের পেটে । সম্রাট পেটে হাত দিয়ে ‘আউউ ‘শব্দ করে ঊঠল ।
To be continue..
✍️Chhimina Begam
পরবর্তী পর্ব কালকে দেব ইন শা আল্লাহ…